শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১০. শপথ ও মান্নতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৯ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৮০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮০৭
৪. যদি কেউ বাইতুলল্লাহুতে পদব্রজে যাওয়ার মানত করে।
৪৮০৫-০৭। আলী ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) .....আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পথ চলছিলেন এবং জনৈক ব্যক্তিকে দেখলেন, সে তার দুই সন্তানের মাঝে ধীরে ধীরে চলছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তারা বলল, সে হেঁটে হেঁটে হজ্জ করার মানত করেছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা'আলা তার আত্মাকে শাস্তি প্রদানের মুখাপেক্ষী নন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বাহনে আরােহণ করার নির্দেশ দেন।

রাবী আল-জাযী (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্ ইবন সালিহ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।

মুহাম্মাদ ইবন খুযাইমা (রাহঃ) ও ইবন আবু দাউদ (রাহঃ)..... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
بَابٌ: الرَّجُلُ يُوجِبُ عَلَى نَفْسِهِ الْمَشْيَ إِلَى بَيْتِ اللهِ
07- 4805 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي الْهِقْلُ بْنُ زِيَادٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي الْأَوْزَاعِيُّ , قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْيَمَامِيِّ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , أَنَّ حُمَيْدًا الطَّوِيلَ , أَخْبَرَهُ أَنَّهُ , سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: مَرَّ [ص:129] رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَجُلٍ يُهَادَى بَيْنَ ابْنَيْنِ لَهُ فَسَأَلَ عَنْهُ فَقَالُوا: نَذَرَ أَنْ يَمْشِيَ فَقَالَ: «إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ لَغَنِيٌّ عَنْ تَعْذِيبِ هَذَا نَفْسَهُ وَأَمَرَهُ أَنْ يَرْكَبَ» أَيْ لِعَجْزِهِ عَنِ الْمَشْيِ.

حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ الْجِيزِيُّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَا: ثنا مُسَدَّدٌ , قَالَ: ثنا يَحْيَى، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ , عَنْ أَنَسٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮০৬
empty
৪৮০৬।
4806 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮০৭
empty
৪৮০৭।
4807 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮০৮
৪. যদি কেউ বাইতুলল্লাহুতে পদব্রজে যাওয়ার মানত করে।
৪৮০৮। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ..... উকবা ইবুন আমির আল-জুহানী (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমার বােন খালি পায়ে খালি মাথায় হেঁটে হেঁটে কা'বা যিয়ারত করার মানত করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার কাছে আগমন করলেন এবং বললেন, এর অবস্থা কি? পরিবারের সদস্যরা বলেনঃ ইনি খালি পায়ে ও খালি মাথায় হেঁটে হেঁটে বা যিয়ারত করার মানত করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তাকে হুকুম কর, সে যেন আরােহীতে আরােহণ করে ও ওড়না পরিধান করে।

আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম উপরোক্ত হাদীসগুলাে গ্রহণ করেন এবং বলেন কোন ব্যক্তি যদি পদব্রজে হজ্জ করার মানত করে তাকে আরােহীতে আরােহণ করার নির্দেশ দেয়া হবে, এটা ব্যতীত তার উপর অন্য কিছু ওয়াজিব হবেনা। অন্য একদল আলিম এ বিষয়ে তাদের বিরোধিতা করেন এবং বলেন, তাকে আরােহীতে আরােহণ করতে বলা হবে, যেমন উপরােক্ত হাদীসসমূহে এসেছে। যদি তার বাক্যাংশ لِلَّهِ عَلَيَّ -এর দ্বারা কসমের অর্থ নেয়া হয়। তাহলে তার উপর কসমের কাফফারা ওয়াজিব হবে। কেননা لِلَّهِ عَلَيَّ এর অর্থ কোন কোন সময় وَاللهِ বা কসমের অর্থে ব্যবহৃত হয়। আর মান্নতের অর্থ ত কসমই হয়ে থাকে। এ সম্পর্কে আরাে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়।
4808 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ , قَالَ ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ أَبِي مَنْصُورٍ , عَنْ دُخَيْنٍ الْحَجْرِيِّ , عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ , قَالَ: نَذَرَتْ أُخْتِي أَنْ تَمْشِيَ , إِلَى الْكَعْبَةِ حَافِيَةً حَاسِرَةً. فَأَتَى عَلَيْهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَا بَالُ هَذِهِ؟ قَالُوا: نَذَرَتْ أَنْ تَمْشِيَ إِلَى الْكَعْبَةِ حَافِيَةً حَاسِرَةً. فَقَالَ: مُرُوهَا فَلْتَرْكَبْ وَلْتَخْتَمِرْ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ رَحِمَهُ اللهُ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذِهِ الْآثَارِ فَقَالُوا: مَنْ نَذَرَ أَنْ يَحُجَّ مَاشِيًا أُمِرَ أَنْ يَرْكَبَ وَلَا شَيْءَ عَلَيْهِ غَيْرُ ذَلِكَ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: يَرْكَبُ كَمَا جَاءَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ فَإِنْ كَانَ أَرَادَ بِقَوْلِهِ لِلَّهِ عَلَيَّ مَعْنَى الْيَمِينِ فَعَلَيْهِ مَعَ ذَلِكَ كَفَّارَةُ يَمِينٍ لِأَنَّ مَعْنَى لِلَّهِ عَلَيَّ قَدْ يَكُونُ فِي مَعْنَى وَاللهِ لِأَنَّ النَّذْرَ مَعْنَاهُ مَعْنَى الْيَمِينِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّ فِي النَّذْرِ كَفَّارَةَ يَمِينٍ» . فَمِمَّا رُوِيَ فِي ذَلِكَ مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮১৪
৪. যদি কেউ বাইতুলল্লাহুতে পদব্রজে যাওয়ার মানত করে।
৪৮০৯-১৪। ইউনুস (রাহঃ) ..... ইমরান ইবুন হুসাইন (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ক্রোধে কোন মান্নত হয় না। আর তার কাফফারা হচ্ছে কসমের কাফফারার ন্যায়।

ইউনুস (রাহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইবনুয যুবাইর (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন।

ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইবনুষ যুবাইর আল-হানযালী (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন।

আহমাদ ইবন আব্দুল মু'মিন আল-মারুবী (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ ইবনুয যুবাইর (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন।

ফাহাদ (রাহঃ) এবং আলী ইবুন মা'বাদ (রাহঃ) ..... ইমরান (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
14- 4809 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أنا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الزُّبَيْرِ التَّمِيمِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا نَذْرَ فِي غَضَبٍ , وَكَفَّارَتُهُ كَفَّارَةُ يَمِينٍ»

حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الزُّبَيْرِ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو سَلَمَةَ الْمُنْقِرِيُّ , قَالَ: ثنا أَبَانُ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الزُّبَيْرِ الْحَنْظَلِيُّ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْمُؤْمِنِ الْمَرْوَزِيُّ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ , قَالَ: ثنا عُبَادَةُ بْنُ الْعَوَامُّ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الزُّبَيْرِ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ , قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ ,. ح [ص:130]

وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ , قَالَا أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الزُّبَيْرِ الْحَنْظَلِيُّ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ رَجُلٍ , عَنْ عِمْرَانَ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮১০
empty
৪৮১০।
4810 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮১১
empty
৪৮১১।
4811 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮১২
empty
৪৮১২।
4812 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮১৩
empty
৪৮১৩।
4813 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮১৪
empty
৪৮১৪।
4814 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮১৫
৪. যদি কেউ বাইতুলল্লাহুতে পদব্রজে যাওয়ার মানত করে।
৪৮১৫। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ..... আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, গুনাহের কাজে মানত হয়না, আর তার কাফফারা হলাে কসমের কাফফারা।
4815 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَيُّوبُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ , عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ , وَمُوسَى بْنِ عُقْبَةَ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ أَرْقَمَ , عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ الَّذِي , كَانَ يَسْكُنُ الْيَمَامَةَ أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , يُخْبِرُ عَنْ عَائِشَةَ , قَالَتْ: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا نَذْرَ فِي مَعْصِيَةٍ وَكَفَّارَتُهُ كَفَّارَةُ يَمِينٍ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮১৬
৪. যদি কেউ বাইতুলল্লাহুতে পদব্রজে যাওয়ার মানত করে।
৪৮১৬। ইউনুস (রাহঃ) ..... উকবা ইব্‌ন আমির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ননা করেন। তিনি বলেন, “মানতের কাফফারা হল কসমের কাফফারার ন্যায়।”
4816 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ , عَنْ كَعْبِ بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شِمَاسَةَ الْمَهْرِيِّ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ , عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَفَّارَةُ النَّذْرِ كَفَّارَةُ الْيَمِينِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮১৭
৪. যদি কেউ বাইতুলল্লাহুতে পদব্রজে যাওয়ার মানত করে।
৪৮১৭। ইউনুস (রাহঃ) ...... অন্য এক সনদে উকবা ইবুন আমির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি। তিনি বলতেন, যদি কোন ব্যক্তি উল্লেখ ব্যতীত কোন মানত করে তবে তার কাফফারা হচ্ছে কসমের কাফফারার ন্যায়। উলামায়ে কিরাম এ সম্পর্কে আরাে উল্লেখ করেনঃ
4817 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَالِمٍ يُحَدِّثُ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ , قَالَ: أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ نَذَرَ نَذْرًا لَمْ يُسَمِّهِ فَكَفَّارَتُهُ كَفَّارَةُ الْيَمِينِ» وَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮২০
৪. যদি কেউ বাইতুলল্লাহুতে পদব্রজে যাওয়ার মানত করে।
৪৮১৮-২০। ইউনুস (রাহঃ) ...... উকবা ইবন আমির আল-জুহানী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, তার বােন খালি পায়ে ও মাথায় ওড়না ব্যাতীত কা'বা যিয়ারত করার মানত করেন। উকবা (রাযিঃ) এটা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে উত্থাপন করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তােমার বােনকে বল‌ো সে যেন আরােহীতে আৱেহণ করে, সে যেন ওড়না পরিধান করে এবং তিন দিন সিয়াম পালন করে।

আলী ইবন শাইবা (রাহঃ) ..… উকবা ইবুন আমির (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।

আল-হাসান ইবন আব্দুল্লাহ্ ইবুন মনসুর (রাহঃ) ..... উকবা ইবুন আমির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুপ বর্ণনা পেশ করেন। তারা বলেন, “এ তিন দিনের সিয়াম তার কসমের কাফফারা। কেননা সে তার বাণী (আরবী) অর্থাৎ আল্লাহর জন্য পদব্রজে হজ্জ করা আমার উপর ওয়াজিব।” আর এটা নিম্নোক্ত বর্ণনায়ও দেখতে পাওয়া যায়ঃ
20- 4818 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي حُيَيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْمَعَافِرِيُّ عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ «عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ أَنَّ أُخْتَهُ نَذَرَتْ أَنْ تَمْشِيَ إِلَى الْكَعْبَةِ حَافِيَةً غَيْرَ مُخْتَمِرَةٍ فَذَكَرَ ذَلِكَ عُقْبَةُ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُرْ أُخْتَكَ فَلْتَرْكَبْ وَلْتَخْتَمِرْ , وَلْتَصُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ»

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ: أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ زَحْرٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الرُّعَيْنِيَّ يَذْكُرُ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ , مِثْلَهُ.

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا الْهَيْثَمُ بْنُ جَمِيلٍ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ زَحْرٍ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْيَحْصُبِيِّ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَالِكٍ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالُوا: فَتِلْكَ الثَّلَاثَةُ الْأَيَّامِ إِنَّمَا كَانَتْ كَفَّارَةً لِيَمِينِهَا الَّتِي كَانَتْ بِهَا حَالِفَةً، بِقَوْلِهَا: لِلَّهِ عَلَيَّ أَنْ أَحُجَّ مَاشِيَةً. وَقَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮১৯
empty
৪৮১৯।
4819 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮২০
empty
৪৮২০।
4820 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮২১
৪. যদি কেউ বাইতুলল্লাহুতে পদব্রজে যাওয়ার মানত করে।
৪৮২১। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ….. আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে আগমন করেন এবং বলেন, “হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমার বােন পদব্রজে হজ পালন করার মানত করেছে।” রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “তােমার বােনকে কষ্ট দেয়ার জন্যে আল্লাহ্ তা'আলার কোন কাজ নেই। সে যেন আরোহীতে আরােহণ করে হজ্জ পালন করে আর তার কসমের কাফফারাও আদায় করে।” অন্য একদল আলিম তাদের বিরােধিতা করেন, এবং বলেন, বরং আমরা তাকে সওয়ারীতে আরােহণ করে হজ্জ আদায় করার জন্য নির্দেশ দিব, যদি সে তার এ মানত দ্বারা কসম ইচ্ছে করে থাকে এবং তাকে কুরবানীর পশু প্রেরণের জন্যও আদেশ দিব। তারা নিম্নে বর্ণিত বর্ণনাটিকে তাদের দলীল হিসেবে উল্লেখ করেনঃ
4821 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ شَرِيكٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ مَوْلَى آلِ طَلْحَةَ عَنْ كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: " جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ أُخْتِي نَذَرَتْ أَنْ تَحُجَّ مَاشِيَةً. فَقَالَ: إِنَّ اللهَ لَا يَصْنَعُ بِشَقَاءِ أُخْتِكَ شَيْئًا لِتَحُجَّ رَاكِبَةً وَتُكَفِّرْ عَنْ يَمِينِهَا " [ص:131] وَخَالَفَ هَؤُلَاءِ أَيْضًا آخَرُونَ فَقَالُوا: بَلْ نَأْمُرُ هَذَا الَّذِي نَذَرَ أَنْ يَحُجَّ مَاشِيًا أَنْ يَرْكَبَ وَيُكَفِّرَ يَمِينَهُ إِنْ كَانَ أَرَادَ يَمِينًا , وَنَأْمُرُهُ مَعَ هَذَا , بِالْهَدْيِ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ شَيْبَةَ قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮২২
৪. যদি কেউ বাইতুলল্লাহুতে পদব্রজে যাওয়ার মানত করে।
৪৮২২। আলী ইবন শাইবা (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন উকবা ইবন 'আমির (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে আগমন করেন এবং তাকে সংবাদ দেন যে, তার বােন খালি পায়ে চুল ছেড়ে কা'বা শরীফ যিয়ারত করার মানত করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তুমি তাকে আদেশ কর সে যেন আরােহীতে আরােহণ করে, ওড়না ব্যবহার করে এবং কুরবানীর পশু প্রেরণ করে।
4822 - حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ: أَخْبَرَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى عَنْ قَتَادَةَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ أُخْتَهُ نَذَرَتْ أَنْ تَمْشِيَ إِلَى الْكَعْبَةِ حَافِيَةً نَاشِرَةً شَعْرَهَا. فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُرْهَا فَلْتَرْكَبْ وَلْتَخْتَمِرْ وَلْتُهْدِ هَدْيًا "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮২৩
৪. যদি কেউ বাইতুলল্লাহুতে পদব্রজে যাওয়ার মানত করে।
৪৮২৩। ইব্‌ন আবু দাউদ (রাহঃ) ..... উকবা ইবুন আমির আল-জুহানী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমার বােন পদব্রজে কা'বা শরীফ পৌছার মানত করেছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার কাছে গমন করেন এবং বলেন, তার কি হয়েছে। তারা বলেন, সে কা'বা শরীফ পর্যন্ত পদব্রজে পৌছার মানত করেছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহু তা'আলা তার এ পদব্রজে হজ্জ পালনের মুখাপেক্ষী নন, তাকে আদেশ কর সে যেন আরােহীতে আরােহণ করে এবং কুরবানীর জন্যে পশু প্রেরণ করে।
উপরােক্ত হাদীসে দেখা যায় যে, রাসূলুল্লাহু (ﷺ) তাকে আরােহীতে আরােহণ করার জন্যে ও কুরবানী করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং উপরে উল্লেখিত হাদীসসমূহের দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যে ব্যক্তি, পদব্রজে হজ্জ পালন করার মানত করে এবং আরােহীতে আরােহণ করার ইচ্ছে পােষণ করে তাহলে তার হুকুম হলাে পদব্রজে ভ্রমণ বর্জন করার জন্যে তাকে একটি কুরবানী করতে হবে এবং এ ব্যাপারে কসম ভঙ্গ করার জন্যে কাফফারা প্রদান করতে হবে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) এবং ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) এরও এটাই অভিমত। এ ব্যাপারে যুক্তিভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গী হল এই যে, একদল উলামা বলেন, “যেসব বস্তু দ্বারা মানত ওয়াজিব হয় তার মধ্যে পজ মানতের ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা পালন করেনা। কেননা এটার মধ্যে রয়েছে মাত্র শারীরিক ক্লান্তি। পদব্রজে ভ্রমণকারী পদব্রজে ভ্রমণ দ্বারা ইহরামের প্রতি কোন প্রকার ব্যতিক্রমধর্মী শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেনা। তাই উলামায়ে কিরাম তার উপর পদব্রজে ভ্রমণকে ওয়াজিব মনে করেন এবং পদব্রজে ভ্রমণকে বর্জন করার জন্যে কোনরূপ জরিমানা আরােপ করেন না। আমরা এ ব্যাপারে গবেষণার আশ্রয় নিলাম এবং লক্ষ্য করলাম যে, হজের মধ্যে রয়েছে বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করা, আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা, যুহর ও আসর এবং মাগরিব ও ঈশা একত্রে পড়া। আরাে একটি তাওয়াফ আছে যা হাজী সাহেব ইহরাম অবস্থায় পালন করেন, এটা হল তাওয়াফে যিয়ারত। আর তার জন্যে আরাে একটি তাওয়াফ আছে, যা তিনি ইহরাম থেকে হালাল হবার পর আদায় করেন। তাহলাে তাওয়াফে সদর। অর্থাৎ বিদায়ী তাওয়াফ। আর এগুলাে সবকিছু হল হজ্জের করণীয় কাজ। আমাদের এ মানতকারী পদব্রজে এগুলাে করার ইচ্ছে পােষণ করেছে আর সে এগুলাে করেছে আরোহীতে আরােহণ করে। সুতরাং সে ত্রুটি-বিচ্যুতির শিকার হয়েছে এবং তার উপর একটি কুরবানী ওয়াজিব করেছে; তবে সে যদি এগুলাে কোন ওযর কিংবা কারণ ব্যতীত করে থাকে। আর যদি কোন ওযর কিংবা কারণে করে থাকে তাহলে উলামায়ে কিরাম এ সম্বন্ধে মতভেদ করেন। তাদের কেউ কেউ বলেন, তার উপর কোন জরিমানা নেই। এ মতামত অবলম্বনকারী হলেন ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) এবং ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)। আবার কেউ কেউ বলেন, এজন্য তাকে জরিমানা দিতে হবে। এখানে এটাই আমাদের গবেষণা ও দৃষ্টিভঙ্গী। কেননা বস্তুর উপাদান বা কারণসমূহ অশ্রদ্ধা জ্ঞাপনের গুনাহকে মিটিয়ে দেয়, কিন্তু কাফফারাসমূহ তা মিটায়না। আমরা কি লক্ষ্য করিনা যে, আল্লাহু তা'আলা ইরশাদ করেছেনঃ
وَلَا تَحْلِقُوا رُءُوسَكُمْ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ অর্থাৎ যে পর্যন্ত কুরবানীর পশু এটার স্থানে না পৌঁছে তােমরা মাথা মুণ্ডন করবেনা। (সূরা বাকারা : ১৯৬) ইহরামের অবস্থায় মুহরিমের জন্যে ওযর ব্যতীত মাথা মুণ্ডন করা হারাম। যদি সে মাথা মুণ্ডন করে তবে তা হবে তার গুনাহ এবং তাকে কাফফারা দিতে হবে। যদি সে কোন ওযর বশত মুণ্ডন করতে বাধ্য হয় তাহলে তাকে কাফফারা দিতে হবে, কিন্তু তার কোন গুনাহ হবেনা। তাহলে দেখা যায় ওযরের দ্বারা গুনাহ দূরীভূত হয়, কিন্তু কাফফারা দ্বারা নয়। মুক্তির আলােকে বাইতুল্লাহর তাওয়াফের হুকুমও এরূপ হওয়া উচিত ছিল। যদি কেউ ওযর ব্যতীত আরােহীতে আরােহণ করে বাইতুল্লাহর তাওয়াফে যিয়ারত সম্পন্ন করে তাহলে তার উপর একটি কুরবানী ওয়াজিব হয়। কিন্তু যদি কেউ ওযরের কারণে আরােহণ অবস্থায় বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করে তাহলেও তার উপর একটি কুরবানী ওয়াজিব হবে। আর এটাই অনুচ্ছেদে গবেষণার হুকুম। ইমাম যুফার (রাহঃ) কিয়াস হিসেবে এরূপ অভিমত পেশ করেন, কিন্তু ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত হল, যে ব্যক্তি ওযরের কারণে আরোহণ অবস্থায় বাইতুল্লার তাওয়াফে যিয়ারাত সম্পন্ন করে তার উপর কোন জরিমানা, ওয়াজিব হবেনা।
যখন গবেষণার মাধ্যমে আমাদের উল্লেখিত সিদ্ধান্ত, যা প্রমাণিত হয়েছে, পদব্রজে হজ্জ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রেও অনুরূপ প্রমাণিত হবে। পদব্রজ হজের অংশ হিসেবে গণ্য করায় ইহরামের পরেও পদব্রজ ওয়াজিব হবে যেমন ইহরামের মধ্যে পদব্রজ ওয়াজিব। অনুরূপভাবে ইহরামের অংশ গণ্য করায় ইহরামের পূর্বের পদব্রজের হুকুম হবে ইহরামের মধ্যের পদব্রজের ন্যায় ওয়াজিব। সুতরাং ইহরামের ওয়াজিব পদব্রজ বর্জনকারীর উপর যেরূপ কুরবানী বা দম ওয়াজিব, অনূরূপ ইহরামের পূর্বের ওয়াজিব পদব্রজ বর্জনকারীর উপরও কুরবানী ওয়াজিব। পদব্রজের উপর শক্তি থাকা অবস্থায় এবং পদব্রজে অসমর্থ থাকা উভয় অবস্থায় এটা তার উপর ওয়াজিব। এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অমিত। আমাদের উপরােক্ত দলীল বিশুদ্ধ এবং শক্তি থাকা ও না থাকা উভয় অবস্থায়, কাউকে বহন করে তাওয়াফ করার ক্ষেত্রেও একই হুকুম প্রযােজ্য।
যদি কেউ বলেন, যখন পদব্রজে হজ্জ করায় মানত করার পদব্রজ তার উপর ওয়াজিব হয়, আর যখন সে আরােহীর উপর আরােহণ করে সে যেন ঐ ব্যক্তির ন্যায় ছিল, যে এরূপ মানত করেনি। অতঃপর পদব্রজে হজ পালন করা তার উপর ওয়াজিব হয়। সে তখন এমন ব্যক্তির ন্যায় হয়ে যায়, সে বলে যে, আমি দাড়িয়ে দুরাকাত সালাত আদায় করব। এরপর সে বসে বসে সালাত আদায় করল (অথচ দুই জনকে একই রূপ গণ্য করা হয় না) প্রশ্নকারীর প্রশ্নের জবাবে আমাদের বক্তব্য হল এ যে, আমরা যে ফরয সালাতটি দাড়িয়ে পড়ার মানত করেছি, কোন ওযর ব্যতীত যদি আমরা সালাতটি বসে বসে আদায় করি তাহলে এটা পুনরায় আদায় করা আমাদের উপর ওয়াজিব হয়ে যায়। আমরা এমন লােকের ন্যায় হয়ে যাই, যে সালাতই আদায় করেনি। আর আমাদের মধ্যে যে ইসলামি বিধানে হজ্জ আদায় করল, সে হজ্জের তাওয়াফ পদব্রজে করাটা ছিল ওয়াজিব, কিন্তু তাওয়াফটি করা হল আরােহীর উপর আরােহণ করে। অতঃপর সে পরিবারের কাছে ফিরে আসল। তাহলে তাকে এমন ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা যাবে না, যে তাওয়াফ করেনি আর তাকে পুনরায় তাওয়াফ করারও হুকুম দেয়া হয়নি, বরং তাকে মনে করতে হবে যে, সে তাওয়াফ সম্পাদন করেছে। আর তার এ তাওয়াফ যথেষ্ট হবে তবে তার ত্রুটির জন্যে তাকে একটি দম বা কুরবানী দিতে হবে। সুতরাং মানতের হজ্জ ও সালাতকে আল্লাহর ফরযকৃত হজ্জ ও সালাতের উপর কিয়াস করা যায়। এগুলাের মধ্যে যা আল্লাহ কর্তৃক ওয়াজিব করা হয়েছে তার মধ্যে যদি ক্রটি করে কেউ, তাহলে সে তা বর্জন করার মধ্যে শামিল হবে। অনুপভাবে মানত আদায়ের মধ্যে যদি কেউ কটি করে তাহলে সেও তা বর্জন করার মধ্যে শামিল হবে। তাই তাকে ক্রটি করার দরুন তা পুনরায় আদায় করতে হবে। কিন্তু সেটা আল্লাহু তা'আলা কর্তৃক ওয়াজিব করা হয়েছে আর এটাতে আদায়কারী ত্রুটি-বিচ্যুতির শিকার হয়েছে, তা পুনরায় আদায় করা তার উপর ওয়াজিব হবেনা। আর এ ত্রুটি-বিচ্যুতি দ্বারা সে বর্জনকারীর দলভুক্ত হবেনা। যদি এ ধরনের জিনিসই মানতের ব্যাপার হয় এবং সে তাতে ত্রুটি-বিচ্যুতির শিকার হয় তাহলে সে এ ত্রুটি-বিচ্যুতি দ্বারা সে বর্জনকারীর সাথে সম্পৃক্ত হবেনা। যদি সম্পৃক্ত হত তাহলে তার উপর এটা পুনরায় করা ওয়াজিব হত। কিন্তু সে আদায়কারীর সাথে সম্পৃক্ততাই এ আমলের ত্রুটির জন্যে এ ধরনের অন্যান্য আমলের ত্রুটির জন্যে যেরূপ দম দিতে হয় এখানেও দ্রুপ দিতে হবে। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
4823 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ , قَالَ: ثنا مَطَرٌ الْوَرَّاقُ , عَنْ عِكْرِمَةَ , " عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ , قَالَ: نَذَرَتْ أُخْتِي أَنْ تَمْشِيَ , إِلَى الْكَعْبَةِ فَأَتَى عَلَيْهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَا لِهَذِهِ؟ قَالُوا: نَذَرَتْ أَنْ تَمْشِيَ إِلَى الْكَعْبَةِ فَقَالَ إِنَّ اللهَ لَغَنِيٌّ عَنْ مَشْيِهَا مُرْهَا فَلْتَرْكَبْ وَلِتُهْدِ بَدَنَةً " فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا بِالْهَدْيِ لِمَكَانِ رُكُوبِهَا. فَتَصْحِيحُ هَذِهِ الْآثَارِ كُلِّهَا يُوجِبُ أَنْ يَكُونَ حُكْمُ مَنْ نَذَرَ أَنْ يَحُجَّ مَاشِيًا أَنْ يَرْكَبَ إِنْ أَحَبَّ ذَلِكَ وَيُهْدِيَ هَدْيًا لِتَرْكِهِ الْمَشْيَ , وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ لِحِنْثِهِ فِيهَا. وَبِهَذَا كَانَ أَبُو حَنِيفَةَ وَأَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ , يَقُولُونَ. وَأَمَّا وَجْهُ النَّظَرِ فِي ذَلِكَ , فَإِنَّ قَوْمًا قَالُوا: لَيْسَ الْمَشْيُ فِيمَا يُوجِبُهُ نَذْرٌ لِأَنَّ فِيهِ تَعَبًا لِلْأَبْدَانِ وَلَيْسَ الْمَاشِي فِي حَالِ مَشْيِهِ فِي حُرْمَةِ إِحْرَامٍ , فَلَمْ يُوجِبُوا عَلَيْهِ الْمَشْيَ وَلَا بَدَلًا مِنَ الْمَشْيِ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ فَرَأَيْنَا الْحَجَّ فِيهِ الطَّوَافُ بِالْبَيْتِ وَالْوُقُوفُ بِعَرَفَةَ وَبِجَمْعٍ. وَكَانَ الطَّوَافُ مِنْهُ مَا يَفْعَلُهُ الرَّجُلُ فِي حَالِ إِحْرَامِهِ وَهُوَ طَوَافُ الزِّيَارَةِ. وَمِنْهُ مَا يَفْعَلُهُ بَعْدَ أَنْ يَحِلَّ مِنْ إِحْرَامِهِ , وَهُوَ طَوَافُ الصَّدْرِ. وَكَانَ ذَلِكَ كُلُّهُ مِنْ أَسْبَابِ الْحَجِّ قَدْ أُرِيدَ أَنْ يَفْعَلَهُ الرَّجُلُ مَاشِيًا وَكَانَ مَنْ فَعَلَهُ رَاكِبًا مُقَصِّرًا وَجُعِلَ عَلَيْهِ الدَّمُ. هَذَا إِذَا كَانَ فَعَلَهُ لَا مِنْ عِلَّةٍ. وَإِنْ كَانَ فَعَلَهُ مِنْ عِلَّةٍ , فَإِنَّ النَّاسَ مُخْتَلِفُونَ فِي ذَلِكَ. فَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَا شَيْءَ عَلَيْهِ وَمِمَّنْ قَالَ بِذَلِكَ أَبُو حَنِيفَةَ وَأَبُو يُوسُفَ وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى وَقَالَ بَعْضُهُمْ: عَلَيْهِ دَمٌ وَهَذَا هُوَ النَّظَرُ - عِنْدَنَا - لِأَنَّ الْعِلَلَ إِنَّمَا تُسْقِطُ الْآثَامَ فِي انْتِهَاكِ الْحُرُمَاتِ , وَلَا تُسْقِطُ الْكَفَّارَاتِ. أَلَا تَرَى أَنَّ اللهَ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى قَالَ: «وَلَا تَحْلِقُوا رُءُوسَكُمْ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ» وَكَانَ [ص:132] حَلْقُ الرَّأْسِ حَرَامًا عَلَى الْمُحْرِمِ فِي إِحْرَامِهِ إِلَّا مِنْ عُذْرٍ فَإِنْ حَلَقَهُ فَعَلَيْهِ الْإِثْمُ وَالْكَفَّارَةُ , وَإِنِ اضْطُرَّ إِلَى حَلْقِهِ فَعَلَيْهِ الْكَفَّارَةُ وَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ. فَكَانَ الْعُذْرُ يَسْقُطُ بِهِ الْآثَامُ , وَلَا يَسْقُطُ بِهِ الْكَفَّارَاتُ فَكَانَ يَجِبُ فِي النَّظَرِ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ حُكْمُ الطَّوَافِ بِالْبَيْتِ إِذَا كَانَ مَنْ طَافَهُ رَاكِبًا لِلزِّيَارَةِ لَا مِنْ عُذْرٍ فَعَلَيْهِ دَمٌ إِلَّا أَنْ يَكُونَ مَنْ طَافَهُ مِنْ عُذْرٍ رَاكِبًا كَذَلِكَ أَيْضًا. فَهَذَا حُكْمُ النَّظَرِ فِي هَذَا الْبَابِ وَهُوَ قِيَاسُ قَوْلِ زُفَرَ. وَلَكِنَّ أَبَا حَنِيفَةَ وَأَبَا يُوسُفَ وَمُحَمَّدًا , لَمْ يَجْعَلُوا عَلَى مَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ طَوَافَ الزِّيَارَةِ رَاكِبًا مِنْ عُذْرٍ شَيْئًا. فَلَمَّا ثَبَتَ بِالنَّظَرِ مَا ذَكَرْنَا كَانَ كَذَلِكَ الْمَشْيُ لِمَا رَأَيْنَاهُ , قَدْ يَجِبُ بَعْدَ فَرَاغِ الْإِحْرَامِ إِذْ كَانَ مِنْ أَسْبَابِهِ كَمَا يَجِبُ فِي الْإِحْرَامِ , كَانَ كَذَلِكَ الْمَشْيُ الَّذِي قَبْلَ الْإِحْرَامِ مِنْ أَسْبَابِ الْإِحْرَامِ , حُكْمُهُ حُكْمُ الْمَشْيِ الْوَاجِبِ فِي الْإِحْرَامِ. فَكَمَا كَانَ عَلَى تَارِكِ الْمَشْيِ الْوَاجِبِ فِي الْإِحْرَامِ دَمٌ كَانَ عَلَى تَارِكِ هَذَا الْمَشْيِ الْوَاجِبِ قَبْلَ الْإِحْرَامِ دَمٌ أَيْضًا وَذَلِكَ وَاجِبٌ عَلَيْهِ فِي حَالِ قُوَّتِهِ عَلَى الْمَشْيِ وَفِي حَالِ عَجْزِهِ عَنْهُ فِي قَوْلِ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ أَيْضًا , وَذَلِكَ دَلِيلٌ لَنَا صَحِيحٌ عَلَى مَا بَيَّنَّاهُ مِنْ حُكْمِ الطَّوَافِ بِالْحَمْلِ فِي حَالِ الْقُوَّةِ عَلَيْهِ وَفِي حَالِ الْعَجْزِ عَنْهُ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِذَا وَجَبَ عَلَيْهِ الْمَشْيُ بِإِيجَابِهِ عَلَى نَفْسِهِ أَنْ يَحُجَّ مَاشِيًا وَكَانَ يَنْبَغِي إِذَا رَكِبَ أَنْ يَكُونَ فِي مَعْنَى مَا لَمْ يَأْتِ بِمَا أَوْجَبَ عَلَى نَفْسِهِ فَيَكُونُ عَلَيْهِ أَنْ يَحُجَّ بَعْدَ ذَلِكَ مَاشِيًا فَيَكُونُ كَمَنْ قَالَ لِلَّهِ عَلَيَّ أَنْ أُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ قَائِمًا فَصَلَّاهُمَا قَاعِدًا. فَمِنَ الْحُجَّةِ عِنْدَنَا عَلَى قَائِلِ هَذَا الْقَوْلِ أَنَّا رَأَيْنَا الصَّلَوَاتِ الْمَفْرُوضَاتِ الَّتِي عَلَيْنَا أَنْ نُصَلِّيَهَا قِيَامًا وَلَوْ صَلَّيْنَاهَا قُعُودًا لَا نُعْذَرُ وَجَبَ عَلَيْنَا إِعَادَتُهَا وَكُنَّا فِي حُكْمِ مَنْ لَمْ يُصَلِّهَا. وَكَانَ مَنْ حَجَّ مِنَّا حَجَّةَ الْإِسْلَامِ الَّتِي يَجِبُ عَلَيْنَا الْمَشْيُ فِي الطَّوَافِ لَهَا , فَطَافَ ذَلِكَ الطَّوَافَ رَاكِبًا ثُمَّ رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ لَمْ يُجْعَلْ فِي حُكْمِ مَنْ لَمْ يَطُفْ وَيُؤْمَرْ بِالْعَوْدِ بَلْ قَدْ جُعِلَ فِي حُكْمِ مَنْ طَافَ وَأَجْزَأَهُ طَوَافُهُ ذَلِكَ إِلَّا أَنَّهُ جُعِلَ عَلَيْهِ دَمٌ لِتَقْصِيرِهِ. فَكَذَلِكَ الصَّلَاةُ الْوَاجِبَةُ بِالنَّذْرِ وَالْحَجُّ الْوَاجِبُ بِالنَّذْرِ , هُمَا مَقِيسَانِ عَلَى الصَّلَاةِ وَالْحَجِّ الْوَاجِبَيْنِ بِإِيجَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ. فَمَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا يَجِبُ بِإِيجَابِ اللهِ يَكُونُ الْمُقَصِّرُ فِيهِ فِي حُكْمِ تَارِكِهِ كَانَ كَذَلِكَ مَا يُوجِبُ عَلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ الْجِنْسِ بِإِيجَابِهِ إِيَّاهُ عَلَى نَفْسِهِ فَقَصَّرَ فِيهِ , يَكُونُ بِتَقْصِيرِهِ فِيهِ فِي حُكْمِ تَارِكِهِ , فَعَلَيْهِ إِعَادَتُهُ. وَمَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا يَجِبُ بِإِيجَابِ اللهِ عَلَيْهِ مُقَصِّرٌ فِيهِ فَلَمْ يَجِبْ عَلَيْهِ إِعَادَتُهُ وَلَمْ يَكُنْ بِذَلِكَ التَّقْصِيرِ فِي حُكْمِ تَارِكِهِ كَانَ كَذَلِكَ مَا وَجَبَ عَلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ الْجِنْسِ بِإِيجَابِهِ إِيَّاهُ عَلَى نَفْسِهِ فَقَصَّرَ فِيهِ , فَلَا يَكُونُ بِذَلِكَ التَّقْصِيرِ فِي حُكْمِ تَارِكِهِ فَيَجِبُ عَلَيْهِ إِعَادَتُهُ وَلَكِنَّهُ فِي حُكْمِ فَاعِلِهِ وَعَلَيْهِ لِتَقْصِيرِهِ مَا يَجِبُ عَلَيْهِ مِنَ التَّقْصِيرِ فِي أَشْكَالِهِ مِنَ الدِّمَاءِ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান