শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৬. হজ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪১৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৫৫
৩৩. ইহরাম ব্যতীত হারাম শরীফে প্রবেশ করা
৪১৫১-৫৫। আলী ইব্ন মা’বাদ (রাহঃ), আলী ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ও ফাহাদ (রাহঃ) ….. জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) মক্কা বিজয়ের দিন মক্কাতে প্রবেশ করেছেন। তখন তাঁর পবিত্র মাথায় কাল পাগড়ি ছিল।
ফাহাদ (রাহঃ) ও আবু বাকরা (রাহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী(ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ফাহাদ (রাহঃ) ও আবু বাকরা (রাহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী(ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
بَابُ دُخُولِ الْحَرَمِ , هَلْ يَصْلُحُ بِغَيْرِ إِحْرَامٍ؟
4151 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا مُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ ح
4152 - وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ حَكِيمٍ الْأَوْدِيُّ ح
4153 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ , قَالُوا: ثنا شَرِيكٌ , عَنْ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , دَخَلَ مَكَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ , وَعَلَى رَأْسِهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ»
4154 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , ح
4155 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , قَالَا: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ
4152 - وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ حَكِيمٍ الْأَوْدِيُّ ح
4153 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ , قَالُوا: ثنا شَرِيكٌ , عَنْ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , دَخَلَ مَكَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ , وَعَلَى رَأْسِهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ»
4154 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , ح
4155 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , قَالَا: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৫২
empty
৪১৫২।
4152 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৫৩
empty
৪১৫৩।
4153 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৫৪
empty
৪১৫৪।
4154 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৫৫
empty
৪১৫৫।
4155 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৫৭
ইহরাম ব্যতীত হারাম শরীফে প্রবেশ করা
৪১৫৬-৫৭। ইউনুস (রাহঃ) ও ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ….. আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী(ﷺ) মক্কায় প্রবেশ করেছেন। তার পবিত্র মাথায় শিরস্ত্রাণ (হেলমেট) শোভা পাচ্ছিল। যখন তিনি মাথা থেকে শিরস্ত্রাণ খুললেন, তখন তাঁকে বলা হল যে, ইব্ন খাতল কাবা শরীফের পর্দা ধরে ঝুলে আছে। তিনি বললেন, 'তাকে হত্যা কর।'
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, ইহরাম ব্যতীত হারাম শরীফে প্রবেশ করতে কোন অসুবিধা নেই। তাঁরা এ বিষয়ে এই সমস্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরােধিতা করে বলেছেন যে, যে ব্যক্তির বাড়ি মীকাত বহির্ভূত কোন শহরে হবে তার ইহরাম ব্যতীত মক্কায় প্রবেশ করা সমীচীন নয়। তারপর তাঁরা মতবিরােধ করেছেনঃ কতিপয় আলিম বলেছেন শুধু মক্কার বাসিন্দা ব্যতীত অনুরূপভাবে সমস্ত লােকদের জন্য এটাই হুকুম; চাই সে মীকাতের অভ্যন্তরে বসবাস করুক অথবা বাইরে। পক্ষান্তরে অন্যরা বলেন, যে ব্যক্তির বাড়ি মীকাতের কোন স্থানে অথবা এর থেকে ভিতরে মক্কার দিকে সে ইহরাম ব্যতীত মক্কাতে প্রবেশ করতে পারবে। যার বাড়ি মীকাতের বাইরে সে ইহরাম ব্যতীত মক্কাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এই মত যারা পােষণ করেন তাঁদের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)ও রয়েছেন। অন্য আরেকদল আলিম বলেন, মীকাত থেকে বহির্ভূতদের হুকুমের অনুরূপ হুকুম হল মীকাত অধিবাসীদের। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) মীকাত অধিবাসীদেরকে মীকাতের অভ্যন্তরে বসবাসকারীদের হুকুমের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। (ইমাম তাহাবী বলেন) আমাদের নিকট তাঁদের বক্তব্য যুক্তির অনুকূলে নয়। কেননা আমরা লক্ষ্য করছি, যে ব্যক্তি ইহরামের ইচ্ছাপােষণ করে, তারপর মীকাত থেকে ইহরাম ব্যতীত হালাল অবস্থায় অতিক্রম করে এবং হজ্জ থেকে অবসর হয়ে যায়, আর মীকাতের দিকে ফিরে না আসে, তা হলে তার উপর দম (কুরবানী) ওয়াজিব হবে। যে ব্যক্তি মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধে সে পুণ্যবান। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি এর (মীকাত) পূর্বে ইহরাম বাঁধবে সেও নেক্কার। যখন মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধা এর বাইরে থেকে ইহরাম বাঁধার হুকুমের অনুরূপ, এর ভিতর থেকে ইহরাম বাঁধার অনুরূপ নয়। তখন সাব্যস্ত হল যে, খােদ মীকাতের হুকুম এর বাইরের হুকুমের অনুরূপ, এর ভিতরের হুকুমের অনুরূপ নয়।
সুতরাং মীকাতের অধিবাসীদের জন্য হারাম শরীফে প্রবেশ করা সেই অবস্থায় জায়িয হবে, যে অবস্থায়
মীকাতের বাইরের শহরবাসীগণ প্রবেশ করতে পারবে। বস্তুত এই বিশ্লেষণ দ্বারা মীকাতের অধিবাসীদের হুকুম সংশ্লিষ্ট ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর বক্তব্য খণ্ডন হয়ে যায়।
বস্তুত হাদীসসমূহের প্রতি পর্যবেক্ষণমূলক দৃষ্টি দেয়া আমাদের জন্য একান্তভাবে জরুরী যে, তাতে এরূপ কোন কিছু বিদ্যামান আছে কিনা, যা ইহরাম ব্যতীত হারাম শরীফে প্রবেশ করাকে অস্বীকার করে এবং তাতে এরূপ কোন কিছু আছে কিনা যা পূর্বোক্ত দুই হাদীসের অর্থ বিশ্লেষণ করে যে অর্থের দ্বারা একথা অপরিহার্য হয় যে, নবী(ﷺ) কর্তৃক (হারাম শরীফে) ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ করাটা তাঁর বৈশিষ্ট্য ছিল। আমরা এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ পেয়েছি।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, ইহরাম ব্যতীত হারাম শরীফে প্রবেশ করতে কোন অসুবিধা নেই। তাঁরা এ বিষয়ে এই সমস্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরােধিতা করে বলেছেন যে, যে ব্যক্তির বাড়ি মীকাত বহির্ভূত কোন শহরে হবে তার ইহরাম ব্যতীত মক্কায় প্রবেশ করা সমীচীন নয়। তারপর তাঁরা মতবিরােধ করেছেনঃ কতিপয় আলিম বলেছেন শুধু মক্কার বাসিন্দা ব্যতীত অনুরূপভাবে সমস্ত লােকদের জন্য এটাই হুকুম; চাই সে মীকাতের অভ্যন্তরে বসবাস করুক অথবা বাইরে। পক্ষান্তরে অন্যরা বলেন, যে ব্যক্তির বাড়ি মীকাতের কোন স্থানে অথবা এর থেকে ভিতরে মক্কার দিকে সে ইহরাম ব্যতীত মক্কাতে প্রবেশ করতে পারবে। যার বাড়ি মীকাতের বাইরে সে ইহরাম ব্যতীত মক্কাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এই মত যারা পােষণ করেন তাঁদের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)ও রয়েছেন। অন্য আরেকদল আলিম বলেন, মীকাত থেকে বহির্ভূতদের হুকুমের অনুরূপ হুকুম হল মীকাত অধিবাসীদের। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) মীকাত অধিবাসীদেরকে মীকাতের অভ্যন্তরে বসবাসকারীদের হুকুমের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। (ইমাম তাহাবী বলেন) আমাদের নিকট তাঁদের বক্তব্য যুক্তির অনুকূলে নয়। কেননা আমরা লক্ষ্য করছি, যে ব্যক্তি ইহরামের ইচ্ছাপােষণ করে, তারপর মীকাত থেকে ইহরাম ব্যতীত হালাল অবস্থায় অতিক্রম করে এবং হজ্জ থেকে অবসর হয়ে যায়, আর মীকাতের দিকে ফিরে না আসে, তা হলে তার উপর দম (কুরবানী) ওয়াজিব হবে। যে ব্যক্তি মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধে সে পুণ্যবান। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি এর (মীকাত) পূর্বে ইহরাম বাঁধবে সেও নেক্কার। যখন মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধা এর বাইরে থেকে ইহরাম বাঁধার হুকুমের অনুরূপ, এর ভিতর থেকে ইহরাম বাঁধার অনুরূপ নয়। তখন সাব্যস্ত হল যে, খােদ মীকাতের হুকুম এর বাইরের হুকুমের অনুরূপ, এর ভিতরের হুকুমের অনুরূপ নয়।
সুতরাং মীকাতের অধিবাসীদের জন্য হারাম শরীফে প্রবেশ করা সেই অবস্থায় জায়িয হবে, যে অবস্থায়
মীকাতের বাইরের শহরবাসীগণ প্রবেশ করতে পারবে। বস্তুত এই বিশ্লেষণ দ্বারা মীকাতের অধিবাসীদের হুকুম সংশ্লিষ্ট ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর বক্তব্য খণ্ডন হয়ে যায়।
বস্তুত হাদীসসমূহের প্রতি পর্যবেক্ষণমূলক দৃষ্টি দেয়া আমাদের জন্য একান্তভাবে জরুরী যে, তাতে এরূপ কোন কিছু বিদ্যামান আছে কিনা, যা ইহরাম ব্যতীত হারাম শরীফে প্রবেশ করাকে অস্বীকার করে এবং তাতে এরূপ কোন কিছু আছে কিনা যা পূর্বোক্ত দুই হাদীসের অর্থ বিশ্লেষণ করে যে অর্থের দ্বারা একথা অপরিহার্য হয় যে, নবী(ﷺ) কর্তৃক (হারাম শরীফে) ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ করাটা তাঁর বৈশিষ্ট্য ছিল। আমরা এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ পেয়েছি।
4156 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا , حَدَّثَهُ ح ,
4157 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ , قَالَ ثنا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ " [ص:259] أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ , وَعَلَى رَأْسِهِ مِغْفَرٌ , فَلَمَّا كَشَفَ الْمِغْفَرَ عَنْ رَأْسِهِ قِيلَ لَهُ: إِنَّ ابْنَ خَطَلٍ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ , فَقَالَ: «اقْتُلُوهُ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِدُخُولِ الْحَرَمِ بِغَيْرِ إِحْرَامٍ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا يَصْلُحُ لِأَحَدٍ كَانَ مَنْزِلُهُ مِنْ وَرَاءِ الْمِيقَاتِ إِلَى الْأَمْصَارِ أَنْ يَدْخُلَ مَكَّةَ إِلَّا بِإِحْرَامٍ. وَاخْتَلَفَ هَؤُلَاءِ , فَقَالَ بَعْضُهُمْ: وَكَذَلِكَ النَّاسُ جَمِيعًا , مَنْ كَانَ بَعْدَ الْمِيقَاتِ وَقَبْلَ الْمِيقَاتِ , غَيْرَ أَهْلِ مَكَّةَ خَاصَّةً. وَقَالَ آخَرُونَ: مَنْ كَانَ مَنْزِلُهُ فِي بَعْضِ الْمَوَاقِيتِ أَوْ فِيمَا بَعْدَهَا إِلَى مَكَّةَ , فَلَهُ أَنْ يَدْخُلَ مَكَّةَ بِغَيْرِ إِحْرَامٍ. وَمَنْ كَانَ مَنْزِلُهُ قَبْلَ الْمَوَاقِيتِ , لَمْ يَدْخُلْ مَكَّةَ إِلَّا بِإِحْرَامٍ , وَمِمَّنْ قَالَ هَذَا الْقَوْلَ , أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمُ اللهُ. وَقَالَ آخَرُونَ: أَهْلُ الْمَوَاقِيتِ حُكْمُهُمْ حُكْمُ مَنْ كَانَ قَبْلَ الْمَوَاقِيتِ , وَجَعَلَ أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمُ اللهُ حُكْمَ أَهْلِ الْمَوَاقِيتِ , كَحُكْمِ مَنْ كَانَ مِنْ وَرَائِهِمْ إِلَى مَكَّةَ. وَلَيْسَ النَّظَرُ فِي هَذَا، عِنْدَنَا، مَا قَالُوا , أَنَّا رَأَيْنَا مَنْ يُرِيدُ الْإِحْرَامَ , إِذَا جَاوَزَ الْمَوَاقِيتَ حَلَالًا , حَتَّى فَرَغَ مِنْ حَجَّتِهِ , وَلَمْ يَرْجِعْ إِلَى الْمَوَاقِيتِ , كَانَ عَلَيْهِ دَمٌ. وَمَنْ أَحْرَمَ مِنَ الْمَوَاقِيتِ , كَانَ مُحْسِنًا , وَكَذَلِكَ مَنْ أَحْرَمَ قَبْلَهَا , كَانَ كَذَلِكَ أَيْضًا. فَلَمَّا كَانَ الْإِحْرَامُ مِنَ الْمَوَاقِيتِ , فِي حُكْمِ الْإِحْرَامِ مِمَّا قَبْلَهَا , لَا فِي الْإِحْرَامِ مِمَّا بَعْدَهَا , ثَبَتَ أَنَّ حُكْمَ الْمَوَاقِيتِ كَحُكْمِ مَا قَبْلَهَا , لَا كَحُكْمِ مَا بَعْدَهَا. فَلَا يَجُوزُ لِأَهْلِهَا مِنْ دُخُولِ الْحَرَمِ إِلَّا مَا يَجُوزُ لِأَهْلِ الْأَمْصَارِ الَّتِي قَبْلَ الْمَوَاقِيتِ. فَانْتَفَى بِهَذَا مَا قَالَ أَبُو حَنِيفَةَ وَأَبُو يُوسُفَ وَمُحَمَّدٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ فِي حُكْمِ أَهْلِ الْمَوَاقِيتِ. وَاحْتَجْنَا إِلَى النَّظَرِ فِي الْأَخْبَارِ , هَلْ فِيهَا مَا يَدْفَعُ دُخُولَ الْحَرَمِ بِغَيْرِ إِحْرَامٍ؟ وَهَلْ فِيهَا مَا يُنْبِئُ عَنْ مَعْنًى , فِي هَذَيْنِ الْحَدِيثَيْنِ الْمُتَقَدِّمَيْنِ , يَجِبُ بِذَلِكَ الْمَعْنَى أَنَّ ذَلِكَ الدُّخُولَ الَّذِي كَانَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِغَيْرِ إِحْرَامٍ خَاصٌّ لَهُ. [ص:260] فَاعْتَبَرْنَا فِي ذَلِكَ
4157 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ , قَالَ ثنا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ " [ص:259] أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ , وَعَلَى رَأْسِهِ مِغْفَرٌ , فَلَمَّا كَشَفَ الْمِغْفَرَ عَنْ رَأْسِهِ قِيلَ لَهُ: إِنَّ ابْنَ خَطَلٍ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ , فَقَالَ: «اقْتُلُوهُ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِدُخُولِ الْحَرَمِ بِغَيْرِ إِحْرَامٍ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا يَصْلُحُ لِأَحَدٍ كَانَ مَنْزِلُهُ مِنْ وَرَاءِ الْمِيقَاتِ إِلَى الْأَمْصَارِ أَنْ يَدْخُلَ مَكَّةَ إِلَّا بِإِحْرَامٍ. وَاخْتَلَفَ هَؤُلَاءِ , فَقَالَ بَعْضُهُمْ: وَكَذَلِكَ النَّاسُ جَمِيعًا , مَنْ كَانَ بَعْدَ الْمِيقَاتِ وَقَبْلَ الْمِيقَاتِ , غَيْرَ أَهْلِ مَكَّةَ خَاصَّةً. وَقَالَ آخَرُونَ: مَنْ كَانَ مَنْزِلُهُ فِي بَعْضِ الْمَوَاقِيتِ أَوْ فِيمَا بَعْدَهَا إِلَى مَكَّةَ , فَلَهُ أَنْ يَدْخُلَ مَكَّةَ بِغَيْرِ إِحْرَامٍ. وَمَنْ كَانَ مَنْزِلُهُ قَبْلَ الْمَوَاقِيتِ , لَمْ يَدْخُلْ مَكَّةَ إِلَّا بِإِحْرَامٍ , وَمِمَّنْ قَالَ هَذَا الْقَوْلَ , أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمُ اللهُ. وَقَالَ آخَرُونَ: أَهْلُ الْمَوَاقِيتِ حُكْمُهُمْ حُكْمُ مَنْ كَانَ قَبْلَ الْمَوَاقِيتِ , وَجَعَلَ أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمُ اللهُ حُكْمَ أَهْلِ الْمَوَاقِيتِ , كَحُكْمِ مَنْ كَانَ مِنْ وَرَائِهِمْ إِلَى مَكَّةَ. وَلَيْسَ النَّظَرُ فِي هَذَا، عِنْدَنَا، مَا قَالُوا , أَنَّا رَأَيْنَا مَنْ يُرِيدُ الْإِحْرَامَ , إِذَا جَاوَزَ الْمَوَاقِيتَ حَلَالًا , حَتَّى فَرَغَ مِنْ حَجَّتِهِ , وَلَمْ يَرْجِعْ إِلَى الْمَوَاقِيتِ , كَانَ عَلَيْهِ دَمٌ. وَمَنْ أَحْرَمَ مِنَ الْمَوَاقِيتِ , كَانَ مُحْسِنًا , وَكَذَلِكَ مَنْ أَحْرَمَ قَبْلَهَا , كَانَ كَذَلِكَ أَيْضًا. فَلَمَّا كَانَ الْإِحْرَامُ مِنَ الْمَوَاقِيتِ , فِي حُكْمِ الْإِحْرَامِ مِمَّا قَبْلَهَا , لَا فِي الْإِحْرَامِ مِمَّا بَعْدَهَا , ثَبَتَ أَنَّ حُكْمَ الْمَوَاقِيتِ كَحُكْمِ مَا قَبْلَهَا , لَا كَحُكْمِ مَا بَعْدَهَا. فَلَا يَجُوزُ لِأَهْلِهَا مِنْ دُخُولِ الْحَرَمِ إِلَّا مَا يَجُوزُ لِأَهْلِ الْأَمْصَارِ الَّتِي قَبْلَ الْمَوَاقِيتِ. فَانْتَفَى بِهَذَا مَا قَالَ أَبُو حَنِيفَةَ وَأَبُو يُوسُفَ وَمُحَمَّدٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ فِي حُكْمِ أَهْلِ الْمَوَاقِيتِ. وَاحْتَجْنَا إِلَى النَّظَرِ فِي الْأَخْبَارِ , هَلْ فِيهَا مَا يَدْفَعُ دُخُولَ الْحَرَمِ بِغَيْرِ إِحْرَامٍ؟ وَهَلْ فِيهَا مَا يُنْبِئُ عَنْ مَعْنًى , فِي هَذَيْنِ الْحَدِيثَيْنِ الْمُتَقَدِّمَيْنِ , يَجِبُ بِذَلِكَ الْمَعْنَى أَنَّ ذَلِكَ الدُّخُولَ الَّذِي كَانَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِغَيْرِ إِحْرَامٍ خَاصٌّ لَهُ. [ص:260] فَاعْتَبَرْنَا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৫৭
empty
৪১৫৭।
4157 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৫৮
ইহরাম ব্যতীত হারাম শরীফে প্রবেশ করা
৪১৫৮। ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা ঐ দিন মক্কাকে 'হারাম' করেছেন যেই দিন তিনি আকাশ, পৃথিবী, সূর্য ও চন্দ্রকে সৃষ্টি করেছেন এবং এটাকে (মক্কাকে) এই দুই পাহাড়ের (আবু কুবাইস ও এর বিপরীতে অবস্থিত পাহাড়) মাঝে স্থাপন করেছেন। এটা আমার পূর্বে কারাে জন্য হালাল হয়নি এবং আমার জন্যও দিনের একটি (নির্দিষ্ট) সময়ে হালাল হয়েছে। এর কোন তৃণলতা কাটা যাবে না, কর্তন করা যাবে না এর কোন গাছ-পালা। এর মাঝে পতিত বস্তু সেই ব্যক্তিই উঠাতে পারবে যে কিনা এর হারানাে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, 'ইযখির’ (ঘাস) ব্যতীত। কেননা মক্কার অধিবাসীদের তাদের গৃহ ও কবরের জন্য এর প্রয়ােজন পড়ে। তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেন, 'ইযখির’ ব্যতীত (অর্থাৎ এটা কর্তন করতে পারবে)।
4158 - فَإِذَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَدْ حَدَّثَنَا , قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ , قَالَ: ثنا أَبُو يُوسُفَ يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ , عَنْ مُجَاهِدٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ حَرَّمَ مَكَّةَ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ , وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ , وَوَضَعَهَا بَيْنَ هَذَيْنِ الْأَخْشَبَيْنِ لَمْ تَحِلَّ لِأَحَدٍ قَبْلِي , وَلَمْ تَحِلَّ لِي إِلَّا سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ لَا يُخْتَلَى خَلَاهَا , وَلَا يُعْضَدُ شَجَرُهَا , وَلَا يَرْفَعُ لُقَطَتَهَا إِلَّا مُنْشِدٌ» فَقَالَ الْعَبَّاسُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: إِلَّا الْإِذْخِرَ فَإِنَّهُ لَا غِنَى لِأَهْلِ مَكَّةَ عَنْهُ لِبُيُوتِهِمْ وَقُبُورِهِمْ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا الْإِذْخِرَ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৫৯
ইহরাম ব্যতীত হারাম শরীফে প্রবেশ করা
৪১৫৯। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ….. সাঈদ মাকবুরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আবু শুরায়হ আল কা'বী (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেছেন, মক্কাকে আল্লাহ্ তা'আলা নিজে ‘হারাম' করে দিয়েছেন। কোন মানুষ তাকে হারাম করে নি। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের উপর ঈমান রাখে সে কখনাে এখানে রক্ত প্রবাহিত করবে না, এখানকার কোন গাছ কর্তন করবে না। যদি কোন অবকাশ অনুসন্ধানী অবকাশ অনুসন্ধান করে বলে যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর জন্য তা হালাল করে দেয়া হয়েছে। তাহলে (জেনে রাখ) অবশ্যই আল্লাহ্ তা'আলা তা আমার জন্য হালাল সাব্যস্ত করেছেন, অন্য লােকদের জন্য হালাল করেন নি এবং আমার জন্যও শুধু একটি (নির্দিষ্ট) ক্ষণ বা সময় হালাল করেছেন।
4159 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ ثنا مُسَدَّدٌ , قَالَ: ثنا يَحْيَى , عَنْ أَبِي ذِئْبٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ , قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا شُرَيْحٍ الْكَعْبِيَّ , يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ حَرَّمَ مَكَّةَ وَلَمْ يُحَرِّمْهُ النَّاسُ , فَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ , فَلَا يَسْفِكَنَّ فِيهَا دَمًا وَلَا يَعْضُدَنَّ فِيهَا شَجَرًا , فَإِنْ تَرَخَّصَ مُتَرَخِّصٌ فَقَالَ: قَدْ حَلَّتْ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ أَحَلَّهَا لِي وَلَمْ يُحِلَّهَا لِلنَّاسِ , وَإِنَّمَا أَحَلَّهَا لِي سَاعَةً "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৬১
ইহরাম ব্যতীত হারাম শরীফে প্রবেশ করা
৪১৬০-৬১। ফাহাদ (রাহঃ) ….. আবু শুরায়হ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যখন (মদীনার গবর্নর) আমর ইব্ন সাঈদ, আব্দুল্লাহ ইব্ন যুবাইর (রাযিঃ)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য মক্কায় সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করছিল তখন তার নিকট আবু শুরায়হ (রাযিঃ) এসে তিনি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) থেকে যা কিছু শুনেছেন, তার নিকটও বর্ণনা করলেন। তারপর তিনি তাঁর কাওমের এক বৈঠকে গিয়ে বসলেন। আমি উঠে তাঁর নিকট গিয়ে বসলাম। তিনি বলেন, তিনি আমর এর নিকট রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) থেকে যা বলেছিলেন সেই বিষয়টিই বর্ণনা করলেন। আর তাকে যে জবাব দিয়েছিলেন তাও বর্ণনা করলেন। তিনি (আবু শুরায়হ) বলেন, আমি বললাম, মক্কা বিজয়ের সময় আমরা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর সঙ্গে ছিলাম। মক্কা বিজয়ের পরদিন তিনি আমাদেরকে ভাষণ দিতে গিয়ে বললেনঃ হে লােক সকল! অবশ্যই আল্লাহ্ তা'আলা ঐ দিন মক্কাকে 'হারাম' করে দিয়েছেন, যে দিন আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং এটা কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর নির্ধারিত হারামের মধ্য থেকে একটি হারাম। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের উপর ঈমান রাখে তার জন্য এখানে রক্ত প্রবাহিত করা, এখানকার কোন বৃক্ষ কর্তন করা হালাল নয়। এটা আমার পূর্বে কারাে জন্য হালাল হয় নি এবং না আমার পরে কারাে জন্য হালাল হবে। আমার জন্যও শুধু এই কিছুক্ষণ হালাল হয়েছে। আর এমনটি সেখানকার অধিবাসীদের (কাফিরদের জন্য) গযব স্বরূপ হয়েছে। তারপর কালকের মত তার হারাম হওয়ার বিধান প্রত্যর্পিত হয়েছে। কোন ব্যক্তি যদি তােমাদেরকে বলে যে, আল্লাহর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর পবিত্রতা তাকে খতম করে দিয়ে এটাকে হালাল করে দিয়েছেন, তখন তােমরা তাকে বলবে, আল্লাহ্ তা'আলা এটাকে আঁর রাসূলের জন্য হালাল করেছেন, তােমার জন্য হালাল করেন নি। তিনি (আমর) আমাকে বললেন, হে শায়খ! ফিরে যান। এর পবিত্রতা সম্পর্কে আমরা আপনার চাইতে অধিক অবহিত। হারাম শরীফ কোন খুনী, অপরাধী ও বিদ্রোহীকে রক্ষা করে না বা আশ্রয় দেয় না। আমি বললাম, আমি উপস্থিত ছিলাম আর আপনি ছিলেন অনুপস্থিত। আর রাসূলুল্লাহ(ﷺ) আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছে যে, আমাদের উপস্থিতজন অনুপস্থিতজনকে পৌছিয়ে দিবে। আমি অবশ্যই আপনাকে (একথা) পৌঁছিয়ে দিয়েছি।
বাহর ইব্ন নসর (রাহঃ) ….. আবু শুরায়হ আল খুযাঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী(ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
বাহর ইব্ন নসর (রাহঃ) ….. আবু শুরায়হ আল খুযাঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী(ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
4160 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ بُهْلُولٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ إِدْرِيسَ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ , قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ , عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيِّ , قَالَ: لَمَّا بَعَثَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ الْبَعْثَ إِلَى مَكَّةَ لِغَزْوِ ابْنِ الزُّبَيْرِ أَتَاهُ أَبُو شُرَيْحٍ فَكَلَّمَهُ بِمَا سَمِعَ مِنْ , رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ خَرَجَ إِلَى نَادِي قَوْمِهِ فَجَلَسَ , فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَجَلَسْتُ مَعَهُ. قَالَ: فَحَدَّثَ عَمَّا حَدَّثَ عَمْرٌو عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَعَمَّا جَاوَبَهُ بِهِ عَمْرٌو. قَالَ: قُلْتُ: إِنَّا كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ افْتَتَحَ مَكَّةَ , فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ مِنْ يَوْمِ الْفَتْحِ , خَطَبَنَا فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ حَرَّمَ مَكَّةَ , يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ فَهِيَ حَرَامٌ مِنْ حَرَامِ اللهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ , لَا يَحِلُّ لِرَجُلٍ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ يَسْفِكَ فِيهَا دَمًا , وَلَا يَعْضِدَ بِهَا شَجَرًا , لَمْ تَحِلَّ لِأَحَدٍ كَانَ قَبْلِي , وَلَا تَحِلُّ لِأَحَدٍ بَعْدِي , وَلَمْ تَحِلَّ لِي إِلَّا هَذِهِ السَّاعَةَ , غَضَبًا عَلَى أَهْلِهَا , أَلَا ثُمَّ قَدْ عَادَتْ كَحُرْمَتِهَا بِالْأَمْسِ , فَمَنْ قَالَ لَكُمْ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَحَلَّهَا فَقُولُوا لَهُ: إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ أَحَلَّهَا لِرَسُولِهِ , وَلَمْ يُحِلَّهَا لَكَ. [ص:261] فَقَالَ لِي: انْصَرِفْ أَيُّهَا الشَّيْخُ , فَنَحْنُ أَعْرَفُ بِحُرْمَتِهَا مِنْكَ , إِنَّهَا لَا تَمْنَعُ سَافِكَ دَمٍ وَلَا مَانِعَ خَرِبَةٍ , وَلَا خَالِعَ طَاعَةٍ. قُلْتُ: قَدْ كُنْتُ شَاهِدًا، وَكُنْتَ غَائِبًا، وَقَدْ أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُبَلِّغَ شَاهِدُنَا غَائِبَنَا , وَقَدْ أَبْلَغْتُكَ "
4161 - حَدَّثَنَا بَحْرٌ هُوَ ابْنُ نَصْرٍ , عَنْ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ , عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيِّ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ
4161 - حَدَّثَنَا بَحْرٌ هُوَ ابْنُ نَصْرٍ , عَنْ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ , عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيِّ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৬১
empty
৪১৬১।
4161 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৬৩
ইহরাম ব্যতীত হারাম শরীফে প্রবেশ করা
৪১৬২-৬৩। আলী ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হাজুন-এর উপর দাঁড়িয়ে বললেনঃ আল্লাহর কসম! তুমি (মক্কা) আল্লাহর সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট ভূমি এবং আল্লাহর সর্বাপেক্ষা প্রিয় ভূমি। আমার পূর্বেও তুমি কারাে জন্য হালাল ছিলে না এবং আমার পরেও কারাে জন্য হালাল হবে না। আমার জন্য দিনের কিছুক্ষণের জন্য হালাল করা হয়েছিল এবং সেটি উক্ত (নির্দিষ্ট) সময়ের পরে কিয়ামত পর্যন্ত হারাম থাকবে।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইব্ন আমর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইব্ন আমর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
4162 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ , قَالَ: أنا ابْنُ الدَّرَاوَرْدِيِّ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ , عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: وَقَفَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْحَجُونِ , ثُمَّ قَالَ: «وَاللهِ إِنَّكِ لَخَيْرُ أَرْضِ اللهِ , وَأَحَبُّ أَرْضِ اللهِ إِلَى اللهِ , لَمْ تَحِلَّ لِأَحَدٍ كَانَ قَبْلِي وَلَا تَحِلُّ لِأَحَدٍ بَعْدِي , وَمَا أُحِلَّتْ لِي إِلَّا سَاعَةً مِنَ النَّهَارِ وَهِيَ بَعْدَ سَاعَتِهَا هَذِهِ حَرَامٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ»
4163 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ , وَأَبُو سَلَمَةَ مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ التَّبُوذَكِيُّ , قَالَا: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
4163 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ , وَأَبُو سَلَمَةَ مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ التَّبُوذَكِيُّ , قَالَا: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৬৩
empty
৪১৬৩।
4163 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৬৪
ইহরাম ব্যতীত হারাম শরীফে প্রবেশ করা
৪১৬৪। মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুল্লাহ ইব্ন মায়মূন (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যখন আল্লাহ্ তা'আলা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) কে মক্কা বিজয় দান করলেন, তখন হুযাইল গােত্র বানূ লায়স গােত্রের জনৈক ব্যক্তিকে জাহিলী যুগে নিজেদের এক নিহতের বদলে হত্যা করে। নবী (ﷺ) (ভাষণ দিতে) দাঁড়ালেন এবং বললেন, আল্লাহ তা'আলা মক্কার অধিবাসীদের থেকে হাতিকে রােধ করেছেন এবং তাদের উপর তাঁর রাসূল ও মু'মিনদেরকে বিজয়ী করেছেন। এই (মক্কা) আমার পূর্বে কারাে জন্য হালাল হয়নি এবং আমার পরে কারাে জন্য হালাল হবে না। আর আমার জন্যও দিনের কিছুক্ষণ হালাল হয়েছে এবং আমার ঐ সময়ের পরে সেটা হারাম। না তার বৃক্ষ কর্তন করা যাবে, না তার কাঁটা উপড়ানাে যাবে এবং না তার পতিত বস্তু উঠান যাবে। তবে এর হারান বিজ্ঞপ্তি প্রদানকারী ব্যতীত (উঠাতে পারবে।)
4164 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَيْمُونٍ , قَالَ: ثنا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ , عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ , عَنْ يَحْيَى , قَالَ: ثنا أَبُو سَلَمَةَ , قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: " لَمَّا فَتَحَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى رَسُولِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَكَّةَ , قَتَلَتْ هُذَيْلٌ رَجُلًا مِنْ بَنِي ثَقِيفٍ , بِقَتِيلٍ كَانَ لَهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ. فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ حَبَسَ عَنْ أَهْلِ مَكَّةَ الْفِيلَ وَسَلَّطَ عَلَيْهِمْ رَسُولَهُ وَالْمُؤْمِنِينَ , وَإِنَّهَا لَمْ تَحِلَّ لِأَحَدٍ كَانَ قَبْلِي , وَلَا تَحِلُّ لِأَحَدٍ بَعْدِي , وَإِنَّمَا أُحِلَّتْ لِي سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ , وَإِنَّهَا سَاعَتِي هَذِهِ حَرَامٌ , لَا يُعْضَدُ شَجَرُهَا , وَلَا يُخْتَلَى شَوْكُهَا , وَلَا يُلْتَقَطُ سَاقِطُهَا إِلَّا لِمُنْشِدٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৬৫
ইহরাম ব্যতীত হারাম শরীফে প্রবেশ করা
৪১৬৫। আবু বাকরা (রাহঃ) ….. ইয়াহইয়া ইব্ন কাসীর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, আলুহ্ তা'আলা মক্কা অধিবাসীদের থেকে হাতিকে রােধ করেছেন এবং বলেছেন, এর পতিত বস্তু উঠান শুধু বিজ্ঞপ্তি প্রদানকারীর জন্য জায়িয।
বস্তুত এই সমস্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বলেছেন যে, তাঁর পূর্বে এবং পরে কারাে জন্য মক্কা হালাল ছিল না, এবং হালাল হবে না। তাঁর জন্যও দিনের কিছুক্ষণ হালাল হয়েছে। তারপর কিয়ামত পর্যন্ত এর হারাম তথা পবিত্রতা পূর্বরূপ প্রত্যর্পিত হয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, যে দিন নবী(ﷺ) তাতে প্রবেশ করেছেন সেটা তাঁর জন্য হালাল ছিল। এই জন্যই তিনি ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু এরপর সেটা হারাম। সুতরাং কেউ তাতে ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ করতে পারবে না।
কোন প্রশ্নকারী যদি বলেন যে, নবী(ﷺ)-এর জন্য তা হালাল হওয়ার অর্থ যুদ্ধের জন্য তাতে হাতিয়ার বের করা, রক্ত প্রবাহিত করা, অন্য কোন অর্থ নয়।
তাকে উত্তরে বলা হবেঃ এটা অসম্ভব। যদি শুধু সেই উদ্দেশ্যই হালাল হত যা আপনি উল্লেখ করেছেন, তা হলে তিনি এটা বলতেন না যে, আমার পরে কারাে জন্য হালাল নয়। আমরা লক্ষ্য করছি যে, (ফকীহ্গণ) এ বিষয়ে ঐকমত্য পােষণ করেন যে, যদি মুশরিকরা মক্কার উপর আধিপত্য বিস্তার করে দখল করে নেয় এবং তারা সেখান থেকে মুসলমানদেরকে তাড়িয়ে দেয়, তখন মুসলমানদের তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করা, তাতে যুদ্ধাস্ত্র বের করা এবং রক্ত প্রবাহিত করা জায়িয। এ বিষয়ে নবী(ﷺ)-এর পরবর্তীদের জন্য এর বৈধতার সেই বিধানই প্রযােজ্য হবে যা তার জন্য ছিল। এতে প্রমাণিত হল যে, নবী(ﷺ) -এর জন্য যে বিষয়টি নির্দিষ্ট (খাস) ছিল এবং যে উদ্দেশ্যে এটা তাঁর জন্য হালাল করা হয়েছিল তা লড়াই ছিল না। যখন এর লড়াই হওয়ার ব্যাপারটি খণ্ডন সাব্যস্ত হয়ে গেল, তখন সাব্যস্ত হল যে, তা ছিল ইহরাম। আপনারা কি লক্ষ্য করছেন না? আম্র ইব্ন সাঈদ, আবু শুরায়হ (রাযিঃ) কে বলেননি যে, হারাম শরীফ কোন রক্ত প্রবাহিতকারী খুনী, অপরাধী ও বিদ্রোহীকে আশ্রয় দেয় না। এটা ছিল সেই বিষয়ের জবাব যা তাকে আবু শুরায়হ (রাযিঃ) নবী(ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছিলেন। আবু শুরায়হ (রাযিঃ) তাঁর বক্তব্যকে অস্বীকার করেননি এবং তাকে এটা বলেননি যে, নবী(ﷺ)-এর উদ্দেশ্য সেটিই যা আমি বর্ণনা করেছি যে, হারাম শরীফ প্রত্যেক প্রকারের লোকদেরকে আশ্রয় দেয়। কিন্তু তিনি তা উপলব্ধি করেছেন এবং তা অস্বীকার করেননি।
এখানে আব্দুল্লাহ ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) নবী(ﷺ) থেকে এই বিষয়টি বর্ণনা করেছেন। তারপর তাঁর নিজস্ব অভিমত পেশ করে বলেছেন যে, হারাম শরীফে কেউ ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ করতে পারবে না। আমরা বিষয়টি যথাস্থানে অতিসত্বর উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ্।
বস্তুত তাঁর এই বক্তব্য দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, নবী(ﷺ) -এর জন্য তার হালাল হওয়া সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য যুদ্ধাস্ত্র প্রদর্শনীর উপর প্রয়োগ হবে না। বরং তা দ্বারা তার অন্য কোন অর্থ উদ্দিষ্ট ছিল। কেননা যখন এই বক্তব্য খণ্ডন করা হয়ে গেল এবং অন্য কোন কারণ হতে পারে না, তখন দ্বিতীয় অভিমত (অর্থাৎ ইহরাম হওয়া) সাব্যস্ত হয়ে গেল।
তারপর আমাদের জন্য অপরিহার্য হল যে, আমরা লক্ষ্য করব যে, মীকাতের ভিতর মক্কা পর্যন্ত এলাকার হুকুম কি ? তারা ইহরাম ব্যতীত হারাম শরীফে প্রবেশ করতে পারে কি-না ? আমরা দেখছি, যখন কোন ব্যক্তি হারাম শরীফে প্রবেশ করার ইচ্ছা পােষণ করে তখন সে ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ করতে পারে না, চাই সে হারাম শরীফে ইহরামের ইচ্ছায় প্রবেশ করুক অথবা ইহুরাম ব্যতীত অন্য কোন প্রয়ােজনে যাক। আমরা দেখছি যে, যে ব্যক্তি মীকাত এবং হারামের মধ্যবর্তী জায়গায় প্রয়ােজনে যেতে চায় সে ইহরাম ব্যতীত যেতে পারে। এতে সাব্যস্ত হল যে, এই সমস্ত জায়গার হুকুম, যখন এগুলােতে প্রয়ােজনে যাবে ইহরাম ব্যতীত যাবে। যেমন মীকাত বহির্ভূত জায়গাসমূহের হুকুম এবং সেখানকার অধিবাসীর হারামে অনুরূপভাবে প্রবেশ করবে যেভাবে মীকাতের বাইরের লােকেরা প্রবেশ করে। এই অনুচ্ছেদে আমার নিকট যুক্তি এটাই আর এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমতের পরিপন্থী।
এটা এই যে, তারা নিজেদের অভিমতের স্বপক্ষে নিম্নবর্ণিত রিওয়ায়াতসমূহকে (দলীল হিসাবে)
উপস্থাপন করেছেনঃ
বস্তুত এই সমস্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বলেছেন যে, তাঁর পূর্বে এবং পরে কারাে জন্য মক্কা হালাল ছিল না, এবং হালাল হবে না। তাঁর জন্যও দিনের কিছুক্ষণ হালাল হয়েছে। তারপর কিয়ামত পর্যন্ত এর হারাম তথা পবিত্রতা পূর্বরূপ প্রত্যর্পিত হয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, যে দিন নবী(ﷺ) তাতে প্রবেশ করেছেন সেটা তাঁর জন্য হালাল ছিল। এই জন্যই তিনি ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু এরপর সেটা হারাম। সুতরাং কেউ তাতে ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ করতে পারবে না।
কোন প্রশ্নকারী যদি বলেন যে, নবী(ﷺ)-এর জন্য তা হালাল হওয়ার অর্থ যুদ্ধের জন্য তাতে হাতিয়ার বের করা, রক্ত প্রবাহিত করা, অন্য কোন অর্থ নয়।
তাকে উত্তরে বলা হবেঃ এটা অসম্ভব। যদি শুধু সেই উদ্দেশ্যই হালাল হত যা আপনি উল্লেখ করেছেন, তা হলে তিনি এটা বলতেন না যে, আমার পরে কারাে জন্য হালাল নয়। আমরা লক্ষ্য করছি যে, (ফকীহ্গণ) এ বিষয়ে ঐকমত্য পােষণ করেন যে, যদি মুশরিকরা মক্কার উপর আধিপত্য বিস্তার করে দখল করে নেয় এবং তারা সেখান থেকে মুসলমানদেরকে তাড়িয়ে দেয়, তখন মুসলমানদের তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করা, তাতে যুদ্ধাস্ত্র বের করা এবং রক্ত প্রবাহিত করা জায়িয। এ বিষয়ে নবী(ﷺ)-এর পরবর্তীদের জন্য এর বৈধতার সেই বিধানই প্রযােজ্য হবে যা তার জন্য ছিল। এতে প্রমাণিত হল যে, নবী(ﷺ) -এর জন্য যে বিষয়টি নির্দিষ্ট (খাস) ছিল এবং যে উদ্দেশ্যে এটা তাঁর জন্য হালাল করা হয়েছিল তা লড়াই ছিল না। যখন এর লড়াই হওয়ার ব্যাপারটি খণ্ডন সাব্যস্ত হয়ে গেল, তখন সাব্যস্ত হল যে, তা ছিল ইহরাম। আপনারা কি লক্ষ্য করছেন না? আম্র ইব্ন সাঈদ, আবু শুরায়হ (রাযিঃ) কে বলেননি যে, হারাম শরীফ কোন রক্ত প্রবাহিতকারী খুনী, অপরাধী ও বিদ্রোহীকে আশ্রয় দেয় না। এটা ছিল সেই বিষয়ের জবাব যা তাকে আবু শুরায়হ (রাযিঃ) নবী(ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছিলেন। আবু শুরায়হ (রাযিঃ) তাঁর বক্তব্যকে অস্বীকার করেননি এবং তাকে এটা বলেননি যে, নবী(ﷺ)-এর উদ্দেশ্য সেটিই যা আমি বর্ণনা করেছি যে, হারাম শরীফ প্রত্যেক প্রকারের লোকদেরকে আশ্রয় দেয়। কিন্তু তিনি তা উপলব্ধি করেছেন এবং তা অস্বীকার করেননি।
এখানে আব্দুল্লাহ ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) নবী(ﷺ) থেকে এই বিষয়টি বর্ণনা করেছেন। তারপর তাঁর নিজস্ব অভিমত পেশ করে বলেছেন যে, হারাম শরীফে কেউ ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ করতে পারবে না। আমরা বিষয়টি যথাস্থানে অতিসত্বর উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ্।
বস্তুত তাঁর এই বক্তব্য দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, নবী(ﷺ) -এর জন্য তার হালাল হওয়া সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য যুদ্ধাস্ত্র প্রদর্শনীর উপর প্রয়োগ হবে না। বরং তা দ্বারা তার অন্য কোন অর্থ উদ্দিষ্ট ছিল। কেননা যখন এই বক্তব্য খণ্ডন করা হয়ে গেল এবং অন্য কোন কারণ হতে পারে না, তখন দ্বিতীয় অভিমত (অর্থাৎ ইহরাম হওয়া) সাব্যস্ত হয়ে গেল।
তারপর আমাদের জন্য অপরিহার্য হল যে, আমরা লক্ষ্য করব যে, মীকাতের ভিতর মক্কা পর্যন্ত এলাকার হুকুম কি ? তারা ইহরাম ব্যতীত হারাম শরীফে প্রবেশ করতে পারে কি-না ? আমরা দেখছি, যখন কোন ব্যক্তি হারাম শরীফে প্রবেশ করার ইচ্ছা পােষণ করে তখন সে ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ করতে পারে না, চাই সে হারাম শরীফে ইহরামের ইচ্ছায় প্রবেশ করুক অথবা ইহুরাম ব্যতীত অন্য কোন প্রয়ােজনে যাক। আমরা দেখছি যে, যে ব্যক্তি মীকাত এবং হারামের মধ্যবর্তী জায়গায় প্রয়ােজনে যেতে চায় সে ইহরাম ব্যতীত যেতে পারে। এতে সাব্যস্ত হল যে, এই সমস্ত জায়গার হুকুম, যখন এগুলােতে প্রয়ােজনে যাবে ইহরাম ব্যতীত যাবে। যেমন মীকাত বহির্ভূত জায়গাসমূহের হুকুম এবং সেখানকার অধিবাসীর হারামে অনুরূপভাবে প্রবেশ করবে যেভাবে মীকাতের বাইরের লােকেরা প্রবেশ করে। এই অনুচ্ছেদে আমার নিকট যুক্তি এটাই আর এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমতের পরিপন্থী।
এটা এই যে, তারা নিজেদের অভিমতের স্বপক্ষে নিম্নবর্ণিত রিওয়ায়াতসমূহকে (দলীল হিসাবে)
উপস্থাপন করেছেনঃ
4165 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , قَالَ: ثنا حَرْبُ بْنُ شَدَّادٍ , عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ «إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ حَبَسَ عَنْ أَهْلِ مَكَّةَ الْفِيلَ قَالَ وَلَا يُلْتَقَطُ ضَالَّتُهَا إِلَّا لِمُنْشِدٍ» [ص:262] فَأَخْبَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ أَنَّ مَكَّةَ لَمْ تَحِلَّ لِأَحَدٍ كَانَ قَبْلَهُ , وَلَا تَحِلُّ لِأَحَدٍ بَعْدَهُ وَأَنَّهَا إِنَّمَا أُحِلَّتْ لَهُ سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ , ثُمَّ عَادَتْ حَرَامًا كَمَا كَانَتْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَانَ دَخَلَهَا يَوْمَ دَخَلَهَا. وَهِيَ لَهُ حَلَالٌ , فَكَانَ لَهُ بِذَلِكَ دُخُولُهَا , بِغَيْرِ إِحْرَامٍ , وَهِيَ بَعْدُ حَرَامٌ , فَلَا يَدْخُلُهَا أَحَدٌ إِلَّا بِإِحْرَامٍ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: إِنَّ مَعْنَى مَا أُحِلَّ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهَا , هُوَ شَهْرُ السِّلَاحِ فِيهَا لِلْقِتَالِ وَسَفْكِ الدِّمَاءِ , لَا غَيْرَ ذَلِكَ. قِيلَ لَهُ: هَذَا مُحَالٌ , إِنْ كَانَ الَّذِي أُبِيحَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهَا , هُوَ مَا ذَكَرْتَ خَاصَّةً , إِذْ لَمْ يَقُلْ «وَلَا يَحِلُّ لِأَحَدٍ بَعْدِي» . وَقَدْ رَأَيْنَاهُمْ أَجْمَعُوا أَنَّ الْمُشْرِكِينَ لَوْ غَلَبُوا عَلَى مَكَّةَ , فَمَنَعُوا الْمُسْلِمِينَ مِنْهَا , حَلَالٌ لِلْمُسْلِمِينَ قِتَالُهُمْ , وَشَهْرُ السِّلَاحِ بِهَا وَسَفْكُ الدِّمَاءِ , وَأَنَّ حُكْمَ مَنْ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ فِي إِبَاحَتِهَا , فِي حُكْمِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الْمَعْنَى الَّذِي كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَصَّ بِهِ فِيهَا , وَأُحِلَّتْ لَهُ مِنْ أَجْلِهِ , لَيْسَ هُوَ الْقِتَالَ. وَإِذَا انْتَفَى أَنْ يَكُونَ هُوَ الْقِتَالَ , ثَبَتَ أَنَّهُ الْإِحْرَامُ. أَلَا تَرَى إِلَى قَوْلِ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ , لِأَبِي شُرَيْحٍ إِنَّ الْحَرَمَ لَا يَمْنَعُ سَافِكَ دَمٍ , وَلَا مَانِعَ خَرِبَةٍ , وَلَا خَالِعَ طَاعَةٍ جَوَابًا لَمَا حَدَّثَهُ بِهِ أَبُو شُرَيْحٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِ أَبُو شُرَيْحٍ , وَلَمْ يَقُلْ لَهُ إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا أَرَادَ بِمَا حَدَّثْتُكَ عَنْهُ , أَنَّ الْحَرَمَ قَدْ يُجِيرُ كُلَّ النَّاسِ " وَلَكِنَّهُ عَرَفَ ذَلِكَ , فَلَمْ يُنْكِرْهُ. وَهَذَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَقَدْ رَوَى ذَلِكَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ قَالَ: مِنْ رَأْيِهِ لَا يَدْخُلُ أَحَدٌ الْحَرَمَ إِلَّا بِإِحْرَامٍ وَسَنَذْكُرُ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ , إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. فَدَلَّ قَوْلُهُ هَذَا , أَنَّ مَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا أُحِلَّتْ لَهُ لَيْسَ هُوَ عَلَى إِظْهَارِ السِّلَاحِ بِهَا , وَإِنَّمَا هُوَ عَلَى مَعْنًى آخَرَ. لِأَنَّهُ لَمَّا انْتَفَى هَذَا الْقَوْلُ , وَلَمْ يَكُنْ غَيْرُهُ وَغَيْرُ الْقَوْلِ الْآخَرِ , ثَبَتَ الْقَوْلُ الْآخَرُ. ثُمَّ احْتَجْنَا بَعْدَ هَذَا إِلَى النَّظَرِ فِي حُكْمِ مَنْ هُمْ بَعْدَ الْمَوَاقِيتِ إِلَى مَكَّةَ , هَلْ لَهُمْ دُخُولٌ الْحَرَمِ بِغَيْرِ إِحْرَامٍ أَمْ لَا؟ . فَرَأَيْنَا الرَّجُلَ إِذَا أَرَادَ دُخُولَ الْحَرَمِ , لَمْ يَدْخُلْهُ إِلَّا بِإِحْرَامٍ , وَسَوَاءٌ أَرَادَ دُخُولَ الْحَرَمِ لِإِحْرَامٍ , أَوْ لِحَاجَةٍ غَيْرِ الْإِحْرَامِ. وَرَأَيْنَا مَنْ أَرَادَ دُخُولَ تِلْكَ الْمَوَاضِعِ الَّتِي بَيْنَ الْمَوَاقِيتِ , وَبَيْنَ الْحَرَمِ لِحَاجَةٍ , أَنَّ لَهُ دُخُولَهَا بِغَيْرِ إِحْرَامٍ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ حُكْمَ هَذِهِ الْمَوَاضِعِ إِذَا كَانَتْ تُدْخَلُ لِلْحَوَائِجِ بِغَيْرِ إِحْرَامٍ , كَحُكْمِ مَا قَبْلَ الْمَوَاقِيتِ , وَأَنَّ أَهْلَهَا لَا يَدْخُلُونَ الْحَرَمَ إِلَّا كَمَا يَدْخُلُهُ مَنْ كَانَ أَهْلُهُ وَرَاءَ الْمَوَاقِيتِ إِلَى الْآفَاقِ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ عِنْدِي فِي هَذَا الْبَابِ , وَهُوَ خِلَافُ قَوْلِ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. [ص:263] وَذَلِكَ أَنَّهُمْ إِنَّمَا قَلَّدُوا فِيمَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ مِنْ هَذَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৬৮
ইহরাম ব্যতীত হারাম শরীফে প্রবেশ করা
৪১৬৬-৬৮। সালিহ্ ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ….. ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি মক্কা থেকে মদীনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। যখন তিনি 'কুদাইদ’ নামক জায়গায় পৌঁছেন, তখন তিনি মদীনায় আগত এক বাহিনীর খবর প্রাপ্ত হন। তখন তিনি ফিরে আসেন এবং ইহরাম ব্যতীত মক্কায় প্রবেশ করেন।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ….. ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি মক্কা থেকে মদীনার উদ্দেশ্যে বের হন। যখন (মদীনার) নিকটবর্তী পৌঁছান তখন তিনি ইব্ন দালজার বাহিনীর মুখামুখি হন। ফলে তিনি ফিরে আসেন এবং ইহরাম ব্যতীত মক্কাতে প্রবেশ করেন।
ইউনুস (রাহঃ) ….. নাফি' (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর (রাযিঃ) মক্কা থেকে এসে যখন 'কুদাইদ’ নামক জায়গায় পৌঁছান তখন তিনি মদীনা থেকে একটি খবর প্রাপ্ত হন। তখন তিনি ফিরে গিয়ে ইহরাম ব্যতীত মক্কাতে প্রবেশ করেন।
তাঁরা (ইমামগণ) এই সমস্ত হাদীসকে (নিজেদের অভিমতের স্বপক্ষে মালা হিসাবে) গ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা এগুলােকে অনুসরণ করেছেন। এ বিষয়ে আমাদের নিকট কিয়াস তাঁদের অভিমতের পরিপন্থী। এ বিষয়ে ইব্ন উমর (রাযিঃ) ব্যতীত অন্যদের থেকে এর পরিপন্থী বর্ণনা আছেঃ
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ….. ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি মক্কা থেকে মদীনার উদ্দেশ্যে বের হন। যখন (মদীনার) নিকটবর্তী পৌঁছান তখন তিনি ইব্ন দালজার বাহিনীর মুখামুখি হন। ফলে তিনি ফিরে আসেন এবং ইহরাম ব্যতীত মক্কাতে প্রবেশ করেন।
ইউনুস (রাহঃ) ….. নাফি' (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর (রাযিঃ) মক্কা থেকে এসে যখন 'কুদাইদ’ নামক জায়গায় পৌঁছান তখন তিনি মদীনা থেকে একটি খবর প্রাপ্ত হন। তখন তিনি ফিরে গিয়ে ইহরাম ব্যতীত মক্কাতে প্রবেশ করেন।
তাঁরা (ইমামগণ) এই সমস্ত হাদীসকে (নিজেদের অভিমতের স্বপক্ষে মালা হিসাবে) গ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা এগুলােকে অনুসরণ করেছেন। এ বিষয়ে আমাদের নিকট কিয়াস তাঁদের অভিমতের পরিপন্থী। এ বিষয়ে ইব্ন উমর (রাযিঃ) ব্যতীত অন্যদের থেকে এর পরিপন্থী বর্ণনা আছেঃ
4166 - مَا حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ قَالَ: أنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ خَرَجَ مِنْ مَكَّةَ يُرِيدُ الْمَدِينَةَ , فَلَمَّا بَلَغَ قُدَيْدًا بَلَغَهُ عَنْ جَيْشٍ قَدِمَ الْمَدِينَةَ , فَرَجَعَ فَدَخَلَ مَكَّةَ بِغَيْرِ إِحْرَامٍ
4167 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , قَالَ: ثنا أَيُّوبُ , عَنْ نَافِعٍ , أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا خَرَجَ مِنْ مَكَّةَ , وَهُوَ يُرِيدُ الْمَدِينَةَ. فَلَمَّا كَانَ قَرِيبًا , لَقِيَهُ جَيْشُ ابْنُ دُلْجَةَ , فَرَجَعَ , فَدَخَلَ مَكَّةَ حَلَالًا
4168 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا , حَدَّثَهُ , عَنْ نَافِعٍ , أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ , أَقْبَلَ مِنْ مَكَّةَ , حَتَّى إِذَا كَانَ بِقُدَيْدٍ بَلَغَهُ خَبَرٌ مِنَ الْمَدِينَةِ , فَرَجَعَ , فَدَخَلَ مَكَّةَ حَلَالًا فَقَلَّدُوا ذَلِكَ وَاتَّبَعُوهُ وَكَانَ النَّظَرُ فِي ذَلِكَ عِنْدَنَا، خِلَافَ مَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ ابْنِ عُمَرَ فِي ذَلِكَ , مَا يُخَالِفُ هَذَا
4167 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , قَالَ: ثنا أَيُّوبُ , عَنْ نَافِعٍ , أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا خَرَجَ مِنْ مَكَّةَ , وَهُوَ يُرِيدُ الْمَدِينَةَ. فَلَمَّا كَانَ قَرِيبًا , لَقِيَهُ جَيْشُ ابْنُ دُلْجَةَ , فَرَجَعَ , فَدَخَلَ مَكَّةَ حَلَالًا
4168 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا , حَدَّثَهُ , عَنْ نَافِعٍ , أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ , أَقْبَلَ مِنْ مَكَّةَ , حَتَّى إِذَا كَانَ بِقُدَيْدٍ بَلَغَهُ خَبَرٌ مِنَ الْمَدِينَةِ , فَرَجَعَ , فَدَخَلَ مَكَّةَ حَلَالًا فَقَلَّدُوا ذَلِكَ وَاتَّبَعُوهُ وَكَانَ النَّظَرُ فِي ذَلِكَ عِنْدَنَا، خِلَافَ مَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ ابْنِ عُمَرَ فِي ذَلِكَ , مَا يُخَالِفُ هَذَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৬৭
empty
৪১৬৭।
4167 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৬৮
empty
৪১৬৮।
4168 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৬৯
ইহরাম ব্যতীত হারাম শরীফে প্রবেশ করা
৪১৬৯। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ..... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন, মক্কী তথা মক্কার অধিবাসীদের উপর উমরা নেই। তবে সে যদি হারাম থেকে বের হয়ে যায়, তাহলে ইহরাম ব্যতীত সে যেন তাতে প্রবেশ না করে। ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, যদি কোন ব্যক্তি মক্কা থেকে নিকটবর্তী কোন দিকে বের হয়ে যায় তাহলেও ? তিনি বললেন, হ্যাঁ, সে তার প্রয়ােজন পূরণ করবে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে উমরা করবে।
4169 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا عُثْمَانُ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا ابْنُ جُرَيْجٍ , قَالَ: قَالَ عَطَاءٌ , قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا لَا عُمْرَةَ عَلَى الْمَكِّيِّ إِلَّا أَنْ يَخْرُجَ مِنَ الْحَرَمِ فَلَا يَدْخُلُهُ إِلَّا حَرَامًا. فَقِيلَ لِابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: فَإِنْ خَرَجَ رَجُلٌ مِنْ مَكَّةَ قَرِيبًا؟ قَالَ: نَعَمْ , يَقْضِي حَاجَتَهُ , وَيَجْعَلُ مَعَ قَضَائِهَا عُمْرَةً

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১৭০
ইহরাম ব্যতীত হারাম শরীফে প্রবেশ করা
৪১৭০। ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কোন ব্যক্তি হারাম শরীফে ইহরাম ব্যতীত যেন প্রবেশ না করে। তাঁকে বলা হল, লাকড়ি বিক্রেতারাও ? তিনি বললেন, লাকড়ী বিক্রেতারাও। তারপর আলী ইব্ন হাকাম (রাহঃ) বলেন, পরে আমি জ্ঞাত হই যে, তিনি লাকড়ি বিক্রেতাদেরকে১ অনুমতি দান করেছেন।
4170 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحَكَمِ , عَنْ عَطَاءٍ , قَالَ: " لَا يَدْخُلُ أَحَدٌ الْحَرَمَ إِلَّا بِإِحْرَامٍ. فَقِيلَ: وَلَا الْحَطَّابُونَ؟ قَالَ: وَلَا الْحَطَّابُونَ , قَالَ: ثُمَّ بَلَغَنِي بَعْدُ أَنَّهُ رَخَّصَ لِلْحَطَّابِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান