শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৪. যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৯৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৯২
২. সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
২৯৮৮-৯২। আবু বাকরা (রাহঃ) ...... রায়হান ইবন ইয়াযীদ (রাহঃ) (তিনি একজন সত্যভাষী বেদুইন ছিলেন) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রাযিঃ) বলেছেনঃ ধনী ও সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য সাদাকা গ্রহণ হালাল নয়।
ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি এরূপ বলেছেন।
ইবন মারযূক (রাহঃ) ও ফাহাদ (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ….. বনী হিলাল এর জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) কে শুনেছি। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি এরূপ বলেছেন।
ইবন মারযূক (রাহঃ) ও ফাহাদ (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ….. বনী হিলাল এর জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) কে শুনেছি। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
بَابُ ذِي الْمِرَّةِ السَّوِيِّ الْفَقِيرِ هَلْ يَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ أَمْ لَا؟
2988 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ قَالَ: أَخْبَرَنِي سَعْدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: سَمِعْتُ رَيْحَانَ بْنَ يَزِيدَ، وَكَانَ أَعْرَابِيًّا صَدُوقًا، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو: «لَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِغَنِيٍّ وَلَا لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ» .
2989 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا وَهْبٌ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدٍ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي عَامِرٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو يَقُولُ ذَلِكَ.
2990 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو حُذَيْفَةَ، ح
2991 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَا: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ , عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ رَيْحَانَ بْنِ يَزِيدَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
2992 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ , قَالَ: ثنا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ الْيَمَامِيُّ , عَنْ سِمَاكٍ أَبِي زُمَيْلٍ , عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي هِلَالٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرَ مِثْلَهُ.
2989 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا وَهْبٌ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدٍ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي عَامِرٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو يَقُولُ ذَلِكَ.
2990 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو حُذَيْفَةَ، ح
2991 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَا: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ , عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ رَيْحَانَ بْنِ يَزِيدَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
2992 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ , قَالَ: ثنا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ الْيَمَامِيُّ , عَنْ سِمَاكٍ أَبِي زُمَيْلٍ , عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي هِلَالٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرَ مِثْلَهُ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৯৫
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
২৯৯৩-৯৫। আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ফাহাদ (রাহঃ) ….. আবু বাকর ইবন আইয়্যাশ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেনঃ একদল 'আলিম বলেছেন, সুস্থ সবল ব্যক্তির জন্য সাদাকা গ্রহণ হালাল নয় এবং তাঁরা তাকে এ ব্যাপারে ধনীর ন্যায় সাব্যস্ত করেছেন। তাঁরা এই বিষয়ে এই সমস্ত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন। পক্ষান্তরে এই বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন, তাঁরা বলেছেন, শক্তিশালী, পঙ্গু প্রত্যেক দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা গ্রহণ করা হালাল।
বস্তুত তাঁরা পূর্বোল্লেখিত এই সমস্ত হাদীসের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ এভাবে করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর উক্তি “সুস্থ সবল ব্যক্তির জন্য সাদাকা গ্রহণ হালাল নয়" অর্থাৎ তা তার জন্য তেমনভাবে হালাল নয় যেমনিভাবে সাদাকা গ্রহণ করা অক্ষম-পঙ্গু, দরিদ্র ব্যক্তির জন্য হালাল। যে কিনা সাদাকা ব্যতীত অন্য কিছুর সামর্থ্য রাখে না, অপরাগ হয়ে প্রয়োজনের তাগিদে তা গ্রহণ করে এবং সার্বিকভাবে সাদাকা গ্রহণের ব্যাপারে তার প্রয়োজন প্রমাণিত। পক্ষান্তরে সুস্থ-সবল অন্য কিছু কামাই করার উপর শক্তিমান ব্যক্তি, তার জন্য সাদাকা হালাল হওয়ার ব্যাপারে সে পঙ্গু-দরিদ্র ব্যক্তির অনুরূপ নয়। যেহেতু পঙ্গু-দরিদ্র ব্যক্তির জন্য (সাদাকা) হালাল হয় পঙ্গুত্ব ও সাদাকা ব্যতীত অন্য কিছুর উপর তার অক্ষমতার দিক দিয়ে। আর সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য (সাদাকা) হালাল নয় বিশেষত দরিদ্রতার দিক দিয়ে। যদিও তাদের দুই জনের জন্য তা গ্রহণ করা হালাল, কিন্তু সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য উত্তম হচ্ছে তা পরিত্যাগ করা এবং নিজ উপার্জন ও কামাই থেকে আহার করা। আর এসব অনুক্রম বস্তুকে কখনো কঠোরতা অবলম্বন করে 'হালাল নয়' অথবা 'এরূপ হবে না' শব্দে ব্যক্ত করা হয় । এই জন্য যে, এতে উপকরণের পরিপূর্ণতা বিদ্যমান নেই যার দ্বারা উক্ত অর্থ (সাদাকা) বৈধ হিসাবে বিবেচিত হবে। যদিও এই অর্থ ঐ সমস্ত উপকরণের পরিপূর্ণতা ব্যতীতও হালাল বিবেচিত হয়। বস্তুত সুস্থ-সবলকে মিসকীন সাব্যস্ত করে সাদাকাকে হালাল করার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছেঃ তিনি বলেছেনঃ সেই ব্যক্তি (প্রকৃত) মিসকীন নয় যে ব্যক্তি দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায় এবং সেই ব্যক্তিও মিসকীন নয়। যাকে একটি খেজুর, দু'টি খেজুর, একটি লোকমা, দু'টি লোকমা দ্বারে দ্বারে ঘুরায়। কিন্তু প্রকৃত মিসকীন হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যে কারো কাছে সওয়াল করে না এবং তার থেকে দরিদ্রতা ও অভাবগ্রস্ততা প্রকাশিত হয় না যে, তার উপর লোকেরা সাদাকা করবে।
সুতরাং সওয়ালকারী মিসকীন দরিদ্রতার উপকরণ ও বিধানাবলী থেকে এরূপ বহির্ভূত নয় যে, যার দ্বারা তার জন্য সাদাকা গ্রহণ হালাল হবে না এবং কেউ তাকে সাদাকা প্রদান করলে তা জায়িয হবে না, এমনটি নয়। বরং তা এই অর্থে বলা হয়েছে যে, সেই ব্যক্তি মিসকীন হওয়ার সমস্ত উপকরণের সাথে বা উপকরণ নিয়ে মিসকীন নয়। অনুরূপভাবে তাঁর উক্তি "সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল নয়” অর্থাৎ যে সমস্ত কারণে সাদাকা হালাল হয় সেই সব কারণ ও উপকরণ নিয়ে তার জন্য সাদাকা হালাল নয়। যদিও কতক উপকরণের সাথে তা তার জন্য হালাল হয়। প্রথমোক্ত মত পোষণকারী আলিমগণ তাঁদের মাযহাবের স্বপক্ষে নিম্মোক্ত হাদীস দ্বারাও দলীল পেশ করেনঃ
আবু বাকরা (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ফাহাদ (রাহঃ) ….. আবু বাকর ইবন আইয়্যাশ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেনঃ একদল 'আলিম বলেছেন, সুস্থ সবল ব্যক্তির জন্য সাদাকা গ্রহণ হালাল নয় এবং তাঁরা তাকে এ ব্যাপারে ধনীর ন্যায় সাব্যস্ত করেছেন। তাঁরা এই বিষয়ে এই সমস্ত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন। পক্ষান্তরে এই বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন, তাঁরা বলেছেন, শক্তিশালী, পঙ্গু প্রত্যেক দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা গ্রহণ করা হালাল।
বস্তুত তাঁরা পূর্বোল্লেখিত এই সমস্ত হাদীসের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ এভাবে করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর উক্তি “সুস্থ সবল ব্যক্তির জন্য সাদাকা গ্রহণ হালাল নয়" অর্থাৎ তা তার জন্য তেমনভাবে হালাল নয় যেমনিভাবে সাদাকা গ্রহণ করা অক্ষম-পঙ্গু, দরিদ্র ব্যক্তির জন্য হালাল। যে কিনা সাদাকা ব্যতীত অন্য কিছুর সামর্থ্য রাখে না, অপরাগ হয়ে প্রয়োজনের তাগিদে তা গ্রহণ করে এবং সার্বিকভাবে সাদাকা গ্রহণের ব্যাপারে তার প্রয়োজন প্রমাণিত। পক্ষান্তরে সুস্থ-সবল অন্য কিছু কামাই করার উপর শক্তিমান ব্যক্তি, তার জন্য সাদাকা হালাল হওয়ার ব্যাপারে সে পঙ্গু-দরিদ্র ব্যক্তির অনুরূপ নয়। যেহেতু পঙ্গু-দরিদ্র ব্যক্তির জন্য (সাদাকা) হালাল হয় পঙ্গুত্ব ও সাদাকা ব্যতীত অন্য কিছুর উপর তার অক্ষমতার দিক দিয়ে। আর সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য (সাদাকা) হালাল নয় বিশেষত দরিদ্রতার দিক দিয়ে। যদিও তাদের দুই জনের জন্য তা গ্রহণ করা হালাল, কিন্তু সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য উত্তম হচ্ছে তা পরিত্যাগ করা এবং নিজ উপার্জন ও কামাই থেকে আহার করা। আর এসব অনুক্রম বস্তুকে কখনো কঠোরতা অবলম্বন করে 'হালাল নয়' অথবা 'এরূপ হবে না' শব্দে ব্যক্ত করা হয় । এই জন্য যে, এতে উপকরণের পরিপূর্ণতা বিদ্যমান নেই যার দ্বারা উক্ত অর্থ (সাদাকা) বৈধ হিসাবে বিবেচিত হবে। যদিও এই অর্থ ঐ সমস্ত উপকরণের পরিপূর্ণতা ব্যতীতও হালাল বিবেচিত হয়। বস্তুত সুস্থ-সবলকে মিসকীন সাব্যস্ত করে সাদাকাকে হালাল করার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছেঃ তিনি বলেছেনঃ সেই ব্যক্তি (প্রকৃত) মিসকীন নয় যে ব্যক্তি দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায় এবং সেই ব্যক্তিও মিসকীন নয়। যাকে একটি খেজুর, দু'টি খেজুর, একটি লোকমা, দু'টি লোকমা দ্বারে দ্বারে ঘুরায়। কিন্তু প্রকৃত মিসকীন হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যে কারো কাছে সওয়াল করে না এবং তার থেকে দরিদ্রতা ও অভাবগ্রস্ততা প্রকাশিত হয় না যে, তার উপর লোকেরা সাদাকা করবে।
সুতরাং সওয়ালকারী মিসকীন দরিদ্রতার উপকরণ ও বিধানাবলী থেকে এরূপ বহির্ভূত নয় যে, যার দ্বারা তার জন্য সাদাকা গ্রহণ হালাল হবে না এবং কেউ তাকে সাদাকা প্রদান করলে তা জায়িয হবে না, এমনটি নয়। বরং তা এই অর্থে বলা হয়েছে যে, সেই ব্যক্তি মিসকীন হওয়ার সমস্ত উপকরণের সাথে বা উপকরণ নিয়ে মিসকীন নয়। অনুরূপভাবে তাঁর উক্তি "সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল নয়” অর্থাৎ যে সমস্ত কারণে সাদাকা হালাল হয় সেই সব কারণ ও উপকরণ নিয়ে তার জন্য সাদাকা হালাল নয়। যদিও কতক উপকরণের সাথে তা তার জন্য হালাল হয়। প্রথমোক্ত মত পোষণকারী আলিমগণ তাঁদের মাযহাবের স্বপক্ষে নিম্মোক্ত হাদীস দ্বারাও দলীল পেশ করেনঃ
2993- حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا مُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ , عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ , عَنْ أَبِي صَالِحٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
2994- حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ , عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ , عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
2995- حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الصَّدَقَةَ لَا تَحِلُّ لِذِي الْمِرَّةِ السَّوِيِّ , وَجَعَلُوهُ فِيهَا كَالْغَنِيِّ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: كُلُّ فَقِيرٍ مِنْ قَوِيٍّ وَزَمِنٍ , فَالصَّدَقَةُ لَهُ حَلَالٌ. وَذَهَبُوا فِي تَأْوِيلِ هَذِهِ الْآثَارِ الْمُتَقَدِّمَةِ إِلَى أَنَّ قَوْلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ» أَيْ أَنَّهَا لَا تَحِلُّ لَهُ , كَمَا تَحِلُّ لِلْفَقِيرِ الزَّمِنِ الَّذِي لَا يَقْدِرُ عَلَى غَيْرِهَا , فَيَأْخُذُهَا عَلَى الضَّرُورَةِ وَعَلَى الْحَاجَةِ , مِنْ جَمِيعِ الْجِهَاتِ مِنْهُ إِلَيْهَا. فَلَيْسَ مِثْلَهُ ذُو الْمِرَّةِ السَّوِيُّ الْقَادِرُ عَلَى اكْتِسَابِ غَيْرِهَا فِي حِلِّهَا لَهُ , لِأَنَّ الزَّمِنَ الْفَقِيرَ , يَحِلُّ لَهُ مِنْ قِبَلِ الزَّمَانَةِ , وَمِنْ قِبَلِ عَدَمِ قُدْرَتِهِ عَلَى غَيْرِهَا. وَذُو الْمِرَّةِ السَّوِيُّ إِنَّمَا تَحِلُّ لَهُ مِنْ جِهَةِ الْفَقْرِ خَاصَّةً , وَإِنْ كَانَا جَمِيعًا قَدْ يَحِلُّ لَهُمَا أَخْذُهَا , فَإِنَّ الْأَفْضَلَ لِذِي الْمِرَّةِ السَّوِيِّ تَرْكُهَا وَالْأَكْلُ مِنَ الِاكْتِسَابِ بِعَمَلِهِ. وَقَدْ يُغَلَّظُ الشَّيْءُ مِنْ هَذَا , فَيُقَالُ: لَا يَحِلُّ , أَوْ لَا يَكُونُ كَذَا , عَلَى أَنَّهُ غَيْرُ مُتَكَامِلِ الْأَسْبَابِ الَّتِي بِهَا يَحِلُّ ذَلِكَ الْمَعْنَى , وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ الْمَعْنَى قَدْ يَحِلُّ بِمَا دُونَ تَكَامُلِ تِلْكَ الْأَسْبَابِ مِنْ ذَلِكَ , مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «لَيْسَ الْمِسْكِينُ بِالطَّوَّافِ وَلَا بِالَّذِي تَرُدُّهُ التَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ وَاللُّقْمَةُ وَاللُّقْمَتَانِ , وَلَكِنَّ الْمِسْكِينَ الَّذِي لَا يَسْأَلُ , وَلَا يُفْطَنُ لَهُ فَيُتَصَدَّقُ عَلَيْهِ» فَلَمْ يَكُنِ الْمِسْكِينُ الَّذِي يَسْأَلُ خَارِجًا مِنْ أَسْبَابِ الْمَسْكَنَةِ وَأَحْكَامِهَا , حَتَّى لَا يَحِلَّ لَهُ أَخْذُ الصَّدَقَةِ , وَحَتَّى لَا يُجْزِئَ مَنْ أَعْطَاهُ مِنْهَا شَيْئًا مِمَّا أَعْطَاهُ مِنْ ذَلِكَ، وَلَكِنَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهُ لَيْسَ بِمِسْكِينٍ مُتَكَامِلِ أَسْبَابِ الْمَسْكَنَةِ. فَكَذَلِكَ قَوْلُهُ: «لَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ» أَيْ أَنَّهَا لَا تَحِلُّ لَهُ مِنْ جَمِيعِ الْأَسْبَابِ الَّتِي بِهَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ , وَإِنْ كَانَ قَدْ تَحِلُّ لَهُ بِبَعْضِ تِلْكَ الْأَسْبَابِ
وَاحْتَجَّ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لِمَذْهَبِهِمْ أَيْضًا
2994- حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ , عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ , عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
2995- حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الصَّدَقَةَ لَا تَحِلُّ لِذِي الْمِرَّةِ السَّوِيِّ , وَجَعَلُوهُ فِيهَا كَالْغَنِيِّ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: كُلُّ فَقِيرٍ مِنْ قَوِيٍّ وَزَمِنٍ , فَالصَّدَقَةُ لَهُ حَلَالٌ. وَذَهَبُوا فِي تَأْوِيلِ هَذِهِ الْآثَارِ الْمُتَقَدِّمَةِ إِلَى أَنَّ قَوْلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ» أَيْ أَنَّهَا لَا تَحِلُّ لَهُ , كَمَا تَحِلُّ لِلْفَقِيرِ الزَّمِنِ الَّذِي لَا يَقْدِرُ عَلَى غَيْرِهَا , فَيَأْخُذُهَا عَلَى الضَّرُورَةِ وَعَلَى الْحَاجَةِ , مِنْ جَمِيعِ الْجِهَاتِ مِنْهُ إِلَيْهَا. فَلَيْسَ مِثْلَهُ ذُو الْمِرَّةِ السَّوِيُّ الْقَادِرُ عَلَى اكْتِسَابِ غَيْرِهَا فِي حِلِّهَا لَهُ , لِأَنَّ الزَّمِنَ الْفَقِيرَ , يَحِلُّ لَهُ مِنْ قِبَلِ الزَّمَانَةِ , وَمِنْ قِبَلِ عَدَمِ قُدْرَتِهِ عَلَى غَيْرِهَا. وَذُو الْمِرَّةِ السَّوِيُّ إِنَّمَا تَحِلُّ لَهُ مِنْ جِهَةِ الْفَقْرِ خَاصَّةً , وَإِنْ كَانَا جَمِيعًا قَدْ يَحِلُّ لَهُمَا أَخْذُهَا , فَإِنَّ الْأَفْضَلَ لِذِي الْمِرَّةِ السَّوِيِّ تَرْكُهَا وَالْأَكْلُ مِنَ الِاكْتِسَابِ بِعَمَلِهِ. وَقَدْ يُغَلَّظُ الشَّيْءُ مِنْ هَذَا , فَيُقَالُ: لَا يَحِلُّ , أَوْ لَا يَكُونُ كَذَا , عَلَى أَنَّهُ غَيْرُ مُتَكَامِلِ الْأَسْبَابِ الَّتِي بِهَا يَحِلُّ ذَلِكَ الْمَعْنَى , وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ الْمَعْنَى قَدْ يَحِلُّ بِمَا دُونَ تَكَامُلِ تِلْكَ الْأَسْبَابِ مِنْ ذَلِكَ , مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «لَيْسَ الْمِسْكِينُ بِالطَّوَّافِ وَلَا بِالَّذِي تَرُدُّهُ التَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ وَاللُّقْمَةُ وَاللُّقْمَتَانِ , وَلَكِنَّ الْمِسْكِينَ الَّذِي لَا يَسْأَلُ , وَلَا يُفْطَنُ لَهُ فَيُتَصَدَّقُ عَلَيْهِ» فَلَمْ يَكُنِ الْمِسْكِينُ الَّذِي يَسْأَلُ خَارِجًا مِنْ أَسْبَابِ الْمَسْكَنَةِ وَأَحْكَامِهَا , حَتَّى لَا يَحِلَّ لَهُ أَخْذُ الصَّدَقَةِ , وَحَتَّى لَا يُجْزِئَ مَنْ أَعْطَاهُ مِنْهَا شَيْئًا مِمَّا أَعْطَاهُ مِنْ ذَلِكَ، وَلَكِنَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهُ لَيْسَ بِمِسْكِينٍ مُتَكَامِلِ أَسْبَابِ الْمَسْكَنَةِ. فَكَذَلِكَ قَوْلُهُ: «لَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ» أَيْ أَنَّهَا لَا تَحِلُّ لَهُ مِنْ جَمِيعِ الْأَسْبَابِ الَّتِي بِهَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ , وَإِنْ كَانَ قَدْ تَحِلُّ لَهُ بِبَعْضِ تِلْكَ الْأَسْبَابِ
وَاحْتَجَّ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لِمَذْهَبِهِمْ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৯৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৯৮
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
২৯৯৬-৯৮। আবু উমাইয়া (রাহঃ) ….. উবায়দুল্লাহ ইবন আদী ইবনুল খিয়ার (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমার সম্প্রদায়ের দুই (সবল যুবক) ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর দরবারে তাঁর নিকট সাদাকার জন্য সওয়াল করলেন। তখন তিনি সাদাকা বণ্টন করছিলেন। তিনি দৃষ্টি উঁচু-নিচু করলেন এবং তাদের দুই জনকে তিনি শক্তিশালী হিসাবে দেখলেন। তিনি বললেন, তোমরা যদি চাও তাহলে আমি তোমাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি, তবে এতে ধনী উপার্জনের উপযোগী শক্তিশালী (ব্যক্তির) জন্য হক তথা অধিকার নেই ।
ইউনুস (রাহঃ) ..... হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ..... হিশাম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, তিনি তাদের উভয়কে বললেন, উপার্জনের উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য এতে হক (অধিকার) নেই। এটি প্রমাণ বহন করছে যে, উপার্জনের উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য সাদাকাতে (কোন) হিস্যা নেই এবং কেউ তাকে সাদাকা থেকে কিছু দিলে দাতার দায়িত্ব মুক্তির জন্য যথেষ্ট বিবেচিত হবে না।
বস্তুত এই বিষয়ে তাদের (প্রথমোক্ত আলিমদের) বিরুদ্ধ অপরাপর আলিমদের দলীলঃ তাঁর উক্তি “তোমরা যদি চাও তাহলে আমি তোমাদের দিয়ে দেব, তবে এতে ধনীর হক নেই” অর্থাৎ তোমাদের ধনাঢ্যতা আমার কাছে গোপন রয়েছে, যদি তোমারা দুই জন ধনী ও সম্পদশালী হও তাহলে এতে তোমাদের হক নেই। আর যদি তোমরা চাও যে আমি তোমাদেরকে (সাদাকা থেকে) দিয়ে দেই, তাহলে তোমাদের ধনাঢ্যতার ব্যাপারে অনবহিত হওয়ার দরুণ আমার জন্য তা প্রদান করা বৈধ হবে, কিন্তু আমি যা দেব তা তোমাদের জন্য গ্রহণ করা হারাম হবে। যেহেতু আমি তোমাদের বাহ্যিক অবস্থা যা দেখছি যার দ্বারা তোমাদের দরিদ্রতা প্রকাশ পাচ্ছে এর বিপরীত তোমরা তোমাদের নিজেদের ধনাঢ্যতার প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত রয়েছ। সুতরাং “তোমরা যদি চাও তাহলে আমি তোমাদের দিয়ে দেব, তবে এতে ধনীর হক নেই” এটিই তাঁর উল্লিখিত (যথার্থ) বিশ্লেষণ। তাঁর উক্তিঃ “এবং উপার্জনের উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য (সাদাকাতে) হক নেই” এটি এই অর্থে যে, এতে উপার্জনের উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য সমস্ত দিক দিয়ে হক নেই, যার দ্বারা তাতে হক ওয়াজিব হয়। অতএব এর সেই অর্থই হবে যে অর্থ আমরা 'সাদাকা হালাল নয় সুস্থ-সবল, শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য' বাক্যের ক্ষেত্রে উল্লেখ করেছি।
বলা হয়ঃ 'অমুক ব্যক্তি নিশ্চিত আলিম' বস্তুত এটি তখন বলা হবে যখন তার মধ্যে সেই সমস্ত কারণ ও উপকরণ পূর্ণরূপে বিদ্যমান হবে, যাতে উক্ত ব্যক্তি আলিমরূপে বিবেচিত হয়। পক্ষান্তরে এর ব্যতিক্রম হলে 'সে নিশ্চিতরূপে আলিম' বলা হয় না, যদিও সে 'আলিম হিসাবে বিবেচিত। অনুরূপভাবে 'সে নিশ্চিত ফকির' বলা হয় না, যদিও সে ফকীর হয়। তবে সেই ব্যক্তিকে তা বলা যাবে, যার মধ্যে সেই সমস্ত উপকরণ পূর্ণরূপে বিদ্যমান থাকবে যার দ্বারা ফকির, ফকির হিসাবে বিবেচিত হয়। এ কারণে উক্ত দুই ব্যক্তিকে তিনি বলেছেন এবং এতে উপার্জন উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য অধিকার নেই। অর্থাৎ এতে তার হক নেই যতক্ষণ না তার সাথে নিশ্চিতভাবে সাদাকা গ্রহণের উপযুক্ততা পাওয়া যায়, আর তা হচ্ছে উপার্জন উপযোগী শক্তিশালী হওয়া। যদি উপার্জন উপযোগী শক্তিশালী ফকিরকে নবী করীম (ﷺ) সদর কর্তৃক সাদাকা প্রদান করা জায়িয না হত তাহলে তিনি তাদের দুই জনকে বলতেন না যে, যদি তোমরা চাও (আমি তোমাদেরকে সাদাকা দিয়ে দেই) তাহলে আমি তোমাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি।
বস্তুত এই সমস্ত হাদীসের এই অর্থ ও বিশ্লেষণই উত্তম। কারণ প্রথমোক্ত আলিমগণ এই সমস্ত হাদীসের যে অর্থ ও বিশ্লেষণ করেছেন যদি সেই অর্থ নেয়া হয় তাহলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত অপরাপর হাদীসের সাথে এগুলোর সাংঘর্ষিক হওয়া অনিবার্য হবে। এই বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস অন্যতমঃ
ইউনুস (রাহঃ) ..... হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ..... হিশাম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, তিনি তাদের উভয়কে বললেন, উপার্জনের উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য এতে হক (অধিকার) নেই। এটি প্রমাণ বহন করছে যে, উপার্জনের উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য সাদাকাতে (কোন) হিস্যা নেই এবং কেউ তাকে সাদাকা থেকে কিছু দিলে দাতার দায়িত্ব মুক্তির জন্য যথেষ্ট বিবেচিত হবে না।
বস্তুত এই বিষয়ে তাদের (প্রথমোক্ত আলিমদের) বিরুদ্ধ অপরাপর আলিমদের দলীলঃ তাঁর উক্তি “তোমরা যদি চাও তাহলে আমি তোমাদের দিয়ে দেব, তবে এতে ধনীর হক নেই” অর্থাৎ তোমাদের ধনাঢ্যতা আমার কাছে গোপন রয়েছে, যদি তোমারা দুই জন ধনী ও সম্পদশালী হও তাহলে এতে তোমাদের হক নেই। আর যদি তোমরা চাও যে আমি তোমাদেরকে (সাদাকা থেকে) দিয়ে দেই, তাহলে তোমাদের ধনাঢ্যতার ব্যাপারে অনবহিত হওয়ার দরুণ আমার জন্য তা প্রদান করা বৈধ হবে, কিন্তু আমি যা দেব তা তোমাদের জন্য গ্রহণ করা হারাম হবে। যেহেতু আমি তোমাদের বাহ্যিক অবস্থা যা দেখছি যার দ্বারা তোমাদের দরিদ্রতা প্রকাশ পাচ্ছে এর বিপরীত তোমরা তোমাদের নিজেদের ধনাঢ্যতার প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত রয়েছ। সুতরাং “তোমরা যদি চাও তাহলে আমি তোমাদের দিয়ে দেব, তবে এতে ধনীর হক নেই” এটিই তাঁর উল্লিখিত (যথার্থ) বিশ্লেষণ। তাঁর উক্তিঃ “এবং উপার্জনের উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য (সাদাকাতে) হক নেই” এটি এই অর্থে যে, এতে উপার্জনের উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য সমস্ত দিক দিয়ে হক নেই, যার দ্বারা তাতে হক ওয়াজিব হয়। অতএব এর সেই অর্থই হবে যে অর্থ আমরা 'সাদাকা হালাল নয় সুস্থ-সবল, শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য' বাক্যের ক্ষেত্রে উল্লেখ করেছি।
বলা হয়ঃ 'অমুক ব্যক্তি নিশ্চিত আলিম' বস্তুত এটি তখন বলা হবে যখন তার মধ্যে সেই সমস্ত কারণ ও উপকরণ পূর্ণরূপে বিদ্যমান হবে, যাতে উক্ত ব্যক্তি আলিমরূপে বিবেচিত হয়। পক্ষান্তরে এর ব্যতিক্রম হলে 'সে নিশ্চিতরূপে আলিম' বলা হয় না, যদিও সে 'আলিম হিসাবে বিবেচিত। অনুরূপভাবে 'সে নিশ্চিত ফকির' বলা হয় না, যদিও সে ফকীর হয়। তবে সেই ব্যক্তিকে তা বলা যাবে, যার মধ্যে সেই সমস্ত উপকরণ পূর্ণরূপে বিদ্যমান থাকবে যার দ্বারা ফকির, ফকির হিসাবে বিবেচিত হয়। এ কারণে উক্ত দুই ব্যক্তিকে তিনি বলেছেন এবং এতে উপার্জন উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য অধিকার নেই। অর্থাৎ এতে তার হক নেই যতক্ষণ না তার সাথে নিশ্চিতভাবে সাদাকা গ্রহণের উপযুক্ততা পাওয়া যায়, আর তা হচ্ছে উপার্জন উপযোগী শক্তিশালী হওয়া। যদি উপার্জন উপযোগী শক্তিশালী ফকিরকে নবী করীম (ﷺ) সদর কর্তৃক সাদাকা প্রদান করা জায়িয না হত তাহলে তিনি তাদের দুই জনকে বলতেন না যে, যদি তোমরা চাও (আমি তোমাদেরকে সাদাকা দিয়ে দেই) তাহলে আমি তোমাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি।
বস্তুত এই সমস্ত হাদীসের এই অর্থ ও বিশ্লেষণই উত্তম। কারণ প্রথমোক্ত আলিমগণ এই সমস্ত হাদীসের যে অর্থ ও বিশ্লেষণ করেছেন যদি সেই অর্থ নেয়া হয় তাহলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত অপরাপর হাদীসের সাথে এগুলোর সাংঘর্ষিক হওয়া অনিবার্য হবে। এই বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস অন্যতমঃ
2996- بِمَا حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ , قَالَ: ثنا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ , قَالَ: حَدَّثَنِي رَجُلَانِ مِنْ قَوْمِي أَنَّهُمَا أَتَيَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَقْسِمُ الصَّدَقَةَ فَسَأَلَاهُ مِنْهَا , فَرَفَعَ الْبَصَرَ وَخَفَضَهُ , فَرَآهُمَا جَلْدَيْنِ قَوِيَّيْنِ، فَقَالَ: «إِنْ شِئْتُمَا فَعَلْتُ , وَلَا حَقَّ فِيهَا لِغَنِيٍّ , وَلَا لِقَوِيٍّ مُكْتَسِبٍ» .
2997 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ , وَاللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
2998 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , وَهَمَّامٌ , عَنْ هِشَامٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادَهِ مِثْلَهُ. قَالُوا: فَقَدْ قَالَ لَهُمَا: «لَا حَقَّ فِيهَا لِقَوِيٍّ مُكْتَسِبٍ» فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ الْقَوِيَّ الْمُكْتَسِبَ لَا حَظَّ لَهُ فِي الصَّدَقَةِ , وَلَا تُجْزِئُ مَنْ أَعْطَاهُ مِنْهَا شَيْئًا. فَالْحُجَّةُ لِلْآخَرِينَ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ قَوْلَهُ: «إِنْ شِئْتُمَا فَعَلْتُ وَلَا حَقَّ فِيهَا لِغَنِيٍّ» أَيْ إِنَّ غِنَاكُمَا يَخْفَى عَلَيَّ , فَإِنْ كُنْتُمَا غَنِيَّيْنِ , فَلَا حَقَّ لَكُمَا فِيهَا , وَإِنْ شِئْتُمَا فَعَلْتُ , لِأَنِّي لَمْ أَعْلَمْ بِغِنَاكُمَا، فَمُبَاحٌ لِي إِعْطَاؤُكُمَا، وَحَرَامٌ عَلَيْكُمَا أَخْذُ مَا أَعْطَيْتُكُمَا إِنْ كُنْتُمَا تَعْلَمَانِ مِنْ حَقِيقَةِ أُمُورِكُمَا فِي الْغِنَى , خِلَافَ مَا أَرَى مِنْ ظَاهِرِكُمَا الَّذِي اسْتَدْلَلْتُ بِهِ عَلَى فَقْرِكُمَا. فَهَذَا مَعْنَى قَوْلِهِ: «إِنْ شِئْتُمَا فَعَلْتُ، وَلَا حَقَّ فِيهَا لِغَنِيٍّ» . وَأَمَّا قَوْلُهُ: «وَلَا لِقَوِيٍّ مُكْتَسِبٍ» فَذَلِكَ عَلَى أَنَّهُ لَا حَقَّ لِلْقَوِيِّ الْمُكْتَسِبِ مِنْ جَمِيعِ الْجِهَاتِ الَّتِي يَجِبُ الْحَقُّ فِيهَا , فَعَادَ مَعْنَى ذَلِكَ إِلَى مَعْنَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ قَوْلِهِ: «وَلَا لِذِي مِرَّةٍ قَوِيٍّ» . وَقَدْ يُقَالُ: فُلَانٌ عَالِمٌ حَقًّا , إِذَا تَكَامَلَتْ فِيهِ الْأَسْبَابُ الَّتِي بِهَا يَكُونُ الرَّجُلُ عَالِمًا , وَلَا يُقَالُ: هُوَ عَالِمٌ حَقًّا , إِذَا كَانَ دُونَ ذَلِكَ , وَإِنْ كَانَ عَالِمًا. فَكَذَلِكَ لَا يُقَالُ: فَقِيرٌ حَقًّا إِلَّا لِمَنْ تَكَامَلَتْ فِيهِ الْأَسْبَابُ الَّتِي يَكُونُ بِهَا الْفَقِيرُ فَقِيرًا , وَإِنْ كَانَ فَقِيرًا , وَلِهَذَا قَالَ لَهُمَا: «وَلَا حَقَّ فِيهَا لِقَوِيٍّ مُكْتَسِبٍ» أَيْ: وَلَا حَقَّ لَهُ فِيهَا , حَتَّى يَكُونَ بِهِ مِنْ أَهْلِهَا حَقًّا , وَهُوَ قَوِيٌّ مُكْتَسِبٌ. وَلَوْلَا أَنَّهُ يَجُوزُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِعْطَاؤُهُ لِلْقَوِيِّ الْمُكْتَسِبِ , إِذَا كَانَ فَقِيرًا , لَمَا قَالَ لَهُمَا: «إِنْ شِئْتُمَا فَعَلْتُ» . وَهَذَا أَوْلَى مَا حُمِلَتْ عَلَيْهِ هَذِهِ الْآثَارُ , لِأَنَّهَا إِنْ حُمِلَتْ عَلَى مَا حَمَلَهَا عَلَيْهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , ضَادَّتْ سِوَاهَا , مِمَّا قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
فَمِنْ ذَلِكَ
2997 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ , وَاللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
2998 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , وَهَمَّامٌ , عَنْ هِشَامٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادَهِ مِثْلَهُ. قَالُوا: فَقَدْ قَالَ لَهُمَا: «لَا حَقَّ فِيهَا لِقَوِيٍّ مُكْتَسِبٍ» فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ الْقَوِيَّ الْمُكْتَسِبَ لَا حَظَّ لَهُ فِي الصَّدَقَةِ , وَلَا تُجْزِئُ مَنْ أَعْطَاهُ مِنْهَا شَيْئًا. فَالْحُجَّةُ لِلْآخَرِينَ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ قَوْلَهُ: «إِنْ شِئْتُمَا فَعَلْتُ وَلَا حَقَّ فِيهَا لِغَنِيٍّ» أَيْ إِنَّ غِنَاكُمَا يَخْفَى عَلَيَّ , فَإِنْ كُنْتُمَا غَنِيَّيْنِ , فَلَا حَقَّ لَكُمَا فِيهَا , وَإِنْ شِئْتُمَا فَعَلْتُ , لِأَنِّي لَمْ أَعْلَمْ بِغِنَاكُمَا، فَمُبَاحٌ لِي إِعْطَاؤُكُمَا، وَحَرَامٌ عَلَيْكُمَا أَخْذُ مَا أَعْطَيْتُكُمَا إِنْ كُنْتُمَا تَعْلَمَانِ مِنْ حَقِيقَةِ أُمُورِكُمَا فِي الْغِنَى , خِلَافَ مَا أَرَى مِنْ ظَاهِرِكُمَا الَّذِي اسْتَدْلَلْتُ بِهِ عَلَى فَقْرِكُمَا. فَهَذَا مَعْنَى قَوْلِهِ: «إِنْ شِئْتُمَا فَعَلْتُ، وَلَا حَقَّ فِيهَا لِغَنِيٍّ» . وَأَمَّا قَوْلُهُ: «وَلَا لِقَوِيٍّ مُكْتَسِبٍ» فَذَلِكَ عَلَى أَنَّهُ لَا حَقَّ لِلْقَوِيِّ الْمُكْتَسِبِ مِنْ جَمِيعِ الْجِهَاتِ الَّتِي يَجِبُ الْحَقُّ فِيهَا , فَعَادَ مَعْنَى ذَلِكَ إِلَى مَعْنَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ قَوْلِهِ: «وَلَا لِذِي مِرَّةٍ قَوِيٍّ» . وَقَدْ يُقَالُ: فُلَانٌ عَالِمٌ حَقًّا , إِذَا تَكَامَلَتْ فِيهِ الْأَسْبَابُ الَّتِي بِهَا يَكُونُ الرَّجُلُ عَالِمًا , وَلَا يُقَالُ: هُوَ عَالِمٌ حَقًّا , إِذَا كَانَ دُونَ ذَلِكَ , وَإِنْ كَانَ عَالِمًا. فَكَذَلِكَ لَا يُقَالُ: فَقِيرٌ حَقًّا إِلَّا لِمَنْ تَكَامَلَتْ فِيهِ الْأَسْبَابُ الَّتِي يَكُونُ بِهَا الْفَقِيرُ فَقِيرًا , وَإِنْ كَانَ فَقِيرًا , وَلِهَذَا قَالَ لَهُمَا: «وَلَا حَقَّ فِيهَا لِقَوِيٍّ مُكْتَسِبٍ» أَيْ: وَلَا حَقَّ لَهُ فِيهَا , حَتَّى يَكُونَ بِهِ مِنْ أَهْلِهَا حَقًّا , وَهُوَ قَوِيٌّ مُكْتَسِبٌ. وَلَوْلَا أَنَّهُ يَجُوزُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِعْطَاؤُهُ لِلْقَوِيِّ الْمُكْتَسِبِ , إِذَا كَانَ فَقِيرًا , لَمَا قَالَ لَهُمَا: «إِنْ شِئْتُمَا فَعَلْتُ» . وَهَذَا أَوْلَى مَا حُمِلَتْ عَلَيْهِ هَذِهِ الْآثَارُ , لِأَنَّهَا إِنْ حُمِلَتْ عَلَى مَا حَمَلَهَا عَلَيْهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , ضَادَّتْ سِوَاهَا , مِمَّا قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
فَمِنْ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৯৯
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
২৯৯৯। ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... হিলাল ইবন হুসাইন (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমি মদীনায় আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ)-এর গৃহে মেহমান হিসাবে এলাম। তিনি এবং আমি এক মজলিসে মিলিত হলাম! তিনি বললেন, তাঁরা একদিন সকালে ক্ষুধার কারণে পেটে পাথর বাধা অবস্থায় ছিলেন। তাঁকে তাঁর স্ত্রী অথবা তাঁর মা বললেন, যদি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট যেতে এবং তাঁর কাছে (কিছু) চাইতে । তাঁর নিকট অমুক ব্যক্তি এসে চাইল, তিনি তাকে দান করলেন, এবং অমুক ব্যক্তি এসে চাইল, তিনি তাঁকে দান করলেন। আমি বললাম, 'না আল্লাহর কসম, গৃহে তালাশ না করা ব্যতীত সওয়াল করব না। তারপর গৃহে তালাশ করলাম কিন্তু পেলাম না। এরপর তাঁর নিকট এগিয়ে গেলাম, তিনি তখন খুত্বা দিচ্ছিলেন এবং বলছিলেন, যে ব্যক্তি (মানুষ থেকে) অমুখাপেক্ষী থাকে আল্লাহ্ তা'আলা তাকে অমুখাপেক্ষী রাখেন এবং যে ব্যক্তি (নিজেকে) পবিত্র রাখতে চায়, আল্লাহ্ তা'আলা তাকে পবিত্র রাখেন। যে ব্যক্তি আমাদের নিকট চায়, হয় তো তার জন্য আমরা খরচ করি বা তাকে সহানুভূতি প্রদর্শন করি। যে ব্যক্তি পবিত্র এবং অমুখাপেক্ষী থাকে সে আমাদের নিকট সাওয়ালকারী ব্যক্তি অপেক্ষা অধিকতর প্রিয়। তিনি বলেন, এরপর আমি ফিরে চলে গেলাম। আজ পর্যন্ত আর আমি কারো কাছে সওয়াল করিনি। আল্লাহ্ তা'আলা অব্যাহতভাবে আমাদেরকে রিযিক দিচ্ছেন যে, মদীনায় আমাদের অপেক্ষা অধিক সম্পদশালী কোন ঘর আছে বলে আমার জানা নেই।
2999- مَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ الزَّهْرَانِيُّ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ أَبِي حَمْزَةَ , عَنْ هِلَالِ بْنِ حُصَيْنٍ , قَالَ: نَزَلْتُ دَارَ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ بِالْمَدِينَةِ , فَضَمَّنِي وَإِيَّاهُ الْمَجْلِسُ , فَقَالَ: أَصْبَحُوا ذَاتَ يَوْمٍ وَقَدْ عَصَبُوا عَلَى بَطْنِهِ حَجَرًا مِنَ الْجُوعِ، فَقَالَتْ لَهُ امْرَأَتُهُ أَوْ أُمُّهُ: لَوْ أَتَيْتَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلْتَهُ , فَقَدْ أَتَاهُ فُلَانٌ فَسَأَلَهُ فَأَعْطَاهُ , وَأَتَاهُ فُلَانٌ فَسَأَلَهُ فَأَعْطَاهُ. فَقُلْتُ: لَا وَاللهِ , حَتَّى أَطْلُبَ. فَطَلَبْتُ , فَلَمْ أَجِدْ شَيْئًا , فَاسْتَبَقْتُ إِلَيْهِ وَهُوَ يَخْطُبُ وَهُوَ يَقُولُ: " مَنِ اسْتَغْنَى أَغْنَاهُ اللهُ , وَمَنِ اسْتَعَفَّ أَعَفَّهُ اللهُ , وَمَنْ سَأَلَنَا إِمَّا أَنْ نَبْذُلَ لَهُ وَإِمَّا أَنْ نُوَاسِيَهُ , وَمَنِ اسْتَعَفَّ عَنَّا وَاسْتَغْنَى أَحَبُّ إِلَيْنَا مِمَّنْ سَأَلَنَا. قَالَ: فَرَجَعْتُ , فَمَا سَأَلْتُ أَحَدًا بَعْدُ , فَمَا زَالَ اللهُ يَرْزُقُنَا حَتَّى مَا أَعْلَمُ بَيْتًا فِي الْمَدِينَةِ أَكْبَرَ سُؤَالًا مِنَّا "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০০০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০০১
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
৩০০০-৩০০১। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমরা অত্যন্ত অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়লাম। আমি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট এসে তা উল্লেখ করলাম। এতে নবী করীম (ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তি (নিজেকে) পবিত্র রাখতে চাইবে আল্লাহ্ তা'আলা তাকে পরিত্র রাখবেন, আর যে ব্যক্তি (মানুষ থেকে) অমুখাপেক্ষী থাকবে আল্লাহ তা'আলা তাকে অমুখাপেক্ষী রাখলেন। যে ব্যক্তি আমাদের নিকট চাইবে আমরা তাকে দেব। তিনি বলেন, আমি বললাম, তাহলে আমি অবশ্যই পবিত্র থাকতে সচেষ্ট হব, আল্লাহ্ আমাকে পবিত্র রাখবেন, অমুখাপেক্ষী থাকতে সচেষ্ট হব আল্লাহ্ আমাকে অমুখাপেক্ষী রাখবেন। তিনি বলেন, আল্লাহর কসম, মাত্র কয়েক দিন পর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কিশমিশ বণ্টন করেন, এর থেকে কিছু আমাদের জন্য পাঠিয়ে দেন, তারপর যব বণ্টন করেছেন, এর থেকে কিছু আয়াদের জন্য পাঠিয়ে দেন। তারপর আমাদের উপর দুনিয়া (পার্থিব সম্পদ) প্রবাহিত হতে লাগল এবং আমাদেরকে নিমজ্জিত করে দিল; তাকে ব্যতীত যাকে আল্লাহ্ রক্ষা করেছেন।
ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) …… আবু সাঈদ সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) বলেছেন, এটিই বিশুদ্ধ।
আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেন, (উক্ত-রিওয়ায়াতে) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের নিকট সওয়াল করবে আমরা তাকে দিব, বস্তুত এর দ্বারা তিনি তার সাহাবীগণকে সম্বোধন করছেন, আর তাঁদের অধিকাংশই সুস্থ ছিলেন, কারো পঙ্গুত্ব ছিল না তবে (কেউ কেউ) দরিদ্র ছিলেন তাঁদেরকে তিনি সুস্থতার কারণে সাদাকা থেকে বঞ্চিত করেন নি। এর দ্বারা আমরা যা উল্লেখ করেছি তা প্রমাণিত হয় এবং প্রমাণিত হয় সেই ব্যক্তির ফযীলত যে কিনা সাওয়াল না করে পবিত্রতা অবলম্বন করে, সেই ব্যক্তির উপর যে সওয়াল করে। এ কারণেই আবু সাঈদ (রাযিঃ) তাঁর কাছে সওয়াল করেন নি। যদি তিনি তাঁর কাছে সওয়াল করতেন অবশ্যই তিনি তাঁকে দান করতেন। যেহেতু তিনি তা তাঁর জন্য ও তাঁর মত তাঁর অন্যান্য সাহাবীর জন্য খরচ করছিলেন।
আমাদের উল্লিখিত বক্তব্যের সমর্থনে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অন্য সূত্রেও হাদীস বর্ণিত আছেঃ
ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) …… আবু সাঈদ সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) বলেছেন, এটিই বিশুদ্ধ।
আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেন, (উক্ত-রিওয়ায়াতে) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের নিকট সওয়াল করবে আমরা তাকে দিব, বস্তুত এর দ্বারা তিনি তার সাহাবীগণকে সম্বোধন করছেন, আর তাঁদের অধিকাংশই সুস্থ ছিলেন, কারো পঙ্গুত্ব ছিল না তবে (কেউ কেউ) দরিদ্র ছিলেন তাঁদেরকে তিনি সুস্থতার কারণে সাদাকা থেকে বঞ্চিত করেন নি। এর দ্বারা আমরা যা উল্লেখ করেছি তা প্রমাণিত হয় এবং প্রমাণিত হয় সেই ব্যক্তির ফযীলত যে কিনা সাওয়াল না করে পবিত্রতা অবলম্বন করে, সেই ব্যক্তির উপর যে সওয়াল করে। এ কারণেই আবু সাঈদ (রাযিঃ) তাঁর কাছে সওয়াল করেন নি। যদি তিনি তাঁর কাছে সওয়াল করতেন অবশ্যই তিনি তাঁকে দান করতেন। যেহেতু তিনি তা তাঁর জন্য ও তাঁর মত তাঁর অন্যান্য সাহাবীর জন্য খরচ করছিলেন।
আমাদের উল্লিখিত বক্তব্যের সমর্থনে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অন্য সূত্রেও হাদীস বর্ণিত আছেঃ
3000 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ هِلَالِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: أَعْوَزْنَا مَرَّةً، فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنِ اسْتَعَفَّ أَعَفَّهُ اللهُ، وَمَنِ اسْتَغْنَى أَغْنَاهُ اللهُ، وَمَنْ سَأَلَنَا أَعْطَيْنَاهُ» . قَالَ: قُلْتُ: فَلْأَسْتَعِفَّ فَيُعِفَّنِي اللهُ وَلْأَسْتَغْنِ فَيُغْنِيَنِي اللهُ. قَالَ: فَوَاللهِ مَا كَانَ إِلَّا أَيَّامٌ حَتَّى إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَسَمَ زَبِيبًا فَأَرْسَلَ إِلَيْنَا مِنْهُ , ثُمَّ قَسَمَ شَعِيرًا، فَأَرْسَلَ إِلَيْنَا مِنْهُ ثُمَّ سَالَتْ عَلَيْنَا الدُّنْيَا، فَغَرَّقَتْنَا إِلَّا مَنْ عَصَمَ اللهُ.
3001 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ , قَالَ: ثنا هِشَامٌ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ هِلَالِ بْنِ حُصَيْنٍ أَخِي بَنِي مُرَّةَ بْنِ عَبَّادٍ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.قَالَ ابْنُ أَبِي دَاوُدَ: هَذَا هُوَ الصَّحِيحُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ سَأَلَنَا أَعْطَيْنَاهُ» وَيُخَاطِبُ بِذَلِكَ أَصْحَابَهُ , وَأَكْثَرُهُمْ صَحِيحٌ لَا زَمَانَةَ بِهِ إِلَّا أَنَّهُ فَقِيرٌ , فَلَمْ يَمْنَعْهُمْ مِنْهَا لِصِحَّتِهِمْ , فَقَدْ دَلَّ ذَلِكَ عَلَى مَا ذَكَرْنَا وَفَضَّلَ مَنِ اسْتَعَفَّ وَلَمْ يَسْأَلْ , عَلَى مَنْ سَأَلَ , فَلَمْ يَسْأَلْهُ أَبُو سَعِيدٍ لِذَلِكَ , وَلَوْ سَأَلَهُ لَأَعْطَاهُ , إِذْ قَدْ كَانَ بَذَلَ ذَلِكَ لَهُ , وَلِأَمْثَالِهِ مِنْ أَصْحَابِهِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ مَا يَدُلُّ عَلَى مَا ذَكَرْنَا
3001 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ , قَالَ: ثنا هِشَامٌ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ هِلَالِ بْنِ حُصَيْنٍ أَخِي بَنِي مُرَّةَ بْنِ عَبَّادٍ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.قَالَ ابْنُ أَبِي دَاوُدَ: هَذَا هُوَ الصَّحِيحُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ سَأَلَنَا أَعْطَيْنَاهُ» وَيُخَاطِبُ بِذَلِكَ أَصْحَابَهُ , وَأَكْثَرُهُمْ صَحِيحٌ لَا زَمَانَةَ بِهِ إِلَّا أَنَّهُ فَقِيرٌ , فَلَمْ يَمْنَعْهُمْ مِنْهَا لِصِحَّتِهِمْ , فَقَدْ دَلَّ ذَلِكَ عَلَى مَا ذَكَرْنَا وَفَضَّلَ مَنِ اسْتَعَفَّ وَلَمْ يَسْأَلْ , عَلَى مَنْ سَأَلَ , فَلَمْ يَسْأَلْهُ أَبُو سَعِيدٍ لِذَلِكَ , وَلَوْ سَأَلَهُ لَأَعْطَاهُ , إِذْ قَدْ كَانَ بَذَلَ ذَلِكَ لَهُ , وَلِأَمْثَالِهِ مِنْ أَصْحَابِهِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ مَا يَدُلُّ عَلَى مَا ذَكَرْنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০০২
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
৩০০২। ইউনুস (রাহঃ) ….. যিয়াদ ইবনুল হারিস মুদাঈ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে আমার সম্প্রদায়ের আমীর মনোনীত করলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে তাদের সাদাকা থেকে দান করুন। তিনি মঞ্জুর করে তাদের সাদাকা থেকে দিলেন এবং এ ব্যাপারে আমাকে লিপি লিখে দিলেন। তারপর তাঁর কাছে আরেক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে সাদাকা থেকে দান করুন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা সাদাকার ব্যাপারে কোন নবী (ﷺ) এবং অন্য ব্যক্তির বিধানে সন্তুষ্ট না হয়ে আকাশ থেকে এ বিষয়ে হুকুম (নাযিল করেছেন। তিনি সাদাকার খাতকে আট প্রকারে বিভক্ত করেছেন। সুতরাং তুমি যদি উক্ত (আট) প্রকারের অন্তর্ভুক্ত হও তাহলে তা থেকে আমি তোমাকে প্রদান করব।
আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেনঃ এই সূদাঈ (রাযিঃ)-কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর সম্প্রদায়ের আমীর নিযুক্ত করেছিলেন। আর এটি অসম্ভব ব্যাপার যে, তিনি তাঁকে পঙ্গু অবস্থায় আমীর নিযুক্ত করবেন। তারপর তিনি তাঁর নিকট নিজ কাওমের সাদাকা চেয়েছেন অথচ তা ছিল তাঁদের যাকাত। তারপর তিনি তা থেকে তাঁকে প্রদান করেন এবং তিনি তাঁর শরীরের সুস্থতার কারণে তা থেকে বঞ্চিত করেন নি। তারপর অপর এক ব্যক্তি তাঁর নিকট সওয়াল করল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে বললেন, তুমি যদি সেই (আট) প্রকারের অন্তর্ভুক্ত হও যাদেরকে আল্লাহ্ তা'আলা সাদাকা দেয়ার জন্য বণ্টন করে দিয়েছেন, তাহলে তা থেকে আমি তোমাকে দিব। সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এভাবে সাদাকার বিধানকে সেই দিকে নিয়োজিত করেছেন যে দিকে আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর (নিম্মোক্ত) বাণী দ্বারা নির্ধারিত করে দিয়েছেনঃ إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ সাদাকা তো কেবল নিঃস্ব ও অভাবগ্রস্তদের জন্য। (৯ঃ৬০)
অতএব যে ব্যক্তিই উক্ত (আট) প্রকারের কোন এক প্রকারের অন্তর্ভুক্ত হবে সেই সাদাকা গ্রহণের উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবে আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর কিতাবে তাঁর রাসূল তাঁর সুন্নায় যা তাদের জন্য সাব্যস্ত করেছেন, চাই তারা পঙ্গু হোক কিংবা সুস্থ। আর সেই সমস্ত হাদীসের ব্যাপারে যা আমারা এ অনুচ্ছেদের শুরু ভাগে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি যেমন, তাঁর উক্তি "সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল নয়” আমাদের জন্য উত্তম হচ্ছে তাই যা আমরা সে সমস্ত হাদীসের থেকে গ্রহণ করেছি। যেন ওগুলোর অর্থ সেই সুস্পষ্ট আয়াতের আওতা বহির্ভূত না হয়ে যায়, যা আমরা উল্লেখ করেছি এবং এই সমস্ত অপরাপর হাদীসকে অতিক্রম করে না যায়, যা আমরা রিওয়ায়াত করেছি এবং যেন সকল বর্ণনায় অভিন্ন অর্থ হয়ে যায়; যা পরস্পরকে সত্যায়ন করবে। তারপর কাবীসা ইবন মুখারিক (রাযিঃ) ও নবী করীম (ﷺ) থেকে উক্ত বিষয়ের সমর্থনে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেনঃ
আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেনঃ এই সূদাঈ (রাযিঃ)-কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর সম্প্রদায়ের আমীর নিযুক্ত করেছিলেন। আর এটি অসম্ভব ব্যাপার যে, তিনি তাঁকে পঙ্গু অবস্থায় আমীর নিযুক্ত করবেন। তারপর তিনি তাঁর নিকট নিজ কাওমের সাদাকা চেয়েছেন অথচ তা ছিল তাঁদের যাকাত। তারপর তিনি তা থেকে তাঁকে প্রদান করেন এবং তিনি তাঁর শরীরের সুস্থতার কারণে তা থেকে বঞ্চিত করেন নি। তারপর অপর এক ব্যক্তি তাঁর নিকট সওয়াল করল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে বললেন, তুমি যদি সেই (আট) প্রকারের অন্তর্ভুক্ত হও যাদেরকে আল্লাহ্ তা'আলা সাদাকা দেয়ার জন্য বণ্টন করে দিয়েছেন, তাহলে তা থেকে আমি তোমাকে দিব। সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এভাবে সাদাকার বিধানকে সেই দিকে নিয়োজিত করেছেন যে দিকে আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর (নিম্মোক্ত) বাণী দ্বারা নির্ধারিত করে দিয়েছেনঃ إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ সাদাকা তো কেবল নিঃস্ব ও অভাবগ্রস্তদের জন্য। (৯ঃ৬০)
অতএব যে ব্যক্তিই উক্ত (আট) প্রকারের কোন এক প্রকারের অন্তর্ভুক্ত হবে সেই সাদাকা গ্রহণের উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবে আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর কিতাবে তাঁর রাসূল তাঁর সুন্নায় যা তাদের জন্য সাব্যস্ত করেছেন, চাই তারা পঙ্গু হোক কিংবা সুস্থ। আর সেই সমস্ত হাদীসের ব্যাপারে যা আমারা এ অনুচ্ছেদের শুরু ভাগে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি যেমন, তাঁর উক্তি "সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল নয়” আমাদের জন্য উত্তম হচ্ছে তাই যা আমরা সে সমস্ত হাদীসের থেকে গ্রহণ করেছি। যেন ওগুলোর অর্থ সেই সুস্পষ্ট আয়াতের আওতা বহির্ভূত না হয়ে যায়, যা আমরা উল্লেখ করেছি এবং এই সমস্ত অপরাপর হাদীসকে অতিক্রম করে না যায়, যা আমরা রিওয়ায়াত করেছি এবং যেন সকল বর্ণনায় অভিন্ন অর্থ হয়ে যায়; যা পরস্পরকে সত্যায়ন করবে। তারপর কাবীসা ইবন মুখারিক (রাযিঃ) ও নবী করীম (ﷺ) থেকে উক্ত বিষয়ের সমর্থনে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেনঃ
3002- حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ أَنْعَمَ , عَنْ زِيَادِ بْنِ نُعَيْمٍ , أَنَّهُ سَمِعَ زِيَادَ بْنَ الْحَارِثِ الصُّدَائِيَّ يَقُولُ: أَمَّرَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى قَوْمِي , فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ , أَعْطِنِي مِنْ صَدَقَاتِهِمْ , فَفَعَلَ وَكَتَبَ لِي بِذَلِكَ كِتَابًا. فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، أَعْطِنِي مِنَ الصَّدَقَةِ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمْ يَرْضَ بِحُكْمِ نَبِيٍّ وَلَا غَيْرِهِ فِي الصَّدَقَاتِ , حَتَّى حَكَمَ فِيهَا هُوَ مِنَ السَّمَاءِ , فَجَزَّأَهَا ثَمَانِيَةَ أَجْزَاءٍ , فَإِنْ كُنْتَ مِنْ تِلْكَ الْأَجْزَاءِ أَعْطَيْتُكَ مِنْهَا» . قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا الصُّدَائِيُّ قَدْ أَمَّرَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى قَوْمِهِ , وَمُحَالٌ أَنْ يَكُونَ أَمَّرَهُ وَبِهِ زَمَانَةٌ. ثُمَّ قَدْ سَأَلَهُ مِنْ صَدَقَةِ قَوْمِهِ , وَهِيَ زَكَاتُهُمْ فَأَعْطَاهُ مِنْهَا , وَلَمْ يَمْنَعْهُ مِنْهُ لِصِحَّةِ بَدَنِهِ. ثُمَّ سَأَلَهُ الرَّجُلُ الْآخَرُ بَعْدَ ذَلِكَ , فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنْ كُنْتَ مِنَ الْأَجْزَاءِ الَّذِينَ جَزَّأَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ الصَّدَقَةَ فِيهِمْ أَعْطَيْتُكَ مِنْهَا» . فَرَدَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ حُكْمَ الصَّدَقَاتِ إِلَى مَا رَدَّهَا اللهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَيْهِ بِقَوْلِهِ: { «إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ» } [التوبة: 60] الْآيَةَ. فَكُلُّ مَنْ وَقَعَ عَلَيْهِ اسْمُ صِنْفٍ مِنْ تِلْكَ الْأَصْنَافِ , فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الصَّدَقَةِ الَّذِينَ جَعَلَهَا اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُمْ فِي كِتَابِهِ , وَرَسُولُهُ فِي سُنَّتِهِ , زَمِنًا كَانَ أَوْ صَحِيحًا. وَكَانَ أَوْلَى الْأَشْيَاءِ بِنَا فِي الْآثَارِ الَّتِي رَوَيْنَاهَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْفَصْلِ الْأَوَّلِ مِنْ قَوْلِهِ: «لَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ» مَا حَمَلْنَاهَا عَلَيْهِ , لِئَلَّا يَخْرُجَ مَعْنَاهَا مِنَ الْآيَةِ الْمُحْكَمَةِ الَّتِي ذَكَرْنَا , وَلَا مِنْ هَذِهِ الْأَحَادِيثِ الْأُخَرِ الَّتِي رَوَيْنَا. وَيَكُونُ مَعْنَى ذَلِكَ كُلِّهِ مَعْنًى وَاحِدًا يُصَدِّقُ بَعْضُهُ بَعْضًا. ثُمَّ قَدْ رَوَى قَبِيصَةُ بْنُ الْمُخَارِقِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩০০৫
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
৩০০৩-৩০০৫। ইউনুস (রাহঃ) ….. কাবীসা ইবনুল মুখারিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি কারো দিয়ত ইত্যাদি বিষয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারপর তিনি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট এসে এ ব্যাপারে তাঁর কাছে সওয়াল করলেন। তিনি বললেন, তা তুমি তোমার সাদাকার উট থেকে বের করে নাও। হে কাবীসা! তিন প্রকার ব্যক্তি ব্যতীত সওয়াল করা হারাম। (ক) যে ব্যক্তি (কারো দিয়ত ইত্যাদি বিষয়ে) দায়িত্ব গ্রহণ করে তার জন্য তা আদায় করা পর্যন্ত সওয়াল করা হালাল তারপর (তা আদায় হয়ে গেলে) বিরত থাকবে। (খ) কোন ব্যক্তির (ক্ষেত বা বাগানে) প্রাকৃতিক বা আসমানী দুর্যোগ নেমে এসে তার সম্পদ বিনষ্ট করে ফেললে তার জন্য জীবিকার ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত সওয়াল করা হালাল তারপর তা থেকে বিরত থাকবে। (গ) অভাবগ্রস্ত ব্যক্তি, যাকে কিনা নিজ সম্প্রদায়ের তিন জন প্রাজ্ঞ ব্যক্তি এই মর্মে প্রত্যায়ন করেছেন, তার জন্য জীবিকার ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত সওয়াল করা হালাল। তারপর তা থেকে বিরত থাকবে। এ ছাড়া অন্য সমস্ত সওয়াল অবৈধ (হারাম)।
ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... কাবীসা ইবনুল মুখারিক (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ..... হারুন ইবন রি'আব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আর তিনি নিম্নোক্ত বাক্য অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেনঃ কোন ব্যক্তি নিজ সম্প্রদায়ের কারো দিয়ত ইত্যাদি বিষয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে, যার দ্বারা তার উদ্দেশ্য হচ্ছে শান্তি স্থাপন।
এই হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অভাবগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য নিজ অভাবের কারণে সওয়াল করাকে বৈধ করেছেন। যতক্ষণ না তার জীবিকার ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে প্রমাণিত হল যে, সুস্থতার কারণে সাদাকা হারাম হয় না; যখন কিনা এর দ্বারা তার নিজের দারিদ্র রোধ করা উদ্দেশ্য হয়, তবে যখন এর দ্বারা সম্পদ বৃদ্ধিসহ অন্য কিছু উদ্দেশ্য হয় তখন তা তার জন্য হারাম বিবেচিত হয়। যে ব্যক্তি এর দ্বারা সম্পদ বৃদ্ধির উদ্দেশ্য করে সে ব্যক্তি ঐ ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত বিবেচিত হবে যে উক্ত তিন কারণ ব্যতীত তা তালাশ করে, যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক কাবীসা ইবন মুখারিক (রাযিঃ)-এর বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে। যা আমরা বর্ণনা করেছি এবং তা তার জন্য অবৈধ (হারাম)। সামুরা (রাযিঃ) ও রাসূলুল্লহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেনঃ
ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... কাবীসা ইবনুল মুখারিক (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ..... হারুন ইবন রি'আব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আর তিনি নিম্নোক্ত বাক্য অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেনঃ কোন ব্যক্তি নিজ সম্প্রদায়ের কারো দিয়ত ইত্যাদি বিষয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে, যার দ্বারা তার উদ্দেশ্য হচ্ছে শান্তি স্থাপন।
এই হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অভাবগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য নিজ অভাবের কারণে সওয়াল করাকে বৈধ করেছেন। যতক্ষণ না তার জীবিকার ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে প্রমাণিত হল যে, সুস্থতার কারণে সাদাকা হারাম হয় না; যখন কিনা এর দ্বারা তার নিজের দারিদ্র রোধ করা উদ্দেশ্য হয়, তবে যখন এর দ্বারা সম্পদ বৃদ্ধিসহ অন্য কিছু উদ্দেশ্য হয় তখন তা তার জন্য হারাম বিবেচিত হয়। যে ব্যক্তি এর দ্বারা সম্পদ বৃদ্ধির উদ্দেশ্য করে সে ব্যক্তি ঐ ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত বিবেচিত হবে যে উক্ত তিন কারণ ব্যতীত তা তালাশ করে, যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক কাবীসা ইবন মুখারিক (রাযিঃ)-এর বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে। যা আমরা বর্ণনা করেছি এবং তা তার জন্য অবৈধ (হারাম)। সামুরা (রাযিঃ) ও রাসূলুল্লহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেনঃ
3003 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ هَارُونَ بْنِ رِئَابٍ , عَنْ كِنَانَةَ بْنِ نُعَيْمٍ , عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ الْمُخَارِقِ , أَنَّهُ تَحَمَّلَ بِحَمَالَةٍ , فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ فِيهَا فَقَالَ نُخْرِجُهَا عَنْكَ مِنْ إِبِلِ الصَّدَقَةِ , أَوْ نَعَمِ الصَّدَقَةِ. يَا قَبِيصَةُ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ حَرُمَتْ إِلَّا فِي ثَلَاثٍ , رَجُلٍ تَحَمَّلَ بِحَمَالَةٍ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُؤَدِّيَهَا ثُمَّ يُمْسِكُ , وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ فَاجْتَاحَتْ مَالَهُ , فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ , أَوْ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ ثُمَّ يُمْسِكُ , وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ حَاجَةٌ حَتَّى تَكَلَّمَ ثَلَاثَةٌ مِنْ ذَوِي الْحِجَا مِنْ قَوْمِهِ أَنْ حَلَّتْ حَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ , أَوْ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ ثُمَّ يُمْسِكُ , وَمَا سِوَى ذَلِكَ مِنَ الْمَسْأَلَةِ فَهُوَ سُحْتٌ "
3004 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ هَارُونَ بْنِ رِئَابٍ , عَنْ كِنَانَةَ بْنِ نُعَيْمٍ الْعَدَوِيِّ , عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ الْمُخَارِقِ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ
3005 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ هَارُونَ بْنِ رِئَابٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , وَزَادَ «رَجُلٍ تَحَمَّلَ بِحَمَالَةٍ عَنْ قَوْمِهِ أَرَادَ بِهَا الْإِصْلَاحَ» فَأَبَاحَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ لِذِي الْحَاجَةِ أَنْ يَسْأَلَ لِحَاجَتِهِ , حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ , أَوْ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الصَّدَقَةَ لَا تَحْرُمُ بِالصِّحَّةِ إِذَا أَرَادَ بِهَا الَّذِي تُصُدِّقَ بِهَا عَلَيْهِ سَدَّ فَقْرٍ. وَإِنَّمَا تَحْرُمُ عَلَيْهِ إِذَا كَانَ يُرِيدُ بِهَا غَيْرَ ذَلِكَ مِنَ التَّكَثُّرِ وَنَحْوِهِ , وَمَنْ يُرِيدُ بِهَا ذَلِكَ , فَهُوَ مِمَّنْ يَطْلُبُهَا لِسِوَى الْمَعَانِي الثَّلَاثَةِ الَّتِي ذَكَرَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ , الَّذِي ذَكَرْنَا , فَهُوَ عَلَيْهِ سُحْتٌ وَقَدْ رَوَى سَمُرَةُ أَيْضًا مِثْلَ ذَلِكَ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
3004 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ هَارُونَ بْنِ رِئَابٍ , عَنْ كِنَانَةَ بْنِ نُعَيْمٍ الْعَدَوِيِّ , عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ الْمُخَارِقِ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ
3005 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ هَارُونَ بْنِ رِئَابٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , وَزَادَ «رَجُلٍ تَحَمَّلَ بِحَمَالَةٍ عَنْ قَوْمِهِ أَرَادَ بِهَا الْإِصْلَاحَ» فَأَبَاحَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ لِذِي الْحَاجَةِ أَنْ يَسْأَلَ لِحَاجَتِهِ , حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ , أَوْ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الصَّدَقَةَ لَا تَحْرُمُ بِالصِّحَّةِ إِذَا أَرَادَ بِهَا الَّذِي تُصُدِّقَ بِهَا عَلَيْهِ سَدَّ فَقْرٍ. وَإِنَّمَا تَحْرُمُ عَلَيْهِ إِذَا كَانَ يُرِيدُ بِهَا غَيْرَ ذَلِكَ مِنَ التَّكَثُّرِ وَنَحْوِهِ , وَمَنْ يُرِيدُ بِهَا ذَلِكَ , فَهُوَ مِمَّنْ يَطْلُبُهَا لِسِوَى الْمَعَانِي الثَّلَاثَةِ الَّتِي ذَكَرَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ , الَّذِي ذَكَرْنَا , فَهُوَ عَلَيْهِ سُحْتٌ وَقَدْ رَوَى سَمُرَةُ أَيْضًا مِثْلَ ذَلِكَ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩০০৮
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
৩০০৬-৩০০৮। ইবন মারযূক (রাহঃ) ….. সামুরা ইবন জুন্দুব (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, ভিক্ষা হল (আঘাতের) ক্ষত চিহ্ন, যার দ্বারা মানুষ নিজ চেহারাকেই আঘাতপ্রাপ্ত করে ফেলে। সুতরাং কেউ যদি চায় নিজ চেহারায় তা বাকি রাখুক, আর কেউ যদি চায় তা পরিত্যাগ করুক। তবে শাসকের নিকট কেউ কিছু যাচনা (দাবি) করা বা এমন অবস্থায় চাওয়া, যা ছাড়া গত্যন্তর নেই তবে তা কথা ভিন্ন কথা ।
ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... শু'বা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) …… সামুরা ইবন জুন্দুব (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেনঃ এই হাদীসে এমন প্রত্যেক অবস্থায় যাচনা করা যা ছাড়া গত্যন্তর নেই, বৈধ করে দেয়া হয়েছে। কাবীসা (রাযিঃ)-এর হাদীসে যেই যাচনা করা বৈধ করা হয়েছে তা এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং এ হাদীসে তা ছাড়া অপরাপর বিষয়সমূহ অতিরিক্ত ব্যক্ত হয়েছে যা ছাড়া গত্যন্তর নেই । এতে বিশেষ করে প্রয়োজন (অভাব) -এর কারণে, যাচনা করার বৈধতা প্রমাণিত হয়েছে, পঙ্গুত্বের কারণে নয়। আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছেঃ
ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... শু'বা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) …… সামুরা ইবন জুন্দুব (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেনঃ এই হাদীসে এমন প্রত্যেক অবস্থায় যাচনা করা যা ছাড়া গত্যন্তর নেই, বৈধ করে দেয়া হয়েছে। কাবীসা (রাযিঃ)-এর হাদীসে যেই যাচনা করা বৈধ করা হয়েছে তা এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং এ হাদীসে তা ছাড়া অপরাপর বিষয়সমূহ অতিরিক্ত ব্যক্ত হয়েছে যা ছাড়া গত্যন্তর নেই । এতে বিশেষ করে প্রয়োজন (অভাব) -এর কারণে, যাচনা করার বৈধতা প্রমাণিত হয়েছে, পঙ্গুত্বের কারণে নয়। আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছেঃ
3006- حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا عَفَّانَ بْنُ مُسْلِمٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ , عَنْ زَيْدِ بْنِ عُقْبَةَ , قَالَ: سَمِعْتُ سَمُرَةَ بْنَ جُنْدُبٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «السَّائِلُ كُدُوحٌ يَكْدَحُ بِهَا الرَّجُلُ وَجْهَهُ , فَمَنْ شَاءَ أَبْقَى عَلَى وَجْهِهِ , وَمَنْ شَاءَ تَرَكَ , إِلَّا أَنْ يَسْأَلَ الرَّجُلُ ذَا سُلْطَانٍ , أَوْ يَسْأَلَ فِي أَمْرٍ لَا يَجِدُ مِنْهُ بُدًّا»
3007- حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبٌ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
3008- حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ , عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ , عَنْ زَيْدِ بْنِ عُقْبَةَ , عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَقَدْ أَبَاحَ هَذَا الْحَدِيثُ الْمَسْأَلَةَ فِي كُلِّ أَمْرٍ لَا بُدَّ مِنَ الْمَسْأَلَةِ فِيهِ , فَدَخَلَ فِي ذَلِكَ مَا أُبِيحَتْ فِيهِ الْمَسْأَلَةُ فِي حَدِيثِ قَبِيصَةَ , وَزَادَ هَذَا الْحَدِيثُ عَلَيْهِ , مَا سِوَى ذَلِكَ مِنَ الْأُمُورِ الَّتِي لَا بُدَّ مِنْهَا , وَفِي ذَلِكَ إِبَاحَةُ الْمَسْأَلَةِ بِالْحَاجَةِ خَاصَّةً , لَا بِالزَّمَانَةِ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَنَسٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْمَعْنَى
3007- حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبٌ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
3008- حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ , عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ , عَنْ زَيْدِ بْنِ عُقْبَةَ , عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَقَدْ أَبَاحَ هَذَا الْحَدِيثُ الْمَسْأَلَةَ فِي كُلِّ أَمْرٍ لَا بُدَّ مِنَ الْمَسْأَلَةِ فِيهِ , فَدَخَلَ فِي ذَلِكَ مَا أُبِيحَتْ فِيهِ الْمَسْأَلَةُ فِي حَدِيثِ قَبِيصَةَ , وَزَادَ هَذَا الْحَدِيثُ عَلَيْهِ , مَا سِوَى ذَلِكَ مِنَ الْأُمُورِ الَّتِي لَا بُدَّ مِنْهَا , وَفِي ذَلِكَ إِبَاحَةُ الْمَسْأَلَةِ بِالْحَاجَةِ خَاصَّةً , لَا بِالزَّمَانَةِ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَنَسٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْمَعْنَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০০৯
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
৩০০৯। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ..... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, জনৈক আনসারী ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট এসে তাঁর কাছে যাচনা করল। তিনি বললেনঃ তিন ব্যক্তি ব্যতীত ভিক্ষাবৃত্তি জায়িয নয়। দায়ভারে অতিষ্ঠ, খুনের বদলায় (প্রদানে) ভারাক্রান্ত কিংবা চরম দরিদ্র ব্যক্তির জন্য তা জায়িয আছে।
আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেনঃ এই সমস্ত বিষয়ের প্রত্যেকাটি এরূপ যার থেকে গত্যন্তর নেই। এটিও সামুরা (রাযিঃ)-এর হাদীসের মর্মভুক্ত। আবু দাউদ খুদরী (রাযিঃ) সূত্রেও রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এ বিষয়ে নিম্মোক্ত হাদীস বর্ণিত আছেঃ
আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেনঃ এই সমস্ত বিষয়ের প্রত্যেকাটি এরূপ যার থেকে গত্যন্তর নেই। এটিও সামুরা (রাযিঃ)-এর হাদীসের মর্মভুক্ত। আবু দাউদ খুদরী (রাযিঃ) সূত্রেও রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এ বিষয়ে নিম্মোক্ত হাদীস বর্ণিত আছেঃ
3009- مَا قَدْ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْأَنْصَارِيُّ , قَالَ: حَدَّثَنِي الْأَخْضَرُ بْنُ عَجْلَانَ , عَنْ أَبِي بَكْرٍ الْحَنَفِيِّ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ , أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ , فَقَالَ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لَا تَصْلُحُ إِلَّا لِثَلَاثٍ , لِغُرْمٍ مُوجِعٍ , أَوْ دَمٍ مُفْظِعٍ , أَوْ فَقْرٍ مُدْقِعٍ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَكُلُّ هَذِهِ الْأُمُورِ , مِمَّا لَا بُدَّ مِنْهُ , فَقَدْ دَخَلَ ذَلِكَ أَيْضًا فِي مَعْنَى حَدِيثِ سَمُرَةَ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০১০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১১
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
৩০১০-১১। ফাহাদ ইবন সুলায়মান (রাহঃ) ….. আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ ধনী ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল নয়। তবে আল্লাহর রাস্তায় নিয়োজিত মুজাহিদ ব্যক্তি, বা মুসাফিরদের জন্য কিংবা তার কোন প্রতিবেশী সাদাকা গ্রহণের পর সে তাকে হাদিয়া প্রদান করল অথবা দাওয়াত দিল (এদের জন্য তা হালাল)।
আব্দুর রহমান ইবনুল জারূদ (রাহঃ) ….. আবু সাঈদ (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আল্লাহর রাস্তায় নিয়োজিত মুজাহিদ বা মুসাফিরের জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাদাকা হালাল করেছেন। বস্তুত এটি সুস্থ এবং অসুস্থকে অন্তর্ভুক্ত করে। এর দ্বারাও প্রমাণিত হয় যে, অভাবগ্রস্ত হওয়ার কারণে সাদাকা গ্রহণ হালাল হয়, তার সাথে পঙ্গুত্ব থাকুক অথবা না থাকুক। ওয়াহব ইবন খাম্বাশ (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে নিম্নোক্ত হাদীস বর্ণিত আছেঃ
আব্দুর রহমান ইবনুল জারূদ (রাহঃ) ….. আবু সাঈদ (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আল্লাহর রাস্তায় নিয়োজিত মুজাহিদ বা মুসাফিরের জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাদাকা হালাল করেছেন। বস্তুত এটি সুস্থ এবং অসুস্থকে অন্তর্ভুক্ত করে। এর দ্বারাও প্রমাণিত হয় যে, অভাবগ্রস্ত হওয়ার কারণে সাদাকা গ্রহণ হালাল হয়, তার সাথে পঙ্গুত্ব থাকুক অথবা না থাকুক। ওয়াহব ইবন খাম্বাশ (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে নিম্নোক্ত হাদীস বর্ণিত আছেঃ
3010 - مَا قَدْ حَدَّثَنَا فَهْدٌ هُوَ ابْنُ سُلَيْمَانَ , قَالَ: ثنا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ , قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ , عَنْ سُفْيَانَ , عَنْ عِمْرَانَ الْبَارِقِيِّ , عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ سَعْدٍ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِغَنِيٍّ , إِلَّا أَنْ يَكُونَ فِي سَبِيلِ اللهِ , أَوِ ابْنِ السَّبِيلِ , أَوْ يَكُونَ لَهُ جَارٌ فَيَتَصَدَّقَ عَلَيْهِ , فَيُهْدِيَ لَهُ , أَوْ يَدْعُوَهُ»
3011 - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْجَارُودِ , قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى , قَالَ: أنا ابْنُ أَبِي لَيْلَى , عَنْ عَطِيَّةَ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ فَأَبَاحَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّدَقَةَ لِلرَّجُلِ , إِذَا كَانَ فِي سَبِيلِ اللهِ , أَوِ ابْنِ السَّبِيلِ , فَقَدْ جَمَعَ ذَلِكَ الصَّحِيحَ , وَغَيْرَ الصَّحِيحِ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَيْضًا , عَلَى أَنَّ الصَّدَقَةَ , إِنَّمَا تَحِلُّ بِالْفَقْرِ , كَانَتْ مَعَهُ الزَّمَانَةُ , أَوْ لَمْ تَكُنْ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ وَهْبِ بْنِ خَنْبَشٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
3011 - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْجَارُودِ , قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى , قَالَ: أنا ابْنُ أَبِي لَيْلَى , عَنْ عَطِيَّةَ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ فَأَبَاحَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّدَقَةَ لِلرَّجُلِ , إِذَا كَانَ فِي سَبِيلِ اللهِ , أَوِ ابْنِ السَّبِيلِ , فَقَدْ جَمَعَ ذَلِكَ الصَّحِيحَ , وَغَيْرَ الصَّحِيحِ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَيْضًا , عَلَى أَنَّ الصَّدَقَةَ , إِنَّمَا تَحِلُّ بِالْفَقْرِ , كَانَتْ مَعَهُ الزَّمَانَةُ , أَوْ لَمْ تَكُنْ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ وَهْبِ بْنِ خَنْبَشٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০১২
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
৩০১২। আবু উমাইয়া (রাহঃ) ..... ওয়াহব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট এল, তখন তিনি আরাফাতে অবস্থানরত ছিলেন, সে তাঁর নিকট তাঁর চাদরটি যাচনা করল। তিনি তাকে তা দিয়ে দিলেন, লোকটি তা নিয়ে চলে গেল। তারপর নবী করীম (ﷺ) বললেনঃ ভিক্ষাবৃত্তি হালাল নয়; তবে চরম দরিদ্র কিংবা দায়ভারে অতিষ্ঠ ব্যক্তির জন্য জায়িয আছে। অর্থ সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে যদি কেউ ভিক্ষা করে তবে কিয়ামতের দিন সে তার চেহারা খামচানো অবস্থায় নিয়ে আসবে এবং সে খাবে জাহান্নামের উত্তপ্ত পাথর। যদি কম হয় তাহলে কম, যদি বেশী হয় তাহলে বেশী।
বস্তুত এই হাদীসেও নবী করীম (ﷺ) সংবাদ দিয়েছেনঃ ভিক্ষাবৃত্তি দারিদ্র্য ও দায়ভারের কারণে হালাল হয়। এটি প্রমাণ বহন করে যে, ভিক্ষা বৃত্তি বিশেষত এই দুই কারণে বৈধ এবং এতে পঙ্গুত্ব ও অন্য অবস্থার কারণে ভিন্নতা হবে না।
বস্তুত এই হাদীসেও নবী করীম (ﷺ) সংবাদ দিয়েছেনঃ ভিক্ষাবৃত্তি দারিদ্র্য ও দায়ভারের কারণে হালাল হয়। এটি প্রমাণ বহন করে যে, ভিক্ষা বৃত্তি বিশেষত এই দুই কারণে বৈধ এবং এতে পঙ্গুত্ব ও অন্য অবস্থার কারণে ভিন্নতা হবে না।
3012 - مَا قَدْ حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ , قَالَ: ثنا الْمُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي مُجَالِدٌ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , عَنْ وَهْبٍ , قَالَ: «جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ وَاقِفٌ بِعَرَفَةَ , فَسَأَلَهُ رِدَاءَهُ , فَأَعْطَاهُ إِيَّاهُ , فَذَهَبَ بِهِ , ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لَا تَحِلُّ إِلَّا مِنْ مُدْقِعٍ أَوْ غُرْمٍ مُفْظِعٍ , وَمَنْ سَأَلَ النَّاسَ لِيُثْرِيَ بِهِ لَهُ , فَإِنَّهُ خُمُوشٌ فِي وَجْهِهِ , وَرَضْفٌ يَأْكُلُهُ مِنْ جَهَنَّمَ , إِنْ قَلِيلًا فَقَلِيلٌ , وَإِنْ كَثِيرًا فَكَثِيرٌ» فَأَخْبَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ الْمَسْأَلَةَ تَحِلُّ بِالْفَقْرِ , وَالْغُرْمِ , فَذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهَا تَحِلُّ بِهَذَيْنِ الْمَعْنَيَيْنِ خَاصَّةً , وَلَا يَخْتَلِفُ فِي ذَلِكَ حَالُ الزَّمِنِ وَلَا غَيْرِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৪
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
৩০১৩-১৪। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... হুবশী ইবন জুনাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালকে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি দারিদ্র্য ব্যতীত ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করে সে জ্বলন্ত অঙ্গার ভক্ষণ করে।
ফাহাদ (রাহঃ) ….. ইসরাঈল (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
এই হুবশী (রাযিঃ) ….. নবী করীম (ﷺ) থেকে এটি রিওয়ায়াত করেছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি যা রিওয়ায়াত করেছেন। তাতে অপরাপর বর্ণনাকারীদের বর্ণনার সাথে সাদৃশ্য রয়েছে যে, ভিক্ষাবৃত্তি দারিদ্র্যের কারণে বৈধ সাব্যস্ত হয়।
এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকেও (অনেক) হাদীস মুতাওয়াতিরভাবে বর্ণিত আছেঃ
ফাহাদ (রাহঃ) ….. ইসরাঈল (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
এই হুবশী (রাযিঃ) ….. নবী করীম (ﷺ) থেকে এটি রিওয়ায়াত করেছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি যা রিওয়ায়াত করেছেন। তাতে অপরাপর বর্ণনাকারীদের বর্ণনার সাথে সাদৃশ্য রয়েছে যে, ভিক্ষাবৃত্তি দারিদ্র্যের কারণে বৈধ সাব্যস্ত হয়।
এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকেও (অনেক) হাদীস মুতাওয়াতিরভাবে বর্ণিত আছেঃ
3013 - وَقَدْ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ ثنا مُخَوَّلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ , قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , عَنْ حُبْشِيِّ بْنِ جُنَادَةَ , قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ «مَنْ سَأَلَ مِنْ غَيْرِ فَقْرٍ , فَإِنَّمَا يَأْكُلُ الْجَمْرَ»
3014 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ , قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَهَذَا حُبْشِيٌّ قَدْ حَكَى هَذَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَوَافَقَ مَا حَكَى مِنْ ذَلِكَ , مَا حَكَاهُ الْآخَرُونَ , مِنْ أَنَّ الْمَسْأَلَةَ إِنَّمَا تَحِلُّ بِالْفَقْرِ. وَقَدْ جَاءَتِ الْآثَارُ أَيْضًا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ مُتَوَاتِرَةً
3014 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ , قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَهَذَا حُبْشِيٌّ قَدْ حَكَى هَذَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَوَافَقَ مَا حَكَى مِنْ ذَلِكَ , مَا حَكَاهُ الْآخَرُونَ , مِنْ أَنَّ الْمَسْأَلَةَ إِنَّمَا تَحِلُّ بِالْفَقْرِ. وَقَدْ جَاءَتِ الْآثَارُ أَيْضًا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ مُتَوَاتِرَةً

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০১৪
empty
৩০১৪।
- 3014

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৭
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
৩০১৫-১৭। হুসাইন ইবন নসর (রাহঃ) ও নসর ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ কারো প্রয়োজন মিটাবার মত কিছু বিদ্যমান থাকা অবস্থায় যদি সে ভিক্ষা করে তবে কিয়ামতের দিন সে এভাবে উপস্থিত হবে যে, তার চেহারায় বিকৃতি বা আঘাতের ক্ষতচিহ্ন থাকবে। বলা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কি পরিমাণ সম্পদ থাকলে একজন অমুখাপেক্ষী হবে ? তিনি বললেনঃ পঞ্চাশ দিরহাম, (রৌপ্য মুদ্রা) বা সেই হিসাব অনুযায়ী সোনা।
আহমদ ইবন খালিদ আল-বাগদাদী (রাহঃ) ..... সুফিয়ান (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেনঃ তার চেহারায় আঘাতের ক্ষতচিহ্ন থাকবে। তিনি এ পাঠে সন্দেহ পোষণ করেননি। আর তিনি অতিরিক্ত বলেছেন যে, সুফিয়ান (রাহঃ)-কে বলা হলো, যদি তা হাকীম (রাহঃ) ব্যতীত অন্য থেকে বর্ণিত হয়ে থাকে। তিনি বললেন, আমার নিকট এটি যুবাইদ (রাহঃ)-মুহাম্মাদ ইবন আব্দুর রহমান ইবন ইয়াযীদ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আহমদ ইবন খালিদ আল-বাগদাদী (রাহঃ) ..... সুফিয়ান (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেনঃ তার চেহারায় আঘাতের ক্ষতচিহ্ন থাকবে। তিনি এ পাঠে সন্দেহ পোষণ করেননি। আর তিনি অতিরিক্ত বলেছেন যে, সুফিয়ান (রাহঃ)-কে বলা হলো, যদি তা হাকীম (রাহঃ) ব্যতীত অন্য থেকে বর্ণিত হয়ে থাকে। তিনি বললেন, আমার নিকট এটি যুবাইদ (রাহঃ)-মুহাম্মাদ ইবন আব্দুর রহমান ইবন ইয়াযীদ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
17 - 3015 - حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ , قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ ح
وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , قَالَا جَمِيعًا: عَنْ سُفْيَانَ , عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ النَّخَعِيِّ , عَنْ أَبِيهِ , عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا يَسْأَلُ عَبْدٌ مَسْأَلَةً , وَلَهُ مَا يُغْنِيهِ إِلَّا جَاءَتْ شَيْنًا , أَوْ كُدُوحًا , أَوْ خُدُوشًا , فِي وَجْهِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ , وَمَاذَا غِنَاهُ؟ قَالَ خَمْسُونَ دِرْهَمًا وَحِسَابُهَا مِنَ الذَّهَبِ "
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْبَغْدَادِيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ آدَمَ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ «كُدُوحًا فِي وَجْهِهِ» وَلَمْ يَشُكَّ وَزَادَ فَقِيلَ لِسُفْيَانَ: لَوْ كَانَتْ مِنْ غَيْرِ حَكِيمٍ؟ فَقَالَ: حَدَّثَنَاهُ زُبَيْدٌ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ , مِثْلَهُ
وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , قَالَا جَمِيعًا: عَنْ سُفْيَانَ , عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ النَّخَعِيِّ , عَنْ أَبِيهِ , عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا يَسْأَلُ عَبْدٌ مَسْأَلَةً , وَلَهُ مَا يُغْنِيهِ إِلَّا جَاءَتْ شَيْنًا , أَوْ كُدُوحًا , أَوْ خُدُوشًا , فِي وَجْهِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ , وَمَاذَا غِنَاهُ؟ قَالَ خَمْسُونَ دِرْهَمًا وَحِسَابُهَا مِنَ الذَّهَبِ "
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْبَغْدَادِيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ آدَمَ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ «كُدُوحًا فِي وَجْهِهِ» وَلَمْ يَشُكَّ وَزَادَ فَقِيلَ لِسُفْيَانَ: لَوْ كَانَتْ مِنْ غَيْرِ حَكِيمٍ؟ فَقَالَ: حَدَّثَنَاهُ زُبَيْدٌ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ , مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০১৬
empty
৩০১৬।
- 3016

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০১৮
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
৩০১৮। আবু বিশর আররকী (রাহঃ) ….. সাহল ইবনুল হানযালিয়্যা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলতে শুনেছিঃ কেউ যদি প্রয়োজন মিটাবার মত কিছু থাকা সত্ত্বেও লোকের কাছে ভিক্ষা চায় তাহলে সে জাহান্নামের জ্বলন্ত অঙ্গারকেই অধিক গ্রহণ করেছে। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! প্রয়োজন মিটাবার মত কিছু থাকা (অর্থ) কী ? তিনি বললেনঃ কারো এ কথা জানা থাকা যে, তার পরিবারের নিকট সকালের বা বিকালের (রাতের) খাবার বিদ্যমান আছে ।
3018 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ , قَالَ: ثنا أَيُّوبُ بْنُ سُوَيْدٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ , قَالَ: حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ أَبِي كَبْشَةَ السَّلُولِيِّ , قَالَ: حَدَّثَنِي سَهْلُ بْنُ الْحَنْظَلِيَّةِ , قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ " مَنْ سَأَلَ النَّاسَ عَنْ ظَهْرِ غِنًى , فَإِنَّمَا يَسْتَكْثِرُ مِنْ جَمْرِ جَهَنَّمَ. قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ , وَمَا ظَهْرُ غِنًى؟ قَالَ أَنْ يَعْلَمَ أَنَّ عِنْدَ أَهْلِهِ مَا يُغَدِّيهِمْ , أَوْ مَا يُعَشِّيهِمْ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০১৯
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
৩০১৯। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... ছাওবান (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ কারো কাছে যদি প্রয়োজন মিটাবার মত কিছু থাকে তা সত্ত্বেও সে ভিক্ষা চায়, তবে কিয়ামতের দিন সে তার চেহারা বিকৃত অবস্থায় উপস্থিত হবে।
3019 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الْحَوْضِيُّ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ , عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ , عَنْ ثَوْبَانَ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ سَأَلَ وَلَهُ مَا يُغْنِيهِ , جَاءَتْ شَيْنًا فِي وَجْهِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০২০
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
৩০২০। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ কারো কাছে এক উকিয়ার (চল্লিশ দিরহাম রৌপ্য) মূল্য বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও যদি সে ভিক্ষা চায় তাহলে সে অবশ্যই ভিক্ষাবৃত্তিতে বাড়াবাড়ি করল।
3020 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ ,: قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي الرِّجَالِ , عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ , عَنْ أَبِيهِ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ سَأَلَ , وَلَهُ قِيمَةُ أُوقِيَّةٍ فَقَدْ أَلْحَفَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০২১
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
৩০২১। আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি (সম্পদ) বৃদ্ধির জন্য লোকদের কাছে তাদের সম্পদ যাচনা করে তবে প্রকৃতপক্ষে সেটি হচ্ছে জ্বলন্ত অঙ্গার। অতএব সে তা কম করুক কিংবা বেশী করুক।
3021 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ صَالِحٍ الْأَزْدِيُّ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ , عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ , عَنْ أَبِي زُرْعَةَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ سَأَلَ النَّاسَ أَمْوَالَهُمْ تَكَثُّرًا , فَإِنَّمَا هُوَ جَمْرٌ , فَلْيَسْتَقِلَّ مِنْهُ , أَوْ لِيَسْتَكْثِرْ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০২২
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
৩০২২। ইউনুস (রাহঃ) …… বনু আসাদ গোত্রের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আমার পরিবার নিয়ে বাকীউল গারকাদে অবতরণ করি। তখন আমাকে আমার পরিবার বলল, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট যাও এবং তাঁর কাছে আমাদের জন্য কিছু যাচনা কর, যেন তা আহার করতে পারি এবং তারা নিজেদের প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করতে লাগল। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট গেলাম এবং দেখতে পেলাম তাঁর কাছে জনৈক ব্যক্তি যাচনা করছে। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলছিলেন, তোমাকে দেবার মত কিছু নেই। লোকটি রাগান্বিত হয়ে ফিরে চলল এবং বলতে লাগল, আল্লাহর কসম, অবশ্যই আপনি যাকে ইচ্ছা অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ সে আমার প্রতি রাগান্বিত হচ্ছে, আমার কাছে তাকে দিবার মত কিছু নেই বলে। তোমাদের কেউ যদি যাচনা করে অথচ তার কাছে এক উকিয়া (চল্লিশ দিরহাম রৌপ্য) বা এর সমপরিমাণ বিদ্যমান থাকে তাহলে সে সওয়ালের মধ্যে বাড়াবাড়ি করল। আসাদী (লোকটি) বলল, আমি বললাম, অবশ্যই আমাদের গর্ভবর্তী উটনী আমাদের জন্য এক উকিয়া অপেক্ষা উত্তম। আর উকিয়া হচ্ছে, চল্লিশ দিরহাম রৌপ্য। তিনি বলেন, আমি তাঁর নিকট সওয়াল না করে ফিরে গেলাম। পরবর্তীতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট (সাদাকার) যব, কিশমিশ ও মাখন এলে তা থেকে কিছু আমাদের জন্য বন্টন করে দিলেন এবং আল্লাহ্ তা'আলা আমাদেরকে অমুখাপেক্ষী করে দিয়েছেন।
3022 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ , عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي أَسَدٍ قَالَ: نَزَلْتُ وَأَهْلِي , بَقِيعَ الْغَرْقَدِ , فَقَالَ لِي أَهْلِي: اذْهَبْ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْأَلْهُ لَنَا شَيْئًا نَأْكُلْهُ , وَجَعَلُوا يَذْكُرُونَ حَاجَتَهُمْ. فَذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَجَدْتُ عِنْدَهُ رَجُلًا يَسْأَلُهُ , وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا أَجِدُ مَا أُعْطِيكَ» , فَوَلَّى الرَّجُلُ وَهُوَ مُغْضَبٌ وَهُوَ يَقُولُ: لَعَمْرِي إِنَّكَ لَتُفَضِّلُ مَنْ شِئْتَ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهُ لَيَغْضَبُ عَلَى أَنْ لَا أَجِدَ مَا أُعْطِيهِ , مَنْ سَأَلَ مِنْكُمْ , وَعِنْدَهُ أُوقِيَّةٌ أَوْ عِدْلُهَا فَقَدْ سَأَلَهَا إِلْحَافًا» . قَالَ الْأَسَدِيُّ: فَقُلْتُ لِلَّقْحَةِ لَنَا خَيْرٌ مِنْ أُوقِيَّةٍ قَالَ: وَالْأُوقِيَّةُ أَرْبَعُونَ دِرْهَمًا , قَالَ: فَرَجَعْتُ وَلَمْ أَسْأَلْهُ. فَقَدِمَ عَلَيَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ ذَلِكَ بِشَعِيرٍ وَزَبِيبٍ وَزُبْدٍ , فَقَسَمَ لَنَا مِنْهُ حَتَّى أَغْنَانَا اللهُ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান