শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৩. জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৮ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২৭৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৪৫
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৪৩-২৭৪৫। ইউনুস (রাহঃ).... সালিম (রাহঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) জানাযার আগে আগে চলতেন। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ), উমর ইব্‌নুল খাত্তাব (রাযিঃ) ও উসমান ইব্‌ন আফফান (রাযিঃ) এরূপ করতেন।

মুহাম্মাদ ইব্‌ন আযীযুল আয়লী (রাহঃ).... ইব্‌ন শিহাব (রাহঃ)-এর বরাতে সালিম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ননা করেছেন।

নসর ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ).... উকায়ল ইব্‌ন খালিদ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
2743 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانَ يَمْشِي أَمَامَ الْجِنَازَةِ , قَالَ: «وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُ ذَلِكَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ»

2744 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَزِيزٍ الْأَيْلِيُّ، قَالَ: ثنا سَلَامَةُ، عَنْ عُقَيْلٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، أَنَّ سَالِمًا، أَخْبَرَ ثُمَّ، ذَكَرَ مِثْلَهُ

2745 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ، وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ: ثنا عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭৪৬
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৪৬। রবী;উল জীযী (রাহঃ).... ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, তিনি জানাযার আগে আগে চলতেন। আর রাসুলুল্লাহ (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ), উমর (রাযিঃ) ও উসমান (রাযিঃ) জানাযার আগে আগে চলতেন এবং জানাযা অনুসরণের বিষয়ে এটাই সুন্নত।
2746 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ: ثَنَى يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ , قَالَ: ثنا عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «أَنَّهُ كَانَ يَمْشِي أَمَامَ الْجِنَازَةِ وَأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَمْشِي بَيْنَ يَدَيِ الْجِنَازَةِ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , وَكَذَلِكَ السُّنَّةُ فِي اتِّبَاعِ الْجِنَازَةِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:২৭৪৭
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৪৭। ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ও ইউনুস (রাহঃ).... ইব্‌ন শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জানাযার আগে আগে চলতেন এবং ইব্‌ন উমার (রাযিঃ) ও খলীফাগণ থেকে আজ পর্যন্ত সকলেই (জানাযার আগে আগে চলা অব্যাহত রেখেছেন)।

আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম এই মত গ্রহন করেছেন যে, জানাযার পিছনে চলা অপেক্ষা আগে আগে চলা উত্তম। তাঁরা এই বিষয়ে এই সমস্ত হাদীসসমূহ দ্বারা দলীল পেশ করে থাকেন।

পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ জানাযার আগে চলা অপেক্ষা পিছনে চলা উত্তম।

প্রথমোক্ত মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে তাঁদের দলীল হল যে, ইব্‌ন উয়ায়না (রাহঃ)-এর হাদীস যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে উল্লেখ করেছি, যা তিনি যুহরী (রাহঃ) থেকে, তিনি সালিম (রাহঃ) থেকে, তিনি তাঁর পিতা ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) কে জানাযার আগে আগে চলতে দেখেছি। বস্তুত এ বিষয়ে এটি ইব্‌ন উমর (রাযিঃ)-এর পক্ষ থেকে খবর (বর্ণনা) যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) অ উসমান (রাযিঃ) কে এই বিষয়ে তা করতে দেখেছেন। হতে পারে তাঁরা এরূপ কাজটি করেছেন অথচ অন্যটি তাঁদের নিকট উত্তম রূপে বিবেচিত ছিলো। শুধু বৈধতারও অবকাশ সৃষ্টির লক্ষ্যে (এরূপ করেছেন)। যেমনিভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রতিটি অঙ্গ একবার একবার করে ধুয়ে উযু করেছেন, অথচ দুইবার দুইবার করে ধুয়ে উযু করা তার থেকে উত্তম এবং তিনবার করে ধুয়ে উযু করা সর্বাপেক্ষা উত্তম। কিন্তু তিনি যা করেছেন তা ছিলো বৈধতার অবকাশ সৃষ্টির লক্ষ্যে। তারপর এই হাদীসের ইসনাদে ইব্‌ন উয়ায়না (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ)-এর অপরাপর সমস্ত শিষ্যগনের বিরোধিতা করেছেন। বস্তুত এই হাদীসটিকে মালিক (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ) থেকে এভাবে রেওয়াত করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জানাযার আগে আগে চলতেন, আআর তিনি এখানেই এই হাদীসটিকে ছিন্ন করে দিয়েছেন (যুহরী র-এর ওপরে মাউকুফ হিসাবে বর্ণনা করেন)। তারপর এ হাদীসটিকে উকায়ল (রাহঃ) ও ইউনুস (রাহঃ) ইব্‌ন শিহাব (রাহঃ)-এর ওপরে সূত্রে সালিম (রাহঃ) থেকে (এভাবে) বর্ননা করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসুলুল্লাহ (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ), উমর (রাযিঃ) ও উসমান (রাযিঃ) জানাযার আগে আগে চলতেন। বস্তুত এটির বিষয়বস্তুও ওই হাদীসের ন্যায়, যদিও এর শব্দ অনুরূপ নয়। যেহেতু তাঁর হাদীসের প্রকৃত সূত্র হল, তা সালিম (রাহঃ) থেকেঃ তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উমার (রাযিঃ) জানাযার আগে আগে চলতেন এবং অনুরূপভাবে রাসুলুল্লাহ (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ), উমর (রাযিঃ) ও উসমান (রাযিঃ) (অগ্রভাগে চলতেন)। অতএব প্রমাণিত হল যে, এই হাদীসের সমস্ত বাক্য সালিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, ইব্‌ন উমার (রাযিঃ) থেকে নয়। তাই হাদীসটি “মুনকাতি” (বিচ্ছিন্ন সনদ) রূপে সাব্যস্ত উকায়ল (রাহঃ) সূত্রে ইয়াহয়া ইব্‌ন আয়্যুব (রাহঃ)-এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, “জানাযা অনুসরণে সুন্নত এরুপই” এটি লায়স (রাহঃ) ও সালামা (রাহঃ) কর্তিক উকায়ল (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসের (বিষয়বস্তুর) উপরে অতিরিক্ত। অনুরূপভাবে এতেও দলীল বিদ্যমান নেই। যেহেতু ওটি সালিম (রাহঃ) অথবা যুহরী (রাহঃ)-এর বাক্য থেকে (বর্ণিত)।

পক্ষান্তরে ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) থেকে উপরোক্ত রিওয়াতে বিপরীত বর্ণিত আছে, যা আমরা এই অনুচ্ছেদের যথাস্থানে বর্ণনা করবো ইনশাআল্লাহ্‌।

প্রথমোক্ত মন পোষণকারী আলিমগন বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীগণের অনেকের থেকে বর্ণিত আছে যে, তাঁরা জানাযার আগে আগে চলতেন।
2747 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا الْقَعْنَبِيُّ، قَالَ: ثنا مَالِكٌ. ح وَحَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، أَخْبَرَهُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْشِي أَمَامَ الْجِنَازَةِ , وَابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَالْخُلَفَاءُ هَلُمَّ جَرَّا إِلَى يَوْمِنَا هَذَا» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْمَشْيَ أَمَامَ الْجِنَازَةِ أَفْضَلُ مِنَ الْمَشْيِ خَلْفَهَا , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: الْمَشْيُ خَلْفَهَا أَفْضَلُ مِنَ الْمَشْيِ أَمَامَهَا. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , أَنَّ حَدِيثَ ابْنِ عُيَيْنَةَ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , قَدْ رَوَاهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ سَالِمٍ , عَنْ أَبِيهِ قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَمْشُونَ أَمَامَ الْجِنَازَةِ فَصَارَ فِي ذَلِكَ خَبَرًا مِنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَمَّا رَأَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ يَفْعَلُونَهُ فِي ذَلِكَ. وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونُوا كَانُوا يَفْعَلُونَ شَيْئًا , وَغَيْرُهُ عِنْدَهُمْ أَفْضَلُ مِنْهُ لِلتَّوْسِعَةِ. كَمَا قَدْ تَوَضَّأَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّةً مَرَّةً , وَالْوُضُوءُ اثْنَتَيْنِ اثْنَتَيْنِ أَفْضَلُ مِنْهُ , وَالْوُضُوءُ ثَلَاثًا ثَلَاثًا أَفْضَلُ مِنْ ذَلِكَ كُلِّهِ , وَلَكِنَّهُ فَعَلَ مَا فَعَلَ مِنْ ذَلِكَ لِلتَّوْسِعَةِ. ثُمَّ قَدْ خَالَفَ ابْنُ عُيَيْنَةَ فِي إِسْنَادِ هَذَا الْحَدِيثِ كُلَّ أَصْحَابِ الزُّهْرِيِّ غَيْرَهُ. فَرَوَاهُ مَالِكٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ , قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْشِي أَمَامَ الْجِنَازَةِ» , فَقَطَعَهُ. ثُمَّ رَوَاهُ عُقَيْلٌ وَيُونُسُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ سَالِمٍ , قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ يَمْشُونَ أَمَامَ الْجِنَازَةِ» هَذَا مَعْنَاهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَفْظُهُ كَذَلِكَ , لِأَنَّ أَصْلَ حَدِيثِهِ , إِنَّمَا هُوَ عَنْ سَالِمٍ قَالَ: «كَانَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَمْشِي أَمَامَ الْجِنَازَةِ , وَكَذَلِكَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ» . فَصَارَ هَذَا الْكَلَامُ كُلُّهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ، إِنَّمَا هُوَ مِنْ سَالِمٍ , لَا مِنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فَصَارَ حَدِيثًا مُنْقَطِعًا , وَفِي حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ , عَنْ عُقَيْلٍ: وَكَذَلِكَ السُّنَّةُ فِي اتِّبَاعِ الْجِنَازَةِ , زِيَادَةٌ عَلَى مَا فِي حَدِيثِ اللَّيْثِ وَسَلَامَةَ , عَنْ عُقَيْلٍ: فَكَذَلِكَ أَيْضًا لَا حُجَّةَ فِيهِ لِأَنَّهُ إِنَّمَا هُوَ مِنْ كَلَامِ سَالِمٍ , أَوْ مِنْ كَلَامِ الزُّهْرِيِّ. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , مِمَّا سَنَرْوِيهِ فِي مَوْضِعِهِ مِنْ هَذَا الْبَابِ إِنْ شَاءَ اللهُ. وَقَالَ أَصْحَابُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى: وَقَدْ رُوِيَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمْ كَانُوا يَمْشُونَ أَمَامَ الْجِنَازَةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৪৯
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৪৮-২৭৪৯। এবং তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীসগুলো উল্লেখ করেছেনঃ
ইউনুস (রাহঃ).... ইব্‌ন আব্দুল্লাহ ইব্‌ন হাদীর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি উমর ইব্‌নুল খাত্তাব (রাযিঃ) কে দেখেছি, তিনি লোকদের যায়নাব (রাযিঃ)-এর জানাযার সম্মুখে অগ্রসর করেছেন।

ইউনুস (রাহঃ).... ইব্‌নুল মুনকাদির (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
2748 - وَذَكَرُوا مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ , عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ , سَمِعَ رَبِيعَةَ بْنَ هَدِيرٍ يَقُولُ: رَأَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقْدُمُ النَّاسَ أَمَامَ جِنَازَةِ زَيْنَبَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا "

2749 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭৫০
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৫১
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৫০-২৭৫১। আলী ইব্‌ন শায়বা (রাহঃ).... আব্দুল আ’লা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি সাঈদ ইব্‌ন জুবায়ের (রাযিঃ) কে জানাযার সম্মুখে চলার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেছেনঃ হ্যাঁ, আমি ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) কে জানাযার সম্মুখে চলতে দেখেছি।

ইউনুস (রাহঃ).... মুয়ায়কীব ইব্‌ন আবী ফাতেমা (রাযিঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম আবু রাশিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি উসমান ইব্‌ন আফফান (রাযিঃ), তালহা ইব্‌ন উবাইদুল্লাহ (রাযিঃ) ও যুবায়ের ইব্‌নুল আওয়াম (রাযিঃ) কে তা করতে দেখেছেন।
2750 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ، عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: سَأَلْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ عَنِ الْمَشْيِ أَمَامَ الْجِنَازَةِ. فَقَالَ: «نَعَمْ رَأَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَمْشِي أَمَامَ الْجِنَازَةِ»

2751 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ، أَنَّ أَبَا رَاشِدٍ، مَوْلَى مُعَيْقِيبِ بْنِ أَبِي فَاطِمَةَ , أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، رَأَى عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , وَطَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللهِ , وَالزُّبَيْرَ بْنِ الْعَوَّامِ يَفْعَلُونَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭৫২
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৫২। ইউনুস (রাহঃ).... তাওয়ামা’র গোলাম-সালিহ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ), আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাযিঃ), আবু উসাইদ আসসাইদী (রাযিঃ) ও আবু কাতাদা (রাযিঃ) কে জানাযার আগে আগে চলতে দেখেছেন।
তাঁরা বলেছেনঃ এতে বুঝা যাচ্ছে যে, জানাযার পিছনে চলা অপেক্ষা আগে চলা উত্তম।
উত্তরে তাদেরকে বলা হবেঃ আপনারা যা উল্লেখ করেছেন তা আপনাদের বক্তব্যে প্রমাণিত হয় না। বরং তা জানাযার সম্মুখে চলার বৈধতা প্রমাণ করে। অথচ আপনাদের বিরোধী মত পোষণকারীরা জানাযার আগে আগে চলার বৈধতাকে অস্বীকার করে না। প্রকৃতপক্ষে আপনারা ও তাঁরা জানাযার সম্মুখে চলা উত্তম, না পিছনে চলা উত্তম, এ সম্পর্কে বিরোধ করছেন। এ বিষয়ে যদি আপনাদের নিকট কোন সহীহ হাদীস বিদ্যমান থাকে যাতে প্রমাণিত হয় যে, জানাযার পিছনে চলা অপেক্ষা, তাহলে এর দ্বারা আপনাদের বক্তব্য সাব্যস্ত হবে। অন্যথায় প্রতিপক্ষের উক্তি এখন পর্যন্ত আপনাদের উক্তির সমপর্যায়ের। তাঁদের বক্তব্যের উপরে আপনাদের বক্তব্য আদৌ প্রাধান্য পায় না।
আর তারা যদি নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেনঃ
2752 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ صَالِحٍ، مَوْلَى التَّوْأَمَةِ: «أَنَّهُ رَأَى أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَعَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ , وَأَبَا أُسَيْدٍ السَّاعِدِيَّ , وَأَبَا قَتَادَةَ , يَمْشُونَ أَمَامَ الْجِنَازَةِ» قَالُوا: فَقَدْ دَلَّ هَذَا عَلَى أَنَّ الْمَشْيَ أَمَامَ الْجِنَازَةِ أَفْضَلُ مِنَ الْمَشْيِ خَلْفَهَا. قِيلَ لَهُمْ: مَا دَلَّ ذَلِكَ عَلَى شَيْءٍ مِمَّا ذَكَرْتُمْ , وَلَكِنَّهُ أَبَاحَ الْمَشْيَ أَمَامَ الْجِنَازَةِ , وَهَذَا مِمَّا لَا يُنْكِرُهُ مُخَالِفُهُمْ أَنَّ الْمَشْيَ أَمَامَ الْجِنَازَةِ مُبَاحٌ. وَإِنَّمَا اخْتَلَفْتُمْ , أَنْتُمْ وَإِيَّاهُ فِي الْأَفْضَلِ مِنْ ذَلِكَ , وَمِنَ الْمَشْيِ خَلَفَ الْجِنَازَةِ. فَإِنْ كَانَ عِنْدَكُمْ أَثَرٌ صَحِيحٌ فِيهِ أَنَّ الْمَشْيَ أَمَامَ الْجِنَازَةِ أَفْضَلُ مِنَ الْمَشْيِ خَلْفَهَا , ثَبَتَ بِذَلِكَ مَا قُلْتُمْ , وَإِلَّا فَقَوْلُهُ إِلَى الْآنَ , مُكَافِئٌ لِقَوْلِكُمْ
وَإِنِ احْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭৫৩
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৫৩। ইউনুস (রাহঃ).... ইব্‌ন শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ জানাযার পিছনে চলা সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত নয়। ইব্‌ন শিহাব (রাহঃ) বলেছেনঃ জানাযার পিছনে চলা সুন্নত থেকে বিচ্যুতি।
উত্তরে তাঁদেরকে বলা হবেঃ এটি হচ্ছে ইব্‌ন শিহাব (রাহঃ)-এর বাক্য (উক্তি)। এই বিষয়ে তাঁর উক্তি আপনাদের উক্তির ন্যায়। যেহেতু তাঁর বিরোধী ও তোমাদের বিরোধীদের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ও আপনাদের বিরুদ্ধে এরূপ দলীল রয়েছে যা আমরা ইনশাআল্লাহ এই অনুচ্ছেদে অতিসত্বর উল্লেখ করার প্রয়াস পাব।
অতঃপর আমরা সেই সমস্ত হাদীসের দিকে ফিরে যাব, যা এই অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে। দেখব তাতে এরূপ কোন হাদীস বিদ্যমান আছে কিনা, যা জানাযার পিছনে চলাকে বৈধ করে। এই বিষয়ে দেখেছিঃ
2753 - بِمَا حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , عَنْ مَالِكٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , قَالَ: «لَيْسَ مِنَ السُّنَّةِ الْمَشْيُ خَلَفَ الْجِنَازَةِ» قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: وَالْمَشْيُ خَلَفَ الْجِنَازَةِ , مِنْ خَطَأِ السُّنَّةِ قِيلَ لَهُمْ: هَذَا كَلَامُ ابْنِ شِهَابٍ , فَقَوْلُهُ فِي ذَلِكَ , كَقَوْلِكُمْ , إِذْ كَانَ لِمُخَالِفِهِ وَمُخَالِفِكُمْ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِ وَعَلَيْكُمْ , مَا سَنَذْكُرُهُ فِي هَذَا الْبَابِ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى مَا رُوِيَ فِي هَذَا الْبَابِ مِنَ الْآثَارِ , هَلْ فِيهِ شَيْءٌ يُبِيحُ الْمَشْيَ خَلَفَ الْجِنَازَةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৫৫
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৫৪-২৭৫৫। রবীউল জীযী (রাহঃ) ও ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ).... আনাস ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) জানাযার অগ্রভাগে এবং পিছনে চলতেন।

ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ).... ইউনুস ইব্‌ন ইয়াযীদ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
বস্তুত এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেমনিভাবে জানাযার অগ্রভাগে চলতেন, তেমনি জানাযার পিছনে চলতেন। যদি রাসুলুল্লাহ (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ)-এর জানাযার সম্মুখ ভাগে চলা আপনাদের পক্ষে দলীলরূপে সাব্যস্ত হয় যে, এটি পিছনে চলা অপেক্ষা উত্তম। অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) কর্তৃক জানাযার পিছনে চলা আপনাদের বিরোধীদের জন্য আপনাদের বিপক্ষ্যে দলীলরূপে সাব্যস্ত হবে যে, তার আগে আগে চলা অপেক্ষা পিছনে চলা উত্তম। অতএব আপনারা ও আপনাদের বিরোধীগণ সংশিষ্ট বিষয়ে সমপর্যায়ভুক্ত। সুতরাং এই বিষয়ে টা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আপনাদের পক্ষের দলীল হিসাবে বিবেচিত হবে না।
2754 - فَإِذَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ , وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَدْ حَدَّثَانَا , قَالَا: ثنا أَبُو زُرْعَةَ , قَالَ: أنا يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّمَ , وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , كَانُوا يَمْشُونَ أَمَامَ الْجِنَازَةِ وَخَلْفَهَا»

2755 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ الْبُرْسَانِيُّ , عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ , ثُمَّ ذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَمْشِي خَلَفَ الْجِنَازَةِ , كَمَا كَانَ يَمْشِي أَمَامَهَا. فَإِنْ كَانَ مَشْيُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , أَمَامَ الْجِنَازَةِ حُجَّةً لَكُمْ أَنَّ ذَلِكَ أَفْضَلُ مِنَ الْمَشْيِ خَلْفَهَا , فَكَذَلِكَ مَشْيُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا خَلْفَهَا , حُجَّةٌ لِمُخَالِفِكُمْ عَلَيْكُمْ أَنَّ ذَلِكَ أَفْضَلُ مِنَ الْمَشْيِ أَمَامَهَا , فَقَدِ اسْتَوَى خَصْمُكُمْ , وَأَنْتُمْ فِي هَذَا الْبَابِ , فَلَا حُجَّةَ لَكُمْ فِيهِ عَلَيْهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭৫৬
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৫৬। আবু বাকরা (রাযিঃ) ও ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ)....মুগীরা ইব্‌ন শু’বা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আরোহী জানাযার পিছনে চলবে এবং পদব্রজে গমনকারী যেভাবে ইচ্ছা চলবে।
এই হাদীসেও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জানাযার পিছনে চলাকে বৈধ করেছেন, যেমনিভাবে বৈধ করেছেন আগে আগে চলাকে। কিন্তু উত্তম কোনটি এ বিষয়ে আমাদের উল্লেখিত হাদীসে কিছুই উল্লেখ নেই। মুগীরা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অর্থের অনুরূপ হাদীস আনাস ইব্‌ন মালিক (থেকে) বর্ণিত আছে, যা তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেননি।
2756 - وَقَدْ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , وَابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَا: ثنا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ بْنِ فَارِسٍ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ , عَنْ زِيَادِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الرَّاكِبُ خَلَفَ الْجِنَازَةِ , وَالْمَاشِي , حَيْثُ شَاءَ مِنْهَا» فَأَبَاحَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَيْضًا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , الْمَشْيَ خَلَفَ الْجِنَازَةِ , كَمَا أَبَاحَ الْمَشْيَ أَمَامَهَا. وَلَيْسَ فِي شَيْءٍ مِمَّا ذَكَرْنَا مَا يَدُلُّ عَلَى الْأَفْضَلِ مِنْ ذَلِكَ , مَا هُوَ؟ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مَا مَعْنَاهُ , قَرِيبٌ مِنْ مَعْنَى حَدِيثِ الْمُغِيرَةِ , وَلَمْ يَذْكُرْ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৫৮
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৫৭-২৭৫৮। রাওহ ইব্‌নুল ফারাজ (রাহঃ).... আনাস ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ) থেকে সেই ব্যক্তির বিষয়ে বর্ণনা করেন, যে জানাযার অনুসরণ করে। তিনি বলেছেনঃ নিশ্চই তোমরা তাকে বিদায় জানাবার জন্য এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছ। অতএব তাঁর অগ্রে-পশ্চাতে, ডানে-বামে (প্রত্যেক দিক দিয়ে) চল।

রাওহ ইব্‌নুল ফারাজ (রাহঃ).... আনাস ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকেও (নিম্নতোক্ত হাদীস) বর্ণিত আছেঃ
2757 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: ثنا بَكْرُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فِي الرَّجُلِ يَتْبَعُ الْجِنَازَةَ. قَالَ: «إِنَّمَا أَنْتُمْ مُشَيِّعُونَ لَهَا , فَامْشُوا بَيْنَ يَدَيْهَا وَخَلْفَهَا , وَعَنْ يَمِينِهَا وَشِمَالِهَا»

2758 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: ثنا ابْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِثْلَهُ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭৫৯
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৫৯। আব্দুল গনী ইব্‌ন রিফায়া আল-লখমী (রাহঃ).... বারা ইব্‌ন আযিব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, আমাদেরকে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) জানাযা অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, তিনি তাঁদেরকে জানাযা অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আর কোন বস্তুর অনুসরণকারী সে বস্তু অপেক্ষা পিছনেই হয়, অগ্রে হয় না। আমাদের উল্লিখিত বর্ণনার দ্বারা যুহরী (রাহঃ)-এর উক্তি “জানাযার পিছনে চলা সুন্নতের বিচ্যুতি” - এর অসারতা প্রমাণিত হয়।
2759 - مَا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْغَنِيِّ بْنُ رِفَاعَةَ اللَّخْمِيُّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ أَشْعَثَ بْنِ سُلَيْمٍ , قَالَ: سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ , قَالَ: سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ يَقُولُ: «أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِاتِّبَاعِ الْجِنَازَةِ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ أَمَرَهُمْ بِاتِّبَاعِ الْجِنَازَةِ , وَالْمُتَّبِعُ الْمَشْيَ , هُوَ الْمُتَأَخِّرُ عَنْهُ , لَا الْمُتَقَدِّمُ أَمَامَهُ. فَفِيمَا ذَكَرْنَا , مَا قَدْ دَلَّ عَلَى فَسَادِ قَوْلِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ الْمَشْيَ خَلَفَ الْجِنَازَةِ مِنْ خَطَأِ السُّنَّةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:২৭৬০
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৬০। রবীউল মু’আযযিন (রাহঃ)..... আমর ইব্‌ন হুরায়স (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আলী ইব্‌ন তালিব (রাযিঃ) কে বললাম! জানাযার আগে আগে চলার বিষয়ে আপনি কি মনে বলেন?
আলী ইব্‌ন তালিব (রাযিঃ) বললেনঃ এর সম্মুখে চলা অপেক্ষা পিছনে চলা এরূপ শ্রেষ্ঠত্ব রাখে যেমনিভাবে শ্রেষ্ঠত্ব রাখে ফরয সালাত নফল সালাতের উপর। রাবী বলেন, আমি বললাম, আমি তো আবু বকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ) কে জানাযার আগে আগে চলতে দেখেছি। তিনি বললেন, তাঁরা উভয়ে লোকদের কষ্ট দেয়া অপছন্দ করতেন।
2760 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، قَالَ: قُلْتُ لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , مَا تَقُولُ فِي الْمَشْيِ أَمَامَ الْجِنَازَةِ؟ فَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «الْمَشْيُ خَلْفَهَا أَفْضَلُ مِنَ الْمَشْيِ أَمَامَهَا , كَفَضْلِ الْمَكْتُوبَةِ عَلَى التَّطَوُّعِ» . قَالَ: قُلْتُ , فَإِنِّي رَأَيْتُ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَمْشِيَانِ أَمَامَهَا , فَقَالَ: «إِنَّهُمَا يَكْرَهَانِ أَنْ يُحْرِجَا النَّاسَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭৬১
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৬১। রাওহ ইব্‌নুল ফারাজ (রাহঃ).... ইব্‌ন আবযা (রাহঃ)-এর পিতা আবযা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার এক জানাযায় চলছিলাম যাতে আবু বকর (রাযিঃ), উমর (রাযিঃ) ও আলী (রাযিঃ) উপস্থিত ছিলেন। আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) জানাযার আগে আগে চলছিলেন, আর আলী (রাযিঃ) পিছনে চলছিলেন। আমার হাত তাঁর হাতে ছিলো, আলী (রাযিঃ) বললেন, জেনে রেখঃ সেই ব্যক্তির শ্রেষ্ঠত্ব যে কিনা জানাযার পিছনে পিছনে চলে ঐ ব্যক্তির উপরে যে আগে আগে চলে, যেমন শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে একাকি সালাত আদায়ের উপর জামাতে সালাত আদায়ের। তাঁরা উভয়েই এই বিষয়ে অবহিত আছেন, যেমনিভাবে আমি অবহিত রয়েছি। কিন্তু তাঁরা সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন, যেন লোকদের জন্য বিষয়টি সহযসাধ্য হয়।

এই হাদীসে আলী (রাযিঃ) জানাযার আগে আগে চলাওপেক্ষা পিছনে চলাকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং তাঁর উক্তি “নিশ্চই আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তেমনি অবহিত আছেন, যেমনিভাবে আবহিত রয়েছি। কিন্তু তাঁরা লোকদের জন্য সহজসাধ্য বিষয়ের বিবেচনা করে টা পরিত্যাগ করেছেন। এজন্য নয় যে, অন্যটি অপেক্ষা এটি উত্তম। এটি আসলে এরূপ বিষয় যা রায় বা নিজস্ব সিদ্ধান্ত বলা যায় না। বরং এটি বলা যায় এবং জানা যায় টা দ্বারা, যা তাঁদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অবহিত করেছেন এবং শিক্ষা দিয়েছেন। অতএব আমরা যে রিওয়াত বর্ণনা করেছি এর সঠিক মর্ম নিরূপণ দ্বারা প্রমাণিত হল যে, জানাযার আগে আগে চলা অপেক্ষা পিছনে চলা উত্তম।
2761 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي فَرْوَةَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنْ زَائِدَةَ بْنِ خِرَاشٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كُنْتُ أَمْشِي فِي جِنَازَةٍ فِيهَا أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ. فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَمْشِيَانِ أَمَامَهَا , وَعَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَمْشِي خَلْفَهَا يَدِي فِي يَدِهِ. فَقَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «أَمَّا إِنَّ فَضْلَ الرَّجُلِ يَمْشِي خَلَفَ الْجِنَازَةِ , عَلَى الَّذِي يَمْشِي أَمَامَهَا , كَفَضْلِ صَلَاةِ الْجَمَاعَةِ عَلَى صَلَاةِ الْفَذِّ , وَإِنَّهُمَا لَيَعْلَمَانِ مِنْ ذَلِكَ مِثْلَ الَّذِي أَعْلَمُ , وَلَكِنَّهُمَا سَهْلَانِ يُسَهِّلَانِ عَلَى النَّاسِ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ تَفْضِيلُ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ الْمَشْيَ خَلَفَ الْجِنَازَةِ , عَلَى الْمَشْيِ أَمَامَهَا. وَقَوْلُهُ «إِنَّ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَعْلَمَانِ مِثْلَ مَا أَعْلَمُ , وَإِنَّهُمَا إِنَّمَا يَتْرُكَانِ ذَلِكَ لِلتَّسْهِيلِ عَلَى النَّاسِ» , لَا لِأَنَّ ذَلِكَ أَفْضَلُ مِنْ غَيْرِهِ. وَهَذَا مِمَّا لَا يُقَالُ بِالرَّأْيِ , إِنَّمَا يُقَالُ وَيُعْلَمُ , بِمَا قَدْ وَقَفَهُمْ عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَعَلَّمَهُمْ إِيَّاهُ مِنْ ذَلِكَ. فَقَدْ ثَبَتَ بِتَصْحِيحِ مَا رَوَيْنَا , أَنَّ الْمَشْيَ خَلَفَ الْجِنَازَةِ , أَفْضَلُ مِنَ الْمَشْيِ أَمَامَهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭৬২
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৬২। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাযিঃ).... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ একবার আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) এক জানাযায় বের হলেন এবং আমি তাঁর সাথে ছিলাম। তিনি এর সাথে মহিলাদেরকে দেখে থেমে গিয়ে বললেন, এদেরকে ফিরিয়ে দাও। তাঁরা হচ্ছে জীবিত ও মৃতের জন্য ফিতনা। তারপর তিনি এর পিছনে চললেন। আমি বললাম! হে আবু আব্দুর রহমান! জানাযার ক্ষেত্রে (বহনকালে) কিভাবে চলা বিধেয়, এর আগে না পিছনে পিছনে? তিনি বললেন, তুমি কি আমকে দেখতে পাচ্ছ না যে, আমি এর পিছনে পিছনে চলছি।
এই আবু আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) যখন তাঁকে জানাযা’র (বহনকালে) চলা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি প্রশ্নকারীকে উত্তর দিয়েছিলেন যে, এর পিছনে চলবে। আর এটিই আমরা তাঁর সূত্রে এ অনুচ্ছেদের শুরু ভাগে রিওয়ায়াত করে এসেছি যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) লোকদের জন্য সহজসাধ্য হওয়ার বিষয় বিবেচনা করে এমনটি করতেন। আর তাঁদেরকে একথা জানিয়ে দেয়ার জন্য যে, জানাযার আগে আগে চলা অপেক্ষা পিছনে চলা যদিও উত্তম, কিন্তু এটি এরূপ বিষয় যা করা যেতে পারে এবং অন্যটি অন্যটিও করা যেতে পারে।

অনুরূপভাবে এই বিষয়ে ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতঃ সালিম (রাহঃ) তাঁর থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি জানাযার অগ্রভাগে চলতেন। এতে অগ্রভাগে চলার বৈধতা বুঝা যাচ্ছে, এরূপ নয় যে, তা পিছনে চলা অপেক্ষা উত্তম। তারপর তাঁর থেকে নাফি’ (রাহঃ) বর্ণনা করেছেনঃ তিনি এর (জানাযার) পিছনে চলেছেন। এটি দ্বারাও প্রমাণিত হচ্ছে যে, জানাযার পিছনে চলা বৈধ, এজন্য নয় যে, এটি অন্যটি অপেক্ষা উত্তম। যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো তখন তিনি তাকে সেই চলার কথাই বলেছিলেন, যা জানাযায় করা তার জন্য উচিত যে এর পিছনে (চলবে)। এই জন্য যে, এটিই অন্যটি অপেক্ষা উত্তম।

আমরা বারা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রিওয়ায়াত করেছি যে, নবী করীম (ﷺ) তাঁদের জানাযা অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন। এর সাধারণ অর্থ হচ্ছে সেই (জানাযার) পিছনে চলা। এতে প্রতীয়মান হয় যে, জানাযার হক হচ্ছে এর অনুসরণ করা এবং এর প্রতি দুআ করা। সুতরাং এর মুসল্লী (জানাযার সালাত আদায়কারী) সালাতে সেটি অপেক্ষা পিছনে থাকবে। অতএব এর ভিত্তিতে যুক্তির দাবী হচ্ছে, এর অনুসরণকারী অনুসরণে এর পিছনে থাকবে। বস্তুত এটিই হচ্ছে হাদীসসমূহের সাথে সঙ্গতি রক্ষা করে যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ।
2762 - وَقَدْ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ الْبَهْرَانِيُّ , فَقَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ , عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ , عَنْ نَافِعٍ , قَالَ: خَرَجَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَأَنَا مَعَهُ عَلَى جِنَازَةٍ فَرَأَى مَعَهَا نِسَاءً , فَوَقَفَ ثُمَّ قَالَ: «رُدَّهُنَّ , فَإِنَّهُنَّ فِتْنَةُ الْحَيِّ وَالْمَيِّتِ» ثُمَّ مَضَى , فَمَشَى خَلْفَهَا. فَقُلْتُ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ , كَيْفَ الْمَشْيُ فِي الْجِنَازَةِ؟ . أَمَامَهَا أَمْ خَلْفَهَا؟ . فَقَالَ: «أَمَا تَرَانِي أَمْشِي خَلْفَهَا» فَهَذَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , لَمَّا سُئِلَ عَنِ الْمَشْيِ فِي الْجِنَازَةِ , أَجَابَ سَائِلَهُ , إِنَّهُ خَلْفَهَا , وَهُوَ الَّذِي رَوَيْنَا عَنْهُ فِي الْبَابِ الْأَوَّلِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَمْشِي أَمَامَهَا. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ عَلَى جِهَةِ التَّخْفِيفِ عَلَى النَّاسِ , لِيُعَلِّمَهُمْ أَنَّ الْمَشْيَ خَلَفَ الْجِنَازَةِ , وَإِنْ كَانَ أَفْضَلَ مِنَ الْمَشْيِ أَمَامَهَا , لَيْسَ هُوَ مِمَّا لَا بُدَّ مِنْهُ , وَلَا مِمَّا يُحْرَجُ تَارِكُهُ , وَلَكِنَّهُ مِمَّا لَهُ أَنْ يَفْعَلَهُ , وَيَفْعَلَ غَيْرَهُ. وَكَذَلِكَ مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ مِنْ ذَلِكَ , , فَرَوَى عَنْهُ سَالِمٌ أَنَّهُ كَانَ يَمْشِي أَمَامَ الْجِنَازَةِ. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى إِبَاحَةِ الْمَشْيِ أَمَامَهَا , لَا عَلَى أَنَّ ذَلِكَ أَفْضَلُ مِنَ الْمَشْيِ خَلْفَهَا , ثُمَّ رَوَى عَنْهُ نَافِعٌ أَنَّهُ مَشَى خَلْفَهَا. فَدَلَّ ذَلِكَ أَيْضًا عَلَى إِبَاحَتِهِ الْمَشْيَ خَلْفَهَا , لَا عَلَى أَنَّ ذَلِكَ أَفْضَلُ مِنْ غَيْرِهِ. فَلَمَّا سَأَلَهُ , أَخْبَرَهُ بِالْمَشْيِ الَّذِي يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَفْعَلَ فِي الْجِنَازَةِ خَلْفَهَا , عَلَى أَنَّهُ هُوَ الَّذِي هُوَ أَفْضَلُ مِنْ غَيْرِهِ. وَقَدْ رَوَيْنَا فِي حَدِيثِ الْبَرَاءِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَمَرَهُمْ بِاتِّبَاعِ الْجِنَازَةِ» , وَالْأَغْلَبُ مِنْ مَعْنَى ذَلِكَ , هُوَ الْمَشْيُ خَلْفَهَا أَيْضًا. فَصَارَ بِذَلِكَ مِنْ حَقِّ الْجِنَازَةِ , اتِّبَاعُهَا وَالصَّلَاةُ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ يُصَلِّي عَلَيْهَا يَكُونُ فِي صَلَاتِهِ عَلَيْهَا مُتَأَخِّرًا عَنْهَا. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ الْمُتَّبِعُ لَهَا فِي اتِّبَاعِهِ لَهَا , مُتَأَخِّرًا عَنْهَا , فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ مَعَ مَا قَدْ وَافَقَهُ مِنَ الْآثَارِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭৬৩
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৬৩। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ).... হারিস ইব্‌ন আবী রবী’আ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) কে তাঁর মৃত নসরাণী উম্মুওয়ালাদ দাসীর (সৎকারের) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছেন। ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) তাঁকে বললেন, তুমি তার থেকে দূরে থেকে তোমার সিদ্ধান্ত মুতাবিক নির্দেশ দাও। তারপর এর আগে চল। যেহেতু যে ব্যক্তি জানাযার আগে আগে চলে সে তার অন্তর্ভুক্ত নয়। এই ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) খবর দিচ্ছেন যে, যে ব্যক্তি জানাযার অগ্রভাগে চলে সে তার অনর্ভুক্ত নয়।

সুতরাং তার নিকট বিষয়টি অনুরূপ হওয়া অসম্ভব, অথচ তিনি নবী করীম (ﷺ) কে জানাযার আগে আগে চলতে দেখেছেন। এতে প্রমাণিত হল যে, সালিম (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ যা মালিক (রাহঃ), যুহরী (রাহঃ) সূত্রে মউকুফ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। অথবা সেই হাদীসের অনুরূপ, যা উকায়ল (রাহঃ) ও ইউনুস (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ) সূত্রে মউকুফ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। পক্ষান্তরে তা সেই হাদীসের অনুরূপ নয় যা ইব্‌ন উয়ায়না (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ) থেকে, তিনি সালিম (রাহঃ) থেকে, তিনি তার পিতা আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) থেকে মারফূ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
2763 - وَقَدْ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ , قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَرِيكٍ الْعَامِرِيِّ , قَالَ: سَمِعْتُ الْحَارِثَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ سَأَلَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ , عَنْ أُمِّ وَلَدٍ لَهُ نَصْرَانِيَّةٍ , مَاتَتْ. فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: «تَأْمُرُ بِأَمْرِكَ وَأَنْتَ بَعِيدٌ مِنْهَا ثُمَّ تَسِيرُ أَمَامَهَا , فَإِنَّ الَّذِي يَسِيرُ أَمَامَ الْجِنَازَةِ لَيْسَ مَعَهَا» فَهَذَا ابْنُ عُمَرَ يُخْبِرُ أَنَّ الَّذِي يَسِيرُ أَمَامَ الْجِنَازَةِ لَيْسَ مَعَهَا. فَاسْتَحَالَ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ عِنْدَهُ كَذَلِكَ , وَقَدْ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْشِي أَمَامَ الْجِنَازَةِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ أَصْلَ حَدِيثِ سَالِمٍ الَّذِي رَوَيْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , إِنَّمَا هُوَ كَمَا رَوَاهُ مَالِكٌ؟ عَنِ الزُّهْرِيِّ مَوْقُوفًا، أَوْ كَمَا رَوَاهُ عُقَيْلٌ وَيُونُسُ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ سَالِمٍ مَوْقُوفًا. لَا كَمَا رَوَاهُ ابْنُ عُيَيْنَةَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ مَرْفُوعًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭৬৪
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৬৪। ইব্‌ন আবী মারইয়াম (রাহঃ).... মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাযিঃ)-এর সাথে বসা ছিলাম। (এমন সময়) একটি জানাযা অতিক্রম করছিল; এতে ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে গেলেন। এরপর তিনি (আমাকে) বললেন, দাঁড়াও! যেহেতু আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তাঁর কাছ দিয়ে অতিক্রমকারী এক ইয়াহুদী জানাযার জন্য উঠে দাঁড়াতে দেখেছি। তাঁকে বলা হল আপনি কি এর অনুসরণ করার ইচ্ছা রাখেন? জানাযার অনুসরণে তো ছওয়াব রয়েছে। তাই আমরা জানাযার সাথে চলতে লাগলাম। তারপর তিনি তাকিয়ে কিছু সংখ্যক লোকদের দেখতে পেলেন এবং বললেনঃ জানাযার সম্মুখে এরা কারা? আমি বললাম, তারা জানাযার পরিজন। তিনি বললেনঃ জানাযার সাথে তাদের কি? বরং তারা এর প্রান্তে (ডানে-বামে) অথবা পিছনে চলবে। তিনি চালছিলেন, হঠাৎ তিনি এক চিৎকার করে ক্রন্দনকারিণী আওয়াজ শুনতে পেয়ে আমাকে পিছনের দিকে ঘুরিয়ে দিলেন এবং আমার হাত ধারণপূর্বক উক্ত ক্রনদনকারিণী স্ত্রীলোকটির সম্মুখে গিয়ে তাকে সম্বোধন করে দোষারোপ করলেন এবং বললেন, তুমি আমাদের এই জানাযার (ছাওয়াব থেকে) বঞ্চিত করে দিয়েছ। হে মুজাহিদ! যাও, তুমি নিশ্চই ছওয়াব চাচ্ছ, আর এই মহিলাটি চাচ্ছে গুনাহ (পাপ)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে যে জানাযার সাথে চিৎকার করে ক্রন্দনকারী থাকে তা অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন।

প্রশ্নঃ যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, জানাযার অগ্রভাগে চলা অপেক্ষা পিছনে চলা কিভাবে উত্তম হতে পারে? অথচ উমার ইব্‌নুল খাত্তাব (রাযিঃ) নবী করীম রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীগণের উপস্থিতিতে যায়নাব (রাযিঃ)-এর জানাযায় লোকদের এর সম্মুখে অগ্রসর করে দিচ্ছিলেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, তিনি এর পিছনে চলাকে মোটেও জায়েজ মনে করতেন না। তা না হলে অবশ্যই তিনি তা সেই ব্যক্তির জন্য বৈধ করতেন যে ব্যক্তি জানাযার পিছনে চলে।

উত্তরঃ উত্তরে তাঁকে বলা হবেঃ আপনি যা উল্লেখ করেছেন তা কিভাবে সম্ভব? অথচ আলী ইব্‌ন আবী তালিব (রাযিঃ) বলেছেনঃ তাঁরা অর্থাৎ আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) জানেন যে, জানাযার আগে আগে চলা অপেক্ষা এর পিছনে চলা উত্তম। তারপর তিনি (উমর রা) এই বিষয়টি করেছেন, যা আপনি উল্লেখ করেছেন।
কিন্তু আমাদের মতে তিনি তা করেছেন (আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন) বিশেষ কারণে, যেহেতু এর পিছনে স্ত্রীলোকগণ ছিলো, এই জন্য তিনি পুরুষদের জন্য মহিলাদের সাথে মিশে যাওয়াকে খারাপ মনে করেছেন। অতএব উক্ত কারণে তিনি তাদেরকে জানাযার সম্মুখভাগে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য নির্দেশ দেননি যে, তা (আগে চলে) পিছনে চলা অপেক্ষা উত্তম। আমি ইউনুস (রাহঃ) কে ইব্‌ন ওয়াহব (রাহঃ) থেকে উল্লেখ করেতে শুনেছি, তিনি শুনেছেন সেই ব্যক্তি থেকে যিনি এরূপ বলেছেন। আর যে অর্থ এই হাদীসের ব্যাখ্যা করা হয়েছে এটি-ই উত্তম। যাতে আলী (রাযিঃ), আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) থেকে যা উল্লেখ করেছেন তার সাথে সাংঘর্ষিক না হয়।
2764 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ، قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ، قَالَ: ثنا أَبُو يَحْيَى، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: " كُنْتُ مَعَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا جَالِسًا , فَمَرَّتْ جِنَازَةٌ , فَقَامَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، ثُمَّ قَالَ: قُمْ , فَإِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ لِجِنَازَةِ يَهُودِيٍّ مَرَّتْ عَلَيْهِ. فَقِيلَ: هَلْ لَكَ أَنْ تَتْبَعَهَا , فَإِنَّ فِي اتِّبَاعِ الْجِنَازَةِ أَجْرًا؟ فَانْطَلَقْنَا نَمْشِي مَعَهَا , فَنَظَرَ فَرَأَى نَاسًا , فَقَالَ: مَا أُولَئِكَ الَّذِينَ بَيْنَ يَدَيِ الْجِنَازَةِ؟ قُلْتُ: هُمْ أَهْلُ الْجِنَازَةِ , فَقَالَ: مَا هُمْ مَعَ الْجِنَازَةِ , وَلَكِنْ كَتِفَيْهَا أَوْ وَرَاءَهَا. فَبَيْنَمَا هُوَ يَمْشِي إِذْ سَمِعَ رَانَّةً , فَاسْتَدَارَنِي وَهُوَ قَابِضٌ عَلَى يَدِي فَاسْتَقْبَلَهَا , فَقَالَ لَهَا شَرًّا , حَرَمْتِينَا هَذِهِ الْجِنَازَةَ اذْهَبْ يَا مُجَاهِدُ , فَإِنَّكَ تُرِيدُ الْأَجْرَ , وَهَذِهِ تُرِيدُ الْوِزْرَ , إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَانَا أَنْ نَتْبَعَ الْجِنَازَةَ مَعَهَا رَانَّةٌ " فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: وَكَيْفَ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ الْمَشْيُ خَلَفَ الْجِنَازَةِ أَفْضَلَ مِنَ الْمَشْيِ أَمَامَهَا؟ وَقَدْ كَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ بِحَضْرَةِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جِنَازَةِ زَيْنَبَ , يُقَدِّمَ النَّاسَ أَمَامَهَا فَذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ كَانَ لَا يَرَى الْمَشْيَ خَلْفَهَا أَصْلًا , وَلَوْلَا ذَلِكَ لَأَبَاحَهُ لِمَنْ مَشَى خَلْفَهَا. قِيلَ لَهُ: وَكَيْفَ يَجُوزُ مَا ذَكَرْتُ؟ . وَقَدْ قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: إِنَّهُمَا، يُرِيدُ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، يَعْلَمَانِ أَنَّ الْمَشْيَ خَلْفَهَا أَفْضَلُ مِنَ الْمَشْيِ أَمَامَهَا , ثُمَّ يَفْعَلُ هَذَا الْمَعْنَى الَّذِي ذَكَرْتُ؟ [ص:485] وَلَكِنَّهُ فَعَلَ ذَلِكَ، عِنْدَنَا وَاللهُ أَعْلَمُ، لِعَارِضٍ , إِمَّا لِنِسَاءٍ كُنَّ خَلْفَهَا , فَكَرِهَ لِلرِّجَالِ مُخَالَطَتَهُنَّ , فَأَمَرَهُمْ بِتَقَدُّمِ الْجِنَازَةِ لِذَلِكَ الْعَارِضِ لَا لِأَنَّهُ أَفْضَلُ مِنَ الْمَشْيِ خَلْفَهَا. وَقَدْ سَمِعْتُ يُونُسُ يَذْكُرُ عَنِ ابْنِ وَهْبٍ أَنَّهُ سَمِعَ مَنْ يَقُولُ ذَلِكَ , وَهُوَ أَوْلَى مَا حُمِلَ عَلَيْهِ مَعْنَى ذَلِكَ الْحَدِيثِ , حَتَّى لَا يُضَادَّ مَا ذَكَرَهُ عَلِيٌّ عَنْ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:২৭৬৫
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৬৫। ফাহাদ (রাহঃ).... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ যখন এর (জানাযার) সাথে স্ত্রী লোকগণ হত, আসওয়াদ (রাহঃ) আমার হাত পাকড়াও করতেন। এতে আমরা অগ্রভাগে চলে যেতাম এবং এর আগে আগে চলতাম। আর যখন এর সাথে স্ত্রীলোকগণ না হত তখন আমরা এর পিছনে পিছনে চলতাম।
বস্তুত এই আসওয়াদ ইব্‌ন ইয়াযীদ আব্দুল্লাহ ইব্‌ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর সু-দীর্ঘ সহচর্য এবং উমর (রাযিঃ)-এর সহচার্য লাভে ধন্য হওয়া সত্বেও তাঁর ইচ্ছা থাকতো জানাযা এর পিছনে চলতে। তবে কোন বিশেষ কারণের প্রেক্ষিতে এর আগে আগে চলতেন, এই জন্য নয় যে, তার নিকট তা অন্যটির চেয়ে উত্তম ছিল।
অনুরূপভাবে উমর (রাযিঃ) যায়নাব (রাযিঃ)-এর জানাযায় তিনি যা করেছেন, এ সম্পর্কে তাঁর থেকে যে রিওয়ায়াত আমরা বর্ণনা করেছি এটিও আমাদের মতে এ অর্থে নেয়া হয়েছে। আল্লাহ-ই ভাল জানেন।
2765 - وَقَدْ حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ , قَالَ: أنا شَرِيكٌ , عَنْ مُغِيرَةَ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , قَالَ: «كَانَ الْأَسْوَدُ إِذَا كَانَ مَعَهَا نِسَاءٌ أَخَذَ بِيَدِي , فَتَقَدَّمْنَا نَمْشِي أَمَامَهَا , فَإِذَا لَمْ يَكُنْ مَعَهَا نِسَاءٌ , مَشَيْنَا خَلْفَهَا» فَهَذَا الْأَسْوَدُ بْنُ يَزِيدَ، عَلَى طُولِ صُحْبَتِهِ لِعَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ , وَعَلَى صُحْبَتِهِ لِعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَدْ كَانَ قَصْدُهُ فِي الْمَشْيِ مَعَ الْجِنَازَةِ إِلَى الْمَشْيِ خَلْفَهَا , إِلَّا أَنْ يَعْرِضَ لَهُ عَارِضٌ فَمَشَى أَمَامَهَا لِذَلِكَ الْعَارِضِ , لَا لِأَنَّ ذَلِكَ أَفْضَلُ عِنْدَهُ مِنْ غَيْرِهِ. فَكَذَلِكَ عُمَرُ , مَا رَوَيْنَاهُ عَنْهُ فِيمَا فَعَلَهُ فِي جِنَازَةِ زَيْنَبَ , هُوَ عَلَى هَذَا الْمَعْنَى عِنْدَنَا وَاللهُ أَعْلَمُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭৬৬
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৬৬। মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুয়ায়মা (রাহঃ) ও রূহ ইব্‌নুল ফারায (রাহঃ).... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তাঁরা (আব্দুল্লাহ ইব্‌ন মাসউদ রা-এর শির্ষ্যগণ) জানাযার আগে আগে চলাকে মাকরূহ মনে করতেন।
এই ইবরাহীম (রাহঃ) এটি বলেছেন। যখন তিনি বলেছেন- এর দ্বারা আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর শিষ্যগণকে বুঝিয়েছেন। তাঁরা অবশ্যই এটিকে মাকরূহ মনে করতেন। তারপর তাঁরা তা কোন ওজরের কারণে করছেন।যেহেতু এটা উত্তম ছিলো নারীদের সাথে সহ-অবস্থানে মিশে যাওয়া থেকে যখন তাঁরা (নারীরা) জানাযায় নিকটবর্তী হয় (তখন আগে চলাই উত্তম হবে)। পক্ষান্তরে তারা যখন তা থেকে দূরে থাকবে অথবা তার সাথে স্ত্রীলোকগণ না থাকে তাহলে তার আগে ডানে-বামে চলা অপেক্ষা এর পিছনে চলা উত্তম হবে। এটিই হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইব্‌নুল হাসান (রাহঃ)-এর অভিমত।
2766 - وَقَدْ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي السَّرِيِّ , قَالَ: ثنا فُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ , قَالَ: ثنا مَنْصُورٌ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ. ح وَحَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , عَنْ مُغِيرَةَ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , قَالَ: «كَانُوا يَكْرَهُونَ السَّيْرَ أَمَامَ الْجِنَازَةِ» فَهَذَا إِبْرَاهِيمُ يَقُولُ هَذَا , وَإِذَا قَالَ: «كَانُوا» فَإِنَّمَا يَعْنِي بِذَلِكَ أَصْحَابَ عَبْدِ اللهِ , فَقَدْ كَانُوا يَكْرَهُونَ هَذَا , ثُمَّ يَفْعَلُونَهُ لِلْعُذْرِ , لِأَنَّ ذَلِكَ هُوَ أَفْضَلُ مِنْ مُخَالَطَةِ النِّسَاءِ إِذَا قَرُبْنَ مِنَ الْجِنَازَةِ , فَأَمَّا إِذَا بَعُدْنَ مِنْهَا , أَوْ لَمْ يَكُنْ مَعَهَا نِسَاءٌ , فَإِنَّ الْمَشْيَ خَلْفَهَا أَفْضَلُ مِنَ الْمَشْيِ أَمَامَهَا وَعَنْ يَمِينِهَا , وَعَنْ شِمَالِهَا. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান