শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১২ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২৩৪১
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৪২
৫৯. রুগ্ন ব্যক্তির পিছনে সুস্থ ব্যক্তির সালাত।
২৩৪১-২৩৪২। আলী ইবন শাহবা (রাহঃ) ও ফাহাদ (রাহঃ) .. জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে নিয়ে যুহরের সালাত আদায় করেছেন আর আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর পিছনে
রয়েছেন। যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকবীর বললেন- আবু বকর (রাযিঃ)ও আমাদের শুনাবার জন্য তাকবীর বলেছেন। তিনি আমাদেরকে দাঁড়ানাে দেখে বললেন, তােমরা বস, বসার জন্য তাদের দিকে ইংগিত করেন। তিনি সালাত শেষ করে বললেন, তােমরা তাে তােমাদের এ কাজ প্রায় পারস্য ও রােম অধিবাসীদের ন্যায় করছ, যা তারা তাদের বড়দের জন্য করে দাঁড়িয়ে থাকে। তােমরা (প্রত্যেক বিষয়ে) তােমাদের ইমামদের অনুসরণ কর। যদি তারা দাঁড়িয়ে সালাত পড়ে, তােমরা দাঁড়িয়ে পড়। যদি তারা বসে সালাত পড়ে, তােমরাও
বসে পড়।
بَابُ صَلَاةِ الصَّحِيحِ خَلْفَ الْمَرِيضِ
2341 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى ح

2342 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ , قَالَا: ثنا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنُ حُمَيْدٍ الرُّؤَاسِيُّ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: " صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ , وَأَبُو بَكْرٍ خَلْفَهُ , فَإِذَا كَبَّرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَبَّرَ أَبُو بَكْرٍ لِيُسْمِعَنَا. فَبَصَرَ بِنَا قِيَامًا فَقَالَ: «اجْلِسُوا» أَوْمَى بِذَلِكَ إِلَيْهِمْ فَلَمَّا قَضَى الصَّلَاةَ قَالَ: «كِدْتُمْ أَنْ تَفْعَلُوا فِعْلَ فَارِسَ وَالرُّومِ بِعُظَمَائِهِمْ , ائْتَمُّوا بِأَئِمَّتِكُمْ , فَإِنْ صَلَّوْا قِيَامًا , فَصَلُّوا قِيَامًا , وَإِنْ صَلَّوْا جُلُوسًا , فَصَلُّوا جُلُوسًا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৪৫
রুগ্ন ব্যক্তির পিছনে সুস্থ ব্যক্তির সালাত।
২৩৪৩-২৩৪৫। ইউনুস (রাহঃ) ..... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার রাসূলুল্লাহর (ﷺ) ঘােড়ার উপর আরোহণ করেন এবং ঘােড়া থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর ডান পার্শ্ব আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এতে তিনি বসে বসে সালাত আদায় করেন আর আমরাও তার পিছনে বসে বসে সালাত আদায় করলাম। সালাত শেষে তিনি আমাদের দিকে ফিরে বললেন, ইমাম করা হয় তাকে অনুসরণ করার জন্য। সুতরাং তিনি যখন দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবেন তখন তােমরাও দাঁড়িয়ে আদায় করবে এবং তিনি যখন বসে আদায় করবেন তােমরা সকলে বসে আদায় করবে।
ইউনুস (রাহঃ) ….. ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।

সালিহ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ)…. আনাস ইবনে আব্দুল মালিক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিয়াওয়াত করেছেন।
2343 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكِبَ فَرَسًا فَصُرِعَ عَنْهُ فَجُحِشَ شِقُّهُ الْأَيْمَنُ , فَصَلَّى صَلَاةً مِنَ الصَّلَوَاتِ وَهُوَ قَاعِدٌ , وَصَلَّيْنَا وَرَاءَهُ قُعُودًا. فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ: «إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ , فَإِذَا صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا , وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا أَجْمَعِينَ»

2344 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ، وَيُونُسُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ،. فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

2345 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، قَالَ: ثنا حُمَيْدٌ، قَالَ: ثنا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرَ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৪৭
রুগ্ন ব্যক্তির পিছনে সুস্থ ব্যক্তির সালাত।
২৩৪৬-২৩৪৭। ইউনুস (রাহঃ).... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আয়েশা (রাযিঃ) বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গৃহে অসুস্থ অবস্থায় বসে বসে সালাত পড়েছেন আর তার পিছনে একদল লােক দাঁড়িয়ে পড়ছিলো। তিনি তাদেরকে বসার জন্য ইঙ্গিত করেছেন। তারপর তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

হুসাইন ইবনে নাছর (রাহঃ).... আয়েশা (রাযিঃ) এর বরাতে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিয়াওয়াত করেছেন।
2346 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: «صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِهِ وَهُوَ شَاكٍ , فَصَلَّى جَالِسًا , فَصَلَّى خَلْفَهُ قَوْمٌ قِيَامًا , فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنِ اجْلِسُوا» ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ

2347 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
হাদীস নং:২৩৪৮
রুগ্ন ব্যক্তির পিছনে সুস্থ ব্যক্তির সালাত।
২৩৪৮। ইবরাহীম ইবন মারযুক (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অমির আনুগত্য করল সে অবশ্যই আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে
ব্যক্তি আমার অবাধ্যতা করল সে অবশ্যই আল্লাহর অবাধ্যতা করল । যে ব্যক্তি আমীরের আনুগত্য করল সে অবশ্যই আমার আনুগত্য করল। আর যে আমীরের অবাধ্যতা করল সে অবশ্যই আমার অবাধ্যতা করল। তিনি (আমীর) যখন দাঁড়িয়ে সালাত পড়বেন তােমরাও দাঁড়িয়ে পড়বে এবং তিনি যখন বসে বসে সালাত পড়বেন তােমরাও বসে পড়বে।
2348 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا عَلْقَمَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَطَاعَنِي فَقَدْ أَطَاعَ اللهَ , وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ عَصَى اللهَ , وَمَنْ أَطَاعَ الْأَمِيرَ فَقَدْ أَطَاعَنِي , وَمَنْ عَصَى الْأَمِيرَ فَقَدْ عَصَانِي , فَإِذَا صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا , وَإِذَا صَلَّى قَاعِدًا فَصَلُّوا قُعُودًا»
হাদীস নং:২৩৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৫০
রুগ্ন ব্যক্তির পিছনে সুস্থ ব্যক্তির সালাত।
২৩৪৯-২৩৫০। নসর ইবন মারযুক (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ ইমাম করা হয় তাকে অনুসরণ করার জন্য। তিনি যখন বসে বসে সালাত পড়বেন, তােমরাও সকলে বসে বসে পড়বে।

আবু বাকরা (রাহঃ).... আবু হুরাইরা (রাযিঃ) এর বরাতে রাসূলুল্লাহ থেকে অনুরূপ রিয়াওয়াত করেছেন।
2349 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ بْنُ نَاصِحٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيِّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ , فَإِذَا صَلَّى قَاعِدًا , فَصَلُّوا قُعُودًا أَجْمَعِينَ»

2350 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩৫১
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৫২
রুগ্ন ব্যক্তির পিছনে সুস্থ ব্যক্তির সালাত।
২৩৫১-২৩৫২। আবু বাকর (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন
যে, তিনি এক দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট ছিলেন, তখন তিনি সাহাবীগণের এক দলের সাথে অবস্থান করছিলেন। তিনি তাদেরকে বললেন, তােমরা কি অবহিত নও যে, আমি তােমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল হিসাবে প্রেরিত হয়েছি ? তারা বললেন, হ্যাঁ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চয় আপনি আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেন, তােমরা কি এ বিষয়ে অবহিত নও যে, আল্লাহ তা'আলা অবশ্য তাঁর কিতাবে (কুরআনে) অবতীর্ণ করেছেন, নিশ্চয় যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল অবশ্যই সে আল্লাহর আনুগত্য করল ? তারা বললেন, হ্যাঁ অমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, অবশ্যই যে ব্যক্তি আপনার আনুগত্য করবে সে আল্লাহর আনুগত্য করল। তিনি বললেন, আমার আনুগত্য করা আল্লাহর আনুগত্যেরই নামান্তর। আর তােমাদের ইমামের আনুগত্য করা হলাে আমার আনুগত্য করার নামান্তর। (অতএব তারা (ইমাম) যদি বসে বসে সালাত আদায় করে তাহলে তােমরা সকলে বসে বসে সালাত আদায় করবে।
আবু জাফর (তাহাবী র) বলেনঃ একদল আলিম এ মত গ্রহণ করে বলেছেন, কেউ যদি এক দল
(মুকতাদী) নিয়ে উযরের কারণে বসে বসে সালাত আদায় করে, তাহলে তাদের দাঁড়ানাের শক্তি থাকা সত্ত্বেও তার পিছনে সকলে বসে বসে সালাত আদায় করবে।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরােধিতা করে বলেছেনঃ বরং তার পিছনে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে। (কারণ) তাদের ইমামের ক্ষেত্রে দাঁড়ানাে (আবশ্যিক) হওয়া রহিত হলেও তাদের জন্য রহিত হবে না।
এ বিষয়ে তারা নিম্নোক্ত হাদীসকে দলীল রূপে পেশ করেন ?
2351 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ حُمْرَانَ ح

2352 - وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ، قَالَا: ثنا عُقْبَةُ بْنُ أَبِي الصَّهْبَاءِ الْبَاهِلِيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ سَالِمًا، يَقُولُ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ كَانَ يَوْمًا مِنَ الْأَيَّامِ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ , فَقَالَ لَهُمْ: «أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنِّي رَسُولُ اللهِ إِلَيْكُمْ؟» فَقَالُوا: بَلَى , نَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ اللهِ. قَالَ: «أَفْلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنَّ اللهَ قَدْ أَنْزَلَ فِي كِتَابِهِ أَنَّ مَنْ أَطَاعَنِي فَقَدْ أَطَاعَ اللهَ؟» قَالُوا: بَلَى , نَشْهَدُ أَنَّهُ مَنْ أَطَاعَكَ فَقَدْ أَطَاعَ اللهَ. قَالَ: «فَإِنَّ مِنْ طَاعَةِ اللهِ أَنْ تُطِيعُونِي , وَإِنَّ مِنْ طَاعَتِي أَنْ تُطِيعُوا أَئِمَّتَكُمْ , فَإِنْ صَلَّوْا قُعُودًا , فَصَلُّوا قُعُودًا أَجْمَعِينَ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا , فَقَالُوا: مَنْ صَلَّى بِقَوْمٍ قَاعِدًا , مِنْ عِلَّةٍ , صَلَّوْا خَلْفَهُ قُعُودًا , وَإِنْ كَانُوا يُطِيقُونَ الْقِيَامَ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: بَلْ يُصَلُّونَ خَلْفَهُ قِيَامًا , وَلَا يَسْقُطُ عَنْهُمْ فَرْضُ الْقِيَامِ , لِسُقُوطِهِ عَنْ إِمَامِهِمْ
وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:২৩৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৫৪
রুগ্ন ব্যক্তির পিছনে সুস্থ ব্যক্তির সালাত।
২৩৫৩-২৩৫৪। আবু বিশর রকী (রাহঃ) এবং রবী'উল মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... আরকাম ইবন শুরাহবিল (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর সাথে মদীনা থেকে সিরিয়া সফর করেছি। তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- আয়েশা (রাযিঃ) এর গৃহে অবস্থানকালে যখন মৃত্যু শয্যায় শায়িত তখন তিনি বললেন, তােমরা আলী (রাযিঃ)-কে ডেকে আন। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, আমরা কি আবু বকর (রাযিঃ)-কে ডেকে আনব না ? তিনি বললেন, তাঁকে ডাক । হাফসা (রাযিঃ) বললেন, আমরা কি উমর (রাযিঃ)-কে ডেকে আনব না ? তিনি বললেন, তাকে ডাক। উম্মুল ফযল, (রাযিঃ) বললেন, আমরা কি আপনার চাচা আব্বাস (রাযিঃ)-কে ডেকে আনব না? তিনি বললেন, তাঁকে ডাক। তারা যখন সকলে উপস্থিত হলেন, তখন তিনি মাথা উত্তোলন করে বললেন, লােকদেরকে আবু বকর (রাযিঃ) সালাত পড়াবে। আবু বকর (রাযিঃ) আগে বেড়ে লােকদেরকে নিয়ে সালাত শুরু করলেন। এদিকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজে কিছুটা আরাম অনুভব করলেন এবং দু’ব্যক্তির উপর ভর করে (মসজিদের উদ্দেশ্যে) বের হয়ে পড়লেন। আবু বকর (রাযিঃ) যখন তার আগমন টের পেলেন এবং লােকেরা তাঁকে তাঁর আগমন সম্পর্কে তাসবীহ দ্বারা ইংগীত করল তখন আবু বকর (রাযিঃ) পিছনের দিকে সরে পড়তে লাগলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে নিজ স্থানে অবস্থান করতে ইংগিত করলেন। আবু বকর (রাযিঃ) যেখানে কিরা'আত শেষ করেছিলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেখান থেকে শুরু করলেন। আবু বকর (রাযিঃ) ছিলেন দাঁড়ানাে, আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছিলেন বসা। আবু বকর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ইকতিদা করেছেন আর লােকেরা আবু বকর (রাযিঃ) এর ইকতিদা করেছেন। যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালাত পূর্ণ করার পর শরীর ভারী হয়ে যাচ্ছে বলে অনুভব করলেন তখন তিনি দু'ব্যক্তির কাঁধে ভর দিয়ে বের হয়ে পড়লেন, তখন তাঁর দুপা যমীনে হেঁচড়ে হেঁচড়ে চলছিলাে। রসূলুল্লাহ (ﷺ) ইন্তিকাল করে গেলেন এবং কাউকে ওয়াসী করলেন না।
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এ হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, আবু বকর (রাযিঃ) দাড়িয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ইকতিদা করেছেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বসে (সালাত পড়াচ্ছিলেন)। বস্তুত এটি হচ্ছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আমল। এটা তাঁর সেই উক্তির পরের ঘটনা, যা পরিচ্ছেদের প্রথম দিককার হাদীসগুলোতে বর্ণিত হয়েছে।
2353 - بِمَا حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ , قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ ح

2354 - وَحَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَا: ثنا إِسْرَائِيلُ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , عَنْ أَرْقَمَ بْنِ شُرَحْبِيلَ , قَالَ: سَافَرْتُ مَعَ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى الشَّامِ. فَقَالَ: " إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا مَرِضَ مَرَضَهُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ , كَانَ فِي بَيْتِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَقَالَ: «ادْعُوَا لِي عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ» فَقَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَلَا نَدْعُو لَكَ أَبَا بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ.؟ قَالَ: «ادْعُوهُ» . فَقَالَتْ حَفْصَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَلَا نَدْعُو لَكَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ؟ قَالَ: «ادْعُوهُ» . فَقَالَتْ أُمُّ الْفَضْلِ: أَلَا نَدْعُو لَكَ الْعَبَّاسَ عَمَّكَ؟ قَالَ: «ادْعُوهُ» . فَلَمَّا حَضَرُوا رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ قَالَ: «لِيُصَلِّ لِلنَّاسِ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ» , فَتَقَدَّمَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَصَلَّى بِالنَّاسِ. وَوَجَدَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً , فَخَرَجَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ. فَلَمَّا أَحَسَّهُ أَبُو بَكْرٍ , سَبَّحُوا بِهِ , فَذَهَبَ أَبُو بَكْرٍ يَتَأَخَّرُ , فَأَشَارَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَانَكَ. فَاسْتَتَمَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَيْثُ انْتَهَى أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنَ الْقِرَاءَةِ , وَأَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَائِمٌ , وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ. فَأَتَمَّ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَتَمَّ النَّاسُ بِأَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. فَمَا قَضَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّلَاةَ , حَتَّى ثُقِلَ , فَخَرَجَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ , وَأَنَّ رِجْلَيْهِ لَتَخُطَّانِ بِالْأَرْضِ , فَمَاتَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يُوصِ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ ائْتَمَّ بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمًا وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاعِدٌ. وَهَذَا مِنْ فِعْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ قَوْلِهِ مَا قَالَ فِي الْأَحَادِيثِ الَّتِي فِي الْبَابِ الْأَوَّلِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩৫৫
রুগ্ন ব্যক্তির পিছনে সুস্থ ব্যক্তির সালাত।
২৩৫৫। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ)...উবায়দুল্লাহ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন,
আমি আয়েশা (রাযিঃ) এর নিকট গেলাম এবং আমি বললাম, আপনি কি আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইনতিকালপূর্ব রােগ সম্পর্কে বর্ণনা করবেন না? তিনি বললেন, হ্যাঁ অবশ্যই করব। লােকেরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর অপেক্ষায় ইশার সালাতের জন্য মসজিদে অবস্থান করছিলাে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ)-এর নিকট লােক পাঠিয়ে সংবাদ দিলেন যেন তিনি লােকদের নিয়ে সালাত পড়েন। তিনি সেদিন তাদেরকে নিয়ে সালাত পড়লেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের মধ্যে কিছুটা আরাম বােধ করলে দু'ব্যক্তির উপর ভর করে যুহরের সালাতের জন্য বেরিয়ে পড়লেন। আবু বকর (রাযিঃ) তখন লােকদেরকে নিয়ে সালাত পড়ছিলেন। আবু বকর (রাযিঃ) যখন তাকে দেখলেন তখন পিছনে সরে পড়তে লাগলেন। তিনি তাঁকে সরে না পড়ার জন্য ইঙ্গিত করলেন। উভয় সঙ্গীকে তিনি বললেন, তােমরা আমাকে তাঁর (আবু বকর রা) পার্শ্বে বসিয়ে দাও। তারা তাঁকে আবু বকর (রাযিঃ)-এর পার্শ্বে বসিয়ে দিলেন। পরে আবু বকর (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সালাতের ইকতিদা করে সালাত পড়ছিলেন, আর লােকেরা আবু বকর (রাযিঃ) এর সালাতের ইকতিদা করে সালাত পড়ছিলাে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বসা ছিলেন। উবায়দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, আমি ইবন আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট গিয়ে তার কাছে হাদীসটি উপস্থাপন করলে তিনি এর থেকে কিছুই অস্বীকার করেন নি।
2355 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ: ثنا زَائِدَةُ، قَالَ: ثنا مُوسَى بْنُ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَقُلْتُ: أَلَا تُحَدِّثِينِي عَنْ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَتْ: بَلَى , كَانَ النَّاسُ عُكُوفًا فِي الْمَسْجِدِ , يَنْتَظِرُونَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِصَلَاةِ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ , فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ , فَكَانَ يُصَلِّي بِهِمْ تِلْكَ الْأَيَّامِ. ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَدَ مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً , فَخَرَجَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ لِصَلَاةِ الظُّهْرِ , وَأَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ , ذَهَبَ لِيَتَأَخَّرَ , فَأَوْمَى إِلَيْهِ أَلَّا يَتَأَخَّرَ وَقَالَ لَهُمَا: «أَجْلِسَانِي إِلَى جَنْبِهِ» فَأَجْلَسَاهُ إِلَى جَنْبِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. فَجَعَلَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي وَهُوَ قَائِمٌ , بِصَلَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلَاةِ أَبِي بَكْرٍ , وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاعِدٌ. قَالَ عُبَيْدِ اللهِ فَدَخَلْتُ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَعَرَضْتُ حَدِيثَهَا عَلَيْهِ , فَمَا أَنْكَرَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:২৩৫৬
রুগ্ন ব্যক্তির পিছনে সুস্থ ব্যক্তির সালাত।
২৩৫৬। ফাহাদ (রাহঃ).... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন: যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ভারী (অসুস্থ) হয়ে পড়লেন তখন বিলাল (রাযিঃ) তাঁর নিকট এসে সালাতের ঘােষণা দিলেন। তিনি বললেন, তােমরা আবু বকর (রাযিঃ) এর নিকট যাও, তিনি যেন লােকদেরকে সালাত পড়ান। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, যদি উমর (রাযিঃ)-কে নির্দেশ দিতেন তাদেরকে সালাত পড়াবার (তাহলে ভাল হতাে) যেহেতু আবু বকর (রাযিঃ) কোমল হৃদয়ের কারণে অধিক ক্রন্দনকারী ব্যক্তি এবং তিনি আপনার স্থানে দাঁড়ালে অধিক ক্রন্দনের কারণে লােকদেরকে আওয়ায পৌছাতে সক্ষম হবেন না। তিনি বললেন, তােমরা আবু বকর (রাযিঃ)-কে নির্দেশ দাও তিনি যেন লোকদেরকে সালাত পড়ান। তারা আবু বকর (রাযিঃ)-কে এ নির্দেশের কথা অবহিত করলেন। তিনি লােকদের সালাত পড়ানাের জন্য দাঁড়ালেন। যখন তিনি সালাত শুরু করলেন তখন
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (কিছুটা) আরামবোধ করলেন এবং উঠে দু'ব্যক্তির উপর ভর করে চললেন; অথচ তার দু'পা যমীনে হেঁচড়ে হেঁচড়ে চলছিলো, আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর আগমনের আওয়ায শুনে পিছনে সরে যেতে লাগলেন। তিনি তাকে ইংগিতে বললেন, তােমার অবস্থায় থেকে সালাত পড়। পরে রাসূলুল্লাহর (ﷺ) এসে আবু বকর (রাযিঃ) এর বাম পার্শ্বে বসে পড়লেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-লােকদেরকে নিয়ে সালাত পড়ছিলেন আর আবু বকর (রাযিঃ) সঁড়িয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর ইকতিদা করছিলেন এবং লােকেরা আবু বকর (রাযিঃ) এর সালাতের সাথে ইকতিদা করছিলাে।
একদল প্রশ্নকারী প্রশ্ন করে বলেছে যে, এ হাদীসে তােমাদের পক্ষে কোন প্রমাণ নেই। যেহেতু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উক্ত সালাতে মুকতাদী রূপে ছিলেন। আর এ বিষয়ে তারা নিম্নোক্ত হাদীস দলীল হিসাবে পেশ করেনঃ
2356 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ، قَالَ: ثنا الْأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: " لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَهُ بِلَالٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يُؤْذِنُهُ بِالصَّلَاةِ فَقَالَ: «ائْتُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ» قَالَتْ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ , لَوْ أَمَرْتَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يُصَلِّي بِهِمْ , فَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ وَمَتَى يَقُومُ مَقَامَكَ لَمْ يَسْمَعِ النَّاسُ قَالَ: «مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ» فَأَمَرُوا أَبَا بَكْرٍ , فَصَلَّى بِالنَّاسِ. فَلَمَّا دَخَلَ فِي الصَّلَاةِ وَجَدَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِفَّةً , فَقَامَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ , وَرِجْلَاهُ تَخُطَّانِ فِي الْأَرْضِ , فَلَمَّا سَمِعَ أَبُو بَكْرٍ حِسَّهُ ذَهَبَ لِيَتَأَخَّرَ , فَأَوْمَى إِلَيْهِ أَنْ صَلِّ كَمَا أَنْتَ فَجَاءَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى جَلَسَ عَنْ يَسَارِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. فَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ , وَأَبُو بَكْرٍ يَقْتَدِي بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ قَائِمٌ , وَالنَّاسُ يَقْتَدُونَ بِصَلَاةِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ " فَقَالَ قَائِلُونَ: لَا حُجَّةَ لَكُمْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ فِي تِلْكَ الصَّلَاةِ مَأْمُومًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:২৩৫৭
রুগ্ন ব্যক্তির পিছনে সুস্থ ব্যক্তির সালাত।
২৩৫৭। ফাহাদ (রাহঃ).... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন মৃত্যুর অবস্থায় রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আবু বক্কর (রাযিঃ) এর পিছনে বসে বসে সালাত পড়েছেন।
2357 - بِمَا حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا شَبَابَةُ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ , عَنْ أَبِي وَائِلٍ , عَنْ مَسْرُوقٍ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: «صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَرَضِهِ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ , خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَاعِدًا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩৫৮
রুগ্ন ব্যক্তির পিছনে সুস্থ ব্যক্তির সালাত।
২৩৫৮। মুহাম্মাদ ইবনে হুমাইদ ইবনে হিশাম (রাহঃ) আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ( যার দুই প্রান্ত বিপরীত দিকে তার কাধে ছিল) আবু বক্কর (রাযিঃ) এর পিছনে সালাত পড়েছেন। আর এটি হলো তার সর্বশেষ সালাত।
2358 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ هِشَامٍ الرُّعَيْنِيُّ أَبُو قُرَّةَ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أنا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنِي حُمَيْدٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ , بُرْدٍ , مُخَالِفٌ بَيْنَ طَرَفَيْهِ , فَكَانَتْ آخِرَ صَلَاةٍ صَلَّاهَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩৫৯
রুগ্ন ব্যক্তির পিছনে সুস্থ ব্যক্তির সালাত।
২৩৫৯। আলী ইব্‌ন শায়বা (রাহঃ). আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ
রােগাক্রান্ত অবস্থায় বললেন, তােমরা আবু বকর (রাযিঃ) কে বল, যেন লােকদেরকে সালাত পড়িয়ে দেয়।
আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, আবু বকর (রাযিঃ) কোমল হৃদয়ের অধিকারী। তিনি বললেন, তােমরা আবু বকর (রাযিঃ)-কে বল, যেন লােকদেরকে সালাত পড়িয়ে দেয়। তােমরা (দেখছি) ইউসুফ (আঃ) এর (যুগের ছলনাময়ী) নারীদের ন্যায়। রাবী বলেন, আবু বকর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবদ্দশায়ই ইমাম হিসাবে দাঁড়িয়ে গেলেন।
উত্তরঃ (ক) এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে দলীল হচ্ছে যে, তারা যে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন, তা অবশ্যই। বর্ণিত আছে, কিন্তু উক্ত সালাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কার্যক্রম দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, তিনি ইমাম ছিলেন। আর তা এভাবে যে, আয়েশা (রাযিঃ) থেকে আসওয়াদ (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ
আবু বকর (রাযিঃ)-এর বাম পার্শ্বে (ইমাম হয়ে) বসে গেলেন। আর এটি হচ্ছে, ইমামের বৈঠক। যেহেতু
যদি আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর ইমাম হতেন তাহলে রাসূলুল্লাহ সাঃ অবশ্যই তার ডান দিকে (মুকতাদী হয়ে) বসতেন। যখন তিনি তাঁর বামদিকে বসেছেন আর আবু বকর (রাযিঃ) তার ডানদিকে। এতে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-ই ইমাম ছিলেন এবং আবু বকর (রাযিঃ)-ই মুকতাদী ছিলেন।
(খ) দ্বিতীয় দলীলঃ আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) তার বর্ণিত হাদীসে বলেছেনঃ “আবু বকর (রাযিঃ) যেখানে কিরা'আত শেষ করেছেন রাসূলুল্লাহ সেখান থেকে শুরু করেছেন। বস্তুত এতে বুঝা যাচ্ছে যে, আবু বকর (রাযিঃ) কিরাআত বন্ধ করে দিয়েছেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিরাআত করেছেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, তিনি ইমাম ছিলেন। যদি ইমাম না হতেন তাহলে কিরা'আত করতেন না। যেহেতু উক্ত সালাতটি ছিল এরূপ যাতে কিরা'আত সশব্দে পড়া হয়। আর যদি এরূপ সালাত না হতাে, তাহলে রাসূলুল্লাহু (ﷺ) সম্পর্কে জানতেন না, যেখানে আবু বকর (রাযিঃ) কিরা'অতি বন্ধ করেছেন এবং আবু বকর (রাযিঃ)-এর পিছনের ব্যক্তিরাও তা জানতেন না। অতএব আমাদের উল্লিখিত বর্ণনার দ্বারা যখন প্রমাণিত হলাে যে, উক্ত সালাত বর্ণনার দ্বারা যখন প্রমাণিত হলাে যে, উক্ত সালাত এরূপ ছিলাে যাতে কিরাআত সশব্দে পড়া হয় এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এতে কিরাআত করেছেন। আর সমস্ত লােকদের (ইমামদের) ঐকমত্য রয়েছে যে মুকতাদী
ইমামের পিছনে (সূরা মিলানাের) কিরাআত পড়ে না যা ইমাম পড়েন। এতে সাব্যস্ত হলোঃ রাসুলুল্লাহ (ﷺ)
উক্ত সালাতে-ইমাম ছিলেন। এটিই হচ্ছে হাদীসের আলােকে এ অনুচ্ছেদের যুক্তিভত্তিক বিশ্লেষণ ।
এ বিষয়ে তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
সর্বজন স্বীকৃত এক সাধারণ নিয়মের প্রতি আমরা লক্ষ্য করেছি যে, মুকতাদী ইমামের সালাতে শরীক হলে কখনাে মুকতাদীর উপর এরূপ ফরজ অপরিহার্য হয়ে যায় যা শরীক হওয়ার পূর্বে অপরিহার্য ছিলাে না এবং তার থেকে ফরয রহিত হতেও দেখি না যা তার উপর তাতে শরীক হওয়ার পূর্বে ছিলাে।
সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে আমরা মুসাফিরের সালাত দেখেছিঃ ও মুসাফির যখন মুকীমের সালাতে শরীক হয় তখন তার উপর মুকীমের সালাতের অনুরূপ চার রাকআত আদায় করা ফরয। অথচ এটি তার উপর মুকীম ইমামের সাথে শরীক হওয়ার পূর্বে ফরয ছিলাে না। তার উপর এটি ফরয হয়েছে ইমামের সাথে শরীক হওয়ার কারণে। আর আমরা মুকীমের সালাতে শরীক হই তাহলে তাকে নিজের সালাত পূর্ণ আদায় করতে হয়। ইমাম সালাত শেষ করার পর তার জন্য মুকীমের পূর্ণ সালাত আদায় করা অপরিহার্য । মুকীম (মুকতাদী) মুসাফির (ইমামের) সাথে শরীক হওয়ার কারণে তার থেকে কোন ফরয রহিত হবে না। তার ফরয় তার উপর বহাল থাকবে।
অতএব এই যুক্তির ভিত্তিতে বলা যায় সুস্থ ব্যক্তির সালাতও অনুরূপ হবে, যার উপর দাঁড়ানাের ফরয বহাল রয়েছে। যদি সে অসুস্থ ব্যক্তির সাথে সালাতে শরীক হয় যার উপর থেকে দাঁড়ানাের ফরয রহিত হয়ে গিয়েছে। তার এ শরীক হওয়া তার উপর থেকে (দাঁড়ানাের) ফরযকে রহিত করবে না যা সালাতে শরীক হওয়ার পূর্বে ফরয ছিলাে।
কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলে যে, আমরা গােলামকে লক্ষ্য করেছি, যার উপর জুমু'আ ফরয নয়, যদি সে ইমামের সাথে জুমু'আতে শরীক হয় তাহলে যুহরের পরিবর্তে জুমু'আ তার জন্য ফরয হয়ে যায় এবং তার থেকে (যুহরের) ফরয রহিত হয়ে যায়, যা জুমু'আতে ইমামের সাথে শরীক হওয়ার পূর্বে তার উপর ফরয ছিলো।
উত্তরে তাকে বলা হবে যে, আমাদের বক্তব্যকেই আগে শক্তিশালী করে। আর তা এভাবেঃ গোলাম
জুমু'আতে শরীক হওয়ার পূর্বে জুমু'আর সালাত তার উপর ফরয ছিলাে না। যখন সে এরূপ ব্যক্তির সাথে
তাতে শরীক হয়েছে যা তার উপর ফরয তাহলে তাতে তার শরীক হওয়াটা তার উপর ফরয করবে যা তার ইমামের উপর ফরয। অতএব যখন তার উপর সেই বস্তু ফরয রূপে বিবেচিত হয়, যা তার ইমামের উপর ফরয হিসাবে বিবেচিত। এটি মুসাফিরের বিধানের ন্যায় হয়ে গেল যার উপর জুমু'আ ফরয নয়। যদি সে জুমু'আতে শরীক হয় তাহলে তা তার উপর ফরয হয়ে যায়, তা তার ইমামের উপর ফরয হওয়ার কারণে এবং তা যুহরে পরিবর্তে তার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। যেহেতু জুমু'আর সালাত যুহূরের সালাতের বিকল্প হিসাবে গণ্য হবে। অনুরূপভাবে গোলাম, যখন জুমু'আতে শরীক হওয়ার কারণে তার উপর জুমু'আ 'ফরয হয়ে গেল তাহলে তা যুহরের পরিবর্তে তারপক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। যেহেতু জুমুআ যুহরের
বিকল্প হিসাবে গণ্য হয়।
বস্তুত আমাদের উল্লিখিত বর্ণনার দ্বারা অবশ্যই প্রমাণিত হলাে যে, কারাে অন্যের সালাতে শরীক হওয়াটা কখনাে এরূপ বস্তুকে ফরয করে দেয় যা তাতে শরীক হওয়ার পূর্বে তার উপর ফরয ছিলাে না এবং শরীক হওয়ার পূর্বে তার উপর যা ফরয ছিলাে তা বিলুপ্ত হবে না। এতে প্রমাণিত হলাে ও সুস্থ ব্যক্তি যার উপরে সালাতের মধ্যে দাঁড়ানাে ফরয, যখন সে এরূপ ব্যক্তির সাথে সালাতে শরীক হয়, যার উপর থেকে সালাতে দাঁড়ানাের ফরয রহিত হয়ে গিয়েছে, তাহলে শরীক হওয়ার দ্বারা তার থেকে কিয়াম (দাড়ানাে) বিলুপ্ত হবে না যা এর পূর্বে তার উপর ফরয ছিলাে। আর এটি আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর উক্তি ও মাযহাব।
মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ) বলতেনঃ সুস্থ ব্যক্তির জন্য এমন অসুস্থ ব্যক্তির ইকতিদা করা জায়িয নেই যে, বসে বসে সালাত আদায় করে যদিও সে রুকু ও সিজদা করে। আর রাসূলুল্লাহ এলাকায় যে রোগাক্রান্ত অবস্থায় দাড়ানাে লােকদেরকে নিয়ে বসে বসে সালাত পড়েছেন, এটি তার ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য। যেহেতু তিনি এতে এরূপ কাজ করেছেন যা তাঁর পরবর্তী কারাে জন্য করা জয়িয নেই যেমন আবু বকর (রাযিঃ) কিরাআত যেখানে রেছেন, তিনি সেখান থেকে শুরু করেছেন। (এটি অন্য কারাে জন্য জায়িয নেই)। (অনুরূপভাবে) আবু বকর (রাযিঃ) যে একই সালাতে ইমামতি থেকে বের হয়ে গিয়ে মুকতাদী হয়ে গিয়েছেন। এটিও সমস্ত মুসলমানদের ঐকমত্য অনুযায়ী তার পরবর্তী কারাে জন্য জায়িয নেই। এতে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উক্ত সালাতে এরূপ বৈশিষ্ট্য (নিজের জন্য) নির্দিষ্ট করেছেন যা অন্যের জন্য তিনি নিষেধ করেছেন।
2359 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو الْأَزْدِيُّ، قَالَ: ثنا زَائِدَةُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: " مَرِضَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «مُرُوا أَبَا بَكْرٍ , فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ» . فَقَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ رَقِيقٌ , فَقَالَ: «مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ , فَإِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ» قَالَ: قَامَ أَبُو بَكْرٍ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ أَنَّهُ قَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ الَّذِي قَدْ ذَكَرُوهُ. وَلَكِنَّ أَفْعَالَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي صَلَاتِهِ تِلْكَ تَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ كَانَ إِمَامًا , وَذَلِكَ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ فِي حَدِيثِ الْأَسْوَدِ عَنْهَا «فَقَعَدَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ يَسَارِ أَبِي بَكْرٍ» وَذَلِكَ قُعُودُ الْإِمَامِ لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ أَبُو بَكْرٍ إِمَامًا لَهُ , لَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْعُدُ عَنْ يَمِينِهِ. فَلَمَّا قَعَدَ عَنْ يَسَارِهِ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ عَنْ يَمِينِهِ , دَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ هُوَ الْإِمَامُ , وَأَنَّ أَبَا بَكْرٍ هُوَ الْمَأْمُومُ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى , أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ فِي حَدِيثِهِ: «فَأَخَذَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْقِرَاءَةِ مِنْ حَيْثُ انْتَهَى أَبُو بَكْرٍ» ، فَفِي ذَلِكَ مَا يَدُلُّ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ قَطَعَ الْقِرَاءَةَ , وَقَرَأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّهُ كَانَ الْإِمَامَ , وَلَوْلَا ذَلِكَ , لَمْ يَقْرَأْ , لِأَنَّ تِلْكَ الصَّلَاةَ كَانَتْ صَلَاةً يُجْهَرُ فِيهَا بِالْقِرَاءَةِ , وَلَوْلَا ذَلِكَ لَمَا عَلِمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَوْضِعَ الَّذِي انْتَهَى إِلَيْهِ أَبُو بَكْرٍ مِنَ الْقِرَاءَةِ , وَلَا عَلِمَهُ مَنْ خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ. فَلَمَّا ثَبَتَ بِمَا وَصَفْنَا أَنَّ تِلْكَ الصَّلَاةَ , كَانَتْ مِمَّا يُجْهَرُ فِيهَا بِالْقِرَاءَةِ , وَقَرَأَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا , وَكَانَ النَّاسُ جَمِيعًا لَا يَخْتَلِفُونَ أَنَّ الْمَأْمُومَ لَا يَقْرَأُ خَلْفَ الْإِمَامِ , كَمَا يَقْرَأُ الْإِمَامُ. ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ فِي تِلْكَ الصَّلَاةِ إِمَامًا. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. وَأَمَّا وَجْهُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا رَأَيْنَا الْأَصْلَ الْمُجْتَمَعَ عَلَيْهِ أَنَّ دُخُولَ الْمَأْمُومِ فِي صَلَاةِ الْإِمَامِ , قَدْ يُوجِبُ فَرْضًا عَلَى الْمَأْمُومِ , وَلَمْ يَكُنْ عَلَيْهِ قَبْلَ دُخُولِهِ , وَلَمْ نَرَهُ يُسْقِطُ عَنْهُ فَرْضًا قَدْ كَانَ عَلَيْهِ قَبْلَ دُخُولِهِ. فَمِنْ ذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا الْمُسَافِرَ يَدْخُلُ فِي صَلَاةِ الْمُقِيمِ، فَيَجِبُ عَلَيْهِ أَنْ يُصَلِّيَ صَلَاةَ الْمُقِيمِ أَرْبَعًا , وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ وَاجِبًا عَلَيْهِ قَبْلَ دُخُولِهِ مَعَهُ , وَإِنَّمَا أَوْجَبَهُ عَلَيْهِ , دُخُولُهُ مَعَهُ. وَرَأَيْنَا مُقِيمًا لَوْ دَخَلَ فِي صَلَاةِ مُسَافِرٍ , صَلَّى بِصَلَاتِهِ , حَتَّى إِذَا فَرَغَ أَتَى بِتَمَامِ صَلَاةِ الْمُقِيمِ , فَلَمْ يَسْقُطْ عَنِ الْمُقِيمِ فَرْضٌ بِدُخُولِهِ مَعَ الْمُسَافِرِ , وَكَانَ فَرْضُهُ عَلَى حَالِهِ غَيْرَ سَاقِطٍ مِنْهُ شَيْءٌ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ الصَّحِيحُ الَّذِي كَانَ عَلَيْهِ فَرْضُ الْقِيَامِ إِذَا دَخَلَ مَعَ الْمَرِيضِ , الَّذِي قَدْ سَقَطَ عَنْهُ فَرْضُ الْقِيَامِ فِي صَلَاتِهِ , أَنْ لَا يَكُونَ ذَلِكَ الدُّخُولُ مُسْقِطًا عَنْهُ فَرْضًا كَانَ عَلَيْهِ قَبْلَ دُخُولِهِ فِي الصَّلَاةِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْعَبْدَ الَّذِي لَا جُمُعَةَ عَلَيْهِ , يَدْخُلُ فِي الْجُمُعَةِ , فَيُجْزِيهِ مِنَ الظُّهْرِ , وَيَسْقُطُ عَنْهُ فَرْضٌ قَدْ كَانَ عَلَيْهِ قَبْلَ دُخُولِهِ مَعَ الْإِمَامِ فِيهَا. قِيلَ لَهُ: هَذَا يُؤَكِّدُ مَا قُلْنَا , وَذَلِكَ أَنَّ الْعَبْدَ لَمْ يَجِبْ عَلَيْهِ جُمُعَةٌ قَبْلَ دُخُولِهِ فِيهَا , فَلَمَّا دَخَلَ فِيهَا مَعَ مَنْ هِيَ عَلَيْهِ , كَانَ دُخُولُهُ إِيَّاهَا يُوجِبُ عَلَيْهِ مَا هُوَ وَاجِبٌ عَلَى إِمَامِهِ , فَصَارَ بِذَلِكَ إِذَا وَجَبَ عَلَيْهِ مَا هُوَ وَاجِبٌ عَلَى إِمَامِهِ , فِي حُكْمِ مُسَافِرٍ لَا جُمُعَةَ عَلَيْهِ دَخَلَ فِي الْجُمُعَةِ , فَقَدْ صَارَتْ وَاجِبَةً عَلَيْهِ لِوُجُوبِهَا عَلَى إِمَامِهِ , وَصَارَتْ مُجْزِئَةً عَنْهُ مِنَ الظُّهْرِ , لِأَنَّهَا صَارَتْ بَدَلًا مِنْهَا. فَكَذَلِكَ الْعَبْدُ , لَمَّا وَجَبَتْ عَلَيْهِ الْجُمُعَةُ بِدُخُولِهِ فِيهَا أَجْزَأَتْهُ مِنَ الظُّهْرِ , لِأَنَّهَا صَارَتْ بَدَلًا مِنْهَا. فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ دُخُولَ الرَّجُلِ فِي صَلَاةٍ غَيْرُهُ , قَدْ يُوجِبُ عَلَيْهِ مَا لَمْ يَكُنْ وَاجِبًا عَلَيْهِ , قَبْلَ دُخُولِهِ فِيهَا , وَلَا يَسْقُطُ عَنْهُ , مَا كَانَ وَاجِبًا عَلَيْهِ قَبْلَ دُخُولِهِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الصَّحِيحَ الَّذِي , الْقِيَامُ فِي الصَّلَاةِ وَاجِبٌ عَلَيْهِ , إِذَا دَخَلَ مَعَ مَنْ قَدْ سَقَطَ عَنْهُ فَرْضُ الْقِيَامِ فِي صَلَاتِهِ , لَمْ يَكُنْ يَسْقُطُ عَنْهُ بِدُخُولِهِ مِنَ الْقِيَامِ , مَا كَانَ وَاجِبًا عَلَيْهِ قَبْلَ ذَلِكَ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَأَبِي يُوسُفَ رَحِمَهُمُ اللهُ. وَكَانَ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحِمَهُ اللهُ يَقُولُ: لَا يَجُوزُ لِصَحِيحٍ أَنْ يَأْتَمَّ بِمَرِيضٍ يُصَلِّي قَاعِدًا , وَإِنْ كَانَ يَرْكَعُ وَيَسْجُدُ. وَيَذْهَبُ إِلَى أَنَّ مَا كَانَ مِنْ صَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاعِدًا فِي مَرَضِهِ بِالنَّاسِ وَهُمْ قِيَامٌ مَخْصُوصٌ , لِأَنَّهُ قَدْ فَعَلَ فِيهَا مَا لَا يَجُوزُ لِأَحَدٍ بَعْدَهُ أَنْ يَفْعَلَهُ , مِنْ أَخْذِهِ فِي الْقِرَاءَةِ , مِنْ حَيْثُ انْتَهَى أَبُو بَكْرٍ , وَخُرُوجِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنَ الْإِمَامَةِ إِلَى أَنْ صَارَ مَأْمُومًا فِي صَلَاةٍ وَاحِدَةٍ , وَهَذَا لَا يَجُوزُ لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِهِ , بِاتِّفَاقِ الْمُسْلِمِينَ جَمِيعًا فَدَلَّ ذَلِكَ , عَلَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قَدْ كَانَ خُصَّ فِي صَلَاتِهِ تِلْكَ , بِمَا مُنِعَ مِنْهُ غَيْرُهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা