শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৩০২
আন্তর্জাতিক নং: ২৩০৩
৫৭. কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া প্রসঙ্গে।
২৩০২-২৩০৩। আবু বাকরা (রাহঃ) এবং আলী ইবনে শায়বা (রাহঃ)...ওয়াবিসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) জৈনক ব্যক্তিকে দেখলেন সে কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তাকে সালাত পুনরায় আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।
بَابُ مَنْ صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ
2302 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ ح
2303 - وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ , قَالَ: أنا شُعْبَةُ , عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ , قَالَ: سَمِعْتُ هِلَالَ بْنَ يَسَافٍ يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ رَاشِدٍ , عَنْ وَابِصَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى رَجُلًا يُصَلِّي فِي خَلْفِ الصَّفِّ وَحْدَهُ , فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُعِيدَ الصَّلَاةَ "
2303 - وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ , قَالَ: أنا شُعْبَةُ , عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ , قَالَ: سَمِعْتُ هِلَالَ بْنَ يَسَافٍ يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ رَاشِدٍ , عَنْ وَابِصَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى رَجُلًا يُصَلِّي فِي خَلْفِ الصَّفِّ وَحْدَهُ , فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُعِيدَ الصَّلَاةَ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩০৪
কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া প্রসঙ্গে।
২৩০৪। সালিহ ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ..... হিলাল বিন ইয়াসাফ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেনঃ যিয়াদ ইব্ন আবিল জা’দ আমার হাত ধরে রাক্কা নগরীতে ওয়াবিসা ইবন মা'বদ (রাহঃ) এর নিকট নিয়ে গেলেন। পরে তিনি বললেনঃ আমার পিতা আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, জনৈক ব্যক্তি একবার কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিল। রাসুলুল্লাহু (ﷺ) তখন তাকে সালাত পুনরায় আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বলেছেনঃ যিয়াদ ইব্ন আবিল জা’দ আমার হাত ধরে রাক্কা নগরীতে ওয়াবিসা ইবন মা'বদ (রাহঃ) এর নিকট নিয়ে গেলেন। পরে তিনি বললেনঃ আমার পিতা আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, জনৈক ব্যক্তি একবার কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিল। রাসুলুল্লাহু (ﷺ) তখন তাকে সালাত পুনরায় আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
2304 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ هِلَالِ بْنِ يَسَافٍ، قَالَ: أَخَذَ بِيَدِي زِيَادُ بْنُ أَبِي الْجَعْدَةِ , فَأَقَامَنِي عَلَى وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ بِالرَّقَّةِ , فَقَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي: «أَنَّ رَجُلًا، صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ , فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُعِيدَ الصَّلَاةَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩০৫
কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া প্রসঙ্গে।
২৩০৫। ইব্ন মারমূক (রাহঃ).. আলী ইবন শায়বান আল-সুহায়মী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, এবং তিনি
প্রতিনিধি দলের একজন ছিলেন, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পিছনে সালাত আদায় করেছি।
তিনি সালাত শেষ করেন। তখন জনৈক ব্যক্তি কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিল। রাসূলুল্লাহ তার নিকট গিয়ে দাঁড়ালেন, সে সালাত শেষ করলে তিনি তাকে বললেনঃ তােমার সালাত পুনরায় শুরু থেকে পড়। কারণ কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত আদায় কারীর সালাত হয় না।
একদল আলিম বলেছেনঃ কেউ যদি কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে তার সালাত বাতিল হিসাবে গণ্য হবে। এবং তারা এ বিষয়ে উল্লিখিত হাদীসমূহ দ্বারা দলীল পেশ করেন।
পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ কেউ যদি এমনটি করে তাহলে সে অবশ্যই গুনাহগার হবে, তবে তার সালাত জায়িয হয়ে যাবে। তারা বলেছেনঃ বস্তুত এ-সমস্ত হাদীস আমাদের বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রমাণ বহন করে না। কারণ তােমরা বর্ণনা করেছ যে, রাসূলুন্নাহ (ﷺ) সেই ব্যক্তিকে সালাত পুনরায় আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন, যে কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়ছিল। হতে পারে তিনি তাকে এ কারণেই নির্দেশ দিয়েছেন যে, সে কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়েছে। আবার এমনও হতে পারে যে, তিনি তাকে অন্য কারণে পুনঃ সালাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। যেমনিভাবে রিফা'আ (রাহঃ) এবং আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর হাদীসে তিনি সেই ব্যক্তিকে পুনঃ সালাত আদায় করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে সালাত পড়েছিল; তারপর তিনি তাকে সালাত পুনঃ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এরূপভাবে কয়েক বার করেছিলেন। পুনঃ সালাত পড়ার কথা এজন্য বলেননি যে, সে মসজিদে প্রবেশ করেন্থে এবং সালাত পড়েছে। বরং অন্য কারণে বলেছেন, আর তা হচ্ছে সালাতের ফরয (ওয়াজিব) পরিত্যাগ করার কারণে। অনুরূপভাবে তোমরা যা রিওয়ায়াত করেছ এতেও সম্ভাবনা রয়েছে,
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে কাতারের পিছনে একা সালাত আদায়কারী ব্যক্তিকে পুনঃ সালাত আদায়ের নির্দেশ
দিয়েছেন, তা কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়েছে বলে নয়; বরং অন্য কারণে যা তার পক্ষ থেকে সালাতে ঘটেছে।
আর ওয়াবিয়া (রাযিঃ)-এর হাদীসের অর্থ অপেক্ষা আলী ইবন শায়বান (রাযিঃ)-এর হাদীসে অতিরিক্ত বক্তব্য রয়েছে । তা হচ্ছে, তিনি বলেছেন ? আমরা রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পিছনে সালাত আদায় করেছি, তিনি সালাত শেষ করেন। এদিকে জনৈক ব্যক্তি কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়ছিল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার নিকট গিয়ে দাঁড়ালেন। সে সালাত শেষ করলে তিনি তাকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তুমি সালাত পুনঃ শুরু থেকে আদায় কর যেহেতু কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়লে সালাত হয় না।
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এ হাদীসে যে তিনি তাকে পুনঃ সালাত আদায়ের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেনঃ কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়লে সালাত হয় না। এতে সম্ভাবনা রয়েছে, তিনি তাকে সেই অর্থে পুনঃ সালাত আদায়ের জন্য নিদের্শ দিয়েছেন, যা আমরা ওয়াবিসা (রাযিঃ)-এর হাদীসের ব্যাখ্যায় বর্ণনা করেছি। আর তার উক্ত “কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়লে সালাত হয় না",সম্ভবত এটি তাঁর সেই উক্তির ন্যায়, যেখানে বলা হয়েছেঃ যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ পড়েনি তার উযূ হয়নি। অনুরূপ অন্য একটি হাদীসের ন্যায়, যেখানে বলা হয়েছেঃ মসজিদের প্রতিবেশীর সালাত মসজিদে ব্যতীত
হবে না। কেউ যখন এরূপ সালাত আদায় করে তখন তাকে সালাত আদায় করেনি বলা যাবে না। কেননা সে এরূপ সালাত আদায় করেছে যা জায়িয় হিসাবে বিবেচিত হবে। তবে তা ফরয এবং সুন্নতের দিক দিয়ে পরিপূর্ণ সালাত রূপে বিবেচিত হবে না। কারণ ইমামের সাথে সালাত আদায়ের সুন্নত হচ্ছে ফাঁকা জায়গা বন্ধ করে কাতারকে মিলিত করা। অনুরূপভাবে ইমামের পিছনে সালাত আদায়কারীর জন্য উক্তরূপ করা বিধেয়। যদি এতে ত্রুটি করে তাহলে সে ভুল করল, তবে তার সালাত জায়িয হয়ে যাবে। যদিও ফরয় এবং সুন্নতের দিক দিয়ে পরিপূর্ণ সালাত হয়নি। এজন্য বলা হয়েছেঃ “তার সালাত হয়নি” অর্থাৎ তার পরিপূর্ণ সালাত হয়নি। যেমনিভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যাকে তুমি একটি ও দু'টি খেজুর দিবে সে প্রকৃত মিসকীন নয়; বরং প্রকৃত মিসকীন হচ্ছে ঐ ব্যক্তি, যে অপরিচিত, ফলে লােকেরা তাকে সাদাকা খয়রাত করে না এবং সে লােকদের কাছে সওয়ালও করে না। অতএব তাঁর উক্তি “প্রকৃত মিসকীন সে নয় যাকে তুমি একটি এবং দুটি খেজুর দান কর”-এর অর্থ হচ্ছে, দীনতার ব্যাপারে সে পূর্ণ মিসকীন নয়। যেহেতু সে সওয়াল করে আর জীবন ধারণ এবং নিজের লজ্জাস্থান আবৃত করার মত উপকরণ সে প্রাপ্ত হয়। প্রকৃত পক্ষে মিসকীন হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যে লােকের কাছে সওয়াল করে না এবং লােকেরা তাকে চিনেও না যে, তাকে সাদাকা-খয়রাত প্রদান করবে।
বস্তুত এ হাদীসে সেই ব্যক্তির মিসকীন হওয়াকে নাকচ করা হয়েছে। যে ব্যক্তির মধ্যে দীনতার কারণসমূহ পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান নেই।
এমনিভাবে সম্ভবত তিনি (ﷺ) তার বক্তব্য “কাতারের পিছনে একা দাড়িয়ে সলাত আদায় কারীর সালাত হয় না” দ্বারা মুসল্লী হওয়াকে অস্বীকার করেছেন, যেহেতু সে পূর্ণভাবে সালাত আদায় করে নি। তবে সে এরূপ সালাত আদায় করেছে যা তার জন্য জায়িয হিসাবে গণ্য হবে।
কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন করে যে, এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে কোন হাদীস বর্ণিত আছে, যা তোমাদের বক্তব্যের পক্ষে প্রমাণ বহণ করে? উত্তরে তাকে বলা হবে, হ্যাঁ আছেঃ
প্রতিনিধি দলের একজন ছিলেন, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পিছনে সালাত আদায় করেছি।
তিনি সালাত শেষ করেন। তখন জনৈক ব্যক্তি কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিল। রাসূলুল্লাহ তার নিকট গিয়ে দাঁড়ালেন, সে সালাত শেষ করলে তিনি তাকে বললেনঃ তােমার সালাত পুনরায় শুরু থেকে পড়। কারণ কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত আদায় কারীর সালাত হয় না।
একদল আলিম বলেছেনঃ কেউ যদি কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে তার সালাত বাতিল হিসাবে গণ্য হবে। এবং তারা এ বিষয়ে উল্লিখিত হাদীসমূহ দ্বারা দলীল পেশ করেন।
পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ কেউ যদি এমনটি করে তাহলে সে অবশ্যই গুনাহগার হবে, তবে তার সালাত জায়িয হয়ে যাবে। তারা বলেছেনঃ বস্তুত এ-সমস্ত হাদীস আমাদের বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রমাণ বহন করে না। কারণ তােমরা বর্ণনা করেছ যে, রাসূলুন্নাহ (ﷺ) সেই ব্যক্তিকে সালাত পুনরায় আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন, যে কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়ছিল। হতে পারে তিনি তাকে এ কারণেই নির্দেশ দিয়েছেন যে, সে কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়েছে। আবার এমনও হতে পারে যে, তিনি তাকে অন্য কারণে পুনঃ সালাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। যেমনিভাবে রিফা'আ (রাহঃ) এবং আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর হাদীসে তিনি সেই ব্যক্তিকে পুনঃ সালাত আদায় করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে সালাত পড়েছিল; তারপর তিনি তাকে সালাত পুনঃ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এরূপভাবে কয়েক বার করেছিলেন। পুনঃ সালাত পড়ার কথা এজন্য বলেননি যে, সে মসজিদে প্রবেশ করেন্থে এবং সালাত পড়েছে। বরং অন্য কারণে বলেছেন, আর তা হচ্ছে সালাতের ফরয (ওয়াজিব) পরিত্যাগ করার কারণে। অনুরূপভাবে তোমরা যা রিওয়ায়াত করেছ এতেও সম্ভাবনা রয়েছে,
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে কাতারের পিছনে একা সালাত আদায়কারী ব্যক্তিকে পুনঃ সালাত আদায়ের নির্দেশ
দিয়েছেন, তা কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়েছে বলে নয়; বরং অন্য কারণে যা তার পক্ষ থেকে সালাতে ঘটেছে।
আর ওয়াবিয়া (রাযিঃ)-এর হাদীসের অর্থ অপেক্ষা আলী ইবন শায়বান (রাযিঃ)-এর হাদীসে অতিরিক্ত বক্তব্য রয়েছে । তা হচ্ছে, তিনি বলেছেন ? আমরা রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পিছনে সালাত আদায় করেছি, তিনি সালাত শেষ করেন। এদিকে জনৈক ব্যক্তি কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়ছিল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার নিকট গিয়ে দাঁড়ালেন। সে সালাত শেষ করলে তিনি তাকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তুমি সালাত পুনঃ শুরু থেকে আদায় কর যেহেতু কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়লে সালাত হয় না।
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এ হাদীসে যে তিনি তাকে পুনঃ সালাত আদায়ের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেনঃ কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়লে সালাত হয় না। এতে সম্ভাবনা রয়েছে, তিনি তাকে সেই অর্থে পুনঃ সালাত আদায়ের জন্য নিদের্শ দিয়েছেন, যা আমরা ওয়াবিসা (রাযিঃ)-এর হাদীসের ব্যাখ্যায় বর্ণনা করেছি। আর তার উক্ত “কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়লে সালাত হয় না",সম্ভবত এটি তাঁর সেই উক্তির ন্যায়, যেখানে বলা হয়েছেঃ যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ পড়েনি তার উযূ হয়নি। অনুরূপ অন্য একটি হাদীসের ন্যায়, যেখানে বলা হয়েছেঃ মসজিদের প্রতিবেশীর সালাত মসজিদে ব্যতীত
হবে না। কেউ যখন এরূপ সালাত আদায় করে তখন তাকে সালাত আদায় করেনি বলা যাবে না। কেননা সে এরূপ সালাত আদায় করেছে যা জায়িয় হিসাবে বিবেচিত হবে। তবে তা ফরয এবং সুন্নতের দিক দিয়ে পরিপূর্ণ সালাত রূপে বিবেচিত হবে না। কারণ ইমামের সাথে সালাত আদায়ের সুন্নত হচ্ছে ফাঁকা জায়গা বন্ধ করে কাতারকে মিলিত করা। অনুরূপভাবে ইমামের পিছনে সালাত আদায়কারীর জন্য উক্তরূপ করা বিধেয়। যদি এতে ত্রুটি করে তাহলে সে ভুল করল, তবে তার সালাত জায়িয হয়ে যাবে। যদিও ফরয় এবং সুন্নতের দিক দিয়ে পরিপূর্ণ সালাত হয়নি। এজন্য বলা হয়েছেঃ “তার সালাত হয়নি” অর্থাৎ তার পরিপূর্ণ সালাত হয়নি। যেমনিভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যাকে তুমি একটি ও দু'টি খেজুর দিবে সে প্রকৃত মিসকীন নয়; বরং প্রকৃত মিসকীন হচ্ছে ঐ ব্যক্তি, যে অপরিচিত, ফলে লােকেরা তাকে সাদাকা খয়রাত করে না এবং সে লােকদের কাছে সওয়ালও করে না। অতএব তাঁর উক্তি “প্রকৃত মিসকীন সে নয় যাকে তুমি একটি এবং দুটি খেজুর দান কর”-এর অর্থ হচ্ছে, দীনতার ব্যাপারে সে পূর্ণ মিসকীন নয়। যেহেতু সে সওয়াল করে আর জীবন ধারণ এবং নিজের লজ্জাস্থান আবৃত করার মত উপকরণ সে প্রাপ্ত হয়। প্রকৃত পক্ষে মিসকীন হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যে লােকের কাছে সওয়াল করে না এবং লােকেরা তাকে চিনেও না যে, তাকে সাদাকা-খয়রাত প্রদান করবে।
বস্তুত এ হাদীসে সেই ব্যক্তির মিসকীন হওয়াকে নাকচ করা হয়েছে। যে ব্যক্তির মধ্যে দীনতার কারণসমূহ পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান নেই।
এমনিভাবে সম্ভবত তিনি (ﷺ) তার বক্তব্য “কাতারের পিছনে একা দাড়িয়ে সলাত আদায় কারীর সালাত হয় না” দ্বারা মুসল্লী হওয়াকে অস্বীকার করেছেন, যেহেতু সে পূর্ণভাবে সালাত আদায় করে নি। তবে সে এরূপ সালাত আদায় করেছে যা তার জন্য জায়িয হিসাবে গণ্য হবে।
কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন করে যে, এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে কোন হাদীস বর্ণিত আছে, যা তোমাদের বক্তব্যের পক্ষে প্রমাণ বহণ করে? উত্তরে তাকে বলা হবে, হ্যাঁ আছেঃ
2305 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا حَبَّانُ بْنُ هِلَالٍ , قَالَ: ثنا مُلَازِمُ بْنُ عَمْرٍو , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَدْرِ السُّحَيْمِيُّ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ شَيْبَانَ السُّحَيْمِيِّ , عَنْ أَبِيهِ وَكَانَ أَحَدَ الْوَفْدِ , قَالَ: صَلَّيْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَضَى صَلَاتَهُ وَرَجُلٌ فَرْدٌ يُصَلِّي خَلْفَ الصَّفِّ فَقَامَ نَبِيُّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى قَضَى صَلَاتَهُ ثُمَّ قَالَ: «اسْتَقْبِلْ صَلَاتَكَ , فَلَا صَلَاةَ لِفَرْدٍ خَلْفَ الصَّفِّ» فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ مَنْ صَلَّى خَلْفَ صَفٍّ مُنْفَرِدًا , فَصَلَاتُهُ بَاطِلَةٌ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ أَسَاءَ , وَصَلَاتُهُ مُجْزِئَةٌ عَنْهُ وَقَالُوا: لَيْسَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ مَا يَدُلُّ عَلَى خِلَافِ مَا قُلْنَا. وَذَلِكَ أَنَّكُمْ رَوَيْتُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ الَّذِي صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ أَنْ يُعِيدَ الصَّلَاةَ فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَمَرَهُ بِذَلِكَ , لِأَنَّهُ صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ. وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَمَرَهُ بِذَلِكَ , لِمَعْنًى آخَرَ كَمَا أَمَرَ الَّذِي دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى أَنْ يُعِيدَ الصَّلَاةَ , ثُمَّ أَمَرَهُ أَنْ يُعِيدَهَا حَتَّى فَعَلَ ذَلِكَ مِرَارًا فِي حَدِيثِ رِفَاعَةَ , وَأَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا. فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ , لِأَنَّهُ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى وَلَكِنَّهُ لِمَعْنًى آخَرَ غَيْرَ ذَلِكَ , وَهُوَ تَرْكُهُ إِصَابَةَ فَرَائِضِ الصَّلَاةِ. فَيَحْتَمِلُ أَيْضًا مَا رَوَيْتُمْ مِنْ أَمْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّجُلَ الَّذِي صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ أَنْ يُعِيدَ الصَّلَاةَ , لَا لِأَنَّهُ صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ , وَلَكِنْ لِمَعْنًى آخَرَ كَانَ مِنْهُ فِي الصَّلَاةِ. وَفِي حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ شَيْبَانَ مَعْنًى زَائِدٌ عَلَى الْمَعْنَى الَّذِي فِي حَدِيثِ وَابِصَةَ , وَذَلِكَ أَنَّهُ قَالَ: صَلَّيْنَا خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَضَى صَلَاتَهُ , وَرَجُلٌ فَرْدٌ يُصَلِّي خَلْفَ الصَّفِّ , فَقَامَ عَلَيْهِ نَبِيُّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى قَضَى صَلَاتَهُ ثُمَّ قَالَ: «اسْتَقْبِلْ فَإِنَّهُ لَا صَلَاةَ لِفَرْدٍ خَلْفَ الصَّفِّ» , قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ أَمَرَهُ أَنْ يُعِيدَ الصَّلَاةَ وَقَالَ: «لَا صَلَاةَ لِفَرْدٍ خَلْفَ الصَّفِّ» فَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ أَمْرُهُ إِيَّاهُ بِإِعَادَةِ الصَّلَاةِ كَانَ لِلْمَعْنَى الَّذِي وَصَفْنَا فِي مَعْنَى حَدِيثِ وَابِصَةَ. وَأَمَّا قَوْلُهُ: «لَا صَلَاةَ لِفَرْدٍ خَلْفَ الصَّفِّ» فَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ كَقَوْلِهِ: «لَا وُضُوءَ لِمَنْ لَمْ يُسَمِّ» وَكَالْحَدِيثِ الْآخَرِ «لَا صَلَاةَ لِجَارِ الْمَسْجِدِ إِلَّا فِي الْمَسْجِدِ» وَلَيْسَ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهُ إِذَا صَلَّى كَذَلِكَ , كَانَ فِي حُكْمِ مَنْ لَمْ يُصَلِّ , وَلَكِنَّهُ قَدْ صَلَّى صَلَاةً تُجْزِئُهُ , وَلَكِنَّهَا لَيْسَتْ بِمُتَكَامِلَةِ الْأَسْبَابِ فِي الْفَرَائِضِ وَالسُّنَنِ , لِأَنَّ مِنْ سُنَّةِ الصَّلَاةِ مَعَ الْإِمَامِ , اتِّصَالُ الصُّفُوفِ , وَسَدُّ الْفُرَجِ , هَكَذَا يَنْبَغِي لِلْمُصَلِّي خَلْفَ الْإِمَامِ أَنْ يَفْعَلَ , فَإِنْ قَصَّرَ عَنْ ذَلِكَ فَقَدْ أَسَاءَ وَصَلَاتُهُ تُجْزِئُهُ وَلَكِنَّهَا لَيْسَتْ بِالصَّلَاةِ الْمُتَكَامِلَةِ فِي فَرَائِضِهَا وَسُنَنِهَا , فَقِيلَ لِذَلِكَ لَا صَلَاةَ لَهُ أَيْ لَا صَلَاةَ لَهُ مُتَكَامِلَةً , كَمَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ الْمِسْكِينُ بِالَّذِي تَرُدُّهُ التَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ , وَلَكِنِ الْمِسْكِينُ الَّذِي لَا يُعْرَفُ فَيُتَصَدَّقُ عَلَيْهِ , وَلَا يَسْأَلُ النَّاسَ» , فَكَانَ مَعْنَى قَوْلِهِ «لَيْسَ الْمِسْكِينُ بِالَّذِي تَرُدُّهُ التَّمْرَتَانِ» إِنَّمَا مَعْنَاهُ: لَيْسَ هُوَ بِالْمِسْكِينِ الْمُتَكَامِلِ فِي الْمَسْكَنَةِ , إِذْ هُوَ يَسْأَلُ فَيُعْطَى مَا يَقُوتُهُ وَيُوَارِي عَوْرَتَهُ. وَلَكِنِ الْمِسْكِينُ الَّذِي لَا يَسْأَلُ النَّاسَ وَلَا يَعْرِفُونَهُ فَيَتَصَدَّقُونَ. فَنُفِيَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , مَنْ كَانَ مِسْكِينًا غَيْرَ مُتَكَامِلِ أَسْبَابِ الْمَسْكَنَةِ , أَنْ يَكُونَ مِسْكِينًا. فَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ أَيْضًا إِنَّمَا نُفِيَ بِقَوْلِهِ «لَا صَلَاةَ لِمَنْ صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ» مَنْ صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ أَنْ يَكُونَ مُصَلِّيًا , لِأَنَّهُ غَيْرُ مُتَكَامِلِ أَسْبَابِ الصَّلَاةِ , وَهُوَ قَدْ صَلَّى صَلَاةً تُجْزِئُهُ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَهَلْ تَجِدُونَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا شَيْئًا يَدُلُّ عَلَى مَا قُلْتُمْ؟ . قِيلَ لَهُ: نَعَمْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩০৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৩০৭
কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া প্রসঙ্গে।
২৩০৬-২৩০৭। আবু বাকরা (রাহঃ)... আবু বাঁকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রুকু অবস্থায় আছেন, এমন সময় আমি তাড়াহুড়া করে (মসজিদে) এসেছি এবং কাতারের পিছনে সালাতে শরীক হয়েছি। তারপর হেঁটে কাতারের মধ্যে প্রবেশ করেছি । রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সালাত শেষে বললেন, তােমাদের কে কাতারের পিছনে সালাত পড়েছে ? আবু বাকরা (রাযিঃ) বললেন, আমি । তিনি দুআ দিয়ে বললেন, আল্লাহ তােমার স্পৃহাকে বৃদ্ধি করে দিন, তবে এরূপ আর করবে না।
হুসাইন ইবনে হাকাম হিবারি (রাহঃ)... হাম্মদ ইবনে সালাম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছে।
হুসাইন ইবনে হাকাম হিবারি (রাহঃ)... হাম্মদ ইবনে সালাম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছে।
2306 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الضَّرِيرُ , قَالَ: أنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , أَنَّ زِيَادَ الْأَعْلَمَ أَخْبَرَهُمْ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ , قَالَ: جِئْتُ وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَاكِعٌ , وَقَدْ حَفَزَنِي النَّفَسُ , فَرَكَعْتُ دُونَ الصَّفِّ , ثُمَّ مَشَيْتُ إِلَى الصَّفِّ. فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّلَاةَ , قَالَ: «أَيُّكُمُ الَّذِي رَكَعَ دُونَ الصَّفِّ؟» قَالَ أَبُو بَكْرَةَ: أَنَا , قَالَ: «زَادَكَ اللهُ حِرْصًا وَلَا تَعُدْ»
2307 - حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْحَكَمِ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2307 - حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْحَكَمِ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩০৮
কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া প্রসঙ্গে।
২৩০৮। ফাহাদ (রাহঃ) হাসান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু বাকরা (রাযিঃ) কাতারের পিছনে সালাতের নিয়্যত বেঁধেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে দু'আ দিয়ে বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা তােমার আগ্রহ বৃদ্ধি করে
দিন, তবে তুমি আর এরূপ করবে না।
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এ হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, আবু বাকরা (রাযিঃ) কাতারের পিছনে সালাতের নিয়্যত বেঁধে সালাতে শরীক হয়েছেন, এতে রাসুলুল্লাহ তাঁকে পুনঃ সালাত আদায়ের নির্দেশ দেননি। যদি কাতারের পিছনে সালাত আদায় কারীর সালাত না হবে তাহলে যে ব্যক্তি কাতারের পিছনে সালাতে প্রবেশ করে সে সালাতে প্রবেশকারী হিসাবে গণ্য হবে না।
তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না? যে ব্যক্তি অপবিত্র স্থানে সালাত পড়ে তার সালাত হয় না। অনুরূপভাবে সেই
যদি অপবিত্র স্থানে সালাতের সূচনা করে পরে পবিত্র স্থানে স্থানান্তরিত হয় তার সালাত হয় না। অতএব যে
ব্যক্তি এরূপ স্থানে সালাত শুরু করে যে স্থানে তার জন্য সালাত জায়িয নেই, পরে সালাতকে এগন জায়গায় পূর্ণ করে, যে জায়গায় সালাত পড়া জায়িয আছে, তাহলে সালাতে প্রবেশকারী হিসাবে গণ্য হবে না।
বস্তুত যখন আবু বাকরা (রাযিঃ)-এর কাতারের পিছনে সালাতের নিয়্যত বেঁধে সালাতে প্রবেশ ও শ্রদ্ধা
হয়েছে, তখন সালাত আদায়কারীর সমস্ত সালাত কাতারের পিছনে শুদ্ধ হিসাবে গণ্য হবে।
কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন করে যে, তাহলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উক্তি “তুমি এরূপ সাত পুনঃ পড়বে না” এর
অর্থ কি ?
উত্তরে তাকে বলা হবে যে, এটি আমাদের নিকট দু'টি অর্থের সম্ভাবনা রাখেঃ (ক) আগামীতে কখনো
কাতারের পিছনে সালাত শুরু করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত কাতারের মধ্যে প্রবেশ না করবে। যেমন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছেঃ
দিন, তবে তুমি আর এরূপ করবে না।
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এ হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, আবু বাকরা (রাযিঃ) কাতারের পিছনে সালাতের নিয়্যত বেঁধে সালাতে শরীক হয়েছেন, এতে রাসুলুল্লাহ তাঁকে পুনঃ সালাত আদায়ের নির্দেশ দেননি। যদি কাতারের পিছনে সালাত আদায় কারীর সালাত না হবে তাহলে যে ব্যক্তি কাতারের পিছনে সালাতে প্রবেশ করে সে সালাতে প্রবেশকারী হিসাবে গণ্য হবে না।
তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না? যে ব্যক্তি অপবিত্র স্থানে সালাত পড়ে তার সালাত হয় না। অনুরূপভাবে সেই
যদি অপবিত্র স্থানে সালাতের সূচনা করে পরে পবিত্র স্থানে স্থানান্তরিত হয় তার সালাত হয় না। অতএব যে
ব্যক্তি এরূপ স্থানে সালাত শুরু করে যে স্থানে তার জন্য সালাত জায়িয নেই, পরে সালাতকে এগন জায়গায় পূর্ণ করে, যে জায়গায় সালাত পড়া জায়িয আছে, তাহলে সালাতে প্রবেশকারী হিসাবে গণ্য হবে না।
বস্তুত যখন আবু বাকরা (রাযিঃ)-এর কাতারের পিছনে সালাতের নিয়্যত বেঁধে সালাতে প্রবেশ ও শ্রদ্ধা
হয়েছে, তখন সালাত আদায়কারীর সমস্ত সালাত কাতারের পিছনে শুদ্ধ হিসাবে গণ্য হবে।
কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন করে যে, তাহলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উক্তি “তুমি এরূপ সাত পুনঃ পড়বে না” এর
অর্থ কি ?
উত্তরে তাকে বলা হবে যে, এটি আমাদের নিকট দু'টি অর্থের সম্ভাবনা রাখেঃ (ক) আগামীতে কখনো
কাতারের পিছনে সালাত শুরু করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত কাতারের মধ্যে প্রবেশ না করবে। যেমন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছেঃ
2308 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ زِيَادٍ الْأَعْلَمِ، قَالَ: ثنا الْحَسَنُ: أَنَّ أَبَا بَكْرَةَ، رَكَعَ دُونَ الصَّفِّ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «زَادَكَ اللهُ حِرْصًا وَلَا تَعُدْ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ رَكَعَ دُونَ الصَّفِّ , فَلَمْ يَأْمُرْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِعَادَةِ الصَّلَاةِ. فَلَوْ كَانَ مَنْ صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ لَا تُجْزِيهِ صَلَاتُهُ , لَكَانَ مَنْ دَخَلَ فِي الصَّلَاةِ خَلْفَ الصَّفِّ , لَا يَكُونُ دَاخِلًا فِيهَا. أَلَا تَرَى أَنَّ مَنْ صَلَّى عَلَى مَكَانٍ قَذِرٍ , أَنَّ صَلَاتَهُ فَاسِدَةٌ؟ وَمَنِ افْتَتَحَ الصَّلَاةَ عَلَى مَكَانٍ قَذِرٍ , ثُمَّ صَارَ إِلَى مَكَانٍ نَظِيفٍ أَنَّ صَلَاتَهُ فَاسِدَةٌ. فَكَانَ كُلُّ مَنِ افْتَتَحَ الصَّلَاةَ فِي مَوْطِنٍ لَا يَجُوزُ لَهُ فِيهِ أَنْ يَأْتِيَ بِالصَّلَاةِ فِيهِ بِكَمَالِهَا , لَمْ يَكُنْ دَاخِلًا فِي الصَّلَاةِ. فَلَمَّا كَانَ دُخُولُ أَبِي بَكْرَةَ فِي الصَّلَاةِ دُونَ الصَّفِّ دُخُولًا صَحِيحًا , كَانَتْ صَلَاةُ الْمُصَلِّي كُلَّهَا دُونَ الصَّفِّ , صَلَاةً صَحِيحَةً. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَمَا مَعْنَى قَوْلِهِ «وَلَا تَعُدْ» قِيلَ لَهُ: ذَلِكَ عِنْدَنَا يَحْتَمِلُ مَعْنَيَيْنِ: يَحْتَمِلُ: وَلَا تَعُدْ أَنْ تَرْكَعَ دُونَ الصَّفِّ حَتَّى تَقُومَ فِي الصَّفِّ , كَمَا قَدْ رَوَى عَنْهُ أَبُو هُرَيْرَةَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩০৯
কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া প্রসঙ্গে।
২৩০৯। ইবন আবু দাউদ (রাযিঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা কেউ যখন সালাতে শরীক হওয়ার জন্য আসবে যতক্ষণ পর্যন্ত কাতারের মধ্যে প্রবেশ না করবে, কাতারের পিছনে সালাত পড়বে না। সালাতে আর কখনো তাড়াহুড়া করে দৌড়ে আসবে না যে, নফস তােমাকে তাড়াহুড়ার মধ্যে লিপ্ত করে দেয়। যেমনটি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর বরাতে অন্য হাদীসে ব্যক্ত হয়েছেঃ
2309 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْمُقَدَّمِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: ثنا ابْنُ عَجْلَانَ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الصَّلَاةَ فَلَا يَرْكَعْ دُونَ الصَّفِّ , حَتَّى يَأْخُذَ مَكَانَهُ مِنَ الصَّفِّ» وَيَحْتَمِلُ قَوْلُهُ «وَلَا تَعُدْ» أَيْ: وَلَا تَعُدْ أَنْ تَسْعَى إِلَى الصَّلَاةِ سَعْيًا يَحْفِزُكَ فِيهِ النَّفَسُ , كَمَا قَدْ جَاءَ عَنْهُ فِي غَيْرِ هَذَا الْحَدِيثِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩১০
আন্তর্জাতিক নং: ২৩১৭
কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া প্রসঙ্গে।
২৩১০-২৩১৭। আহমদ ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) এবং ইব্ন মারযুক (রাহঃ)...আবু হুরাইরা (রাযিঃ) সূত্রে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ যখন সালাত কায়েম হবে এতে তোমরা দৌড়ে এসো না; বরং তোমরা হেঁটে হেঁটে শান্তভাবে এসো। এসে যা পাও তা পড় এবং যা ছুটে যায় তা পূর্ণ করুন।
মুহাম্মাদ ইবনে খুযাইমা (রাহঃ) এবং ফাহাদ (রাহঃ) …আবু সালমা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন তবে তিনি কাজা করে নাও বলেছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ)...আবু সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযাইমা (রাহঃ) …. আবু হুরাইরা (রাযিঃ) সূত্রে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ইসমাঈল ইব্ন ইয়াহইয়া (রাহঃ)....আবু হুরাইরা (রাযিঃ) সূত্রে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
সুলাইমান ইব্ন শু'য়াইব (রাহঃ) …. আবু হুরাইরা (রাযিঃ) সূত্রে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
রবিউল মুয়াযযিন (রাহঃ).... মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
মুহাম্মাদ ইবনে খুযাইমা (রাহঃ) এবং ফাহাদ (রাহঃ) …আবু সালমা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন তবে তিনি কাজা করে নাও বলেছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ)...আবু সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযাইমা (রাহঃ) …. আবু হুরাইরা (রাযিঃ) সূত্রে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ইসমাঈল ইব্ন ইয়াহইয়া (রাহঃ)....আবু হুরাইরা (রাযিঃ) সূত্রে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
সুলাইমান ইব্ন শু'য়াইব (রাহঃ) …. আবু হুরাইরা (রাযিঃ) সূত্রে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
রবিউল মুয়াযযিন (রাহঃ).... মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
2310 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا عَمِّي عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ ح
2311 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ , فَلَا تَأْتُوهَا تَسْعَوْنَ، وَأْتُوهَا وَأَنْتُمْ تَمْشُونَ وَعَلَيْكُمُ السَّكِينَةُ، فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا , وَمَا فَاتَكُمْ فَأَتِمُّوا»
2312 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، وَفَهْدٌ، قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «فَاقْضُوا»
2313 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْأَنْصَارِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2314 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
2315 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، وَأَبِي سَلَمَةَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
2316 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
2317 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2311 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ , فَلَا تَأْتُوهَا تَسْعَوْنَ، وَأْتُوهَا وَأَنْتُمْ تَمْشُونَ وَعَلَيْكُمُ السَّكِينَةُ، فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا , وَمَا فَاتَكُمْ فَأَتِمُّوا»
2312 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، وَفَهْدٌ، قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «فَاقْضُوا»
2313 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْأَنْصَارِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2314 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
2315 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، وَأَبِي سَلَمَةَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
2316 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
2317 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩১৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৩১৯
কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া প্রসঙ্গে।
২৩১৮-২৩১৯। সালিহ ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) .…আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন সালাত কায়েম হয়ে যায় তোমরা এতে দৌড়ে এসো না; বরং এসো শান্ত এবং সহনশীলতা অবলম্বন করে। এসে তোমরা যা পাও তা আদায় কর, আর যা ছুটে যায় তা পূর্ণ কর।
ইউনুস(রাহঃ)…. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন এবং (এটি) অতিরিক্ত বলেছেনঃ নিশ্চয় তোমাদের কেউ যতক্ষণ সালাতের প্রস্তুতিতে থাকবে ততক্ষণ সালাতেই রত রয়েছে বলে গণ্য হবে।
ইউনুস(রাহঃ)…. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন এবং (এটি) অতিরিক্ত বলেছেনঃ নিশ্চয় তোমাদের কেউ যতক্ষণ সালাতের প্রস্তুতিতে থাকবে ততক্ষণ সালাতেই রত রয়েছে বলে গণ্য হবে।
2318 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا الْقَعْنَبِيُّ، قَالَ: ثنا مَالِكٌ، عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا ثُوِّبَ بِالصَّلَاةِ فَلَا تَأْتُوهَا وَأَنْتُمْ تَسْعَوْنَ، وَأْتُوهَا وَعَلَيْكُمُ السَّكِينَةُ وَالْوَقَارُ فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا , وَمَا فَاتَكُمْ فَأَتِمُّوا»
2319 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ , عَنِ الْعَلَاءِ، عَنْ أَبِيهِ، وَإِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُمَا سَمِعَا أَبَا هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ وَزَادَ «فَإِنَّ أَحَدَكُمْ فِي صَلَاةٍ , مَا كَانَ يَعْمِدُ إِلَى الصَّلَاةِ»
2319 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ , عَنِ الْعَلَاءِ، عَنْ أَبِيهِ، وَإِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُمَا سَمِعَا أَبَا هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ وَزَادَ «فَإِنَّ أَحَدَكُمْ فِي صَلَاةٍ , مَا كَانَ يَعْمِدُ إِلَى الصَّلَاةِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩২০
কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া প্রসঙ্গে।
২৩২০। আলী ইব্ন মা'বাদ (রাহঃ) আনাস (রাযিঃ) সূত্রে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাতের জন্য আসবে সে যেন স্বাভাবিক ভাবে হেঁটে আসে এবং যা সালত পায় তা পড়ে নেয় আর ছুটে যাওয়া সালাত কাযা করে নেয়।
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট যুক্তি দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে, কেউ যদি কাতারের পিছনে সালাত আদায় করে, তার সালাত জারি হয়ে যাবে। আর তা এজন্য যে, কেউ যদি ইমামের পিছনে কোন কাতারের মধ্যে সালাত আদায় শুরু করে দেয় এবং তার সম্মুখের কাতারে এক ব্যক্তির জায়গা খালী আছে, তাহলে সকলের মতে (সেই অবস্থায়) হেঁটে গিয়ে উক্ত জায়গায় দাঁড়িয়ে যাওয়া সেই ব্যক্তির জন্য জায়িয আছে । অনুরূপ আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছেঃ
বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাতের জন্য আসবে সে যেন স্বাভাবিক ভাবে হেঁটে আসে এবং যা সালত পায় তা পড়ে নেয় আর ছুটে যাওয়া সালাত কাযা করে নেয়।
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট যুক্তি দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে, কেউ যদি কাতারের পিছনে সালাত আদায় করে, তার সালাত জারি হয়ে যাবে। আর তা এজন্য যে, কেউ যদি ইমামের পিছনে কোন কাতারের মধ্যে সালাত আদায় শুরু করে দেয় এবং তার সম্মুখের কাতারে এক ব্যক্তির জায়গা খালী আছে, তাহলে সকলের মতে (সেই অবস্থায়) হেঁটে গিয়ে উক্ত জায়গায় দাঁড়িয়ে যাওয়া সেই ব্যক্তির জন্য জায়িয আছে । অনুরূপ আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছেঃ
2320 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَهَّابِ، قَالَ: أنا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ يَعْنِي إِلَى الصَّلَاةِ فَلْيَمْشِ عَلَى هَيْئَتِهِ , فَلْيُصَلِّ مَا أَدْرَكَ , وَلْيَقْضِ مَا سُبِقَ بِهِ مِنْهَا» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَالنَّظَرُ عِنْدَنَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ مَنْ صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ , فَصَلَاتُهُ جَائِزَةٌ. وَذَلِكَ أَنَّهُمْ لَا يَخْتَلِفُونَ فِي رَجُلٍ كَانَ يُصَلِّي وَرَاءَ الْإِمَامِ فِي صَفٍّ , فَخَلَا مَوْضِعُ رَجُلٍ أَمَامَهُ أَنَّهُ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَمْشِيَ إِلَيْهِ حَتَّى يَقُومَ فِيهِ , وَكَذَلِكَ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩২১
কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া প্রসঙ্গে।
২৩২১। ইবন মারমূক (রাহঃ) খায়সামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
আমি ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর পাশে সালাত আদায় করেছি। তিনি কাতারে খালি জায়গা দেখে আমাকে সে স্থানে অগ্রসর হওয়ার জন্য চোখ দ্বারা ইশারা করলেন। নিজের স্থান থেকে সরে যাওয়া আমাকে সম্মুখে অগ্রসর হতে বাধা দিচ্ছিলাে। যখন ইবনে উমর (রাযিঃ) বসে যেতেন তখন আমি তার থেকে দূর হয়ে যেতাম। যখন তিনি এ দৃশ্য দেখলেন তখন তিনি নিজেই অগ্রসর হয়ে গেলেন। পক্ষান্তরে আমাদের বর্ণনা মতে এক কাতার থেকে অন্য কাতারে অগ্রসর হওয়ার সময় কোন ব্যক্তি তাে উভয় কাতারের মধ্যবর্তী কাতার নয় এমন স্থানে অবস্থান করে, এটি তার ক্ষতি করে না এবং তাকে সালাত থেকেও বের করে দেয় না। যদি কাতারে দাঁড়ানাে ব্যতীত সালাত জায়িয না হতাে তাহলে এ অবস্থায় তার সালাত নষ্ট হয়ে যেত। যেহেতু সে অল্প সময়ের জন্য হলেও কাতার বিহীন স্থানে অবস্থান করেছে। যেমনিভাবে যে ব্যক্তি অপবিত্র স্থানে দাঁড়িয়ে সালাত পড়লাে, যদিও তা সল্প সময়ের জন্য হয়, তার সালাত নষ্ট হয়ে যায়।
বস্তুত যখন সমস্ত আলিমদের ঐকমত্য রয়েছে যে, কারাে সম্মুখের কাতারে যদি খালি জায়গা থাকে তাহলে তাকে উক্ত স্থানে অগ্রসর হওয়ার জন্য তারা নির্দেশ প্রদান করেন এবং উভয় কাতারের মধ্যবর্তী কাতার নয় এমন স্থানে অবস্থান করার কারণে তার সালাত বিনষ্ট হবে না। এতে প্রমাণিত হলাে যে, যে ব্যক্তি কাতারের পিছনে 'সালাত আদায় করে তার সালাত জায়িয হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ(ﷺ)-এর সাহাবীগণের এক দল থেকে বর্ণিত আছে যে, তারা কাতারের পিছনে নিয়ত বাঁধার পর সম্মুখে অগ্রসর হয়ে কাতারে প্রবেশ করতেন এবং তারা কাতারের পিছনে আদায়কৃত সালাতকে শুদ্ধ হিসাবে ধরে নিতেন।
আমি ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর পাশে সালাত আদায় করেছি। তিনি কাতারে খালি জায়গা দেখে আমাকে সে স্থানে অগ্রসর হওয়ার জন্য চোখ দ্বারা ইশারা করলেন। নিজের স্থান থেকে সরে যাওয়া আমাকে সম্মুখে অগ্রসর হতে বাধা দিচ্ছিলাে। যখন ইবনে উমর (রাযিঃ) বসে যেতেন তখন আমি তার থেকে দূর হয়ে যেতাম। যখন তিনি এ দৃশ্য দেখলেন তখন তিনি নিজেই অগ্রসর হয়ে গেলেন। পক্ষান্তরে আমাদের বর্ণনা মতে এক কাতার থেকে অন্য কাতারে অগ্রসর হওয়ার সময় কোন ব্যক্তি তাে উভয় কাতারের মধ্যবর্তী কাতার নয় এমন স্থানে অবস্থান করে, এটি তার ক্ষতি করে না এবং তাকে সালাত থেকেও বের করে দেয় না। যদি কাতারে দাঁড়ানাে ব্যতীত সালাত জায়িয না হতাে তাহলে এ অবস্থায় তার সালাত নষ্ট হয়ে যেত। যেহেতু সে অল্প সময়ের জন্য হলেও কাতার বিহীন স্থানে অবস্থান করেছে। যেমনিভাবে যে ব্যক্তি অপবিত্র স্থানে দাঁড়িয়ে সালাত পড়লাে, যদিও তা সল্প সময়ের জন্য হয়, তার সালাত নষ্ট হয়ে যায়।
বস্তুত যখন সমস্ত আলিমদের ঐকমত্য রয়েছে যে, কারাে সম্মুখের কাতারে যদি খালি জায়গা থাকে তাহলে তাকে উক্ত স্থানে অগ্রসর হওয়ার জন্য তারা নির্দেশ প্রদান করেন এবং উভয় কাতারের মধ্যবর্তী কাতার নয় এমন স্থানে অবস্থান করার কারণে তার সালাত বিনষ্ট হবে না। এতে প্রমাণিত হলাে যে, যে ব্যক্তি কাতারের পিছনে 'সালাত আদায় করে তার সালাত জায়িয হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ(ﷺ)-এর সাহাবীগণের এক দল থেকে বর্ণিত আছে যে, তারা কাতারের পিছনে নিয়ত বাঁধার পর সম্মুখে অগ্রসর হয়ে কাতারে প্রবেশ করতেন এবং তারা কাতারের পিছনে আদায়কৃত সালাতকে শুদ্ধ হিসাবে ধরে নিতেন।
2321 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ، أَنْبَأَنِي , قَالَ: سَمِعْتُ خَيْثَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يَقُولُ: «صَلَّيْتُ إِلَى جَنْبِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَرَأَى فِي الصَّفِّ خَلَلًا , فَجَعَلَ يَغْمِزُنِي أَنْ أَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ , وَجَعَلْتُ إِنَّمَا يَمْنَعُنِي أَنْ أَتَقَدَّمَ الضِّيقُ بِمَكَانِي , إِذَا جَلَسَ أَنْ أَبْعُدَ مِنْهُ فَلَمَّا أَنْ رَأَى ذَلِكَ تَقَدَّمَ هُوَ» وَالَّذِي يَتَقَدَّمُ مِنْ صَفٍّ إِلَى صَفٍّ عَلَى مَا ذَكَرْنَا هُوَ فِيمَا بَيْنَ الصَّفَّيْنِ فِي غَيْرِ صَفٍّ , فَلَمْ يَضُرَّهُ ذَلِكَ , وَلَمْ يُخْرِجْهُ مِنَ الصَّلَاةِ. فَلَوْ كَانَتِ الصَّلَاةُ لَا تَجُوزُ إِلَّا بِقِيَامٍ فِي صَفٍّ , لَفَسَدَتْ عَلَى هَذَا صَلَاتُهُ لَمَّا صَارَ فِي غَيْرِ صَفٍّ , وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ أَقَلَّ الْقَلِيلِ. كَمَا أَنَّ مَنْ وَقَفَ عَلَى مَكَانٍ نَجِسٍ وَهُوَ يُصَلِّي أَقَلَّ الْقَلِيلِ , أَفْسَدَ ذَلِكَ عَلَيْهِ صَلَاتَهُ. فَلَمَّا أَجْمَعُوا أَنَّهُمْ يَأْمُرُونَ هَذَا الرَّجُلَ بِالتَّقَدُّمِ إِلَى مَا خَلَا أَمَامَهُ مِنَ الصَّفِّ , وَلَا يُفْسِدُ عَلَيْهِ صَلَاتَهُ , كَوْنُهُ فِيمَا بَيْنَ الصَّفَّيْنِ فِي غَيْرِ صَفٍّ , دَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ مَنْ صَلَّى دُونَ الصَّفِّ , أَنَّ صَلَاتَهُ مُجْزِئَةٌ عَنْهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمْ رَكَعُوا دُونَ الصَّفِّ , ثُمَّ مَشَوْا إِلَى الصَّفِّ , وَاعْتَدُّوا بِتِلْكَ الرَّكْعَةِ الَّتِي رَكَعُوهَا دُونَ الصَّفِّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩২২
কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া প্রসঙ্গে।
২৩২২। এগুলাে থেকে কিছু বর্ণনা নিম্নরূপঃ
মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন ইউনুস (রাহঃ) যায়দ ইবন ওয়াহব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, আমি এবং ইবুন মাসউদ (রাযিঃ) মসজিদে প্রবেশ করে ইমামকে আমরা রুকু অবস্থায় পেলাম এবং আমরা রুকু করলাম। তারপর আমরা হেঁটে গিয়ে কাতারে শামিল হলাম। ইমাম সালাত শেষ করার পর আমি (অবশিষ্ট সালাত) আদায় করার জন্য দাঁড়ালাম। এতে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, আমি তাে সালাত (পুরাে) পেয়েছি।
মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন ইউনুস (রাহঃ) যায়দ ইবন ওয়াহব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, আমি এবং ইবুন মাসউদ (রাযিঃ) মসজিদে প্রবেশ করে ইমামকে আমরা রুকু অবস্থায় পেলাম এবং আমরা রুকু করলাম। তারপর আমরা হেঁটে গিয়ে কাতারে শামিল হলাম। ইমাম সালাত শেষ করার পর আমি (অবশিষ্ট সালাত) আদায় করার জন্য দাঁড়ালাম। এতে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, আমি তাে সালাত (পুরাে) পেয়েছি।
2322 - فَمِنْ ذَلِكَ مَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ يُونُسَ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عِيسَى عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ , عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ , قَالَ: دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ أَنَا وَابْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فَأَدْرَكْنَا الْإِمَامَ وَهُوَ رَاكِعٌ , فَرَكَعْنَا ثُمَّ مَشَيْنَا حَتَّى اسْتَوَيْنَا بِالصَّفِّ. فَلَمَّا قَضَى الْإِمَامُ الصَّلَاةَ , قُمْتُ لِأَقْضِيَ , فَقَالَ عَبْدُ اللهِ: «قَدْ أَدْرَكْتَ الصَّلَاةَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩২৩
কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া প্রসঙ্গে।
২৩২৩। ফাহাদ (রাহঃ) ..... তারিক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর সাথে বসা ছিলাম। (এমন সময় তাঁর মুয়াযযিন এসে বলল, “কাদ কামাতিস সালাহ"। তিনি দাড়িয়ে গেলেন এবং আমরা দাঁড়িয়ে গেলাম। পরে তিনি মসজিদে প্রবেশ করে লােকদেরকে দেখলেন মসজিদের সম্মুখ ভাগে রুকূরত অবস্থায় রয়েছে। তিনি তাকবীর বলে রুকূ করলেন এবং হেঁটে (কাতারে) চলে গেলেন, তিনি যা করেছেন আমরাও তা করেছি।
এতে যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে যে, আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) অবশ্যই এমনটি করেছেন, যেহেতু তিনি এবং তাঁর সাথীরা মিলেই কাতার হয়ে গিয়েছিলেন। (অতএব একাকিত্ব প্রমাণিত হলাে না।) উত্তরে তাকে বলা হবে যে, এ বিষয়ে অবশ্যই যায়স ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে। ( এবং তার সঙ্গে অন্য কেউ ছিল না)
এতে যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে যে, আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) অবশ্যই এমনটি করেছেন, যেহেতু তিনি এবং তাঁর সাথীরা মিলেই কাতার হয়ে গিয়েছিলেন। (অতএব একাকিত্ব প্রমাণিত হলাে না।) উত্তরে তাকে বলা হবে যে, এ বিষয়ে অবশ্যই যায়স ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে। ( এবং তার সঙ্গে অন্য কেউ ছিল না)
2323 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ: ثنا بَشِيرُ بْنُ سُلَيْمَانَ , قَالَ: حَدَّثَنِي سَيَّارٌ أَبُو الْحَكَمِ , عَنْ طَارِقٍ , قَالَ: " كُنَّا مَعَ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا جُلُوسًا فَجَاءَ آذِنُهُ فَقَالَ: قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ , فَقَامَ وَقُمْنَا فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ , فَرَأَى النَّاسَ رُكُوعًا فِي مُقَدَّمِ الْمَسْجِدِ , فَكَبَّرَ فَرَكَعَ وَمَشَى , وَفَعَلْنَا مِثْلَ مَا فَعَلَ " فَإِنِ اعْتَلَّ فِي هَذَا مُعْتَلٌّ بِأَنَّ عَبْدَ اللهِ إِنَّمَا فَعَلَ ذَلِكَ , لِأَنَّهُ صَارَ هُوَ وَأَصْحَابُهُ صَفًّا قِيلَ لَهُ: فَقَدْ رُوِيَ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩২৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৩২৫
কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া প্রসঙ্গে।
২৩২৪-২৩২৫। ইউনুস (রাহঃ) আবু উমামা ইবুন সাহুল (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি
লােকদের রুকু অবস্থায় যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) কে মসজিদে প্রবেশ করতে দেখেছি। তিনি হেঁটে গিয়ে এরূপ স্থানে নিয়্যত বাধলেন, যে স্থান থেকে সহজে রুকূ অবস্থায় কাতারে শামিল হতে পারেন। তিনি তাকবীর বলে রুকূ করলেন তারপর রুকূ অবস্থায় হেঁটে কাতারের মধ্যে পৌঁছে গেলেন।
ইউনুস (রাহঃ).... ইব্ন শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
লােকদের রুকু অবস্থায় যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) কে মসজিদে প্রবেশ করতে দেখেছি। তিনি হেঁটে গিয়ে এরূপ স্থানে নিয়্যত বাধলেন, যে স্থান থেকে সহজে রুকূ অবস্থায় কাতারে শামিল হতে পারেন। তিনি তাকবীর বলে রুকূ করলেন তারপর রুকূ অবস্থায় হেঁটে কাতারের মধ্যে পৌঁছে গেলেন।
ইউনুস (রাহঃ).... ইব্ন শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
2324 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلٍ , قَالَ: «رَأَيْتُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَالنَّاسُ رُكُوعٌ , فَمَشَى حَتَّى إِذَا أَمْكَنَهُ أَنْ يَصِلَ إِلَى الصَّفِّ وَهُوَ رَاكِعٌ , كَبَّرَ فَرَكَعَ ثُمَّ دَبَّ وَهُوَ رَاكِعٌ حَتَّى وَصَلَ الصَّفَّ»
2325 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، وَابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2325 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، وَابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩২৬
কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া প্রসঙ্গে।
২৩২৬। ইব্ন আবু দাউদ (রাহঃ) খারিজা ইব্ন যায়দ ইবন সাবিত (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, যদি ইব্ন
সাবিত (রাযিঃ) একদা কিবলা মুখী হয়ে মসজিদের চৌকাঠের নিম্নভাগে (নিয়ত বেঁধে) রুকু করেছেন। তারপর ডান দিকে পাশাপাশি হেঁটে গিয়ে মূল কাতারে শামিল হয়েছেন।
কেউ যদি বলে যে, তােমরা তাে ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) এবং যায়দ (রাযিঃ) থেকে যে রিওয়ায়াত করেছ এর
বিরােধিতা করে বলেছ যে, কাতারের পিছনে সালাত আদায় করা ঠিক নয়। উত্তরে তাকে বলা হবে যে,
(কাতারের পিছনে সালাত পড়া মাকরূহ) কিন্তু আমরা উল্লিখিত ইবন মাসউদ (রাযিঃ) এবং যায়দ (রাযিঃ) এর রেওয়ায়েত দ্বারা তােমাদের বিরুদ্ধে দলীল উপস্থাপন করেছি এ জন্য যেন তােমরা জানতে পার যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর সমস্ত সাহাবী ঐ ব্যক্তির সালাতকে বাতিল হিসাবে গণ্য করতেন না, যে কাতারে পৌছার পূর্বে সালাতে শরীক হয়েছে।
কেউ যদি প্রশ্ন করে যে, তোমাদের মতের পক্ষে কোন দলীল আছে, যে কারণে তােমরী আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এবং যায়দ (রাযিঃ) এর বিরােধিতা করেছ ?
উত্তরে তাকে বলা হবে যে, এ অধ্যায়ে আমরা যে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীস রিওয়ায়াত করেছি, সেটি
আমাদের দলীল ! এতে বলা হয়েছেঃ তােমাদের কেউ যেন কাতারের পিছনে সালাত আদায় না করে, যতক্ষণ পর্যন্ত সে কাতারের মধ্যে নিজের জায়গা করে না নিবে । আর হাসান (বসরী) (রাহঃ) ও এ মত পােষণ করেনঃ
সাবিত (রাযিঃ) একদা কিবলা মুখী হয়ে মসজিদের চৌকাঠের নিম্নভাগে (নিয়ত বেঁধে) রুকু করেছেন। তারপর ডান দিকে পাশাপাশি হেঁটে গিয়ে মূল কাতারে শামিল হয়েছেন।
কেউ যদি বলে যে, তােমরা তাে ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) এবং যায়দ (রাযিঃ) থেকে যে রিওয়ায়াত করেছ এর
বিরােধিতা করে বলেছ যে, কাতারের পিছনে সালাত আদায় করা ঠিক নয়। উত্তরে তাকে বলা হবে যে,
(কাতারের পিছনে সালাত পড়া মাকরূহ) কিন্তু আমরা উল্লিখিত ইবন মাসউদ (রাযিঃ) এবং যায়দ (রাযিঃ) এর রেওয়ায়েত দ্বারা তােমাদের বিরুদ্ধে দলীল উপস্থাপন করেছি এ জন্য যেন তােমরা জানতে পার যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর সমস্ত সাহাবী ঐ ব্যক্তির সালাতকে বাতিল হিসাবে গণ্য করতেন না, যে কাতারে পৌছার পূর্বে সালাতে শরীক হয়েছে।
কেউ যদি প্রশ্ন করে যে, তোমাদের মতের পক্ষে কোন দলীল আছে, যে কারণে তােমরী আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এবং যায়দ (রাযিঃ) এর বিরােধিতা করেছ ?
উত্তরে তাকে বলা হবে যে, এ অধ্যায়ে আমরা যে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীস রিওয়ায়াত করেছি, সেটি
আমাদের দলীল ! এতে বলা হয়েছেঃ তােমাদের কেউ যেন কাতারের পিছনে সালাত আদায় না করে, যতক্ষণ পর্যন্ত সে কাতারের মধ্যে নিজের জায়গা করে না নিবে । আর হাসান (বসরী) (রাহঃ) ও এ মত পােষণ করেনঃ
2326 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أنا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ: أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ، كَانَ يَرْكَعُ عَلَى عَتَبَةِ الْمَسْجِدِ وَوَجْهُهُ إِلَى الْقِبْلَةِ , ثُمَّ يَمْشِي مُعْتَرِضًا عَلَى شِقِّهِ الْأَيْمَنِ ثُمَّ يَعْتَدُّ بِهَا إِنْ وَصَلَ إِلَى الصَّفِّ أَوْ لَمْ يَصِلْ " فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَأَنْتُمْ تُخَالِفُونَ مَا قَدْ رَوَيْتُمُوهُ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَزَيْدٍ , وَتَقُولُونَ: لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَرْكَعَ دُونَ الصَّفِّ. قِيلَ لَهُ: نَعَمْ , وَلَكِنِ احْتَجَجْنَا بِذَلِكَ عَلَيْكَ , لِتَعْلَمَ أَنَّ أَصْحَابَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلَّهُمْ لَا يُبْطِلُونَ صَلَاةَ مَنْ دَخَلَ فِي الصَّلَاةِ قَبْلَ وُصُولِهِ إِلَى الصَّفِّ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَمَا الَّذِي ذَهَبْتُمْ إِلَيْهِ , حَتَّى خَالَفْتُمْ عَبْدَ اللهِ وَزَيْدًا؟ . قِيلَ لَهُ: مَا قَدْ رَوَيْنَاهُ فِي هَذَا الْبَابِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «لَا يَرْكَعْ أَحَدُكُمْ دُونَ الصَّفِّ , حَتَّى يَأْخُذَ مَكَانَهُ مِنَ الصَّفِّ» وَقَدْ قَالَ بِذَلِكَ , الْحَسَنُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩২৭
কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া প্রসঙ্গে।
২৩২৭। ইব্ন আবু দাউদ (রাহঃ) হাসান (বী) (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি কাতারের পিছনে
সালাত আদায় করাকে মাকরূহ মনে করতেন।
বস্তুত এ বিষয়ে এ অধ্যায়ে কাতারের পিছনে সালাত আদায়ের অনুমতি সংক্রান্ত আমরা যা কিছু বর্ণনা করেছি, সে সবই আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর উক্তি ও মাযহাব।
সালাত আদায় করাকে মাকরূহ মনে করতেন।
বস্তুত এ বিষয়ে এ অধ্যায়ে কাতারের পিছনে সালাত আদায়ের অনুমতি সংক্রান্ত আমরা যা কিছু বর্ণনা করেছি, সে সবই আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর উক্তি ও মাযহাব।
2327 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْقَوَارِيرِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الْأَشْعَثِ، عَنِ الْحَسَنِ، «أَنَّهُ كَرِهَ أَنْ يُرْكَعَ، دُونَ الصَّفِّ» وَكُلُّ مَا بَيَّنَّا فِي هَذَا الْبَابِ مِنْ هَذَا , وَمِنْ إِجَازَةِ صَلَاةِ مَنْ صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ , هُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান