শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২১৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ২১৪২
৫০. কেউ ঘরে সালাত আদায় করে মসজিদে এসে লোকদের (জামাআতে) সালাতরত দেখলে
২১৩৮-২১৪২। আবু বাকরা (রাহঃ) ..... মিহজান-আদদীলী (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আমাকে সালাতের ইকামাতের সময় জামাআতে শরীক না হয়ে বসে থাকতে দেখলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সালাত শেষ করে আমাকে বললেন, তুমি কি মুসলমান নও? আমি বললাম, নিশ্চয়ই। তারপর তিনি বললেন, তাহলে আমাদের সাথে সালাত আদায় করতে তোমাকে কিসে বাধা দিল ? উত্তরে আমি বললাম, আমি আমার পরিবারের সাথে সালাত আদায় করে এসেছি। তখন তিনি বললেন, পরিবারের সাথে তুমি সালাত আদায় করলেও জামাআতে সালাত আদায় করবে।

ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ….. মিহজান আদদীলী (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আমার গৃহে যুহর অথবা আসরের সালাত আদায় করি। তারপর মসজিদের দিকে বেরিয়ে যাই। গিয়ে দেখলাম রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বসে আছেন, তাঁর পার্শ্বে সাহাবায়ে কিরাম, পরে সালাতের ইকামাত হল। তারপর তিনি পূর্বোক্তরূপ বর্ণনা করেছেন।

হুসাইন ইবন নসর (রাহঃ) ও ফাহাদ (রাহঃ) ….. মিজান আদদালী (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এই রিওয়ায়াতে কোন্ সালাত সেটির উল্লেখ নেই।

ইউনুস (রাহঃ) ….. বুসর ইবন মিহজান আদদীলী (রাহঃ) থেকে তিনি তার পিতা মিহজান (রাযিঃ) থেকে অথবা তাঁর চাচা সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب الرجل يصلي في رحله ثم يأتي المسجد والناس يصلون
2138 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ , قَالَ: ثنا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ , عَنْ بُسْرِ بْنِ مِحْجَنٍ الدِّيلِيِّ , عَنْ أَبِيهِ: عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ رَآهُ وَقَدْ أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ , قَالَ: فَجَلَسْتُ وَلَمْ أَقُمْ لِلصَّلَاةِ , فَلَمَّا قَضَى صَلَاتَهُ قَالَ لِي: «أَلَسْتَ مُسْلِمًا؟» قُلْتُ: بَلَى , قَالَ: «فَمَا مَنَعَكَ , أَنْ تُصَلِّيَ مَعَنَا؟» فَقُلْتُ: قَدْ كُنْتُ صَلَّيْتُ مَعَ أَهْلِي فَقَالَ: «صَلِّ مَعَ النَّاسِ وَإِنْ كُنْتَ قَدْ صَلَّيْتَ مَعَ أَهْلِكَ» [ص:363]

2139 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ الْوُحَاظِيُّ , قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ , عَنْ بُسْرِ بْنِ مِحْجَنٍ الدِّيلِيِّ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: «صَلَّيْتُ فِي بَيْتِي الظُّهْرَ , أَوِ الْعَصْرَ , ثُمَّ خَرَجْتُ إِلَى الْمَسْجِدِ , فَوَجَدْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسًا وَحَوْلَهُ أَصْحَابُهُ , ثُمَّ أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ» , ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ

2140 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ، ح.

2141 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَا: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ بُسْرِ بْنِ مِحْجَنٍ الدِّيلِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ. غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ أَيَّ صَلَاةٍ هِيَ

2142 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ بُسْرِ بْنِ مِحْجَنٍ الدِّيلِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَوْ عَنْ عَمِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:২১৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ২১৪৪
কেউ ঘরে সালাত আদায় করে মসজিদে এসে লোকদের (জামাআতে) সালাতরত দেখলে
২১৪৩-২১৪৪। আবু বাকরা …… আবু যার (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমার অন্তরং্গ বন্ধু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে ওসিয়ত করেছেন যেন নির্ধারিত সময়ে সালাত আদায় করি। তিনি আমাকে আরো বলেছেন, তুমি যদি তোমার ইমামকে তোমার পূর্বে সালাত আদায়কারী পাও তাহলে তোমার সালাত তোমার জন্য যথেষ্ট। অন্যথায় এটি হবে (ইমামের সাথে সালাত) তোমার জন্য নফল।
2143 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جُرَيْجٍ، ح

2144 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَا: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «أَوْصَانِي خَلِيلِي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أُصَلِّيَ الصَّلَاةَ لِوَقْتِهَا , وَإِنْ أَدْرَكْتَ الْإِمَامَ , وَقَدْ سَبَقَكَ , فَقَدْ أَجْزَتْكَ صَلَاتُكَ , وَإِلَّا فَهِيَ لَكَ نَافِلَةٌ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৪৫
কেউ ঘরে সালাত আদায় করে মসজিদে এসে লোকদের (জামাআতে) সালাতরত দেখলে
২১৪৫। ইবন মারযূক (রাহঃ) ….. আবু যার (রাযিঃ) থেকে এবং তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার উরুর উপর হাত মেরে আমাকে বললেন, তখন তোমার কি অবস্থা হবে যখন তুমি এরূপ সম্প্রদায়ের মধ্যে বেঁচে থাকবে, যারা নির্ধারিত সময় থেকে সালাত আদায়ে দেরী করবে? তারপর তিনি আমাকে বললেন, নির্ধারিত সময়ে সালাত আদায় করে ফেলবে। তারপর বের হবে। আর যদি তুমি মসজিদে অবস্থানকালে সালাতের ইকামাত হয় তবে জামা'আতে সালাত আদায় করবে। তুমি বল না যে, আমি সালাত আদায় করে ফেলেছি, অতএব এখন আবার সালাত আদায় করব না।
2145 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، عَنْ شُعْبَةَ، قَالَ: ثنا بُدَيْلٌ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَرْفَعُهُ , قَالَ: فَضَرَبَ فَخِذِي فَقَالَ لِي: «كَيْفَ أَنْتَ إِذَا بَقِيتَ فِي قَوْمٍ يُؤَخِّرُونَ الصَّلَاةَ عَنْ وَقْتِهَا» ثُمَّ قَالَ لِي: «صَلِّ الصَّلَاةَ لِوَقْتِهَا , ثُمَّ اخْرُجْ , وَإِنْ كُنْتَ فِي الْمَسْجِدِ فَأُقِيمَتِ الصَّلَاةُ , فَصَلِّ مَعَهُمْ , وَلَا تَقُلْ إِنِّي قَدْ صَلَّيْتُ فَلَا أُصَلِّي»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৪৬
কেউ ঘরে সালাত আদায় করে মসজিদে এসে লোকদের (জামাআতে) সালাতরত দেখলে
২১৪৬। আবু বাকরা (রাহঃ) ….. ইয়াযিদ ইবন আসওয়াদ আল-আসওয়াঈ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মসজিদে খায়ফে ফজরের সালাতে আমাদের ইমামতি করলেন। সালাত শেষ করে তিনি দেখলেন, মসজিদের শেষ প্রান্তে দুই ব্যক্তি বসে আছে। তারপর তাদেরকে তাঁর দরবারে হাজির করা হলো। তখন তাদের কাঁধের গোশত কাঁপছিলো। তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, আমাদের সাথে জামাআতে সালাত আদায়ে তোমাদের কিসে বাধা দিল ? তারা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা বাড়িতে সালাত আদায় করে এসেছি। তারপর তিনি বললেন, আর এরূপ করবে না। যখন বাড়িতে সালাত আদায় করে এসে দেখবে জামাআতে সালাত আদায় করা হচ্ছে তখন তাদের সাথে তোমরা সালাত আদায় করবে। কারণ, এটি তোমাদের নফল সালাত অথবা বলেছেন, ঐচ্ছিক (সালাত)।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ উপরোক্ত হাদীসসমূহের বিষয়বস্তু একদল আলিম গ্রহণ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, কেউ যদি ঘরে যে কোন ফরয সালাত আদায় করে, তারপর মসজিদে এসে লোকজনকে জামাআতে সালাত আদায় করতে দেখে তাহলে তাতে শরীক হবে।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেন, যেসব সালাতের পর নফল আছে, সেসব সালাতে একবার সালাত আদায়ের পর পুনঃ জামাআতে শরীক হওয়াতে কোন দোষ নেই এবং দ্বিতীয় সালাতটি হবে নফল। আর মাগরিবের সালাতে পুনরায় অংশগ্রহণ করা যাবে না। এটাকে আলিমগণ মাকরূহ মনে করেন। কারণ, মাগরিবের সালাত পুনঃ আদায় করলে তা হবে নফল। অথচ বেজোড় নফল হয় না। নফল হয় জোড়। আর যেসব সালাতের পর নফল পড়া জায়িয নেই, সেসব সালাতে পুনরায় ইমামের সাথে অংশগ্রহণ করা বৈধ নয়, কারণ, এটি এমন সময়ের নফল, যে সময় এরূপ নফল আদায় করা বৈধ নয়। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আসরের সালাতের পর সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত এবং ফজরের সালাতের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। এসব রিওয়ায়াত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে মুতাওয়াতির রূপে বর্ণিত হয়েছে। এ গ্রন্থের অন্যত্র সেসব হাদীস আমি উল্লেখ করেছি। এরূপ মুতাওয়াতির রিওয়ায়াতগুলো দ্বারা তাঁরা প্রমাণ পেশ করেছেন। এসব মুতাওয়াতির রিওয়ায়াত এ পরিচ্ছদের শুরুতে যেসব হাদীস বর্ণনা করেছি, সেগুলো রহিত করে দিয়েছে। তাঁরা বলেন, প্রথম দিকে কোন কোন হাদীসে যখন বলা হয়েছে, “তোমরা সে সালাত (ইমামের সাথে) আদায় কর। কারণ এটা তোমাদের জন্য নফল।" আর এসব পরবর্তী হাদীসে (আসর ও ফজরের পর) নফল পড়তে নিষেধ করা হয়েছে এবং এসব হাদীস সর্বসম্মতভাবে রহিত নয়। কাজেই এসব হাদীসের বিষয় জামাআতে শরীক হওয়ার হাদীসে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং পূর্বোক্ত সেই বিরোধী হাদীসগুলোকে রহিত করে দিবে, যেগুলোতে শুধু (ইমামের সাথে পুনঃ) সালাত আদায়ের কথা বলা হয়েছে; কিন্তু আমাদের জন্য এটি নফল কথাটি উল্লেখ করা হয়নি। কাজেই সেসব হাদীসে “কারণ সেটি তোমাদের জন্য নফল” বাক্য উল্লেখ করা হয়েছে। আর যেগুলোতে এ বাক্যটি উল্লেখ করা হয়নি, উভয়টির একই অর্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিংবা এও হতে পারে একবার সালাত আদায় করে দ্বিতীয় বার ইমামের সাথে সালাত আদায়ের নির্দেশ ব্যাপক আকারে (সব সালাতে) তখন করা হয়েছিলো, যখন ফরয দু'বার আদায় করা যেত এবং দুটি-ই হতো ফরয সালাত। পরবর্তীতে এই হুকুম রহিত করা হয়েছে। বস্তুত উপরোক্ত দুটি বিষয়ের যেকোন একটি-ই ধরা হোক না কেন, পূর্বেও হাদীসের হুকুম পরবর্তীতে উল্লিখিত হাদীস দ্বারা রহিত হয়ে গেছে। যুহর এবং ইশা ছাড়া অন্য কোন সালাত পুনঃ আদায় করা যাবে না বলে যারা মত পোষণ করেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)। বস্তুত পূর্ববর্তী একদল আলিম থেকে এর স্বপক্ষে হাদীস বর্ণিত আছে। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলোঃ
2146 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يَعْلَى بْنُ عَطَاءٍ، قَالَ: سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ يَزِيدَ بْنِ الْأَسْوَدِ السُّوَائِيَّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: " صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَسْجِدِ الْخَيْفِ صَلَاةَ الصُّبْحِ , فَلَمَّا قَضَى صَلَاتَهُ إِذَا رَجُلَانِ جَالِسَانِ فِي مُؤَخَّرِ الْمَسْجِدِ فَأُتِيَ بِهِمَا تُرْعَدُ فَرَائِصُهُمَا , فَقَالَ: «مَا مَنَعَكُمَا أَنْ تُصَلِّيَا مَعَنَا؟» فَقَالَا: يَا رَسُولَ اللهِ , صَلَّيْنَا فِي رِحَالِنَا , قَالَ: " فَلَا تَفْعَلَا , إِذَا صَلَّيْتُمَا فِي رِحَالِكُمَا , ثُمَّ أَتَيْتُمَا النَّاسَ وَهُمْ يُصَلُّونَ , فَصَلِّيَا مَعَهُمْ , فَإِنَّهَا لَكُمَا نَافِلَةٌ أَوْ قَالَ: تَطَوُّعٌ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: ذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذِهِ الْآثَارِ , فَقَالُوا: إِذَا صَلَّى الرَّجُلُ فِي بَيْتِهِ صَلَاةً مَكْتُوبَةً , أَيَّ صَلَاةٍ كَانَتْ , ثُمَّ جَاءَ الْمَسْجِدَ فَوَجَدَ النَّاسَ وَهُمْ يُصَلُّونَ , صَلَّاهَا مَعَهُمْ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: كُلُّ صَلَاةٍ يَجُوزُ التَّطَوُّعُ بَعْدَهَا , فَلَا بَأْسَ أَنْ يُفْعَلَ فِيهَا مَا ذَكَرْتُمْ مِنْ صَلَاتِهِ إِيَّاهَا مَعَ الْإِمَامِ , عَلَى أَنَّهَا نَافِلَةٌ لَهُ , غَيْرَ الْمَغْرِبِ , فَإِنَّهُمْ كَرِهُوا أَنْ تُعَادَ ; لِأَنَّهَا إِنْ أُعِيدَتْ , كَانَتْ تَطَوُّعًا , وَالتَّطَوُّعُ لَا يَكُونُ وِتْرًا , إِنَّمَا يَكُونُ شَفْعًا. وَكُلُّ صَلَاةٍ لَا يَجُوزُ التَّطَوُّعُ بَعْدَهَا , فَلَا يَنْبَغِي أَنْ يُعِيدَهَا مَعَ الْإِمَامِ , لِأَنَّهَا تَكُونُ تَطَوُّعًا فِي وَقْتٍ لَا يَجُوزُ فِيهِ التَّطَوُّعُ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا قَدْ تَوَاتَرَتْ بِهِ الرِّوَايَاتُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فِي نَهْيِهِ عَنِ الصَّلَاةِ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ , وَبَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ بِأَسَانِيدِهِ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا , فَذَلِكَ عِنْدَهُمْ نَاسِخٌ لِمَا رَوَيْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ. وَقَالُوا: إِنَّهُ لَمَّا بَيَّنَ فِي بَعْضِ الْأَحَادِيثِ الْأُوَلِ , فَقَالَ: " فَصَلُّوهَا فَإِنَّهَا لَكُمْ نَافِلَةٌ أَوْ قَالَ: تَطَوُّعٌ «وَنَهَى عَنِ التَّطَوُّعِ فِي هَذِهِ الْآثَارِ الْأُخَرِ , وَأُجْمِعَ عَلَى اسْتِعْمَالِهَا كَانَ ذَلِكَ دَاخِلًا فِيهَا , نَاسِخًا لِمَا قَدْ تَقَدَّمَهُ مِمَّا قَدْ خَالَفَهُ. وَمِنْ تِلْكَ الْآثَارِ مَا لَمْ يَقُلْ فِيهِ» فَإِنَّهَا لَكُمْ تَطَوُّعٌ " فَذَلِكَ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ مَعْنَاهُ مَعْنَى هَذَا الَّذِي بَيَّنَ فِيهِ فَقَالَ: «فَإِنَّهَا لَكُمْ تَطَوُّعٌ» وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ , كَانَ فِي وَقْتٍ كَانُوا يُصَلُّونَ فِيهِ الْفَرِيضَةَ مَرَّتَيْنِ فَيَكُونَانِ جَمِيعًا فَرِيضَتَيْنِ , ثُمَّ نُهُوا عَنْ ذَلِكَ. فَعَلَى أَيِّ الْأَمْرَيْنِ كَانَ , فَإِنَّهُ قَدْ نَسَخَهُ مَا قَدْ ذَكَرْنَا. وَمِمَّنْ قَالَ: بِأَنَّهُ لَا يُعَادُ مِنَ الصَّلَوَاتِ إِلَّا الظُّهْرُ , وَالْعِشَاءُ الْآخِرَةُ , أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ , عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الْمُتَقَدِّمِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৪৭
কেউ ঘরে সালাত আদায় করে মসজিদে এসে লোকদের (জামাআতে) সালাতরত দেখলে
২১৪৭। ইউনুস (রাহঃ) ….. উম্মে সালামা (রাযিঃ)-এর আযাদকৃত দাস নায়েম ইবন উজাইল (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি মাগরিবের সালাতের সময় মসজিদে প্রবেশ করতাম। তাতে দেখতাম রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর অনেক সাহাবী মসজিদের পিছন দিকে বসে আছেন অথচ মসজিদে লোকেরা (জামাআতে) সালাত আদায় করছে। এঁরা ঘরে সালাত পড়ে এসেছিলেন।
এঁরা হলেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহাবী, তারা ঘরে মাগরিবের সালাত আদায় করে আসার ফলে মসজিদে মাগরিবের সালাতে অংশগ্রহণ করেননি। আর অপরাপর সাহাবীগণও এ বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে কোন রূপ আপত্তি জ্ঞাপন করেননি।
আমাদের মতে এটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পূর্বোক্ত হাদীস রহিত হওয়ার প্রমাণ। এমন হতে পারে না যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হাদীস সকলে ভুলে যাবেন, এবং সবাই হাদীসের বিরোধিতা করবেন। অবশ্যই তাঁদের কাছে প্রমাণ ছিল যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পূর্বোক্ত হাদীস রহিত হয়ে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইবন উমর (রাযিঃ) ও অন্যান্য সাহাবী থেকে নিম্নোক্ত হাদীস বর্ণিত আছেঃ
2147 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ , قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ نَاعِمِ بْنِ أُجَيْلٍ مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ , قَالَ: كُنْتُ أَدْخُلُ الْمَسْجِدَ لِصَلَاةِ الْمَغْرِبِ , فَأَرَى رِجَالًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , جُلُوسًا فِي آخِرِ الْمَسْجِدِ , وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ فِيهِ , قَدْ صَلَّوْا فِي بُيُوتِهِمْ " فَهَؤُلَاءِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَانُوا لَا يُصَلُّونَ الْمَغْرِبَ فِي الْمَسْجِدِ , لَمَّا كَانُوا قَدْ صَلَّوْهَا فِي بُيُوتِهِمْ , وَلَا يُنْكِرُ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ غَيْرُهُمْ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا. فَذَلِكَ دَلِيلٌ عِنْدَنَا عَلَى نَسْخِ مَا قَدْ كَانَ تَقَدَّمَهُ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لِأَنَّهُ لَا يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مِثْلُ ذَلِكَ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قَدْ ذَهَبَ عَلَيْهِمْ جَمِيعًا , حَتَّى يَكُونُوا عَلَى خِلَافِهِ , وَلَكِنْ كَانَ ذَلِكَ مِنْهُمْ لِمَا قَدْ ثَبَتَ عِنْدَهُمْ فِيهِ مِنْ نَسْخِ ذَلِكَ الْقَوْلِ. [ص:365] وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَغَيْرِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৪৮
কেউ ঘরে সালাত আদায় করে মসজিদে এসে লোকদের (জামাআতে) সালাতরত দেখলে
২১৪৮। ইবন মারযূক (রাহঃ) ….. নাফি' (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, ইবন উমর (রাযিঃ) বলেছেন, তুমি যদি বাড়িতে তোমার পরিবারে সালাত আদায় করে থাক তারপর (মসজিদে এসে জামাআতে) সালাত পাও তাহলে ফজর এবং মাগরিব ব্যতীত অন্যান্য সালাতে শরীক হও। কারণ, ফজর এবং মাগরিব পুনঃ আদায় করা যায় না।
2148 - مَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي نَافِعٌ: أَنَّ ابْنَ عُمَرَ قَالَ: «إِنْ صَلَّيْتَ فِي أَهْلِكَ ثُمَّ أَدْرَكْتَ الصَّلَاةَ , فَصَلِّهَا إِلَّا الصُّبْحَ وَالْمَغْرِبَ , فَإِنَّهُمَا لَا يُعَادَانِ فِي يَوْمٍ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১৪৯
কেউ ঘরে সালাত আদায় করে মসজিদে এসে লোকদের (জামাআতে) সালাতরত দেখলে
২১৪৯। রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাহঃ) ….. ইবরাহীম (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি মাগরিবের সালাত পুনঃ আদায় করাকে অপসন্দ করতেন (মাকরূহ মনে করতেন) তবে যদি কেউ শাসকের (শাস্তির) আশংকা করে তবে তা পুনঃ আদায় করবে। পরে আর এক রাক'আত মিলিয়ে ফেলবে, (ফলে চার রাক'আত নফল হয়ে যাবে)।
2149 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ «أَنَّهُ كَانَ يَكْرَهُ أَنْ يُعَادَ، الْمَغْرِبُ إِلَّا أَنْ يَخْشَى رَجُلٌ سُلْطَانًا , فَيُصَلِّيَهَا , ثُمَّ يَشْفَعَ بِرَكْعَةٍ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান