শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৫১৩
২৬-সিজদায় যেতে প্রথমে উভয় হাত না উভয় হাঁটু রাখবে
১৫১৩। আলী ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি সিজদায় যাওয়ার সময় উভয় হাঁটুর পূর্বে উভয় হাত রাখতেন। আর বলতেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এরূপ করতেন।
بَابٌ مَا يُبْدَأُ بِوَضْعِهِ فِي السُّجُودِ , الْيَدَيْنِ أَوِ الرُّكْبَتَيْنِ؟
1513 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ الْكُوفِيُّ قَالَ: ثنا أَصْبَغُ بْنُ الْفَرَجِ قَالَ: ثنا الدَّرَاوَرْدِيُّ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «أَنَّهُ كَانَ إِذَا سَجَدَ بَدَأَ بِوَضْعِ يَدَيْهِ قَبْلَ رُكْبَتَيْهِ , وَكَانَ يَقُولُ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ ذَلِكَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫১৪
সিজদায় যেতে প্রথমে উভয় হাত না উভয় হাঁটু রাখবে
১৫১৪। ইবনে আবু দাউদ (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
1514 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَصْبَغُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَا: ثنا الدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫১৫
সিজদায় যেতে প্রথমে উভয় হাত না উভয় হাঁটু রাখবে
১৫১৫। সালিহ্ ইবনে আব্দুর রহমান আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন ঃ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সিজদা করবে তখন যেন উটের ন্যায় না বসে। বরং (প্রথমে ) উভয় হাত রাখবে, তারপর উভয় হাঁটু।
এক সম্প্রদায় সংশয় প্রকাশ করে বলে যে, (হাদীসে ব্যক্ত) এ কথাটি অসম্ভব, যেহেতু রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, উটের ন্যায় বসবে না। আর উট নিজের উভয় হাতের উপরে বসে। তারপর বলেছেন, বরং উভয় হাঁটুর পূর্বে উভয় হাত রাখবে। বস্তুত এখানে উটের অনুরূপ করার নির্দেশ করা হয়েছে।
হাদীসের বক্তব্যটির বিশুদ্ধতা, বাস্তবতা প্রমাণ ও এর অসম্ভাব্যতা খণ্ডনের ব্যাপারে সংশয়কারীদের বিরুদ্ধে দলীল হচ্ছে যে, উটের উভয় হাঁটু তার উভয় হাতে বিদ্যমান। অপরাপর জন্তুর অবস্থাও তাই অনুরূপ। পক্ষান্তরে মানুষ এরূপ নয়। (অতএব হাদীসের অর্থ হচ্ছে) রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা ( সিজদায় যাওয়ার সময়) উভয় হাঁটুর উপর বসবে না, যা উভয় পায়ে বিদ্যমান। যেমনিভাবে উট নিজের উভয় হাঁটুর উপর বসে, যা তার উভয় হাতে বিদ্যমান। বরং প্রথমত উভয় হাত রাখবে, যাতে উভয় হাঁটু বিদ্যমান নেই। তারপর উভয় হাঁটু রাখবে, উট যা করে সেইরূপ নয়।
একদল আলিম বলেছেন যে, সিজদায় যেতে উভয় হাঁটুর পূর্বে উভয় হাত রাখবে। তাঁরা বর্ণিত হাদীসগুলো দ্বারা দলীল পেশ করেন। পক্ষান্তরে অপর একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ বরং উভয় হাতের পূর্বে নিজের উভয় হাঁটু রাখবে। আর তাঁরা এ ব্যাপারে নিম্নোক্ত হাদীসগুলো দ্বারা দলীল পেশ করেন।
এক সম্প্রদায় সংশয় প্রকাশ করে বলে যে, (হাদীসে ব্যক্ত) এ কথাটি অসম্ভব, যেহেতু রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, উটের ন্যায় বসবে না। আর উট নিজের উভয় হাতের উপরে বসে। তারপর বলেছেন, বরং উভয় হাঁটুর পূর্বে উভয় হাত রাখবে। বস্তুত এখানে উটের অনুরূপ করার নির্দেশ করা হয়েছে।
হাদীসের বক্তব্যটির বিশুদ্ধতা, বাস্তবতা প্রমাণ ও এর অসম্ভাব্যতা খণ্ডনের ব্যাপারে সংশয়কারীদের বিরুদ্ধে দলীল হচ্ছে যে, উটের উভয় হাঁটু তার উভয় হাতে বিদ্যমান। অপরাপর জন্তুর অবস্থাও তাই অনুরূপ। পক্ষান্তরে মানুষ এরূপ নয়। (অতএব হাদীসের অর্থ হচ্ছে) রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা ( সিজদায় যাওয়ার সময়) উভয় হাঁটুর উপর বসবে না, যা উভয় পায়ে বিদ্যমান। যেমনিভাবে উট নিজের উভয় হাঁটুর উপর বসে, যা তার উভয় হাতে বিদ্যমান। বরং প্রথমত উভয় হাত রাখবে, যাতে উভয় হাঁটু বিদ্যমান নেই। তারপর উভয় হাঁটু রাখবে, উট যা করে সেইরূপ নয়।
একদল আলিম বলেছেন যে, সিজদায় যেতে উভয় হাঁটুর পূর্বে উভয় হাত রাখবে। তাঁরা বর্ণিত হাদীসগুলো দ্বারা দলীল পেশ করেন। পক্ষান্তরে অপর একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ বরং উভয় হাতের পূর্বে নিজের উভয় হাঁটু রাখবে। আর তাঁরা এ ব্যাপারে নিম্নোক্ত হাদীসগুলো দ্বারা দলীল পেশ করেন।
1515 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنِ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا سَجَدَ أَحَدُكُمْ فَلَا يَبْرُكْ كَمَا يَبْرُكُ الْبَعِيرُ وَلَكِنْ يَضَعُ يَدَيْهِ ثُمَّ رُكْبَتَيْهِ» فَقَالَ قَوْمٌ: هَذَا الْكَلَامُ مُحَالٌ ; لِأَنَّهُ قَالَ: «لَا يَبْرُكْ كَمَا يَبْرُكُ الْبَعِيرُ» , وَالْبَعِيرُ إِنَّمَا يَبْرُكُ عَلَى يَدَيْهِ , ثُمَّ قَالَ: وَلَكِنْ يَضَعُ يَدَيْهِ قَبْلَ رُكْبَتَيْهِ فَأَمَرَهُ هَاهُنَا أَنْ يَصْنَعَ مَا يَصْنَعُ الْبَعِيرُ , وَنَهَاهُ فِي أَوَّلِ الْكَلَامِ أَنْ يَفْعَلَ مَا يَفْعَلُ الْبَعِيرُ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ فِي تَثْبِيتِ هَذَا الْكَلَامِ وَتَصْحِيحِهِ وَنَفْيِ الْإِحَالَةِ مِنْهُ أَنَّ الْبَعِيرَ رُكْبَتَاهُ فِي يَدَيْهِ وَكَذَلِكَ فِي سَائِرِ الْبَهَائِمِ , وَبَنُو آدَمَ لَيْسُوا كَذَلِكَ , فَقَالَ: لَا يَبْرُكْ عَلَى رُكْبَتَيْهِ اللَّتَيْنِ فِي رِجْلَيْهِ , كَمَا يَبْرُكُ الْبَعِيرُ عَلَى رُكْبَتَيْهِ اللَّتَيْنِ فِي يَدَيْهِ , وَلَكِنْ يَبْدَأُ فَيَضَعُ أَوَّلًا يَدَيْهِ اللَّتَيْنِ لَيْسَ فِيهِمَا رُكْبَتَانِ ثُمَّ يَضَعُ رُكْبَتَيْهِ , فَيَكُونُ مَا يَفْعَلُ فِي ذَلِكَ بِخِلَافِ مَا يَفْعَلُ الْبَعِيرُ. فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْيَدَيْنِ يُبْدَأُ بِوَضْعِهِمَا فِي السُّجُودِ قَبْلَ الرُّكْبَتَيْنِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: بَلْ يَبْدَأُ بِوَضْعِ الرُّكْبَتَيْنِ قَبْلَ الْيَدَيْنِ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫১৬
সিজদায় যেতে প্রথমে উভয় হাত না উভয় হাঁটু রাখবে
১৫১৬। ইবনে আবু দাউদ (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন সিজদা করতেন তখন নিজের উভয় হাতের পূর্বে উভয় হাঁটু রাখতেন।
1516 - بِمَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا ابْنُ فُضَيْلٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَعِيدٍ , عَنْ جَدِّهِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا سَجَدَ بَدَأَ بِرُكْبَتَيْهِ قَبْلَ يَدَيْهِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫১৭
সিজদায় যেতে প্রথমে উভয় হাত না উভয় হাঁটু রাখবে
১৫১৭। রবিউল মু'আযযিন (রাহঃ)....... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তােমাদের কেউ যখন সিজদা করবে সে যেন নিজের হাতের পূর্বে হাঁটু দিয়ে আরম্ভ করে। এবং উটের ন্যায় বসবে না।
বস্তুত এ হাদীসটি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে আরাজ (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের পরিপন্থী আর এ
হাদীসের অর্থ হচ্ছে, নিজের উভয় হাতের উপর বসবে না, যেমনিভাবে উট নিজের উভয় হাতের উপর
বসে থাকে।
বস্তুত এ হাদীসটি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে আরাজ (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের পরিপন্থী আর এ
হাদীসের অর্থ হচ্ছে, নিজের উভয় হাতের উপর বসবে না, যেমনিভাবে উট নিজের উভয় হাতের উপর
বসে থাকে।
1517 - وَبِمَا حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدُ بْنُ مُوسَى , قَالَ: ثنا ابْنُ فُضَيْلٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ جَدِّهِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا سَجَدَ أَحَدُكُمْ فَلْيَبْدَأْ بِرُكْبَتَيْهِ قَبْلَ يَدَيْهِ وَلَا يَبْرُكْ بُرُوكَ الْفَحْلِ» فَهَذَا خِلَافُ مَا رَوَى الْأَعْرَجُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَمَعْنَى هَذَا لَا يَبْرُكْ عَلَى يَدَيْهِ كَمَا يَبْرُكُ الْبَعِيرُ عَلَى يَدَيْهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫১৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৫২০
সিজদায় যেতে প্রথমে উভয় হাত না উভয় হাঁটু রাখবে
১৫১৮-১৫২০। আহমদ ইবন আবু ইমরান (রাহঃ) ওয়াইল ইবনে হুজর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন সিজদা করতেন তখন নিজের উভয় হাত রাখার পূর্বে উভয় হাঁটু রাখতেন।
ইবনে আবু দাউদ (রাহঃ)....... কুলাইব (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি ওয়ায়িল-এর উল্লেখ করেন নাই। অনুরূপভারে ইবনে আবু দাউদ (রাহঃ) স্বীয় স্মৃতি থেকে
'সুফয়ান সাওরী' (রাহঃ) বলেছেন, এতে তিনি ভুল করেছেন, সঠিক হচ্ছে, শাকীক আর তিনি-ই হচ্ছেন
আবু লায়স।
ইয়াযিদ ইবনে সিনান (রাহঃ) নিজ গ্রন্থ থেকে..... কুলাইব (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এই শাকীক আবু লায়স একজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি।
বস্তুত সিজ্দায় যেতে সর্বপ্রথম কোন অঙ্গ স্থাপন করবে, এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে আপাত দৃষ্টিতে পরস্পর বিরােধী রিওয়ায়াত বর্ণিত হয়েছে। তাই আমরা এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণমূলক দৃষ্টি দেই।
আর হাদীসগুলাের সঠিক মর্ম নির্ধারণের পন্থা হলাে এই যে, ওয়াইল (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস পরস্পর বিরােধী নয়। বরং আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস হচ্ছে পরস্পর বিরােধী।
অতএব আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস যা অপরাপর রিওয়ায়াতগুলাের সাথে সাংঘর্ষিক হবে
সেটি দলীলরূপে গৃহীত না হওয়াই স্বাভাবিক। আর ওয়াইল (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটি দলীল হিসাবে
প্রমাণিত। এটিই হচ্ছে হাদীসের সঠিক মর্ম-নির্ধারণের পন্থা।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল ঃ
বস্তুত অনুসন্ধানী দৃষ্টিকোণ থেকে পূর্বোক্ত ব্যাখ্যার কারণ হচ্ছে এই যে, আমাদেরকে যে সমস্ত অঙ্গ
দ্বারা সিজদা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেগুলাে হচ্ছে সাতটি। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বহু হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এ বিষয়ে একটি হাদীস নিম্নরূপ :
বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন সিজদা করতেন তখন নিজের উভয় হাত রাখার পূর্বে উভয় হাঁটু রাখতেন।
ইবনে আবু দাউদ (রাহঃ)....... কুলাইব (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি ওয়ায়িল-এর উল্লেখ করেন নাই। অনুরূপভারে ইবনে আবু দাউদ (রাহঃ) স্বীয় স্মৃতি থেকে
'সুফয়ান সাওরী' (রাহঃ) বলেছেন, এতে তিনি ভুল করেছেন, সঠিক হচ্ছে, শাকীক আর তিনি-ই হচ্ছেন
আবু লায়স।
ইয়াযিদ ইবনে সিনান (রাহঃ) নিজ গ্রন্থ থেকে..... কুলাইব (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এই শাকীক আবু লায়স একজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি।
বস্তুত সিজ্দায় যেতে সর্বপ্রথম কোন অঙ্গ স্থাপন করবে, এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে আপাত দৃষ্টিতে পরস্পর বিরােধী রিওয়ায়াত বর্ণিত হয়েছে। তাই আমরা এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণমূলক দৃষ্টি দেই।
আর হাদীসগুলাের সঠিক মর্ম নির্ধারণের পন্থা হলাে এই যে, ওয়াইল (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস পরস্পর বিরােধী নয়। বরং আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস হচ্ছে পরস্পর বিরােধী।
অতএব আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস যা অপরাপর রিওয়ায়াতগুলাের সাথে সাংঘর্ষিক হবে
সেটি দলীলরূপে গৃহীত না হওয়াই স্বাভাবিক। আর ওয়াইল (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটি দলীল হিসাবে
প্রমাণিত। এটিই হচ্ছে হাদীসের সঠিক মর্ম-নির্ধারণের পন্থা।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল ঃ
বস্তুত অনুসন্ধানী দৃষ্টিকোণ থেকে পূর্বোক্ত ব্যাখ্যার কারণ হচ্ছে এই যে, আমাদেরকে যে সমস্ত অঙ্গ
দ্বারা সিজদা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেগুলাে হচ্ছে সাতটি। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বহু হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এ বিষয়ে একটি হাদীস নিম্নরূপ :
1518 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ: ثنا إِسْحَاقُ بْنُ أَبِي إِسْرَائِيلَ، قَالَ: أنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: أنا شَرِيكٌ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ الْجَرْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَجَدَ بَدَأَ بِوَضْعِ رُكْبَتَيْهِ قَبْلَ يَدَيْهِ»
1519 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الْحَوْضِيُّ قَالَ: ثنا هَمَّامٌ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ وَائِلًا كَذَا قَالَ ابْنُ أَبِي دَاوُدَ مِنْ حِفْظِهِ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَقَدْ غَلِطَ وَالصَّوَابُ شَقِيقٌ وَهُوَ أَبُو لَيْثٍ
1520 - كَذَلِكَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ مِنْ كِتَابِهِ قَالَ: ثنا حَبَّانُ بْنُ هِلَالٍ قَالَ: ثنا هَمَّامٌ عَنْ شَقِيقٍ أَبِي لَيْثٍ عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ وَشَقِيقٌ أَبُو لَيْثٍ هَذَا فَلَا يُعْرَفُ. فَلَمَّا اخْتُلِفَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا يَبْدَأُ بِوَضْعِهِ فِي ذَلِكَ نَظَرْنَا فِي ذَلِكَ فَكَانَ سَبِيلُ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ: أَنَّ وَائِلًا لَمْ يُخْتَلَفْ عَنْهُ وَإِنَّمَا الِاخْتِلَافُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَكَانَ يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ مَا رُوِيَ عَنْهُ لَمَّا تَكَافَأَتِ الرِّوَايَاتُ فِيهِ ارْتَفَعَ وَثَبَتَ مَا رَوَى وَائِلٌ فَهَذَا حُكْمُ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ فِي ذَلِكَ. وَأَمَّا وَجْهُ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْأَعْضَاءَ الَّتِي أُمِرَ بِالسُّجُودِ عَلَيْهَا هِيَ سَبْعَةُ أَعْضَاءٍ بِذَلِكَ جَاءَتِ الْآثَارُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَمِمَّا رُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ
1519 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الْحَوْضِيُّ قَالَ: ثنا هَمَّامٌ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ وَائِلًا كَذَا قَالَ ابْنُ أَبِي دَاوُدَ مِنْ حِفْظِهِ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَقَدْ غَلِطَ وَالصَّوَابُ شَقِيقٌ وَهُوَ أَبُو لَيْثٍ
1520 - كَذَلِكَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ مِنْ كِتَابِهِ قَالَ: ثنا حَبَّانُ بْنُ هِلَالٍ قَالَ: ثنا هَمَّامٌ عَنْ شَقِيقٍ أَبِي لَيْثٍ عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ وَشَقِيقٌ أَبُو لَيْثٍ هَذَا فَلَا يُعْرَفُ. فَلَمَّا اخْتُلِفَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا يَبْدَأُ بِوَضْعِهِ فِي ذَلِكَ نَظَرْنَا فِي ذَلِكَ فَكَانَ سَبِيلُ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ: أَنَّ وَائِلًا لَمْ يُخْتَلَفْ عَنْهُ وَإِنَّمَا الِاخْتِلَافُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَكَانَ يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ مَا رُوِيَ عَنْهُ لَمَّا تَكَافَأَتِ الرِّوَايَاتُ فِيهِ ارْتَفَعَ وَثَبَتَ مَا رَوَى وَائِلٌ فَهَذَا حُكْمُ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ فِي ذَلِكَ. وَأَمَّا وَجْهُ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْأَعْضَاءَ الَّتِي أُمِرَ بِالسُّجُودِ عَلَيْهَا هِيَ سَبْعَةُ أَعْضَاءٍ بِذَلِكَ جَاءَتِ الْآثَارُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَمِمَّا رُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫২১
আন্তর্জাতিক নং: ১৫২২
সিজদায় যেতে প্রথমে উভয় হাত না উভয় হাঁটু রাখবে
১৫২১-১৫২২। আবু বাকরা (রাহঃ) সা'দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ বান্দাকে সাতটি
অঙ্গে সিজ্দা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, মুখমণ্ডল, দু'হাত, দু'হাঁটু ও দুপা-এর যে কোন একটি।
সিজ্দায় পতিত না হলে সালাত ত্রুটিপূর্ণ হবে ।
ইবনে মারযূক (রাহঃ)......সা'দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ বান্দা যখন সিজদা করে সে সাতটি অঙ্গে সিজদা করে। তারপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ।
অঙ্গে সিজ্দা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, মুখমণ্ডল, দু'হাত, দু'হাঁটু ও দুপা-এর যে কোন একটি।
সিজ্দায় পতিত না হলে সালাত ত্রুটিপূর্ণ হবে ।
ইবনে মারযূক (রাহঃ)......সা'দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ বান্দা যখন সিজদা করে সে সাতটি অঙ্গে সিজদা করে। তারপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ।
1521 - مَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «أُمِرَ الْعَبْدُ أَنْ يَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةِ آرَابٍ وَجْهِهِ وَكَفَّيْهِ وَرُكْبَتَيْهِ وَقَدَمَيْهِ أَيُّهَا لَمْ يَقَعْ فَقَدِ انْتَقَصَ»
1522 - وَمَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ , عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «إِذَا سَجَدَ الْعَبْدُ سَجَدَ عَلَى سَبْعَةِ آرَابٍ» ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ
1522 - وَمَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ , عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «إِذَا سَجَدَ الْعَبْدُ سَجَدَ عَلَى سَبْعَةِ آرَابٍ» ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫২৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৫২৫
সিজদায় যেতে প্রথমে উভয় হাত না উভয় হাঁটু রাখবে
১৫২৩-১৫২৫। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা, ফাহাদ (রাহঃ) এবং ইউনুস (রাহঃ).... আব্বাস ইব্ন আব্দুল মুত্তালিব
(রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন, বান্দা যখন সিজদা করে তার সাথে সাতটি অঙ্গ সিজদা করে, তার মুখমণ্ডল, দু’হাত, দু’হাঁটু ও দু’পা ।
ইবনে মারযূক (রাহঃ)...... ইয়াযিদ ইবনে আল-হাদ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনিও অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
(রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন, বান্দা যখন সিজদা করে তার সাথে সাতটি অঙ্গ সিজদা করে, তার মুখমণ্ডল, দু’হাত, দু’হাঁটু ও দু’পা ।
ইবনে মারযূক (রাহঃ)...... ইয়াযিদ ইবনে আল-হাদ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনিও অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
1523 - وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ وَفَهْدٌ قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ. ح
1524 - وَحَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ: ثنا اللَّيْثُ قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِذَا سَجَدَ الْعَبْدُ سَجَدَ مَعَهُ سَبْعَةُ آرَابٍ وَجْهُهُ وَكَفَّاهُ وَرُكْبَتَاهُ وَقَدَمَاهُ»
1525 - وَمَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
1524 - وَحَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ: ثنا اللَّيْثُ قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِذَا سَجَدَ الْعَبْدُ سَجَدَ مَعَهُ سَبْعَةُ آرَابٍ وَجْهُهُ وَكَفَّاهُ وَرُكْبَتَاهُ وَقَدَمَاهُ»
1525 - وَمَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫২৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৫২৭
সিজদায় যেতে প্রথমে উভয় হাত না উভয় হাঁটু রাখবে
১৫২৬-১৫২৭। ইউনুস (রাহঃ) ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাত অঙ্গে সিজদা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইবনে আবু দাউদ (রাহঃ)....ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। অতএব এই সমস্ত অঙ্গগুলাের উপরই সিজদা হয় ।
আমরা অনুসন্ধানী দৃষ্টি দেই যে, অঙ্গগুলাে স্থাপনের ব্যাপারে ঐকমত্যের বিধান কিরূপ, যাতে অবহিত
হওয়া যায়, এ ব্যাপারে তারা যে মতবিরােধ পােষণ করেছেন তার বিধান কিরূপ। বস্তুত আমরা
দেখতে পেলাম যে, কোন ব্যক্তি যখন সিজদা করে তখন সে নিজের উভয় হাঁটু অথবা উভয় হাত, এ
দুটোর কোন একটিকে প্রথমে রাখে। তারপর রাখে তার মাথা। আরাে আমরা দেখি যখন সে সিজদা
থেকে উঠে তখন সে প্রথমে মাথা উঠায়। অতএব দেখা গেল যে, উঠানাের ব্যাপারে মাথা হচ্ছে সর্বপ্রথম আর রাখার ক্ষেত্রে মাথা হচ্ছে সর্বশেষ | মাথা উঠানাের পরে উভয় হাত উঠায় তারপর
উভয় হাঁটু । এটি হচ্ছে সকলের কাছে ঐকমত্যের বিষয়।
অতএব অনুসন্ধানী দৃষ্টিকোণ থেকে প্রমাণিত হলাে যে, মাথা যখন উঠানাের ব্যাপারে অগ্রবর্তী হচ্ছে,
রাখার ব্যাপারে হবে পরবর্তী। অনুরূপ বিধান হলাে উভয় হাতের । যেহেতু উঠানাের ব্যাপারে উভয়
হাত উভয় হাঁটুর অগ্রবর্তী, তাই রাখার ব্যাপারে উভয় হাত হবে উভয় হাঁটু অপেক্ষা পরবর্তী।
এতে ওয়াইল (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের বিষয়বস্তু-ই প্রমাণিত হলাে। আর এটি-ই সঠিক দৃষ্টিকোণ।
এটিকেই আমরা গ্রহণ করি এবং এটিই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ
(রাহঃ)-এর অভিমত।
হযরত উমর (রাযিঃ), আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) প্রমুখ থেকেও এরূপ বর্ণিত আছে। যেমন-
ইবনে আবু দাউদ (রাহঃ)....ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। অতএব এই সমস্ত অঙ্গগুলাের উপরই সিজদা হয় ।
আমরা অনুসন্ধানী দৃষ্টি দেই যে, অঙ্গগুলাে স্থাপনের ব্যাপারে ঐকমত্যের বিধান কিরূপ, যাতে অবহিত
হওয়া যায়, এ ব্যাপারে তারা যে মতবিরােধ পােষণ করেছেন তার বিধান কিরূপ। বস্তুত আমরা
দেখতে পেলাম যে, কোন ব্যক্তি যখন সিজদা করে তখন সে নিজের উভয় হাঁটু অথবা উভয় হাত, এ
দুটোর কোন একটিকে প্রথমে রাখে। তারপর রাখে তার মাথা। আরাে আমরা দেখি যখন সে সিজদা
থেকে উঠে তখন সে প্রথমে মাথা উঠায়। অতএব দেখা গেল যে, উঠানাের ব্যাপারে মাথা হচ্ছে সর্বপ্রথম আর রাখার ক্ষেত্রে মাথা হচ্ছে সর্বশেষ | মাথা উঠানাের পরে উভয় হাত উঠায় তারপর
উভয় হাঁটু । এটি হচ্ছে সকলের কাছে ঐকমত্যের বিষয়।
অতএব অনুসন্ধানী দৃষ্টিকোণ থেকে প্রমাণিত হলাে যে, মাথা যখন উঠানাের ব্যাপারে অগ্রবর্তী হচ্ছে,
রাখার ব্যাপারে হবে পরবর্তী। অনুরূপ বিধান হলাে উভয় হাতের । যেহেতু উঠানাের ব্যাপারে উভয়
হাত উভয় হাঁটুর অগ্রবর্তী, তাই রাখার ব্যাপারে উভয় হাত হবে উভয় হাঁটু অপেক্ষা পরবর্তী।
এতে ওয়াইল (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের বিষয়বস্তু-ই প্রমাণিত হলাে। আর এটি-ই সঠিক দৃষ্টিকোণ।
এটিকেই আমরা গ্রহণ করি এবং এটিই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ
(রাহঃ)-এর অভিমত।
হযরত উমর (রাযিঃ), আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) প্রমুখ থেকেও এরূপ বর্ণিত আছে। যেমন-
1526 - وَمَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ طَاوُسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: «أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةِ أَعْظُمٍ»
1527 - وَمَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ عَنْ عَمْرٍو عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ فَكَانَتْ هَذِهِ الْأَعْضَاءُ هِيَ الَّتِي عَلَيْهَا السُّجُودُ. فَنَظَرْنَا كَيْفَ حُكْمُ مَا اتُّفِقَ عَلَيْهِ مِنْهَا لِيُعْلَمَ بِهِ كَيْفَ حُكْمُ مَا اخْتَلَفُوا فِيهِ مِنْهَا فَرَأَيْنَا الرَّجُلَ إِذَا سَجَدَ يَبْدَأُ بِوَضْعِ أَحَدِ هَذَيْنِ إِمَّا رُكْبَتَاهُ وَإِمَّا يَدَاهُ ثُمَّ رَأْسُهُ بَعْدُهُمَا وَرَأَيْنَاهُ إِذَا رَفَعَ بَدَأَ بِرَأْسِهِ فَكَانَ الرَّأْسُ مُقَدَّمًا فِي الرَّفْعِ مُؤَخَّرًا فِي الْوَضْعِ ثُمَّ يُثَنِّي بَعْدَ رَفْعِ رَأْسِهِ بِرَفْعِ يَدَيْهِ ثُمَّ رُكْبَتَيْهِ وَهَذَا اتِّفَاقٌ مِنْهُمْ جَمِيعًا فَكَانَ النَّظَرُ عَلَى مَا وَصَفْنَا فِي حُكْمِ الرَّأْسِ إِذَا كَانَ مُؤَخَّرًا فِي الْوَضْعِ لَمَّا كَانَ مُقَدَّمًا فِي الرَّفْعِ أَنْ يَكُونَ الْيَدَانِ كَذَلِكَ لَمَّا كَانَتَا مُقَدَّمَتَيْنِ عَلَى الرُّكْبَتَيْنِ فِي الرَّفْعِ أَنْ تَكُونَا مُؤَخَّرَتَيْنِ عَنْهُمَا فِي الْوَضْعِ فَثَبَتَ بِذَلِكَ مَا رَوَى وَائِلٌ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ وَبِهِ نَأْخُذُ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ عُمَرَ وَعَبْدِ اللهِ وَغَيْرِهِمَا
1527 - وَمَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ عَنْ عَمْرٍو عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ فَكَانَتْ هَذِهِ الْأَعْضَاءُ هِيَ الَّتِي عَلَيْهَا السُّجُودُ. فَنَظَرْنَا كَيْفَ حُكْمُ مَا اتُّفِقَ عَلَيْهِ مِنْهَا لِيُعْلَمَ بِهِ كَيْفَ حُكْمُ مَا اخْتَلَفُوا فِيهِ مِنْهَا فَرَأَيْنَا الرَّجُلَ إِذَا سَجَدَ يَبْدَأُ بِوَضْعِ أَحَدِ هَذَيْنِ إِمَّا رُكْبَتَاهُ وَإِمَّا يَدَاهُ ثُمَّ رَأْسُهُ بَعْدُهُمَا وَرَأَيْنَاهُ إِذَا رَفَعَ بَدَأَ بِرَأْسِهِ فَكَانَ الرَّأْسُ مُقَدَّمًا فِي الرَّفْعِ مُؤَخَّرًا فِي الْوَضْعِ ثُمَّ يُثَنِّي بَعْدَ رَفْعِ رَأْسِهِ بِرَفْعِ يَدَيْهِ ثُمَّ رُكْبَتَيْهِ وَهَذَا اتِّفَاقٌ مِنْهُمْ جَمِيعًا فَكَانَ النَّظَرُ عَلَى مَا وَصَفْنَا فِي حُكْمِ الرَّأْسِ إِذَا كَانَ مُؤَخَّرًا فِي الْوَضْعِ لَمَّا كَانَ مُقَدَّمًا فِي الرَّفْعِ أَنْ يَكُونَ الْيَدَانِ كَذَلِكَ لَمَّا كَانَتَا مُقَدَّمَتَيْنِ عَلَى الرُّكْبَتَيْنِ فِي الرَّفْعِ أَنْ تَكُونَا مُؤَخَّرَتَيْنِ عَنْهُمَا فِي الْوَضْعِ فَثَبَتَ بِذَلِكَ مَا رَوَى وَائِلٌ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ وَبِهِ نَأْخُذُ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ عُمَرَ وَعَبْدِ اللهِ وَغَيْرِهِمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫২৮
সিজদায় যেতে প্রথমে উভয় হাত না উভয় হাঁটু রাখবে
১৫২৮। ফাহাদ ইবন সুলায়মান (রাহঃ)..... আলকামা ও আস্ওয়াদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তারা
বলেছেন, আমরা উমর (রাযিঃ)-এর সালাত থেকে স্মরণ রেখেছি যে, তিনি রুকূ'র পরে হাঁটুর উপর ভর
করে সিজদায় গিয়েছেন। যেমনিভাবে উট বসে। এবং তিনি উভয়-হাতের পূর্বে উভয় হাঁটু রেখেছেন।
বলেছেন, আমরা উমর (রাযিঃ)-এর সালাত থেকে স্মরণ রেখেছি যে, তিনি রুকূ'র পরে হাঁটুর উপর ভর
করে সিজদায় গিয়েছেন। যেমনিভাবে উট বসে। এবং তিনি উভয়-হাতের পূর্বে উভয় হাঁটু রেখেছেন।
1528 - كَمَا حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ: ثنا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ قَالَ: ثنا أَبِي قَالَ: ثنا الْأَعْمَشُ قَالَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ عَنْ أَصْحَابِ عَبْدِ اللهِ عَلْقَمَةَ وَالْأَسْوَدِ، فَقَالَا: «حَفِظْنَا عَنْ عُمَرَ فِي صَلَاتِهِ أَنَّهُ خَرَّ بَعْدَ رُكُوعِهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ كَمَا يَخِرُّ الْبَعِيرُ وَوَضَعَ رُكْبَتَيْهِ قَبْلَ يَدَيْهِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫২৯
সিজদায় যেতে প্রথমে উভয় হাত না উভয় হাঁটু রাখবে
১৫২৯। আবু বাকরা (রাহঃ).....ইবরাহীম নাখঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন আব্দুল্লাহ
ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর উভয় হাঁটু উভয় হাতের পূর্বে ভূমিতে স্থাপিত হতাে।
ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর উভয় হাঁটু উভয় হাতের পূর্বে ভূমিতে স্থাপিত হতাে।
1529 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الضَّرِيرُ، قَالَ: أنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَنَّ الْحَجَّاجَ بْنَ أَرْطَاةَ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ: قَالَ إِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ حُفِظَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «أَنَّ رُكْبَتَيْهِ، كَانَتَا تَقَعَانِ إِلَى الْأَرْضِ قَبْلَ يَدَيْهِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫৩০
সিজদায় যেতে প্রথমে উভয় হাত না উভয় হাঁটু রাখবে
১৫৩০। ইবনে মারযূক.....মুগীরা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ইবরাহীম
(নাখঈ)-কে এরূপ ব্যক্তির ব্যাপারে প্রশ্ন করি, যে সিজদায় যেতে নিজের উভয় হাঁটুর পূর্বে উভয়
হাত স্থাপন করে। তিনি বললেন নির্বোধ অথবা পাগল ছাড়া কেউ কি এরূপ করে ?
(নাখঈ)-কে এরূপ ব্যক্তির ব্যাপারে প্রশ্ন করি, যে সিজদায় যেতে নিজের উভয় হাঁটুর পূর্বে উভয়
হাত স্থাপন করে। তিনি বললেন নির্বোধ অথবা পাগল ছাড়া কেউ কি এরূপ করে ?
1530 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُغِيرَةَ، قَالَ: سَأَلْتُ إِبْرَاهِيمَ عَنِ الرَّجُلِ، يَبْدَأُ بِيَدَيْهِ قَبْلَ رُكْبَتَيْهِ إِذَا سَجَدَ فَقَالَ: «أَوَ يَضَعُ ذَلِكَ إِلَّا أَحْمَقُ أَوْ مَجْنُونٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
