শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৩৩৬
২০- রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৩৬। রবীউল মাআযযিন (রাহঃ)..... আলী ইব্ন আবী তালিব (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি যখন ফরজ সালাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন তাকবীর বলতেন; দুই হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন; কিরয়াত পূর্ণ করে যখন রুকূ করতে ইচ্ছা পোষণ করতেন তখনও অনুরূপ করতেন; রুকূ থেকে অবসর হয়ে যখন দাঁড়াতেন তখনও অনুরূপ করতেন। বসা অবস্থায় তিনি কোন সালাতে-ই হাত উঠাতেন না। দুই সিজ্দা থেকে যখন দাঁড়াতেন তখনও অনুরূপভাবে হাত উঠাতেন এবং তাকবীর বলতেন।
بَابُ التَّكْبِيرِ لِلرُّكُوعِ وَالتَّكْبِيرِ لِلسُّجُودِ وَالرَّفْعِ مِنَ الرُّكُوعِ هَلْ مَعَ ذَلِكَ رَفْعٌ أَمْ لَا؟
1336 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا وَهْبٌ , قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْفَضْلِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ , عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّهُ كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ الْمَكْتُوبَةِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ , وَيَصْنَعُ مِثْلَ ذَلِكَ إِذَا قَضَى قِرَاءَتَهُ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ , وَيَصْنَعُهُ إِذَا فَرَغَ وَرَفَعَ مِنَ الرُّكُوعِ , وَلَا يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَيْءٍ مِنْ صَلَاتِهِ وَهُوَ قَاعِدٌ , وَإِذَا قَامَ مِنَ السَّجْدَتَيْنِ رَفَعَ يَدَيْهِ كَذَلِكَ كَبَّرَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৩৭
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৩৭। ইউনুস (রঃ)......সালিম (রঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -কে দেখেছি, তিনি সালাত আরম্ভ করার সময় কাঁধ বরাবর হাত উঠাতেন; রুকূ করার সময় এবং তা থেকে উঠার সময়ও হাত উঠাতেন। দুই সিজ্দার মাঝে হাত উঠাতেন না।
1337 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ , حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ , وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ وَبَعْدَ مَا يَرْفَعُ وَلَا يَرْفَعُ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৯
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৩৮-১৩৩৯। ইউনুস (রঃ).......সালিম (রঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন সালাত শুরু করতেন এবং রুকূর জন্য তাকবীর বলতেন; রুকূ থেকে মাথা তুলতেন তখন কাঁধ বরাবর হাত উঠাতেন। আর বলতেনঃ "সামিআল্লাহুলিমান হামিদাহ", রবানা লাকাল হামদ্" এবং তিনি দুই সিজ্দার মাঝখানে এরুপ করতেন না।

ইব্ন মারযূক (রঃ)...... মালিক (রঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
1338 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ سَالِمٍ , عَنْ أَبِيهِ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ , رَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ , وَإِذَا كَبَّرَ لِلرُّكُوعِ , وَإِذَا رَفَعَ مِنَ الرُّكُوعِ , رَفَعَهُمَا كَذَلِكَ وَقَالَ: «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ» وَكَانَ لَا يَفْعَلُ ذَلِكَ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ

1339 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: ثنا مَالِكٌ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৪০
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৪০। ফাহাদ (রঃ).... জাবির (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি সালিম ইব্ন আব্দিল্লাহ (রঃ)-কে দেখেছি, তিনি সালাতে তিনবার হাত কাঁধ বরাবর উঠিয়েছেনঃ (১) যখন সালাত শুরু করতেন, (২) রুকূর সময় এবং (৩) রুকূ থেকে মাথা তোলার সময়। জাবির (রঃ) বলেন, আমি এ বিষয় সালিম (রঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেছি। সালিম (রঃ) বলেছেন, আমি ইব্ন উমার (রাঃ)-কে অনুরূপ করতে দেখেছি এবং ইব্ন উমার (রাঃ) বলেছেন, আমি রসুলল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে অনুরূপ করতে দেখেছি।
1340 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا عُبَيْدِ اللهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ زَيْدٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: " رَأَيْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللهِ رَفَعَ يَدَيْهِ حِذَاءَ مَنْكِبَيْهِ فِي الصَّلَاةِ ثَلَاثَ مِرَارٍ حِينَ افْتَتَحَ الصَّلَاةَ وَحَيْنَ رَكَعَ , وَحِينَ رَفَعَ رَأْسَهُ قَالَ جَابِرٌ: فَسَأَلْتُ سَالِمًا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ سَالِمٌ: رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَفْعَلُ ذَلِكَ وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُ ذَلِكَ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৪১
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৪১। আবু বাকরা (রঃ).... মুহাম্মাদ ইব্ন আমর ইব্ন আতা (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি দশজন সাহাবীর উপস্থিততে, যাদের মধ্যে আবু কাতাদা (রাঃ) অন্যতম, আবু হুমায়দ সাঈদী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ আমি নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সালাত সম্পর্কে তোমাদের সকলের অপেক্ষা অধিক অবগত রয়েছি।
তারা বললেনঃ কেন? আল্লাহর কসম! আপনি তো আমাদের অপেক্ষা তাঁর অধিক অনুসরণকারী এবং সাহচর্যের দিক দিয়ে অগ্রগামী নন। তিনি বললেন, হ্যাঁ,! তাঁরা বললেনঃ আচ্ছা উপস্থাপন করুন। তিনি বললেনঃ রসুলল্লাহ্ ( সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন সালাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন কাঁধ বরাবর হাত উঠাতেন। তারপর তাকবীর বলতেন এবং কিরআত পড়তেন; এরপর তাকবীর বলতেন এবং কাঁধ বরাবর হাত উঠাতেন। তারপর রুকূ করতেন এবং মাথা তোলার সময় "সামিআল্লাহুলিমান হামিদাহ" বলতেন, এরপর কাঁধ বরাবর হাত উঠাতেন; অতঃপর 'আল্লাহু আকবর' বলে (সিজ্দার জন্য) ভূমির দিকে ঝুঁকে পড়তেন; দু'রাক'আতের পরে দাঁড়াবার সময় তাকবীর বলতেন এবং হাতকে কাঁধ বরাবর উঠাতেন। তারপর তাঁর অবশিষ্ট সালাতে অনুরূপ করতেন। রাবী বলেন, এতে (উপস্থিত) সকল সাহাবী বললেনঃ আপনি সত্য বলেছেন, তিনি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরুপভাবে সালাত আদায় করতেন।
1341 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا حُمَيْدٍ السَّاعِدِيَّ، فِي عَشَرَةٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , أَحَدُهُمْ أَبُو قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ: أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالُوا لِمَ؟ فَوَاللهِ مَا كُنْتَ أَكْثَرَنَا لَهُ تَبِعَةً , وَلَا أَقْدَمَنَا لَهُ صُحْبَةً فَقَالَ: بَلَى , فَقَالُوا: فَاعْرِضْ قَالَ: " كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ , رَفَعَ يَدَيْهِ , حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ , ثُمَّ يُكَبِّرُ , ثُمَّ يَقْرَأُ , ثُمَّ يُكَبِّرُ فَيَرْفَعُ يَدَيْهِ , حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ , ثُمَّ يَرْكَعُ , ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ فَيَقُولُ: «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ» ثُمَّ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ يَقُولُ: «اللهُ أَكْبَرُ» يَهْوِي إِلَى الْأَرْضِ , فَإِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ كَبَّرَ , وَرَفَعَ يَدَيْهِ , حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ , ثُمَّ صَنَعَ مِثْلَ ذَلِكَ فِي بَقِيَّةِ صَلَاتِهِ. قَالَ: فَقَالُوا جَمِيعًا: صَدَقْتَ , هَكَذَا كَانَ يُصَلِّي "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৪২
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৪২। ইব্ন মারযূক (রঃ).... আব্বাস ইব্ন সাহল (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আবু হুমায়দ (রাঃ), আবু উসায়দ (রাঃ) ও সাহল ইব্ন সা'দ (রাঃ) একত্রিত হলেন এবং তারা রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সালাত নিয়ে আলোচনা করেন। তখন আবু হুমায়দ (রাঃ) বললেনঃ রসুলল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সালাত সম্পর্কে আমি তোমাদের অপেক্ষা অধিক অবগত আছি। রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন দাঁড়াতেন তখন দুই হাত উঠাতেন; এরপর রুকূর জন্য তাকবীর বলার সময় এবং রুকূ থেকে মাথা উঠাবার সময় হাত উঠাতেন।
1342 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، قَالَ: ثنا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ، قَالَ: اجْتَمَعَ أَبُو حُمَيْدٍ , وَأَبُو أُسَيْدٍ , وَسَهْلُ بْنُ سَعْدٍ , فَذَكَرُوا صَلَاةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ: «أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا قَامَ رَفَعَ يَدَيْهِ , ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ حِينَ يُكَبِّرُ لِلرُّكُوعِ , فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ , رَفَعَ يَدَيْهِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪৪
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৪৩-১৩৪৪। আবু বাকরা (রঃ)..... ওয়াইল ইব্ন হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে দেখেছি, যখন তিনি সালাতের জন্য তাকবীর বলতেন; রুকূ করতেন এবং রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন তখন কান বরাবর হাত উঠাতেন।

সালিহ ইব্ন আব্দির (রঃ).......আসিম (রঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
1343 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ يُكَبِّرُ لِلصَّلَاةِ , وَحِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حِيَالَ أُذُنَيْهِ»

1344 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ عَاصِمٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৪৫
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৪৫। মুহাম্মাদ ইব্ন আমর (রঃ).... মালিক ইবনুল হুওয়ায়রিছ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রসুলল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে দেখেছি, তিনি রুকূ করার এবং রুকূ থেকে মাথা উঠাবার সময় কানের উপর পর্যন্ত হাত উঠাতেন।
1345 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَكَعَ , وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ رُكُوعِهِ , يَرْفَعُ يَدَيْهِ , حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا فَوْقَ أُذُنَيْهِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৪৬
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৪৬। ইব্ন আবী দাউদ (রঃ).......আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন সালাত শুরু করতেন, রুকূ করতেন এবং সিজ্দা করতেন তখন হাত উঠাতেন।

বিশ্লেষণঃ
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রঃ) বলেনঃ একদল আলিম এ পর্যন্ত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন। তাঁরা সমস্ত সালাতে রুকূর সময়, রুকূ থেকে মাথা উঠাবার সময় এবং বসা থেকে কিয়ামের দিকে উঠাবার সময় হাত তোলাকে ওয়াজিব সাব্যস্ত করেছেন।
পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগন এ বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেনঃ আমাদের মতে শুধুমাত্র প্রথম তাকবীরের সময় হাত উঠান বিধেয়।
তাঁরা এ বিষয় নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা দলীল পেশ করেছেনঃ
1346 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ , وَحِينَ يَرْكَعُ , وَحِينَ يَسْجُدُ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذِهِ الْآثَارِ , فَأَوْجَبُوا الرَّفْعَ عِنْدَ الرُّكُوعِ وَعِنْدَ الرَّفْعِ مِنَ الرُّكُوعِ , وَعِنْدَ النُّهُوضِ إِلَى الْقِيَامِ مِنَ الْقُعُودِ فِي الصَّلَاةِ كُلِّهَا. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا لَا نَرَى الرَّفْعَ إِلَّا فِي التَّكْبِيرَةِ الْأُولَى. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪৯
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৪৭-১৩৪৯। আবু বাকরা (রঃ).......বারা' ইব্ন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন সালাত শুরু করার জন্য তাকবীর বলতেন, তখন তিনি হাত তুলতেন এবং তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রায় কানের লতি বরাবর উঠে যেত। তারপর পুনরায় আর হাত উঠাতেন না।

ইব্ন আবী দাউদ (রঃ)......বারা ইব্ন আযিব (রাঃ) সূত্রে নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

মুহাম্মাদ ইব্ন নো'মান (রঃ)......বারা ইব্ন আযিব (রাঃ) সূত্রে নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
1347- بِمَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَبَّرَ لِافْتِتَاحِ الصَّلَاةِ , رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يَكُونَ إِبْهَامَاهُ قَرِيبًا مِنْ شَحْمَتَيْ أُذُنَيْهِ , ثُمَّ لَا يَعُودُ»
1348 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، قَالَ: أنا خَالِدٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عِيسَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
1349- حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ النُّعْمَانِ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ: ثنا وَكِيعٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَخِيهِ، وَعَنِ الْحَكَمِ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْبَرَاءِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৫০
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৫১
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৫০-১৩৫১। ইব্ন আবী দাউদ (রঃ)......আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) সূত্রে নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি শুধু প্রথম তাকবীরে হাত তুলতেন, তারপর পুনরায় আর হাত তুলতেন না।

মুহাম্মাদ ইব্ন নো'মান (রঃ).......সুফইয়ান (রঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
1350 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ: ثنا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّهُ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي أَوَّلِ تَكْبِيرَةٍ , ثُمَّ لَا يَعُودُ»

1351 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ النُّعْمَانِ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ: ثنا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৫২
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৫২। আবু বাকরা (রঃ).......মুগীরা (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার ইবরাহীম (রঃ) কে ওয়াইল (রাঃ)-এর হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, তিনি নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে দেখেছেন, তিনি সালাতের শুরুতে এবং রুকূর সময়; রুকূ থেকে মাথা উঠাবার সময় হাত তুলতেন। যদি ওয়াইল (রাঃ) তাঁকে একবার এরূপ করতে দেখে থাকেন তাহলে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) তাঁকে পঞ্চাশবার এরূপ না করতে দেখেছেন।
1352 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، قَالَ: قُلْتُ لِإِبْرَاهِيمَ: حَدِيثُ وَائِلٍ «أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ , وَإِذَا رَكَعَ , وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ؟» فَقَالَ: إِنْ كَانَ وَائِلٌ رَآهُ مَرَّةً يَفْعَلُ ذَلِكَ , فَقَدْ رَآهُ عَبْدُ اللهِ خَمْسِينَ مَرَّةً , لَا يَفْعَلُ ذَلِكَ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৫৩
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৫৩। আহমদ ইব্ন দাউদ (রঃ).......আমর ইবনে মুররা (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার 'হাযরা মাউত'-এর মসজিদে প্রবেশ করলাম, দেখলাম আলকামা ইব্ন ওয়াইল (রঃ) তাঁর পিতা থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রূকূর পূর্বে ও পরে হাত তুলতেন। আমি বিষয়টি ইবরাহীম (রঃ)-এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি রাগান্বিত হয়ে পড়লেন এবং বললেনঃ তিনিই তাঁকে দেখেছেন, আর আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) ও অন্য সাহাবীগন তাঁকে দেখেননি??

ইমাম তাহাবী (রঃ)- এর মন্তব্যঃ
বস্তুত যা কিছু আমরা নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে রিওয়ায়াত করেছি এটা এই অভিমত পোষণকারীদের অভিমতের স্বপক্ষে দলীল হিসেবে বিবেচিত। এ বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে তাঁদের বিরোধী পক্ষের দলীল হলোঃ তাঁরা বলেন, আমাদের নিকট যে সমস্ত রিওয়ায়াত রয়েছে সেগুলো সব মুতাওয়াতির, সহীহ (বিশুদ্ধ) ও সুদৃঢ় সনদ বিশিষ্ট। সুতরাং আমাদের অভিমত আপনাদের অভিমত অপেক্ষা উত্তম বলে বিবেচিত।
এ বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ, যা আমরা ইনশাআল্লাহ্ তা শীঘ্রই করবো।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলী (রাঃ) সূত্রে নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত ইব্ন আবিয্ যিনাদ (রঃ)-এর হাদীস, যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে উল্লেখ করেছিঃ
1353 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: ثنا حُصَيْنٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ: دَخَلْتُ مَسْجِدَ حَضْرَمَوْتَ , فَإِذَا عَلْقَمَةُ بْنُ وَائِلٍ يُحَدِّثُ , عَنْ أَبِيهِ: «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ قَبْلَ الرُّكُوعِ , وَبَعْدَهُ» فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِإِبْرَاهِيمَ فَغَضِبَ وَقَالَ: رَآهُ هُوَ وَلَمْ يَرَهُ ابْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَلَا أَصْحَابُهُ فَكَانَ هَذَا مِمَّا احْتَجَّ بِهِ أَهْلُ هَذَا الْقَوْلِ , لِقَوْلِهِمْ مِمَّا رَوَيْنَاهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَكَانَ مِنْ حُجَّةِ مُخَالِفِهِمْ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ أَنْ قَالَ: مَا رَوَيْنَا نَحْنُ , بِتَوَاتُرِ الْآثَارِ , وَصِحَّةِ أَسَانِيدِهَا وَاسْتِقَامَتِهَا , فَقَوْلُنَا أَوْلَى مِنْ قَوْلِكُمْ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ مَا سَنُبَيِّنُهُ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. أَمَّا مَا رُوِيَ فِي ذَلِكَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ الَّذِي بَدَأْنَا بِذِكْرِهِ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৫৭
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৫৪-১৩৫৭। আবু বাকরা (রঃ).......আসিম ইব্ন কুলায়ব (রঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, আলী (রাঃ) সালাতের প্রথম তাকবীরের সময় হাত তুলতেন। তারপর আর পরবর্তীতে হাত তুলতেন না।

ইব্ন আবী দাউদ (রঃ).....আসিম (রঃ) তাঁর পিতা থেকে, যিনি আলী (রাঃ)-এর সাথীদের অন্যতম ছিলেন, রিওয়ায়াত করেন, তিনি আলী (রাঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেন।
আসিম ইব্ন কুলায়ব (রঃ)-এর এই হাদীস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, ইব্ন আবিযযিনাদ (রঃ)-এর হাদীস দুই অবস্থা থেকে কোন একটির উপর প্রয়োগ হবে। হয় তা স্বয়ং দুর্বল হবে অথবা তাতে হাত তোলার উল্লেখ মোটেও নেই। যেমনটি অন্যরা রিওয়ায়াত করেছেনঃ

ইব্ন খুযায়মা (রঃ) ও ইব্ন আবী দাউদ (রঃ)....... আব্দুল্লাহ ইব্ন রাজা (রঃ), আব্দুল্লাহ ইব্ন সালিহ্ (রঃ) ও ওয়াহবী (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তাঁরা সকলে বলেছেন, আমাদেরকে আব্দুল আযীয ইব্ন আবী সালামা (রঃ) আব্দুল্লাহ ইব্ন ফযল (রঃ) থেকে রিওয়ায়াত করে খবর দিয়েছেন যে, তাঁরা সকলে সনদ (সূত্র) এবং মতন (হাদীসের মূল পাঠ)-এর দিক দিয়ে ইব্ন আবিয যিনাদ (রঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তাঁরা সকলে কোথাও হাত তোলার উল্লেখ করেন নি। যদি এই হাদীস সংরক্ষিত এবং ইব্ন আবিয্ যিনাদ (রঃ)-এর হাদীস ভুল হয়, তাহলে এতে আপনাদের জন্য ভুল হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করা নাকচ হয়ে যাওয়া আবশ্যক হবে। আর ইব্ন আবিয্ যিনাদ (রঃ) যে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন তা যদি সহীহ হয় যেহেতু তাতে অন্যদের রিওয়ায়াত অপেক্ষা অতিরিক্ত রয়েছে, তবে তা এজন্য হতে পারে না যে, আলী (রাঃ) নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -কে হাত তুলতে যদি দেখে থাকেন তাহলে তারপর পরবর্তীতে হাত তোলা পরিত্যাগ করেন কিভাবে! হ্যাঁ এটা তখন সম্ভব হতে পারে যে, তাঁর নিকট হাত তোলার বিধান রহিত হয়ে গিয়েছে। সুতরাং আলী (রাঃ)-এর হাদীস 'সহীহ' হওয়ার অবস্থায় তাতে সেই সমস্ত লোকের প্রামণ অধিক (গুরুত্বপূর্ণ) হবে, যারা হাত তোলাকে বিধেয় মনে করেন না।
আর ইব্ন উমার (রাঃ)-এর পূর্ব বর্ণিত হাদীসে (যে হাত উঠানোর উল্লেখ রয়েছে) যা তাঁর সূত্রে নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে আমরা বর্ণনা করেছি। কিন্তু তারপর নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর অব্যবহিত পরে তাঁর থেকে এর পরিপন্থী আমল বর্ণিত আছেঃ
1354 - فَإِنَّ أَبَا بَكْرَةَ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَبُو أَحْمَدَ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرٍ النَّهْشَلِيُّ , قَالَ: ثنا عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ , عَنْ أَبِيهِ: «أَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي أَوَّلِ تَكْبِيرَةٍ مِنَ الصَّلَاةِ , ثُمَّ لَا يَرْفَعُ بَعْدُ»

1355 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرٍ النَّهْشَلِيُّ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ؟ عَنْ عَلِيٍّ مِثْلَهُ فَحَدِيثُ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ هَذَا , قَدْ دَلَّ أَنَّ حَدِيثَ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ عَلَى أَحَدِ وَجْهَيْنِ. إِمَّا أَنْ يَكُونَ فِي نَفْسِهِ سَقِيمًا أَوْ لَا يَكُونُ فِيهِ ذِكْرُ الرَّفْعِ أَصْلًا , كَمَا قَدْ رَوَاهُ غَيْرُهُ ,

1356 - فَإِنَّ ابْنَ خُزَيْمَةَ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ ح

1357 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ وَالْوَهْبِيُّ , قَالُوا: أَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْفَضْلِ. فَذَكَرُوا مِثْلَ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ فِي إِسْنَادِهِ وَمَتْنِهِ , وَلَمْ يَذْكُرُوا الرَّفْعَ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ. فَإِنْ كَانَ هَذَا هُوَ الْمَحْفُوظُ , وَحَدِيثُ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ خَطَأٌ , فَقَدِ ارْتَفَعَ بِذَلِكَ أَنْ يَجِبَ لَكُمْ بِحَدِيثٍ خَطَأٍ حُجَّةٌ. وَإِنْ كَانَ مَا رَوَى ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ صَحِيحًا لِأَنَّهُ زَادَ عَلَى مَا رَوَى غَيْرُهُ , فَإِنَّ عَلِيًّا لَمْ يَكُنْ لِيَرَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْفَعُ , ثُمَّ يَتْرُكُ هُوَ الرَّفْعَ بَعْدَهُ إِلَّا وَقَدْ ثَبَتَ عِنْدَهُ نَسْخُ الرَّفْعِ. فَحَدِيثُ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , إِذَا صَحَّ , فَفِيهِ أَكْثَرُ الْحُجَّةِ لِقَوْلِ , مَنْ لَا يَرَى الرَّفْعَ. وَأَمَّا حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فَإِنَّهُ قَدْ رَوَى عَنْهُ مَا ذَكَرْنَا عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ رُوِيَ عَنْهُ , مَنْ فِعْلِهِ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِلَافُ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৫৮
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৫৮। ইব্ন আবী দাউদ (রঃ)..... মুজাহিদ (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ইব্ন উমার (রাঃ)- পিছনে সালাত আদায় করেছি। তিনি সালাতে প্রথম তাকবীরের সময় ছাড়া হাত তুলতেন না।

মূল্যায়নঃ
ইনি হলেন ইব্ন উমার (রাঃ), যিনি নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে হাত তুলতে দেখেছেন। তারপর তিনি নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর অব্যবহিত পরে হাত তোলা পরিত্যাগ করেছেন। সুতরাং এটা শুধুমাত্র তখন-ই হতে পারে, যখন তাঁর নিকট নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সেই আমল রহিত হওয়া প্রমানিত হয়ে গিয়েছিলো, যা তিনি দেখেছিলেন, এবং পরিপন্থী দলীল সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছিল।
যদি কোন প্রশ্নকারী বলে যে, এই হাদীসটি 'মুনকার'। (উত্তরে) তাকে বলা হবে যে, এর স্বপক্ষে কি দলীল আছে? তুমি কখনও তা পেশ করতে সক্ষম হবে না।
যদি বলো, তাউস (রঃ) উল্লেখ করেছেন, তিনি ইব্ন উমার (রাঃ) কে সেই অনুযায়ী আমল করতে দেখেছেন যা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর সূত্রে নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত আছে। তাদেরকে (উত্তরে) বলা হবে যে, তাউস (রঃ) তা উল্লেখ করেছেন বটে, কিন্তু মুজাহিদ (রঃ)-এর পরিপন্থী কথা বলেছেন। তাই হতে পারে যে, ইব্ন উমার (রাঃ) সেই আমল যা তাউস (রঃ) দেখেছেন সেই সময়ে করেছেন, যখন তাঁর নিকট এটা রহিত হওয়ার প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তারপর তাঁর নিকট এটা রহিত হওয়ার প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে তা ছেড়ে দিয়েছেন এবং সেই আমল করেছেন যা মুজাহিদ (রঃ) তাঁর থেকে বর্ণনা করেছেন। সাহাবীগণ থেকে যা বর্ণিত আছে তা এরুপভাবে প্রয়োগ করাই শ্রেয় এবং এর থেকে সংশয় দূর হয়ে তা সাব্যস্ত হয়ে যায়। অন্যথায় অধিকাংশ রিওয়য়াত রহিত হয়ে যাবে।
থাকলো ওয়াইল (রাঃ)-এর হাদীস, ইবরাহীম (রঃ) সেই হাদীস দ্বারা এর বিরোধিতা করেছেন, যা আমরা আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করছি যে, তিনি নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে উল্লেখিত আমল করতে দেখেন নি। আর আব্দুল্লা্‌ (রাঃ) ওয়াইল (রঃ) অপেক্ষা রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সঙ্গে সাহচর্যের দিক দিয়ে অগ্রণী এবং তাঁর কার্যাদি সম্পর্কে অধিক প্রজ্ঞা সম্পন্ন। রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুহাজিরীনদেরকে নিজের নিকটবর্তী করতে পছন্দ করতেন, যেন তাঁরা তাঁর থেকে (বিধিবিধান) সংরক্ষণ করতে সক্ষম হন।
1358 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: «صَلَّيْتُ خَلْفَ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَلَمْ يَكُنْ يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِلَّا فِي التَّكْبِيرَةِ الْأُولَى مِنَ الصَّلَاةِ» فَهَذَا ابْنُ عُمَرَ قَدْ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْفَعُ , ثُمَّ قَدْ تَرَكَ هُوَ الرَّفْعَ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَا يَكُونُ ذَلِكَ إِلَّا وَقَدْ ثَبَتَ عِنْدَهُ نَسْخُ مَا قَدْ رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِعْلَهُ وَقَامَتِ الْحُجَّةُ عَلَيْهِ بِذَلِكَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ قِيلَ لَهُ وَمَا دَلَّكَ عَلَى ذَلِكَ؟ فَلَنْ تَجِدَ إِلَى ذَلِكَ سَبِيلًا. فَإِنْ قَالَ: فَإِنْ طَاوُسًا قَدْ ذَكَرَ أَنَّهُ رَأَى ابْنَ عُمَرَ يَفْعَلُ مَا يُوَافِقُ مَا رُوِيَ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِنْ ذَلِكَ قِيلَ لَهُمْ: فَقَدْ ذَكَرَ ذَلِكَ طَاوُسٌ , وَقَدْ خَالَفَهُ مُجَاهِدٌ فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ابْنُ عُمَرَ فَعَلَ مَا رَآهُ طَاوُسٌ مَا يَفْعَلُهُ قَبْلَ أَنْ تَقُومَ عِنْدَهُ الْحُجَّةُ بِنَسْخِهِ , ثُمَّ قَامَتْ عِنْدَهُ الْحُجَّةُ بِنَسْخِهِ فَتَرَكَهُ وَفَعَلَ مَا ذَكَرَهُ عَنْهُ مُجَاهِدٌ. هَكَذَا يَنْبَغِي أَنْ يُحْمَلَ مَا رُوِيَ عَنْهُمْ , وَيُنْفَى عَنْهُ الْوَهْمُ , حَتَّى يَتَحَقَّقَ ذَلِكَ , وَإِلَّا سَقَطَ أَكْثَرُ الرِّوَايَاتِ. وَأَمَّا حَدِيثُ وَائِلٍ , فَقَدْ ضَادَّهُ إِبْرَاهِيمُ بِمَا ذَكَرَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَلَ مَا ذَكَرَ فَعَبْدُ اللهِ أَقْدَمُ صُحْبَةً لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَأَفْهَمُ بِأَفْعَالِهِ مِنْ وَائِلٍ , قَدْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحِبُّ أَنْ يَلِيَهُ الْمُهَاجِرُونَ لِيَحْفَظُوا عَنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৬০
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৫৯-১৩৬০। আলী ইব্ন মা'বাদ (রঃ)..... আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুহাজিরীন ও আনসারদেরকে নিজের নিকটবর্তী করতে পছন্দ করতেন, যেন তাঁরা তাঁর থেকে (বিধিবিধান) সংরক্ষণ করতে পারেন।

আবু বাকরা (রঃ) বলেন, আমাদেরকে আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আবী বাকর (রঃ) বর্ণনা করেছেন। তারপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু জা'ফর তাহাবী (রঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ লোক যেন আমার নিকটবর্তী থাকঃ
1359 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَكْرٍ، قَالَ: ثنا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحِبُّ أَنْ يَلِيَهُ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ , لِيَحْفَظُوا عَنْهُ»

1360 - وَكَمَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَكْرٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لِيَلِيَنِي مِنْكُمْ أُولُو الْأَحْلَامِ وَالنُّهَى»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১৩৬১
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৬১। ইবরাহীম ইব্ন মারযূক (রঃ).....আবু মাসউদ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ লোকেরা আমার নিকটবর্তী থাকা বাঞ্চনীয়। তারপর (থাকবেন) যারা তাদের নিকটবর্তী, এরপর তাদের নিকটবর্তীগণ।
1361 - كَمَا حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ قَالَ: أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ , قَالَ: سَمِعْتُ عُمَارَةَ بْنَ عُمَيْرٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ , عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيِّ , قَالَ: " كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لِيَلِيَنِي مِنْكُمْ أُولُو الْأَحْلَامِ وَالنُّهَى , ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১৩৬২
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৬৩
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৬২-১৩৬৩। আবু বাকরা (রঃ) ও ইব্ন মারযূক (রঃ)..... কায়স ইব্ন আব্বাদ (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমাকে উবায় ইব্ন কা'ব (রাঃ) বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের কে বলেছেনঃ তোমরা সেই কাতারে (অবস্থান কর) যা আমার নিকটবর্তী।

ইমামা তাহাবী (রঃ)-এর মূল্যায়ন
আবু জা'ফর তাহাবী বলেনঃ আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) সেই সমস্ত লোকদের (সাহাবীগণের) অন্তর্ভুক্ত যাঁরা নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকটবর্তী থাকতেন; যেন তাঁরা সালাতে তাঁর কার্যাদি কিরূপ তা লক্ষ্য করে লোকদেরকে তা শিক্ষা দিতে পারেন। সুতরাং তাঁরা এ বিষয়ে যা বর্ণনা করেছেন তা সালাতে তাঁর থেকে দূরবর্তীদের বর্ণনা অপেক্ষা উত্তম হবে।
যদি তাঁরা বলেন যে, তোমরা যা কিছু ইবরাহীম (রঃ)-এর মাধ্যমে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছে, তা 'মুত্তাসিল' নয়।
তাদেরকে (উত্তরে) বলা হবে যে, ইবরাহীম (রঃ)-এর মাধ্যমে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে তখন 'ইরসাল' (মধ্যবর্তী রাবীর উল্লেখ বাদ দেয়া) করেন যখন সেই রিওয়ায়াত তাঁর নিকট সহীহ প্রমানিত হয় এবং আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে মুতাওয়াতির রূপে বর্ণিত হয়। আ'মাশ (রঃ) তাঁকে বলেছেন, আমাকে যখন আপনি হাদীস বর্ণনা করবেন তখন সনদ উল্লেখ করবেন। তিনি বললেনঃ যখন আমি তোমাকে বলবো যে, আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) বলেছেন; (তখন মনে রাখবে যে,) আমি একথা তখন বলি যখন তা আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে আমাকে এক দল (লোক) বর্ণনা করেন। আর যখন আমি বলি যে, আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে অমুক আমাকে বর্ণনা করেছেন, তখন তা তাঁর থেকে-ই হবে। যিনি আমাকে বর্ণনা করেছেন।

ইবরাহীম ইব্ন মারযূক (রঃ)...... আ'মাশ (রঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

আবু জাফর তাহাবী বলেনঃ অতএব তিনি (ইবরাহীম রঃ) বলেছেন, আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে যখন তিনি ’ইরসাল’ করেন তখন তাঁর নিকট এই রিওয়ায়াত করেন সেই রিওয়ায়াত অপেক্ষা অধিক সহীহ হিসেবে বিবেচিত হবে, যা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির মাধ্যমে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে রিওয়ায়াত করবেন। অনুরুপভাবে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে এই ‘মুরসাল’ রিওয়ায়াতও তার নিকট সেই রিওয়ায়াত অপেক্ষা অধীক সহীহ্ হবে, যা তিনি কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির মাধ্যমে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। উপরন্তু আমরা আব্দুর রহমান ইব্ন আসওয়াদ (রঃ)-এর হাদীসে ওটাকে ’মুত্তাসিল’ হিসাবে বর্ণনা করেছি যে, আব্দুল্লাহ্ (ইব্ন মাসউদ রাঃ) সমস্ত সালাতে অনুরুপ করতেন।
1362 - وَكَمَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ وَابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَا: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ أَبِي حَمْزَةَ , عَنْ إِيَاسِ بْنِ قَتَادَةَ , عَنْ قَيْسِ بْنِ عَبَّادٍ قَالَ: قَالَ لِي أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ , قَالَ لَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُونُوا فِي الصَّفِّ الَّذِي يَلِينِي» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَعَبْدُ اللهِ مِنْ أُولَئِكَ الَّذِينَ كَانُوا يَقْرُبُونَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لِيَعْلَمُوا أَفْعَالَهُ فِي الصَّلَاةِ كَيْفَ هِيَ؟ لِيُعَلِّمُوا النَّاسَ ذَلِكَ. فَمَا حَكَوْا مِنْ ذَلِكَ , فَهُوَ أَوْلَى مِمَّا جَاءَ بِهِ مَنْ كَانَ أَبْعَدَ مِنْهُ مِنْهُمْ فِي الصَّلَاةِ. فَإِنْ قَالُوا مَا ذَكَرْتُمُوهُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ غَيْرُ مُتَّصِلٍ. قِيلَ لَهُمْ كَانَ إِبْرَاهِيمُ , إِذَا أَرْسَلَ عَنْ عَبْدِ اللهِ , لَمْ يُرْسِلْهُ إِلَّا بَعْدَ صِحَّتِهِ عِنْدَهُ , وَتَوَاتُرِ الرِّوَايَةِ عَنْ عَبْدِ اللهِ , قَدْ قَالَ لَهُ الْأَعْمَشُ: إِذَا حَدَّثْتنِي فَأَسْنِدْ. فَقَالَ: إِذَا قُلْتُ لَكَ قَالَ: «عَبْدُ اللهِ» فَلَمْ أَقُلْ ذَلِكَ حَتَّى حَدَّثَنِيهِ جَمَاعَةٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ , وَإِذَا قُلْتُ «حَدَّثَنِي فُلَانٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ» فَهُوَ الَّذِي حَدَّثَنِي.

1363 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبٌ أَوْ بِشْرُ بْنُ عُمَرَ , شَكَّ أَبُو جَعْفَرٍ , عَنْ شُعْبَةَ , عَنِ الْأَعْمَشِ بِذَلِكَ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَأَخْبَرَ أَنَّ مَا أَرْسَلَهُ عَنْ عَبْدِ اللهِ , فَمَخْرَجُهُ عِنْدَهُ أَصَحُّ مِنْ مَخْرَجِ مَا ذَكَرَهُ عَنْ رَجُلٍ بِعَيْنِهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ. فَكَذَلِكَ هَذَا الَّذِي أَرْسَلَهُ عَنْ عَبْدِ اللهِ لَمْ يُرْسِلْهُ إِلَّا وَمَخْرَجُهُ عِنْدَهُ أَصَحُّ مِنْ مَخْرَجِ مَا يَرْوِيهِ عَنْ رَجُلٍ بِعَيْنِهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ. وَمَعَ ذَلِكَ فَقَدْ رَوَيْنَاهُ مُتَّصِلًا فِي حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَسْوَدِ , وَكَذَلِكَ كَانَ عَبْدُ اللهِ يَفْعَلُ فِي سَائِرِ صَلَاتِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৬৪
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৬৪। ইব্ন আবী দাউদ (রঃ)........ইবরাহীম (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) সালাতের শুরু ব্যতীত আর কোথাও হাত তুলতেন না।
উমার ইব্ন খাত্তাব (রাঃ) থেকেও অনুরুপ বর্ণিত আছেঃ
1364 - كَمَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , عَنْ حُصَيْنٍ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , قَالَ: كَانَ عَبْدُ اللهِ لَا يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَيْءٍ مِنَ الصَّلَاةِ إِلَّا فِي الِافْتِتَاحِ " وَقَدْ رُوِيَ مِثْلُ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৬৭
রুকু, সিজদা ও রুকুর থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হয় কিনা।
১৩৬৫-১৩৬৭। ইব্ন আবী দাউদ (রঃ)..........আসওয়াদ (রঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন আমি উমার ইব্ন খাত্তাব (রাঃ)-কে দেখেছি, তিনি প্রথম তাকবীরে হাত তুলতেন। তারপর পুনরায় হাত তুলতেন না। রাবী ( যুবায়র ইব্ন আদী রঃ) বলেনঃ এবং আমি ইবরাহীম (রঃ) ও শা’বী (রঃ) কেও অনুরুপ করতে দেখেছি।

আবু জাফর তাহাবী (রঃ) বলেনঃ ইনি হলেন উমার (রাঃ), যিনি এই হাদীস মোতাবেক ‍শুধু প্রথম তাকবীরে হাত তুলতেন। আর এটা সহীহ্ হাদীস। যেহেতু এই হাদীসের ভিত্তি হলো হাসান ইব্ন আইয়াশ (রঃ)-এর উপর এবং তিনি নির্ভরযোগ্য এবং প্রামন্য হুজ্জত (রাবী)। যেমনটি ইয়াহয়া ইব্ন মাঈন (রঃ) প্রমুখ উল্লেখ করেছেন।
আপনাদের কি ধারনা যে, উমার ইব্ন খাত্তাব (রাঃ)-এর কাছে এটি গোপন থাকবে যে, নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রূকু ও সিজদায় হাত তুলতেন আর অন্যরা তা জ্ঞাত হয়েছেন। আর এটাও কি সম্ভব যে তাঁর সাথীদের তাঁকে রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর আমলের পরিপহ্নী করতে দেখেছেন, তারপরও এ ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করা হয়নি। আমাদের মতে এটা অসম্ভব ব্যাপার । উমার (রাঃ)-এর এই আমল এবং সাহাবীগণ কর্তৃক এ বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করা এ বিষযের সহীহ দলীল যে, এটাই সঠিক পহ্না, কারো জন্য এর বিরোধীতা করা সমীচীন নয়।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে রিওয়ায়াত রয়েছে তা তো ইসমাঈল ইব্ন আইয়াশ (রঃ)-এর মাধ্যমে সলিহ ইব্ন কায়সাল থেকে বর্ণিত। তাঁরা (বিরোধীগণ) ইসমাঈল কর্তৃক শাম দেশীয় রাবীদের ব্যতীত অন্যদের থেকে রিওয়ায়াতকে প্রমাণ হিসাবে স্বীকৃতি দেন না। তাহলে তাঁরা নিজেদের পতিপক্ষের বিরুদ্ধে এরুপ রিওয়ায়াত দ্বারা কিরুপ প্রমাণ পেশ করতে পারেন, যে ক্ষেত্রে এর দ্বারা তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেশ করা হলে তা গ্রহণ করেন না।
আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ)-এর হাদীসের ব্যাপারে তাঁদের ধারনা যে, তা ভুল (সহীহ নয়)। কেননা ওটাকে বিশেষ করে আব্দুল ওগাব সাকাফী (রঃ) ব্যতীত অন্য কেউ ’মারফূ’ হিসাবে বর্ণনা করেননি। আর (হাদীসের) হাফিজগণ এটাকে আনাস (রাঃ)-এর উপর ’মাউকুফ’ হিসাবে বর্ণনা করেন।
আব্দুল হামিদ ইব্ন জা’ফর (রঃ)-এর হাদীসের ব্যাপারে বলা যায় যে, তাঁরা আব্দুল হামিদ (রঃ) কে দূর্বলরুপে সাব্যস্ত করেন এবং তাঁরা তাঁকে প্রমাণ হিসাবে স্বীকৃতি দেন না। সুতরাং এরুপ বিষয়ে তাঁরা তাঁর দ্বারা কিভাবে প্রমাণ পেশ করবেন? তাছাড়া মুহাম্মাদ ইব্ন আমর ইব্ন আতা (রঃ) এই হাদীস না আব্দুল হামিদ থেকে শুনেছেন না তাদের থেকে যাদেরকে ওই হাদীসে তাঁর সঙ্গেে উল্লেখ করা হয়েছে। যেহেতু তাদের উভয়ের মাঝে এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বিদ্যমান রয়েছে। আত্তাফ ইব্ন খালিদ তার সূত্রে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি থেকে তা রিওয়ায়াত করেছেন। আমি তা ‘সালাতে বসা’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে ইনশা আল্লহ্ বর্ণনা করবো। আব্দুল হামিদ থেকে আবু আসিম এর সেই রিওয়ায়াতে রয়েছে যে, সকলে বলেছেনঃ তুমি সত্য বলেছো। আবু আসিম (রঃ) ব্যতীত একথা কেউ বলেননি।

আলী ইব্ন আবী শায়বা (রঃ) ও ইব্ন আবী ইমরান (রঃ)....... হুশাইম (রঃ) ও আব্দুল হামিদ (রঃ) থেকে তা রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তাঁরা এটা বলেননি যে, তাঁরা (সাহাবা) সকলে বলেছেন, ’তুমি সত্য বলেছো্’। আব্দুল হামিদ ব্যতীত অন্যরাও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। আমরা ‘সালাতে বসা’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে তা উল্লেখ করেছি।

সঠিক বিশ্লেষণঃ

এই সমস্ত রিওয়ায়াতের অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণের পরে এটাই বুঝা যাচ্ছে যে, রূকুতে হাত তোলা যাবে না। হাদীস সমূহে বর্ণনার ভিত্তিতে এই অনুচ্ছেদের এটাই হচ্ছে সঠিক বিশ্লেষণ ।

ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রঃ) বলেনঃ এর দ্বারা কোন আলিমের দুর্বলতা বর্ণনা করা আমার উদ্দেশ্য নয় এবং না এটা আমার নীতে। বরং আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে, সেই যুলুমকে স্পষ্ট করা, যা আমাদের বিরোধীগণ আমাদের উপর করেছেন।

যুক্তির নিরিখে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশ্লেষণঃ তাঁরা (আলিমগণ) সকলে ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, প্রথম তাকবীরে হাত তোলার বিধান রয়েছে। কিন্ত দুই সিজ্দার মাঝে তাকবীর বলার সময় হাত তোলার বিধান নেই। বস্তুত তাঁরা উঠে দাঁড়াবার তাকবীরে এবং রূকুর তাকবীরের মতবিরোধ করেছেন।

একদল আলিম বলেছেনঃ এর বিধান প্রথম তাকবীরের বিধানের অনুরুপ এবং দু’য়ের মাঝে অনুরুপ ভাবে হাত হাত তুলবে যেমনিভাবে প্রথম তাকবীরে তোলা হয় । অপরাপর আলিমগণ বলেন, এই দু’য়ের বিধান হলো দুই সিজ্দার মাঝে তাকবীরের বিধানের অনুরুপ। ওই দু’য়ের মাঝে হাত তোলা নেই, যেমনিভাবে সিজ্দার মাঝে নেই।
আমরা লক্ষ্য করছি যে, প্রথম তাকবীর সালাতের রুকন সমূহের অন্যতম। এটা ব্যতীত সালাত হয় না। পক্ষান্তরে দুই সিজ্দার মাঝে তাকবীর এরুপ নয়। কারণ, কোন ব্যক্তি যদি তা পরিত্যাগ করে তাহলে তার সালাত বিনষ্ট হয় না এবং আমরা আরো লক্ষ্য করেছি যে, রূকু এবং রূকু থেকে উঠার তাকবীর সালাতের রূকুন সমূহের অন্তর্ভূক্ত নয়। কারণ, কোন পরিত্যাগকার যদি তা পরিত্যাগ করে তাহলে তার সালাত বিনষ্ট হয় না। বরং তা হলো সালাতের সুন্নত সমূহের অন্তর্ভূক্ত । যখন এটাও সিজ্দার মধ্যবর্তী তাকবীরের ন্যায় সালাতের সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত, তাহলে ওই দুইটা তার ন্যায় হবে যে, ঐ দুইটাতেও হাত তোলা নেই, যেমনিভাবে তাতে হাত তোলা নেই। এটাই হলো এই অনুচ্ছেদের যুক্তি ভিত্তিক বিশ্লেষণ। আর এটা-ই হলো আবু হানীফা (রঃ), ইমাম আবু ইউসূফ (রঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রঃ)-এর অভিমত।

ইব্ন আবী দাউদ (রঃ).....আবু বাকর ইব্ন আইয়াশ (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি কোন ফকীহ (আলিম)-কে কখনও প্রথম তাকবীর ব্যতীত হাত তুলতে দেখিনি।
1365 - كَمَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ آدَمَ , عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَيَّاشٍ , عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبْجَرَ , عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنِ الْأَسْوَدِ , قَالَ: رَأَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي أَوَّلِ تَكْبِيرَةٍ , ثُمَّ لَا يَعُودُ , قَالَ: وَرَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ , وَالشَّعْبِيَّ يَفْعَلَانِ ذَلِكَ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لَمْ يَكُنْ يَرْفَعُ يَدَيْهِ أَيْضًا إِلَّا فِي التَّكْبِيرَةِ الْأُولَى فِي هَذَا الْحَدِيثِ , وَهُوَ حَدِيثٌ صَحِيحٌ لِأَنَّ الْحَسَنَ بْنَ عَيَّاشٍ , وَإِنْ كَانَ هَذَا الْحَدِيثُ إِنَّمَا دَارَ عَلَيْهِ , فَإِنَّهُ ثِقَةٌ حُجَّةٌ , قَدْ ذَكَرَ ذَلِكَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ وَغَيْرُهُ. أَفَتَرَى عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ خَفِيَ عَلَيْهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ , وَعَلِمَ بِذَلِكَ مَنْ دُونَهُ , وَمَنْ هُوَ مَعَهُ يَرَاهُ يَفْعَلُ غَيْرَ مَا رَأَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُ , ثُمَّ لَا يُنْكِرُ ذَلِكَ عَلَيْهِ , هَذَا عِنْدَنَا مُحَالٌ. وَفَعَلَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هَذَا وَتَرَكَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُ عَلَى ذَلِكَ , دَلِيلٌ صَحِيحٌ أَنَّ ذَلِكَ هُوَ الْحَقُّ الَّذِي لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ خِلَافُهُ. وَأَمَّا مَا رَوَوْهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ ذَلِكَ , فَإِنَّمَا هُوَ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ , عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ. وَهُمْ لَا يَجْعَلُونَ إِسْمَاعِيلَ فِيمَا رُوِيَ عَنْ غَيْرِ الشَّامِيِّينَ , حَجَّةً , فَكَيْفَ يَحْتَجُّونَ عَلَى خَصْمِهِمْ , بِمَا لَوِ احْتَجَّ بِمِثْلِهِ عَلَيْهِمْ , لَمْ يُسَوِّغُوهُ إِيَّاهُ. وَأَمَّا حَدِيثُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَهُمْ يَزْعُمُونَ أَنَّهُ خَطَأٌ , وَأَنَّهُ لَمْ يَرْفَعْهُ أَحَدٌ إِلَّا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ خَاصَّةً , وَالْحُفَّاظُ يُوقِفُونَهُ , عَلَى أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. وَأَمَّا حَدِيثُ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ , فَإِنَّهُمْ يُضَعِّفُونَ عَبْدَ الْحَمِيدِ , فَلَا يُقِيمُونَ بِهِ حُجَّةً , فَكَيْفَ يَحْتَجُّونَ بِهِ فِي مِثْلِ هَذَا. وَمَعَ ذَلِكَ فَإِنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ لَمْ يَسْمَعْ ذَلِكَ الْحَدِيثَ مِنْ أَبِي حُمَيْدٍ , وَلَا مِمَّنْ ذُكِرَ مَعَهُ فِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ بَيْنَهُمَا رَجُلٌ مَجْهُولٌ , قَدْ ذَكَرَ ذَلِكَ الْعَطَّافُ بْنُ خَالِدٍ عَنْهُ , عَنْ رَجُلٍ , وَأَنَا ذَاكِرٌ ذَلِكَ فِي بَابِ الْجُلُوسِ فِي الصَّلَاةِ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. وَحَدِيثُ أَبِي عَاصِمٍ , عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ هَذَا , فَفِيهِ فَقَالُوا جَمِيعًا: صَدَقْتَ فَلَيْسَ يَقُولُ ذَلِكَ أَحَدٌ غَيْرُ أَبِي عَاصِمٍ ,

1366 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ ح

1367 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ: ثنا الْقَوَارِيرِيُّ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَا: ثنا عَبْدُ الْحَمِيدِ، فَذَكَرَاهُ بِإِسْنَادِهِ , وَلَمْ يَقُولَا فَقَالُوا جَمِيعًا صَدَقْتَ وَهَكَذَا رَوَاهُ غَيْرُ عَبْدِ الْحَمِيدِ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي بَابِ الْجُلُوسِ فِي الصَّلَاةِ. فَمَا نَرَى كَشْفَ هَذِهِ الْآثَارِ , يُوجِبُ لِمَا وَقَفَ عَلَى حَقَائِقِهَا وَكَشَفَ مَخَارِجَهَا إِلَّا تَرْكَ الرَّفْعِ فِي الرُّكُوعِ فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَمَا أَرَدْتُ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ تَضْعِيفَ أَحَدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ , وَمَا هَكَذَا مَذْهَبِي , وَلَكِنِّي أَرَدْتُ بَيَانَ ظُلْمِ الْخَصْمِ لَنَا. وَأَمَّا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّهُمْ قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ التَّكْبِيرَةَ الْأُولَى , مَعَهَا رَفْعٌ , وَالتَّكْبِيرَةُ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ لَا رَفْعَ مَعَهَا. وَاخْتَلَفُوا فِي تَكْبِيرَةِ النُّهُوضِ , وَتَكْبِيرَةِ الرُّكُوعِ فَقَالَ قَوْمٌ: حُكْمُهَا حُكْمُ تَكْبِيرَةِ الِافْتِتَاحِ , وَفِيهِمَا الرَّفْعُ كَمَا فِيهَا الرَّفْعُ. وَقَالَ آخَرُونَ حُكْمُهَا حُكْمُ التَّكْبِيرَةِ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ , وَلَا رَفْعَ فِيهِمَا , كَمَا لَا رَفْعَ فِيهَا. وَقَدْ رَأَيْنَا تَكْبِيرَةَ الِافْتِتَاحِ مِنْ صُلْبِ الصَّلَاةِ لَا تُجْزِئُ الصَّلَاةُ إِلَّا بِإِصَابَتِهَا , وَرَأَيْنَا التَّكْبِيرَةَ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ , لَيْسَتْ كَذَلِكَ , لِأَنَّهُ لَوْ تَرَكَهَا تَارِكٌ , لَمْ تَفْسُدْ عَلَيْهِ صَلَاتُهُ. وَرَأَيْنَا تَكْبِيرَةَ الرُّكُوعِ , وَتَكْبِيرَةَ النُّهُوضِ , لَيْسَتَا مِنْ صُلْبِ الصَّلَاةِ لِأَنَّهُ لَوْ تَرَكَهَا تَارِكٌ لَمْ تَفْسُدْ عَلَيْهِ صَلَاتُهُ , وَهُمَا مِنْ سُنَنِهَا. فَلَمَّا كَانَتْ مِنْ سُنَّةِ الصَّلَاةِ , كَمَا أَنَّ الْكَبِيرَةَ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ مِنْ سُنَّةِ الصَّلَاةِ , كَانَتَا كَهِيَ , فِي أَنْ لَا رَفْعَ فِيهِمَا , كَمَا لَا رَفْعَ فِيهَا. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَلَقَدْ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ قَالَ: مَا رَأَيْتُ فَقِيهًا قَطُّ يَفْعَلُهُ , يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي غَيْرِ التَّكْبِيرَةِ الْأُولَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান