শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩১৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৩২০
১৯-সালাতে নিচু হওয়ার সময় তাকবীর বলা
১৩১৯-১৩২০। ইব্ন আবী ইমরান (রঃ)....... ইব্ন আব্দির রহমান ইব্ন আবযা (রঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি একবার রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সঙ্গে সালাত আদায় করেন। তিনি তাকবীর পূর্ণ করতেন না।
ইব্ন আবী দাউদ (রঃ)....... শু'বা (রঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রঃ) বলেন, একদল ফকীহ আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন। তাঁরা সালাতে নিচু হওয়ার সময় তাকবীর বলতেন না। কিন্তু উঠার সময় তাকবীর বলতেন। বনু উমাইয়াও অনুরূপ করতেন।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা ওঠা-নামা উভয় অবস্থায় তাকবীর বলেছেন। তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সেই সমস্ত মুতাওয়াতির হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেছেন যা রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত আছেঃ
ইব্ন আবী দাউদ (রঃ)....... শু'বা (রঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রঃ) বলেন, একদল ফকীহ আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন। তাঁরা সালাতে নিচু হওয়ার সময় তাকবীর বলতেন না। কিন্তু উঠার সময় তাকবীর বলতেন। বনু উমাইয়াও অনুরূপ করতেন।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা ওঠা-নামা উভয় অবস্থায় তাকবীর বলেছেন। তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সেই সমস্ত মুতাওয়াতির হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেছেন যা রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত আছেঃ
بَابُ الْخَفْضِ فِي الصَّلَاةِ هَلْ فِيهِ تَكْبِيرٌ؟
1319 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ قَالَ: ثنا أَبُو خَيْثَمَةَ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنِ الْحَسَنِ , عَنِ ابْنِ عِمْرَانَ عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى , عَنْ أَبِيهِ: «أَنَّهُ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَكَانَ لَا يُتِمُّ التَّكْبِيرَ»
1320 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا , فَكَانُوا لَا يُكَبِّرُونَ فِي الصَّلَاةِ إِذَا خَفَضُوا , وَيُكَبِّرُونَ إِذَا رَفَعُوا , وَكَذَلِكَ كَانَتْ بَنُو أُمَيَّةَ تَفْعَلُ ذَلِكَ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَكَبَّرُوا فِي الْخَفْضِ وَالرَّفْعِ جَمِيعًا , وَذَهَبُوا فِي ذَلِكَ إِلَى مَا تَوَاتَرَتْ بِهِ الْآثَارُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
1320 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا , فَكَانُوا لَا يُكَبِّرُونَ فِي الصَّلَاةِ إِذَا خَفَضُوا , وَيُكَبِّرُونَ إِذَا رَفَعُوا , وَكَذَلِكَ كَانَتْ بَنُو أُمَيَّةَ تَفْعَلُ ذَلِكَ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَكَبَّرُوا فِي الْخَفْضِ وَالرَّفْعِ جَمِيعًا , وَذَهَبُوا فِي ذَلِكَ إِلَى مَا تَوَاتَرَتْ بِهِ الْآثَارُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩২১
আন্তর্জাতিক নং: ১৩২২
সালাতে নিচু হওয়ার সময় তাকবীর বলা
১৩২১-১৩২২। ইব্ন মারযূক (রঃ)......আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে প্রত্যেক ওঠা-নামায় তাকবীর বলতে দেখেছি।
আবু বিশর রকী (রঃ)....... যুহায়র (রঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি বলেন, আমি আবু বাকর (রাঃ) ও উমার (রাঃ) কেও অনুরূপ করতে দেখেছি।
আবু বিশর রকী (রঃ)....... যুহায়র (রঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি বলেন, আমি আবু বাকর (রাঃ) ও উমার (রাঃ) কেও অনুরূপ করতে দেখেছি।
1321 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، وَعَلْقَمَةُ عَنْ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: «أَنَا رَأَيْتُ، رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكَبِّرُ فِي كُلِّ وَضْعٍ وَرَفْعٍ»
1322 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ، قَالَ: ثنا شُجَاعٌ، عَنْ زُهَيْرٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ , قَالَ: وَرَأَيْتُ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَفْعَلَانِ ذَلِكَ
1322 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ، قَالَ: ثنا شُجَاعٌ، عَنْ زُهَيْرٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ , قَالَ: وَرَأَيْتُ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَفْعَلَانِ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩২৩
সালাতে নিচু হওয়ার সময় তাকবীর বলা
১৩২৩। ইব্ন মারযূক (রঃ)...... আতা ইব্ন সাইব (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমাকে সালিম বাররাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন এবং তিনি আমার নিকট আমার থেকেও অধিক নির্ভরযোগ্য। তিনি বলেন, আবু মাসউদ বদরী (রাঃ) বলেছেন, আমি কি তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সালাতের মত আদায় করবো না?? এরপর তিনি আমাদেরকে নিয়ে চার রাক'আত সালাত আদায় করলেন এবং তাতে যখনই উঠা-নামা করতেন তাকবীর বলতেন। তারপর বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে অনুরূপভাবে সালাত আদায় করতে রেখেছি।
1323 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا عَفَّانُ قَالَ: ثنا هَمَّامٌ قَالَ: ثنا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ , قَالَ: حَدَّثَنِي سَالِمٌ الْبَرَّادُ , قَالَ: وَكَانَ عِنْدِي أَوْثَقَ مِنْ نَفْسِي قَالَ: قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ الْبَدْرِيُّ: أَلَا أُصَلِّي لَكُمْ صَلَاةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى بِنَا أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ يُكَبِّرُ فِيهِنَّ , كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ وَقَالَ: «هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩২৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৩২৫
সালাতে নিচু হওয়ার সময় তাকবীর বলা
১৩২৪-১৩২৫। ইব্ন আবী দাউদ (রঃ)..... ইকরামা (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমাদেরকে নিয়ে আবু হুরায়রা (রাঃ) সালাত আদায় করলেন এবং তিনি যখন ওঠা-নামা করতেন তাকবীর বলতেন। আমি ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট এলাম এবং তাঁকে এ বিষয়ে অবহিত করলাম। তিনি বললেন, এটা কি আবুল কাসিম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সুন্নত নয়? (অর্থাৎ তাঁর
সুন্নত)।
সালিহ ইব্ন আব্দির রহমান (রঃ)......ইকরামা (রঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি আবু হুরায়রা (রাঃ)- এর উল্লেখ করেননি।
সুন্নত)।
সালিহ ইব্ন আব্দির রহমান (রঃ)......ইকরামা (রঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি আবু হুরায়রা (রাঃ)- এর উল্লেখ করেননি।
1324 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ الدَّانَاجُ , قَالَ: ثنا عِكْرِمَةُ , قَالَ: صَلَّى بِنَا أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَكَانَ يُكَبِّرُ إِذَا رَفَعَ , وَإِذَا وَضَعَ. فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَأَخْبَرْتُهُ بِذَلِكَ فَقَالَ: «أَوَ لَيْسَ ذَلِكَ سُنَّةَ أَبِي الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
1325 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا سَعِيدٌ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، مِثْلَهُ , وَلَمْ يَذْكُرْ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ
1325 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا سَعِيدٌ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، مِثْلَهُ , وَلَمْ يَذْكُرْ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩২৬
সালাতে নিচু হওয়ার সময় তাকবীর বলা
১৩২৬। রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ).......আসওয়াদ ইব্ন ইয়াযীদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আবু মুসা আশ্আরী (রাঃ) বলেন, আলী (রাঃ) আমাদেরকে সেই সালাত স্মরণ করিয়ে দিলেন, যা আমরা নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সঙ্গে আদায় করতাম ৷ হয়তো আমরা তা ভুলে গিয়েছি অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে তা ছেড়ে দিয়েছিলাম। তিনি যখনই নীচে যেতেন, উপরে উঠতেন এবং সিজ্দা করতেন তাকবীর বলতেন।
1326 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ: قَالَ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ , ذَكَّرَنَا عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ صَلَاةً كُنَّا نُصَلِّيهَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , إِمَّا نَسِينَاهَا، وَإِمَّا تَرَكْنَاهَا عَمْدًا يُكَبِّرُ كُلَّمَا خَفَضَ , وَكُلَّمَا رَفَعَ , وَكُلَّمَا سَجَدَ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩২৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৩২৮
সালাতে নিচু হওয়ার সময় তাকবীর বলা
১৩২৭-১৩২৮। ইব্ন মারযূক (রঃ).....আবু মুসা সূত্রে নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে রিওয়ায়াত করেন। তিনি বলেন, ইমাম যখন তাকবীর বলবে এবং সিজ্দা করবে তখন তোমারও তাকবীর বলবে এবং সিজ্দা করবে।
1327 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، ح.
1328 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَفَّانُ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللهِ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا كَبَّرَ الْإِمَامُ وَسَجَدَ , فَكَبِّرُوا وَاسْجُدُوا»
1328 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَفَّانُ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللهِ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا كَبَّرَ الْإِمَامُ وَسَجَدَ , فَكَبِّرُوا وَاسْجُدُوا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩২৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩০
সালাতে নিচু হওয়ার সময় তাকবীর বলা
১৩২৯-১৩৩০। ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ)......আব্দুর রহমান আল-আসাম্ম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবু বাকর (রাঃ) ও উমার (রাঃ) তাকবীরকে পূর্ণরুপে বলতেন। তাঁরা যখন সিজ্দা করতেন, তা থেকে উঠতেন এবং রুকূ থেকে উঠতেন, তাকবীর বলতেন।
ইব্ন মারযূক (রাহঃ)....... আব্দুর রহমান আল-আসাম্ম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। অতঃপর তিনি নিজস্ব ইসনাদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইব্ন মারযূক (রাহঃ)....... আব্দুর রহমান আল-আসাম্ম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। অতঃপর তিনি নিজস্ব ইসনাদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
1329 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عُبَيْدِ اللهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ قَالَ: ثَنَى يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ , عَنْ سُفْيَانَ , قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ الْأَصَمُّ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسًا يَقُولُ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يُتِمُّونَ التَّكْبِيرَ , يُكَبِّرُونَ إِذَا سَجَدُوا , وَإِذَا رَفَعُوا , وَإِذَا قَامُوا مِنَ الرَّكْعَةِ»
1330 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، وَأَبُو حُذَيْفَةَ , عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَصَمِّ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
1330 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، وَأَبُو حُذَيْفَةَ , عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَصَمِّ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৩১
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৩
সালাতে নিচু হওয়ার সময় তাকবীর বলা
১৩৩১-১৩৩৩। ইউনুস (রঃ)...... আবু সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তাদেরকে ফরয সালাত পড়াতেন। তিনি যখনই উঠা-নামা করতেন তাকবীর বলতেন। সালাম ফিরানোর পরে বললেন, আল্লাহর কসম! তোমাদের সকলের অপেক্ষা আমার সালাত রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)- এর সালাতের সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ন।
ইব্ন মারযূক (রাহঃ)......আবু সালামা (রাহঃ) ও আবু বাকর ইব্ন আব্দির রহমান (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তাদেরকে নিয়ে ফরয সালাত আদায় করতেন। তারপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
সুলায়মান ইব্ন শু'আইব (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইব্ন মারযূক (রাহঃ)......আবু সালামা (রাহঃ) ও আবু বাকর ইব্ন আব্দির রহমান (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তাদেরকে নিয়ে ফরয সালাত আদায় করতেন। তারপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
সুলায়মান ইব্ন শু'আইব (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
1331 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ: أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ كَانَ يُصَلِّي لَهُمُ الْمَكْتُوبَةَ , فَيُكَبِّرُ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ. فَإِذَا انْصَرَفَ قَالَ: «وَاللهِ إِنِّي لَأَشْبَهَكُمْ صَلَاةً بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
1332 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا أَبِي، قَالَ: سَمِعْتُ النُّعْمَانَ، يُحَدِّثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَأَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ كَانَ يُصَلِّي بِهِمُ الْمَكْتُوبَةَ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ
1333 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا أَسَدُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ نَحْوَهُ
1332 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا أَبِي، قَالَ: سَمِعْتُ النُّعْمَانَ، يُحَدِّثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَأَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ كَانَ يُصَلِّي بِهِمُ الْمَكْتُوبَةَ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ
1333 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا أَسَدُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ نَحْوَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৩৪
সালাতে নিচু হওয়ার সময় তাকবীর বলা
১৩৩৪। আবু বাকরা (রাঃ).......আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করে বলেন, রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাজদা কালে এবং সাজদা থেকে উঠার সময় তাকবীর বলতেন।
1334 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ سَمْعَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يُكَبِّرُ كُلَّمَا سَجَدَ وَرَفَعَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৩৫
সালাতে নিচু হওয়ার সময় তাকবীর বলা
১৩৩৫। মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দিল্লাহ্ ইব্ন মায়মুন (রাহঃ).......আবু সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন, আমি আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে দেখেছি, তিনি সালাতে যখনই উঠা-নামা করতেন তাকবীর বলতেন। আমি বললাম, হে আবু হুরায়রা! এটা কিরুপ সালাত? তিনি বললেন, এটা রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর সালাত।
ইমামা তাহাবী (রঃ) - এর মূল্যায়ন
বস্তুত প্রত্যেক উঠা-নামায় তাকবীর বলা প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত এই সমস্ত রিওয়ায়াত আব্দুর রহমান ইবনে আবযা (রাঃ)- এর হাদীস অপেক্ষা অধিক সুস্পষ্ট ও অধিক মুতাওয়াতির। রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর পরে আবু বাকর (রাঃ), উমার (রাঃ) ও আলী (রাঃ) -এরুপ আমল করেছেন। আজ পর্যন্ত এগুলোর উপর মুতাওয়াতিরভাবে আমল হয়ে আসছে। কোন অস্বীকারকারী এগুলোকে অস্বীকার করেনি এবং না কোন প্রত্যাখ্যানকারী এগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তাছাড়া যুক্তিও এর স্বপক্ষে সাক্ষ্য বহন করেছে। আর তা এরুপঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে, সালাতে প্রবেশ করা হয় তাকবীরের মাধ্যমে। তারপর রুকু ও সিজ্দা থেকে বের হওয়াও তাকবীর দ্বারা হয়। অনুরুপভাবে বসা থেকে কিয়ামের দিকে স্থানান্তরও তাকবীরের মাধ্যমে হয়। সুতরাং এগুলো আমরা যা উল্লেখ করেছি যে, এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থার দিকে পরিবর্তনের ব্যাপারে ঐক্যমতভাবে তাকবীর রয়েছে। তাই এরই ভিত্তিতে যুক্তির দাবি হলো যে, কিয়াম থেকে রুকুর দিকে এবং (অনুরুপভাবে) সিজ্দার দিকে অবস্থার পরিবর্তনও তাকবীরের সাথে হওয়া বাঞ্চনীয়। এটা হলো সেই উল্লিখিত বিষয়বস্তুর উপর কিয়াস তথা যুক্তি। এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রঃ) -এর অভিমত।
ইমামা তাহাবী (রঃ) - এর মূল্যায়ন
বস্তুত প্রত্যেক উঠা-নামায় তাকবীর বলা প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত এই সমস্ত রিওয়ায়াত আব্দুর রহমান ইবনে আবযা (রাঃ)- এর হাদীস অপেক্ষা অধিক সুস্পষ্ট ও অধিক মুতাওয়াতির। রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর পরে আবু বাকর (রাঃ), উমার (রাঃ) ও আলী (রাঃ) -এরুপ আমল করেছেন। আজ পর্যন্ত এগুলোর উপর মুতাওয়াতিরভাবে আমল হয়ে আসছে। কোন অস্বীকারকারী এগুলোকে অস্বীকার করেনি এবং না কোন প্রত্যাখ্যানকারী এগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তাছাড়া যুক্তিও এর স্বপক্ষে সাক্ষ্য বহন করেছে। আর তা এরুপঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে, সালাতে প্রবেশ করা হয় তাকবীরের মাধ্যমে। তারপর রুকু ও সিজ্দা থেকে বের হওয়াও তাকবীর দ্বারা হয়। অনুরুপভাবে বসা থেকে কিয়ামের দিকে স্থানান্তরও তাকবীরের মাধ্যমে হয়। সুতরাং এগুলো আমরা যা উল্লেখ করেছি যে, এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থার দিকে পরিবর্তনের ব্যাপারে ঐক্যমতভাবে তাকবীর রয়েছে। তাই এরই ভিত্তিতে যুক্তির দাবি হলো যে, কিয়াম থেকে রুকুর দিকে এবং (অনুরুপভাবে) সিজ্দার দিকে অবস্থার পরিবর্তনও তাকবীরের সাথে হওয়া বাঞ্চনীয়। এটা হলো সেই উল্লিখিত বিষয়বস্তুর উপর কিয়াস তথা যুক্তি। এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রঃ) -এর অভিমত।
1335 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَيْمُونٍ، قَالَ: ثنا الْوَلِيدُ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى، أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ، قَالَ: رَأَيْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يُكَبِّرُ فِي الصَّلَاةِ , كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ فَقُلْتُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ , مَا هَذِهِ الصَّلَاةُ؟ فَقَالَ: «إِنَّهَا لَصَلَاةُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» فَكَانَتْ هَذِهِ الْآثَارُ الْمَرْوِيَّةُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي التَّكْبِيرِ , فِي كُلِّ خَفْضٍ وَرَفْعٍ , أَظْهَرَ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى , وَأَكْثَرَ تَوَاتُرًا. وَقَدْ عَمِلَ بِهَا مِنْ بَعْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ وَتَوَاتَرَ بِهَا الْعَمَلُ إِلَى يَوْمِنَا هَذَا لَا يُنْكِرُ ذَلِكَ مُنْكِرٌ , وَلَا يَدْفَعُهُ دَافِعٌ. ثُمَّ النَّظَرُ يَشْهَدُ لَهُ أَيْضًا , وَذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا الدُّخُولَ فِي الصَّلَاةِ , يَكُونُ بِالتَّكْبِيرِ , ثُمَّ الْخُرُوجُ مِنَ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ , يَكُونَانِ أَيْضًا بِتَكْبِيرٍ. وَكَذَلِكَ الْقِيَامُ مِنَ الْقُعُودِ يَكُونُ أَيْضًا بِتَكْبِيرٍ. فَكَانَ مَا ذَكَرْنَا مِنْ تَغَيُّرِ الْأَحْوَالِ مِنْ حَالٍ إِلَى حَالٍ قَدْ أَجْمَعَ أَنَّ فِيهِ تَكْبِيرًا. فَكَانَ النَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ تَغَيُّرُ الْأَحْوَالِ أَيْضًا عَنِ الْقِيَامِ إِلَى الرُّكُوعِ , وَإِلَى السُّجُودِ فِيهِ أَيْضًا تَكْبِيرٌ , قِيَاسًا عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
