শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩৩৫
সালাতে নিচু হওয়ার সময় তাকবীর বলা
১৩৩৫। মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দিল্লাহ্ ইব্ন মায়মুন (রাহঃ).......আবু সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন, আমি আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে দেখেছি, তিনি সালাতে যখনই উঠা-নামা করতেন তাকবীর বলতেন। আমি বললাম, হে আবু হুরায়রা! এটা কিরুপ সালাত? তিনি বললেন, এটা রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর সালাত।
ইমামা তাহাবী (রঃ) - এর মূল্যায়ন
বস্তুত প্রত্যেক উঠা-নামায় তাকবীর বলা প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত এই সমস্ত রিওয়ায়াত আব্দুর রহমান ইবনে আবযা (রাঃ)- এর হাদীস অপেক্ষা অধিক সুস্পষ্ট ও অধিক মুতাওয়াতির। রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর পরে আবু বাকর (রাঃ), উমার (রাঃ) ও আলী (রাঃ) -এরুপ আমল করেছেন। আজ পর্যন্ত এগুলোর উপর মুতাওয়াতিরভাবে আমল হয়ে আসছে। কোন অস্বীকারকারী এগুলোকে অস্বীকার করেনি এবং না কোন প্রত্যাখ্যানকারী এগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তাছাড়া যুক্তিও এর স্বপক্ষে সাক্ষ্য বহন করেছে। আর তা এরুপঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে, সালাতে প্রবেশ করা হয় তাকবীরের মাধ্যমে। তারপর রুকু ও সিজ্দা থেকে বের হওয়াও তাকবীর দ্বারা হয়। অনুরুপভাবে বসা থেকে কিয়ামের দিকে স্থানান্তরও তাকবীরের মাধ্যমে হয়। সুতরাং এগুলো আমরা যা উল্লেখ করেছি যে, এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থার দিকে পরিবর্তনের ব্যাপারে ঐক্যমতভাবে তাকবীর রয়েছে। তাই এরই ভিত্তিতে যুক্তির দাবি হলো যে, কিয়াম থেকে রুকুর দিকে এবং (অনুরুপভাবে) সিজ্দার দিকে অবস্থার পরিবর্তনও তাকবীরের সাথে হওয়া বাঞ্চনীয়। এটা হলো সেই উল্লিখিত বিষয়বস্তুর উপর কিয়াস তথা যুক্তি। এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রঃ) -এর অভিমত।
ইমামা তাহাবী (রঃ) - এর মূল্যায়ন
বস্তুত প্রত্যেক উঠা-নামায় তাকবীর বলা প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত এই সমস্ত রিওয়ায়াত আব্দুর রহমান ইবনে আবযা (রাঃ)- এর হাদীস অপেক্ষা অধিক সুস্পষ্ট ও অধিক মুতাওয়াতির। রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর পরে আবু বাকর (রাঃ), উমার (রাঃ) ও আলী (রাঃ) -এরুপ আমল করেছেন। আজ পর্যন্ত এগুলোর উপর মুতাওয়াতিরভাবে আমল হয়ে আসছে। কোন অস্বীকারকারী এগুলোকে অস্বীকার করেনি এবং না কোন প্রত্যাখ্যানকারী এগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তাছাড়া যুক্তিও এর স্বপক্ষে সাক্ষ্য বহন করেছে। আর তা এরুপঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে, সালাতে প্রবেশ করা হয় তাকবীরের মাধ্যমে। তারপর রুকু ও সিজ্দা থেকে বের হওয়াও তাকবীর দ্বারা হয়। অনুরুপভাবে বসা থেকে কিয়ামের দিকে স্থানান্তরও তাকবীরের মাধ্যমে হয়। সুতরাং এগুলো আমরা যা উল্লেখ করেছি যে, এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থার দিকে পরিবর্তনের ব্যাপারে ঐক্যমতভাবে তাকবীর রয়েছে। তাই এরই ভিত্তিতে যুক্তির দাবি হলো যে, কিয়াম থেকে রুকুর দিকে এবং (অনুরুপভাবে) সিজ্দার দিকে অবস্থার পরিবর্তনও তাকবীরের সাথে হওয়া বাঞ্চনীয়। এটা হলো সেই উল্লিখিত বিষয়বস্তুর উপর কিয়াস তথা যুক্তি। এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রঃ) -এর অভিমত।
1335 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَيْمُونٍ، قَالَ: ثنا الْوَلِيدُ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى، أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ، قَالَ: رَأَيْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يُكَبِّرُ فِي الصَّلَاةِ , كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ فَقُلْتُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ , مَا هَذِهِ الصَّلَاةُ؟ فَقَالَ: «إِنَّهَا لَصَلَاةُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» فَكَانَتْ هَذِهِ الْآثَارُ الْمَرْوِيَّةُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي التَّكْبِيرِ , فِي كُلِّ خَفْضٍ وَرَفْعٍ , أَظْهَرَ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى , وَأَكْثَرَ تَوَاتُرًا. وَقَدْ عَمِلَ بِهَا مِنْ بَعْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ وَتَوَاتَرَ بِهَا الْعَمَلُ إِلَى يَوْمِنَا هَذَا لَا يُنْكِرُ ذَلِكَ مُنْكِرٌ , وَلَا يَدْفَعُهُ دَافِعٌ. ثُمَّ النَّظَرُ يَشْهَدُ لَهُ أَيْضًا , وَذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا الدُّخُولَ فِي الصَّلَاةِ , يَكُونُ بِالتَّكْبِيرِ , ثُمَّ الْخُرُوجُ مِنَ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ , يَكُونَانِ أَيْضًا بِتَكْبِيرٍ. وَكَذَلِكَ الْقِيَامُ مِنَ الْقُعُودِ يَكُونُ أَيْضًا بِتَكْبِيرٍ. فَكَانَ مَا ذَكَرْنَا مِنْ تَغَيُّرِ الْأَحْوَالِ مِنْ حَالٍ إِلَى حَالٍ قَدْ أَجْمَعَ أَنَّ فِيهِ تَكْبِيرًا. فَكَانَ النَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ تَغَيُّرُ الْأَحْوَالِ أَيْضًا عَنِ الْقِيَامِ إِلَى الرُّكُوعِ , وَإِلَى السُّجُودِ فِيهِ أَيْضًا تَكْبِيرٌ , قِيَاسًا عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, নামাযে প্রত্যেক উঠা-বসার সময় তাকবীর বলতে হয়। এ ছাড়াও হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ স. যখন নামাযে দাঁড়াতেন তখন তাকবীর বলতেন আবার রুকুতে যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন। রুকু থেকে পিঠ সোজা করে উঠার সময় سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَه বলতেন এবং দাঁড়িয়ে رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলতেন। অতঃপর সিজদাতে যাওয়ার সময় এবং সিজদা থেকে উঠার সময়, আবার দ্বিতীয় সিজদাতে যাওয়ার সময় এবং সিজদা থেকে উঠার সময় তাকবীর বলতেন। এভাবেই পুরো নামায শেষ করতেন। আর দ্বিতীয় রাকাতের বৈঠক শেষে যখন উঠতেন তখনও তাকবীর বলতেন। (বুখারী: ৭৫৩) এ হাদীস থেকে আরো স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, নামাযে প্রত্যেক উঠা-বসায় তাকবীর বলতে হয়। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৭৬)
