শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৯৯২
৯- ' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
৯৯২। রবী` ইব্ন সুলায়মান মুরাদী আল মুয়াযযিন (র.)......যাবারকান (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার কুরায়শের কিছু সংখ্যক লোক জমায়েত ছিলেন। তাদের নিকট দিয়ে যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) অতিক্রম করছিলেন। তাঁরা তাঁর নিকট নিজেদের দুই বালককে 'সালাতুল উস্তা' (মধ্যবর্তী সালাত) সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করার জন্য প্রেরণ করলেন। তিনি বললেন, তা হল যুহরের সালাত। এরপর তাদের মধ্য থেকে দুই ব্যক্তি উঠে তাঁর নিকট গেলেন। তিনি বললেন, তা হল যুহরের সালাত। যেহেতু রাসূলুল্লাহ্((ﷺ)) যুহরের সালাত দ্বিপ্রহরের সময়ে (সূর্য ঢলে যাওয়ার পর) আদায় করতেন। তাঁর পিছনে এক বা দুই কাতার (মুসল্লী) হত লোকেরা তখন তাদের দ্বিপ্রহরের বিশ্রাম এবং ব্যবসায় লিপ্ত থাকত। এই প্রেক্ষিতে আল্লাহ্ তা'আলা আয়াত অবতীর্ণ করলেনঃ حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى "তোমরা সালাতের প্রতি যত্নবান হবে বিশেষত সালাতুল উস্তার (মধ্যবর্তী সালাত) প্রতি” তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ লোকেরা হয় সালাত পরিত্যাগ করা থেকে বিরত থাকবে নয়ত আমি তাদের গৃহ জ্বালিয়ে দিব।
بَابُ الصَّلَاةِ الْوُسْطَى أَيُّ الصَّلَوَاتِ؟
992 - حَدَّثَنَا رَبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُرَادِيُّ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ , عَنِ الزِّبْرِقَانِ قَالَ: إِنَّ رَهْطًا مِنْ قُرَيْشٍ اجْتَمَعُوا , فَمَرَّ بِهِمْ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ , فَأَرْسَلُوا إِلَيْهِ غُلَامَيْنِ لَهُمْ يَسْأَلَانِهِ عَنِ الصَّلَاةِ الْوُسْطَى , فَقَالَ: هِيَ الظُّهْرُ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلَانِ مِنْهُمْ , فَقَالَ: هِيَ الظُّهْرُ , إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَانَ يُصَلِّي الظُّهْرَ بِالْهَجِيرِ فَلَا يَكُونُ وَرَاءَهُ إِلَّا الصَّفُّ وَالصَّفَّانِ , وَالنَّاسُ فِي قَائِلَتِهِمْ , وَتِجَارَتِهِمْ , فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى {حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى} [البقرة: 238] فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيَنْتَهِيَنَّ رِجَالٌ أَوْ لَأُحَرِّقَنَّ بُيُوتَهُمْ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৯৯৩
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
৯৯৩। ফাহাদ (রাহঃ).....যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, নবী((ﷺ)) যুহরের সালাত দ্বিপ্রহরের সময় ('হাজির' অথবা হাজিরাহ শব্দ বলেছেন) আদায় করতেন। তাঁর সাহাবাদের উপরে এই সালাত সর্বাপেক্ষা ভারী (কষ্টকর) হত। এই প্রেক্ষিতে আয়াত অবতীর্ণ হল :
حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى
“তোমরা সালাতের প্রতি যত্নবান হবে; বিশেষত 'সালাতুল উস্তা' (মধ্যবর্তী সালাতের প্রতি) যেহেতু এর পূর্বেও রয়েছে দু'টি সালাত এবং এর পরে দু'টি সালাত।
حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى
“তোমরা সালাতের প্রতি যত্নবান হবে; বিশেষত 'সালাতুল উস্তা' (মধ্যবর্তী সালাতের প্রতি) যেহেতু এর পূর্বেও রয়েছে দু'টি সালাত এবং এর পরে দু'টি সালাত।
993 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حَكِيمٍ، عَنِ الزِّبْرِقَانِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ: " كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي الظُّهْرَ بِالْهَجِيرِ , أَوْ قَالَ: بِالْهَاجِرَةِ , وَكَانَتْ أَثْقَلَ الصَّلَوَاتِ عَلَى أَصْحَابِهِ , فَنَزَلَتْ {حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى} [البقرة: 238] , لِأَنَّ قَبْلَهَا صَلَاتَيْنِ ; وَبَعْدَهَا صَلَاتَيْنِ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৯৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৯৯৭
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
৯৯৪-৯৯৭। আবু বিশর রকী (রাহঃ).....যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তা (সালাতুল উস্তা) হল যুহরের সালাত।
ইব্ন মারযূক (রাহঃ)......যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইউনুস (রাহঃ)......ইব্ন ইয়ারবূ‘ মাখযুমী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ)-কে এটা বলতে শুনেছেন।
ইব্ন মা‘বাদ (রাহঃ)......ইয়াযীদ ইব্ন আব্দুল্লাহ্ ইব্ন কুসাইত (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি খারিজা ইব্ন যায়দ ইব্ন সাবিত (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি, "আমি আমার পিতা (যায়দ রা)-কে এই কথা বলতে শুনেছি।"
ইব্ন মারযূক (রাহঃ)......যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইউনুস (রাহঃ)......ইব্ন ইয়ারবূ‘ মাখযুমী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ)-কে এটা বলতে শুনেছেন।
ইব্ন মা‘বাদ (রাহঃ)......ইয়াযীদ ইব্ন আব্দুল্লাহ্ ইব্ন কুসাইত (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি খারিজা ইব্ন যায়দ ইব্ন সাবিত (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি, "আমি আমার পিতা (যায়দ রা)-কে এই কথা বলতে শুনেছি।"
994 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرِ الرَّقِّيُّ، قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ: «هِيَ الظُّهْرُ»
995 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَفَّانُ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، مِثْلَهُ.
996 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ , عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنِ ابْنِ الْيَرْبُوعِ الْمَخْزُومِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ، يَقُولُ ذَلِكَ.
997 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا الْمُقْرِئُ، عَنْ حَيْوَةَ، وَابْنِ لَهِيعَةَ , قَالَا: أنا أَبُو صَخْرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ يَزِيدَ بْنَ عَبْدِ اللهِ بْنِ قُسَيْطٍ، يَقُولُ: سَمِعْتُ خَارِجَةَ بْنَ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ ذَلِكَ
995 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَفَّانُ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، مِثْلَهُ.
996 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ , عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنِ ابْنِ الْيَرْبُوعِ الْمَخْزُومِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ، يَقُولُ ذَلِكَ.
997 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا الْمُقْرِئُ، عَنْ حَيْوَةَ، وَابْنِ لَهِيعَةَ , قَالَا: أنا أَبُو صَخْرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ يَزِيدَ بْنَ عَبْدِ اللهِ بْنِ قُسَيْطٍ، يَقُولُ: سَمِعْتُ خَارِجَةَ بْنَ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৯৯৮
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
৯৯৮। রাওহ ইব্নুল ফারাজ (রাহঃ)..... আব্দুর রহমান ইব্ন আফলাহ্ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার তাঁর কিছু সংখ্যক সাথী তাঁকে ‘সালাতুল উস্তা' (মধ্যবর্তী সালাত) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য ইবন উমার (রাযিঃ)-এর নিকট পাঠাল। তিনি বললেন, তাদেরকে সালাম দিয়ে বলবে যে, আমরা পারস্পরিক আলোচনা করতাম যে, সেই সালাত যা চাশত (পূর্বাহ্নের)-এর পরে আসে। তিনি বললেন, তারা আমাকে পুনঃ তাঁর নিকট পাঠাল। আমি বললাম, তারা আপনাকে সালাম বলছে এবং বলছে যে, আমাদেরকে স্পষ্টরূপে বলে দিন যে, সেটি কোন্ সালাত। তিনি [ইবন উমার (রাযিঃ)] বললেন, তাদেরকে সালাম দিয়ে বলবে, আমরা পারস্পরিক আলোচনা করতাম যে, এটা সেই সালাত, যাতে রাসূলুল্লাহ্((ﷺ)) কে কা'বা অভিমুখে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল। রাবী বলেন, আমরা আগে থেকেই জানতাম যে, তা ছিল যুহরের সালাত।
বিশ্লেষণ
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি। তাঁরা বলেন, তা হল যুহরের সালাত। তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সেই রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন, যা দিয়ে যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) দলীল দিয়েছেন এবং আমরা তা তাঁরই সূত্রে রবীউল মুআযিনের হাদীসে উল্লেখ করেছি। উপরন্তু তাঁরা এ বিষয়ে ইব্ন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস দ্বারাও প্রমাণ দিয়েছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি।
পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ)-এর হাদীসে নবী (ﷺ) থেকে শুধু তাঁর উক্তি এতটুকু বর্ণিত আছে : “হয় লোকেরা (সালাত পরিত্যাগ করা থেকে) বিরত থাকবে, নতুবা আমি তাদের উপর তাদের গৃহ জ্বালিয়ে দিব”। নবী((ﷺ)) যুহরের সালাত দ্বিপ্রহরের সময় (সূর্য ঢলে যাওয়ার পর) আদায় করতেন এবং তাঁর সঙ্গে মুসল্লীদের এক কাতার বা দুই কাতার থাকত। এই প্রেক্ষিতে আল্লাহ্ তা'আলা এই আয়াত অবতীর্ণ করেন। এর দ্বারা তিনি (যায়দ রা) প্রমাণ পেশ করেছেন যে, তা হল যুহরের সালাত। বস্তুত এটা তাঁর নিজস্ব অভিমত, রাসূলুল্লাহ্((ﷺ)) থেকে তিনি তা রিওয়ায়াত করেননি। আর আমাদের মতে এই আয়াতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর কোন দলীল নেই। যেহেতু এতে সম্ভাবনা রয়েছে যে, এই আয়াত সালাতুল উস্তাসহ অপরাপর সমস্ত সালাতের প্রতি যত্নবান হওয়ার জন্য অবতীর্ণ হয়েছে। তাতে যুহরের সালাতও উদ্দেশ্য; কিন্তু তা যে সালাতুল উস্তা' (মধ্যবর্তী সালাত) তা নয়। সুতরাং এই আয়াত দ্বারা সমস্ত সালাতের হিফাযত করা ওয়াজিব হয়ে গেল। আর তার হিফাযত হলঃ যখন ওই সালাতগুলো পড়া হবে তখন তাতে উপস্থিত হওয়া। নবী((ﷺ)) তাদেরকে সেই সালাত সম্পর্কে যাতে তারা উপস্থিত হওয়ার ব্যাপারে ত্রুটি বা অবহেলা করত বলেছেন: হয় তারা বিরত থাকবে, নয়ত আমি তাদের উপর তাদের গৃহ জ্বালিয়ে দিব। এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, সেই সমস্ত লোকেরা এই সালাতকে বিনষ্ট করা থেকে বিরত থাকবে, যার হিফাযতের নির্দেশ আল্লাহ্ তা'আলা তাদেরকে দিয়েছেন, নতুবা আমি তাদের উপর তাদের গৃহ জ্বালিয়ে দিব। বস্তুত এর কিছুতেই ‘মধ্যবর্তী সালাত' কোনটি, এ ব্যাপারে কোনরূপ প্রমাণ নেই। একদল আলিম বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্((ﷺ))-এর এই উক্তি যুহরের সালাতের ব্যাপারে ছিল না, বরং তা ছিল জুমু'আর সালাতের ব্যাপারে।
বিশ্লেষণ
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি। তাঁরা বলেন, তা হল যুহরের সালাত। তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সেই রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন, যা দিয়ে যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) দলীল দিয়েছেন এবং আমরা তা তাঁরই সূত্রে রবীউল মুআযিনের হাদীসে উল্লেখ করেছি। উপরন্তু তাঁরা এ বিষয়ে ইব্ন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস দ্বারাও প্রমাণ দিয়েছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি।
পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ)-এর হাদীসে নবী (ﷺ) থেকে শুধু তাঁর উক্তি এতটুকু বর্ণিত আছে : “হয় লোকেরা (সালাত পরিত্যাগ করা থেকে) বিরত থাকবে, নতুবা আমি তাদের উপর তাদের গৃহ জ্বালিয়ে দিব”। নবী((ﷺ)) যুহরের সালাত দ্বিপ্রহরের সময় (সূর্য ঢলে যাওয়ার পর) আদায় করতেন এবং তাঁর সঙ্গে মুসল্লীদের এক কাতার বা দুই কাতার থাকত। এই প্রেক্ষিতে আল্লাহ্ তা'আলা এই আয়াত অবতীর্ণ করেন। এর দ্বারা তিনি (যায়দ রা) প্রমাণ পেশ করেছেন যে, তা হল যুহরের সালাত। বস্তুত এটা তাঁর নিজস্ব অভিমত, রাসূলুল্লাহ্((ﷺ)) থেকে তিনি তা রিওয়ায়াত করেননি। আর আমাদের মতে এই আয়াতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর কোন দলীল নেই। যেহেতু এতে সম্ভাবনা রয়েছে যে, এই আয়াত সালাতুল উস্তাসহ অপরাপর সমস্ত সালাতের প্রতি যত্নবান হওয়ার জন্য অবতীর্ণ হয়েছে। তাতে যুহরের সালাতও উদ্দেশ্য; কিন্তু তা যে সালাতুল উস্তা' (মধ্যবর্তী সালাত) তা নয়। সুতরাং এই আয়াত দ্বারা সমস্ত সালাতের হিফাযত করা ওয়াজিব হয়ে গেল। আর তার হিফাযত হলঃ যখন ওই সালাতগুলো পড়া হবে তখন তাতে উপস্থিত হওয়া। নবী((ﷺ)) তাদেরকে সেই সালাত সম্পর্কে যাতে তারা উপস্থিত হওয়ার ব্যাপারে ত্রুটি বা অবহেলা করত বলেছেন: হয় তারা বিরত থাকবে, নয়ত আমি তাদের উপর তাদের গৃহ জ্বালিয়ে দিব। এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, সেই সমস্ত লোকেরা এই সালাতকে বিনষ্ট করা থেকে বিরত থাকবে, যার হিফাযতের নির্দেশ আল্লাহ্ তা'আলা তাদেরকে দিয়েছেন, নতুবা আমি তাদের উপর তাদের গৃহ জ্বালিয়ে দিব। বস্তুত এর কিছুতেই ‘মধ্যবর্তী সালাত' কোনটি, এ ব্যাপারে কোনরূপ প্রমাণ নেই। একদল আলিম বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্((ﷺ))-এর এই উক্তি যুহরের সালাতের ব্যাপারে ছিল না, বরং তা ছিল জুমু'আর সালাতের ব্যাপারে।
998 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ، قَالَ: ثنا مُوسَى بْنُ رَبِيعَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي الْوَلِيدِ الْمَدِينِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَفْلَحَ: أَنَّ نَفَرًا مِنْ أَصْحَابِهِ أَرْسَلُوهُ إِلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ يَسْأَلُهُ عَنِ الصَّلَاةِ الْوُسْطَى , فَقَالَ: " اقْرَأْ عَلَيْهِمُ السَّلَامَ , وَأَخْبِرْهُمْ أَنَّا كُنَّا نَتَحَدَّثُ أَنَّهَا الَّتِي فِي إِثْرِ الضُّحَى. قَالَ: فَرَدُّونِي إِلَيْهِ الثَّانِيَةَ , فَقُلْتُ: يَقْرَءُونَ عَلَيْكَ السَّلَامَ وَيَقُولُونَ بَيِّنِ لَنَا أَيُّ صَلَاةٍ هِيَ؟ فَقَالَ: اقْرَأْ عَلَيْهِمُ السَّلَامَ وَأَخْبِرْهُمْ أَنَّا كُنَّا نَتَحَدَّثُ أَنَّهَا الصَّلَاةُ الَّتِي وُجِّهَ فِيهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكَعْبَةَ قَالَ: وَقَدْ عَرَفْنَاهَا هِيَ الظُّهْرُ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى مَا ذَكَرْنَا , فَقَالُوا هِيَ الظُّهْرُ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا احْتَجَّ بِهِ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ , عَلَى مَا ذَكَرْنَاهُ عَنْهُ , فِي حَدِيثِ رَبِيعٍ الْمُؤَذِّنِ , وَبِمَا رَوَيْنَاهُ فِي ذَلِكَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: أَمَّا حَدِيثُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ , فَلَيْسَ فِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا قَوْلُهُ «لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ أَوْ لَأُحَرِّقَنَّ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ» وَإِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي الظُّهْرَ بِالْهَجِيرِ , وَلَا يَجْتَمِعُ مَعَهُ إِلَّا الصَّفُّ وَالصَّفَّانِ , فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى هَذِهِ الْآيَةَ. فَاسْتَدَلَّ هُوَ بِذَلِكَ عَلَى أَنَّهَا الظُّهْرُ , فَهَذَا قَوْلٌ مِنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ , وَلَمْ يَرْوِهِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَلَيْسَ فِي هَذِهِ الْآيَةِ عِنْدَنَا دَلِيلٌ عَلَى ذَلِكَ , لِأَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ تَكُونَ هَذِهِ الْآيَةُ أُنْزِلَتْ لِلْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّلَوَاتِ كُلِّهَا , الْوُسْطَى وَغَيْرِهَا. فَكَانَتِ الظُّهْرُ فِيمَا أُرِيدَ وَلَيْسَتْ هِيَ الْوُسْطَى , فَوَجَبَ بِهَذِهِ الْآيَةِ الْمُحَافَظَةُ عَلَى الصَّلَوَاتِ كُلِّهَا , وَمِنَ الْمُحَافَظَةِ عَلَيْهَا حُضُورُهَا حَيْثُ تُصَلَّى. فَقَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الصَّلَاةِ الَّتِي يُفَرِّطُونَ فِي حُضُورِهَا «لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ أَوْ لَأُحَرِّقَنَّ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ» يُرِيدُ لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ عَنْ تَضْيِيعِ هَذِهِ الصَّلَاةِ الَّتِي قَدْ أَمَرَهُمُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِالْمُحَافَظَةِ عَلَيْهَا أَوْ لَأُحَرِّقَنَّ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ وَلَيْسَ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى الصَّلَاةِ الْوُسْطَى أَيُّ صَلَاةٍ هِيَ مِنْهُنَّ. وَقَدْ قَالَ قَوْمٌ: إِنَّ قَوْلَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا , لَمْ يَكُنْ لِصَلَاةِ الظُّهْرِ وَإِنَّمَا كَانَ لِصَلَاةِ الْجُمُعَةِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৯৯৯
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
৯৯৯। ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ)...... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) সূত্রে নবী((ﷺ)) থেকে রিওয়ায়াত করেন, তিনি এরূপ কতিপয় লোকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, যারা জুমু'আর সালাত থেকে পিছে থাকে, “আমার ইচ্ছা হয় যে, কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ দেই যে, সে লোকদেরকে সালাত পড়াবে তারপর আমি সেই সমস্ত লোকদের গৃহে অগ্নি সংযোগ করি যারা জুমু'আ থেকে পিছনে থেকে যায়।”
ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর ব্যাখ্যা
এই ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলছেন যে, নবী((ﷺ))-এর ওই উক্তি তাদের ব্যাপারে ছিল, যারা জুমু'আর (সালাত) ছেড়ে দিয়ে নিজেদের গৃহে বসে থাকে। তিনি এই হাদীস দ্বারা জুমু'আ যে 'সালাতুল উস্তা' –এর উপর প্রমাণ পেশ করেননি, বরং তিনি এর পরিপন্থী বক্তব্য প্রদান করেছেন, আর তা হল আসরের সালাত। ইনশাআল্লাহ্ তা'আলা এই বিষয়টি যথাস্থানে আমরা অবতারণা করব।
কিছু সংখ্যক তাবেঈনও এ বিষয়ে ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) যা বলেছেন তার সাথে একমত পোষণ করেছেনঃ
ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর ব্যাখ্যা
এই ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলছেন যে, নবী((ﷺ))-এর ওই উক্তি তাদের ব্যাপারে ছিল, যারা জুমু'আর (সালাত) ছেড়ে দিয়ে নিজেদের গৃহে বসে থাকে। তিনি এই হাদীস দ্বারা জুমু'আ যে 'সালাতুল উস্তা' –এর উপর প্রমাণ পেশ করেননি, বরং তিনি এর পরিপন্থী বক্তব্য প্রদান করেছেন, আর তা হল আসরের সালাত। ইনশাআল্লাহ্ তা'আলা এই বিষয়টি যথাস্থানে আমরা অবতারণা করব।
কিছু সংখ্যক তাবেঈনও এ বিষয়ে ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) যা বলেছেন তার সাথে একমত পোষণ করেছেনঃ
999 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ يُونُسَ , قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللهِ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ لِقَوْمٍ يَتَخَلَّفُونَ عَنِ الْجُمُعَةِ: «لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ رَجُلًا يُصَلِّي بِالنَّاسِ , ثُمَّ أُحَرِّقَ عَلَى قَوْمٍ يَتَخَلَّفُونَ عَنِ الْجُمُعَةِ فِي بُيُوتِهِمْ» فَهَذَا ابْنُ مَسْعُودٍ يُخْبِرُ أَنَّ قَوْلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ إِنَّمَا كَانَ لِلْمُتَخَلِّفِينَ عَنِ الْجُمُعَةِ فِي بُيُوتِهِمْ. وَلَمْ يَسْتَدِلَّ هُوَ بِذَلِكَ عَلَى أَنَّ الْجُمُعَةَ هِيَ الصَّلَاةُ الْوُسْطَى , بَلْ قَالَ بِضِدِّ ذَلِكَ وَأَنَّهَا الْعَصْرُ وَسَنَأْتِي بِذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ وَافَقَ ابْنَ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَلَى مَا قَالَ مِنْ ذَلِكَ غَيْرُهُ مِنَ التَّابِعِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১০০০
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০০০। ইব্ন মারযূক (রাহঃ)...... হাসান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, সেই সালাত যার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্((ﷺ)) সেই সমস্ত লোকদের গৃহ জ্বালিয়ে দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন, তা ছিল জুমুআর সালাত।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকেও পূর্বোক্ত মতের পরিপন্থী বক্তব্য বর্ণিত আছে :
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকেও পূর্বোক্ত মতের পরিপন্থী বক্তব্য বর্ণিত আছে :
1000 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَفَّانُ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: زَعَمَ حُمَيْدٌ وَغَيْرُهُ , عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: «كَانَتِ الصَّلَاةُ الَّتِي أَرَادَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُحَرِّقَ عَلَى أَهْلِهَا , صَلَاةَ الْجُمُعَةِ» وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ خِلَافُ ذَلِكَ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১০০১
আন্তর্জাতিক নং: ১০০২
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০০১-১০০২। ইউনুস ইব্ন আব্দিল আ'লা (রাহঃ).. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্((ﷺ)) বলেছেন, যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ করে বলছি, আমি ইচ্ছা করেছি যে, আমি কোন ব্যক্তিকে কিছু জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের আদেশ করব, তা সংগ্রহ হলে সালাতের আদেশ করব। তারপর এর জন্য আযান দেয়া হবে। পরে এক ব্যক্তিকে আদেশ করব, সে লোকের ইমামতি করবে। আর আমি লোকদের পেছনে থেকে গিয়ে তাদের ঘর জ্বালিয়ে দিব (যারা জামাআতে আসে না)। যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! যদি তাদের কেউ জানত যে, একখানা মাংসল হাড় অথবা দুই টুকরা বকরীর সুন্দর খুর পাবে তাহলে তারা ইশার সালাতে অবশ্যই উপস্থিত হত।
রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ)......আবুয্ যিনাদ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ)......আবুয্ যিনাদ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
1001 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ رَجُلًا بِحَطَبٍ فَيَحْطِبَ , ثُمَّ آمُرَ بِالصَّلَاةِ فَيُؤَذَّنَ لَهَا , ثُمَّ آمُرَ رَجُلًا فَيَؤُمَّ النَّاسَ , ثُمَّ أُخَالِفَ إِلَى رِجَالٍ , فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ , وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ يَعْلَمُ أَحَدُهُمْ أَنَّهُ يَجِدُ عَظْمًا سَمِينًا , أَوْ مِرْمَاتَيْنِ حَسَنَتَيْنِ لَشَهِدَ الْعِشَاءَ»
1002 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، وَمَالِكٌ , عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ
1002 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، وَمَالِكٌ , عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১০০৩
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০০৩। ফাহাদ (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী ((ﷺ)) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মুনাফিকদের উপরে ফজর ও ইশার সালাত অপেক্ষা কোন সালাত ভারী (কষ্টকর) নয়। যদি তারা জানত তাতে কি ছওয়াব রয়েছে তাহলে নিশ্চয়ই তারা তাতে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও উপস্থিত হত। আমার ইচ্ছা হচ্ছে মুয়াযযিনকে ইকামতের নির্দেশ দেই, তারপর কোন ব্যক্তিকে লোকদের ইমামতির জন্য আদেশ করি। এরপর আগুনের একটি শিখা নিয়ে তাদের ঘর জ্বালিয়ে দেই, যারা সালাতের জন্য বের হয় না (আসেনা)।
1003 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ: ثنا أَبِي قَالَ: ثنا الْأَعْمَشُ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَيْسَ صَلَاةٌ أَثْقَلَ عَلَى الْمُنَافِقِينَ مِنْ صَلَاةِ الْفَجْرِ , وَصَلَاةِ الْعِشَاءِ , وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ الْمُؤَذِّنَ فَيُقِيمَ , ثُمَّ آمُرَ رَجُلًا فَيَؤُمَّ النَّاسَ , ثُمَّ آخُذَ شُعَلًا مِنْ نَارٍ , فَأُحَرِّقَ عَلَى مَنْ لَمْ يَخْرُجْ إِلَى الصَّلَاةِ بَيْتَهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১০০৪
আন্তর্জাতিক নং: ১০০৫
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০০৪-১০০৫। ইব্ন মারযূক (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্((ﷺ)) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার তিনি((ﷺ)) ইশার সালাতে বিলম্ব করেন; যার কারণে রাতের এক তৃতীয়াংশ অতিক্রান্ত হয়ে যায় বা এর নিকটবর্তী সময় হয়ে যায়। তারপর তিনি এলেন। অথচ তখন লোকদের মধ্যে কেউ কেউ কাপড় খুলে ঘুমিয়ে পড়েছিল। ফলে তিনি অত্যন্ত রাগান্বিত হলেন। এরপর বললেন, যদি কোন ব্যক্তি লোকদেরকে মাংসবিহীন একটি হাড্ডি বা দুই টুকরা বকরীর খুরের প্রতি দাওয়াত দেয় তাহলে তা তারা গ্রহণ করবে। কিন্তু তারা এই (ইশার) সালাত থেকে পিছে থাকে। আমি চাচ্ছি যে, কোন ব্যক্তিকে লোকদের সালাত পড়াবার নির্দেশ দেই, তারপর আমি এই সমস্ত গৃহবাসীদের পিছনে থেকে গিয়ে যারা এই সালাত (ইশা) থেকে পিছনে থাকে, তা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেই।
ফাহাদ (রাহঃ)...... আসিম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর অভিমত
এই আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলছেন, নবী ((ﷺ)) এই কথা যে সালাতের ব্যাপারে বলেছেন তা হল ইশা (-র সালাত)। কিন্তু এতে ‘মধ্যবর্তী সালাত' হওয়ার উপর কোন দলীল নেই। বরং তিনি নবী((ﷺ)) থেকে এর পরিপন্থী রিওয়ায়াত করেছেন, যা আমরা ইনশাআল্লাহ্ যথাস্থানে বর্ণনা করব। তাবেঈনদের মধ্য থেকে সাঈদ ইব্ন মুসাইয়্যাব (রাহঃ)ও এ বিষয়ে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর সাথে একমত পোষণ করেছেন।
ফাহাদ (রাহঃ)...... আসিম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর অভিমত
এই আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলছেন, নবী ((ﷺ)) এই কথা যে সালাতের ব্যাপারে বলেছেন তা হল ইশা (-র সালাত)। কিন্তু এতে ‘মধ্যবর্তী সালাত' হওয়ার উপর কোন দলীল নেই। বরং তিনি নবী((ﷺ)) থেকে এর পরিপন্থী রিওয়ায়াত করেছেন, যা আমরা ইনশাআল্লাহ্ যথাস্থানে বর্ণনা করব। তাবেঈনদের মধ্য থেকে সাঈদ ইব্ন মুসাইয়্যাব (রাহঃ)ও এ বিষয়ে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর সাথে একমত পোষণ করেছেন।
1004 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَفَّانُ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: أنا عَاصِمُ بْنُ بَهْدَلَةَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ أَخَّرَ عِشَاءَ الْآخِرَةِ , حَتَّى كَانَ ثُلُثُ اللَّيْلِ أَوْ قُرْبَهُ , ثُمَّ جَاءَ وَفِي النَّاسِ رُقَّدٌ وَهُمْ عَرُونَ , فَغَضِبَ غَضَبًا شَدِيدًا , ثُمَّ قَالَ: «لَوْ أَنَّ رَجُلًا نَدَبَ النَّاسَ إِلَى عِرْقٍ أَوْ مِرْمَاتَيْنِ لَأَجَابُوا لَهُ , وَهُمْ يَتَخَلَّفُونَ عَنْ هَذِهِ الصَّلَاةِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ رَجُلًا فَيُصَلِّيَ بِالنَّاسِ ثُمَّ أَتَخَلَّفَ عَلَى أَهْلِ هَذِهِ الدُّورِ الَّذِينَ يَتَخَلَّفُونَ عَنْ هَذِهِ الصَّلَاةِ فَأُضْرِمَهَا عَلَيْهِمْ بِالنِّيرَانِ»
1005 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرٍ، عَنْ عَاصِمٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ فَهَذَا أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يُخْبِرُ أَنَّ الصَّلَاةَ الَّتِي قَالَ فِيهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا الْقَوْلَ , هِيَ الْعِشَاءُ , وَلَمْ يَدُلَّهُ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهَا هِيَ الصَّلَاةُ الْوُسْطَى بَلْ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِلَافُ ذَلِكَ , مِمَّا سَنَذْكُرُهُ فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ وَافَقَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنَ التَّابِعِينَ عَلَى مَا قَالَ مِنْ ذَلِكَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ
1005 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرٍ، عَنْ عَاصِمٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ فَهَذَا أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يُخْبِرُ أَنَّ الصَّلَاةَ الَّتِي قَالَ فِيهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا الْقَوْلَ , هِيَ الْعِشَاءُ , وَلَمْ يَدُلَّهُ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهَا هِيَ الصَّلَاةُ الْوُسْطَى بَلْ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِلَافُ ذَلِكَ , مِمَّا سَنَذْكُرُهُ فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ وَافَقَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنَ التَّابِعِينَ عَلَى مَا قَالَ مِنْ ذَلِكَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১০০৬
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০০৬। ইবন মারযূক (রাযিঃ)...... সাঈদ ইবন মুসাইয়্যাব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, যেই সালাত থেকে পশ্চাত অবলম্বনকারীদের জ্বালিয়ে দিতে রাসূলুল্লাহ্((ﷺ)) ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন তা হল ইশা'র সালাত।
জাবির (রাযিঃ) থেকে (উল্লেখিত) এই সমস্তের পরিপন্থী বিষয় বর্ণিত আছে। আর রাসূলুল্লাহ্((ﷺ))-এর পক্ষ থেকে ওই বক্তব্য সালাতের অবস্থার জন্য ছিল না, বরং অন্য কোন অবস্থার জন্য ছিল :
জাবির (রাযিঃ) থেকে (উল্লেখিত) এই সমস্তের পরিপন্থী বিষয় বর্ণিত আছে। আর রাসূলুল্লাহ্((ﷺ))-এর পক্ষ থেকে ওই বক্তব্য সালাতের অবস্থার জন্য ছিল না, বরং অন্য কোন অবস্থার জন্য ছিল :
1006 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَفَّانُ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، قَالَ: أنا عَطَاءُ الْخُرَاسَانِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، قَالَ: «كَانَتِ الصَّلَاةُ الَّتِي أَرَادَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُحَرِّقَ عَلَى مَنْ تَخَلَّفَ عَنْهَا صَلَاةَ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ» وَقَدْ رُوِيَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ خِلَافُ ذَلِكَ كُلِّهِ وَأَنَّ ذَلِكَ الْقَوْلَ , لَمْ يَكُنْ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحَالِ الصَّلَاةِ , وَإِنَّمَا كَانَ لِحَالٍ أُخْرَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১০০৭
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০০৭। রবী'উল মুয়াযযিন (রাহঃ)...... আবুয্ যুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার জাবির (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করি যে, রাসূলুল্লাহ্((ﷺ)) কি এ কথা বলেছেন : “আমার যদি কোন বাধা না হত, তাহলে আমি কোন এক ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতাম যে, সে লোকদের ইমামতি করবে। তারপর আমি তাদেরকে তাদের ঘরে জ্বালিয়ে দিতাম"! জাবির (রাযিঃ) বলেনঃ তিনি তা জনৈক ব্যক্তির কারণে বলেছেন, যার সম্পর্কে তাঁর কাছে একটি সংবাদ পৌঁছেছিল, তখন বললেন, “যদি সে বিরত না হয় তাহলে আমি তাকে ঘরে জ্বালিয়ে দেব”।
জাবির (রাযিঃ)-এর ব্যাখ্যা
বস্তুত এই জাবির (রাযিঃ) বলছেন, নবী ((ﷺ))-এর পক্ষ থেকে ওই বক্তব্য এরূপ বস্তু থেকে পিছনে থাকার জন্য ছিল, যার থেকে পিছনে থাকাটা বাঞ্ছনীয় নয়। সুতরাং এই রিওয়ায়াতে এবং পূর্ববর্তী রিওয়ায়াতসমূহের কোন কিছুতে 'সালাতুল উস্তা' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটির স্বপক্ষে কোনরূপ প্রমাণ নেই।
যেহেতু আমাদের উল্লিখিত আলোচনার ভিত্তিতে যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত দ্বারা ওই বিষয়ের (সালাতুল উসতার) উপর দলীল পাওয়াটা নাকচ হয়ে গেল, তাই আমরা সেই রিওয়ায়াতের দিকে প্রত্যাবর্তন করেছি যা ইব্ন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। এতেও নবী ((ﷺ)) থেকে কোন কিছু বর্ণিত নেই। বরং তা তাঁর নিজস্ব বক্তব্য। যেহেতু তিনি বলেছেন, “তা হল সেই সালাত যাতে রাসূলুল্লাহ্ ((ﷺ)) কে কা'বার দিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল।" ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে এই সনদ ব্যতীত অন্য সনদে এর পরিপন্থী বর্ণনাও আছেঃ
জাবির (রাযিঃ)-এর ব্যাখ্যা
বস্তুত এই জাবির (রাযিঃ) বলছেন, নবী ((ﷺ))-এর পক্ষ থেকে ওই বক্তব্য এরূপ বস্তু থেকে পিছনে থাকার জন্য ছিল, যার থেকে পিছনে থাকাটা বাঞ্ছনীয় নয়। সুতরাং এই রিওয়ায়াতে এবং পূর্ববর্তী রিওয়ায়াতসমূহের কোন কিছুতে 'সালাতুল উস্তা' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটির স্বপক্ষে কোনরূপ প্রমাণ নেই।
যেহেতু আমাদের উল্লিখিত আলোচনার ভিত্তিতে যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত দ্বারা ওই বিষয়ের (সালাতুল উসতার) উপর দলীল পাওয়াটা নাকচ হয়ে গেল, তাই আমরা সেই রিওয়ায়াতের দিকে প্রত্যাবর্তন করেছি যা ইব্ন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। এতেও নবী ((ﷺ)) থেকে কোন কিছু বর্ণিত নেই। বরং তা তাঁর নিজস্ব বক্তব্য। যেহেতু তিনি বলেছেন, “তা হল সেই সালাত যাতে রাসূলুল্লাহ্ ((ﷺ)) কে কা'বার দিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল।" ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে এই সনদ ব্যতীত অন্য সনদে এর পরিপন্থী বর্ণনাও আছেঃ
1007 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ لَهِيعَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو الزُّبَيْرِ، قَالَ: سَأَلْتُ جَابِرًا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْلَا شَيْءٌ لَأَمَرْتُ رَجُلًا أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ , ثُمَّ حَرَّقْتُ بُيُوتًا , عَلَى مَا فِيهَا» قَالَ جَابِرٌ: إِنَّمَا قَالَ ذَلِكَ مِنْ أَجْلِ رَجُلٍ بَلَغَهُ عَنْهُ شَيْءٌ فَقَالَ: «لَئِنْ لَمْ يَنْتَهِ لَأُحَرِّقَنَّ بَيْتَهُ عَلَى مَا فِيهِ» فَهَذَا جَابِرٌ يُخْبِرُ أَنَّ ذَلِكَ الْقَوْلَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , إِنَّمَا كَانَ لِلتَّخَلُّفِ عَمَّا لَا يَنْبَغِي التَّخَلُّفُ عَنْهُ. فَلَيْسَ فِي هَذَا وَلَا فِي شَيْءٍ مِمَّا تَقَدَّمَهُ الدَّلِيلُ عَلَى الصَّلَاةِ الْوُسْطَى مَا هِيَ. فَلَمَّا انْتَفَى بِمَا ذَكَرْنَا أَنْ يَكُونَ فِيمَا رَوَيْنَا عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ دَلِيلٌ , رَجَعْنَا إِلَى مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ , فَإِذَا لَيْسَ فِيهِ حِكَايَةٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَإِنَّمَا هُوَ مِنْ قَوْلِهِ لِأَنَّهُ قَالَ: هِيَ الصَّلَاةُ الَّتِي وُجِّهَ فِيهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْكَعْبَةِ وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ خِلَافُ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১০০৯
আন্তর্জাতিক নং: ১০১০
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০০৯-১০১০। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ও ইউনুস (রাহঃ)..... সালিম (রাহঃ) তাঁর পিতা (আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, সালাতুল উস্তা হল আসরের সালাত যেহেতু এ বিষয়ে ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতে বৈপরিত্য পাওয়া গেল, তাই এতে প্রমাণিত হয় যে, তাঁর নিকট এ বিষয়ে নবী ((ﷺ)) থেকে কিছুই নেই। অতএব আমরা অন্যদের থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতের দিকে প্রত্যাবর্তন করেছি :
1009 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ وَفَهْدٌ , قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ ح
1010 - وحَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ: ثنا اللَّيْثُ , قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «الصَّلَاةُ الْوُسْطَى صَلَاةُ الْعَصْرِ» فَلَمَّا تَضَادَّ مَا رُوِيَ فِي ذَلِكَ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ دَلَّ هَذَا عَلَى أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ فِيهِ شَيْءٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَرَجَعْنَا إِلَى مَا رُوِيَ عَنْ غَيْرِهِ
1010 - وحَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ: ثنا اللَّيْثُ , قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «الصَّلَاةُ الْوُسْطَى صَلَاةُ الْعَصْرِ» فَلَمَّا تَضَادَّ مَا رُوِيَ فِي ذَلِكَ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ دَلَّ هَذَا عَلَى أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ فِيهِ شَيْءٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَرَجَعْنَا إِلَى مَا رُوِيَ عَنْ غَيْرِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১০১১
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০১১। আবু বাকরা (রাহঃ)..... আবু রাজা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমি ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর পিছনে ফজরের সালাত আদায় করি। তিনি রুকুর পূর্বে (দু'আ) কুনূত পড়লেন এবং বললেন, এটা 'সালাতুল উস্তা'।
1011 - فَإِذَا أَبُو بَكْرَةَ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ , عَنْ عَوْفٍ , عَنْ أَبِي رَجَاءٍ قَالَ: " صَلَّيْتُ خَلْفَ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا الْغَدَاةَ فَقَنَتَ قَبْلَ الرُّكُوعِ , وَقَالَ: «هَذِهِ الصَّلَاةُ الْوُسْطَى»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১০১২
আন্তর্জাতিক নং: ১০১৪
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০১২-১০১৪। আবু বাকরা (রাহঃ)..... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তা হল ফজরের সালাত।
ইব্ন মারযূক (রাহঃ)..... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ)..... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইব্ন মারযূক (রাহঃ)..... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ)..... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
1012 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا قُرَّةُ، قَالَ: ثنا أَبُو رَجَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: «هِيَ صَلَاةُ الصُّبْحِ»
1013 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَفَّانُ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مِثْلَهُ
1014 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ: ثنا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مِثْلَهُ
1013 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَفَّانُ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مِثْلَهُ
1014 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ: ثنا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১০১৫
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০১৫। আবু বাকরা (রাহঃ)...... আবুল আলিয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমি আবু মুসা আশ্'আরী (রাযিঃ)-এর পিছনে ফজরের সালাত আদায় করি। আমার পার্শ্বে (দাঁড়ানো) নবী ((ﷺ))-এর এক সাহাবী বললেন, এটা হল 'সালাতুল উস্তা' (মধ্যবর্তী সালাত)।
ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) এ বিষয়ে যে মত গ্রহণ করেছেন এর স্বপক্ষে তিনি নিম্নোক্ত আয়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেনঃ
حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ
“তোমরা সালাতের প্রতি যত্নবান হবে বিশেষত 'সালাতুল উস্তা' (মধ্যবর্তী সালাতের প্রতি) এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াবে।” তাঁর মতে এই কুনূত হল ফজরের সালাতের কুনূত। তাই তিনি এর দ্বারা সাব্যস্ত করেছেন যে, মধ্যবর্তী সালাত হল সেটা, যার মধ্যে তাঁর মতে কুনূত রয়েছে।
এই আয়াত অবতরণের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর বক্তব্যের বিরোধিতা করা হয়েছেঃ
ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) এ বিষয়ে যে মত গ্রহণ করেছেন এর স্বপক্ষে তিনি নিম্নোক্ত আয়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেনঃ
حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ
“তোমরা সালাতের প্রতি যত্নবান হবে বিশেষত 'সালাতুল উস্তা' (মধ্যবর্তী সালাতের প্রতি) এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াবে।” তাঁর মতে এই কুনূত হল ফজরের সালাতের কুনূত। তাই তিনি এর দ্বারা সাব্যস্ত করেছেন যে, মধ্যবর্তী সালাত হল সেটা, যার মধ্যে তাঁর মতে কুনূত রয়েছে।
এই আয়াত অবতরণের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর বক্তব্যের বিরোধিতা করা হয়েছেঃ
1015 - حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، قَالَ: صَلَّيْتُ خَلْفَ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ صَلَاةَ الصُّبْحِ , فَقَالَ رَجُلٌ إِلَى جَنْبِي مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَذِهِ الصَّلَاةُ الْوُسْطَى» فَكَانَ مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مِنْ هَذَا هُوَ قَوْلُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ: {حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ} [البقرة: 238] فَكَانَ ذَلِكَ الْقُنُوتُ عِنْدَهُ هُوَ قُنُوتُ الصُّبْحِ فَجَعَلَ بِذَلِكَ الصَّلَاةَ الْوُسْطَى هِيَ الصَّلَاةُ الَّتِي فِيهَا الْقُنُوتُ عِنْدَهُ. وَقَدْ خُولِفَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي هَذِهِ الْآيَةِ , فِيمَ نَزَلَتْ؟

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১০১৬
আন্তর্জাতিক নং: ১০১৭
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০১৬-১০১৭। আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ)..... যায়দ ইব্ন আরকাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা সালাতে কথা-বার্তা বলতাম। অবশেষে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ
حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ
‘তোমরা সালাতের প্রতি যত্নবান হবে বিশেষত 'সালাতুল উস্তা' (মধ্যবর্তী সালাত) এর প্রতি এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াবে। এরপর আমাদেরকে চুপ থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
হুসাইন ইব্ন নসর (রাহঃ) বলেন, আমি ইয়াযীদ ইবন হারূন (রাহঃ)-কে অনুরূপ উল্লেখ করতে শুনেছি।
حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ
‘তোমরা সালাতের প্রতি যত্নবান হবে বিশেষত 'সালাতুল উস্তা' (মধ্যবর্তী সালাত) এর প্রতি এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াবে। এরপর আমাদেরকে চুপ থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
হুসাইন ইব্ন নসর (রাহঃ) বলেন, আমি ইয়াযীদ ইবন হারূন (রাহঃ)-কে অনুরূপ উল্লেখ করতে শুনেছি।
1016 - فَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ: أنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ شُبَيْلٍ , عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ , قَالَ: " كُنَّا نَتَكَلَّمُ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى نَزَلَتْ {حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ} [البقرة: 238] فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ "
1017 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ يَزِيدَ بْنَ هَارُونَ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ
1017 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ يَزِيدَ بْنَ هَارُونَ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১০১৮
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০১৮। আবু বিশর রকী‘ (রাহঃ)......সুফইয়ান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে,وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ আয়াত-এর ব্যাপারে মনসুর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, লোকেরা (সাহাবীগণ) সালাতের মাঝে কথা-বার্তা বলতেন। অবশেষে এই আয়াত অবতীর্ণ হয় : 'কুনূত' নিশ্চুপ থাকা এবং আনুগত্যের অর্থেও ব্যবহৃত হয়।
1018 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ، قَالَ: ثنا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ سُفْيَانَ، فِي هَذِهِ الْآيَةِ {وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ} [البقرة: 238] فَذَكَرَ عَنْ مَنْصُورٍ , عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: «كَانُوا يَتَكَلَّمُونَ فِي الصَّلَاةِ , حَتَّى نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ فَالْقُنُوتُ السُّكُوتُ , وَالْقُنُوتُ الطَّاعَةُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১০১৯
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০১৯। আবু বিশর রকী (রাহঃ)......মুজাহিদ (রাহঃ) এই আয়াত وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ (“এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াবে”) প্রসঙ্গে বলেন, 'কুনূত' হল রুকূ, সিজ্দা, বাহু নিচু রাখা এবং আল্লাহর ভয়ে দৃষ্টি অবনত করা।
1019 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ، قَالَ: ثنا شُجَاعٌ، عَنْ لَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، فِي هَذِهِ الْآيَةِ {وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ} [البقرة: 238] قَالَ: «مِنَ الْقُنُوتِ الرُّكُوعُ وَالسُّجُودُ وَخَفْضُ الْجَنَاحِ , وَغَضُّ الْبَصَرِ مِنْ رَهْبَةِ اللهِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১০২০
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০২০। ফাহাদ (রাহঃ).....আমের আশ্শা‘বী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যদি কুনূতের সেই মর্ম হত যা তোমরা বলছ তাহলে নবী((ﷺ))-এর জন্য তা থেকে কোন অংশ থাকত না। কুনূতের মর্ম হল আনুগত্য। অর্থাৎ وَمَنْ يَقْنُتْ مِنْكُنَّ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ “এবং যে ব্যক্তি তোমাদের (আযওয়াজে মুতাহ্ হারাত) থেকে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল-এর আনুগত্য করে।”
1020 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، قَالَ: " لَوْ كَانَ الْقُنُوتُ كَمَا تَقُولُونَ , لَمْ يَكُنْ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُ شَيْءٌ , إِنَّمَا الْقُنُوتُ الطَّاعَةُ يَعْنِي {وَمَنْ يَقْنُتْ مِنْكُنَّ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ} [الأحزاب: 31] "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১০২১
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০২১। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ).....আবুল আশহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার জাবির ইব্ন যায়িদ (রাহঃ)-কে ‘কুনূত’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, সমস্ত সালাতই কুনূত। তোমরা যা করছ আমি জানি না তা কি।
ব্যাখ্যা
ইনি হলেন যায়দ ইব্ন আরকাম (রাযিঃ) এবং তাঁর সাথে সেই সমস্ত মনীষীগণ যাদের উল্লেখ আমরা করেছি, তাঁরা সকলে বলছেন : এই আয়াতে তাদেরকে যেই কুনূতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তা হল সেই কথাবার্তা থেকে নিশ্চুপ থাকা যা তারা সালাতের মাঝে করতেন। সুতরাং এই আয়াতে উল্লিখিত কুনূত দ্বারা ফজরের সালাতের কুনূতের উপর দলীল হওয়ার সম্ভাবনা নাকচ হয়ে গেল। কতিপয় লোক এই কথাও অস্বীকার করেছেন, ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) ফজরের সালাতে কুনূত পড়তেন। আমরা তা ‘ফজরের সালাতে কুনূত' অনুচ্ছেদে এর সনদ সহকারে রিওয়ায়াত করেছি। যদি এই আয়াতে উল্লিখিত কুনূত ফজরের সালাতের কুনূত হত তাহলে তিনি তা ছেড়ে দিতেন না। কেননা কুরআন শরীফ-এর নির্দেশ দিয়েছে।
ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে এ বিষয়ে তাঁর নিজস্ব মতামতের স্বপক্ষে অন্য দলীলও বর্ণিত আছেঃ
ব্যাখ্যা
ইনি হলেন যায়দ ইব্ন আরকাম (রাযিঃ) এবং তাঁর সাথে সেই সমস্ত মনীষীগণ যাদের উল্লেখ আমরা করেছি, তাঁরা সকলে বলছেন : এই আয়াতে তাদেরকে যেই কুনূতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তা হল সেই কথাবার্তা থেকে নিশ্চুপ থাকা যা তারা সালাতের মাঝে করতেন। সুতরাং এই আয়াতে উল্লিখিত কুনূত দ্বারা ফজরের সালাতের কুনূতের উপর দলীল হওয়ার সম্ভাবনা নাকচ হয়ে গেল। কতিপয় লোক এই কথাও অস্বীকার করেছেন, ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) ফজরের সালাতে কুনূত পড়তেন। আমরা তা ‘ফজরের সালাতে কুনূত' অনুচ্ছেদে এর সনদ সহকারে রিওয়ায়াত করেছি। যদি এই আয়াতে উল্লিখিত কুনূত ফজরের সালাতের কুনূত হত তাহলে তিনি তা ছেড়ে দিতেন না। কেননা কুরআন শরীফ-এর নির্দেশ দিয়েছে।
ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে এ বিষয়ে তাঁর নিজস্ব মতামতের স্বপক্ষে অন্য দলীলও বর্ণিত আছেঃ
1021 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَشْهَبِ، قَالَ: سَأَلْتُ جَابِرَ بْنَ زَيْدٍ عَنِ الْقُنُوتِ، فَقَالَ: «الصَّلَاةُ كُلُّهَا قُنُوتٌ، أَمَّا الَّذِي تَصْنَعُونَ فَلَا أَدْرِي مَا هُوَ» فَهَذَا زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ وَمَنْ ذَكَرْنَا مَعَهُ , يُخْبِرُونَ أَنَّ ذَلِكَ الْقُنُوتَ الَّذِي أُمِرَ بِهِ فِي هَذِهِ الْآيَةِ , هُوَ السُّكُوتُ عَنِ الْكَلَامِ الَّذِي كَانُوا يَتَكَلَّمُونَ بِهِ فِي الصَّلَاةِ. فَيَخْرُجُ بِذَلِكَ أَنْ يَكُونَ فِي هَذِهِ الْآيَةِ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ الْقُنُوتَ الْمَذْكُورَ فِيهَا , هُوَ الْقُنُوتُ الْمَفْعُولُ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ وَقَدْ أَنْكَرَ قَوْمٌ أَنْ يَكُونَ ابْنُ عَبَّاسٍ كَانَ يَقْنُتُ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ وَقَدْ رَوَيْنَا ذَلِكَ بِإِسْنَادِهِ فِي بَابِ الْقُنُوتِ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ. فَلَوْ كَانَ هَذَا الْقُنُوتُ الْمَذْكُورُ فِي هَذِهِ الْآيَةِ , هُوَ الْقُنُوتُ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ إِذًا لَمَا تَرَكَهُ , إِذَا كَانَ قَدْ أَمَرَ بِهِ الْكِتَابُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ الَّذِي ذَهَبَ إِلَيْهِ فِي ذَلِكَ , مَعْنًى آخَرُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান