শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৮০০
আন্তর্জাতিক নং: ৮০৫
১- আযানের পদ্ধতি
৮০০-৮০৫। আলী ইব্ন মা’বাদ (রাহঃ), আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) ও আবু বাকরা (রাহঃ)..... আবু মাহযূরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সেইভাবে আযান শিহ্মা দিয়েছেন, যেরূপ তোমরা এখন আযান দিচ্ছঃ
রাবী রাওহ (রাহঃ) তাঁর হাদীসে বলেন, আমাকে উসমান (রাহঃ) আব্দুল মালিক ইব্ন মাহযূরা (রাহঃ)-এর মাতা থেকে এই সমস্ত খবর দিয়েছেন আর তিনি তা আবু মাহযূরা (রাযিঃ) থেকে শুনেছেন। আবু আসিম রাবী (রাহঃ) তাঁর হাদীসে বলেন, আমাকে এই সমস্ত খবর উসমান ইব্ন সাইব (রাহঃ) তার পিতা এবং আব্দুল মালিক ইব্ন আবী মাহযূরা (রাহঃ) এর মাতা থেকে দিয়েছেন যে, তাঁরা উভয়ে তা আবু মাহযূরা (রাযিঃ) থেকে শুনেছেন।
আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) ও আলী ইব্ন মা’বাদ (রাহঃ)..... আব্দুল্লাহ ইব্ন মুহাইরীয (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি ইয়াতীম ছিলেন এবং আবু মাহযূরা (রাযিঃ) এর তত্ত্বাবধানে লালিত হয়েছেন। তিনি বলেন, আবু মাহযূরা (রাযিঃ) আমাকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে বলেছেন, উঠ, সালাতের জন্য আযান দাও। আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সম্মুখে দাঁড়ালাম। তিনি স্বয়ং আমাকে আযান (শব্দগুলো) শিহ্মা দিলেন। তারপর তিনি সেই আযানের অনুরূপ উল্লেখ করেছেন, যা প্রথমোক্ত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে।
ইমাম তাহাবীর অভিমত
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, আযান এরূপই দেয়া হবে।পহ্মান্তরে অপরাপর আলিমগণ (আযানের) দুই স্থানে তাঁদের বিরোধিতা করেছেনঃ প্রথমটি আযানের শুরুতে। তারা বলেন, আযানের শুরুতে চারবার (*) (আল্লাহু আকবার) বলা হবে। তাঁরা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেনঃ
রাবী রাওহ (রাহঃ) তাঁর হাদীসে বলেন, আমাকে উসমান (রাহঃ) আব্দুল মালিক ইব্ন মাহযূরা (রাহঃ)-এর মাতা থেকে এই সমস্ত খবর দিয়েছেন আর তিনি তা আবু মাহযূরা (রাযিঃ) থেকে শুনেছেন। আবু আসিম রাবী (রাহঃ) তাঁর হাদীসে বলেন, আমাকে এই সমস্ত খবর উসমান ইব্ন সাইব (রাহঃ) তার পিতা এবং আব্দুল মালিক ইব্ন আবী মাহযূরা (রাহঃ) এর মাতা থেকে দিয়েছেন যে, তাঁরা উভয়ে তা আবু মাহযূরা (রাযিঃ) থেকে শুনেছেন।
আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) ও আলী ইব্ন মা’বাদ (রাহঃ)..... আব্দুল্লাহ ইব্ন মুহাইরীয (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি ইয়াতীম ছিলেন এবং আবু মাহযূরা (রাযিঃ) এর তত্ত্বাবধানে লালিত হয়েছেন। তিনি বলেন, আবু মাহযূরা (রাযিঃ) আমাকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে বলেছেন, উঠ, সালাতের জন্য আযান দাও। আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সম্মুখে দাঁড়ালাম। তিনি স্বয়ং আমাকে আযান (শব্দগুলো) শিহ্মা দিলেন। তারপর তিনি সেই আযানের অনুরূপ উল্লেখ করেছেন, যা প্রথমোক্ত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে।
ইমাম তাহাবীর অভিমত
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, আযান এরূপই দেয়া হবে।পহ্মান্তরে অপরাপর আলিমগণ (আযানের) দুই স্থানে তাঁদের বিরোধিতা করেছেনঃ প্রথমটি আযানের শুরুতে। তারা বলেন, আযানের শুরুতে চারবার (*) (আল্লাহু আকবার) বলা হবে। তাঁরা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেনঃ
كِتَابُ الصَّلَاةِ : بَابُ الْأَذَانِ كَيْفَ هُوَ؟
800 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , وَعَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَا: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ , ح.
801 - 802 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ قَالَ: ثنا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عُثْمَانُ بْنُ السَّائِبِ قَالَ أَبُو عَاصِمٍ فِي حَدِيثِهِ , قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي وَأُمُّ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ , يَعْنِي عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ قَالَ رَوْحٌ فِي حَدِيثِهِ عَنْ أُمِّ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ , عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ قَالَ: «عَلَّمَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَذَانَ كَمَا تُؤَذِّنُونَ الْآنَ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ»
803 - وَقَالَ رَوْحٌ فِي حَدِيثِهِ: أَخْبَرَنِي عُثْمَانُ هَذَا الْخَبَرَ كُلَّهُ عَنْ أُمِّ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ أَنَّهَا سَمِعَتْ ذَلِكَ مِنْ أَبِي مَحْذُورَةَ.
804 - وَقَالَ أَبُو عَاصِمٍ فِي حَدِيثِهِ قَالَ: وَأَخْبَرَنِي هَذَا الْخَبَرَ كُلَّهُ عُثْمَانُ بْنُ السَّائِبِ , عَنْ أَبِيهِ , وَعَنْ أُمِّ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ أَنَّهُمَا سَمِعَا ذَلِكَ مِنْ أَبِي مَحْذُورَةَ.
805 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَا: ثنا رَوْحٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ مُحَيْرِيزٍ، حَدَّثَهُ , وَكَانَ، يَتِيمًا فِي حِجْرِ أَبِي مَحْذُورَةَ , قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو مَحْذُورَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَهُ قُمْ فَأَذِّنْ بِالصَّلَاةِ. فَقُمْتُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَأَلْقَى عَلَيَّ التَّأْذِينَ هُوَ بِنَفْسِهِ , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَ التَّأْذِينِ الَّذِي فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا , فَقَالُوا: هَكَذَا يَنْبَغِي أَنْ يُؤَذَّنَ. وَخَالَفَهُمْ آخَرُونَ فِي مَوْضِعَيْنِ. أَحَدُهُمَا: ابْتِدَاءُ الْأَذَانِ فَقَالُوا يَنْبَغِي أَنْ يُقَالَ: فِي أَوَّلِ الْأَذَانِ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ.
801 - 802 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ قَالَ: ثنا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عُثْمَانُ بْنُ السَّائِبِ قَالَ أَبُو عَاصِمٍ فِي حَدِيثِهِ , قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي وَأُمُّ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ , يَعْنِي عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ قَالَ رَوْحٌ فِي حَدِيثِهِ عَنْ أُمِّ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ , عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ قَالَ: «عَلَّمَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَذَانَ كَمَا تُؤَذِّنُونَ الْآنَ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ»
803 - وَقَالَ رَوْحٌ فِي حَدِيثِهِ: أَخْبَرَنِي عُثْمَانُ هَذَا الْخَبَرَ كُلَّهُ عَنْ أُمِّ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ أَنَّهَا سَمِعَتْ ذَلِكَ مِنْ أَبِي مَحْذُورَةَ.
804 - وَقَالَ أَبُو عَاصِمٍ فِي حَدِيثِهِ قَالَ: وَأَخْبَرَنِي هَذَا الْخَبَرَ كُلَّهُ عُثْمَانُ بْنُ السَّائِبِ , عَنْ أَبِيهِ , وَعَنْ أُمِّ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ أَنَّهُمَا سَمِعَا ذَلِكَ مِنْ أَبِي مَحْذُورَةَ.
805 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَا: ثنا رَوْحٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ مُحَيْرِيزٍ، حَدَّثَهُ , وَكَانَ، يَتِيمًا فِي حِجْرِ أَبِي مَحْذُورَةَ , قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو مَحْذُورَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَهُ قُمْ فَأَذِّنْ بِالصَّلَاةِ. فَقُمْتُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَأَلْقَى عَلَيَّ التَّأْذِينَ هُوَ بِنَفْسِهِ , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَ التَّأْذِينِ الَّذِي فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا , فَقَالُوا: هَكَذَا يَنْبَغِي أَنْ يُؤَذَّنَ. وَخَالَفَهُمْ آخَرُونَ فِي مَوْضِعَيْنِ. أَحَدُهُمَا: ابْتِدَاءُ الْأَذَانِ فَقَالُوا يَنْبَغِي أَنْ يُقَالَ: فِي أَوَّلِ الْأَذَانِ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৮০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৮০৯
আযানের পদ্ধতি
৮০৬-৮০৯। আবু বাকরা (রাহঃ) ও আলী ইব্ন আব্দির রহমান (রাহঃ)..... বর্ণনা করেন যে, আবু মাহযূরা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) তাঁকে উনিশটি বাক্য বিশিষ্ট আযান শিহ্মা দিয়েছেন।চারবার (*) (আল্লাহু আকবার)।তারপর অবশিষ্ট আযান অনুরূপ উল্লেখ করেছেন, যেমনটি প্রথমোক্ত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে।
আলী ইব্ন বা’বাদ (রাহঃ), মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ও ইব্ন আবু দাউদ (রাহঃ)..... হাম্মাম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইমাম তাহাবীর যুক্তিভিত্তিক দলীল
বস্তুত এই হাদীস ব্যক্ত হয়েছে যে, তিনি আযানের শুরুতে ( اللهُ أَكْبَرُ) (আল্লাহু আকবার) চারবার বলতেন।আমাদের (ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী র) মতে যুক্তির নিরিখে এই অভিমতটি অধিকতর বিশুদ্ধ।যেহেতু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, আযানের কতেক বাক্য দুস্থানে আসে এবং কতেক বাক্য শুধু এক স্থানে আসে, পুনঃ আসে না।যে বাক্যগুলো শুধু এক স্থানে আসে, পুনঃ আসে না তা হচ্ছে, حي على الصلاة এবং حي على الفلاح এর প্রত্যেকটি দু’বার বলা হয়।শাহাদাতের বাক্য দু’স্থানে আসে, আযানের শুরুতে ও শেষে।শুরুতে দু’বার আসে, বলা হয়ঃ
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ দু’বার অতঃপর শেষে একবার لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ বলা হয়, তা দু’বার আসে না।সুতরাং আযানের যে বাক্যগুলো দু’বার আসে তা দ্বিতীয়বার প্রথমবার অপেহ্মা অর্ধেক হয়ে আসে।আল্লাহু আকবার’ও দু’স্থানে আসে, এবং حي على الفلاح -এর পরে।আর এটা তাদের ঐকমত্য যে, حي على الفلاح -এর পরে আল্লাহু আকবার’ দু’বার বলা হবে।অতএব এই যুক্তি, মোতাবিক যা আমরা বর্ণনা
করেছি শুরুতে দ্বিগুণ হওয়া বাঞ্ছনীয়।যেমনটি শাহাদাতের বাক্য যা আমরা উল্লেখ করেছি।তাহলে শুরুর তাকবীর (আল্লাহু আকবার) শেষের তাকবীর অপেহ্মা দ্বিগুণ হওয়া বাঞ্ছনীয়।তাই যখন শেষে এ বাক্যগুলো আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার দু’বার বলা হয়, তাহলে শুরুতে এর দ্বিগুণ চারবার اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ হওয়াটা বাঞ্ছনীয়।আর এটাই হচ্ছে বিশুদ্ধ যুক্তি এবং ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর এটাই অভিমত।তবে ইমাম আবু ইউসূফ (রাহঃ) থেকে এ বিষয়ে প্রতমোক্ত অভিমতের অনুরূপও বর্ণিত আছে।দ্বিতীয় স্থান যাতে তাঁরা বিরোধ করেছেন তা হচ্ছে (আযানে) ‘তারজী’ (ফিরেয়ে বলা) করা।একদল ‘তারজী’র পহ্মে মতামত ব্যক্ত করেছেন, অপর দল তা ছেড়ে দিয়েছেন।এ বিষয়ে তাঁদের প্রমাণ হচ্ছে নিম্নরূপঃ
আলী ইব্ন বা’বাদ (রাহঃ), মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ও ইব্ন আবু দাউদ (রাহঃ)..... হাম্মাম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইমাম তাহাবীর যুক্তিভিত্তিক দলীল
বস্তুত এই হাদীস ব্যক্ত হয়েছে যে, তিনি আযানের শুরুতে ( اللهُ أَكْبَرُ) (আল্লাহু আকবার) চারবার বলতেন।আমাদের (ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী র) মতে যুক্তির নিরিখে এই অভিমতটি অধিকতর বিশুদ্ধ।যেহেতু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, আযানের কতেক বাক্য দুস্থানে আসে এবং কতেক বাক্য শুধু এক স্থানে আসে, পুনঃ আসে না।যে বাক্যগুলো শুধু এক স্থানে আসে, পুনঃ আসে না তা হচ্ছে, حي على الصلاة এবং حي على الفلاح এর প্রত্যেকটি দু’বার বলা হয়।শাহাদাতের বাক্য দু’স্থানে আসে, আযানের শুরুতে ও শেষে।শুরুতে দু’বার আসে, বলা হয়ঃ
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ দু’বার অতঃপর শেষে একবার لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ বলা হয়, তা দু’বার আসে না।সুতরাং আযানের যে বাক্যগুলো দু’বার আসে তা দ্বিতীয়বার প্রথমবার অপেহ্মা অর্ধেক হয়ে আসে।আল্লাহু আকবার’ও দু’স্থানে আসে, এবং حي على الفلاح -এর পরে।আর এটা তাদের ঐকমত্য যে, حي على الفلاح -এর পরে আল্লাহু আকবার’ দু’বার বলা হবে।অতএব এই যুক্তি, মোতাবিক যা আমরা বর্ণনা
করেছি শুরুতে দ্বিগুণ হওয়া বাঞ্ছনীয়।যেমনটি শাহাদাতের বাক্য যা আমরা উল্লেখ করেছি।তাহলে শুরুর তাকবীর (আল্লাহু আকবার) শেষের তাকবীর অপেহ্মা দ্বিগুণ হওয়া বাঞ্ছনীয়।তাই যখন শেষে এ বাক্যগুলো আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার দু’বার বলা হয়, তাহলে শুরুতে এর দ্বিগুণ চারবার اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ হওয়াটা বাঞ্ছনীয়।আর এটাই হচ্ছে বিশুদ্ধ যুক্তি এবং ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর এটাই অভিমত।তবে ইমাম আবু ইউসূফ (রাহঃ) থেকে এ বিষয়ে প্রতমোক্ত অভিমতের অনুরূপও বর্ণিত আছে।দ্বিতীয় স্থান যাতে তাঁরা বিরোধ করেছেন তা হচ্ছে (আযানে) ‘তারজী’ (ফিরেয়ে বলা) করা।একদল ‘তারজী’র পহ্মে মতামত ব্যক্ত করেছেন, অপর দল তা ছেড়ে দিয়েছেন।এ বিষয়ে তাঁদের প্রমাণ হচ্ছে নিম্নরূপঃ
806 - وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , وَعَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , وَاللَّفْظُ لِأَبِي بَكْرَةَ قَالَا: ثنا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ الصَّفَّارُ قَالَ: ثنا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى ,قَالَ: ثنا عَامِرٌ الْأَحْوَلُ قَالَ: حَدَّثَنِي مَكْحُولٌ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ مُحَيْرِيزٍ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَّمَهُ الْأَذَانَ تِسْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ ثُمَّ ذَكَرَ بَقِيَّةَ الْأَذَانِ , عَلَى مَا فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ ".
807 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا مُوسَى بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا ابْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، ح.
808 - وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ الْعَوَقِيُّ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، ح. [ص:131]
809 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، وَأَبُو عُمَرَ الْحَوْضِيُّ , قَالَا: ثنا هَمَّامٌ، ثُمَّ ذَكَرُوا مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ. فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ يَقُولُ فِي أَوَّلِ الْأَذَانِ , اللهُ أَكْبَرُ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ. فَكَانَ هَذَا الْقَوْلُ عِنْدَنَا أَصَحَّ الْقَوْلَيْنِ فِي النَّظَرِ , لِأَنَّا رَأَيْنَا الْأَذَانَ مِنْهُ مَا يُرَدَّدُ فِي مَوْضِعَيْنِ , وَمِنْهُ مَا لَا يُرَدَّدُ إِنَّمَا يُذْكَرُ فِي مَوْضِعٍ وَاحِدٍ. فَأَمَّا مَا يُذْكَرُ فِي مَوْضِعٍ وَاحِدٍ وَلَا يُكَرَّرُ , فَالصَّلَاةُ وَالْفَلَاحُ , فَذَلِكَ يُنَادَى بِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُ مَرَّتَيْنِ. وَالشَّهَادَةُ تُذْكَرُ فِي مَوْضِعَيْنِ , أَوَّلَ الْأَذَانِ وَفِي آخِرِهِ فَيُثَنَّى فِي أَوَّلِهِ فَيُقَالُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ مَرَّتَيْنِ ثُمَّ , يُفْرَدُ فِي آخِرِهِ فَيُقَالُ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَلَا يُثَنَّى ذَلِكَ. فَكَانَ مَا ثُنِّيَ مِنَ الْأَذَانِ إِنَّمَا ثُنِّيَ عَلَى نِصْفِ مَا هُوَ عَلَيْهِ فِي الْأَوَّلِ , وَكَانَ التَّكْبِيرُ يُذْكَرُ فِي مَوْضِعَيْنِ , فِي أَوَّلِ الْأَذَانِ , وَبَعْدَ الْفَلَاحِ. فَأَجْمَعُوا أَنَّهُ بَعْدَ الْفَلَاحِ يَقُولُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ. فَالنَّظَرُ عَلَى مَا وَصَفْنَا أَنْ يَكُونَ مَا اخْتُلِفَ فِيهِ , مِمَّا يُبْتَدَأُ بِهِ الْأَذَانُ مِنَ التَّكْبِيرِ أَنْ يَكُونَ مِثْلَ مَا يُثَنَّى بِهِ قِيَاسًا وَنَظَرًا عَلَى مَا بَيَّنَّا مِنَ الشَّهَادَةِ أَنَّ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ فَيَكُونُ مَا يُبْتَدَأُ بِهِ الْأَذَانُ مِنَ التَّكْبِيرِ عَلَى ضِعْفِ مَا يُثَنَّى فِيهِ مِنَ التَّكْبِيرِ. فَإِذَا كَانَ الَّذِي يُثَنَّى هُوَ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ , كَانَ الَّذِي يُبْتَدَأُ بِهِ هُوَ ضِعْفُهُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ الصَّحِيحُ. وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ وَأَبِي يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُ اللهُ. غَيْرَ أَنَّ أَبَا يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ قَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَيْضًا فِي ذَلِكَ مِثْلُ الْقَوْلِ الْأَوَّلِ. وَالْمَوْضِعُ الْآخَرُ الَّذِي اخْتَلَفُوا فِيهِ مِنْهُ هُوَ التَّرْجِيعُ , فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى التَّرْجِيعِ , وَتَرَكَهُ آخَرُونَ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا
807 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا مُوسَى بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا ابْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، ح.
808 - وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ الْعَوَقِيُّ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، ح. [ص:131]
809 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، وَأَبُو عُمَرَ الْحَوْضِيُّ , قَالَا: ثنا هَمَّامٌ، ثُمَّ ذَكَرُوا مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ. فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ يَقُولُ فِي أَوَّلِ الْأَذَانِ , اللهُ أَكْبَرُ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ. فَكَانَ هَذَا الْقَوْلُ عِنْدَنَا أَصَحَّ الْقَوْلَيْنِ فِي النَّظَرِ , لِأَنَّا رَأَيْنَا الْأَذَانَ مِنْهُ مَا يُرَدَّدُ فِي مَوْضِعَيْنِ , وَمِنْهُ مَا لَا يُرَدَّدُ إِنَّمَا يُذْكَرُ فِي مَوْضِعٍ وَاحِدٍ. فَأَمَّا مَا يُذْكَرُ فِي مَوْضِعٍ وَاحِدٍ وَلَا يُكَرَّرُ , فَالصَّلَاةُ وَالْفَلَاحُ , فَذَلِكَ يُنَادَى بِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُ مَرَّتَيْنِ. وَالشَّهَادَةُ تُذْكَرُ فِي مَوْضِعَيْنِ , أَوَّلَ الْأَذَانِ وَفِي آخِرِهِ فَيُثَنَّى فِي أَوَّلِهِ فَيُقَالُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ مَرَّتَيْنِ ثُمَّ , يُفْرَدُ فِي آخِرِهِ فَيُقَالُ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَلَا يُثَنَّى ذَلِكَ. فَكَانَ مَا ثُنِّيَ مِنَ الْأَذَانِ إِنَّمَا ثُنِّيَ عَلَى نِصْفِ مَا هُوَ عَلَيْهِ فِي الْأَوَّلِ , وَكَانَ التَّكْبِيرُ يُذْكَرُ فِي مَوْضِعَيْنِ , فِي أَوَّلِ الْأَذَانِ , وَبَعْدَ الْفَلَاحِ. فَأَجْمَعُوا أَنَّهُ بَعْدَ الْفَلَاحِ يَقُولُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ. فَالنَّظَرُ عَلَى مَا وَصَفْنَا أَنْ يَكُونَ مَا اخْتُلِفَ فِيهِ , مِمَّا يُبْتَدَأُ بِهِ الْأَذَانُ مِنَ التَّكْبِيرِ أَنْ يَكُونَ مِثْلَ مَا يُثَنَّى بِهِ قِيَاسًا وَنَظَرًا عَلَى مَا بَيَّنَّا مِنَ الشَّهَادَةِ أَنَّ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ فَيَكُونُ مَا يُبْتَدَأُ بِهِ الْأَذَانُ مِنَ التَّكْبِيرِ عَلَى ضِعْفِ مَا يُثَنَّى فِيهِ مِنَ التَّكْبِيرِ. فَإِذَا كَانَ الَّذِي يُثَنَّى هُوَ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ , كَانَ الَّذِي يُبْتَدَأُ بِهِ هُوَ ضِعْفُهُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ الصَّحِيحُ. وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ وَأَبِي يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُ اللهُ. غَيْرَ أَنَّ أَبَا يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ قَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَيْضًا فِي ذَلِكَ مِثْلُ الْقَوْلِ الْأَوَّلِ. وَالْمَوْضِعُ الْآخَرُ الَّذِي اخْتَلَفُوا فِيهِ مِنْهُ هُوَ التَّرْجِيعُ , فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى التَّرْجِيعِ , وَتَرَكَهُ آخَرُونَ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮১০
আযানের পদ্ধতি
৮১০। ইব্ন মারযূক (রাহঃ)..... আব্দুর রহমান ইব্ন লায়লা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আব্দুল্লাহ ইব্ন যায়দ (রাযিঃ) আসমান থেকে এক ব্যক্তিকে অবতীর্ণ হতে দেখেছেন, যার শরীরে দুটি সবুজ কাপড় বা দু’টি সবুজ চাদর ছিল।তিনি দেয়ালের উপর দাঁড়িয়ে গেলেন এবং আওয়াজ দিলেনঃ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ তিনি আযান সেইরূপ উল্লেখ করলেন যেরূপ আবু মাহযূরা (রাযিঃ) উল্লেখ করেছেন।কিন্তু ‘তারজী’ব উল্লেখ করেননি।তারপর তিনি নবী (ﷺ)-এর দরবারে এসে তাঁকে বললেন, তিনি তাকে বললেন, তুমি অত্যন্ত উত্তম স্বপ্ন দেখেছ, তা বিলাল (রাযিঃ)-কে শিখিয়ে দাও।
810 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ دَاوُدَ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ زَيْدٍ رَأَى رَجُلًا نَزَلَ مِنَ السَّمَاءِ عَلَيْهِ ثَوْبَانِ أَخْضَرَانِ , أَوْ بُرْدَانِ أَخْضَرَانِ , فَقَامَ عَلَى جِذْمِ حَائِطٍ فَنَادَى اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ. فَذَكَرَ الْأَذَانَ عَلَى مَا فِي حَدِيثِ أَبِي مَحْذُورَةَ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرِ التَّرْجِيعَ , فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ: «نِعْمَ مَا رَأَيْتُ عَلِّمْهُ بِلَالًا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮১১
আযানের পদ্ধতি
৮১১। আলী ইব্ন শায়বা (রাযিঃ).... আব্দুর রহমান ইব্ন আবু লায়লা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমাকে সাহাবীগণ বর্ণনা করেছেন যে, আব্দুল্লাহ ইব্ন যায়দ আনসারী (রাযিঃ) স্বপ্নে আযান (এর বাক্যগুলো) দেখেছেন।তারপর নবী (ﷺ)-এর দরবারে এসে তাঁকে বললেন, তিনি বললেন, এটা বিলাল (রাযিঃ)-কে শিখিয়ে দাও।সুতরাং বেলাল (রাযিঃ) দাঁড়ালেন এবং তিনি আযানের বাক্যগুলো দুই দুইবার উচ্চারণ করে আযান দিলেন।
বিশ্লেষণ
বস্তুত এই আব্দুল্লাহ ইব্ন যায়দ (রাযিঃ) তার হাদীসে ‘তারজী’র উল্লেখ করেননি।তাই তিনি আযানের মধ্যে ‘তারজী’র ব্যাপারে আবু মাহযূরা (রাযিঃ)-এর সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছেন।সম্ভবত আবু মাহযূরা (রাযিঃ) যে ‘তারজী’র উল্লেখ করেছেন, তা ছিল এ জন্য যে, তিনি তাঁর আওয়াজকে ওই পরিমাণ উঁচু করেননি, যা নবী (ﷺ) তাঁর থেকে চাচ্ছিলেন।তাই তাঁকে নবী (ﷺ) বললেন, পুনঃ বল এবং আওয়াজ উঁচু কর।এ হাদীসের শব্দ এরূপই।যখন এ সম্ভাবনা বিদ্যমান থাকছে, তাই গভীরভাবে পর্যবেহ্মণ করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে, যেন আমরা এর দ্বারা উভয় মতামত থেকে বিশুদ্ধ মত বের করে আনতে সহ্মম হই।আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, اشهد ان لا اله الا الله এবং اشهد ان محمد رسول الله যেখানে ‘তারজী’ সম্পর্কে বিরোধ রয়েছে, এটা ব্যতীত (বাকী বাক্যগুলোর মধ্যে) তারজী নেই।অতএব যুক্তির দাবি হচ্ছে, যে বিষয়ে বিরোধ রয়েছে এটাকে ওই বস্তুর উপর কিয়স করা হবে যার ব্যাপারে সকলের ঐকমত্য রয়েছে।অনুরূপভাবে এর ‘শাহাদাত’ ব্যতীত অবশিষ্ট আযানে ‘তারজী’ না হওয়ার উপর তাঁদের ঐকমত্য রয়েছে।এই ঐকমত্যের ভিত্তিতেই শাহাদাতের ব্যাপারে ‘তারজী’ হওয়ার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত দিয়ে দেয়া হবে।‘তারজী’ না হওয়ার বিষয়ে আমরা যা বর্ণনা করেছি, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর এটাই অভিমত।
বিশ্লেষণ
বস্তুত এই আব্দুল্লাহ ইব্ন যায়দ (রাযিঃ) তার হাদীসে ‘তারজী’র উল্লেখ করেননি।তাই তিনি আযানের মধ্যে ‘তারজী’র ব্যাপারে আবু মাহযূরা (রাযিঃ)-এর সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছেন।সম্ভবত আবু মাহযূরা (রাযিঃ) যে ‘তারজী’র উল্লেখ করেছেন, তা ছিল এ জন্য যে, তিনি তাঁর আওয়াজকে ওই পরিমাণ উঁচু করেননি, যা নবী (ﷺ) তাঁর থেকে চাচ্ছিলেন।তাই তাঁকে নবী (ﷺ) বললেন, পুনঃ বল এবং আওয়াজ উঁচু কর।এ হাদীসের শব্দ এরূপই।যখন এ সম্ভাবনা বিদ্যমান থাকছে, তাই গভীরভাবে পর্যবেহ্মণ করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে, যেন আমরা এর দ্বারা উভয় মতামত থেকে বিশুদ্ধ মত বের করে আনতে সহ্মম হই।আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, اشهد ان لا اله الا الله এবং اشهد ان محمد رسول الله যেখানে ‘তারজী’ সম্পর্কে বিরোধ রয়েছে, এটা ব্যতীত (বাকী বাক্যগুলোর মধ্যে) তারজী নেই।অতএব যুক্তির দাবি হচ্ছে, যে বিষয়ে বিরোধ রয়েছে এটাকে ওই বস্তুর উপর কিয়স করা হবে যার ব্যাপারে সকলের ঐকমত্য রয়েছে।অনুরূপভাবে এর ‘শাহাদাত’ ব্যতীত অবশিষ্ট আযানে ‘তারজী’ না হওয়ার উপর তাঁদের ঐকমত্য রয়েছে।এই ঐকমত্যের ভিত্তিতেই শাহাদাতের ব্যাপারে ‘তারজী’ হওয়ার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত দিয়ে দেয়া হবে।‘তারজী’ না হওয়ার বিষয়ে আমরা যা বর্ণনা করেছি, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর এটাই অভিমত।
811 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ، قَالَ: ثنا وَكِيعٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ: حَدَّثَنِي أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ زَيْدٍ الْأَنْصَارِيَّ رَأَى الْأَذَانَ فِي الْمَنَامِ , فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ: «عَلِّمْهُ بِلَالًا» فَقَامَ بِلَالٌ , فَأَذَّنَ مَثْنَى مَثْنَى " فَهَذَا عَبْدُ اللهِ بْنُ زَيْدٍ , لَمْ يَذْكُرْ فِي حَدِيثِهِ التَّرْجِيعَ , فَقَدْ خَالَفَ أَبَا مَحْذُورَةَ فِي التَّرْجِيعِ فِي الْأَذَانِ. فَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ التَّرْجِيعُ الَّذِي حَكَاهُ أَبُو مَحْذُورَةَ إِنَّمَا كَانَ لِأَنَّ أَبَا مَحْذُورَةَ لَمْ يَمُدَّ بِذَلِكَ صَوْتَهُ , عَلَى مَا أَرَادَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُ , فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ارْجِعْ وَامْدُدْ مِنْ صَوْتِكَ» هَكَذَا اللَّفْظُ فِي الْحَدِيثِ. فَلَمَّا احْتَمَلَ ذَلِكَ , وَجَبَ النَّظَرُ , لِنَسْتَخْرِجَ بِهِ مِنَ الْقَوْلَيْنِ قَوْلًا صَحِيحًا , فَرَأَيْنَا مَا سِوَى مَا اخْتَلَفَ فِيهِ مِنَ الشَّهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ لَا تَرْجِيعَ فِيهِ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ مَا اخْتَلَفُوا فِيهِ مِنْ ذَلِكَ , مَعْطُوفًا عَلَى مَا أَجْمَعُوا عَلَيْهِ , وَيَكُونُ إِجْمَاعُهُمْ , أَنْ لَا تَرْجِيعَ فِي سَائِرِ الْأَذَانِ غَيْرَ الشَّهَادَةِ يَقْضِي عَلَى اخْتِلَافِهِمْ فِي التَّرْجِيعِ فِي الشَّهَادَةِ. وَهَذَا الَّذِي وَصَفْنَا وَمَا بَيَّنَّاهُ مِنْ نَفْيِ التَّرْجِيعِ , قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمَا اللهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
