শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬১২
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৩
২০- জুতার উপর মাসাহ্‌ করা।
৬১২-৬১৩। আবু বাকরা (রাহঃ), ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ও ইবন খুযায়মা (রাহঃ)... আউস ইবন আবী আউস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আমার পিতাকে দেখেছি তিনি উযূ করেছেন এবং তার চপ্পলের উপর মাসেহ করেছেন। আমি তাঁকে বললাম, আপনি কি চপ্পলের উপর মাসেহ্ করছেন? তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ -কে দেখেছি তিনি চপ্পলের উপর মাসেহ করেছেন।
بَابُ الْمَسْحِ عَلَى النَّعْلَيْنِ
612 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَا: ثنا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ ح

613 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ , عَنْ أَوْسِ بْنِ أَبِي أَوْسٍ قَالَ: رَأَيْتُ أَبِي تَوَضَّأَ , وَمَسَحَ عَلَى نَعْلَيْنِ لَهُ. فَقُلْتُ لَهُ: أَتَمْسَحُ عَلَى النَّعْلَيْنِ؟ فَقَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْسَحُ عَلَى النَّعْلَيْنِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬১৪
জুতার উপর মাসাহ্‌ করা।
৬১৪। ফাহাদ (রাহঃ).... আউস ইবন আবী আউস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার এক সফরে আমার পিতার সঙ্গে ছিলাম। এক পর্যায়ে আমরা বেদুঈনদের কূপের সন্নিকটবর্তী অবতরণ করলাম। তিনি (পিতা) পেশাব করলেন তারপর উযূ করলেন এবং চপ্পলের উপর মাসেহ করলেন। আমি তাঁকে বললাম! আপনি এরূপ করছেন? তিনি বললেন : আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে যা করতে দেখেছি তার উপর তোমার জন্য অতিরিক্ত করব না।
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী বলেন : একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, চামড়ার মোজায় মাসেহ করার অনুরূপ চপ্পলের উপরও মাসেহ করা হবে। তাঁরা বলেছেন, আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস এমতকে শক্তিশালী করেছে। তাঁরা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ পেশ করেছেন :
614 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: أنا شَرِيكٌ , عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ , عَنْ أَوْسِ بْنِ أَبِي أَوْسٍ قَالَ: كُنْتُ مَعَ أَبِي فِي سَفَرٍ وَنَزَلْنَا بِمَاءٍ مِنْ مِيَاهِ الْأَعْرَابِ , فَبَالَ فَتَوَضَّأَ , وَمَسَحَ عَلَى نَعْلَيْهِ. فَقُلْتُ لَهُ: أَتَفْعَلُ هَذَا. فَقَالَ: «مَا أَزِيدُكَ عَلَى مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَلَ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى الْمَسْحِ عَلَى النَّعْلَيْنِ , كَمَا يُمْسَحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ , وَقَالُوا: قَدْ شَذَّ , ذَلِكَ مَا رُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬১৫
জুতার উপর মাসাহ্‌ করা।
৬১৫। আবু বাকরা (রাহঃ).... আবু যাবইয়ান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আলী (রাযিঃ) কে দেখেছেন, তিনি দাঁড়িয়ে পেশাব করেছেন। তারপর পানি চেয়ে এনে উযূ করেছেন এবং নিজের চপ্পলের উপর মাসেহ করেছেন। এরপর মসজিদে প্রবেশ করেছেন এবং চপ্পল খুলে সালাত আদায় করেছেন।

পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, আমরা চপ্পলের উপর মাসেহ করাকে জায়িয মনে করিনা। এই সম্পর্কে তাদের দলীল হল নিম্নরূপ : সম্ভবত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চপ্পলের উপর মাসেহ্ এজন্য করেছেন যে, এর নীচে মোজা ছিল এবং তাঁর উদ্দেশ্য ছিল মোজা মাসেহ করা, চপ্পল মাসেহ করা নয়। আর মোজা এরূপ বস্তু দ্বারা প্রস্তুত ছিল যদি তা চপ্পল ব্যতীত হত, তখনও এর উপর মাসেহ্ জায়িয হত। সুতরাং মাসেহের দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য মোজার উপর মাসেহ ই ছিল। তিনি চপ্পল এবং মোজা উভয়ের উপর মাসেহ করেছেন, তাহারাতের জন্য ছিল মোজার উপর মাসেহ্ আর চপ্পলের উপর ছিল অতিরিক্ত। নিম্নোক্ত হাদীসে এর বর্ণনা নিম্নরূপঃ
615 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , وَوَهْبٌ قَالَا: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ: أَنَّهُ رَأَى عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بَالَ قَائِمًا , ثُمَّ دَعَا بِمَاءٍ , فَتَوَضَّأَ , وَمَسَحَ عَلَى نَعْلَيْهِ , ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ , فَخَلَعَ نَعْلَيْهِ , ثُمَّ صَلَّى " وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا نَرَى الْمَسْحَ عَلَى النَّعْلَيْنِ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ أَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَسَحَ عَلَى نَعْلَيْنِ تَحْتَهُمَا جَوْرَبَانِ , وَكَانَ قَاصِدًا بِمَسْحِهِ ذَلِكَ إِلَى جَوْرَبَيْهِ , لَا إِلَى نَعْلَيْهِ. وَجَوْرَبَاهُ مِمَّا لَوْ كَانَا عَلَيْهِ بِلَا نَعْلَيْنِ , جَازَ لَهُ أَنْ يَمْسَحَ عَلَيْهِمَا , فَكَانَ مَسْحُهُ ذَلِكَ مَسْحًا أَرَادَ بِهِ الْجَوْرَبَيْنِ , فَأَتَى ذَلِكَ عَلَى الْجَوْرَبَيْنِ وَالنَّعْلَيْنِ فَكَانَ مَسْحُهُ عَلَى الْجَوْرَبَيْنِ هُوَ الَّذِي تَطَهَّرَ بِهِ , وَمَسْحُهُ عَلَى النَّعْلَيْنِ فَضْلٌ
হাদীস নং:৬১৬
জুতার উপর মাসাহ্‌ করা।
৬১৬। আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ) ...... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ র নিজের মোজায় এবং চপ্পলে মাসেহ করেছেন।
616 - وَقَدْ بَيَّنَ ذَلِكَ مَا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا الْمُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ: ثنا عِيسَى بْنُ يُونُسَ , عَنْ أَبِي سِنَانٍ , عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ أَبِي مُوسَى «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَسَحَ عَلَى جَوْرَبَيْهِ وَنَعْلَيْهِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬১৭
জুতার উপর মাসাহ্‌ করা।
৬১৭। আবু বাকরা (রাহঃ) ও ইবন মারযূক (রাহঃ)...... মুগীরা ইব্‌ন শু'বা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
সুতরাং আবু মুসা (রাযিঃ) ও মুগীরা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর চপ্পলের উপর মাসেহ করার স্বরূপ বর্ণনা করেছেন। এ বিষয়ে ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে অন্য পদ্ধতিও বর্ণিত আছে
617 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، وَابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَا: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ هُذَيْلِ بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِهِ. فَأَخْبَرَ أَبُو مُوسَى وَالْمُغِيرَةُ , عَنْ مَسْحِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى نَعْلَيْهِ , كَيْفَ كَانَ مِنْهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ فِي ذَلِكَ وَجْهٌ آخَرُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬১৮
জুতার উপর মাসাহ্‌ করা।
৬১৮। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)..... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, ইবন উমার (রাযিঃ) যখন উযূ করতেন তখন তাঁর চপ্পল পায়েই থাকত এবং হাতের দ্বারা পায়ের উপরিভাগ মাসেহ করতেন। আর বলতেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এমনটি করতেন।

ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর বিশ্লেষণ

বস্তুত ইবন উমার (রাযিঃ) বলছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কখনও তাঁর চপ্পলে মাসেহ করতেন, কখনও পা মাসেহ করতেন। এতে সম্ভবত তিনি পায়ে যে মাসেহ করেছেন তা ছিল ফরয আর চপ্পলে মাসেহ ছিল অতিরিক্ত। অতএব আবু আউস (রাযিঃ) এর হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে চপ্পলের উপর মাসেহ করার বিষয় উল্লিখিত আছে, এতে আবু মুসা (রাযিঃ) ও মুগীরা (রাযিঃ) যা বর্ণনা করেছেন তারও সম্ভাবনা আছে এবং ইবন উমার (রাযিঃ) যা বলেছেন তারও সম্ভাবনা আছে। যদি সেই সম্ভাবনা হয় যেমনটি আবু মুসা (রাযিঃ) ও মুগীরা (রাযিঃ) বলেছেন, তাহলে আমাদের অভিমতও তা-ই। যেহেতু আমরা কাপড়ের মোজায় মাসেহ করাতে কোন অসুবিধা মনে করিনা, যদি তা মোটা হয়। ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত এটাই। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমত কাপড়ের মোজায় মাসেহ্ জায়িয নয় যতক্ষণ না তা মোটা হয় এবং তাতে উপরে ও নীচে চামড়াযুক্ত হয়। তখন তা (চামড়ার) মোজার ন্যায় হবে। যদি ইবন উমার (রাযিঃ) যা বলেছেন তেমনটি হয় তাহলে তাতে তো পায়ে মাসেহ করার বিষয় সাব্যস্ত হয়। এ বিষয়ে এর বিরোধী রিওয়ায়াতের ভিত্তিতে এর রহিত হওয়ার বিষয় পা (ধৌত করা) ফরয হওয়ার বর্ণনা সাব্যস্ত হয়েছে। তো-আউস ইব্‌ন আবী আউস (রাযিঃ)-এর হাদীসের যে মর্মই হউক না কেন, আবু মুসা (রাযিঃ) ও মুগীরা (রাযিঃ) যে মর্ম বর্ণনা করেছেন তাই উদ্দেশ্য হউক অথবা ইবন উমার (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত সম্ভাবনাই উদ্দেশ্য হউক (উভয় অবস্থায়) চপ্পলের উপর মাসেহ করার বৈধতার কোন প্রমাণ নেই।

ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
যখন আউস (রাযিঃ)-এর হাদীসে সেই মর্মের সম্ভাবনা বিদ্যমান যা আমরা উল্লেখ করেছি। তাতে চপ্পলের উপর মাসেহ করার বৈধতার কোন প্রমাণ নেই। তাই আমরা বিষয়টি যুক্তির নিরিখে অনুসন্ধান করার প্রয়াস পাব, যেন আমরা এর বিধান সম্পর্কে অবহিত হতে পারি। আমরা কেউ মোজাকে দেখছি, যাতে মাসেহ্ করা জায়িয। যখন তা ছিঁড়ে যায় যাতে করে উভয় পা কিংবা উভয় পায়ের অধিকাংশ বেরিয়ে যায় তাহলে সমস্ত আলিমদের ঐকমত্য এই যে, তাতে মাসেহ করা যাবে না। সুতরাং মোজার উপর মাসেহ্ করা সেই অবস্থায় জায়িয যখন তাতে পা অদৃশ্য থাকবে। যদি পা অদৃশ্য না থাকে তাহলে মাসেহ বাতিল হয়ে যাবে। আর চপ্পল দ্বারা পা অদৃশ্য হয় না। সুতরাং সাব্যস্ত হল যে, তা (চপ্পল) সেই মোজার অনুরূপ যা পা-কে অদৃশ্য করে না।
618 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ الْحُسَيْنِ اللِّهْبِيُّ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ نَافِعٍ: أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ إِذَا تَوَضَّأَ وَنَعْلَاهُ فِي قَدَمَيْهِ , مَسَحَ عَلَى ظُهُورِ قَدَمَيْهِ بِيَدَيْهِ وَيَقُولُ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ هَكَذَا» فَأَخْبَرَ ابْنُ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ كَانَ فِي وَقْتٍ مَا كَانَ يَمْسَحُ عَلَى نَعْلَيْهِ , يَمْسَحُ عَلَى قَدَمَيْهِ فَقَدْ يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ مَا مَسَحَ عَلَى قَدَمَيْهِ , هُوَ الْفَرْضُ , وَمَا مَسَحَ عَلَى نَعْلَيْهِ كَانَ فَضْلًا. فَحَدِيثُ أَبِي أَوْسٍ , يَحْتَمِلُ عِنْدَنَا مَا ذَكَرَ فِيهِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَسْحِهِ عَلَى نَعْلَيْهِ , أَنْ يَكُونَ كَمَا قَالَ أَبُو مُوسَى , وَالْمُغِيرَةُ , أَوْ كَمَا قَالَ ابْنُ عُمَرَ. فَإِنْ كَانَ كَمَا قَالَ أَبُو مُوسَى وَالْمُغِيرَةُ , فَإِنَّا نَقُولُ بِذَلِكَ , لِأَنَّا لَا نَرَى بَأْسًا بِالْمَسْحِ عَلَى الْجَوْرَبَيْنِ , إِذَا كَانَا صَفِيقَيْنِ قَدْ قَالَ ذَلِكَ أَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ. وَأَمَّا أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى , فَإِنَّهُ كَانَ لَا يَرَى ذَلِكَ حَتَّى يَكُونَا صَفِيقَيْنِ , وَيَكُونَا مُجَلَّدَيْنِ , فَيَكُونَانِ كَالْخُفَّيْنِ. وَإِنْ كَانَ كَمَا قَالَ ابْنُ عُمَرَ , فَإِنَّ فِي ذَلِكَ إِثْبَاتَ الْمَسْحِ عَلَى الْقَدَمَيْنِ , فَقَدْ ثَبَتَ ذَلِكَ , وَمَا عَارَضَهُ وَمَا نَسَخَهُ فِي بَابِ فَرْضِ الْقَدَمَيْنِ. فَعَلَى أَيِّ الْمَعْنَيَيْنِ كَانَ وَجْهُ حَدِيثِ أَوْسِ بْنِ أَبِي أَوْسٍ , مِنْ مَعْنَى حَدِيثِ أَبِي مُوسَى , وَالْمُغِيرَةِ , وَمِنْ مَعْنَى حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ , فَلَيْسَ فِي ذَلِكَ مَا يَدُلُّ عَلَى جَوَازِ الْمَسْحِ عَلَى النَّعْلَيْنِ. فَلَمَّا احْتَمَلَ حَدِيثُ أَوْسٍ مَا ذَكَرْنَا , وَلَمْ يَكُنْ فِيهِ حُجَّةٌ فِي جَوَازِ الْمَسْحِ عَلَى النَّعْلَيْنِ , الْتَمَسْنَا ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , لِنَعْلَمَ كَيْفَ حُكْمُهُ؟ فَرَأَيْنَا الْخُفَّيْنِ اللَّذَيْنِ قَدْ جَوَّزَ الْمَسْحَ عَلَيْهِمَا إِذَا تَخَرَّقَا , حَتَّى بَدَتِ الْقَدَمَانِ مِنْهُمَا أَوْ أَكْثَرُ الْقَدَمَيْنِ , فَكُلٌّ قَدْ أَجْمَعَ أَنَّهُ لَا يُمْسَحُ عَلَيْهِمَا. فَلَمَّا كَانَ الْمَسْحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ إِنَّمَا يَجُوزُ إِذَا غَيَّبَا الْقَدَمَيْنِ , وَيَبْطُلُ ذَلِكَ إِذَا لَمْ يُغَيِّبَا الْقَدَمَيْنِ , وَكَانَتِ النَّعْلَانِ غَيْرَ مُغَيَّبَيْنِ لِلْقَدَمَيْنِ , ثَبَتَ أَنَّهُمَا كَالْخُفَّيْنِ اللَّذَيْنِ لَا يُغَيِّبَانِ الْقَدَمَيْنِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান