শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১
রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়ঃ
১- পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
১- পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
ইমাম আবু জা’ফর আহমদ ইবন মুহাম্মাদ ইবন সালামা আল-আযদী-আত তাহাবী (রহ:) বলেনঃ
আমার এক জ্ঞান পিপাসু সুহৃদ বন্ধু আমার নিকট এ মর্মে অনুরোধ জ্ঞাপন করলেন যে, আমি যেন তাঁর জন্য একটি বিশেষ গ্রন্থ রচনার ব্রতী হই, যাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে সূত্র পরস্পরায় বর্ণিত আহকাম (বিধানাবলী) সংশ্লিষ্ট বাণীসমূহ সন্নিবেশীত করি। এসব বিধান নিয়ে অবিশ্বাসী নাস্তিকেরা ও দুর্বলমতি মুসলমানেরা (হাদীস অস্বীকাকারী ভ্রান্ত দল) ‘নাসিখ’ (রহিতকারী) ও ‘মানসূখ’ (রহিত) সম্পর্কে তাদের স্বল্পজ্ঞান হেতু এবং প্রজ্ঞাময় কুরআন ও ঐকমত্য দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সুন্নাহর সাক্ষ্য ও সমর্থনের ভিক্ততে যে সব বিধানের উপর আমল করা আবশ্যক; কিন্তু এ সম্পর্কে তাদের স্বল্পজ্ঞান হেতু এ মর্মে অমূলক ধারণা পেষণ করে যে, আল্লাহর কতক বিধান অপর কতক বিধানের সাথে পারস্পরিক সাংঘর্ষিক।
তিনি আরো অনুরোধ করলেন, আমি যেন গ্রন্থটিকে বিভিন্ন অনুচ্ছেদে বিভক্ত করি। গ্রন্থটির প্রতিটি অধ্যায়ে ‘নাসিখ’ ‘মানসূখ’, বিশেষজ্ঞ আলিম-মনীষীদের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসমূহ যেন সন্নিবেশীত থাকে।
আর বিশেষজ্ঞ আলিম-মনীষীদের যে সব মত আমার নিকট বিশুদ্ধ হিসাবে বিবেচিত হবে, সেগুলোকে কুরআন বা সুন্নাহ অথবা ইজমা কিংবা সাহাবা ও তাবেঈগণের অবিচ্ছিন্ন ধারাবাহিক অভিমতগুলো প্রমাণাদি দ্বারা যেভাবে অনুরূপ বিধান বিশুদ্ধরূপে প্রমাণ করা হয় সেভাবে প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট হই।
আমি বিষয়টির প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করে নিতান্ত নিবিড়ভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি। তিনি যেমনটি চেয়েছিলেন সেভাবেই বিভিন্ন বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনার অবতারণা করে তা প্রমাণিত করতে চেষ্টা করেছি। আমি গ্রন্থটিকে বিভিন্ন অধ্যায়ে বিভিক্ত করে প্রতিটি অধ্যায়ে সংশ্লিষ্ট হাদীসসমূহের অবতারণা করেছি।
অতএব আমি সর্বপ্রথম সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে তাহারাত সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসসমূহ দ্বারা কিতাবের সূচনা করেছি।
১. মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা ইব্ন রাশিদ আল-বসরী (রাহঃ)...... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বী’রে বুযাআর (পানি দিয়ে) উযু করতেন। বলা হল, আল্লাহ্ রাসূল! এই কুয়োটি তো এমন যে, তাতে মৃত (প্রাণী), হায়যে ব্যবহৃত কাপড়ের টুকরো ফেলা হয়ে থাকে। তখন তিনি বললেন : পানি নাপাক (কলুষিত) হয় না।
আমার এক জ্ঞান পিপাসু সুহৃদ বন্ধু আমার নিকট এ মর্মে অনুরোধ জ্ঞাপন করলেন যে, আমি যেন তাঁর জন্য একটি বিশেষ গ্রন্থ রচনার ব্রতী হই, যাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে সূত্র পরস্পরায় বর্ণিত আহকাম (বিধানাবলী) সংশ্লিষ্ট বাণীসমূহ সন্নিবেশীত করি। এসব বিধান নিয়ে অবিশ্বাসী নাস্তিকেরা ও দুর্বলমতি মুসলমানেরা (হাদীস অস্বীকাকারী ভ্রান্ত দল) ‘নাসিখ’ (রহিতকারী) ও ‘মানসূখ’ (রহিত) সম্পর্কে তাদের স্বল্পজ্ঞান হেতু এবং প্রজ্ঞাময় কুরআন ও ঐকমত্য দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সুন্নাহর সাক্ষ্য ও সমর্থনের ভিক্ততে যে সব বিধানের উপর আমল করা আবশ্যক; কিন্তু এ সম্পর্কে তাদের স্বল্পজ্ঞান হেতু এ মর্মে অমূলক ধারণা পেষণ করে যে, আল্লাহর কতক বিধান অপর কতক বিধানের সাথে পারস্পরিক সাংঘর্ষিক।
তিনি আরো অনুরোধ করলেন, আমি যেন গ্রন্থটিকে বিভিন্ন অনুচ্ছেদে বিভক্ত করি। গ্রন্থটির প্রতিটি অধ্যায়ে ‘নাসিখ’ ‘মানসূখ’, বিশেষজ্ঞ আলিম-মনীষীদের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসমূহ যেন সন্নিবেশীত থাকে।
আর বিশেষজ্ঞ আলিম-মনীষীদের যে সব মত আমার নিকট বিশুদ্ধ হিসাবে বিবেচিত হবে, সেগুলোকে কুরআন বা সুন্নাহ অথবা ইজমা কিংবা সাহাবা ও তাবেঈগণের অবিচ্ছিন্ন ধারাবাহিক অভিমতগুলো প্রমাণাদি দ্বারা যেভাবে অনুরূপ বিধান বিশুদ্ধরূপে প্রমাণ করা হয় সেভাবে প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট হই।
আমি বিষয়টির প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করে নিতান্ত নিবিড়ভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি। তিনি যেমনটি চেয়েছিলেন সেভাবেই বিভিন্ন বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনার অবতারণা করে তা প্রমাণিত করতে চেষ্টা করেছি। আমি গ্রন্থটিকে বিভিন্ন অধ্যায়ে বিভিক্ত করে প্রতিটি অধ্যায়ে সংশ্লিষ্ট হাদীসসমূহের অবতারণা করেছি।
অতএব আমি সর্বপ্রথম সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে তাহারাত সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসসমূহ দ্বারা কিতাবের সূচনা করেছি।
১. মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা ইব্ন রাশিদ আল-বসরী (রাহঃ)...... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বী’রে বুযাআর (পানি দিয়ে) উযু করতেন। বলা হল, আল্লাহ্ রাসূল! এই কুয়োটি তো এমন যে, তাতে মৃত (প্রাণী), হায়যে ব্যবহৃত কাপড়ের টুকরো ফেলা হয়ে থাকে। তখন তিনি বললেন : পানি নাপাক (কলুষিত) হয় না।
مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الطَّهَارَةِ، فَمِنْ ذَلِكَ:
بَابُ الْمَاءِ يَقَعُ فِيهِ النَّجَاسَةُ
بَابُ الْمَاءِ يَقَعُ فِيهِ النَّجَاسَةُ
قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَمَةَ الْأَزْدِيُّ الطَّحَاوِيُّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ:
سَأَلَنِي بَعْضُ أَصْحَابِنَا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ أَضَعَ لَهُ كِتَابًا أَذْكُرُ فِيهِ الْآثَارَ الْمَأْثُورَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْأَحْكَامِ الَّتِي يَتَوَهَّمُ أَهْلُ الْإِلْحَادِ , وَالضَّعَفَةُ مِنْ أَهْلِ الْإِسْلَامِ أَنَّ بَعْضَهَا يَنْقُضُ بَعْضًا؛ لِقِلَّةِ عِلْمِهِمْ بِنَاسِخِهَا مِنْ مَنْسُوخِهَا , وَمَا يَجِبُ بِهِ الْعَمَلُ مِنْهَا لِمَا يَشْهَدُ لَهُ مِنَ الْكِتَابِ النَّاطِقِ وَالسُّنَّةِ الْمُجْتَمَعِ عَلَيْهَا , وَأَجْعَلُ لِذَلِكَ أَبْوَابًا , أَذْكُرُ فِي كُلِّ كِتَابٍ مِنْهَا مَا فِيهِ مِنَ النَّاسِخِ وَالْمَنْسُوخِ , وَتَأْوِيلَ الْعُلَمَاءِ وَاحْتِجَاجَ بَعْضِهِمْ عَلَى بَعْضٍ , وَإِقَامَةَ الْحُجَّةِ لِمَنْ صَحَّ عِنْدِي قَوْلُهُ مِنْهُمْ بِمَا يَصِحُّ بِهِ مِثْلُهُ مِنْ كِتَابٍ أَوْ سُنَّةٍ أَوْ إِجْمَاعٍ أَوْ تَوَاتُرٍ مِنْ أَقَاوِيلِ الصَّحَابَةِ أَوْ تَابِعِيهِمْ , وَإِنِّي نَظَرْتُ فِي ذَلِكَ وَبَحَثْتُ عَنْهُ بَحْثًا شَدِيدًا، فَاسْتَخْرَجْتُ مِنْهُ أَبْوَابًا عَلَى النَّحْوِ الَّذِي سَأَلَ، وَجَعَلْتُ ذَلِكَ كُتُبًا، ذَكَرْتُ فِي كُلِّ كِتَابٍ مِنْهَا جِنْسًا مِنْ تِلْكَ الْأَجْنَاسِ، فَأَوَّلُ مَا ابْتَدَأْتُ بِذِكْرِهِ مِنْ ذَلِكَ:
مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الطَّهَارَةِ، فَمِنْ ذَلِكَ:
بَابُ الْمَاءِ يَقَعُ فِيهِ النَّجَاسَةُ :
1 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ بْنِ رَاشِدٍ الْبَصْرِيُّ، قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَتَوَضَّأُ مِنْ بِئْرِ بُضَاعَةَ، فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنَّهُ يُلْقَى فِيهِ الْجِيَفُ وَالْمَحَائِضُ. فَقَالَ: «إِنَّ الْمَاءَ لَا يَنْجُسُ»
سَأَلَنِي بَعْضُ أَصْحَابِنَا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ أَضَعَ لَهُ كِتَابًا أَذْكُرُ فِيهِ الْآثَارَ الْمَأْثُورَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْأَحْكَامِ الَّتِي يَتَوَهَّمُ أَهْلُ الْإِلْحَادِ , وَالضَّعَفَةُ مِنْ أَهْلِ الْإِسْلَامِ أَنَّ بَعْضَهَا يَنْقُضُ بَعْضًا؛ لِقِلَّةِ عِلْمِهِمْ بِنَاسِخِهَا مِنْ مَنْسُوخِهَا , وَمَا يَجِبُ بِهِ الْعَمَلُ مِنْهَا لِمَا يَشْهَدُ لَهُ مِنَ الْكِتَابِ النَّاطِقِ وَالسُّنَّةِ الْمُجْتَمَعِ عَلَيْهَا , وَأَجْعَلُ لِذَلِكَ أَبْوَابًا , أَذْكُرُ فِي كُلِّ كِتَابٍ مِنْهَا مَا فِيهِ مِنَ النَّاسِخِ وَالْمَنْسُوخِ , وَتَأْوِيلَ الْعُلَمَاءِ وَاحْتِجَاجَ بَعْضِهِمْ عَلَى بَعْضٍ , وَإِقَامَةَ الْحُجَّةِ لِمَنْ صَحَّ عِنْدِي قَوْلُهُ مِنْهُمْ بِمَا يَصِحُّ بِهِ مِثْلُهُ مِنْ كِتَابٍ أَوْ سُنَّةٍ أَوْ إِجْمَاعٍ أَوْ تَوَاتُرٍ مِنْ أَقَاوِيلِ الصَّحَابَةِ أَوْ تَابِعِيهِمْ , وَإِنِّي نَظَرْتُ فِي ذَلِكَ وَبَحَثْتُ عَنْهُ بَحْثًا شَدِيدًا، فَاسْتَخْرَجْتُ مِنْهُ أَبْوَابًا عَلَى النَّحْوِ الَّذِي سَأَلَ، وَجَعَلْتُ ذَلِكَ كُتُبًا، ذَكَرْتُ فِي كُلِّ كِتَابٍ مِنْهَا جِنْسًا مِنْ تِلْكَ الْأَجْنَاسِ، فَأَوَّلُ مَا ابْتَدَأْتُ بِذِكْرِهِ مِنْ ذَلِكَ:
مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الطَّهَارَةِ، فَمِنْ ذَلِكَ:
بَابُ الْمَاءِ يَقَعُ فِيهِ النَّجَاسَةُ :
1 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ بْنِ رَاشِدٍ الْبَصْرِيُّ، قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَتَوَضَّأُ مِنْ بِئْرِ بُضَاعَةَ، فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنَّهُ يُلْقَى فِيهِ الْجِيَفُ وَالْمَحَائِضُ. فَقَالَ: «إِنَّ الْمَاءَ لَا يَنْجُسُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
২. ইবরাহীম ইব্ন আবু দাউদ (রাহঃ) ও সুলায়মান ইব্ন আবু দাউদ আসাদী (রাহঃ)...... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, একবার বলা হল, হে আল্লাহ্ রাসূল! আপনার জন্য বী'রে বুযা'আ থেকে পানি আনা হয়, অথচ তা এমন (অরক্ষিত) কুয়ো, যাতে লোকদের (মল), নারীদের হায়যে ব্যবহৃত কাপড়ের টুকরা এবং কুকুরের গোশত ফেলা হয়ে থাকে। তিনি বললেন, এ পানি তো পাক, একে কোন বস্তু কলুষিত করতে পারে না।
باب الماء يقع فيه النجاسة
2 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ، وَسُلَيْمَانُ أَبُو دَاوُدَ الْأَسَدِيُّ، قَالَا: ثنا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْوَهْبِيُّ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ سَلِيطِ بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ , إِنَّهُ يُسْتَقَى لَكَ مِنْ بِئْرِ بُضَاعَةَ وَهِيَ بِئْرٌ يُطْرَحُ فِيهَا عَذِرَةُ النَّاسِ , وَمَحَائِضُ النِّسَاءِ , وَلَحْمُ الْكِلَابِ. فَقَالَ: «إِنَّ الْمَاءَ طَهُورٌ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
৩. ইবরাহীম (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে,...... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) এর পুত্র তাঁর পিতা আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত হলাম, আর তিনি বী’রে বুয়া'আ থেকে উযূ করছিলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি তা থেকে উযূ করছেন ? অথচ তা এমন কুয়ো, যাতে ময়লা ফেলা হয়ে থাকে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ এ পানিকে কোন বস্তু কলুষিত করতে পারে না।
باب الماء يقع فيه النجاسة
3 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ قَالَ: ثَنَا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْبِرْكِيُّ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ الْقَسْمَلِيُّ قَالَ: ثنا مُطَرِّفٌ عَنْ خَالِدِ بْنِ أَبِي نَوْفٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: " انْتَهَيْتُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ مِنْ بِئْرِ بُضَاعَةَ , فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ , أَتَتَوَضَّأُ مِنْهَا وَهِيَ يُلْقَى فِيهَا مَا يُلْقَى مِنَ النَّتْنِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمَاءُ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
৪. ইবরাহীম ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)...... মুহাম্মাদ ইব্ন আবী ইয়াহইয়া আসলামী (রাহঃ)-এর মাতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমরা চারজন নারী সাহল ইবন সা'দ (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন তিনি বললেন, আমি যদি তোমাদেরকে বী’রে বুযাআ থেকে পানি পান করাই তাহলে তোমরা তা অপছন্দনীয় মনে করবে। অথচ আমি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -কে নিজ হাতে তা থেকে পানি পান করিয়েছি।
باب الماء يقع فيه النجاسة
4 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَصْبَغُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: ثنا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَحْيَى الْأَسْلَمِيِّ، عَنْ أُمِّهِ، قَالَتْ: " دَخَلْنَا عَلَى سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ فِي أَرْبَعِ نِسْوَةٍ، فَقَالَ: لَوْ سَقَيْتُكُمْ مِنْ بِئْرِ بُضَاعَةَ لَكَرِهْتُمْ ذَلِكَ، وَقَدْ سَقَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهَا بِيَدِي "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
৫. ফাহাদ ইব্ন সুলায়মান ইবন ইয়াহইয়া (রাহঃ)...... জাবির (রাযিঃ) অথবা আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা একবার এক সফরে রাসূলুল্লাহ্ -এর সঙ্গে ছিলাম। এক সময় আমরা একটি জলাশয়ের কাছে পৌঁছালাম; যাতে মৃত (প্রাণী) পড়ে রয়েছিলো। আমরা বিরত থাকলাম এবং লোকেরাও বিরত থাকল। তারপর রাসূলুল্লাহ্ আমাদের নিকট এলেন এবং বললেন, তোমাদের কি হয়েছে, পানি পান করছ না কেন ? আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এই মৃত প্রাণীর কারণে। তিনি বললেন, তোমরা পান কর। কেননা পানিকে কোন বস্তু কলুষিত করতে পারে না। সুতরাং আমরা অত্যন্ত তৃপ্তি সহকারে পান করলাম।
পর্যালোচনা:
একদল আলিম এই সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করে বলেছেন, পানিতে পতিত কোন বস্তু পানিকে কলুষিত করতে পারে না যতক্ষণ না এর রং বা স্বাদ বা গন্ধ পরিবর্তিত হবে। পক্ষান্তরে ওগুলোর কোন একটি পরিবর্তিত হয়ে গেলে পানি নাপাক হয়ে যাবে।
পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন, 'বী'রে বুঝা'আ' সম্পর্কে যা কিছু তোমরা উল্লেখ করেছ এতে তোমাদের অনুকূলে কোন প্রমাণ নেই। যেহেতু বীরে বুয়া'আ' সম্পর্কে মতবিরোধ রয়েছে যে, তা কী ছিলো? একদল (বিশ্লেষক) আলিম বলেন যে, তা বাগানসমূহে প্রবহমান পানির পথ ছিলো। তাতে পানি স্থির থাকত না। অতএব এর পানির বিধান নদীসমূহের বিধানের অনুরূপ হবে। অনুরূপভাবে আমরা এরূপ প্রত্যেক স্থানের ব্যাপারে অনুরূপ বক্তব্য প্রদান করব যে, যদি তাতে নাপাকি পতিত হয় তাহলে তা যতক্ষণ পর্যন্ত এর স্বাদ বা রং বা গন্ধকে পরিবর্তত না করবে, পানি নাপাক হবে না। অথবা যদি জানা যায় যে, তা থেকে নেয়া পানির মধ্যে নাপাকির অংশ বিদ্যমান আছে, তাহলে পানি নাপাক হয়ে যাবে। আর যদি তা জানা না যায় তাহলে পানি পাক হিসাবে বিবেচিত হবে।
পর্যালোচনা:
একদল আলিম এই সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করে বলেছেন, পানিতে পতিত কোন বস্তু পানিকে কলুষিত করতে পারে না যতক্ষণ না এর রং বা স্বাদ বা গন্ধ পরিবর্তিত হবে। পক্ষান্তরে ওগুলোর কোন একটি পরিবর্তিত হয়ে গেলে পানি নাপাক হয়ে যাবে।
পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন, 'বী'রে বুঝা'আ' সম্পর্কে যা কিছু তোমরা উল্লেখ করেছ এতে তোমাদের অনুকূলে কোন প্রমাণ নেই। যেহেতু বীরে বুয়া'আ' সম্পর্কে মতবিরোধ রয়েছে যে, তা কী ছিলো? একদল (বিশ্লেষক) আলিম বলেন যে, তা বাগানসমূহে প্রবহমান পানির পথ ছিলো। তাতে পানি স্থির থাকত না। অতএব এর পানির বিধান নদীসমূহের বিধানের অনুরূপ হবে। অনুরূপভাবে আমরা এরূপ প্রত্যেক স্থানের ব্যাপারে অনুরূপ বক্তব্য প্রদান করব যে, যদি তাতে নাপাকি পতিত হয় তাহলে তা যতক্ষণ পর্যন্ত এর স্বাদ বা রং বা গন্ধকে পরিবর্তত না করবে, পানি নাপাক হবে না। অথবা যদি জানা যায় যে, তা থেকে নেয়া পানির মধ্যে নাপাকির অংশ বিদ্যমান আছে, তাহলে পানি নাপাক হয়ে যাবে। আর যদি তা জানা না যায় তাহলে পানি পাক হিসাবে বিবেচিত হবে।
باب الماء يقع فيه النجاسة
5 - حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ يَحْيَى، قَالَ: مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الْأَصْبَهَانِيُّ قَالَ: أنا شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللهِ النَّخَعِيُّ، عَنْ طَرِيفٍ الْبَصْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرٍ، أَوْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرِنَا، فَانْتَهَيْنَا إِلَى غَدِيرٍ وَجِيفَةٍ، فَكَفَفْنَا وَكَفَّ النَّاسُ، حَتَّى أَتَانَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: مَا لَكُمْ لَا تَسْتَقُونَ؟ فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ , هَذِهِ الْجِيفَةُ. فَقَالَ: «اسْتَقُوا , فَإِنَّ الْمَاءَ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ. فَاسْتَقَيْنَا وَارْتَوَيْنَا» . فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذِهِ الْآثَارِ , فَقَالُوا: لَا يُنَجِّسُ الْمَاءَ شَيْءٌ وَقَعَ فِيهِ , إِلَّا أَنْ يُغَيِّرَ لَوْنَهُ , أَوْ طَعْمَهُ , أَوْ رِيحَهُ , فَأَيُّ ذَلِكَ إِذَا كَانَ , فَقَدْ نَجِسَ الْمَاءُ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ، فَقَالُوا: أَمَّا مَا ذَكَرْتُمُوهُ مِنْ بِئْرِ بُضَاعَةَ فَلَا حُجَّةَ لَكُمْ فِيهِ؛ لِأَنَّ بِئْرَ بُضَاعَةَ قَدِ اخْتُلِفَ فِيهَا مَا كَانَتْ، فَقَالَ قَوْمٌ: كَانَتْ طَرِيقًا لِلْمَاءِ إِلَى الْبَسَاتِينِ، فَكَانَ الْمَاءُ لَا يَسْتَقِرُّ فِيهَا، فَكَانَ حُكْمُ مَائِهَا كَحُكْمِ مَاءِ الْأَنْهَارِ، وَهَكَذَا نَقُولُ فِي كُلِّ مَوْضِعٍ كَانَ عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ وَقَعَتْ فِي مَائِهِ نَجَاسَةٌ، فَلَا يَنْجُسُ مَاؤُهُ إِلَّا أَنْ يَغْلِبَ عَلَى طَعْمِهِ أَوْ لَوْنِهِ أَوْ رِيحِهِ أَوْ يُعْلَمَ أَنَّهَا فِي الْمَاءِ الَّذِي يُؤْخَذُ مِنْهَا , فَإِنْ عَلِمَ ذَلِكَ كَانَ نَجِسًا , وَإِنْ لَمْ يُعْلَمْ ذَلِكَ كَانَ طَاهِرًا.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
৬. বীরে বুযাআ সম্পর্কে আমরা যা উল্লেখ করেছি এটি ইমাম ওয়াকিদী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে। আমার নিকট তা আবু জা'ফর আহমদ ইব্ন আবু ইমরান বর্ণনা করেছেন। তিনি আবু আব্দুল্লাহ্ মুহাম্মাদ ইবন শুজা ছালজী (রাহঃ) সূত্রে ওয়াকিদী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, সেই কুয়োটি এইরূপই ছিলো।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এটিও একটি প্রমাণ যে, ফকীহগণ নিম্নোক্ত বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে যে, যখন কুয়োতে নাপাকি পতিত হয়ে পানির স্বাদ বা গন্ধ বা রং-কে প্রভাবিত করে তাহলে এর পানি নাপাক হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে 'বীরে বুয'আ' সম্পর্কে হাদীসে এমন কিছুর উল্লেখ নেই। এতে তো শুধু এটুকু ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ কে বী'রে বুয'আ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে এবং তাঁকে বলা হয়েছে যে, এতে কুকুর এবং হায়যে ব্যবহৃত কাপড়ের টুকরো ফেলা হয়ে থাকে। তিনি বললেন, পানিকে কোন বস্তু নাপাক করতে পারে না।
বস্তুত আমরা জ্ঞাত আছি যে, যদি কে কুয়োতে এর চাইতে কম কিছুও পতিত হয় তাহলে এর
পানির গন্ধ এবং স্বাদ পরিবর্তিত না হওয়া অসম্ভব। আর এটি যুক্তিসঙ্গত এবং পরিজ্ঞাত বিষয় । বস্তুত যখন বিষয়টি এরূপ এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁদের জন্যে উক্ত পানি ব্যবহার করা বৈধ সাব্যস্ত করেছেন আর এটি তো সকলের কাছে স্বীকৃত যে, সেটি পানি পূর্বোল্লিখিত কারণসমূহের কোন কারণে পরিবর্তিত হয়ে যায় নি।
আমাদের বিবেচনায় আর আল্লাহ্ উত্তম রূপে জ্ঞাত কুয়োয় নাপাকি বিদ্যমান থাকা অবস্থায় নবী (ﷺ) কে এর পানি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা এবং তার এরূপ উত্তর প্রদান করা সম্পূর্ণ অসম্ভব। সম্ভবত এই প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিলো কুয়ো থেকে নাপাকি বের করার পরে, আর আল্লাহ্ উত্তমরূপে জ্ঞাত। যেন তাঁরা নবী (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করেছেন তা থেকে নাপাকি বের করার পর তা কি পাক হবে ? এবং এর সেই পানি নাপাক হবে না, যা এর পরবর্তীতে এখন তাতে পড়বে ? বস্তুত এটি একটি কঠিন বিষয়। যেহেতু কুয়োর দেয়ালসমূহ ধোয়া হয়নি এবং এর কাদা মাটিও বের করা হয়নি। অতএব নবী (ﷺ) তাঁদেরকে বলেছেন : পানি নাপাক হয় না। বস্তুত এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য হচ্ছে, সেই পানি যা নাপাকি বের করার পরে সেখানে পৌঁছে। এরূপ নয় যে, পানিতে নাপাকি মিলিত হওয়ার পরে তা নাপাক হবে না। আবার আমরা তাঁকে (রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে) দেখছি তিনি বলেছেনঃ মু'মিন নাপাক (অপবিত্র) হয় না।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এটিও একটি প্রমাণ যে, ফকীহগণ নিম্নোক্ত বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে যে, যখন কুয়োতে নাপাকি পতিত হয়ে পানির স্বাদ বা গন্ধ বা রং-কে প্রভাবিত করে তাহলে এর পানি নাপাক হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে 'বীরে বুয'আ' সম্পর্কে হাদীসে এমন কিছুর উল্লেখ নেই। এতে তো শুধু এটুকু ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ কে বী'রে বুয'আ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে এবং তাঁকে বলা হয়েছে যে, এতে কুকুর এবং হায়যে ব্যবহৃত কাপড়ের টুকরো ফেলা হয়ে থাকে। তিনি বললেন, পানিকে কোন বস্তু নাপাক করতে পারে না।
বস্তুত আমরা জ্ঞাত আছি যে, যদি কে কুয়োতে এর চাইতে কম কিছুও পতিত হয় তাহলে এর
পানির গন্ধ এবং স্বাদ পরিবর্তিত না হওয়া অসম্ভব। আর এটি যুক্তিসঙ্গত এবং পরিজ্ঞাত বিষয় । বস্তুত যখন বিষয়টি এরূপ এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁদের জন্যে উক্ত পানি ব্যবহার করা বৈধ সাব্যস্ত করেছেন আর এটি তো সকলের কাছে স্বীকৃত যে, সেটি পানি পূর্বোল্লিখিত কারণসমূহের কোন কারণে পরিবর্তিত হয়ে যায় নি।
আমাদের বিবেচনায় আর আল্লাহ্ উত্তম রূপে জ্ঞাত কুয়োয় নাপাকি বিদ্যমান থাকা অবস্থায় নবী (ﷺ) কে এর পানি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা এবং তার এরূপ উত্তর প্রদান করা সম্পূর্ণ অসম্ভব। সম্ভবত এই প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিলো কুয়ো থেকে নাপাকি বের করার পরে, আর আল্লাহ্ উত্তমরূপে জ্ঞাত। যেন তাঁরা নবী (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করেছেন তা থেকে নাপাকি বের করার পর তা কি পাক হবে ? এবং এর সেই পানি নাপাক হবে না, যা এর পরবর্তীতে এখন তাতে পড়বে ? বস্তুত এটি একটি কঠিন বিষয়। যেহেতু কুয়োর দেয়ালসমূহ ধোয়া হয়নি এবং এর কাদা মাটিও বের করা হয়নি। অতএব নবী (ﷺ) তাঁদেরকে বলেছেন : পানি নাপাক হয় না। বস্তুত এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য হচ্ছে, সেই পানি যা নাপাকি বের করার পরে সেখানে পৌঁছে। এরূপ নয় যে, পানিতে নাপাকি মিলিত হওয়ার পরে তা নাপাক হবে না। আবার আমরা তাঁকে (রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে) দেখছি তিনি বলেছেনঃ মু'মিন নাপাক (অপবিত্র) হয় না।
باب الماء يقع فيه النجاسة
6 - وَقَدْ حُكِيَ هَذَا الْقَوْلُ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي بِئْرِ بُضَاعَةَ عَنِ الْوَاقِدِيِّ , حَدَّثَنِيهِ أَبُو جَعْفَرٍ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي عِمْرَانَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللهِ مُحَمَّدِ بْنِ شُجَاعٍ الثَّلْجِيِّ، عَنِ الْوَاقِدِيِّ أَنَّهَا كَانَتْ كَذَلِكَ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ فِي ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّهُمْ قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ النَّجَاسَةَ إِذَا وَقَعَتْ فِي الْبِئْرِ فَغَلَبَتْ عَلَى طَعْمِ مَائِهَا أَوْ رِيحِهِ أَوْ لَوْنِهِ , أَنَّ مَاءَهَا قَدْ فَسَدَ. وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ بِئْرِ بُضَاعَةَ مِنْ هَذَا شَيْءٌ، إِنَّمَا فِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ بِئْرِ بُضَاعَةَ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّهُ يُلْقَى فِيهَا الْكِلَابُ وَالْمَحَائِضُ. فَقَالَ: «إِنَّ الْمَاءَ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ» . وَنَحْنُ نَعْلَمُ أَنَّ بِئْرًا لَوْ سَقَطَ فِيهَا مَا هُوَ أَقَلُّ مِنْ ذَلِكَ لَكَانَ مُحَالًا أَنْ لَا يَتَغَيَّرَ رِيحُ مَائِهَا وَطَعْمُهُ , هَذَا مِمَّا يُعْقَلُ وَيُعْلَمُ. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ، وَقَدْ أَبَاحَ لَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاءَهَا، وَأَجْمَعُوا أَنَّ ذَلِكَ لَمْ يَكُنْ وَقَدْ دَاخَلَ الْمَاءَ التَّغْيِيرُ مِنْ جِهَةٍ مِنَ الْجِهَاتِ اللَّاتِي ذَكَرْنَا ; اسْتَحَالَ عِنْدَنَا، وَاللهُ أَعْلَمُ، أَنْ يَكُونَ سُؤَالُهُمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ مَائِهَا وَجَوَابُهُ إِيَّاهُمْ فِي ذَلِكَ بِمَا أَجَابَهُمْ , كَانَ وَالنَّجَاسَةُ فِي الْبِئْرِ. وَلَكِنَّهُ، وَاللهُ أَعْلَمُ، كَانَ بَعْدَ أَنْ أُخْرِجَتِ النَّجَاسَةُ مِنَ الْبِئْرِ، فَسَأَلُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ: هَلْ تَطْهُرُ بِإِخْرَاجِ النَّجَاسَةِ مِنْهَا فَلَا يَنْجُسُ مَاؤُهَا الَّذِي يَطْرَأُ عَلَيْهَا بَعْدَ ذَلِكَ؟ وَذَلِكَ مَوْضِعٌ مُشْكِلٌ لِأَنَّ حِيطَانَ الْبِئْرِ لَمْ تُغْسَلْ وَطِينُهَا لَمْ يُخْرَجْ، فَقَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْمَاءَ لَا يَنْجُسُ» . يُرِيدُ بِذَلِكَ الْمَاءَ الَّذِي طَرَأَ عَلَيْهَا بَعْدَ إِخْرَاجِ النَّجَاسَةِ مِنْهَا لَا أَنَّ الْمَاءَ لَا يَنْجُسُ إِذَا خَالَطَتْهُ النَّجَاسَةُ وَقَدْ رَأَيْنَاهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْمُؤْمِنُ لَا يَنْجُسُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
৭. ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন........................
باب الماء يقع فيه النجاسة
7 - حَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْمُقَدَّمِيُّ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ حُمَيْدٍ، ح

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
৮. ইবন খুযায়মা (রাহঃ)..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমি নবী -এর সঙ্গে সাক্ষাত করলাম, তখন আমি ছিলাম অপবিত্র (গোসল ওয়াজিব) অবস্থায়। তিনি তাঁর হাত আমার দিকে প্রসারিত করলেন। আমি আমার হাত সরিয়ে ফেললাম এবং বললাম আমি অপবিত্র অবস্থায় আছি। তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ্! মু'মিন কখনও (এমন) অপবিত্র হয় না (যে, তাকে স্পর্শ করা যাবে না)। তিনি অন্য হাদীসে বলেছেন। ঃ ভূমি অপবিত্র হয় না।
باب الماء يقع فيه النجاسة
8 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ بَكْرٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: لَقِيتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا جُنُبٌ، فَمَدَّ يَدَهُ إِلَيَّ فَقَبَضْتُ يَدِي عَنْهُ وَقُلْتُ: إِنِّي جُنُبٌ. فَقَالَ: «سُبْحَانَ اللهِ إِنَّ الْمُسْلِمَ لَا يَنْجُسُ» . وَقَالَ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِي غَيْرِ هَذَا الْحَدِيثِ: «إِنَّ الْأَرْضَ لَا تَنْجُسُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৯
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
৯. আবু বাকরা বাক্কার ইবন কুতায়বা আল-বাকরাবী (রাহঃ)...... বর্ণনা করেন যে, হাসান বলেছেন যে, যখন সাকীফ গোত্রের প্রতিনিধিদল রাসূলুল্লাহ্ -এর খিদমতে উপস্থিত হল তখন তিনি তাদের জন্য মসজিদে তাঁবু স্থাপন করালেন। লোকেরা (সাহাবীগণ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! (এরাতো) অপবিত্র লোক। রাসূলুল্লাহ্ বললেন, ভূমির সঙ্গে লোকদের অপবিত্রতার কোনরূপ সম্পর্ক নেই। লোকদের অপবিত্রতার সম্পর্ক তাদের নিজের সঙ্গে।
বিশ্লেষণ।
অতএব তাঁর উক্তি “মু’মিন অপবিত্র হয় না”-এর মর্ম এটি নয় যে, তার দেহ নাপাক হবে না, যদিও তাতে নাপাকি লেগে থাকে। তাঁর উদ্দেশ্য হচ্ছে অন্য কোন অর্থের দিক দিয়ে অপবিত্র না হওয়া। অনুরূপভাবে তাঁর উক্তি “ভূমি নাপাক হয় না”-এর মর্ম এটি নয় যে, নাপাকি লাগা সত্ত্বেও তা নাপাক হয় না। আর এটি কিভাবে হতে পারে ? অথচ তিনি সে মসজিদের সেই স্থানে এক বালতি পানি ঢেলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যেখানে জনৈক বেদুঈন পেশাব করে দিয়েছিল।
বিশ্লেষণ।
অতএব তাঁর উক্তি “মু’মিন অপবিত্র হয় না”-এর মর্ম এটি নয় যে, তার দেহ নাপাক হবে না, যদিও তাতে নাপাকি লেগে থাকে। তাঁর উদ্দেশ্য হচ্ছে অন্য কোন অর্থের দিক দিয়ে অপবিত্র না হওয়া। অনুরূপভাবে তাঁর উক্তি “ভূমি নাপাক হয় না”-এর মর্ম এটি নয় যে, নাপাকি লাগা সত্ত্বেও তা নাপাক হয় না। আর এটি কিভাবে হতে পারে ? অথচ তিনি সে মসজিদের সেই স্থানে এক বালতি পানি ঢেলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যেখানে জনৈক বেদুঈন পেশাব করে দিয়েছিল।
باب الماء يقع فيه النجاسة
9 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ أَبُو بَكْرَةَ بَكَّارُ بْنُ قُتَيْبَةَ الْبَكْرَاوِيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو عَقِيلٍ الدَّوْرَقِيُّ، قَالَ: ثنا الْحَسَنُ " أَنَّ وَفْدَ ثَقِيفٍ لَمَّا قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَرَبَ لَهُمْ قُبَّةً فِي الْمَسْجِدِ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ , قَوْمٌ أَنْجَاسٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهُ لَيْسَ عَلَى الْأَرْضِ مِنْ أَنْجَاسِ النَّاسِ شَيْءٌ ; إِنَّمَا أَنْجَاسُ النَّاسِ عَلَى أَنْفُسِهِمْ» . فَلَمْ يَكُنْ مَعْنَى قَوْلِهِ: «الْمُسْلِمُ لَا يَنْجُسُ» يُرِيدُ بِذَلِكَ أَنَّ بَدَنَهُ لَا يَنْجُسُ وَإِنْ أَصَابَتْهُ النَّجَاسَةُ , إِنَّمَا أَرَادَ أَنَّهُ لَا يَنْجُسُ لِمَعْنًى غَيْرِ ذَلِكَ. وَكَذَلِكَ قَوْلُهُ «الْأَرْضُ لَا تَنْجُسُ» لَيْسَ يَعْنِي بِذَلِكَ أَنَّهَا لَا تَنْجُسُ , وَإِنْ أَصَابَتْهَا النَّجَاسَةُ. وَكَيْفَ يَكُونُ ذَلِكَ , وَقَدْ أَمَرَ بِالْمَكَانِ الَّذِي بَالَ فِيهِ الْأَعْرَابِيُّ مِنَ الْمَسْجِدِ أَنْ يُصَبَّ عَلَيْهِ ذَنُوبٌ مِنْ مَاءٍ؟

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১০
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
১০. আবু বাকুরা (রাহঃ)...... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, এক বার আমরা রাসূলুল্লাহ্ -এর সঙ্গে বসা ছিলাম। হঠাৎ এক বেদুঈন এলো এবং সে দাঁড়িয়ে মসজিদে পেশাব করতে লাগল। রাসূলুল্লাহ্ -এর সাহাবীগণ বললেন, নিবৃত্ত হও, নিবৃত্ত হও। রাসূলুল্লাহ বললেন, তাকে ছেড়ে দাও। তাঁরা তাকে ছেড়ে দিলেন, সে পেশাব সেরে নিল। এরপর রাসূলুল্লাহ্ তাকে ডেকে বললেন : এই সমস্ত মসজিদ পেশাব-পায়খানার উপযোগী স্থান নয়। এগুলো তো আল্লাহর যিকর, সালাত ও কুরআন তিলাওয়াতের জন্য নির্ধারিত। ইকরামা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ হুবহু এ কথা বা অনুরূপ কোন কথা বলেছেন। তারপর তিনি এক ব্যক্তিকে এক বালতি পানি আনার জন্য নির্দেশ দিলেন, সে পানির বালতি এনে এর উপর ঢেলে দিল।
باب الماء يقع فيه النجاسة
10 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ الْيَمَامِيُّ قَالَ: ثنا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ قَالَ: ثنا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ قَالَ: حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ: " بَيْنَمَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جُلُوسًا، إِذْ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ فَقَامَ يَبُولُ فِي الْمَسْجِدِ، فَقَالَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَهْ مَهْ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعُوهُ» . فَتَرَكُوهُ حَتَّى بَالَ , ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَاهُ فَقَالَ لَهُ: «إِنَّ هَذِهِ الْمَسَاجِدَ لَا تَصْلُحُ لِشَيْءٍ مِنْ هَذَا الْبَوْلِ وَالْعَذِرَةِ , إِنَّمَا هِيَ لِذِكْرِ اللهِ وَالصَّلَاةِ وَقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ» . قَالَ عِكْرِمَةُ: أَوْ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَأَمَرَ رَجُلًا فَجَاءَهُ بِدَلْوٍ مِنْ مَاءٍ فَشَنَّهُ عَلَيْهِ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
১১.আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ)...... ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আনাস ইব্ন মালিক (রাযিঃ)-কে রাসূলুল্লাহ্ সমস্ত মসজিদ” থেকে অনুরূপ উল্লেখ করতে শুনেছেন। তবে তিনি “এই থেকে শেষ পর্যন্ত এই অংশ উল্লেখ করেন নি। তাউস (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী সেই স্থানকে খনন করার নির্দেশ দিয়ে দিলেন।
باب الماء يقع فيه النجاسة
11 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَذْكُرُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ قَوْلَهُ: «إِنَّ هَذِهِ الْمَسَاجِدَ» إِلَى آخِرِ الْحَدِيثِ. وَرَوَى طَاوُسٌ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِمَكَانِهِ أَنْ يُحْفَرَ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
১২. আবু বাকরা বাক্কার ইব্ন কুতায়বা বাক্রাবী (রাহঃ)...... আমর ইব্ন দীনার (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তাউস (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। আর আব্দুল্লাহ্ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) ও এই হাদীস নবীজী ﷺ থেকে বর্ণনা করেছেন।
باب الماء يقع فيه النجاسة
12 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ أَبُو بَكْرَةَ بَكَّارُ بْنُ قُتَيْبَةَ الْبَكْرَاوِيُّ , قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، بِذَلِكَ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
১৩. ফাহাদ ইব্ন সুলায়মান (রাহঃ)...... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, জনৈক বেদুঈন মসজিদে পেশাব করে দিয়েছিল। তখন নবী -এর নির্দেশে তাতে এক বালতি পানি ঢেলে দেয়া হয়েছিল। এরপরে তিনি নির্দেশ দিলে সেই স্থান খনন করা হয়।
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন ঃ তাঁর উক্তি “ভূমি অপবিত্র হয় না” এর মর্ম হচ্ছে, যখন এর থেকে নাপাকি-অপবিত্রতা দূরীভূত হয়ে যায় তখন তা নাপাক থাকে না। বস্তুত এই অর্থ নয় যে, সেখানে নাপাকি বিদ্যমান থাকা অবস্থায়ও নাপাক হয় না । অনুরূপভাবে ‘বী’রে বুযাআ' সম্পর্কে তাঁর উক্তি যে, “পানি নাপাক হয় না” বস্তুত এটি নাপাকি পাওয়া যাওয়ার অবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, বরং তা নাপাকি না থাকার অবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সুতরাং এটিই হচ্ছে ‘বী’রে বুযাআ’ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ -এর উক্তি “পানিকে কোন বস্তু নাপাক করতে পারে না”-এর মর্মকথা। আল্লাহ্-ই উত্তমরূপে জ্ঞাত । অবশ্য আমরা অন্য হাদীসে লক্ষ্য করেছি যে, তিনি এরূপ বর্ণনা করেছেন।
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন ঃ তাঁর উক্তি “ভূমি অপবিত্র হয় না” এর মর্ম হচ্ছে, যখন এর থেকে নাপাকি-অপবিত্রতা দূরীভূত হয়ে যায় তখন তা নাপাক থাকে না। বস্তুত এই অর্থ নয় যে, সেখানে নাপাকি বিদ্যমান থাকা অবস্থায়ও নাপাক হয় না । অনুরূপভাবে ‘বী’রে বুযাআ' সম্পর্কে তাঁর উক্তি যে, “পানি নাপাক হয় না” বস্তুত এটি নাপাকি পাওয়া যাওয়ার অবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, বরং তা নাপাকি না থাকার অবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সুতরাং এটিই হচ্ছে ‘বী’রে বুযাআ’ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ -এর উক্তি “পানিকে কোন বস্তু নাপাক করতে পারে না”-এর মর্মকথা। আল্লাহ্-ই উত্তমরূপে জ্ঞাত । অবশ্য আমরা অন্য হাদীসে লক্ষ্য করেছি যে, তিনি এরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب الماء يقع فيه النجاسة
13 - حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ الْحِمَّانِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ سَمْعَانَ بْنِ مَالِكٍ الْأَسَدِيِّ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: «بَالَ أَعْرَابِيٌّ فِي الْمَسْجِدِ، فَأَمَرَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصُبَّ عَلَيْهِ دَلْوٌ مِنْ مَاءٍ , ثُمَّ أَمَرَ بِهِ فَحُفِرَ مَكَانُهُ»
قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَكَانَ مَعْنَى قَوْلِهِ «إِنَّ الْأَرْضَ لَا تَنْجُسُ» أَيْ أَنَّهَا لَا تَبْقَى نَجِسَةً إِذَا زَالَتِ النَّجَاسَةُ مِنْهَا، لَا أَنَّهُ يُرِيدُ أَنَّهَا غَيْرُ نَجِسَةٍ فِي حَالِ كَوْنِ النَّجَاسَةِ فِيهَا. فَكَذَلِكَ قَوْلُهُ فِي بِئْرِ بُضَاعَةَ «إِنَّ الْمَاءَ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ» لَيْسَ هُوَ عَلَى حَالِ كَوْنِ النَّجَاسَةِ فِيهَا ; إِنَّمَا هُوَ عَلَى حَالِ عَدَمِ النَّجَاسَةِ فِيهَا. فَهَذَا وَجْهُ قَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بِئْرِ بُضَاعَةَ «الْمَاءُ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ» ، وَاللهُ أَعْلَمُ، وَقَدْ رَأَيْنَاهُ بَيَّنَ ذَلِكَ فِي غَيْرِ هَذَا الْحَدِيثِ
قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَكَانَ مَعْنَى قَوْلِهِ «إِنَّ الْأَرْضَ لَا تَنْجُسُ» أَيْ أَنَّهَا لَا تَبْقَى نَجِسَةً إِذَا زَالَتِ النَّجَاسَةُ مِنْهَا، لَا أَنَّهُ يُرِيدُ أَنَّهَا غَيْرُ نَجِسَةٍ فِي حَالِ كَوْنِ النَّجَاسَةِ فِيهَا. فَكَذَلِكَ قَوْلُهُ فِي بِئْرِ بُضَاعَةَ «إِنَّ الْمَاءَ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ» لَيْسَ هُوَ عَلَى حَالِ كَوْنِ النَّجَاسَةِ فِيهَا ; إِنَّمَا هُوَ عَلَى حَالِ عَدَمِ النَّجَاسَةِ فِيهَا. فَهَذَا وَجْهُ قَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بِئْرِ بُضَاعَةَ «الْمَاءُ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ» ، وَاللهُ أَعْلَمُ، وَقَدْ رَأَيْنَاهُ بَيَّنَ ذَلِكَ فِي غَيْرِ هَذَا الْحَدِيثِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
১৪. সালিহ্ ইবন আব্দুর রহমান ইবন আমর ইবনুল হারিস আনসারী (রাহঃ) ও আলী ইবন শায়বা ইবনুস সাত বাগদাদী (রাহঃ)..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন রাসূলুল্লাহ্ সাঃ নিষেধ করেছেন অথবা এটা নিষিদ্ধ যে, মানুষ স্থির পানিতে পেশাব করে তারপর তা থেকে উযূ অথবা গোসল করবে।
باب الماء يقع فيه النجاسة
14 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ الْأَنْصَارِيُّ، وَعَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ بْنِ الصَّلْتِ الْبَغْدَادِيُّ قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَوْنٍ يُحَدِّثُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ: «نُهِيَ , أَوْ نَهَى أَنْ يَبُولَ الرَّجُلُ فِي الْمَاءِ الدَّائِمِ أَوِ الرَّاكِدِ، ثُمَّ يَتَوَضَّأَ مِنْهُ، أَوْ يَغْتَسِلَ مِنْهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
১৫. আলী ইব্ন মা'বাদ ইবন নূহ বাগদাদী (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ স্থির পানিতে- যা প্রবাহিত নয়, পেশাব করে তাতে তোমরা কেউ গোসল করবে না।
باب الماء يقع فيه النجاسة
15 - وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدِ بْنِ نُوحٍ الْبَغْدَادِيُّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَكْرٍ السَّهْمِيُّ قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي الْمَاءِ الدَّائِمِ الَّذِي لَا يَجْرِي , ثُمَّ يَغْتَسِلُ فِيهِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
১৬. ইউনুস ইব্ন আব্দুল আ'লা আবু মুসা সাদাফী (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ বলেছেন : স্থির পানিতে তোমরা কেউ কখনও পেশাব করবে না, যা থেকে পরবর্তীতে উযূ করবে কিংবা পান করবে।
باب الماء يقع فيه النجاسة
16 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى أَبُو مُوسَى الصَّدَفِيُّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ اللَّيْثِيُّ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ذُبَابٍ، وَهُوَ رَجُلٌ مِنَ الْأَزْدِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ مِينَاءَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي الْمَاءِ الدَّائِمِ ثُمَّ يَتَوَضَّأُ مِنْهُ أَوْ يَشْرَبُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৭
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
১৭. ইউনুস (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন অপবিত্র (গোসল ওয়াজিব) অবস্থায় স্থির পানিতে গোসল না করে। বর্ণনাকারী [আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে ] জিজ্ঞাসা করেন, হে আবু হুরায়রা! সে কি করবে ? তিনি বললেন, সে পানি উঠিয়ে নিবে।
باب الماء يقع فيه النجاسة
17 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ بُكَيْرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْأَشَجِّ حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا السَّائِبِ مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَغْتَسِلْ أَحَدُكُمْ فِي الْمَاءِ الدَّائِمِ وَهُوَ جُنُبٌ» . فَقَالَ: كَيْفَ يَفْعَلُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ؟ فَقَالَ: يَتَنَاوَلُهُ تَنَاوُلًا "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
১৮. ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন : তোমাদের কেউ যেন স্থির পানিতে যা কিনা প্রবাহিত নয় পেশাব না করে, যা থেকে তারপর সে গোসলও সম্পন্ন করবে।
باب الماء يقع فيه النجاسة
18 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، قَالَ: ثنا أَبِي، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي الْمَاءِ الدَّائِمِ الَّذِي لَا يَجْرِي , ثُمَّ يَغْتَسِلُ مِنْهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৯
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
১৯. হুসাইন ইন নসর ইবন মা'আরিক বাগদাদী (রাহঃ) ও ফাহাদ (রাহঃ)...... আবুয্ যিনাদ (রাহঃ) থেকে অনরূপ বিওয়াত করেছেন।
باب الماء يقع فيه النجاسة
19 - وَكَمَا حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرِ بْنِ المقراك الْبَغْدَادِيُّ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ الْفِرْيَابِيُّ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ رَحِمَهُ اللهُ , وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ. فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
২০. রাবী' ইবন সুলায়মানুল মুয়াযযিন (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন : তোমাদের কেউ স্থির পানিতে যা প্রবাহিত নয়, পেশাব করবেনা, যা থেকে পরে গোসল করবে।
باب الماء يقع فيه النجاسة
20 - حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدُ بْنُ مُوسَى قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ لَهِيعَةَ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجُ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي الْمَاءِ الدَّائِمِ الَّذِي لَا يَجْرِي , ثُمَّ يَغْتَسِلُ مِنْهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
