আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৫৮. সাদ্কা সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৮৭৮
২. ভিক্ষা করা হইতে বিরত থাকা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৭. আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, আনসারের কিছু লোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট কিছু চাহিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহাদেরকে কিছু দান করিলেন; তাহারা পুনরায় কিছু চাহিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবার কিছু দান করিলেন। এইভাবে তিনবার দান করিলেন; এমন কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট যাহা কিছু ছিল, সব নিঃশেষ হইয়া গেল। অতঃপর তিনি বলিলেন, আমার নিকট যেই পরিমাণ মাল থাকিবে, উহা তোমাদের না দিয়া আমি কখনও জমা করিয়া রাখিব না। তবে যে ভিক্ষা চাওয়া হইতে বিরত থাকিবে, আল্লাহ্ তাহাকে রক্ষা করেন। যে সবর করিয়া কাহারও মুখাপেক্ষী নহে বলিয়া কার্যত প্রকাশ করিবে, আল্লাহ্ তাহাকে ধনী করিয়া দিবেন। যে সবর করিবে, আল্লাহ তাআলা তাহাকে সবরের তাওফীক দান করিবেন। মানুষকে যাহা কিছু দান করা হইয়াছে, তন্মধ্যে সবরের চাইতে বড় ও উত্তম আর কিছু নাই।
باب مَا جَاءَ فِي التَّعَفُّفِ عَنْ الْمَسْأَلَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ نَاسًا مِنْ الْأَنْصَارِ سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَاهُمْ ثُمَّ سَأَلُوهُ فَأَعْطَاهُمْ حَتَّى نَفِدَ مَا عِنْدَهُ ثُمَّ قَالَ مَا يَكُونُ عِنْدِي مِنْ خَيْرٍ فَلَنْ أَدَّخِرَهُ عَنْكُمْ وَمَنْ يَسْتَعْفِفْ يُعِفَّهُ اللَّهُ وَمَنْ يَسْتَغْنِ يُغْنِهِ اللَّهُ وَمَنْ يَتَصَبَّرْ يُصَبِّرْهُ اللَّهُ وَمَا أُعْطِيَ أَحَدٌ عَطَاءً هُوَ خَيْرٌ وَأَوْسَعُ مِنْ الصَّبْرِ
হাদীস নং:১৮৭৯
২. ভিক্ষা করা হইতে বিরত থাকা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৮. আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিম্বরের উপর আরোহণ করিয়া বলিলেন, তিনি তখন সাদ্‌কা ও ভিক্ষাবৃত্তি হইতে নিজেকে বাঁচাইয়া রাখা সম্পর্কে কথা বলিতেছিলেন, নীচের হাতের চাইতে উপরের হাত উত্তম। উপরের হাত হইল দাতার হাত এবং নীচের হাত হইল ভিক্ষুকের হাত।
باب مَا جَاءَ فِي التَّعَفُّفِ عَنْ الْمَسْأَلَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَهُوَ يَذْكُرُ الصَّدَقَةَ وَالتَّعَفُّفَ عَنْ الْمَسْأَلَةِ الْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنْ الْيَدِ السُّفْلَى وَالْيَدُ الْعُلْيَا هِيَ الْمُنْفِقَةُ وَالسُّفْلَى هِيَ السَّائِلَةُ
হাদীস নং:১৮৮০
২. ভিক্ষা করা হইতে বিরত থাকা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৯. আতা ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর নিকট কিছু দান (বা তুহফা) প্রেরণ করিলেন। উমর (রাযিঃ) উহা (গ্রহণ করিলেন না বরং) ফেরত পাঠাইলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, ফেরত পাঠাইলৈ কেন? উমর (রাযিঃ) বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি আমাদেরকে বলিয়াছিলেন যে, ঐ লোকটি উত্তম, যে কাহারও নিকট হইতে কিছু গ্রহণ করে না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেন, ইহার অর্থ এই যে, ভিক্ষা চাহিয়া কিছু গ্রহণ করিবে না। আর চাওয়া ছাড়া যদি পাওয়া যায় উহা আল্লাহর দান। অতঃপর উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলিলেন, সেই পাক যাতের কসম, যাহার হাতে আমার প্রাণ রহিয়াছে, ভবিষ্যতে আমি কাহারও নিকট কিছু চাহিব না এবং চাওয়া ছাড়া কিছু পাওয়া গেলে উহা গ্রহণ করিব।
باب مَا جَاءَ فِي التَّعَفُّفِ عَنْ الْمَسْأَلَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْسَلَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بِعَطَاءٍ فَرَدَّهُ عُمَرُ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَ رَدَدْتَهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَيْسَ أَخْبَرْتَنَا أَنَّ خَيْرًا لِأَحَدِنَا أَنْ لَا يَأْخُذَ مِنْ أَحَدٍ شَيْئًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا ذَلِكَ عَنْ الْمَسْأَلَةِ فَأَمَّا مَا كَانَ مِنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ فَإِنَّمَا هُوَ رِزْقٌ يَرْزُقُكَهُ اللَّهُ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَمَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا أَسْأَلُ أَحَدًا شَيْئًا وَلَا يَأْتِينِي شَيْءٌ مِنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ إِلَّا أَخَذْتُهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৮৮১
২. ভিক্ষা করা হইতে বিরত থাকা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ১০. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন, সেই পাক যাতের কসম, যাহার হাতে আমার প্রাণ রহিয়াছে, যদি কোন মুসলমান রশি দিয়া জ্বালানি কাঠের বোঝা বাঁধিয়া উহা স্বীয় পৃষ্ঠে তুলিয়া লয় (এবং উহাকে বিক্রি করিয়া রোজগার করে), তাহা সেই ব্যক্তির জন্য ইহা হইতে উত্তম যে, সে এমন কোন ব্যক্তির নিকট গিয়া কিছু (ভিক্ষা) চায়, যাহাকে আল্লাহ তাআলা মাল দিয়াছেন, সে তাহাকে কিছু দিক বা না দিক।*
باب مَا جَاءَ فِي التَّعَفُّفِ عَنْ الْمَسْأَلَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَأَنْ يَأْخُذَ أَحَدُكُمْ حَبْلَهُ فَيَحْتَطِبَ عَلَى ظَهْرِهِ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَأْتِيَ رَجُلًا أَعْطَاهُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ فَيَسْأَلَهُ أَعْطَاهُ أَوْ مَنَعَهُ
হাদীস নং:১৮৮২
২. ভিক্ষা করা হইতে বিরত থাকা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ১১. আসাদ গোত্রীয় এক ব্যক্তির নিকট হইতে আতা ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) রেওয়ায়ত বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেন, আমি ও আমার পরিবার বকীউল-গরকদে (মদীনার প্রসিদ্ধ কবরস্থান) অবস্থান করিলাম। আমার স্ত্রী আমাকে বলিল, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট গিয়া আমাদের খাওয়ার জন্য কিছু চাহিয়া আন এবং আমাদের দৈন্যের কথা বর্ণনা কর। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট গিয়া দেখি যে, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট কিছু ভিক্ষা চাহিতেছে এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিতেছেন, আমার নিকট এমন কিছু নাই যে, আমি তোমাকে দিতে পারি। (ইহা শুনিয়া) লোকটি ক্রোধান্বিত হইয়া এই বলিতে বলিতে ফিরিয়া গেল, আমার জীবনের কসম! তুমি যাহাকে দিতে চাও তাহাকেই দাও।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেন, এই লোকটি আমার উপর এইজন্য রাগ করিয়া চলিয়া গেল যে, তাহাকে কিছু দেওয়ার মতো আমার কাছে কিছু নাই। যেই মুসলমানের নিকট চল্লিশ দিরহাম (এক উকিয়া) কিংবা সেই পরিমাণ মাল আছে, সে যদি ভিক্ষা চায় তবে সে কাকুতি মিনতি করিয়া ভিক্ষা চাহিল। আসাদ গোত্রীয় লোকটি বলিল, একটি দুধের উট আমার জন্য এক উকিয়া (চল্লিশ দিরহাম) হইতে উত্তম। মালিক (রাহঃ) বলেন, চল্লিশ দিরহামে এক উকিয়া হয়। আসাদ লোকটি বলিল, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট কিছু না চাহিয়া প্রত্যাবর্তন করিলাম। ইহার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট যব ও শুকনা আঙ্গুর আসিল এবং তিনি আমাদেরকেও সেইগুলি হইতে দিলেন, এমন কি শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা আমাদেরেকে ধনী করিয়া দিলেন।
باب مَا جَاءَ فِي التَّعَفُّفِ عَنْ الْمَسْأَلَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي أَسَدٍ أَنَّهُ قَالَ نَزَلْتُ أَنَا وَأَهْلِي بِبَقِيعِ الْغَرْقَدِ فَقَالَ لِي أَهْلِي اذْهَبْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْأَلْهُ لَنَا شَيْئًا نَأْكُلُهُ وَجَعَلُوا يَذْكُرُونَ مِنْ حَاجَتِهِمْ فَذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَجَدْتُ عِنْدَهُ رَجُلًا يَسْأَلُهُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا أَجِدُ مَا أُعْطِيكَ فَتَوَلَّى الرَّجُلُ عَنْهُ وَهُوَ مُغْضَبٌ وَهُوَ يَقُولُ لَعَمْرِي إِنَّكَ لَتُعْطِي مَنْ شِئْتَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّهُ لَيَغْضَبُ عَلَيَّ أَنْ لَا أَجِدَ مَا أُعْطِيهِ مَنْ سَأَلَ مِنْكُمْ وَلَهُ أُوقِيَّةٌ أَوْ عَدْلُهَا فَقَدْ سَأَلَ إِلْحَافًا قَالَ الْأَسَدِيُّ فَقُلْتُ لَلَقْحَةٌ لَنَا خَيْرٌ مِنْ أُوقِيَّةٍ قَالَ مَالِك وَالْأُوقِيَّةُ أَرْبَعُونَ دِرْهَمًا قَالَ فَرَجَعْتُ وَلَمْ أَسْأَلْهُ فَقُدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ ذَلِكَ بِشَعِيرٍ وَزَبِيبٍ فَقَسَمَ لَنَا مِنْهُ حَتَّى أَغْنَانَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৮৮৩
২. ভিক্ষা করা হইতে বিরত থাকা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ১২. আ’লা ইবনে আব্দুর রহমান (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর পথে মাল সাদ্‌কা করিলে মাল কমিয়া যায় না। মাফ করিলে সম্মান বৃদ্ধি হয় এবং নম্রতা প্রদর্শনকারীর মর্যাদা আল্লাহ তাআলা বাড়াইয়া দেন।

মালিক (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটির সনদ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পর্যন্ত পৌছিয়াছে কি না, তাহা আমার জানা নাই।
باب مَا جَاءَ فِي التَّعَفُّفِ عَنْ الْمَسْأَلَةِ
وَعَنْ مَالِك عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِنْ مَالٍ وَمَا زَادَ اللَّهُ عَبْدًا بِعَفْوٍ إِلَّا عِزًّا وَمَا تَوَاضَعَ عَبْدٌ إِلَّا رَفَعَهُ اللَّهُ قَالَ مَالِك لَا أَدْرِي أَيُرْفَعُ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمْ لَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
rabi
বর্ণনাকারী: