আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩৯. মুকাতাবা-গোলামের আযাদীর জন্য অর্থ প্রদানের চুক্তি - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৫৩৫
১১. মুকাতাবের আযাদী প্রদানের যে যে পন্থা বৈধ নহে
রেওয়ায়ত ১৩. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ক্রীতদাসদের একদল যদি একই কিতাবাতে সংযুক্ত থাকে, তবে কিতাবাতে শামিল অন্যান্য সাথীর পরামর্শ ও সম্মতি ব্যতীত উহাদের একজনকে কর্তা আযাদী দিতে পারিবে না, আর উহারা যদি অল্প বয়সের হয়, তবে উহাদের পরামর্শ গ্রহণযোগ্য নহে এবং উহাদের পরামর্শ গ্রহণ করা বৈধ নহে। মালিক (রাহঃ) বলেন, ইহা এইজন্য যে, কোন ব্যক্তি হয়ত সকলের পক্ষে চেষ্টা বা পরিশ্রম করিতে পারে এবং (চেষ্টা করিয়া) সকলের পক্ষ হইতে “বদলে কিতাবাত” পরিশোধ করিতে পারে, যেন সকলের আযাদী ইহার দ্বারা পূর্ণতা লাভ করে। আর যে ব্যক্তি সকলের পক্ষ হইতে “বদলে কিতাবাত” পরিশোধ করিবে এবং গোলামি হইতে উহাদের মুক্তি পাওয়া যাহার উপর নির্ভরশীল কর্তা সেই ব্যক্তিকে আযাদ করিয়া দিতেছে যেন অন্যান্য ক্রীতদাস অপারক হইয়া পড়ে (ফলে যেন উহারা গোলাম থাকিয়া যায়)। কর্তা এইরূপ করিয়া নিজের জন্য কিছু অতিরিক্ত সুবিধা আদায় করিতে প্রয়াসী। তাই যাহারা অবশিষ্ট রহিয়াছে উহাদের স্বার্থে এইরূপ করা জায়েয হইবে না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করিয়াছেন, ইসলামে কাহারো ক্ষতি সাধন বৈধ নহে। (এমনকি) প্রতিশোধমূলক কাহারো ক্ষতি সাধনও বৈধ নহে। (অন্যদেরকে ক্রীতদাস রাখার জন্য দলের একজনকে আযাদ করিয়া দেওয়া) ইহাতে অন্যদের উপর জঘন্য ধরনের ক্ষতি করা হইল।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কয়েকজন ক্রীতদাস একত্রে কিতাবাত করিয়াছে (উহাদের মধ্য হইতে) অশীতিপর বৃদ্ধ এবং বালককে আযাদ করিয়া দেওয়ার ইখতিয়ার কর্তার রহিয়াছে। যাহারা কিছু দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না এবং উহাদের কিতাবাতের মূল্য আদায়ের ব্যাপারে কোন সহযোগী বা সাহায্যকারীও উহাদের নাই, তবে (এইরূপ ব্যক্তিকে) আযাদ করা কর্তার জন্য জায়েয আছে।
باب مَا لَا يَجُوزُ مِنْ عِتْقِ الْمُكَاتَبِ
قَالَ مَالِك إِذَا كَانَ الْقَوْمُ جَمِيعًا فِي كِتَابَةٍ وَاحِدَةٍ لَمْ يُعْتِقْ سَيِّدُهُمْ أَحَدًا مِنْهُمْ دُونَ مُؤَامَرَةِ أَصْحَابِهِ الَّذِينَ مَعَهُ فِي الْكِتَابَةِ وَرِضًا مِنْهُمْ وَإِنْ كَانُوا صِغَارًا فَلَيْسَ مُؤَامَرَتُهُمْ بِشَيْءٍ وَلَا يَجُوزُ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ قَالَ وَذَلِكَ أَنَّ الرَّجُلَ رُبَّمَا كَانَ يَسْعَى عَلَى جَمِيعِ الْقَوْمِ وَيُؤَدِّي عَنْهُمْ كِتَابَتَهُمْ لِتَتِمَّ بِهِ عَتَاقَتُهُمْ فَيَعْمِدُ السَّيِّدُ إِلَى الَّذِي يُؤَدِّي عَنْهُمْ وَبِهِ نَجَاتُهُمْ مِنْ الرِّقِّ فَيُعْتِقُهُ فَيَكُونُ ذَلِكَ عَجْزًا لِمَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ وَإِنَّمَا أَرَادَ بِذَلِكَ الْفَضْلَ وَالزِّيَادَةَ لِنَفْسِهِ فَلَا يَجُوزُ ذَلِكَ عَلَى مَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا ضَرَرَ وَلَا ضِرَارَ وَهَذَا أَشَدُّ الضَّرَرِ قَالَ مَالِك فِي الْعَبِيدِ يُكَاتَبُونَ جَمِيعًا إِنَّ لِسَيِّدِهِمْ أَنْ يُعْتِقَ مِنْهُمْ الْكَبِيرَ الْفَانِيَ وَالصَّغِيرَ الَّذِي لَا يُؤَدِّي وَاحِدٌ مِنْهُمَا شَيْئًا وَلَيْسَ عِنْدَ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَوْنٌ وَلَا قُوَّةٌ فِي كِتَابَتِهِمْ فَذَلِكَ جَائِزٌ لَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান