আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৩৯. মুকাতাবা-গোলামের আযাদীর জন্য অর্থ প্রদানের চুক্তি - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৫২৯
৫. মুকাতাব-এর কিতাবাত বিক্রয় প্রসঙ্গে
রেওয়ায়ত ৭. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে সর্বোত্তম যাহা আমি শুনিয়াছি সেই ব্যক্তি সম্পর্কে-যে কোন লোকের মুকাতাবকে খরিদ করে। সেই মুকাতাব-এর সহিত দিরহাম বা দীনারের পরিবর্তে কিতাবাত করা হইলে তবে উহাকে (দিরহাম বা দীনার ব্যতীত) অন্য কোন পণ্যের বিনিময়ে নগদ বিক্রি করিতে পারবে। কারণ বিক্রি করা হইলে তবে হইবে ঋণের বিনিময়ে বিক্রয় করা। পক্ষান্তরে ঋণের বিনিময়ে ঋণ বিক্রয় করা নিষিদ্ধ। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মুকাতাবের কর্তা যদি উহার সহিত কোন মালের যথা উট, গরু, ছাগল অথবা ক্রীতদাসের উপর মুকাতাবাত করিয়া থাকে, তবে ক্রেতা মুকাতাবকে স্বর্ণ কিংবা রৌপ্য অথবা যে পণ্যের দ্রব্যের বিনিময়ে কর্তা উহার সহিত মুকাতাবাত করিয়াছে সে পণ্যের বিপরীত পণ্যের বিনিময়ে ক্রয় করিতে পরিবে, তবে মূল্য নগদ পরিশোধ করিতে হইবে, বাকী নহে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মুকাতাবের ব্যাপারে অতি ভাল অভিমত আমি যাহা শুনিয়াছি তাহা এই— যদি উহাকে বিক্রয় করা হয়, তবে যে উহাকে খরিদ করিয়াছে তাহার অপেক্ষা মুকাতাবই আপন কিতাবাত ক্রয় করার অধিক হকদার, যেই মূল্যে উহাকে তাহার কর্তা বিক্রয় করিয়াছে সেই মূল্য নগদ পরিশোধ করিতে মুকাতাব যদি সক্ষম হয়, কারণ মুকাতাব কর্তৃক তাহার নিজেকে ক্রয় করা আযাদী বটে, (মুকাতাব ক্রয় করিলে সাথে সাথে আযাদ হইয়া যাইবে, অন্য কেহ খরিদ করিলে হয়ত গোলাম বানাইয়া রাখিবে) [আরও এইজন্য যে,] কিতাবাতের সঙ্গে অন্যান্য যেই সব ওসীয়ত থাকে সেই সবের যাহারা কিতাবাত করিয়াছে তাহাদের কোন শরীক যদি নিজের অংশ বিক্রি করে যথা— মুকাতাবের অর্ধেকাংশ অথবা এক-তৃতীয়াংশ অথবা এক-চতুর্থাংশ অথবা মুকাতাবের অংশসমূহ হইতে যেকোন অংশ তবে বিক্রীত অংশে মুকাতাবের জন্য শুফ’আ-এর দাবি করার হক থাকিবে না। কারণ (অংশ বিক্রয় করা) ইহা কিতা’আতের মত। আর মুকাতাবের কিছু অংশে কিতা’আত করা অন্যান্য শরীকদের অনুমতি ব্যতীত জায়েয নহে। আর মুকাতাবের যে অংশ বিক্রি করা হইয়াছে উহার দ্বারা তাহার জন্য সম্পূর্ণ হুরমত আযাদ ব্যক্তির মর্যাদা লাভ প্রতিষ্ঠিত হইবে না। মুকাতাবের মালে তিনি অধিকার বর্জিত। পক্ষান্তরে আংশিক খরিদের পর তাহার অপারক হওয়ার আশঙ্কাও করা যাইতে পারে, যদ্দরুন যে অংশ সে খরিদ করিয়াছিল তাহার অপারক হওয়াতে সেই অর্থও বিফলে যাইতে পারে। ইহা মুকাতাব কর্তৃক নিজেকে সম্পূর্ণ ক্রয় করার মতো (ব্যাপার) নহে। তবে যদি তাহার কিতাবাতে যাহার অংশ অবশিষ্ট রহিয়াছে সে যদি অনুমতি দেয় (তাহা হইলে বৈধ হইবে) শরীকদারগণ যদি তাহার অংশ (যাহা বিক্রয় করা হইবে) খরিদ করার তাহাকে অনুমতি দেয় তবে সে ইহার অধিক হকদার হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মুকাতাব-এর কিস্তিসমূহের কোন কিস্তির বিক্রয় জায়েয নহে, কারণ ইহার ধোঁকা আছে। মুকাতাব অপারক হইয়া গেলে উহার জিম্মায় যে অর্থ (বদলে-কিতাবাতের) রহিয়াছে তাহা বাতিল হইয়া যাইবে। আর যদি মুকতাব-এর মৃত্যু হয় অথবা সে মুফলিস (রিক্তহস্ত) হইয়া যায় এবং তাহার উপর লোকের ঋণ থাকে তবে যে কিস্তি খরিদ করিয়াছে তাহার জন্য ঋণদাতাদের সঙ্গে শামিল হইয়া তাহার অংশ আদায় করা জায়েয হইবে না। পক্ষান্তরে যে মুকাতাবের কোন কিস্তি খরিদ করিয়াছে সে মুকাতাবের কর্তার মতো হইবে। মুকাতাবের কর্তা ক্রীতদাসের কিতাবাতের অর্থের জন্য মুকাতাবের ঋণদাতাদের সাথে শামিল বা শরীক হইবে না (তদ্রূপ যে কিস্তি খরিদ করিয়াছে সেও না)। অনুরূপ (কর্তার) খাজনা যাহা গোলামের উপর (অনাদায়ের কারণে) একত্র হইয়াছে এই খাজনা একত্র হওয়ার দরুন মুকাতাবের কর্তা উহার ঋণদাতাদের সঙ্গে শামিল বা শরীক হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি মুকাতাব স্বর্ণমুদ্রা অথবা রৌপ্য মুদ্রার বিনিময়ে নিজের কিতাবাতকে খরিদ করে অথবা পণ্যের বিনিময়ে। আর কিতাবাত যে স্বর্ণ বা রৌপ্য মুদ্রার অথবা পণ্যের বিনিময়ে হইয়াছে, সে মুদ্রা বা পণ্য হইতে ভিন্ন পণ্য দ্বারা অথবা অভিন্ন পণ্য দ্বারা নগদ অথবা বাকী উহা ক্রয় করাতে কোন দোষ নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মুকাতাবের মৃত্যু হইয়াছে এবং সে রাখিয়া গিয়াছে উম্মে-ওয়ালাদ আর ছোট ছোট সন্তান সেই পক্ষের অথবা উহার ভিন্ন পক্ষের (আযাদ হইবার) চেষ্টা করার সামর্থ উহাদের নাই, ‘বদলে-কিতাবাত’ আদায় করিতে উহাদের অপারকতারও আশঙ্কা রহিয়াছে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উহাদের পিতার উম্মে ওয়ালাদকে বিক্রয় করা হইবে, যদি তাহার মূল্য এই পরিমাণ হয় যদ্বারা উহাদের সকলের “বদলে কিতাবাত” পূর্ণরূপে শোধ করা যায়। এই “উম্মে-ওয়ালাদ” উক্ত সন্তানদের হউক অথবা ভিন্ন কেউ হউক (উহাকে বিক্রি করিয়া) সকলের “বদলে কিতাবাত” পরিশোধ করা হইবে এবং উহারা সকলে আযাদ হইয়া যাইবে। কারণ উহাদের পিতা নিজের “বদলে-কিতাবাত” আযাদ করিতে অপারক হইলে উম্মে-ওয়ালাদকে বিক্রি করিতে নিষেধ করিত না। তাই ইহারা “বদলে কিতাবাত” আদায় করিতে যখন তাহাদের অপারকতার আশঙ্কা করা হইবে তখন উহাদের পিতার “উম্মে ওয়ালাদ”-কে বিক্রয় করা হইবে এবং উহাদের (কিতাবাতের) মূল্য পরিশোধ করা হইবে। আর যদি তাহদের পক্ষে “বদলে কিতাবাত” আদায় করা যায় এমন কিছু না থাকে এবং “উম্মে ওয়ালাদ” ও উহারা (সন্তানগণ) পরিশ্রম করিতেও সামর্থ্য না রাখে, তবে উহারা সকলে উহাদের কর্তার দাস হইয়া যাইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের সর্বসম্মত অভিমত এই, যে ব্যক্তি মুকাতাবের কিতাবাতকে খরিদ করে, অতঃপর “বদলে-কিতাবাত” পরিশোধ করার পূর্বে মুকাতাবের মৃত্যু হয়, তবে যে “কিতাবাত” ক্রয় করিয়াছে সে (মৃত) মুকাতাবের মীরাস পাইবে। আর যদি মুকাতাব অক্ষম হয়, তার ক্রেতা উহার মালিক হইবে (অর্থাৎ সে ক্রেতার দাসরূপে থাকিবে)। আর মুকতাব যদি “বদলে কিতাবাত” উহার ক্রেতার নিকট আদায় করিয়াছে এবং ইহাতে সে আযাদ হইয়া গিয়াছে তখন উহার মুকতাব যে আযাদী লাভ করিয়াছে। উত্তরাধিকার কিতাবাত চুক্তি যে করিয়াছিল সে পাইবে। যে কিতাবাত ক্রয় করিয়াছে সে উহার কোন প্রকার উত্তরাধিকার লাভ করবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মুকাতাবের ব্যাপারে অতি ভাল অভিমত আমি যাহা শুনিয়াছি তাহা এই— যদি উহাকে বিক্রয় করা হয়, তবে যে উহাকে খরিদ করিয়াছে তাহার অপেক্ষা মুকাতাবই আপন কিতাবাত ক্রয় করার অধিক হকদার, যেই মূল্যে উহাকে তাহার কর্তা বিক্রয় করিয়াছে সেই মূল্য নগদ পরিশোধ করিতে মুকাতাব যদি সক্ষম হয়, কারণ মুকাতাব কর্তৃক তাহার নিজেকে ক্রয় করা আযাদী বটে, (মুকাতাব ক্রয় করিলে সাথে সাথে আযাদ হইয়া যাইবে, অন্য কেহ খরিদ করিলে হয়ত গোলাম বানাইয়া রাখিবে) [আরও এইজন্য যে,] কিতাবাতের সঙ্গে অন্যান্য যেই সব ওসীয়ত থাকে সেই সবের যাহারা কিতাবাত করিয়াছে তাহাদের কোন শরীক যদি নিজের অংশ বিক্রি করে যথা— মুকাতাবের অর্ধেকাংশ অথবা এক-তৃতীয়াংশ অথবা এক-চতুর্থাংশ অথবা মুকাতাবের অংশসমূহ হইতে যেকোন অংশ তবে বিক্রীত অংশে মুকাতাবের জন্য শুফ’আ-এর দাবি করার হক থাকিবে না। কারণ (অংশ বিক্রয় করা) ইহা কিতা’আতের মত। আর মুকাতাবের কিছু অংশে কিতা’আত করা অন্যান্য শরীকদের অনুমতি ব্যতীত জায়েয নহে। আর মুকাতাবের যে অংশ বিক্রি করা হইয়াছে উহার দ্বারা তাহার জন্য সম্পূর্ণ হুরমত আযাদ ব্যক্তির মর্যাদা লাভ প্রতিষ্ঠিত হইবে না। মুকাতাবের মালে তিনি অধিকার বর্জিত। পক্ষান্তরে আংশিক খরিদের পর তাহার অপারক হওয়ার আশঙ্কাও করা যাইতে পারে, যদ্দরুন যে অংশ সে খরিদ করিয়াছিল তাহার অপারক হওয়াতে সেই অর্থও বিফলে যাইতে পারে। ইহা মুকাতাব কর্তৃক নিজেকে সম্পূর্ণ ক্রয় করার মতো (ব্যাপার) নহে। তবে যদি তাহার কিতাবাতে যাহার অংশ অবশিষ্ট রহিয়াছে সে যদি অনুমতি দেয় (তাহা হইলে বৈধ হইবে) শরীকদারগণ যদি তাহার অংশ (যাহা বিক্রয় করা হইবে) খরিদ করার তাহাকে অনুমতি দেয় তবে সে ইহার অধিক হকদার হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মুকাতাব-এর কিস্তিসমূহের কোন কিস্তির বিক্রয় জায়েয নহে, কারণ ইহার ধোঁকা আছে। মুকাতাব অপারক হইয়া গেলে উহার জিম্মায় যে অর্থ (বদলে-কিতাবাতের) রহিয়াছে তাহা বাতিল হইয়া যাইবে। আর যদি মুকতাব-এর মৃত্যু হয় অথবা সে মুফলিস (রিক্তহস্ত) হইয়া যায় এবং তাহার উপর লোকের ঋণ থাকে তবে যে কিস্তি খরিদ করিয়াছে তাহার জন্য ঋণদাতাদের সঙ্গে শামিল হইয়া তাহার অংশ আদায় করা জায়েয হইবে না। পক্ষান্তরে যে মুকাতাবের কোন কিস্তি খরিদ করিয়াছে সে মুকাতাবের কর্তার মতো হইবে। মুকাতাবের কর্তা ক্রীতদাসের কিতাবাতের অর্থের জন্য মুকাতাবের ঋণদাতাদের সাথে শামিল বা শরীক হইবে না (তদ্রূপ যে কিস্তি খরিদ করিয়াছে সেও না)। অনুরূপ (কর্তার) খাজনা যাহা গোলামের উপর (অনাদায়ের কারণে) একত্র হইয়াছে এই খাজনা একত্র হওয়ার দরুন মুকাতাবের কর্তা উহার ঋণদাতাদের সঙ্গে শামিল বা শরীক হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি মুকাতাব স্বর্ণমুদ্রা অথবা রৌপ্য মুদ্রার বিনিময়ে নিজের কিতাবাতকে খরিদ করে অথবা পণ্যের বিনিময়ে। আর কিতাবাত যে স্বর্ণ বা রৌপ্য মুদ্রার অথবা পণ্যের বিনিময়ে হইয়াছে, সে মুদ্রা বা পণ্য হইতে ভিন্ন পণ্য দ্বারা অথবা অভিন্ন পণ্য দ্বারা নগদ অথবা বাকী উহা ক্রয় করাতে কোন দোষ নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মুকাতাবের মৃত্যু হইয়াছে এবং সে রাখিয়া গিয়াছে উম্মে-ওয়ালাদ আর ছোট ছোট সন্তান সেই পক্ষের অথবা উহার ভিন্ন পক্ষের (আযাদ হইবার) চেষ্টা করার সামর্থ উহাদের নাই, ‘বদলে-কিতাবাত’ আদায় করিতে উহাদের অপারকতারও আশঙ্কা রহিয়াছে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উহাদের পিতার উম্মে ওয়ালাদকে বিক্রয় করা হইবে, যদি তাহার মূল্য এই পরিমাণ হয় যদ্বারা উহাদের সকলের “বদলে কিতাবাত” পূর্ণরূপে শোধ করা যায়। এই “উম্মে-ওয়ালাদ” উক্ত সন্তানদের হউক অথবা ভিন্ন কেউ হউক (উহাকে বিক্রি করিয়া) সকলের “বদলে কিতাবাত” পরিশোধ করা হইবে এবং উহারা সকলে আযাদ হইয়া যাইবে। কারণ উহাদের পিতা নিজের “বদলে-কিতাবাত” আযাদ করিতে অপারক হইলে উম্মে-ওয়ালাদকে বিক্রি করিতে নিষেধ করিত না। তাই ইহারা “বদলে কিতাবাত” আদায় করিতে যখন তাহাদের অপারকতার আশঙ্কা করা হইবে তখন উহাদের পিতার “উম্মে ওয়ালাদ”-কে বিক্রয় করা হইবে এবং উহাদের (কিতাবাতের) মূল্য পরিশোধ করা হইবে। আর যদি তাহদের পক্ষে “বদলে কিতাবাত” আদায় করা যায় এমন কিছু না থাকে এবং “উম্মে ওয়ালাদ” ও উহারা (সন্তানগণ) পরিশ্রম করিতেও সামর্থ্য না রাখে, তবে উহারা সকলে উহাদের কর্তার দাস হইয়া যাইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের সর্বসম্মত অভিমত এই, যে ব্যক্তি মুকাতাবের কিতাবাতকে খরিদ করে, অতঃপর “বদলে-কিতাবাত” পরিশোধ করার পূর্বে মুকাতাবের মৃত্যু হয়, তবে যে “কিতাবাত” ক্রয় করিয়াছে সে (মৃত) মুকাতাবের মীরাস পাইবে। আর যদি মুকাতাব অক্ষম হয়, তার ক্রেতা উহার মালিক হইবে (অর্থাৎ সে ক্রেতার দাসরূপে থাকিবে)। আর মুকতাব যদি “বদলে কিতাবাত” উহার ক্রেতার নিকট আদায় করিয়াছে এবং ইহাতে সে আযাদ হইয়া গিয়াছে তখন উহার মুকতাব যে আযাদী লাভ করিয়াছে। উত্তরাধিকার কিতাবাত চুক্তি যে করিয়াছিল সে পাইবে। যে কিতাবাত ক্রয় করিয়াছে সে উহার কোন প্রকার উত্তরাধিকার লাভ করবে না।
باب بَيْعِ الْمُكَاتَبِ
قَالَ مَالِك إِنَّ أَحْسَنَ مَا سُمِعَ فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِي مُكَاتَبَ الرَّجُلِ أَنَّهُ لَا يَبِيعُهُ إِذَا كَانَ كَاتَبَهُ بِدَنَانِيرَ أَوْ دَرَاهِمَ إِلَّا بِعَرْضٍ مِنْ الْعُرُوضِ يُعَجِّلُهُ وَلَا يُؤَخِّرُهُ لِأَنَّهُ إِذَا أَخَّرَهُ كَانَ دَيْنًا بِدَيْنٍ وَقَدْ نُهِيَ عَنْ الْكَالِئِ بِالْكَالِئِ قَالَ وَإِنْ كَاتَبَ الْمُكَاتَبَ سَيِّدُهُ بِعَرْضٍ مِنْ الْعُرُوضِ مِنْ الْإِبِلِ أَوْ الْبَقَرِ أَوْ الْغَنَمِ أَوْ الرَّقِيقِ فَإِنَّهُ يَصْلُحُ لِلْمُشْتَرِي أَنْ يَشْتَرِيَهُ بِذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ أَوْ عَرْضٍ مُخَالِفٍ لِلْعُرُوضِ الَّتِي كَاتَبَهُ سَيِّدُهُ عَلَيْهَا يُعَجِّلُ ذَلِكَ وَلَا يُؤَخِّرُهُ قَالَ مَالِك أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي الْمُكَاتَبِ أَنَّهُ إِذَا بِيعَ كَانَ أَحَقَّ بِاشْتِرَاءِ كِتَابَتِهِ مِمَّنْ اشْتَرَاهَا إِذَا قَوِيَ أَنْ يُؤَدِّيَ إِلَى سَيِّدِهِ الثَّمَنَ الَّذِي بَاعَهُ بِهِ نَقْدًا وَذَلِكَ أَنَّ اشْتِرَاءَهُ نَفْسَهُ عَتَاقَةٌ وَالْعَتَاقَةُ تُبَدَّأُ عَلَى مَا كَانَ مَعَهَا مِنْ الْوَصَايَا وَإِنْ بَاعَ بَعْضُ مَنْ كَاتَبَ الْمُكَاتَبَ نَصِيبَهُ مِنْهُ فَبَاعَ نِصْفَ الْمُكَاتَبِ أَوْ ثُلُثَهُ أَوْ رُبُعَهُ أَوْ سَهْمًا مِنْ أَسْهُمِ الْمُكَاتَبِ فَلَيْسَ لِلْمُكَاتَبِ فِيمَا بِيعَ مِنْهُ شُفْعَةٌ وَذَلِكَ أَنَّهُ يَصِيرُ بِمَنْزِلَةِ الْقَطَاعَةِ وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُقَاطِعَ بَعْضَ مَنْ كَاتَبَهُ إِلَّا بِإِذْنِ شُرَكَائِهِ وَأَنَّ مَا بِيعَ مِنْهُ لَيْسَتْ لَهُ بِهِ حُرْمَةٌ تَامَّةٌ وَأَنَّ مَالَهُ مَحْجُورٌ عَنْهُ وَأَنَّ اشْتِرَاءَهُ بَعْضَهُ يُخَافُ عَلَيْهِ مِنْهُ الْعَجْزُ لِمَا يَذْهَبُ مِنْ مَالِهِ وَلَيْسَ ذَلِكَ بِمَنْزِلَةِ اشْتِرَاءِ الْمُكَاتَبِ نَفْسَهُ كَامِلًا إِلَّا أَنْ يَأْذَنَ لَهُ مَنْ بَقِيَ لَهُ فِيهِ كِتَابَةٌ فَإِنْ أَذِنُوا لَهُ كَانَ أَحَقَّ بِمَا بِيعَ مِنْهُ قَالَ مَالِك لَا يَحِلُّ بَيْعُ نَجْمٍ مِنْ نُجُومِ الْمُكَاتَبِ وَذَلِكَ أَنَّهُ غَرَرٌ إِنْ عَجَزَ الْمُكَاتَبُ بَطَلَ مَا عَلَيْهِ وَإِنْ مَاتَ أَوْ أَفْلَسَ وَعَلَيْهِ دُيُونٌ لِلنَّاسِ لَمْ يَأْخُذْ الَّذِي اشْتَرَى نَجْمَهُ بِحِصَّتِهِ مَعَ غُرَمَائِهِ شَيْئًا وَإِنَّمَا الَّذِي يَشْتَرِي نَجْمًا مِنْ نُجُومِ الْمُكَاتَبِ بِمَنْزِلَةِ سَيِّدِ الْمُكَاتَبِ فَسَيِّدُ الْمُكَاتَبِ لَا يُحَاصُّ بِكِتَابَةِ غُلَامِهِ غُرَمَاءَ الْمُكَاتَبِ وَكَذَلِكَ الْخَرَاجُ أَيْضًا يَجْتَمِعُ لَهُ عَلَى غُلَامِهِ فَلَا يُحَاصُّ بِمَا اجْتَمَعَ لَهُ مِنْ الْخَرَاجِ غُرَمَاءَ غُلَامِهِ قَالَ مَالِك لَا بَأْسَ بِأَنْ يَشْتَرِيَ الْمُكَاتَبُ كِتَابَتَهُ بِعَيْنٍ أَوْ عَرْضٍ مُخَالِفٍ لِمَا كُوتِبَ بِهِ مِنْ الْعَيْنِ أَوْ الْعَرْضِ أَوْ غَيْرِ مُخَالِفٍ مُعَجَّلٍ أَوْ مُؤَخَّرٍ قَالَ مَالِك فِي الْمُكَاتَبِ يَهْلِكُ وَيَتْرُكُ أُمَّ وَلَدٍ وَأَوْلَادًا لَهُ صِغَارًا مِنْهَا أَوْ مِنْ غَيْرِهَا فَلَا يَقْوَوْنَ عَلَى السَّعْيِ وَيُخَافُ عَلَيْهِمْ الْعَجْزُ عَنْ كِتَابَتِهِمْ قَالَ تُبَاعُ أُمُّ وَلَدِ أَبِيهِمْ إِذَا كَانَ فِي ثَمَنِهَا مَا يُؤَدَّى بِهِ عَنْهُمْ جَمِيعُ كِتَابَتِهِمْ أُمَّهُمْ كَانَتْ أَوْ غَيْرَ أُمِّهِمْ يُؤَدَّى عَنْهُمْ وَيَعْتِقُونَ لِأَنَّ أَبَاهُمْ كَانَ لَا يَمْنَعُ بَيْعَهَا إِذَا خَافَ الْعَجْزَ عَنْ كِتَابَتِهِ فَهَؤُلَاءِ إِذَا خِيفَ عَلَيْهِمْ الْعَجْزُ بِيعَتْ أُمُّ وَلَدِ أَبِيهِمْ فَيُؤَدَّى عَنْهُمْ ثَمَنُهَا فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِي ثَمَنِهَا مَا يُؤَدَّى عَنْهُمْ وَلَمْ تَقْوَ هِيَ وَلَا هُمْ عَلَى السَّعْيِ رَجَعُوا جَمِيعًا رَقِيقًا لِسَيِّدِهِمْ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الَّذِي يَبْتَاعُ كِتَابَةَ الْمُكَاتَبِ ثُمَّ يَهْلِكُ الْمُكَاتَبُ قَبْلَ أَنْ يُؤَدِّيَ كِتَابَتَهُ أَنَّهُ يَرِثُهُ الَّذِي اشْتَرَى كِتَابَتَهُ وَإِنْ عَجَزَ فَلَهُ رَقَبَتُهُ وَإِنْ أَدَّى الْمُكَاتَبُ كِتَابَتَهُ إِلَى الَّذِي اشْتَرَاهَا وَعَتَقَ فَوَلَاؤُهُ لِلَّذِي عَقَدَ كِتَابَتَهُ لَيْسَ لِلَّذِي اشْتَرَى كِتَابَتَهُ مِنْ وَلَائِهِ شَيْءٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: