আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৩৯. মুকাতাবা-গোলামের আযাদীর জন্য অর্থ প্রদানের চুক্তি - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৫২৮
৪. মুকাতাব কর্তৃক কাহাকে আঘাত করা
রেওয়ায়ত ৬. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে অতি উত্তম কথা যাহা শুনিয়াছি তাহা এই যে, মুকাতাব কোন ব্যক্তিকে আঘাত করিয়াছে যাহাতে দীয়্যত (খেসারত) ওয়াজিব। মুকাতাব যদি “বদল-এ কিতাবাত”-সহ এই জখমের ক্ষতিপূরণ দিতে সক্ষম থাকে তবে উহা আদায় করিবে এবং সে কিতাবাতের উপর (বহাল) থাকিবে। আর যদি সে সমর্থ না হয়, তবে সে কিতাবাত হইতে অক্ষম হইল। কারণ কিতাবাতের (অর্থ পরিশোধের) পূর্বে এই আঘাতের দীয়্যত পরিশোধ করা ওয়াজিব। সে যদি আঘাতের দীয়্যত পরিশোধ করিতে অক্ষম হয় তবে তাহার কর্তাকে ইখতিয়ার দেওয়া হইবে, যদি সে পছন্দ করে তবে আঘাতের ক্ষতিপূরণ দিবে এবং গোলামকে আয়ত্তে নেবে। সে (এখন হইতে) তাহার কর্তৃত্বাধীন ক্রীতদাস থাকিবে অথবা সে ইচ্ছা করিলে গোলামকে জখমি ব্যক্তির নিকট সোপর্দ করিবে। আর কর্তার উপর গোলামকে সোপর্দ করিয়া দেওয়া ছাড়া অন্য কোন দায়িত্ব নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ক্রীতদাসদের একদল সকলে একত্রে মুকাতাবাত করিয়াছে। তারপর উহাদের একজন কাহাকেও এমন আঘাত করিয়াছে যাহাতে দীয়াত ওয়াজিব হয়। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ক্ষতিপূরণ ওয়াজিব হয় এমন আঘাত উহাদের মধ্যে যে ক্রীতদাস করিয়াছে সে ক্রীতদাসকে এবং কিতাবাত চুক্তিতে উহার সহিত আর যাহারা রহিয়াছে উহাদিগকে বলা হইবে, তোমরা সকলে এই আঘাতের ক্ষতিপূরণ দাও, উহারা যদি ক্ষতিপূরণ আদায় করে তবে সকলে কিতাবাতের উপর বহাল থাকিবে। আর তাহারা আদায় না করিলে তবে তাহারা অপারক বলিয়া প্রমাণিত হইল। উহাদের কর্তাকে ইখতিয়ার দেওয়া হইবে। যদি সে ইচ্ছা করে এই আঘাতের ক্ষতিপূরণ দিবে, ক্রীতদাস সকলেই তাহার গোলাম থাকিবে। আর সে যদি ইচ্ছা করে কেবলমাত্র আঘাতকারীকে সোপর্দ করিবে। উহাদের সাথী যে আঘাত করিয়াছিল সেই আঘাতের ক্ষতিপূরণ দিতে তাহারা অক্ষম হওয়ায় তাহদের সকলেই কর্তার ক্রীতদাসরূপে থাকিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে এই বিষয়ে মাসআলাতে আমাদের মধ্যে কোন মতভেদ নাই, তাহা এই : মুকাতাব নিজে যদি এমন কোন আঘাত অন্যের দ্বারা পায় যাহাতে ক্ষতিপূরণ পাইতে পারে। অথবা মুকাতাবের সন্তানদের কেহ এইরূপ আঘাত পায় যাহারা কিতাবাতে মুকাতাবের সহিত শামিল রহিয়াছে। তবে উহাদের ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য হইবে ক্রীতদাসের ক্ষতিপূরণ উহাদের মূল্য অনুসারে, আর উহাদের জন্য গৃহীত ক্ষতিপূরণ হইবে তাহাদের কর্তার জন্য যিনি কিতাবাত করিয়াছেন। আর মুকাতাব যে মাল (কর্তাকে) দিয়াছে উহা কিতাবাতের শেষে হিসাব করা হইবে, অতঃপর আঘাতের ক্ষতিপূরণ হইতে কর্তা যাহা গ্রহণ করিয়াছে উহা মুকাতাব হইতে বাদ দেওয়া হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহার ব্যাখ্যা এই যে, কর্তা ক্রীতদাসের সহিত মুকাতাবাত করিয়াছে তিন হাজার দিরহামের বিনিময়ে, আর ক্রীতদাসের আঘাতের খেসারত হইতেছে এক হাজার দিরহাম যাহা তাহার কর্তা গ্রহণ করিয়াছে।
অতঃপর মুকাতাব যদি তাহার কর্তাকে দুই হাজার দিরহাম আদায় করে তবে সে আযাদ হইয়া যাইবে। যাহা গ্রহণ করিয়াছিল উহা ছিল দুই হাজার দিরহাম তবে মুকাতাব আযাদ হইয়া গিয়াছে। কিতাবাত-এর অর্থ পরিশোধ করার পর যাহা অবশিষ্ট থাকিবে তাহা মুকাতাব পাইবে। আর মুকাতাবকে তাহার আঘাতের দীয়্যত হইতে কোন কিছু দেওয়া জায়েয নহে। কারণ সে উহা ব্যয় করিয়া ফেলিবে, বরবাদ করিয়া ফেলিবে; যখন অপারক হইবে তখন তাহার কর্তার দিকে ফিরিবে টেরা চক্ষু, হাত কাটা, ক্ষত দেহ অবস্থায়। কারণ কর্তা তাহার সহিত মুকাতাবাত করিয়াছে তাহার মাল ও উপার্জনের উপর। কর্তা তাহার সহিত এই ব্যাপারে মুকাতাবাত করে নাই, সন্তানের মূল্য গ্রহণ করিবে এবং সে তাহার দেহের আঘাতের যে খেসারত পাইয়াছে ও উহা ব্যয় করিয়াছে এবং বরবাদ করিয়া ফেলিয়াছে উহার উপরও মুকাতাবাত করা হয় নাই। তবে খেসারত দেওয়া হইবে মুকাতাবের জখমের এবং মুকাতাবের সন্তানদের জখমের ও সেই সন্তানদের যাহারা কিতাবাত কার্যকর হওয়াকালীন জন্মগ্রহণ করিয়াছে অথবা যেই সন্তানদের উল্লেখ করিয়া কিতাবাত হইয়াছিল। সেই দীয়্যত কর্তাকে দেওয়া হইবে বটে তবে কিতাবাতের শেষ দিকে উহা হিসাব করা হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ক্রীতদাসদের একদল সকলে একত্রে মুকাতাবাত করিয়াছে। তারপর উহাদের একজন কাহাকেও এমন আঘাত করিয়াছে যাহাতে দীয়াত ওয়াজিব হয়। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ক্ষতিপূরণ ওয়াজিব হয় এমন আঘাত উহাদের মধ্যে যে ক্রীতদাস করিয়াছে সে ক্রীতদাসকে এবং কিতাবাত চুক্তিতে উহার সহিত আর যাহারা রহিয়াছে উহাদিগকে বলা হইবে, তোমরা সকলে এই আঘাতের ক্ষতিপূরণ দাও, উহারা যদি ক্ষতিপূরণ আদায় করে তবে সকলে কিতাবাতের উপর বহাল থাকিবে। আর তাহারা আদায় না করিলে তবে তাহারা অপারক বলিয়া প্রমাণিত হইল। উহাদের কর্তাকে ইখতিয়ার দেওয়া হইবে। যদি সে ইচ্ছা করে এই আঘাতের ক্ষতিপূরণ দিবে, ক্রীতদাস সকলেই তাহার গোলাম থাকিবে। আর সে যদি ইচ্ছা করে কেবলমাত্র আঘাতকারীকে সোপর্দ করিবে। উহাদের সাথী যে আঘাত করিয়াছিল সেই আঘাতের ক্ষতিপূরণ দিতে তাহারা অক্ষম হওয়ায় তাহদের সকলেই কর্তার ক্রীতদাসরূপে থাকিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে এই বিষয়ে মাসআলাতে আমাদের মধ্যে কোন মতভেদ নাই, তাহা এই : মুকাতাব নিজে যদি এমন কোন আঘাত অন্যের দ্বারা পায় যাহাতে ক্ষতিপূরণ পাইতে পারে। অথবা মুকাতাবের সন্তানদের কেহ এইরূপ আঘাত পায় যাহারা কিতাবাতে মুকাতাবের সহিত শামিল রহিয়াছে। তবে উহাদের ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য হইবে ক্রীতদাসের ক্ষতিপূরণ উহাদের মূল্য অনুসারে, আর উহাদের জন্য গৃহীত ক্ষতিপূরণ হইবে তাহাদের কর্তার জন্য যিনি কিতাবাত করিয়াছেন। আর মুকাতাব যে মাল (কর্তাকে) দিয়াছে উহা কিতাবাতের শেষে হিসাব করা হইবে, অতঃপর আঘাতের ক্ষতিপূরণ হইতে কর্তা যাহা গ্রহণ করিয়াছে উহা মুকাতাব হইতে বাদ দেওয়া হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহার ব্যাখ্যা এই যে, কর্তা ক্রীতদাসের সহিত মুকাতাবাত করিয়াছে তিন হাজার দিরহামের বিনিময়ে, আর ক্রীতদাসের আঘাতের খেসারত হইতেছে এক হাজার দিরহাম যাহা তাহার কর্তা গ্রহণ করিয়াছে।
অতঃপর মুকাতাব যদি তাহার কর্তাকে দুই হাজার দিরহাম আদায় করে তবে সে আযাদ হইয়া যাইবে। যাহা গ্রহণ করিয়াছিল উহা ছিল দুই হাজার দিরহাম তবে মুকাতাব আযাদ হইয়া গিয়াছে। কিতাবাত-এর অর্থ পরিশোধ করার পর যাহা অবশিষ্ট থাকিবে তাহা মুকাতাব পাইবে। আর মুকাতাবকে তাহার আঘাতের দীয়্যত হইতে কোন কিছু দেওয়া জায়েয নহে। কারণ সে উহা ব্যয় করিয়া ফেলিবে, বরবাদ করিয়া ফেলিবে; যখন অপারক হইবে তখন তাহার কর্তার দিকে ফিরিবে টেরা চক্ষু, হাত কাটা, ক্ষত দেহ অবস্থায়। কারণ কর্তা তাহার সহিত মুকাতাবাত করিয়াছে তাহার মাল ও উপার্জনের উপর। কর্তা তাহার সহিত এই ব্যাপারে মুকাতাবাত করে নাই, সন্তানের মূল্য গ্রহণ করিবে এবং সে তাহার দেহের আঘাতের যে খেসারত পাইয়াছে ও উহা ব্যয় করিয়াছে এবং বরবাদ করিয়া ফেলিয়াছে উহার উপরও মুকাতাবাত করা হয় নাই। তবে খেসারত দেওয়া হইবে মুকাতাবের জখমের এবং মুকাতাবের সন্তানদের জখমের ও সেই সন্তানদের যাহারা কিতাবাত কার্যকর হওয়াকালীন জন্মগ্রহণ করিয়াছে অথবা যেই সন্তানদের উল্লেখ করিয়া কিতাবাত হইয়াছিল। সেই দীয়্যত কর্তাকে দেওয়া হইবে বটে তবে কিতাবাতের শেষ দিকে উহা হিসাব করা হইবে।
باب جِرَاحِ الْمُكَاتَبِ
قَالَ مَالِك أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي الْمُكَاتَبِ يَجْرَحُ الرَّجُلَ جَرْحًا يَقَعُ فِيهِ الْعَقْلُ عَلَيْهِ أَنَّ الْمُكَاتَبَ إِنْ قَوِيَ عَلَى أَنْ يُؤَدِّيَ عَقْلَ ذَلِكَ الْجَرْحِ مَعَ كِتَابَتِهِ أَدَّاهُ وَكَانَ عَلَى كِتَابَتِهِ فَإِنْ لَمْ يَقْوَ عَلَى ذَلِكَ فَقَدْ عَجَزَ عَنْ كِتَابَتِهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ يَنْبَغِي أَنْ يُؤَدِّيَ عَقْلَ ذَلِكَ الْجَرْحِ قَبْلَ الْكِتَابَةِ فَإِنْ هُوَ عَجَزَ عَنْ أَدَاءِ عَقْلِ ذَلِكَ الْجَرْحِ خُيِّرَ سَيِّدُهُ فَإِنْ أَحَبَّ أَنْ يُؤَدِّيَ عَقْلَ ذَلِكَ الْجَرْحِ فَعَلَ وَأَمْسَكَ غُلَامَهُ وَصَارَ عَبْدًا مَمْلُوكًا وَإِنْ شَاءَ أَنْ يُسَلِّمَ الْعَبْدَ إِلَى الْمَجْرُوحِ أَسْلَمَهُ وَلَيْسَ عَلَى السَّيِّدِ أَكْثَرُ مِنْ أَنْ يُسَلِّمَ عَبْدَهُ قَالَ مَالِك فِي الْقَوْمِ يُكَاتَبُونَ جَمِيعًا فَيَجْرَحُ أَحَدُهُمْ جَرْحًا فِيهِ عَقْلٌ قَالَ مَالِك مَنْ جَرَحَ مِنْهُمْ جَرْحًا فِيهِ عَقْلٌ قِيلَ لَهُ وَلِلَّذِينَ مَعَهُ فِي الْكِتَابَةِ أَدُّوا جَمِيعًا عَقْلَ ذَلِكَ الْجَرْحِ فَإِنْ أَدَّوْا ثَبَتُوا عَلَى كِتَابَتِهِمْ وَإِنْ لَمْ يُؤَدُّوا فَقَدْ عَجَزُوا وَيُخَيَّرُ سَيِّدُهُمْ فَإِنْ شَاءَ أَدَّى عَقْلَ ذَلِكَ الْجَرْحِ وَرَجَعُوا عَبِيدًا لَهُ جَمِيعًا وَإِنْ شَاءَ أَسْلَمَ الْجَارِحَ وَحْدَهُ وَرَجَعَ الْآخَرُونَ عَبِيدًا لَهُ جَمِيعًا بِعَجْزِهِمْ عَنْ أَدَاءِ عَقْلِ ذَلِكَ الْجَرْحِ الَّذِي جَرَحَ صَاحِبُهُمْ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا أَنَّ الْمُكَاتَبَ إِذَا أُصِيبَ بِجَرْحٍ يَكُونُ لَهُ فِيهِ عَقْلٌ أَوْ أُصِيبَ أَحَدٌ مِنْ وَلَدِ الْمُكَاتَبِ الَّذِينَ مَعَهُ فِي كِتَابَتِهِ فَإِنَّ عَقْلَهُمْ عَقْلُ الْعَبِيدِ فِي قِيمَتِهِمْ وَأَنَّ مَا أُخِذَ لَهُمْ مِنْ عَقْلِهِمْ يُدْفَعُ إِلَى سَيِّدِهِمْ الَّذِي لَهُ الْكِتَابَةُ وَيُحْسَبُ ذَلِكَ لِلْمُكَاتَبِ فِي آخِرِ كِتَابَتِهِ فَيُوضَعُ عَنْهُ مَا أَخَذَ سَيِّدُهُ مِنْ دِيَةِ جَرْحِهِ قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنَّهُ كَأَنَّهُ كَاتَبَهُ عَلَى ثَلَاثَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ وَكَانَ دِيَةُ جَرْحِهِ الَّذِي أَخَذَهَا سَيِّدُهُ أَلْفَ دِرْهَمٍ فَإِذَا أَدَّى الْمُكَاتَبُ إِلَى سَيِّدِهِ أَلْفَيْ دِرْهَمٍ فَهُوَ حُرٌّ وَإِنْ كَانَ الَّذِي بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ أَلْفَ دِرْهَمٍ وَكَانَ الَّذِي أَخَذَ مِنْ دِيَةِ جَرْحِهِ أَلْفَ دِرْهَمٍ فَقَدْ عَتَقَ وَإِنْ كَانَ عَقْلُ جَرْحِهِ أَكْثَرَ مِمَّا بَقِيَ عَلَى الْمُكَاتَبِ أَخَذَ سَيِّدُ الْمُكَاتَبِ مَا بَقِيَ مِنْ كِتَابَتِهِ وَعَتَقَ وَكَانَ مَا فَضَلَ بَعْدَ أَدَاءِ كِتَابَتِهِ لِلْمُكَاتَبِ وَلَا يَنْبَغِي أَنْ يُدْفَعَ إِلَى الْمُكَاتَبِ شَيْءٌ مِنْ دِيَةِ جَرْحِهِ فَيَأْكُلَهُ وَيَسْتَهْلِكَهُ فَإِنْ عَجَزَ رَجَعَ إِلَى سَيِّدِهِ أَعْوَرَ أَوْ مَقْطُوعَ الْيَدِ أَوْ مَعْضُوبَ الْجَسَدِ وَإِنَّمَا كَاتَبَهُ سَيِّدُهُ عَلَى مَالِهِ وَكَسْبِهِ وَلَمْ يُكَاتِبْهُ عَلَى أَنْ يَأْخُذَ ثَمَنَ وَلَدِهِ وَلَا مَا أُصِيبَ مِنْ عَقْلِ جَسَدِهِ فَيَأْكُلَهُ وَيَسْتَهْلِكَهُ وَلَكِنْ عَقْلُ جِرَاحَاتِ الْمُكَاتَبِ وَوَلَدِهِ الَّذِينَ وُلِدُوا فِي كِتَابَتِهِ أَوْ كَاتَبَ عَلَيْهِمْ يُدْفَعُ إِلَى سَيِّدِهِ وَيُحْسَبُ ذَلِكَ لَهُ فِي آخِرِ كِتَابَتِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: