আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩৯. মুকাতাবা-গোলামের আযাদীর জন্য অর্থ প্রদানের চুক্তি - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৫২৪
১. মাকাতিব-এর ব্যাপারে ফয়সালা
রেওয়ায়ত ২. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উরওয়াহ ইবনে যুবাইর (রাহঃ) সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাযিঃ) উভয়ে বলিতেন: কিতাবাতের কিছু অংশ যতক্ষণ অবশিষ্ট থাকিবে ততক্ষণ মাকাতিব থাকিয়া যাইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমার মতও তাই।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি মাকাতিবের মৃত্যু হয় এবং “বদল-এ কিতাবাত” হইতে যে পরিমাণ (আদায় করা) তাহার জিম্মায় রহিয়াছে ততোধিক মাল যে রাখিয়া যায়, আর তাহার সন্তানাদি থাকে যাহারা কিতাবাত হওয়ার পরও উহার সময় উত্তীর্ণ হওয়ার পর জনিয়াছে অথবা উহাদেরসহ কিতাবাত অনুষ্ঠিত হইয়াছে তবে কিতাবাতের (নির্ধারিত) মাল শোধ করার পর যাহা অবশিষ্ট থাকিবে উহার উত্তরাধিকারী তাহারা হইবে।
باب الْقَضَاءِ فِي الْمُكَاتَبِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ وَسُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ كَانَا يَقُولَانِ الْمُكَاتَبُ عَبْدٌ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ شَيْءٌ قَالَ مَالِك وَهُوَ رَأْيِي قَالَ مَالِك فَإِنْ هَلَكَ الْمُكَاتَبُ وَتَرَكَ مَالًا أَكْثَرَ مِمَّا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ وَلَهُ وَلَدٌ وُلِدُوا فِي كِتَابَتِهِ أَوْ كَاتَبَ عَلَيْهِمْ وَرِثُوا مَا بَقِيَ مِنْ الْمَالِ بَعْدَ قَضَاءِ كِتَابَتِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫২৫
১. মাকাতিব-এর ব্যাপারে ফয়সালা
রেওয়ায়ত ৩. হুমায়দ ইবনে কায়স মক্কী (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, ইবনুল মুতাওয়াক্কিল এর একজন মাকাতিব মক্কাতে মারা যায় এবং সে রাখিয়া যায় তাহার বদল-এ কিতাবাত-এর অবশিষ্ট এবং লোকের অনেক ঋণ। আরও রাখিয়া যায় তাহার এক কন্যাকে। মক্কার শাসনকর্তা এই ব্যাপারে ফয়সালা করিতে যাইয়া মুশকিলে পড়েন। (কারণ হুকুম তাহার জানা ছিল না) তাই তিনি এই ব্যাপারে প্রশ্ন করিয়া পত্র লিখিলেন আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের নিকট। আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান তাহার নিকট (উত্তরে) লিখিলেন, প্রথমে লোকের ঋণ পরিশোধ কর, তারপর ″বদল-এ কিতাবাত″-এর বাকী অংশ পরিশোধ কর। অতঃপর তাহার যাহা অবশিষ্ট রহিল উহা তাহার কন্যা ও কর্তার মধ্যে বন্টন করিয়া দাও।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের মতে ক্রীতদাস কিতাবাতের প্রার্থনা জানাইলে কর্তার জন্য উহার সহিত কিতাবাতের চুক্তি করা জরুরী নহে এবং কোন ইমামকে ইহা জরুরী বলিয়া মত প্রকাশ করিতে আমি শুনি
নাই। কোন কোন আলিমকে যখন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হইল এবং (কিতাবাত জরুরী হওয়ার প্রমাণ স্বরূপ) তাঁহাকে বলা হইল আল্লাহ তাআলা কুরআনুল করীমে ইরশাদ করিয়াছেনঃ

فَكَاتِبُوهُمْ إِنْ عَلِمْتُمْ فِيهِمْ خَيْرًا

অর্থাৎ তাহাদিগের সহিত চুক্তিতে আব্দ্ধ হও, যদি তোমরা জান উহাদিগের মুক্তিদানে কল্যাণ আছে। (সূরা আন-নূর : ৩৩)

আমি শুনিয়াছি তিনি (উত্তরে) তিনি (পরে উল্লেখিত) এই আয়াতদ্বয় তিলাওয়াত করিলেনঃ

وَإِذَا حَلَلْتُمْ فَاصْطَادُوا

অর্থাৎ যখন তোমরা ইহরাম মুক্ত হইবে শিকার করিতে পার। (সূরা মায়িদাঃ ২)

فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلاَةُ فَانْتَشِرُوا فِي الأَرْضِ وَابْتَغُوا مِنْ فَضْلِ اللَّهِ

অর্থাৎ নামায সমাপ্ত হইলে তোমরা বাহির হইয়া পড়িবে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করিবে। (সূরা জুমআঃ ১০)*

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহা একটি হুকুম, আল্লাহ তাআলা লোকদিগকে ইহার অনুমতি দিয়াছেন ইহা তাহাদের জন্য ওয়াজিব নহে।

মালিক (রাহঃ) বলেন, কোন কোন আলিম ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলার বাণী (وَآتُوهُمْ مِنْ مَالِ اللَّهِ الَّذِي آتَاكُمْ) “আল্লাহ তোমাদিগকে যে সম্পদ দিয়াছেন তাহা হইতে তোমরা উহাদিগকে দান করিবে।” (সূরা আন-নূরঃ ৩৩) সম্পর্কে বলিতে আমি শুনিয়াছি, ইহা এই যে, কোন ব্যক্তি গোলামের সহিত কিতাবাত করিয়াছে, কিতাবাতের সময় শেষ হইয়া আসিলে ক্রীতদাস হইতে প্রাপ্য অংশের নির্দিষ্ট কিছু কমাইয়া দেওয়া।

মালিক (রাহঃ) বলেন-“আহল ইলম”-এর নিকট হইতে (এই ব্যাপারে) আমি যাহা শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই অতি উত্তম। আমি মদীনার লোকদেরকে এইরূপ আমল করিতে দেখিয়াছি।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) তাহার এক ক্রীতদাসের সহিত পয়ত্রিশ হাজার দিরহামের বিনিময়ে মুকাতাবাত করিয়াছিলেন, অতঃপর কিতাবাতের শেষের দিকে পাঁচ হাজার দিরহাম কমাইয়া দিলেন।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাসআলা এই, মুকাতাব গোলামের সহিত তাহার কর্তা কিতাবাত চুক্তি করিলে গোলামের মাল তাহারই গোলামের থাকিবে। কিন্তু সন্তানগণ তাহার অধিকারে থাকিবে না। যদি কিতাবাত করার সময় সন্তানগণ গোলামের অধিকারে থাকিবে বলিয়া শর্ত করিয়া থাকে তবে অন্য কথা।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে মাকাতিবের সহিত তাহার কর্তা কিতাবাত চুক্তি করিয়াছে চুক্তিকালে তাহার (ক্রীতদাসের) একটি দাসী ছিল, যে দাসী তাহার দ্বারা অন্তঃসত্ত্বা হইয়াছে। অথচ তখন ইহা গোলাম ও তাহার কর্তা কাহারও জানা ছিল না। তবে সে সন্তান ক্রীতদাসের হইবে না। কারণ কিতাবাত চুক্তিতে এই সন্তানের কথা শামিল ছিল না। ফলে এই সন্তান কর্তার অধিকারে থাকিবে। পক্ষান্তরে ক্রীতদাসটি (সন্তানের জননী) গোলামের মালিকানায় থাকিবে। কারণ উহা তাহারই সম্পদ।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি তাহার স্ত্রীর পক্ষ হইতে মীরাস সূত্রে একটি মুকাতাব গোলাম লাভ করিয়াছে, সে এবং তাহারা উভয়ে ″বদল-এ কিতাবাত″ পরিশোধ করার পূর্বে যদি উহার মৃত্যু হয় তবে তাহারা উভয়ে কুরআনে বর্ণিত মীরাস আইন অনুযায়ী পরস্পর মীরাস বন্টন করিয়া লইবে। আর যদি “বদল-এ কিতাবাত” পরিশাধ করার পর উহার মৃত্যু হয় তবে উহার মীরাস লাভ করিবে (স্ত্রীর) পুত্র, উহার মীরাসে স্বামীর কোন হক থাকিবে না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে মাকাতিব তাহার ক্রীতদাসের সহিত কিতাবাত চুক্তি করিয়াছে তাহার ব্যাপারে লক্ষ্য করিতে হইবে যে, যদি সে ক্রীতদাসের প্রতি উদারতা ও মমতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে ইহা করিয়া থাকে এবং উহা জানাও যায় এইভাবে যে, সে ক্রীতদাসের কিতাবাত চুক্তির নির্ধারিত অর্থ হইতে কিছু পরিমাণ অর্থ ছাড়িয়া দেয় তবে ইহা বৈধ হইবে না। আর যদি উৎসাহ, অর্থ উপার্জন ও অতিরিক্ত অনুসন্ধান এবং তাহার আযাদীর পথে মদদ লাভের উদ্দেশ্যে স্বীয় এক ক্রীতদাসের সহিত মুকাতাবাত করিয়া থাকে তবে (তাহার জন্য) ইহা বৈধ হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি নিজের মুকাতাব ক্রীতদাসীর সহিত সঙ্গম করিয়াছে, উহাতে যদি সে অন্তঃসত্ত্বা হয়, তবে উহার ইখতিয়ার থাকিবে, ইচ্ছা হইলে (কর্তার) উম্মে-ওয়ালাদ হিসাবে থাকিবে, অথবা ইচ্ছা করিলে (তাহার সাবেক) কিতাবাতের প্রতিশ্রুতি মুতাবিক অগ্রসর হইতে থাকিবে। আর যদি সে অন্তঃসত্ত্বা না হয়, তবে সে কিতাবাতের উপর বহাল থাকিবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট যেই সিদ্ধান্তে মতৈক্য স্থাপিত হইয়াছে তাহা এই, যে ক্রীতদাস দুই ব্যক্তির মালিকানাতে থাকে, তাহাদের একজন ক্রীতদাস হইতে নিজের অংশে কিতাবাত চুক্তি করিতে পারিবে না, তাহার অপর শরীক ইহার অনুমতি দিক বা না দিক। তবে যদি তাহারা উভয়ে একত্রে ক্রীতদাসের সহিত কিতাবাত চুক্তি করে (তাহা বৈধ হইবে)। কারণ কিতাবাত হইল ক্রীতদাসের জন্য আযাদ লাভের চুক্তি, যাহার উপর কিতাবাত নির্ধারিত হইয়াছে-ক্রীতদাস যদি উহা পরিশোধ করে তবে ক্রীতদাস আযাদ হইয়া যাইবে। পক্ষান্তরে যে শরীক কিছু অংশের কিতাবাত করিয়াছে তাহার পক্ষে ক্রীতদাসের আযাদী পূর্ণরূপে সম্পন্ন করা জরুরী নহে। ইহা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন তাহার বিপরীত। (তিনি বলিয়াছেন) যে ব্যক্তি ক্রীতদাসে তাহার যে অংশ রহিয়াছে তাহা আযাদ করিয়া দেয় ন্যায়সঙ্গতভাবে তাহার উপর (অবশিষ্ট অংশের) মূল্য নির্ধারণ করা হইবে (ইহা আযাদীর ব্যাপারে প্রযোজ্য কিন্তু কিতাবাতের ব্যাপারে প্রযোজ্য নহে) ।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি এক অংশীদার কিতাবাত করিয়াছে, উহা সম্পর্কে অন্য অংশীদার জ্ঞাত নহে, মুকাতাব হইতে সে সম্পূর্ণ বদল-এ কিতাবাত (বিনিময়ের মূল্য) আদায় করিয়াছে অথবা বদল-এ কিতাবাত আদায় করে নাই, অথচ অন্য শরীক তখনও ইহা জানে না-এই অবস্থায় সেই শরীক কিতাবাতের অর্থ হইতে যাহা গ্রহণ করিয়াছে উহা ফিরাইয়া দিবে। তারপর সে এবং তাহার শরীক হিসসা মুতাবিক উহা ভাগ করিয়া লইবে এবং তাহার কিতাবাত বাতিল হইয়া যাইবে। ক্রীতদাস প্রথম অবস্থায় যেমন ক্রীতদাস ছিল এখনও উভয়ের ক্রীতদাস থাকিবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে মুকাতাব ক্রীতদাস দুই কর্তার মালিকানায় রহিয়াছে। এক কর্তা ক্রীতদাসকে তাহার হকের ব্যাপারে কিছু অবকাশ দিল। অপর কর্তা অবকাশ দিতে অস্বীকার করিল। অতঃপর যে অবকাশ প্রদান করিতে অস্বীকার করিয়াছে সে তাহার কিছু হক (ক্রীতদাস হইতে) আদায় করিয়াছে। তারপর মুকাতাব-এর মৃত্যু হইল। সে যাহা মাল রাখিয়া গিয়াছে উহাতে ″বদল-এক কিতাবাত″ পূর্ণ হওয়ার নহে। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাহারা (দুই শরীক) উভয়ে ভাগ করিবে তাহদের উভয়ের হিসসা মুতাবিক। (অর্থাৎ) তাহাদের প্রত্যেকে নিজ নিজ অংশ পরিমাণ গ্রহণ করিবে, আর যদি মুকাতাব “বদল-এ কিতাবাত” হইতে অতিরিক্ত মাল রাখিয়া যায়, তবে তাহদের প্রত্যেকে বদল-এ কিতাবাত-এর স্ব-স্ব হিসসা গ্রহণ করিবে, অবশিষ্ট যাহা থাকে উহা উভয়ের মধ্যে সমভাবে বন্টন করিয়া লইবে। আর যদি মুকাতাব অপারক হয়, (অপর দিকে) সেই অংশীদার অবকাশ দেয় নাই সে তাহার অপর অংশীদার অপেক্ষা অধিক (অর্থ) গ্রহণ করিয়াছে, তবে তাহাদের উভয়ের মধ্যে ক্রীতদাসের অংশ থাকিবে অর্ধেক অর্ধেক। যে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করিয়াছে সে তাহার অংশীদারকে উহা ফেরত দিবে না। কারণ সে অংশীদারের অনুমতি লইয়া তাহার প্রাপ্য হক গ্রহণ করিয়াছে। আর যদি এক অংশীদার তার প্রাপ্য অংশ মাফ করিয়া দেয় অতঃপর তাহার অপর অংশীদার ক্রীতদাস হইতে (তাহার প্রাপ্য হইতে) কিছু অংশ গ্রহণ করিয়াছে। তারপর মুকাতাব গোলাম অপারক হইয়াছে। তবে গোলাম উভয়ের মধ্যে (সমান সমান) হইবে। আর যে শরীকদার কিছু অর্থ গ্রহণ করিয়াছে সে আপন অংশীদারকে কিছুই ফেরত দিবে না। কারণ সে ক্রীতদাসের উপর তাহার যাহা প্রাপ্য ছিল উহা গ্রহণ করিয়াছে। ইহার দৃষ্টান্ত এইরূপ, দুই ব্যক্তির এক ব্যক্তির উপর ঋণ রহিয়াছে একই সূত্রে, তাহাদের একজন (খাতককে) অবকাশ দিল, অপর ব্যক্তি কৃপণতা করিল এবং তাহার কিছু প্রাপ্য উশুল করিল, তারপর (غريم) খাতক (مفلس) রিক্ত হস্ত হইয়া গেল। (এই অবস্থাতে) যে ব্যক্তি তাহার হক গ্রহণ করিয়াছে তাহাকে যাহা গ্রহণ করিয়াছে উহা হইতে (অপর ঋণ তাহার জন্য) কিছু ফিরাইয়া দিতে হইবে না।
باب الْقَضَاءِ فِي الْمُكَاتَبِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ حُمَيْدِ بْنِ قَيْسٍ الْمَكِّيِّ أَنَّ مُكَاتَبًا كَانَ لِابْنِ الْمُتَوَكِّلِ هَلَكَ بِمَكَّةَ وَتَرَكَ عَلَيْهِ بَقِيَّةً مِنْ كِتَابَتِهِ وَدُيُونًا لِلنَّاسِ وَتَرَكَ ابْنَتَهُ فَأَشْكَلَ عَلَى عَامِلِ مَكَّةَ الْقَضَاءُ فِيهِ فَكَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ يَسْأَلُهُ عَنْ ذَلِكَ فَكَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْمَلِكِ أَنْ ابْدَأْ بِدُيُونِ النَّاسِ ثُمَّ اقْضِ مَا بَقِيَ مِنْ كِتَابَتِهِ ثُمَّ اقْسِمْ مَا بَقِيَ مِنْ مَالِهِ بَيْنَ ابْنَتِهِ وَمَوْلَاهُ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَيْسَ عَلَى سَيِّدِ الْعَبْدِ أَنْ يُكَاتِبَهُ إِذَا سَأَلَهُ ذَلِكَ وَلَمْ أَسْمَعْ أَنَّ أَحَدًا مِنْ الْأَئِمَّةِ أَكْرَهَ رَجُلًا عَلَى أَنْ يُكَاتِبَ عَبْدَهُ وَقَدْ سَمِعْتُ بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا سُئِلَ عَنْ ذَلِكَ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَقُولُ فَكَاتِبُوهُمْ إِنْ عَلِمْتُمْ فِيهِمْ خَيْرًا يَتْلُو هَاتَيْنِ الْآيَتَيْنِ وَإِذَا حَلَلْتُمْ فَاصْطَادُوا فَإِذَا قُضِيَتْ الصَّلَاةُ فَانْتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِنْ فَضْلِ اللَّهِ قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا ذَلِكَ أَمْرٌ أَذِنَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيهِ لِلنَّاسِ وَلَيْسَ بِوَاجِبٍ عَلَيْهِمْ قَالَ مَالِك وَسَمِعْت بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَقُولُ فِي قَوْلِ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى وَآتُوهُمْ مِنْ مَالِ اللَّهِ الَّذِي آتَاكُمْ إِنَّ ذَلِكَ أَنْ يُكَاتِبَ الرَّجُلُ غُلَامَهُ ثُمَّ يَضَعُ عَنْهُ مِنْ آخِرِ كِتَابَتِهِ شَيْئًا مُسَمًّى قَالَ مَالِك فَهَذَا الَّذِي سَمِعْتُ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَأَدْرَكْتُ عَمَلَ النَّاسِ عَلَى ذَلِكَ عِنْدَنَا قَالَ مَالِك وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَاتَبَ غُلَامًا لَهُ عَلَى خَمْسَةٍ وَثَلَاثِينَ أَلْفَ دِرْهَمٍ ثُمَّ وَضَعَ عَنْهُ مِنْ آخِرِ كِتَابَتِهِ خَمْسَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ الْمُكَاتَبَ إِذَا كَاتَبَهُ سَيِّدُهُ تَبِعَهُ مَالُهُ وَلَمْ يَتْبَعْهُ وَلَدُهُ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَهُمْ فِي كِتَابَتِهِ قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي الْمُكَاتَبِ يُكَاتِبُهُ سَيِّدُهُ وَلَهُ جَارِيَةٌ بِهَا حَبَلٌ مِنْهُ لَمْ يَعْلَمْ بِهِ هُوَ وَلَا سَيِّدُهُ يَوْمَ كِتَابَتِهِ فَإِنَّهُ لَا يَتْبَعُهُ ذَلِكَ الْوَلَدُ لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ دَخَلَ فِي كِتَابَتِهِ وَهُوَ لِسَيِّدِهِ فَأَمَّا الْجَارِيَةُ فَإِنَّهَا لِلْمُكَاتَبِ لِأَنَّهَا مِنْ مَالِهِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ وَرِثَ مُكَاتَبًا مِنْ امْرَأَتِهِ هُوَ وَابْنُهَا إِنَّ الْمُكَاتَبَ إِنْ مَاتَ قَبْلَ أَنْ يَقْضِيَ كِتَابَتَهُ اقْتَسَمَا مِيرَاثَهُ عَلَى كِتَابِ اللَّهِ وَإِنْ أَدَّى كِتَابَتَهُ ثُمَّ مَاتَ فَمِيرَاثُهُ لِابْنِ الْمَرْأَةِ وَلَيْسَ لِلزَّوْجِ مِنْ مِيرَاثِهِ شَيْءٌ قَالَ مَالِك فِي الْمُكَاتَبِ يُكَاتِبُ عَبْدَهُ قَالَ يُنْظَرُ فِي ذَلِكَ فَإِنْ كَانَ إِنَّمَا أَرَادَ الْمُحَابَاةَ لِعَبْدِهِ وَعُرِفَ ذَلِكَ مِنْهُ بِالتَّخْفِيفِ عَنْهُ فَلَا يَجُوزُ ذَلِكَ وَإِنْ كَانَ إِنَّمَا كَاتَبَهُ عَلَى وَجْهِ الرَّغْبَةِ وَطَلَبِ الْمَالِ وَابْتِغَاءِ الْفَضْلِ وَالْعَوْنِ عَلَى كِتَابَتِهِ فَذَلِكَ جَائِزٌ لَهُ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ وَطِئَ مُكَاتَبَةً لَهُ إِنَّهَا إِنْ حَمَلَتْ فَهِيَ بِالْخِيَارِ إِنْ شَاءَتْ كَانَتْ أُمَّ وَلَدٍ وَإِنْ شَاءَتْ قَرَّتْ عَلَى كِتَابَتِهَا فَإِنْ لَمْ تَحْمِلْ فَهِيَ عَلَى كِتَابَتِهَا قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الْعَبْدِ يَكُونُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ إِنَّ أَحَدَهُمَا لَا يُكَاتِبُ نَصِيبَهُ مِنْهُ أَذِنَ لَهُ بِذَلِكَ صَاحِبُهُ أَوْ لَمْ يَأْذَنْ إِلَّا أَنْ يُكَاتِبَاهُ جَمِيعًا لِأَنَّ ذَلِكَ يَعْقِدُ لَهُ عِتْقًا وَيَصِيرُ إِذَا أَدَّى الْعَبْدُ مَا كُوتِبَ عَلَيْهِ إِلَى أَنْ يَعْتِقَ نِصْفُهُ وَلَا يَكُونُ عَلَى الَّذِي كَاتَبَ بَعْضَهُ أَنْ يَسْتَتِمَّ عِتْقَهُ فَذَلِكَ خِلَافُ مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَةَ الْعَدْلِ قَالَ مَالِك فَإِنْ جَهِلَ ذَلِكَ حَتَّى يُؤَدِّيَ الْمُكَاتَبُ أَوْ قَبْلَ أَنْ يُؤَدِّيَ رَدَّ إِلَيْهِ الَّذِي كَاتَبَهُ مَا قَبَضَ مِنْ الْمُكَاتَبِ فَاقْتَسَمَهُ هُوَ وَشَرِيكُهُ عَلَى قَدْرِ حِصَصِهِمَا وَبَطَلَتْ كِتَابَتُهُ وَكَانَ عَبْدًا لَهُمَا عَلَى حَالِهِ الْأُولَى قَالَ مَالِك فِي مُكَاتَبٍ بَيْنَ رَجُلَيْنِ فَأَنْظَرَهُ أَحَدُهُمَا بِحَقِّهِ الَّذِي عَلَيْهِ وَأَبَى الْآخَرُ أَنْ يُنْظِرَهُ فَاقْتَضَى الَّذِي أَبَى أَنْ يُنْظِرَهُ بَعْضَ حَقِّهِ ثُمَّ مَاتَ الْمُكَاتَبُ وَتَرَكَ مَالًا لَيْسَ فِيهِ وَفَاءٌ مِنْ كِتَابَتِهِ قَالَ مَالِك يَتَحَاصَّانِ مَا تَرَكَ بِقَدْرِ مَا بَقِيَ لَهُمَا عَلَيْهِ يَأْخُذُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِقَدْرِ حِصَّتِهِ فَإِنْ تَرَكَ الْمُكَاتَبُ فَضْلًا عَنْ كِتَابَتِهِ أَخَذَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مَا بَقِيَ مِنْ الْكِتَابَةِ وَكَانَ مَا بَقِيَ بَيْنَهُمَا بِالسَّوَاءِ فَإِنْ عَجَزَ الْمُكَاتَبُ وَقَدْ اقْتَضَى الَّذِي لَمْ يُنْظِرْهُ أَكْثَرَ مِمَّا اقْتَضَى صَاحِبُهُ كَانَ الْعَبْدُ بَيْنَهُمَا نِصْفَيْنِ وَلَا يَرُدُّ عَلَى صَاحِبِهِ فَضْلَ مَا اقْتَضَى لِأَنَّهُ إِنَّمَا اقْتَضَى الَّذِي لَهُ بِإِذْنِ صَاحِبِهِ وَإِنْ وَضَعَ عَنْهُ أَحَدُهُمَا الَّذِي لَهُ ثُمَّ اقْتَضَى صَاحِبُهُ بَعْضَ الَّذِي لَهُ عَلَيْهِ ثُمَّ عَجَزَ فَهُوَ بَيْنَهُمَا وَلَا يَرُدُّ الَّذِي اقْتَضَى عَلَى صَاحِبِهِ شَيْئًا لِأَنَّهُ إِنَّمَا اقْتَضَى الَّذِي لَهُ عَلَيْهِ وَذَلِكَ بِمَنْزِلَةِ الدَّيْنِ لِلرَّجُلَيْنِ بِكِتَابٍ وَاحِدٍ عَلَى رَجُلٍ وَاحِدٍ فَيُنْظِرُهُ أَحَدُهُمَا وَيَشِحُّ الْآخَرُ فَيَقْتَضِي بَعْضَ حَقِّهِ ثُمَّ يُفْلِسُ الْغَرِيمُ فَلَيْسَ عَلَى الَّذِي اقْتَضَى أَنْ يَرُدَّ شَيْئًا مِمَّا أَخَذَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী: