আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩৯. মুকাতাবা-গোলামের আযাদীর জন্য অর্থ প্রদানের চুক্তি - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৫২৬
২. বদল-এ কিতাবাত’-এর ব্যাপারে জামিন*
রেওয়ায়ত ৪. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট এই ব্যাপারে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্ত হইল এই—কয়েকজন ক্রীতদাসের সহিত একই চুক্তিতে কিতাবাত করা হইলে তবে তাহাদের একজন অপরজনের জামিন হইবে, তাহাদের মধ্যে একজনের মৃত্যুর কারণে তাহাদের উপর হইতে কিছু কমানো হইবে না। উহাদের একজন যদি বলে, আমি অপারক হইয়াছি এবং হাত ছাড়িয়া দেয়, তবে তাহার সাথীগণের অধিকার থাকিবে তাহাকে সাধ্যমত কাজে লাগানো এবং তাহার দ্বারা তাহারা তাহদের কিতাবাতের (বিনিময় মূল্য পরিশোধ) ব্যাপারে সহযোগিতা করিবে যেন তাহারা আযাদ হইলে সেও আযাদ হইয়া যায়। আর তাহারা গোলাম থাকিয়া গেলে সেও গোলাম থাকিবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এই ব্যাপারে আমাদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত অভিমত হইল, কর্তা ক্রীতদাসের সহিত কিতাবাত চুক্তি করিলে তবে ক্রীতদাসের কিতাবাতের ব্যাপারে কর্তা অন্য কাহাকেও জামিন করিবে না। এমন কি গোলাম মারা গেলেও অথবা অপারক হইলেও। ইহা মুসলমানদের তরীকা নহে। কারণ যদি কোন ব্যক্তি “বদল-এ কিতাবাতের” ব্যাপারে মুকাতাব-এর পক্ষে কর্তার নিকট জামিন হয়, তারপর মুকাতাব-এর কর্তা সেই মাল জামিনদারের নিকট হইতে আদায় করে তবে এই মাল অন্যায়ভাবে সে গ্রহণ করিল। যেহেতু সে ব্যক্তি মুকাতাবকে খরিদও করে নাই, খরিদ করিলে তাহা মূল্য হইতে গ্রহণ করা হইয়াছে বলিয়া ধরা যাইত। পক্ষান্তরে মুকাতাব আযাদও হয় নাই, তাহা হইলে যাহা জামিনদার হইতে গ্রহণ করা হইয়াছে উহা ক্রীতদাসের আযাদীর বিনিময় হিসাবে ধরা যাইত, মুকাতাব অক্ষম হইলে সে কর্তার দিকে ফিরিবে এবং সে কর্তার মালিকানায় দাস থাকিয়া যাইবে।

ইহা এইজন্য যে, কিতাবাত কোন দরকারী ঋণ নহে যাহার জন্য মুকাতাবের কর্তাকে কিতাবাতের জামান্নত দেওয়া যায়, বরং কিতাবাত হইতেছে এমন একটি বস্তু মুকাতাব উহা আদায় করিলে আযাদ হইয়া যাইবে। আর যদি মুকাতাব-এর মৃত্যু হয় এবং তাহার জিম্মায় ঋণ থাকে তবে ঋণদাতাগণ মাকাতিব-এর কর্তার জন্য কিতাবাতের কারণে কোন হিসসা বরাদ্দ করিবে না। ঋণদাতাগণ কর্তা অপেক্ষা মাকাতিবের মালের অধিক হকদার, আর যদি মাকাতিব অপারক হয় এবং তাহার উপর লোকের ঋণ রহিয়াছে তবে উহাকে, কর্তার গোলামির দিকে ফিরাইয়া দেওয়া হইবে। লোকদের ঋণসমূহ মুকাতাব-এর জিম্মায় থাকিবে। ঋণদাতাগণ ক্রীতদাসের কর্তার সহিত তাহার মূল্যের মধ্যে অংশীদার হইবে না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি (ক্রীতদাসদের) এক দলের সহিত মুকাতাবাত করিয়াছে (সকলের সহিত) একই কিতাবাতের মাধ্যমে এবং উহাদের মধ্যে আত্মীয়তায় কোন বন্ধন নাই, যদ্দরুন উহারা পরস্পর মীরাসের অধিকারী হয়, তবে উহারা একে অপরের জামিন হইবে, একজনকে ছাড়িয়া অন্যজন আযাদ হইবে না, যতক্ষণ না সম্পূর্ণ “বদল-এ কিতাবাত” সকলে পরিশোধ না করে যদি উহাদের মধ্যে কাহারো মৃত্যু হয় এবং সে মাল রাখিয়া যায়, যে মাল উহাদের সকলের জিম্মায় যে “বদল-এ কিতাবাত” রহিয়াছে তাহা হইতেও বেশী। তবে উহাদের জিম্মায় যে অর্থ রহিয়াছে উহা সম্পূর্ণ পরিশোধ করা হইবে, অবশিষ্ট মাল তাহার কর্তা পাইবে। মৃত ব্যক্তির সহিত কিতাবাতে যাহারা শরীক ছিল তাহারা অবশিষ্ট মালের কোন অংশ পাইবে না।

কর্তা তাহাদের নিকট হইতে “বদল-এ কিতাবাতে” উহাদের যে হিসসাসমূহ রহিয়াছে সেই সব উশুল করবে। তাহদের নিকট হইতে যেই সব মাল মৃত (মাকাতিব) ব্যক্তির মাল হইতে শোধ করা হইয়াছিল। কারণ মৃত ব্যক্তি তাহাদের দায়িত্ব উঠাইয়াছে (কিতাবাত এক হওয়ার দরুন) উহাদের দায়িত্ব হইবে উহারা সকলে উহার (মৃত ব্যক্তির) মাল পরিশোধ করিয়া দেওয়া যদ্ধারা তাহারা আযাদী লাভ করিয়াছে। আর যদি মৃত মুকাতাবেরে কোন আযাদ সন্তান থাকে যে কিতাবাতকালীন সময়ে পয়দা হয় নাই এবং উহাকে অন্তর্ভুক্ত করিয়া কিতাবাত করা হয় নাই, তবে এই ছেলে তাহার মৃত পিতার মীরাসের কোন কিছু পাইবে না। কারণ মুকাতাব (তাহার পিতা) মৃত্যুর সময় আযাদী লাভ করে নাই।
باب الْحَمَالَةِ فِي الْكِتَابَةِ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ الْعَبِيدَ إِذَا كُوتِبُوا جَمِيعًا كِتَابَةً وَاحِدَةً فَإِنَّ بَعْضَهُمْ حُمَلَاءُ عَنْ بَعْضٍ وَإِنَّهُ لَا يُوضَعُ عَنْهُمْ لِمَوْتِ أَحَدِهِمْ شَيْءٌ وَإِنْ قَالَ أَحَدُهُمْ قَدْ عَجَزْتُ وَأَلْقَى بِيَدَيْهِ فَإِنَّ لِأَصْحَابِهِ أَنْ يَسْتَعْمِلُوهُ فِيمَا يُطِيقُ مِنْ الْعَمَلِ وَيَتَعَاوَنُونَ بِذَلِكَ فِي كِتَابَتِهِمْ حَتَّى يَعْتِقَ بِعِتْقِهِمْ إِنْ عَتَقُوا وَيَرِقَّ بِرِقِّهِمْ إِنْ رَقُّوا قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا كَاتَبَهُ سَيِّدُهُ لَمْ يَنْبَغِ لِسَيِّدِهِ أَنْ يَتَحَمَّلَ لَهُ بِكِتَابَةِ عَبْدِهِ أَحَدٌ إِنْ مَاتَ الْعَبْدُ أَوْ عَجَزَ وَلَيْسَ هَذَا مِنْ سُنَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَذَلِكَ أَنَّهُ إِنْ تَحَمَّلَ رَجُلٌ لِسَيِّدِ الْمُكَاتَبِ بِمَا عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ ثُمَّ اتَّبَعَ ذَلِكَ سَيِّدُ الْمُكَاتَبِ قِبَلَ الَّذِي تَحَمَّلَ لَهُ أَخَذَ مَالَهُ بَاطِلًا لَا هُوَ ابْتَاعَ الْمُكَاتَبَ فَيَكُونَ مَا أُخِذَ مِنْهُ مِنْ ثَمَنِ شَيْءٍ هُوَ لَهُ وَلَا الْمُكَاتَبُ عَتَقَ فَيَكُونَ فِي ثَمَنِ حُرْمَةٍ ثَبَتَتْ لَهُ فَإِنْ عَجَزَ الْمُكَاتَبُ رَجَعَ إِلَى سَيِّدِهِ وَكَانَ عَبْدًا مَمْلُوكًا لَهُ وَذَلِكَ أَنَّ الْكِتَابَةَ لَيْسَتْ بِدَيْنٍ ثَابِتٍ يُتَحَمَّلُ لِسَيِّدِ الْمُكَاتَبِ بِهَا إِنَّمَا هِيَ شَيْءٌ إِنْ أَدَّاهُ الْمُكَاتَبُ عَتَقَ وَإِنْ مَاتَ الْمُكَاتَبُ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ لَمْ يُحَاصَّ الْغُرَمَاءَ سَيِّدُهُ بِكِتَابَتِهِ وَكَانَ الْغُرَمَاءُ أَوْلَى بِذَلِكَ مِنْ سَيِّدِهِ وَإِنْ عَجَزَ الْمُكَاتَبُ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ لِلنَّاسِ رُدَّ عَبْدًا مَمْلُوكًا لِسَيِّدِهِ وَكَانَتْ دُيُونُ النَّاسِ فِي ذِمَّةِ الْمُكَاتَبِ لَا يَدْخُلُونَ مَعَ سَيِّدِهِ فِي شَيْءٍ مِنْ ثَمَنِ رَقَبَتِهِ قَالَ مَالِك إِذَا كَاتَبَ الْقَوْمُ جَمِيعًا كِتَابَةً وَاحِدَةً وَلَا رَحِمَ بَيْنَهُمْ يَتَوَارَثُونَ بِهَا فَإِنَّ بَعْضَهُمْ حُمَلَاءُ عَنْ بَعْضٍ وَلَا يَعْتِقُ بَعْضُهُمْ دُونَ بَعْضٍ حَتَّى يُؤَدُّوا الْكِتَابَةَ كُلَّهَا فَإِنْ مَاتَ أَحَدٌ مِنْهُمْ وَتَرَكَ مَالًا هُوَ أَكْثَرُ مِنْ جَمِيعِ مَا عَلَيْهِمْ أُدِّيَ عَنْهُمْ جَمِيعُ مَا عَلَيْهِمْ وَكَانَ فَضْلُ الْمَالِ لِسَيِّدِهِ وَلَمْ يَكُنْ لِمَنْ كَاتَبَ مَعَهُ مِنْ فَضْلِ الْمَالِ شَيْءٌ وَيَتْبَعُهُمْ السَّيِّدُ بِحِصَصِهِمْ الَّتِي بَقِيَتْ عَلَيْهِمْ مِنْ الْكِتَابَةِ الَّتِي قُضِيَتْ مِنْ مَالِ الْهَالِكِ لِأَنَّ الْهَالِكَ إِنَّمَا كَانَ تَحَمَّلَ عَنْهُمْ فَعَلَيْهِمْ أَنْ يُؤَدُّوا مَا عَتَقُوا بِهِ مِنْ مَالِهِ وَإِنْ كَانَ لِلْمُكَاتَبِ الْهَالِكِ وَلَدٌ حُرٌّ لَمْ يُولَدْ فِي الْكِتَابَةِ وَلَمْ يُكَاتَبْ عَلَيْهِ لَمْ يَرِثْهُ لِأَنَّ الْمُكَاتَبَ لَمْ يُعْتَقْ حَتَّى مَاتَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান