আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩৮. আযাদ করা এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৫১৮
১১. ক্রীতদাস কর্তৃক অভিভাৱকত্ব টানিয়া লওয়া যখন উহাকে আযাদ করা হয়
রেওয়ায়ত ২১. রবী’আ ইবনে আব্দির রহমান (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাযিঃ) জনৈক ক্রীতদাসকে খরিদ করিয়া উহাকে আযাদ করিয়াছিলেন। সেই ক্রীতদাসের কয়েকটি ছেলে ছিল আযাদ স্ত্রীর ঔরসের। যুবাইর (রাযিঃ) যখন উহাকে আযাদ করিলেন তখন তিনি বলিলেন, ইহারা আমার মাওয়ালী। [موالى আযাদী প্রদান সূত্রে ইহাদের উপর আমার অভিভাবকত্ব উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে -তাই ইহারা এখন আমার অধীনস্থ ও অধিকারভুক্ত। অন্যদিকে এই সন্তানদের জননীকে যাহারা আযাদ করিয়াছিলেন।* তাহারা বলিলেনঃ ইহারা আমাদের অধিকারভুক্ত (موالى)]। অতঃপর তাহারা বিবাদ লইয়া উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ)-এর নিকট গেলেন। উসমান (রাযিঃ) উহাদের অভিভাবকত্ব- এর ফয়সালা দিলেন যুবাইরের পক্ষে।

মালিক (রাহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল জনৈক ক্রীতদাসী সম্বন্ধে, যাহার কয়েকটি ছেলে রহিয়াছে আযাদ স্ত্রীর ঔরসে। উহাদের স্বত্বাধিকার কাহার জন্য হইবে। সাঈদ বললেন, যদি আযাদী না পাওয়া অবস্থায় উহাদের পিতার মৃত্যু হয় তবে উহাদের অভিভাবকত্ব হইবে তাহাদের মাতার মাওলাদের (আযাদী দাতার) জন্য।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তদ্রূপ অনারব মুসলিম লিআনকারী (লিআনকারী অধ্যায়) স্ত্রীলোকের সন্তান ও তাহার (সন্তানের মাতা) মাওলার দিকে সম্পর্কিত হইবে। তাই মাতার কর্তারা এই ছেলের মাওলা হইবে। যদি সে মারা যায় তবে তাহারা উহার মীরাস লাভ করিবে। সে কোন অপরাধ করিলে তাহারা উহার পক্ষ হইতে খেসারত বা ক্ষতিপূরণ দিবে। আর উহার পিতা যদি উহার নসব স্বীকার করিয়া লয় তবে উহাকে পিতার দিকে সম্পর্কিত করা হইবে। এবং উহার স্বত্বাধিকার তাহার পিতার অভিভাবকত্ব (موالى) লাভ করিবে। তাহার মীরাসও উহাদের জন্য হইবে, আর তাহার অপরাধের খেসারতও হইবে উহাদের উপর এবং (স্বীকারোক্তির পর) ছেলের পিতাকে (অপবাদের শাস্তিতে) বেত্ৰাঘাত করা হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তদ্রূপ আরব লিআনকারী স্ত্রীলোকের স্বামী যে স্ত্রীকে সন্তানের ব্যাপারে অপবাদ দিয়াছে সে যদি উহার ছেলের নসব (জন্মসূত্র) স্বীকার করে তবে সে ছেলে ঐ রূপ মর্যাদাই লাভ করিবে। কিন্তু (পার্থক্য এই থাকিবে যে,) এই ছেলের মাতা ও ভগ্নীদের মীরাস বরাদ্দের পর অবশিষ্ট মীরাস যদি তাহার পিতার সহিত সে যুক্ত না হয় তবে সাধারণ মুসলমানদের জন্য নির্ধারিত হইবে।

পক্ষান্তরে লিআনকারী স্ত্রীলোকের ছেলের মীরাস তাহার অর্থাৎ মাতার মাওলারা লাভ করিবে পিতা কর্তৃক ছেলের নসব স্বীকার করার পূর্ব পর্যন্ত। কারণ এই ছেলের নসব (জন্মসূত্র) নাই, ফলে তাহার কোন عصبته অর্থাৎ মীরাস লাভ করে এমন কোন আত্মীয়-স্বজন নাই। আর যদি নসব প্রমাণিত হয় তবে তাহার মীরাস আসাবাগণ হইবে ।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইজমাঈ (اجماعى) সর্বজনগৃহীত যাহাতে কোন ইখতিলাফ নাই— মাসআলা হইল এই, ক্রীতদাসের পুত্ৰগণ আযাদ স্ত্রীর ঔরসের হইলেও ক্রীতদাসের পিতা আযাদ হইলে, তবে পুত্রদের বড় বাপ অৰ্থাৎ দাদা স্বীয় ছেলের এমন পুত্রদের (নাতির) যাহারা আযাদ এবং আযাদ মাতার গর্ভে যাহাদের জন্ম, তাহাদের মীরাস লাভ করিবে, যতদিন পিতা ক্রীতদাস থাকে ততদিন। যদি তাহাদের পিতা আযাদ হইয়া যায় তবে পিতার মাওলাগণ অভিভাবকত্ব লাভ করিবে। আর যদি ক্রীতদাস থাকিতেই তাহার মৃত্যু হয় তবে মীরাস অধিকার (ولاء) দাদার জন্য থাকিবে। আর যদি ক্রীতদাস পিতার আযাদ দুই পুত্র থাকে এবং উহাদের একজন মারা যায় তাহাদের পিতা গোলাম থাকা অবস্থায় তবে পুত্রের বড় বাপ-দাদা মীরাস ও অভিভাবকত্ব (ولاء) দুইটিই লাভ করিবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ অন্তঃসত্ত্ব অবস্থায় যে ক্রীতদাসীকে আযাদ করা হইল এবং তাহার স্বামী তখনও (অন্যের) দাস। অতঃপর সন্তান প্রসবের পূর্বে অথবা পরে তাহার স্বামীকে আযাদ করা হয় তবে পেটে যাহা ছিল উহার অর্থাৎ সন্তানের অভিভাবকত্ব যে তাহার জননীকে আযাদ করিয়াছে সে-ই লাভ করিবে। কারণ এই সন্তান তাহার মাতাকে আযাদী দেওয়ার পূর্বের, ফলে দাসত্ব তাহাকে স্পর্শ করিয়াছে। সে ঐ সন্তানতুল্য মর্যাদার অধিকারী নহে যাহাকে তাহার জননী গর্ভে ধারণ করিয়াছে আযাদী লাভের পরে। কারণ আযাদী লাভের পর জননী সেই সন্তান গর্ভে ধারণ করিয়াছে। সেই সন্তানের পিতা তাহার অভিভাবকত্ব প্রাপ্ত হইবে, যদি পিতাকে আযাদ করা হইয়া থাকে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ক্রীতদাস গোলাম আযাদ করার জন্য তাহার কর্তার অনুমতি প্রার্থনা করিয়াছে, কর্তা তাহাকে অনুমতি দিয়াছে তবে আযাদীপ্রাপ্ত ক্রীতদাসের অভিভাবকত্ব এই ক্রীতদাসের কর্তা লাভ করিবে, এই (আযাদীপ্রাপ্ত) ক্রীতদাসের অভিভাবকত্ব ও উত্তরাধিকার তাহার কর্তা যে তাহাকে আযাদ করিয়াছে সে পাইবে না, যদিও সে (পরে) আযাদী লাভ করিয়া থাকে।
باب جَرِّ الْعَبْدِ الْوَلَاءَ إِذَا أُعْتِقَ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ الزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ اشْتَرَى عَبْدًا فَأَعْتَقَهُ وَلِذَلِكَ الْعَبْدِ بَنُونَ مِنْ امْرَأَةٍ حُرَّةٍ فَلَمَّا أَعْتَقَهُ الزُّبَيْرُ قَالَ هُمْ مَوَالِيَّ وَقَالَ مَوَالِي أُمِّهِمْ بَلْ هُمْ مَوَالِينَا فَاخْتَصَمُوا إِلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَقَضَى عُثْمَانُ لِلزُّبَيْرِ بِوَلَائِهِمْ
وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ سُئِلَ عَنْ عَبْدٍ لَهُ وَلَدٌ مِنْ امْرَأَةٍ حُرَّةٍ لِمَنْ وَلَاؤُهُمْ فَقَالَ سَعِيدٌ إِنْ مَاتَ أَبُوهُمْ وَهُوَ عَبْدٌ لَمْ يُعْتَقْ فَوَلَاؤُهُمْ لِمَوَالِي أُمِّهِمْ قَالَ مَالِك وَمَثَلُ ذَلِكَ وَلَدُ الْمُلَاعَنَةِ مِنْ الْمَوَالِي يُنْسَبُ إِلَى مَوَالِي أُمِّهِ فَيَكُونُونَ هُمْ مَوَالِيَهُ إِنْ مَاتَ وَرِثُوهُ وَإِنْ جَرَّ جَرِيرَةً عَقَلُوا عَنْهُ فَإِنْ اعْتَرَفَ بِهِ أَبُوهُ أُلْحِقَ بِهِ وَصَارَ وَلَاؤُهُ إِلَى مَوَالِي أَبِيهِ وَكَانَ مِيرَاثُهُ لَهُمْ وَعَقْلُهُ عَلَيْهِمْ وَيُجْلَدُ أَبُوهُ الْحَدَّ قَالَ مَالِك وَكَذَلِكَ الْمَرْأَةُ الْمُلَاعِنَةُ مِنْ الْعَرَبِ إِذَا اعْتَرَفَ زَوْجُهَا الَّذِي لَاعَنَهَا بِوَلَدِهَا صَارَ بِمِثْلِ هَذِهِ الْمَنْزِلَةِ إِلَّا أَنَّ بَقِيَّةَ مِيرَاثِهِ بَعْدَ مِيرَاثِ أُمِّهِ وَإِخْوَتِهِ لِأُمِّهِ لِعَامَّةِ الْمُسْلِمِينَ مَا لَمْ يُلْحَقْ بِأَبِيهِ وَإِنَّمَا وَرَّثَ وَلَدُ الْمُلَاعَنَةِ الْمُوَالَاةَ مَوَالِيَ أُمِّهِ قَبْلَ أَنْ يَعْتَرِفَ بِهِ أَبُوهُ لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لَهُ نَسَبٌ وَلَا عَصَبَةٌ فَلَمَّا ثَبَتَ نَسَبُهُ صَارَ إِلَى عَصَبَتِهِ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي وَلَدِ الْعَبْدِ مِنْ امْرَأَةٍ حُرَّةٍ وَأَبُو الْعَبْدِ حُرٌّ أَنَّ الْجَدَّ أَبَا الْعَبْدِ يَجُرُّ وَلَاءَ وَلَدِ ابْنِهِ الْأَحْرَارِ مِنْ امْرَأَةٍ حُرَّةٍ يَرِثُهُمْ مَا دَامَ أَبُوهُمْ عَبْدًا فَإِنْ عَتَقَ أَبُوهُمْ رَجَعَ الْوَلَاءُ إِلَى مَوَالِيهِ وَإِنْ مَاتَ وَهُوَ عَبْدٌ كَانَ الْمِيرَاثُ وَالْوَلَاءُ لِلْجَدِّ وَإِنْ الْعَبْدُ كَانَ لَهُ ابْنَانِ حُرَّانِ فَمَاتَ أَحَدُهُمَا وَأَبُوهُ عَبْدٌ جَرَّ الْجَدُّ أَبُو الْأَبِ الْوَلَاءَ وَالْمِيرَاثَ قَالَ مَالِك فِي الْأَمَةِ تُعْتَقُ وَهِيَ حَامِلٌ وَزَوْجُهَا مَمْلُوكٌ ثُمَّ يَعْتِقُ زَوْجُهَا قَبْلَ أَنْ تَضَعَ حَمْلَهَا أَوْ بَعْدَمَا تَضَعُ إِنَّ وَلَاءَ مَا كَانَ فِي بَطْنِهَا لِلَّذِي أَعْتَقَ أُمَّهُ لِأَنَّ ذَلِكَ الْوَلَدَ قَدْ كَانَ أَصَابَهُ الرِّقُّ قَبْلَ أَنْ تُعْتَقَ أُمُّهُ وَلَيْسَ هُوَ بِمَنْزِلَةِ الَّذِي تَحْمِلُ بِهِ أُمُّهُ بَعْدَ الْعَتَاقَةِ لِأَنَّ الَّذِي تَحْمِلُ بِهِ أُمُّهُ بَعْدَ الْعَتَاقَةِ إِذَا عَتَقَ أَبُوهُ جَرَّ وَلَاءَهُ قَالَ مَالِك فِي الْعَبْدِ يَسْتَأْذِنُ سَيِّدَهُ أَنْ يُعْتِقَ عَبْدًا لَهُ فَيَأْذَنَ لَهُ سَيِّدُهُ إِنَّ وَلَاءَ الْعَبْدِ الْمُعْتَقِ لِسَيِّدِ الْعَبْدِ لَا يَرْجِعُ وَلَاؤُهُ لِسَيِّدِهِ الَّذِي أَعْتَقَهُ وَإِنْ عَتَقَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী: