আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৩৮. আযাদ করা এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৫১৪
১০. যে আযাদ করিবে অভিভাবকত্ব ও উত্তরাধিকার তাহারই জন্য হইবে
রেওয়ায়ত ১৭. নবী করীম (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ) বলিয়াছেন, বারীরা (রাযিঃ) (তাহার নিকট) আসিয়া বলিলেন, আমি আমার কর্তাদের সহিত প্রতি বৎসর এক উকীয়া (এক উকীয়াতে চল্লিশ দিরহাম হয়- আওজাস) হিসাবে (সর্বমোট) নয় উকীয়ার বিনিময়ে মুকাতাবত (আযাদী লাভের কথা ঠিক) করিয়াছি। আপনি আমাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করুন। আয়েশা (রাযিঃ) বলিলেন যদি তোমার কর্তারা পছন্দ করেন যে, আমি উহার ব্যবস্থা করি তবে উহা (আদায়) করিব আর তোমার অভিতাবকত্ব আমার জন্য হইবে। বারীরা তাহার কর্তাদের নিকট গেলেন এবং এই বিষয়ে তাহাদিগকে অবহিত করিলেন। তাহারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিলেন। বারীরা তাহার কর্তাদের নিকট হইতে যখন (ফিরিয়া) আসিলেন তখন (আয়েশার গৃহে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বসা ছিলেন। বারীরা আয়েশা (রাযিঃ)-কে বলিলেনঃ আমি তাহাদের নিকট সেই কথা পেশ করিয়াছিলাম। তাহারা ইহা অস্বীকার করিয়াছে। কিন্তু যদি অভিভাবত্ব তাহাদের জন্য হয় (তবে তাহারা রাজী)।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইহা শুনিলেন। অতঃপর তাহাকে (আয়েশাকে) জিজ্ঞাসা করিলেন। আয়েশা ব্যাপারটি তাহাকে জানাইলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (ইহা শুনিয়া) বলিলেন, তুমি বারীরাকে (মূল্য পরিশোধ করিয়া) গ্রহণ কর এবং তাহাদের জন্য (অভিভাবকত্বের) শর্ত মানিয়া লও, (কিন্তু উহা যেহেতু অবৈধ তাই স্বত্ব তাহারা পাইবে না)। অভিভাবকত্ব হইবে যে আযাদ করিবে তাহার। তারপর আয়েশা (রাযিঃ) উহা করিলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) লোকের (সাহাবীদের) মধ্যে কিছু বলার জন্য দাঁড়াইলেন। অতঃপর আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ণনা করিলেন, তারপর বলিলেনঃ কিছু লোকের অবস্থা কি? তাহারা এমন সব শর্ত আরোপ করে যাহা আল্লাহর কিতাবে নাই, আর যেই সকল শর্ত আল্লাহর কিতাবে নাই, উহা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। যদিও শর্তাশর্তও হইয়া থাকে। আল্লাহর হুকুমই গ্রহণযোগ্য, আল্লাহর শর্ত অতি দৃঢ়। (জানিয়া রাখুন) অভিভাবকত্ব তাহারই হইবে যে আযাদ করিবে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইহা শুনিলেন। অতঃপর তাহাকে (আয়েশাকে) জিজ্ঞাসা করিলেন। আয়েশা ব্যাপারটি তাহাকে জানাইলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (ইহা শুনিয়া) বলিলেন, তুমি বারীরাকে (মূল্য পরিশোধ করিয়া) গ্রহণ কর এবং তাহাদের জন্য (অভিভাবকত্বের) শর্ত মানিয়া লও, (কিন্তু উহা যেহেতু অবৈধ তাই স্বত্ব তাহারা পাইবে না)। অভিভাবকত্ব হইবে যে আযাদ করিবে তাহার। তারপর আয়েশা (রাযিঃ) উহা করিলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) লোকের (সাহাবীদের) মধ্যে কিছু বলার জন্য দাঁড়াইলেন। অতঃপর আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ণনা করিলেন, তারপর বলিলেনঃ কিছু লোকের অবস্থা কি? তাহারা এমন সব শর্ত আরোপ করে যাহা আল্লাহর কিতাবে নাই, আর যেই সকল শর্ত আল্লাহর কিতাবে নাই, উহা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। যদিও শর্তাশর্তও হইয়া থাকে। আল্লাহর হুকুমই গ্রহণযোগ্য, আল্লাহর শর্ত অতি দৃঢ়। (জানিয়া রাখুন) অভিভাবকত্ব তাহারই হইবে যে আযাদ করিবে।
باب مَصِيرِ الْوَلَاءِ لِمَنْ أَعْتَقَ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ جَاءَتْ بَرِيرَةُ فَقَالَتْ إِنِّي كَاتَبْتُ أَهْلِي عَلَى تِسْعِ أَوَاقٍ فِي كُلِّ عَامٍ أُوقِيَّةٌ فَأَعِينِينِي فَقَالَتْ عَائِشَةُ إِنْ أَحَبَّ أَهْلُكِ أَنْ أَعُدَّهَا لَهُمْ عَنْكِ عَدَدْتُهَا وَيَكُونَ لِي وَلَاؤُكِ فَعَلْتُ فَذَهَبَتْ بَرِيرَةُ إِلَى أَهْلِهَا فَقَالَتْ لَهُمْ ذَلِكَ فَأَبَوْا عَلَيْهَا فَجَاءَتْ مِنْ عِنْدِ أَهْلِهَا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ فَقَالَتْ لِعَائِشَةَ إِنِّي قَدْ عَرَضْتُ عَلَيْهِمْ ذَلِكَ فَأَبَوْا عَلَيَّ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الْوَلَاءُ لَهُمْ فَسَمِعَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهَا فَأَخْبَرَتْهُ عَائِشَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُذِيهَا وَاشْتَرِطِي لَهُمْ الْوَلَاءَ فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ فَفَعَلَتْ عَائِشَةُ ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّاسِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَمَا بَالُ رِجَالٍ يَشْتَرِطُونَ شُرُوطًا لَيْسَتْ فِي كِتَابِ اللَّهِ مَا كَانَ مِنْ شَرْطٍ لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَهُوَ بَاطِلٌ وَإِنْ كَانَ مِائَةَ شَرْطٍ قَضَاءُ اللَّهِ أَحَقُّ وَشَرْطُ اللَّهِ أَوْثَقُ وَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫১৫
১০. যে আযাদ করিবে অভিভাবকত্ব ও উত্তরাধিকার তাহারই জন্য হইবে
রেওয়ায়ত ১৮. আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, আয়েশা উম্মুল মু’মিনীন (রাযিঃ) জনৈকা ক্রীতদাসীকে খরিদ করিয়া আযাদ করার ইচ্ছা করিলেন। ক্রীতদাসীর কর্তারা বলিল আমরা উহাকে আপনার নিকট এই শর্তে বিক্রয় করিতে পারি যে, উহার অভিভাবকত্ব (ولاء) আমাদের জন্য থাকিবে। আয়েশা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট ইহা উল্লেখ করিলেন। তিনি বলিলেন এই শর্তারোপ যেন তোমাকে (উহাকে ক্রয় করিয়া আযাদ করিতে) বারণ না করে। অভিভাবকত্ব (ولاء) উহারই হইবে, যে আযাদ করিবে।
باب مَصِيرِ الْوَلَاءِ لِمَنْ أَعْتَقَ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَرَادَتْ أَنْ تَشْتَرِيَ جَارِيَةً تُعْتِقُهَا فَقَالَ أَهْلُهَا نَبِيعُكِهَا عَلَى أَنَّ وَلَاءَهَا لَنَا فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَا يَمْنَعَنَّكِ ذَلِكَ فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫১৬
১০. যে আযাদ করিবে অভিভাবকত্ব ও উত্তরাধিকার তাহারই জন্য হইবে
রেওয়ায়ত ১৯. আমরা বিনতে আব্দির রহমান (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, বারীরা আসিলেন উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট সাহায্য চাহিতে। আয়েশা (রাযিঃ) বলিলেন যদি তোমার কর্তারা পছন্দ করে যে আমি তাহাদিগকে একবারে মূল্য পরিশোধ করিব এবং তোমাকে আযাদ করিয়া দিব তবে আমি উহা করিব। বারীরা কর্তাদের নিকট ইহা পেশ করিলেন। তাহারা বলিল, আমরা ইহাতে রাজী নহি, তবে যদি তোমার অভিভাবকত্ব আমাদের জন্য থাকে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলিয়াছেন, আমরা ধারণা করেন যে, আয়েশা (রাযিঃ) ইহা উল্লেখ করিয়াছেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেন, তুমি বরীরাকে খরিদ কর এবং তাহাকে আযাদ করিয়া দাও, অভিভাবকত্ব অবশ্য তাহারই জন্য থাকিবে যে আযাদ করিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলিয়াছেন, আমরা ধারণা করেন যে, আয়েশা (রাযিঃ) ইহা উল্লেখ করিয়াছেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেন, তুমি বরীরাকে খরিদ কর এবং তাহাকে আযাদ করিয়া দাও, অভিভাবকত্ব অবশ্য তাহারই জন্য থাকিবে যে আযাদ করিবে।
باب مَصِيرِ الْوَلَاءِ لِمَنْ أَعْتَقَ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ بَرِيرَةَ جَاءَتْ تَسْتَعِينُ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ فَقَالَتْ عَائِشَةُ إِنْ أَحَبَّ أَهْلُكِ أَنْ أَصُبَّ لَهُمْ ثَمَنَكِ صَبَّةً وَاحِدَةً وَأُعْتِقَكِ فَعَلْتُ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ بَرِيرَةُ لِأَهْلِهَا فَقَالُوا لَا إِلَّا أَنْ يَكُونَ لَنَا وَلَاؤُكِ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ فَزَعَمَتْ عَمْرَةُ أَنَّ عَائِشَةَ ذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اشْتَرِيهَا وَأَعْتِقِيهَا فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৫১৭
১০. যে আযাদ করিবে অভিভাবকত্ব ও উত্তরাধিকার তাহারই জন্য হইবে
রেওয়ায়ত ২০. আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অভিভাবকত্ব বিক্রি ও দান করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ক্রীতদাস নিজেকেক্রয় করিয়া লয় আপন কর্তা হইতে এই শর্তে যে, সে যাহাকে চায় তাহাকে অভিভাবকত্ব প্রদান করবে। ইহা জায়েয হইবে না। অভিভাবকত্ব তাহার জন্য হইবে, যে আযাদ করিবে। আর যদি কোন ব্যক্তি নিজের মুক্তিপ্রাপ্ত ত্রীতদাসকে যাহাকে ইচ্ছা তাহাকে অভিভাবকত্ব প্রদানের অনুমতি দিয়াছে তবে ইহা বৈধ হইবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন অভিভাবকত্ব তাহারই হইবে যে আযাদ করিবে এবং তিনি স্বত্বাধিকার বিক্রয় ও দান করিতে নিষেধ করিয়াছেন। যদি কর্তার পক্ষে ক্রীতদাসের জন্য এইরূপ শর্ত করা বৈধ হয় অথবা সে ক্রীতদাসকে অনুমতি দেয় যে, সে যাহাকে ইচ্ছা অভিভাবকত্ব প্রদান করিবে, তবে ইহা দান (هبة ) করা হইল।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ক্রীতদাস নিজেকেক্রয় করিয়া লয় আপন কর্তা হইতে এই শর্তে যে, সে যাহাকে চায় তাহাকে অভিভাবকত্ব প্রদান করবে। ইহা জায়েয হইবে না। অভিভাবকত্ব তাহার জন্য হইবে, যে আযাদ করিবে। আর যদি কোন ব্যক্তি নিজের মুক্তিপ্রাপ্ত ত্রীতদাসকে যাহাকে ইচ্ছা তাহাকে অভিভাবকত্ব প্রদানের অনুমতি দিয়াছে তবে ইহা বৈধ হইবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন অভিভাবকত্ব তাহারই হইবে যে আযাদ করিবে এবং তিনি স্বত্বাধিকার বিক্রয় ও দান করিতে নিষেধ করিয়াছেন। যদি কর্তার পক্ষে ক্রীতদাসের জন্য এইরূপ শর্ত করা বৈধ হয় অথবা সে ক্রীতদাসকে অনুমতি দেয় যে, সে যাহাকে ইচ্ছা অভিভাবকত্ব প্রদান করিবে, তবে ইহা দান (هبة ) করা হইল।
باب مَصِيرِ الْوَلَاءِ لِمَنْ أَعْتَقَ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الْوَلَاءِ وَعَنْ هِبَتِهِ
قَالَ مَالِك فِي الْعَبْدِ يَبْتَاعُ نَفْسَهُ مِنْ سَيِّدِهِ عَلَى أَنَّهُ يُوَالِي مَنْ شَاءَ إِنَّ ذَلِكَ لَا يَجُوزُ وَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ وَلَوْ أَنَّ رَجُلًا أَذِنَ لِمَوْلَاهُ أَنْ يُوَالِيَ مَنْ شَاءَ مَا جَازَ ذَلِكَ لِأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ الْوَلَاءِ وَعَنْ هِبَتِهِ فَإِذَا جَازَ لِسَيِّدِهِ أَنْ يَشْتَرِطَ ذَلِكَ لَهُ وَأَنْ يَأْذَنَ لَهُ أَنْ يُوَالِيَ مَنْ شَاءَ فَتِلْكَ الْهِبَةُ
قَالَ مَالِك فِي الْعَبْدِ يَبْتَاعُ نَفْسَهُ مِنْ سَيِّدِهِ عَلَى أَنَّهُ يُوَالِي مَنْ شَاءَ إِنَّ ذَلِكَ لَا يَجُوزُ وَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ وَلَوْ أَنَّ رَجُلًا أَذِنَ لِمَوْلَاهُ أَنْ يُوَالِيَ مَنْ شَاءَ مَا جَازَ ذَلِكَ لِأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ الْوَلَاءِ وَعَنْ هِبَتِهِ فَإِذَا جَازَ لِسَيِّدِهِ أَنْ يَشْتَرِطَ ذَلِكَ لَهُ وَأَنْ يَأْذَنَ لَهُ أَنْ يُوَالِيَ مَنْ شَاءَ فَتِلْكَ الْهِبَةُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান