আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৩৭. ওসীয়্যত সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৪৯০
৫. ওয়ারিসদের জন্য ওসীয়্যত এবং জানাযার হুকুম
মালিক (রাহঃ) বলেন ওসীয়তের এই আয়াতটি করাইযের আয়াত বার মনসুখ (রহিত) হইয়া গিয়াছে, আয়াতটি এইঃ
إِن تَرَكَ خَيْرًا الْوَصِيَّةُ لِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট এই নিয়ম (সুন্নত) প্রমাণিত। তাহাতে কোন মতভেদ নাই যে, ওয়ারিসদের অনুমতি ব্যতীত ওসীয়্যত জায়েয নাই। যদি কোন ওয়ারিস অনুমতি দেয় আর কেহ অনুমতি না দেয় তবে যাহারা অনুমতি দিয়াছে তাহাদের মীরাস হইতে তাহা আদায় করা হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি কেহ অসুস্থ হয় এবং সে ওসীয়্যত করিতে চাহে এবং ওয়ারিসগণ হইতে অনুমতি চাহে তবে এই অসুস্থ অবস্থায় তাহার জন্য এক-তৃতীয়াংশের বেশী সম্পত্তিতে ওসীয়্যত জায়েয হইবে না। হ্যাঁ, যদি তাহারা এক-তৃতীয়াংশের চাইতে বেশী ওসীয়াতের অনুমতি দেয় তবে তাহাদের এই কথা হইতে ফিরিয়া যাওয়া জায়েয নাই। যদি তাহা জায়েয হইত তবে প্রত্যেক ওয়ারিসই নিজ অংশ ফিরাইয়া লইত, যদি ওসীয়াতকারী মরিয়া যাইত তবে ওসীয়াতকৃত সম্পদ লইয়া লইত। আর ওসীয়্যত এক-তৃতীয়াংশের মধ্যে বন্ধ করিয়া দিত, কিন্তু যদি কেহ সুস্থ থাকা অবস্থায় ওয়ারিসগণের নিকট কোন ওয়ারিসের জন্য ওসীয়্যতের অনুমতি চায় এবং তাহারা অনুমতি দিয়া দেয় তবে তাহা হইতে ফিরিয়া যাইতে পারে এবং তাহা কার্যকর নাও হইতে দিতে পারে। কেননা সে সুস্থ অবস্থায় তাহার পূর্ণ সম্পদের উপরই এদিক-সেদিক করিবার ক্ষমতা রাখে। তাহার ইখতিয়ার আছে, সে সমস্তই ওসীয়্যত করিয়া দিতে পারে অথবা সমস্তই কাহাকেও দিতে পারে তখন মালিকের অনুমতি চাওয়া ও ওয়ারিসদের অনুমতি দেওয়া অনর্থক। আর যদি রোগী ওয়ারিসদিগকে তাহার মৃত্যুর সময় বলে যে, তোমাদের মীরাস আমাকে হেবা (দান) করিয়া দাও, সে হেবকরীদের প্রদত্ত সম্পদে কিন্তু রোগী কোন পরিবর্তন করে নাই এবং মরিয়া গিয়াছে তবে ঐ সকল অংশ ওয়ারিসগণ পাইবে। কিন্তু যদি রোগী বলে যে, ঐ ওয়ারিস বড়ই দুর্বল। আমি ভাল মনে করি যে, তুমি তোমার অংশ তাহাকে হেবা করিয়া দাও। যদি সে হেবা করিয়া দেয়, তবে তাহা জায়েয হইবে। যদি ওয়ারিস নিজ হিস্যা মৃত ব্যক্তিকে দান করিয়া দেয় এবং মৃত ব্যক্তি সেখান হইতে কাহাকেও কিছু দেয় আর কিছু বাকী থাকে, ঐ বাকী অংশ ঐ ওয়ারিসই পাইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি (ওয়ারিসের জন্য) ওসীয়্যতের পরে জানিতে পারিল যে, সে ওয়ারিসকে যাহা দিয়াছিল তাহা সে গ্রহণ করে নাই এবং অন্য ওয়ারিসগণও তাহার অনুমতি দেয় নাই তবে তাহা ওয়ারিসগণেরই হক, আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী বন্টন হইবে।
إِن تَرَكَ خَيْرًا الْوَصِيَّةُ لِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট এই নিয়ম (সুন্নত) প্রমাণিত। তাহাতে কোন মতভেদ নাই যে, ওয়ারিসদের অনুমতি ব্যতীত ওসীয়্যত জায়েয নাই। যদি কোন ওয়ারিস অনুমতি দেয় আর কেহ অনুমতি না দেয় তবে যাহারা অনুমতি দিয়াছে তাহাদের মীরাস হইতে তাহা আদায় করা হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি কেহ অসুস্থ হয় এবং সে ওসীয়্যত করিতে চাহে এবং ওয়ারিসগণ হইতে অনুমতি চাহে তবে এই অসুস্থ অবস্থায় তাহার জন্য এক-তৃতীয়াংশের বেশী সম্পত্তিতে ওসীয়্যত জায়েয হইবে না। হ্যাঁ, যদি তাহারা এক-তৃতীয়াংশের চাইতে বেশী ওসীয়াতের অনুমতি দেয় তবে তাহাদের এই কথা হইতে ফিরিয়া যাওয়া জায়েয নাই। যদি তাহা জায়েয হইত তবে প্রত্যেক ওয়ারিসই নিজ অংশ ফিরাইয়া লইত, যদি ওসীয়াতকারী মরিয়া যাইত তবে ওসীয়াতকৃত সম্পদ লইয়া লইত। আর ওসীয়্যত এক-তৃতীয়াংশের মধ্যে বন্ধ করিয়া দিত, কিন্তু যদি কেহ সুস্থ থাকা অবস্থায় ওয়ারিসগণের নিকট কোন ওয়ারিসের জন্য ওসীয়্যতের অনুমতি চায় এবং তাহারা অনুমতি দিয়া দেয় তবে তাহা হইতে ফিরিয়া যাইতে পারে এবং তাহা কার্যকর নাও হইতে দিতে পারে। কেননা সে সুস্থ অবস্থায় তাহার পূর্ণ সম্পদের উপরই এদিক-সেদিক করিবার ক্ষমতা রাখে। তাহার ইখতিয়ার আছে, সে সমস্তই ওসীয়্যত করিয়া দিতে পারে অথবা সমস্তই কাহাকেও দিতে পারে তখন মালিকের অনুমতি চাওয়া ও ওয়ারিসদের অনুমতি দেওয়া অনর্থক। আর যদি রোগী ওয়ারিসদিগকে তাহার মৃত্যুর সময় বলে যে, তোমাদের মীরাস আমাকে হেবা (দান) করিয়া দাও, সে হেবকরীদের প্রদত্ত সম্পদে কিন্তু রোগী কোন পরিবর্তন করে নাই এবং মরিয়া গিয়াছে তবে ঐ সকল অংশ ওয়ারিসগণ পাইবে। কিন্তু যদি রোগী বলে যে, ঐ ওয়ারিস বড়ই দুর্বল। আমি ভাল মনে করি যে, তুমি তোমার অংশ তাহাকে হেবা করিয়া দাও। যদি সে হেবা করিয়া দেয়, তবে তাহা জায়েয হইবে। যদি ওয়ারিস নিজ হিস্যা মৃত ব্যক্তিকে দান করিয়া দেয় এবং মৃত ব্যক্তি সেখান হইতে কাহাকেও কিছু দেয় আর কিছু বাকী থাকে, ঐ বাকী অংশ ঐ ওয়ারিসই পাইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি (ওয়ারিসের জন্য) ওসীয়্যতের পরে জানিতে পারিল যে, সে ওয়ারিসকে যাহা দিয়াছিল তাহা সে গ্রহণ করে নাই এবং অন্য ওয়ারিসগণও তাহার অনুমতি দেয় নাই তবে তাহা ওয়ারিসগণেরই হক, আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী বন্টন হইবে।
باب الْوَصِيَّةِ لِلْوَارِثِ وَالْحِيَازَةِ
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي هَذِهِ الْآيَةِ إِنَّهَا مَنْسُوخَةٌ قَوْلُ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِنْ تَرَكَ خَيْرًا الْوَصِيَّةُ لِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ نَسَخَهَا مَا نَزَلَ مِنْ قِسْمَةِ الْفَرَائِضِ فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ السُّنَّةُ الثَّابِتَةُ عِنْدَنَا الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا أَنَّهُ لَا تَجُوزُ وَصِيَّةٌ لِوَارِثٍ إِلَّا أَنْ يُجِيزَ لَهُ ذَلِكَ وَرَثَةُ الْمَيِّتِ وَأَنَّهُ إِنْ أَجَازَ لَهُ بَعْضُهُمْ وَأَبَى بَعْضٌ جَازَ لَهُ حَقُّ مَنْ أَجَازَ مِنْهُمْ وَمَنْ أَبَى أَخَذَ حَقَّهُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي الْمَرِيضِ الَّذِي يُوصِي فَيَسْتَأْذِنُ وَرَثَتَهُ فِي وَصِيَّتِهِ وَهُوَ مَرِيضٌ لَيْسَ لَهُ مِنْ مَالِهِ إِلَّا ثُلُثُهُ فَيَأْذَنُونَ لَهُ أَنْ يُوصِيَ لِبَعْضِ وَرَثَتِهِ بِأَكْثَرَ مِنْ ثُلُثِهِ إِنَّهُ لَيْسَ لَهُمْ أَنْ يَرْجِعُوا فِي ذَلِكَ وَلَوْ جَازَ ذَلِكَ لَهُمْ صَنَعَ كُلُّ وَارِثٍ ذَلِكَ فَإِذَا هَلَكَ الْمُوصِي أَخَذُوا ذَلِكَ لِأَنْفُسِهِمْ وَمَنَعُوهُ الْوَصِيَّةَ فِي ثُلُثِهِ وَمَا أُذِنَ لَهُ بِهِ فِي مَالِهِ قَالَ فَأَمَّا أَنْ يَسْتَأْذِنَ وَرَثَتَهُ فِي وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا لِوَارِثٍ فِي صِحَّتِهِ فَيَأْذَنُونَ لَهُ فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَلْزَمُهُمْ وَلِوَرَثَتِهِ أَنْ يَرُدُّوا ذَلِكَ إِنْ شَاءُوا وَذَلِكَ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا كَانَ صَحِيحًا كَانَ أَحَقَّ بِجَمِيعِ مَالِهِ يَصْنَعُ فِيهِ مَا شَاءَ إِنْ شَاءَ أَنْ يَخْرُجَ مِنْ جَمِيعِهِ خَرَجَ فَيَتَصَدَّقُ بِهِ أَوْ يُعْطِيهِ مَنْ شَاءَ وَإِنَّمَا يَكُونُ اسْتِئْذَانُهُ وَرَثَتَهُ جَائِزًا عَلَى الْوَرَثَةِ إِذَا أَذِنُوا لَهُ حِينَ يُحْجَبُ عَنْهُ مَالُهُ وَلَا يَجُوزُ لَهُ شَيْءٌ إِلَّا فِي ثُلُثِهِ وَحِينَ هُمْ أَحَقُّ بِثُلُثَيْ مَالِهِ مِنْهُ فَذَلِكَ حِينَ يَجُوزُ عَلَيْهِمْ أَمْرُهُمْ وَمَا أَذِنُوا لَهُ بِهِ فَإِنْ سَأَلَ بَعْضُ وَرَثَتِهِ أَنْ يَهَبَ لَهُ مِيرَاثَهُ حِينَ تَحْضُرُهُ الْوَفَاةُ فَيَفْعَلُ ثُمَّ لَا يَقْضِي فِيهِ الْهَالِكُ شَيْئًا فَإِنَّهُ رَدٌّ عَلَى مَنْ وَهَبَهُ إِلَّا أَنْ يَقُولَ لَهُ الْمَيِّتُ فُلَانٌ لِبَعْضِ وَرَثَتِهِ ضَعِيفٌ وَقَدْ أَحْبَبْتُ أَنْ تَهَبَ لَهُ مِيرَاثَكَ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهُ فَإِنَّ ذَلِكَ جَائِزٌ إِذَا سَمَّاهُ الْمَيِّتُ لَهُ قَالَ وَإِنْ وَهَبَ لَهُ مِيرَاثَهُ ثُمَّ أَنْفَذَ الْهَالِكُ بَعْضَهُ وَبَقِيَ بَعْضٌ فَهُوَ رَدٌّ عَلَى الَّذِي وَهَبَ يَرْجِعُ إِلَيْهِ مَا بَقِيَ بَعْدَ وَفَاةِ الَّذِي أُعْطِيَهُ قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِيمَنْ أَوْصَى بِوَصِيَّةٍ فَذَكَرَ أَنَّهُ قَدْ كَانَ أَعْطَى بَعْضَ وَرَثَتِهِ شَيْئًا لَمْ يَقْبِضْهُ فَأَبَى الْوَرَثَةُ أَنْ يُجِيزُوا ذَلِكَ فَإِنَّ ذَلِكَ يَرْجِعُ إِلَى الْوَرَثَةِ مِيرَاثًا عَلَى كِتَابِ اللَّهِ لِأَنَّ الْمَيِّتَ لَمْ يُرِدْ أَنْ يَقَعَ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ فِي ثُلُثِهِ وَلَا يُحَاصُّ أَهْلُ الْوَصَايَا فِي ثُلُثِهِ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: