আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৩৭. ওসীয়্যত সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৪৮৯
৪. গর্ভবতী, রোগী ও মুজাহিদ সম্পর্কে হুকুম তাহারা কত দিবে
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ গর্ভবতীর হুকুম ও অসুস্থ মানুষের হুকুম একই। যখন সাধারণ অসুখ হয়, মৃত্যুর ভয় না থাকে তখন রোগী তাহার সম্পত্তির মধ্যে যাহা খুশী তাহাই করিতে পারে। আর যদি অসুখ সাংঘাতিক ধরনের হয়, যাহার বাঁচিবার আশা খুব কম, তবে সম্পত্তির মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশী বিক্রয় করিতে পারিবে না। এইরূপই গর্ভবতীর হুকুম। গর্ভবতীর প্রথমাবস্থায় যখন খুব আনন্দে থাকে তখন তাহার সম্পত্তিতে যাহা ইচ্ছা সে তাহাই করিতে পারে, কেননা আল্লাহ্ তাআলা বলিয়াছেন, “আমি তাহাকে (বিবি সারাকে) ইসহাকের সুসংবাদ দিলাম, আর ইসহাকের পরে ইয়াকুবের সুসংবাদ দিলাম। আল্লাহ্ তাআলা আরো বলেন যে, “যখন আদম হাওয়ার সাথে সহবাস করিল তখন হাওয়ার সামান্য গর্ভের সঞ্চার হইল এবং চলাফেরা করিতে লাগিল। অতঃপর যখন গর্ভ অধিক ভারী হইয়া গেল তখন দুইজনেই আল্লাহ্ তাআলার নিকট দোয়া করিলেন যে, যদি আমাদিগকে নেক সন্তান দেন তবে আপনার কৃতজ্ঞ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হইয়া যাইব।” সুতরাং যখন গর্ভবতীর গর্ভ বেশী ভারী হইয়া যায় তখন সে তাহার সম্পদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশীর মধ্যে কিছুই করিতে পারিবে না। এই অবস্থা ছয়মাস পরে হয়। যেমন আল্লাহ তাআলা নিজ কিতাবে বলিয়াছেন যে, মাতাগণ সন্তানদিগকে পূর্ণ দুই বৎসরে দুগ্ধপান করাইবে। যে ব্যক্তি দুগ্ধপানকে পূর্ণ করাইতে চায়। পুনরায় বলেন যে, গর্ভ ধারণ ও দুধ ছাড়ানো ত্রিশ মাস। সুতরাং যখন গর্ভবতী ছয়মাস অতিবাহিত হইয়া যায় গর্ভ সঞ্চারের দিন হইতে, তখন সে তাহার সম্পত্তিতে এক-তৃতীয়াংশের বেশীতে কিছুই করিতে পারিবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি লড়াইয়ের ময়দানে (যোদ্ধাদের) কাতারের মধ্যে থাকে সেও তাহার মালের এক-তৃতীয়াংশের বেশী কিছু করিতে পারিবে না। তাহার হুকুমও গর্ভবতী এবং রোগীর হুকুমের মতো।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি লড়াইয়ের ময়দানে (যোদ্ধাদের) কাতারের মধ্যে থাকে সেও তাহার মালের এক-তৃতীয়াংশের বেশী কিছু করিতে পারিবে না। তাহার হুকুমও গর্ভবতী এবং রোগীর হুকুমের মতো।
بَاب أَمْرِ الْحَامِلِ وَالْمَرِيضِ وَالَّذِي يَحْضُرُ الْقِتَالَ فِي أَمْوَالِهِمْ
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي وَصِيَّةِ الْحَامِلِ وَفِي قَضَايَاهَا فِي مَالِهَا وَمَا يَجُوزُ لَهَا أَنَّ الْحَامِلَ كَالْمَرِيضِ فَإِذَا كَانَ الْمَرَضُ الْخَفِيفُ غَيْرُ الْمَخُوفِ عَلَى صَاحِبِهِ فَإِنَّ صَاحِبَهُ يَصْنَعُ فِي مَالِهِ مَا يَشَاءُ وَإِذَا كَانَ الْمَرَضُ الْمَخُوفُ عَلَيْهِ لَمْ يَجُزْ لِصَاحِبِهِ شَيْءٌ إِلَّا فِي ثُلُثِهِ قَالَ وَكَذَلِكَ الْمَرْأَةُ الْحَامِلُ أَوَّلُ حَمْلِهَا بِشْرٌ وَسُرُورٌ وَلَيْسَ بِمَرَضٍ وَلَا خَوْفٍ لِأَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ فِي كِتَابِهِ فَبَشَّرْنَاهَا بِإِسْحَقَ وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَقَ يَعْقُوبَ وَقَالَ حَمَلَتْ حَمْلًا خَفِيفًا فَمَرَّتْ بِهِ فَلَمَّا أَثْقَلَتْ دَعَوَا اللَّهَ رَبَّهُمَا لَئِنْ آتَيْتَنَا صَالِحًا لَنَكُونَنَّ مِنْ الشَّاكِرِينَ فَالْمَرْأَةُ الْحَامِلُ إِذَا أَثْقَلَتْ لَمْ يَجُزْ لَهَا قَضَاءٌ إِلَّا فِي ثُلُثِهَا فَأَوَّلُ الْإِتْمَامِ سِتَّةُ أَشْهُرٍ قَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فِي كِتَابِهِ وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ وَقَالَ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا فَإِذَا مَضَتْ لِلْحَامِلِ سِتَّةُ أَشْهُرٍ مِنْ يَوْمَ حَمَلَتْ لَمْ يَجُزْ لَهَا قَضَاءٌ فِي مَالِهَا إِلَّا فِي الثُّلُثِ قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يَحْضُرُ الْقِتَالَ إِنَّهُ إِذَا زَحَفَ فِي الصَّفِّ لِلْقِتَالِ لَمْ يَجُزْ لَهُ أَنْ يَقْضِيَ فِي مَالِهِ شَيْئًا إِلَّا فِي الثُّلُثِ وَإِنَّهُ بِمَنْزِلَةِ الْحَامِلِ وَالْمَرِيضِ الْمَخُوفِ عَلَيْهِ مَا كَانَ بِتِلْكَ الْحَالِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: