আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৩২. শরীকী কারবারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩৯৩
৬. পণ্যদ্রব্য ইত্যাদিতে শরীকী কারবার
রেওয়ায়ত ৭. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ শরীকী কারবার শুধু সোনা চাঁদিতে হইবে, পণ্যদ্রব্যে হইবে না, কেননা পণ্য সামগ্রীতে শরীকী কারবার দুই প্রকারে হইতে পারে; প্রথমত পুঁজি বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ীকে পণ্য সামগ্ৰী দিয়া বলিবে, ইহা বিক্রয় করিয়া ঐ টাকা দিয়া কারবার কর - ইহা বৈধ নহে। কেননা ইহাতে অর্থ বিনিয়োগকারীর এক বিশেষ উপকার এই রহিয়াছে যে, তাহার মাল নির্বিঘ্নে বিক্রয় হইয়া গেল; দ্বিতীয়ত, অর্থ বিনিয়োগকারী পণ্যসামগ্ৰী দিয়া বলিয়া দিল ইহার বিনিময়ে অন্য সামগ্ৰী ক্রয় করিয়া লও এবং ব্যবসা করিতে থাক, যখন লেনদেন শেষ করিতে ইচ্ছা কর তখন এই সামগ্রীর মতো সামগ্ৰী আমাকে বাজার হইতে খরিদ করিয়া দিও। আর যাহা অতিরিক্ত থাকে তাহা আমরা ভাগ করিয়া লইব, তবে ইহাও অবৈধ হইবে। কেননা ইহাতে ধোঁকার আশঙ্কা রহিয়াছে, হয়তো তখন এই মাল অধিক মূল্যে ক্রয় করিতে হইবে। আর সামগ্ৰী দেওয়ার সময় যে দাম ছিল সেই দাম হইতে যদি এখন সস্তা হইয়া গিয়া থাকে, তবে ব্যবসায়ীর সামগ্রীর মূল্যের হ্রাস অনুসারে লাভ করিয়া যাইবে বা আসল ও লাভ সমস্তই তাহা খরিদ করিতে ব্যয় হইয়া যাইবে, আর ব্যবসায়ীর মেহনত বৃথা যাইবে। তবুও যদি কেহ এইরূপ লেনদেন করিয়াই ফেলে তবে ব্যবসায়ীকে প্রথমে সামগ্ৰী বিক্রয়ের নিয়ম মতো পারিশ্রমিক দিতে হইবে। আর যে দিন হইতে মূলধন নগদ টাকা হইল সেইদিন হইতে শরীকী কারবার শুরু হইবে। অতঃপর কারবার শেষ হওয়ার সময় এই পরিমাণ মূলধনই ধরা হইবে।
بَاب الْقِرَاضِ فِي الْعُرُوضِ
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يُقَارِضَ أَحَدًا إِلَّا فِي الْعَيْنِ لِأَنَّهُ لَا تَنْبَغِي الْمُقَارَضَةُ فِي الْعُرُوضِ لِأَنَّ الْمُقَارَضَةَ فِي الْعُرُوضِ إِنَّمَا تَكُونُ عَلَى أَحَدِ وَجْهَيْنِ إِمَّا أَنْ يَقُولَ لَهُ صَاحِبُ الْعَرْضِ خُذْ هَذَا الْعَرْضَ فَبِعْهُ فَمَا خَرَجَ مِنْ ثَمَنِهِ فَاشْتَرِ بِهِ وَبِعْ عَلَى وَجْهِ الْقِرَاضِ فَقَدْ اشْتَرَطَ صَاحِبُ الْمَالِ فَضْلًا لِنَفْسِهِ مِنْ بَيْعِ سِلْعَتِهِ وَمَا يَكْفِيهِ مِنْ مَئُونَتِهَا أَوْ يَقُولَ اشْتَرِ بِهَذِهِ السِّلْعَةِ وَبِعْ فَإِذَا فَرَغْتَ فَابْتَعْ لِي مِثْلَ عَرْضِي الَّذِي دَفَعْتُ إِلَيْكَ فَإِنْ فَضَلَ شَيْءٌ فَهُوَ بَيْنِي وَبَيْنَكَ وَلَعَلَّ صَاحِبَ الْعَرْضِ أَنْ يَدْفَعَهُ إِلَى الْعَامِلِ فِي زَمَنٍ هُوَ فِيهِ نَافِقٌ كَثِيرُ الثَّمَنِ ثُمَّ يَرُدَّهُ الْعَامِلُ حِينَ يَرُدُّهُ وَقَدْ رَخُصَ فَيَشْتَرِيَهُ بِثُلُثِ ثَمَنِهِ أَوْ أَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ فَيَكُونُ الْعَامِلُ قَدْ رَبِحَ نِصْفَ مَا نَقَصَ مِنْ ثَمَنِ الْعَرْضِ فِي حِصَّتِهِ مِنْ الرِّبْحِ أَوْ يَأْخُذَ الْعَرْضَ فِي زَمَانٍ ثَمَنُهُ فِيهِ قَلِيلٌ فَيَعْمَلُ فِيهِ حَتَّى يَكْثُرَ الْمَالُ فِي يَدَيْهِ ثُمَّ يَغْلُو ذَلِكَ الْعَرْضُ وَيَرْتَفِعُ ثَمَنُهُ حِينَ يَرُدُّهُ فَيَشْتَرِيهِ بِكُلِّ مَا فِي يَدَيْهِ فَيَذْهَبُ عَمَلُهُ وَعِلَاجُهُ بَاطِلًا فَهَذَا غَرَرٌ لَا يَصْلُحُ فَإِنْ جُهِلَ ذَلِكَ حَتَّى يَمْضِيَ نُظِرَ إِلَى قَدْرِ أَجْرِ الَّذِي دُفِعَ إِلَيْهِ الْقِرَاضُ فِي بَيْعِهِ إِيَّاهُ وَعِلَاجِهِ فَيُعْطَاهُ ثُمَّ يَكُونُ الْمَالُ قِرَاضًا مِنْ يَوْمَ نَضَّ الْمَالُ وَاجْتَمَعَ عَيْنًا وَيُرَدُّ إِلَى قِرَاضٍ مِثْلِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: