আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৩২. শরীকী কারবারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩৯২
৫. শরীকী কারবারের অবৈধ শর্তসমূহ
রেওয়ায়ত ৬. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ শরীকী কারবারে যে অর্থ দেয় সে যদি লভ্যাংশের কিছু অংশ নিজের জন্য নির্দিষ্ট করে বা যে ব্যবসা করিবে সে নিজের জন্য কিছু নির্দিষ্ট করিয়া লয় তবে ইহা অবৈধ। শরীকী কারবারের সহিত কোন বস্তু ক্রয়ের, ভাড়া দেওয়ার, করযের অথবা অন্য কোন উপকারের শর্ত করা অবৈধ। তবে কোন শর্ত ব্যতীত নিয়ম মাফিক একে অন্যের সাহায্য করা বৈধ। নিয়ম মুতাবিক লাভ কর্তন ছাড়া একে অন্যের উপর কিছু অতিরিক্ত ধার্য করা অবৈধ, সেই অতিরিক্ত ধার্য করা সোনায়, চাঁদিতে, খাদ্য-সামগ্রীতে বা অন্য কোন কিছুতে হইলেও যদি এইরূপে কোন শর্ত করা হয়, তবে তাহা ইজারা হইয়া যাইবে। আর ইজারা শুধু নির্দিষ্ট ভাড়ার পরিবর্তে বৈধ হইবে। শরীকী কারবারে অর্থ গ্রহীতার পক্ষে কাহাকেও কোন উপকারের পরিবর্তে কিছু দান করা বা ক্রয়কৃত মাল তাওলিয়াতে বিক্রয় করা বা নিজে নির্দিষ্ট কোন বস্তুর অধিকারী হওয়া বৈধ নহে। যদি ব্যবসায়ে লাভ হয় তবে মূলধন পৃথক করার পর উভয়ে শর্ত অনুযায়ী ভাগ করিয়া লইবে। যদি লাভ না হয় বা ক্ষতি হয় তবে ব্যবসায়ী দায়ী হইবে না। নিজের খরচের জন্যও নহে, ক্ষতির জন্যও নহে, বরং ক্ষতি হইবে অর্থ প্রদানকারীর। যদি ব্যবসায়ী এবং অর্থ প্রদানকারী উভয়ে লভ্যাংশের আধা-আধি অথবা প্রথম ব্যক্তি চার ভাগের এক ও দ্বিতীয় ব্যক্তি চার ভাগের এক বা এই ধরনের আর কিছুতে বেশী বা কমের উপর উভয়ে সম্মত হইয়া যায়, তবে শরীকী কারবার বৈধ হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি বর্ণিত শর্ত করে যে, এত দিনের মধ্যে আমার নিকট হইতে মূলধন উঠাইয়া নেওয়া চলিবে না বা শর্ত করে যে, সে এতদিন মূলধন ফিরাইয়া দিতে পারবে না, তবে ইহা অবৈধ হইবে। কেননা শরীকী কারবারে সময়ের শর্ত হইতে পারে না। যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী নিজের অর্থ বণিককে দিয়া দেয় আর বণিকের উহা দ্বারা ব্যবসা করা ভাল না লাগে এমতাবস্থায় যদি অর্থ জমা থাকে তবে মূলধনের মালিক উহা ফেরত লইয়া লইবে। আর যদি উহা দ্বারা কোন সামগ্ৰী ইত্যাদি ক্রয় করা হইয়া থাকে তবে পুঁজি বিনিয়োগকারী ঐ সামগ্ৰী লইবে না এবং বণিকও তাহাকে উহা লইতে বাধ্য করিবে না, বরং এ সামগ্ৰী বিক্রয় করিয়া নগদ অর্থ যোগাড় করিবে ও উহা ফেরত দিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী শর্ত করে যে, উহার যাকাত লভ্যাংশ হইতে দিবে তবে ইহা অবৈধ হইবে। আর পুঁজি বিনিয়োগকারীর পক্ষে এই শর্ত করাও বৈধ হইবে না যে, অমুক ব্যক্তি হইতেই মাল খরিদ করিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী তাহার শরীক ব্যবসায়ীর উপর মালের জন্য দায়ী হইবার শর্ত করে ইহা জায়েয হইবে না। এই অবস্থায় যদি লাভ হয় তাহা হইলে এই দায়িত্বের জন্য অতিরিক্ত কিছুও দেওয়া হইবে না। যদি মাল নষ্ট হইয়া যায় তবে ব্যবসায়ীর উপর দায়িত্বও অর্পিত হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ীর নিকট এই শর্ত আরোপ করে যে, এই মূলধন দ্বারা কিছু খেজুর গাছ বা কোন জন্তু খরিদ করিয়া লইবে আর উহার ফল ও বাচ্চা বিক্রয় করিতে থাকিবে, ঐ গাছ বা জন্তু বিক্রয় করিবে না, তবে উহা বৈধ হইবে না, আর ইহা শরীকী কারবারের নিয়ম নহে। হ্যাঁ, যদি ঐ গাছ বা জন্তু খরিদ করিয়া অন্যান্য সামগ্রীর মতো বিক্রয় করিয়া দেয় তবে তাহা বৈধ।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি ব্যবসায়ী অর্থ বিনিয়োগকারীর প্রতি শর্ত আরোপ করে যে, আমি মূলধন হইতে একটি দাস খরিদ করিয়া লইব নিজের সাহায্যের জন্য, তবে ইহা বৈধ হইবে। যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী এইরূপ অঙ্গীকার না নেয় যে, এই দাস কেবল পণ্যের রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করিবে, অন্য কোন কার্যে সাহায্য করিবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি বর্ণিত শর্ত করে যে, এত দিনের মধ্যে আমার নিকট হইতে মূলধন উঠাইয়া নেওয়া চলিবে না বা শর্ত করে যে, সে এতদিন মূলধন ফিরাইয়া দিতে পারবে না, তবে ইহা অবৈধ হইবে। কেননা শরীকী কারবারে সময়ের শর্ত হইতে পারে না। যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী নিজের অর্থ বণিককে দিয়া দেয় আর বণিকের উহা দ্বারা ব্যবসা করা ভাল না লাগে এমতাবস্থায় যদি অর্থ জমা থাকে তবে মূলধনের মালিক উহা ফেরত লইয়া লইবে। আর যদি উহা দ্বারা কোন সামগ্ৰী ইত্যাদি ক্রয় করা হইয়া থাকে তবে পুঁজি বিনিয়োগকারী ঐ সামগ্ৰী লইবে না এবং বণিকও তাহাকে উহা লইতে বাধ্য করিবে না, বরং এ সামগ্ৰী বিক্রয় করিয়া নগদ অর্থ যোগাড় করিবে ও উহা ফেরত দিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী শর্ত করে যে, উহার যাকাত লভ্যাংশ হইতে দিবে তবে ইহা অবৈধ হইবে। আর পুঁজি বিনিয়োগকারীর পক্ষে এই শর্ত করাও বৈধ হইবে না যে, অমুক ব্যক্তি হইতেই মাল খরিদ করিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী তাহার শরীক ব্যবসায়ীর উপর মালের জন্য দায়ী হইবার শর্ত করে ইহা জায়েয হইবে না। এই অবস্থায় যদি লাভ হয় তাহা হইলে এই দায়িত্বের জন্য অতিরিক্ত কিছুও দেওয়া হইবে না। যদি মাল নষ্ট হইয়া যায় তবে ব্যবসায়ীর উপর দায়িত্বও অর্পিত হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ীর নিকট এই শর্ত আরোপ করে যে, এই মূলধন দ্বারা কিছু খেজুর গাছ বা কোন জন্তু খরিদ করিয়া লইবে আর উহার ফল ও বাচ্চা বিক্রয় করিতে থাকিবে, ঐ গাছ বা জন্তু বিক্রয় করিবে না, তবে উহা বৈধ হইবে না, আর ইহা শরীকী কারবারের নিয়ম নহে। হ্যাঁ, যদি ঐ গাছ বা জন্তু খরিদ করিয়া অন্যান্য সামগ্রীর মতো বিক্রয় করিয়া দেয় তবে তাহা বৈধ।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি ব্যবসায়ী অর্থ বিনিয়োগকারীর প্রতি শর্ত আরোপ করে যে, আমি মূলধন হইতে একটি দাস খরিদ করিয়া লইব নিজের সাহায্যের জন্য, তবে ইহা বৈধ হইবে। যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী এইরূপ অঙ্গীকার না নেয় যে, এই দাস কেবল পণ্যের রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করিবে, অন্য কোন কার্যে সাহায্য করিবে না।
بَاب مَا لَا يَجُوزُ مِنْ الشَّرْطِ فِي الْقِرَاضِ
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي لِصَاحِبِ الْمَالِ أَنْ يَشْتَرِطَ لِنَفْسِهِ شَيْئًا مِنْ الرِّبْحِ خَالِصًا دُونَ الْعَامِلِ وَلَا يَنْبَغِي لِلْعَامِلِ أَنْ يَشْتَرِطَ لِنَفْسِهِ شَيْئًا مِنْ الرِّبْحِ خَالِصًا دُونَ صَاحِبِهِ وَلَا يَكُونُ مَعَ الْقِرَاضِ بَيْعٌ وَلَا كِرَاءٌ وَلَا عَمَلٌ وَلَا سَلَفٌ وَلَا مِرْفَقٌ يَشْتَرِطُهُ أَحَدُهُمَا لِنَفْسِهِ دُونَ صَاحِبِهِ إِلَّا أَنْ يُعِينَ أَحَدُهُمَا صَاحِبَهُ عَلَى غَيْرِ شَرْطٍ عَلَى وَجْهِ الْمَعْرُوفِ إِذَا صَحَّ ذَلِكَ مِنْهُمَا وَلَا يَنْبَغِي لِلْمُتَقَارِضَيْنِ أَنْ يَشْتَرِطَ أَحَدُهُمَا عَلَى صَاحِبِهِ زِيَادَةً مِنْ ذَهَبٍ وَلَا فِضَّةٍ وَلَا طَعَامٍ وَلَا شَيْءٍ مِنْ الْأَشْيَاءِ يَزْدَادُهُ أَحَدُهُمَا عَلَى صَاحِبِهِ قَالَ فَإِنْ دَخَلَ الْقِرَاضَ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ صَارَ إِجَارَةً وَلَا تَصْلُحُ الْإِجَارَةُ إِلَّا بِشَيْءٍ ثَابِتٍ مَعْلُومٍ وَلَا يَنْبَغِي لِلَّذِي أَخَذَ الْمَالَ أَنْ يَشْتَرِطَ مَعَ أَخْذِهِ الْمَالَ أَنْ يُكَافِئَ وَلَا يُوَلِّيَ مِنْ سِلْعَتِهِ أَحَدًا وَلَا يَتَوَلَّى مِنْهَا شَيْئًا لِنَفْسِهِ فَإِذَا وَفَرَ الْمَالُ وَحَصَلَ عَزْلُ رَأْسِ الْمَالِ ثُمَّ اقْتَسَمَا الرِّبْحَ عَلَى شَرْطِهِمَا فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لِلْمَالِ رِبْحٌ أَوْ دَخَلَتْهُ وَضِيعَةٌ لَمْ يَلْحَقْ الْعَامِلَ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ لَا مِمَّا أَنْفَقَ عَلَى نَفْسِهِ وَلَا مِنْ الْوَضِيعَةِ وَذَلِكَ عَلَى رَبِّ الْمَالِ فِي مَالِهِ وَالْقِرَاضُ جَائِزٌ عَلَى مَا تَرَاضَى عَلَيْهِ رَبُّ الْمَالِ وَالْعَامِلُ مِنْ نِصْفِ الرِّبْحِ أَوْ ثُلُثِهِ أَوْ رُبُعِهِ أَوْ أَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ أَوْ أَكْثَرَ قَالَ مَالِك لَا يَجُوزُ لِلَّذِي يَأْخُذُ الْمَالَ قِرَاضًا أَنْ يَشْتَرِطَ أَنْ يَعْمَلَ فِيهِ سِنِينَ لَا يُنْزَعُ مِنْهُ قَالَ وَلَا يَصْلُحُ لِصَاحِبِ الْمَالِ أَنْ يَشْتَرِطَ أَنَّكَ لَا تَرُدُّهُ إِلَيَّ سِنِينَ لِأَجَلٍ يُسَمِّيَانِهِ لِأَنَّ الْقِرَاضَ لَا يَكُونُ إِلَى أَجَلٍ وَلَكِنْ يَدْفَعُ رَبُّ الْمَالِ مَالَهُ إِلَى الَّذِي يَعْمَلُ لَهُ فِيهِ فَإِنْ بَدَا لِأَحَدِهِمَا أَنْ يَتْرُكَ ذَلِكَ وَالْمَالُ نَاضٌّ لَمْ يَشْتَرِ بِهِ شَيْئًا تَرَكَهُ وَأَخَذَ صَاحِبُ الْمَالِ مَالَهُ وَإِنْ بَدَا لِرَبِّ الْمَالِ أَنْ يَقْبِضَهُ بَعْدَ أَنْ يَشْتَرِيَ بِهِ سِلْعَةً فَلَيْسَ ذَلِكَ لَهُ حَتَّى يُبَاعَ الْمَتَاعُ وَيَصِيرَ عَيْنًا فَإِنْ بَدَا لِلْعَامِلِ أَنْ يَرُدَّهُ وَهُوَ عَرْضٌ لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ لَهُ حَتَّى يَبِيعَهُ فَيَرُدَّهُ عَيْنًا كَمَا أَخَذَهُ قَالَ مَالِك وَلَا يَصْلُحُ لِمَنْ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا أَنْ يَشْتَرِطَ عَلَيْهِ الزَّكَاةَ فِي حِصَّتِهِ مِنْ الرِّبْحِ خَاصَّةً لِأَنَّ رَبَّ الْمَالِ إِذَا اشْتَرَطَ ذَلِكَ فَقَدْ اشْتَرَطَ لِنَفْسِهِ فَضْلًا مِنْ الرِّبْحِ ثَابِتًا فِيمَا سَقَطَ عَنْهُ مِنْ حِصَّةِ الزَّكَاةِ الَّتِي تُصِيبُهُ مِنْ حِصَّتِهِ وَلَا يَجُوزُ لِرَجُلٍ أَنْ يَشْتَرِطَ عَلَى مَنْ قَارَضَهُ أَنْ لَا يَشْتَرِيَ إِلَّا مِنْ فُلَانٍ لِرَجُلٍ يُسَمِّيهِ فَذَلِكَ غَيْرُ جَائِزٍ لِأَنَّهُ يَصِيرُ لَهُ أَجِيرًا بِأَجْرٍ لَيْسَ بِمَعْرُوفٍ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَدْفَعُ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا وَيَشْتَرِطُ عَلَى الَّذِي دَفَعَ إِلَيْهِ الْمَالَ الضَّمَانَ قَالَ لَا يَجُوزُ لِصَاحِبِ الْمَالِ أَنْ يَشْتَرِطَ فِي مَالِهِ غَيْرَ مَا وُضِعَ الْقِرَاضُ عَلَيْهِ وَمَا مَضَى مِنْ سُنَّةِ الْمُسْلِمِينَ فِيهِ فَإِنْ نَمَا الْمَالُ عَلَى شَرْطِ الضَّمَانِ كَانَ قَدْ ازْدَادَ فِي حَقِّهِ مِنْ الرِّبْحِ مِنْ أَجْلِ مَوْضِعِ الضَّمَانِ وَإِنَّمَا يَقْتَسِمَانِ الرِّبْحَ عَلَى مَا لَوْ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ عَلَى غَيْرِ ضَمَانٍ وَإِنْ تَلِفَ الْمَالُ لَمْ أَرَ عَلَى الَّذِي أَخَذَهُ ضَمَانًا لِأَنَّ شَرْطَ الضَّمَانِ فِي الْقِرَاضِ بَاطِلٌ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِ أَنْ لَا يَبْتَاعَ بِهِ إِلَّا نَخْلًا أَوْ دَوَابَّ لِأَجْلِ أَنَّهُ يَطْلُبُ ثَمَرَ النَّخْلِ أَوْ نَسْلَ الدَّوَابِّ وَيَحْبِسُ رِقَابَهَا قَالَ مَالِك لَا يَجُوزُ هَذَا وَلَيْسَ هَذَا مِنْ سُنَّةِ الْمُسْلِمِينَ فِي الْقِرَاضِ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِيَ ذَلِكَ ثُمَّ يَبِيعَهُ كَمَا يُبَاعُ غَيْرُهُ مِنْ السِّلَعِ قَالَ مَالِك لَا بَأْسَ أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُقَارِضُ عَلَى رَبِّ الْمَالِ غُلَامًا يُعِينُهُ بِهِ عَلَى أَنْ يَقُومَ مَعَهُ الْغُلَامُ فِي الْمَالِ إِذَا لَمْ يَعْدُ أَنْ يُعِينَهُ فِي الْمَالِ لَا يُعِينُهُ فِي غَيْرِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: