আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৩৬৩
৩৭. বরনামজ’* বা বিলের উপর বিক্রয় করা
রেওয়ায়ত ৭৯. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাসআলা এই—একদল লোক পণ্য ক্রয় করিল-কাপড় অথবা ক্রীতদাস, এই সংবাদ আর এক ব্যক্তি শুনিল। সে ক্রেতাদের একজনকে বলিল, আপনি অমুক হইতে যেই বস্ত্র ক্রয় করিয়াছেন উহার অবস্থা ও গুণাগুণ আমি অবহিত আছি। আপনার অংশের পণ্যে আমি আপনাকে এত এত মুনাফা দিব, ইহাতে আপনি আগ্রহী আছেন কি? সে বলিল, হ্যাঁ, সে (দ্বিতীয়বারের ক্রেতা) উহাকে (বিক্রেতাকে) লাভ দিল এবং ক্রেতাদের দলে বিক্রেতার স্থলে শরীক হইয়া গেল, তারপর যখন সে বস্ত্র বা ক্রীতদাস নিরীক্ষা করিয়া দেখিল উহাকে খারাপ পাইল এবং উহার মূল্য অতিরিক্ত মনে করিল। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এই বেচাকেনা এবং উহা গ্রহণ (বিল দেখিয়া যে ক্রয় করিয়াছে) তাহার জন্য জরুরী হইবে এবং (উহা রদ করার) ইখতিয়ার তাহার থাকিবে না। যদি সে নির্দিষ্ট গুণাগুণ জানিয়া বিল দেখিয়া ক্রয় করিয়া থাকে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি বিভিন্ন জাতের বস্ত্র আমদানী করিয়াছে। (সেই সব বস্ত্র ক্রয় করার জন্য) তাহার নিকট ক্রেতাগণ উপস্থিত হইতে লাগিল। তিনি তাহাদিগকে বরনামা (বিল) পাঠ করিয়া শোনাইলেন। তিনি বলিলেন, প্রতি গাঁইটে এত এত বসরীয় মিলহাফা রহিয়াছে এবং এত এত সারবীয় রাইতা রহিয়াছে বিভিন্ন শ্রেণীর বস্ত্রের বিভিন্ন প্রকার দর নির্দিষ্ট করিলেন। আরও সে বলিল, আপনারা আমার নিকট হইতে এই বর্ণিত গুণাগুণের বস্ত্রসমূহ ক্রয় করুন, তাহারা বর্ণিত গুণের উপর সেই বস্ত্রের গাঁইটসমূহ ক্রয় করিলেন। অতঃপর গাঁইট খোলার পর তাহারা বস্ত্রসমূহের দাম অতিরিক্ত হইয়াছে বলিয়া মনে করিলেন এবং (এই ক্রয়ের উপর) লজ্জিত হইলেন।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যেই বিলের সপক্ষে তাহাদের নিকট মাল বিক্রয় করা হইয়াছে সেই বিল অনুযায়ী গাঁইটে মাল পাওয়া গেল এবং মাল বিলের বিপরীত না হইলে তবে ইহা (ক্রয়) তাহদের জন্য বাধ্যতামূলক হইবে।
بَاب الْبَيْعِ عَلَى الْبَرْنَامَجِ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الْقَوْمِ يَشْتَرُونَ السِّلْعَةَ الْبَزَّ أَوْ الرَّقِيقَ فَيَسْمَعُ بِهِ الرَّجُلُ فَيَقُولُ لِرَجُلٍ مِنْهُمْ الْبَزُّ الَّذِي اشْتَرَيْتَ مِنْ فُلَانٍ قَدْ بَلَغَتْنِي صِفَتُهُ وَأَمْرُهُ فَهَلْ لَكَ أَنْ أُرْبِحَكَ فِي نَصِيبِكَ كَذَا وَكَذَا فَيَقُولُ نَعَمْ فَيُرْبِحُهُ وَيَكُونُ شَرِيكًا لِلْقَوْمِ مَكَانَهُ فَإِذَا نَظَرَ إِلَيْهِ رَآهُ قَبِيحًا وَاسْتَغْلَاهُ قَالَ مَالِك ذَلِكَ لَازِمٌ لَهُ وَلَا خِيَارَ لَهُ فِيهِ إِذَا كَانَ ابْتَاعَهُ عَلَى بَرْنَامَجٍ وَصِفَةٍ مَعْلُومَةٍ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَقْدَمُ لَهُ أَصْنَافٌ مِنْ الْبَزِّ وَيَحْضُرُهُ السُّوَّامُ وَيَقْرَأُ عَلَيْهِمْ بَرْنَامَجَهُ وَيَقُولُ فِي كُلِّ عِدْلٍ كَذَا وَكَذَا مِلْحَفَةً بَصْرِيَّةً وَكَذَا وَكَذَا رَيْطَةً سَابِرِيَّةً ذَرْعُهَا كَذَا وَكَذَا وَيُسَمِّي لَهُمْ أَصْنَافًا مِنْ الْبَزِّ بِأَجْنَاسِهِ وَيَقُولُ اشْتَرُوا مِنِّي عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ فَيَشْتَرُونَ الْأَعْدَالَ عَلَى مَا وَصَفَ لَهُمْ ثُمَّ يَفْتَحُونَهَا فَيَسْتَغْلُونَهَا وَيَنْدَمُونَ قَالَ مَالِك ذَلِكَ لَازِمٌ لَهُمْ إِذَا كَانَ مُوَافِقًا لِلْبَرْنَامَجِ الَّذِي بَاعَهُمْ عَلَيْهِ قَالَ مَالِك وَهَذَا الْأَمْرُ الَّذِي لَمْ يَزَلْ عَلَيْهِ النَّاسُ عِنْدَنَا يُجِيزُونَهُ بَيْنَهُمْ إِذَا كَانَ الْمَتَاعُ مُوَافِقًا لِلْبَرْنَامَجِ وَلَمْ يَكُنْ مُخَالِفًا لَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান