আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৩৬২
৩৬. লাভে বিক্রয় প্রসঙ্গে
রেওয়ায়ত ৭৮. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ বায (بز বস্ত্র বা গৃহ সরঞ্জাম) সম্বন্ধে আমাদের নিকট সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এই, এক ব্যক্তি এ শহর হইতে বস্ত্র বা গৃহ সরঞ্জাম ক্রয় করিল। অতঃপর সেই সব সরঞ্জাম অন্য শহরে লইয়া গেল। তথায় সেসব বস্তু লাভে বিক্রয় করিল। তবে দ্রব্যমূল্যে দালালের মজুরি, কাপড় ভাঁজ করা, গাঁইট বাঁধা এবং অন্যান্য ব্যয় হিসাব করা হইবে না এবং ঘর ভাড়াও উহাতে হিসাব করা হইবে না। তবে বস্ত্র বা গৃহ সরঞ্জামের পরিবহন মজুরি আসল মূল্যে গণ্য করা হইবে। বস্ত্র বিক্রেতা ক্রেতার নিকট যাবতীয় তাড়া ও মজুরির বিবরণ জানাইয়া দিবে। এইসব অবগত হওয়ার পর ক্রেতাগণ যদি বিক্রেতাকে মুনাফা প্রদান করে তবে ইহাতে কোন দোষ নাই।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ বস্ত্রের ধোলাই, সেলাই ও রং করা এবং এই জাতীয় আর যে কাজ করা হয়, সব বস্ত্রের স্থলে গণ্য করা হইবে। উহাতে লাভ হিসাব করা হইবে যেমন হিসাব করা হইবে আসল বস্ত্রের, যদি বিক্রেতা বস্ত্র বিক্রয় করিল (অথচ) আপনি যাহা (উপরের বর্ণনায়) শুনিলেন তাহার কোন কিছুই ক্রেতার নিকট সে বর্ণনা করিল না তবে সে বিক্রেতার জন্য ইহাতে কোন মুনাফা ধরা হইবে না। যদি বস্ত্র বিনষ্ট হয় তবে উহার উপর ভাড়া হিসাব করা হইবে কিন্তু মুনাফা ধরা হইবে না। আর যদি বস্ত্র বিনষ্ট না হয় তবে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যকার বেচাকেনা ভঙ্গ হইয়া যাইবে। কিন্তু যদি তাহারা উভয়ে জায়েয কিছুর উপর পরস্পর রাজী হয় [তবে উহা জায়েয হইবে]।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি স্বর্ণ (দীনার) কিংবা চাঁদি (দিরহাম)-এর বিনিময়ে কোন পণ্যদ্রব্য ক্রয় করিল, আর ক্রয়ের দিন স্বর্ণমুদ্রার বাজারদর ছিল প্রতি দীনার দশ দিরহাম, অতঃপর ক্রেতা সেই পণ্য অন্য শহরে লইয়া আসিল এবং উহাকে মুনাফায় বিক্রয় করিতে লাগিল কিংবা যেই শহরে উহা ক্রয় করিয়াছে সেই শহরেই ক্রয়ের দিনের বাজারদরে উহাকে লাভে বিক্রয় করিতে লাগিল। সে যদি উহাকে দিরহামের বিনিময়ে ক্রয় করিয়াছিল এবং বিক্রয় করিল দীনারের বিনিময়ে কিংবা ক্রয় করিয়াছিল দীনারের বিনিময়ে এবং বিক্রয় করিল দিরহামের বিনিময়ে, আর বিক্রীত পণ্য এখনও বিনষ্ট হয় নাই, তবে ক্রেতার ইখতিয়ার থাকিবে; ইচ্ছা করিলে উহা গ্রহণ করিবে, ইচ্ছা করিলে প্রত্যাখ্যান করিবে। আর যদি বিক্রীত পণ্য বিনষ্ট হইয়া যায় তবে বিক্রেতা যেই মূল্যে উহাকে ক্রয় করিয়াছিল সেই মূল্যে পণ্য ক্রেতার প্রাপ্য হইবে, বিক্রেতাকে দেওয়া হইবে বর্ধিত মুনাফা তাহার ক্রয় মূল্যের উপর, যে মুনাফা ক্রেতা তাহাকে প্রদান করিবে (অর্থাৎ উভয়ের মধ্যে যে মুনাফা নির্ধারিত হইয়াছে)।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন পণ্য বিক্রয় করিয়াছে যার পড়তা পড়িয়াছে, একশত দীনার, (বিক্রয় করিয়াছে) প্রতি দশ দীনারে এগার দীনার করিয়া।* পরে সে (বিক্রেতা) জানিতে পারিল যে, উহা পড়িয়াছে নব্বই দীনার। এইদিকে ক্রেতার নিকট পণ্য বিনষ্ট হইয়াছে।** তবে বিক্রেতাকে ইখতিয়ার দেওয়া হইবে; পছন্দ করিলে সে পণ্যের কব্জা করার দিনের মূল্য গ্রহণ করিবে। কিন্তু যদি ক্রেতার নিকট বিক্রয় যেই দিন ধার্য হইয়াছে সেই দিন হইতে যেই মূল্যে বিক্রয় ঠিক হইয়াছিল উহা প্রথম দিনের মূল্য হইতে অধিক হয়, তবে সে ইহার অধিক পাইবে না। (যেই মূল্যে বিক্রয় ঠিক হইয়াছিল) সেই মূল্য হইতেছে একশত দশ দীনার। কিংবা সে যদি পছন্দ করে নিরানব্বই-এর উপর তাহার জন্য (শতকরা দশ দীনার হারে) মুনাফা যোগ করা হইবে। কিন্তু যদি পণ্যের পড়তা হইতে কম হয়, তবে তাহাকে ইখতিয়ার দেওয়া হইবে। পণ্যের যে পড়তা পড়িয়াছে সে পড়তা এবং মুনাফাসহ আসল দামের মধ্যে। উহা হইতেছে নিরানব্বই দীনার। যেইটি ইচ্ছা সে গ্রহণ করিবে।মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি কোন পণ্য বিক্রয় করিয়াছে মুনাফা করিয়া। সে বলিল, আমার নিকট ইহার পড়তা পড়িয়াছে একশত দীনার। পরে তাহার নিকট প্রকাশ হইল যে, উক্ত পণ্যের পড়তা পড়িয়াছে একশত বিশ দীনার করিয়া, (এমতাবস্থায়) ক্রেতাকে ইখতিয়ার দেওয়া হইবে, যদি সে ইচ্ছা করে তবে বিক্রেতাকে যেই দিন সে এই পণ্য কজা করিয়াছে সেই দিনকার মূল্য আদায় করিবে; অথবা ইচ্ছা করিলে বিক্রেতা যখন এই পণ্য ক্রয় করিয়াছিল সেই সময়কার মূল্য (নির্ধারিত হারে) মুনাফা হিসাবে যাহা দাঁড়ায় তাহাসহ বিক্রেতার নিকট পরিশোধ করিবে। কিন্তু যেইদিন কব্জা করিয়াছে সেই দিনের মূল্য যদি ক্রেতা যেই দামে পণ্য ক্রয় করিয়াছে সেই দাম হইতে কম হয় তবে যেই দামে ক্রেতা পণ্য ক্রয় করিয়াছে সেই দাম হইতে পণ্যের মালিককে কম মূল্য দেওয়ার ইখতিয়ার থাকিবে না। কারণ সে (ক্রেতা) ইহাতে (অসত্য মূল্য ও মুনাফাতে) রাজী হইয়াছিল (এবং) পণ্যের মালিক (পূর্বে যে মূল্য বলিয়াছিল উহার উপর) অতিরিক্ত দাবি করিতেছে, তাই বিল বা ফর্দ-এর উপর যেই মূল্যে ক্রেতা উহা ক্রয় করিয়াছে সেই মূল্য হইতে কমানোর জন্য বিক্রেতাকে বাধ্য করার অধিকার ক্রেতার নাই।
بَاب بَيْعِ الْمُرَابَحَةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الْبَزِّ يَشْتَرِيهِ الرَّجُلُ بِبَلَدٍ ثُمَّ يَقْدَمُ بِهِ بَلَدًا آخَرَ فَيَبِيعُهُ مُرَابَحَةً إِنَّهُ لَا يَحْسِبُ فِيهِ أَجْرَ السَّمَاسِرَةِ وَلَا أَجْرَ الطَّيِّ وَلَا الشَّدِّ وَلَا النَّفَقَةَ وَلَا كِرَاءَ بَيْتٍ فَأَمَّا كِرَاءُ الْبَزِّ فِي حُمْلَانِهِ فَإِنَّهُ يُحْسَبُ فِي أَصْلِ الثَّمَنِ وَلَا يُحْسَبُ فِيهِ رِبْحٌ إِلَّا أَنْ يُعْلِمَ الْبَائِعُ مَنْ يُسَاوِمُهُ بِذَلِكَ كُلِّهِ فَإِنْ رَبَّحُوهُ عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ بَعْدَ الْعِلْمِ بِهِ فَلَا بَأْسَ بِهِ قَالَ مَالِك فَأَمَّا الْقِصَارَةُ وَالْخِيَاطَةُ وَالصِّبَاغُ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ فَهُوَ بِمَنْزِلَةِ الْبَزِّ يُحْسَبُ فِيهِ الرِّبْحُ كَمَا يُحْسَبُ فِي الْبَزِّ فَإِنْ بَاعَ الْبَزَّ وَلَمْ يُبَيِّنْ شَيْئًا مِمَّا سَمَّيْتُ إِنَّهُ لَا يُحْسَبُ لَهُ فِيهِ رِبْحٌ فَإِنْ فَاتَ الْبَزُّ فَإِنَّ الْكِرَاءَ يُحْسَبُ وَلَا يُحْسَبُ عَلَيْهِ رِبْحٌ فَإِنْ لَمْ يَفُتْ الْبَزُّ فَالْبَيْعُ مَفْسُوخٌ بَيْنَهُمَا إِلَّا أَنْ يَتَرَاضَيَا عَلَى شَيْءٍ مِمَّا يَجُوزُ بَيْنَهُمَا قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِي الْمَتَاعَ بِالذَّهَبِ أَوْ بِالْوَرِقِ وَالصَّرْفُ يَوْمَ اشْتَرَاهُ عَشَرَةُ دَرَاهِمَ بِدِينَارٍ فَيَقْدَمُ بِهِ بَلَدًا فَيَبِيعُهُ مُرَابَحَةً أَوْ يَبِيعُهُ حَيْثُ اشْتَرَاهُ مُرَابَحَةً عَلَى صَرْفِ ذَلِكَ الْيَوْمِ الَّذِي بَاعَهُ فِيهِ فَإِنَّهُ إِنْ كَانَ ابْتَاعَهُ بِدَرَاهِمَ وَبَاعَهُ بِدَنَانِيرَ أَوْ ابْتَاعَهُ بِدَنَانِيرَ وَبَاعَهُ بِدَرَاهِمَ وَكَانَ الْمَتَاعُ لَمْ يَفُتْ فَالْمُبْتَاعُ بِالْخِيَارِ إِنْ شَاءَ أَخَذَهُ وَإِنْ شَاءَ تَرَكَهُ فَإِنْ فَاتَ الْمَتَاعُ كَانَ لِلْمُشْتَرِي بِالثَّمَنِ الَّذِي ابْتَاعَهُ بِهِ الْبَائِعُ وَيُحْسَبُ لِلْبَائِعِ الرِّبْحُ عَلَى مَا اشْتَرَاهُ بِهِ عَلَى مَا رَبَّحَهُ الْمُبْتَاعُ قَالَ مَالِك وَإِذَا بَاعَ رَجُلٌ سِلْعَةً قَامَتْ عَلَيْهِ بِمِائَةِ دِينَارٍ لِلْعَشَرَةِ أَحَدَ عَشَرَ ثُمَّ جَاءَهُ بَعْدَ ذَلِكَ أَنَّهَا قَامَتْ عَلَيْهِ بِتِسْعِينَ دِينَارًا وَقَدْ فَاتَتْ السِّلْعَةُ خُيِّرَ الْبَائِعُ فَإِنْ أَحَبَّ فَلَهُ قِيمَةُ سِلْعَتِهِ يَوْمَ قُبِضَتْ مِنْهُ إِلَّا أَنْ تَكُونَ الْقِيمَةُ أَكْثَرَ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي وَجَبَ لَهُ بِهِ الْبَيْعُ أَوَّلَ يَوْمٍ فَلَا يَكُونُ لَهُ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ وَذَلِكَ مِائَةُ دِينَارٍ وَعَشْرَةُ دَنَانِيرَ وَإِنْ أَحَبَّ ضُرِبَ لَهُ الرِّبْحُ عَلَى التِّسْعِينَ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الَّذِي بَلَغَتْ سِلْعَتُهُ مِنْ الثَّمَنِ أَقَلَّ مِنْ الْقِيمَةِ فَيُخَيَّرُ فِي الَّذِي بَلَغَتْ سِلْعَتُهُ وَفِي رَأْسِ مَالِهِ وَرِبْحِهِ وَذَلِكَ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ دِينَارًا قَالَ مَالِك وَإِنْ بَاعَ رَجُلٌ سِلْعَةً مُرَابَحَةً فَقَالَ قَامَتْ عَلَيَّ بِمِائَةِ دِينَارٍ ثُمَّ جَاءَهُ بَعْدَ ذَلِكَ أَنَّهَا قَامَتْ بِمِائَةٍ وَعِشْرِينَ دِينَارًا خُيِّرَ الْمُبْتَاعُ فَإِنْ شَاءَ أَعْطَى الْبَائِعَ قِيمَةَ السِّلْعَةِ يَوْمَ قَبَضَهَا وَإِنْ شَاءَ أَعْطَى الثَّمَنَ الَّذِي ابْتَاعَ بِهِ عَلَى حِسَابِ مَا رَبَّحَهُ بَالِغًا مَا بَلَغَ إِلَّا أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ أَقَلَّ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي ابْتَاعَ بِهِ السِّلْعَةَ فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُنَقِّصَ رَبَّ السِّلْعَةِ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي ابْتَاعَهَا بِهِ لِأَنَّهُ قَدْ كَانَ رَضِيَ بِذَلِكَ وَإِنَّمَا جَاءَ رَبُّ السِّلْعَةِ يَطْلُبُ الْفَضْلَ فَلَيْسَ لِلْمُبْتَاعِ فِي هَذَا حُجَّةٌ عَلَى الْبَائِعِ بِأَنْ يَضَعَ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي ابْتَاعَ بِهِ عَلَى الْبَرْنَامَجِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান