আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩৪৭
২৬. পশুর অবৈধ বিক্রয় প্রসঙ্গে
রেওয়ায়ত ৬৩. আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, গর্ভবতী পশুর গর্ভস্থ বাচ্চা বিক্রয় করিতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিষেধ করিয়াছেন। ইহা এক প্রকারের বিক্রয় যাহা জাহিলী যুগের লোকেরা পরস্পর এইরূপ বেচাকেনা করিত; উট উহার বাচ্চা প্রসব করা অতঃপর সেই বাচ্চা (গর্ভবতী হইয়া) উহার বাচ্চা প্রসব করা পর্যন্ত মেয়াদ নির্ধারণ করিয়াছে এক ব্যক্তি উট ক্রয় করিত।
بَاب مَا لَا يَجُوزُ مِنْ بَيْعِ الْحَيَوَانِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ حَبَلِ الْحَبَلَةِ وَكَانَ بَيْعًا يَتَبَايَعُهُ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ كَانَ الرَّجُلُ يَبْتَاعُ الْجَزُورَ إِلَى أَنْ تُنْتَجَ النَّاقَةُ ثُمَّ تُنْتَجَ الَّتِي فِي بَطْنِهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৪৮
২৬. পশুর অবৈধ বিক্রয় প্রসঙ্গে
রেওয়ায়ত ৬৪. সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) বলিয়াছেন-পশুতে সুদ নাই। তিন প্রকারের পশু [এর ক্রয়-বিক্রয়] হইতে নিষেধ করা হইয়াছে “মাযামীন, মালাকী, হাবালুল হাবালা” (এই তিন প্রকারের ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ)। উটদের উদরের বাচ্চারা হইতেছে মাযামীন। আর উটদের টিপঠের বীর্য হইতেছে মালাকী আর ‘হাবালুল-হাবালা’ হইতেছে জাহিলী যুগের লোকেরা পরস্পর উটের [পেটের বাচ্চার] যে বেচাকেনা করিত তাহা।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ নির্দিষ্ট কোন জানোয়ার কাহারও পক্ষে ক্রয় করা জায়েয নহে যদি উক্ত পশু তাহার মওজুদ না থাকে। যদিও ক্রেতা (পূর্বে) উহাকে দেখিয়া থাকে এবং (দেখার সময়) নগদ মূল্য পরিশোধ করিতে রাজী হইয়া থাকে। এই বিক্রয় জায়েয হইবে না। বিক্রীত পশুর অনুপস্থিতি অল্পদিনে হউক কিংবা বেশী দিনের হউক।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহা এইজন্য মাকরূহ যে, বিক্রেতা উহার মূল্য দ্বারা উপকৃত হইবে। অথচ সেই নির্দিষ্ট জানোয়ারটিকে ক্রেতা যেই অবস্থায় দেখিয়াছিল সেই অবস্থায় পাওয়া যাইবে কি যাইবে না তাহার কোন নিশ্চয়তা নাই। এই কারণেই ইহা মাকরূহ হইয়াছে। তবে যদি বিক্রীত বস্তুর (ভালরূপে) গুণাগুণ বিশ্লেষণ করিয়া দেওয়া হয় এবং যথাসময়ে ক্রেতার নিকট উহাকে সোপর্দ করার ব্যাপারে বিক্রেতা দায়ী থাকে, তাহা হইলে এই বিক্রয় জায়েয হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ নির্দিষ্ট কোন জানোয়ার কাহারও পক্ষে ক্রয় করা জায়েয নহে যদি উক্ত পশু তাহার মওজুদ না থাকে। যদিও ক্রেতা (পূর্বে) উহাকে দেখিয়া থাকে এবং (দেখার সময়) নগদ মূল্য পরিশোধ করিতে রাজী হইয়া থাকে। এই বিক্রয় জায়েয হইবে না। বিক্রীত পশুর অনুপস্থিতি অল্পদিনে হউক কিংবা বেশী দিনের হউক।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহা এইজন্য মাকরূহ যে, বিক্রেতা উহার মূল্য দ্বারা উপকৃত হইবে। অথচ সেই নির্দিষ্ট জানোয়ারটিকে ক্রেতা যেই অবস্থায় দেখিয়াছিল সেই অবস্থায় পাওয়া যাইবে কি যাইবে না তাহার কোন নিশ্চয়তা নাই। এই কারণেই ইহা মাকরূহ হইয়াছে। তবে যদি বিক্রীত বস্তুর (ভালরূপে) গুণাগুণ বিশ্লেষণ করিয়া দেওয়া হয় এবং যথাসময়ে ক্রেতার নিকট উহাকে সোপর্দ করার ব্যাপারে বিক্রেতা দায়ী থাকে, তাহা হইলে এই বিক্রয় জায়েয হইবে।
بَاب مَا لَا يَجُوزُ مِنْ بَيْعِ الْحَيَوَانِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ لَا رِبًا فِي الْحَيَوَانِ وَإِنَّمَا نُهِيَ مِنْ الْحَيَوَانِ عَنْ ثَلَاثَةٍ عَنْ الْمَضَامِينِ وَالْمَلَاقِيحِ وَحَبَلِ الْحَبَلَةِ وَالْمَضَامِينُ بَيْعُ مَا فِي بُطُونِ إِنَاثِ الْإِبِلِ وَالْمَلَاقِيحُ بَيْعُ مَا فِي ظُهُورِ الْجِمَالِ
قَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي أَنْ يَشْتَرِيَ أَحَدٌ شَيْئًا مِنْ الْحَيَوَانِ بِعَيْنِهِ إِذَا كَانَ غَائِبًا عَنْهُ وَإِنْ كَانَ قَدْ رَآهُ وَرَضِيَهُ عَلَى أَنْ يَنْقُدَ ثَمَنَهُ لَا قَرِيبًا وَلَا بَعِيدًا قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا كُرِهَ ذَلِكَ لِأَنَّ الْبَائِعَ يَنْتَفِعُ بِالثَّمَنِ وَلَا يُدْرَى هَلْ تُوجَدُ تِلْكَ السِّلْعَةُ عَلَى مَا رَآهَا الْمُبْتَاعُ أَمْ لَا فَلِذَلِكَ كُرِهَ ذَلِكَ وَلَا بَأْسَ بِهِ إِذَا كَانَ مَضْمُونًا مَوْصُوفًا
قَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي أَنْ يَشْتَرِيَ أَحَدٌ شَيْئًا مِنْ الْحَيَوَانِ بِعَيْنِهِ إِذَا كَانَ غَائِبًا عَنْهُ وَإِنْ كَانَ قَدْ رَآهُ وَرَضِيَهُ عَلَى أَنْ يَنْقُدَ ثَمَنَهُ لَا قَرِيبًا وَلَا بَعِيدًا قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا كُرِهَ ذَلِكَ لِأَنَّ الْبَائِعَ يَنْتَفِعُ بِالثَّمَنِ وَلَا يُدْرَى هَلْ تُوجَدُ تِلْكَ السِّلْعَةُ عَلَى مَا رَآهَا الْمُبْتَاعُ أَمْ لَا فَلِذَلِكَ كُرِهَ ذَلِكَ وَلَا بَأْسَ بِهِ إِذَا كَانَ مَضْمُونًا مَوْصُوفًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: