আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৩৪৪
২৫. পশুকে পশুর বিনিময়ে বিক্রয় করা এবং উহাকে ধারে বিক্রয় করা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৬০. হাসান ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনে আবী তালিব (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আলী ইবনে আবী তালিব (রাযিঃ) তাহার একটি উটকে, যাহাকে বলা হইত উসাইফীর’, বিশটি (ছোট) উটের বিনিময়ে ধারে বিক্রয় করিয়াছিলেন।
بَاب مَا يَجُوزُ مِنْ بَيْعِ الْحَيَوَانِ بَعْضُهُ بِبَعْضٍ وَالسَّلَفِ فِيهِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ حَسَنِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ بَاعَ جَمَلًا لَهُ يُدْعَى عُصَيْفِيرًا بِعِشْرِينَ بَعِيرًا إِلَى أَجَلٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৪৫
২৫. পশুকে পশুর বিনিময়ে বিক্রয় করা এবং উহাকে ধারে বিক্রয় করা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৬১. নাফি (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) একটি রাহেলা [راحلة ভারবাহী বা সাওয়ারীর উট] ক্রয় করিয়াছিলেন চারটি উটের বিনিময়ে। সে রাহেলা বিক্রেতার দায়িত্বে ও জামানতে ছিল। কথা এই ছিল যে, বিক্রেতা উহাকে ক্রেতার নিকট সোপর্দ করিবে রাবাযা* (ربزة) নামক স্থানে।
بَاب مَا يَجُوزُ مِنْ بَيْعِ الْحَيَوَانِ بَعْضُهُ بِبَعْضٍ وَالسَّلَفِ فِيهِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ اشْتَرَى رَاحِلَةً بِأَرْبَعَةِ أَبْعِرَةٍ مَضْمُونَةٍ عَلَيْهِ يُوفِيهَا صَاحِبَهَا بِالرَّبَذَةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৩৪৬
২৫. পশুকে পশুর বিনিময়ে বিক্রয় করা এবং উহাকে ধারে বিক্রয় করা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৬২. মালিক (রাহঃ) ইবনে শিহাব (রাহঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করিলেন একটি পশুর বিনিময়ে দুইটি পশু ধারে বিক্রয় করা সম্বন্ধে। তিনি বলিলেন, ইহাতে কোন ক্ষতি নাই।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত মাসআলা এই যে, উটকে অনুরূপু উটের বিনিময়ে অতিরিক্ত কয়েক দিরহামসহ বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই নগদ আদান প্রদান হইলে। আর উটকে অনুরূপ উটের বিনিময়ে কয়েক দিরহাম বাড়তিসহ বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। উটের বিনিময়ে উট নগদ এবং দিরহাম ধারে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উট বিক্রয় করা অনুরূপ উটের বিনিময়ে অতিরিক্ত কতিপয় দিরহামসহ; দিরহাম নগদ ও উট ধারে [বিক্রয়] ইহাতে কোন মঙ্গল নাই। [অর্থাৎ উহা জায়েয নহে], আর যদি উট এবং দিরহাম উভয়ে ধারে বিক্রয় হয়, তবে ইহাতেও মঙ্গল নাই [অর্থাৎ ইহাও জায়েয নহে]

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ অভিজাত উট ছোট ভার বহনকারী দুই কিংবা কতিপয় উটের বিনিময়ে ক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। যদিও উভয় উট এক দল এক বংশের হয়। ইহাদের দুই উটকে এক উটের বিনিময়ে ধারে ক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। যদি উভয়ে গুণাবলির দিক দিয়া ভিন্ন ভিন্ন হয় এবং উহাদের পার্থক্য স্পষ্টত প্রকাশ পায়। পক্ষান্তরে উহাদের একটি আর একটির সদৃশ হয়, কিন্তু জাত ভিন্ন হউক বা না হউক, তবে উহাদের দুইটিকে একটির বিনিময়ে ধারে ক্রয় করা যাইবে না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মাকরূহ ক্রয়ের দৃষ্টান্তের ব্যাখ্যা এই দুই উটের বিনিময়ে এক উট গ্রহণ করা, অথচ এতদুভয়ের অর্থাৎ দুই বিনিময়কৃত উটের মধ্যে ভারবহন ক্ষমতা এবং আভিজাত্যে কোন পাথক্য নাই। যদি ইহা এইরূপ (সমপর্যায়ের) হয় যেরূপ আমরা বর্ণনা করিয়াছি তবে উহা হইতে দুইটিকে একটির বিনিময়ে ধারে ক্রয় করা যাইবে না। উহা হইতে যাহা ক্রয় করা হইল তাহা হস্তগত করার পূর্বে বিক্রেতা ছাড়া অন্যের হাতে উহাকে বিক্রয় জায়েয আছে। যদি উহার [ক্রয়কৃত পশুর] মূল্য নগদ পরিশোধ করা হয়।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি কোন পশুকে মেয়াদ সলফ [মারফত ক্রয়] করিলে, সেই পশুর গুণাগুণ ও আকৃতি খুলিয়া বর্ণনা করা হইলে এবং মূল্য নগদ পরিশোধ করা হইলে তবে ইহা জায়েয হইবে। এই বেচাকেনা বিক্রেতা এবং ক্রেতার পক্ষে তাহাদের উভয়ের বর্ণনা মুতাবিক মানিয়া লওয়া জরুরী হইবে। এইরূপ বেচাকেনা লোকের মধ্যে বৈধ বেচাকেনা রূপে সর্বদা চলিয়া আসিয়াছে। আমাদের শহরের আহলে ইলম (উলামা) সর্বদা এই মতের উপর স্থির রহিয়াছেন।
بَاب مَا يَجُوزُ مِنْ بَيْعِ الْحَيَوَانِ بَعْضُهُ بِبَعْضٍ وَالسَّلَفِ فِيهِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ شِهَابٍ عَنْ بَيْعِ الْحَيَوَانِ اثْنَيْنِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ فَقَالَ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِالْجَمَلِ بِالْجَمَلِ مِثْلِهِ وَزِيَادَةِ دَرَاهِمَ يَدًا بِيَدٍ وَلَا بَأْسَ بِالْجَمَلِ بِالْجَمَلِ مِثْلِهِ وَزِيَادَةِ دَرَاهِمَ الْجَمَلُ بِالْجَمَلِ يَدًا بِيَدٍ وَالدَّرَاهِمُ إِلَى أَجَلٍ قَالَ وَلَا خَيْرَ فِي الْجَمَلِ بِالْجَمَلِ مِثْلِهِ وَزِيَادَةِ دَرَاهِمَ الدَّرَاهِمُ نَقْدًا وَالْجَمَلُ إِلَى أَجَلٍ وَإِنْ أَخَّرْتَ الْجَمَلَ وَالدَّرَاهِمَ لَا خَيْرَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يَبْتَاعَ الْبَعِيرَ النَّجِيبَ بِالْبَعِيرَيْنِ أَوْ بِالْأَبْعِرَةِ مِنْ الْحَمُولَةِ مِنْ مَاشِيَةِ الْإِبِلِ وَإِنْ كَانَتْ مِنْ نَعَمٍ وَاحِدَةٍ فَلَا بَأْسَ أَنْ يُشْتَرَى مِنْهَا اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ إِذَا اخْتَلَفَتْ فَبَانَ اخْتِلَافُهَا وَإِنْ أَشْبَهَ بَعْضُهَا بَعْضًا وَاخْتَلَفَتْ أَجْنَاسُهَا أَوْ لَمْ تَخْتَلِفْ فَلَا يُؤْخَذُ مِنْهَا اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ مَا كُرِهَ مِنْ ذَلِكَ أَنْ يُؤْخَذَ الْبَعِيرُ بِالْبَعِيرَيْنِ لَيْسَ بَيْنَهُمَا تَفَاضُلٌ فِي نَجَابَةٍ وَلَا رِحْلَةٍ فَإِذَا كَانَ هَذَا عَلَى مَا وَصَفْتُ لَكَ فَلَا يُشْتَرَى مِنْهُ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ وَلَا بَأْسَ أَنْ تَبِيعَ مَا اشْتَرَيْتَ مِنْهَا قَبْلَ أَنْ تَسْتَوْفِيَهُ مِنْ غَيْرِ الَّذِي اشْتَرَيْتَهُ مِنْهُ إِذَا انْتَقَدْتَ ثَمَنَهُ قَالَ مَالِك وَمَنْ سَلَّفَ فِي شَيْءٍ مِنْ الْحَيَوَانِ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى فَوَصَفَهُ وَحَلَّاهُ وَنَقَدَ ثَمَنَهُ فَذَلِكَ جَائِزٌ وَهُوَ لَازِمٌ لِلْبَائِعِ وَالْمُبْتَاعِ عَلَى مَا وَصَفَا وَحَلَّيَا وَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ مِنْ عَمَلِ النَّاسِ الْجَائِزِ بَيْنَهُمْ وَالَّذِي لَمْ يَزَلْ عَلَيْهِ أَهْلُ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান