আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৩১০
১৪. ফল বিক্রয় সম্পৰ্কীয় বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ারত ২৬. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি নির্দিষ্ট খেজুর গাছের খেজুর খরিদ করিয়াছে কিংবা নির্দিষ্ট বাগানের ফল খরিদ করিয়াছে অথবা নির্দিষ্ট বকরীর দুধ ক্রয় করিয়াছে, নগদ অর্থে গ্রহণ করা হইলে ইহাতে কোন নিষেধ নাই। ক্রেতা মূল্য যখন আদায় করিবে তখন অধিকারেও আনিবে।

ইহার সদৃশ (বিষয়) এই, যেমন একটি তৈলপাত্র রহিয়াছে। উহা হইতে এক ব্যক্তি এক দীনার কিংবা দুই দীনারের তৈল খরিদ করিল এবং উহার মূল্য বিক্রেতাকে আদায় করিল, তাহার উপর শর্তারোপ করিল যে, এই তৈলপাত্র হইতে ক্রেতাকে তৈল ওজন করিয়া দিবে। ইহাতে কোন নিষেধ নাই। তারপর যদি তৈলপাত্র ফাটিয়া যায় এবং উহার তৈল নিঃশেষ হইয়া যায়, তবে ক্রেতা শুধু মূল্য ফেরত পাইবে। তাহাদের উভয়ের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় সাব্যস্ত হইবে না।(১)

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যেকোন উপস্থিত দ্রব্য যাহাকে উহার রীতি অনুযায়ী ক্রয় করা হয়, যেমন-দুধ দোহন করার পর, খেজুর পরিপক্ক হওয়ার পর ক্রেতা দৈনিক উহা গ্রহণ করিবে। ইহাতে কোন ক্ষতি নাই। যদি বিক্রিত মাল পুরোপুরি কব্জা করার পূর্বে নিঃশেষ হইয়া যায়, তবে যেই পরিমাণ অবশিষ্ট রহিয়াছে হিসাব মতো উহার মূল্য বিক্রেতা ক্রেতাকে ফেরত দিবে, কিংবা উভয়ের সন্তুষ্টিতে অবশিষ্ট দ্রব্যের মূল্য বাবত অন্য কোন বস্তু ক্রেতা গ্রহণ করিবে এবং সেই বস্তু কব্জা না করিয়া ক্রেতা পৃথক হইবে না। পৃথক হইলে মাকরূহ হইবে, কারণ সে এক ঋণের মধ্যে অন্য এক ঋণ প্রবেশ করাইল।(২) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ধারের বিনিময়ে ধার বিক্রয় করিতে নিষেধ করিয়াছেন।

উহাদের ক্রয়-বিক্রয় যদি সময় দেওয়া থাকে তবে উহা মাকরূহ হইবে। ইহাতে কোন প্রকার বিলম্ব জায়েয হইবে না এবং সময় দেওয়া যাইবে না। বিলম্বে বিক্রয়ে সময় এবং দ্রব্য নির্দিষ্ট হইবে। বিক্রেতা সেই নির্দিষ্ট দ্রব্য ক্রেতাকে সোপর্দ করার জন্য দায়ী থাকিবে। বিশেষ বাগান বা বিশেষ বকরী নির্দিষ্ট করা চলিবে না।(৩)

মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল সেই ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ব্যক্তি কোন লোক হইতে একটি বাগান ক্রয় করিল যাহাতে রহিয়াছে বিভিন্ন জাতের খেজুর বৃক্ষ, আজওয়াহ,(৪) [ عجوه] কবীস, (৫) [ كبس] আজক (৬) [عزق] ইত্যাদি নানা রকমের খেজুরের গাছ। বিক্রেতা আপন বাগান হইতে একটি কিংবা কয়েকটি খেজুর গাছ (নিজের জন্য) আলাদা করিয়া রাখিল। (এই কয়টি খেজুর বৃক্ষ নিজে রাখিবে) মালিক (রাহঃ) বলেন, ইহা তাহার জন্য জায়েয হইবে না। কারণ সে যদি এইরূপ করে তবে সে আজওয়াহ [ عجوه] খেজুর বৃক্ষ ছাড়িয়া দিল যাহার খেজুরের পরিমাণ হইল পনর সা’ এবং উহার স্থলে কবীস গ্রহণ করিল যাহার খেজুরের পরিমাণ হইল দশ সা’।(৭) আর যদি আজওয়াহ গ্রহণ করিল যাহার পরিমাণ পনর সা’ এবং যেই বৃক্ষে দশ সা কবীস রহিয়াছে উহা ছাড়িয়া দিল (ক্রেতার জন্য) তবে সে যেন কবীসের বিনিময়ে আজওয়াহ ক্রয় করিল, ইহাতে পরিমাণে বেশ-কম হইয়া গেল।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহার দৃষ্টান্ত এইরূপ, যেমন এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে বলিল, যাহার সম্মুখে কয়েকটি খেজুরের স্তুপ রহিয়াছে; আজওয়ার স্তূপ করিয়াছে পনর সা’, আর কবীসের রূপ করিয়াছে দশ সা’, আজক-এর স্তূপ করিয়াছে বার সা’-ক্রেতা খেজুরের মালিককে এক দীনার প্রদান করিলেন এবং শর্ত করিলেন যে, যেই স্তুপ তার ইচ্ছা সে পছন্দ করিয়া লইবে। মালিক (রাহঃ) বলেন, ইহা জায়েয হইবে না।(৮)

মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল এক ব্যক্তি সম্বন্ধে, যে ব্যক্তি খেজুর ক্রয় করিয়াছে বাগানের মালিকের নিকট হইতে, অতঃপর উহাকে এক দীনার অগ্রিম দিল। যদি সেই বাগানের খেজুর নষ্ট হইয়া যায়, তবে ক্রেতা (তাহার দীনারের বিনিময়ে) কি পাইবে? মালিক (রাহঃ) (উত্তরে) বলিলেন-ক্রেতা বাগানের মালিকের সহিত হিসাব করিবে, তারপর দীনার হইতে যাহা প্রাপ্য থাকে উহা বিক্রেতা হইতে আদায় করিবে। (দৃষ্টান্তস্বরূপ) ক্রেতা যদি (খেজুর নষ্ট হওয়ার পূর্বে) দীনারের দুই-তৃতীয়াংশ পরিমাণ খেজুর আদায় করিয়া থাকেন তবে (এখন নষ্ট হওয়ার পর) দীনারের অবশিষ্ট এক-তৃতীয়াংশ উশুল করিবে। আর যদি দীনারের তিন-চতুর্থাংশ পরিমাণ খেজুর আদায় করিয়া থাকে তবে অবশিষ্ট এক-চতুর্থাংশ বিক্রেতা হইতে উশুল করিবে। কিংবা তাহারা উভয়ে পরস্পরের সন্তুষ্টিতে (বিষয়) নিম্পত্তি করিয়া লইবে; ক্রেতা অবশিষ্ট দীনারের বিনিময়ে বাগানের মালিক হইতে তাহার খুশীমত দ্রব্য গ্রহণ করিবে; খেজুর পছন্দ হইলে খেজুর গ্রহণ করিবে অথবা খেজুর ব্যতীত অন্য কোন দ্রব্য অবশিষ্ট দীনারের বিনিময়ে উহা গ্রহণ করিবে। ক্রেতা যদি খেজুর কিংবা অন্য দ্রব্য গ্রহণ করে তবে উহা পূর্ণ অধিকারে না আনা পর্যন্ত ক্রেতা বিক্রেতা হইতে পৃথক হইবে না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহা এইরূপ যেন এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির নিকট ভারবাহী বা যাত্রীবাহী নির্দিষ্ট উট ভাড়াতে দিল অথবা নিজের দর্জি কিংবা ছুতার কিংবা শ্রমিক ক্রীতদাসকে ভিন্ন কাজের জন্য ভাড়ায় দিল। অথবা নিজের ঘর ভাড়ায় দিল এবং গোলাম ইজারাতে দেওয়ার অর্থ কিংবা ঘরভাড়া কিংবা ভারবাহী বা যাত্রীবাহী সেই উটের কেরায় অগ্রিম আদায় করিল, তারপর ইহাতে মৃত্যু বা অন্য কোন দুর্যোগ ঘটিল। তবে উটের মালিক কিংবা গোলামের কর্তা অথবা বাড়ির মালিক, উটের কেরায়া, কিংবা গোলামের ইজারা অথবা বাড়ি ভাড়ার অবশিষ্ট অর্থ অগ্রিমদাতাকে ফেরত দিবে। কেরায়াদাতা কেরায়া গ্রহীতার সহিত হিসাব করিয়া দেখিবে কি পরিমাণ সে গ্রহণ করিয়াছে; যদি সে তাহার অর্ধেক হক গ্রহণ করিয়া থাকে তবে কেরায়াদাতা অবশিষ্ট অর্ধেক কেরায়া গ্রহীতাকে ফেরত দিবে। আর যদি অর্ধেক হইতে কম কিংবা বেশী হয় তবে সেই হিসাব মত যাহা অবশিষ্ট রহিয়াছে উহা কেরায়া গ্রহীতাকে ফেরত দিবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উপরোল্লিখিত এই সবের কোনটিতে অগ্রিম দেওয়া জায়েয নহে, নির্দিষ্ট কোন বস্তুতে অগ্রিম প্রদান করিল (ইহা জায়েয নহে) কিন্তু যে বস্তুর জন্য অগ্রিম দিতেছে অগ্রিম অর্থ দেওয়ার সময় অগ্রিমদাতা যদি সেই বস্তু অধিকার করিয়া থাকে; ক্রীতদাস, কিংবা ভারবাহী বা যাত্রীবাহী উট কিংবা বাড়ির দখল নেয় অথবা বিক্রেতার নিকট অর্থ দেওয়ার সময় অগ্রিমদাতা যে খেজুর ক্রয় করিয়াছে উহা অধিকার করে। এই সবের কোনটির ব্যাপারে বিলম্ব করা বা সময় দান করা জায়েয হইবে না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ (অগ্রিম প্রদানে) মাকরূহ, ইহার ব্যাখ্যা হইল এই, একজন লোক অন্য একজনকে বলিল, আপনার অমুক সওয়ারীর উট বাবদ আমি আপনাকে (এত টাকা) অগ্রিম দিতেছি উদ্দেশ্য হচ্ছে যাওয়া। (তখন) হজ্জের সময় অনেক দূরে রহিয়াছে অথবা অনুরূপ বলিল, ক্রীতদাস কিংবা ঘর সম্পর্কে। এইরূপ করিলে সে ব্যক্তি যেন স্বর্ণ (অর্থ) অগ্রিম দিতেছে এই শর্তের উপর যদি সেই সওয়ারীর উট নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিখুঁত থাকে তবে উহা অগ্ৰিমদাতার হইবে সেই ভাড়াতে। আর যদি সেই সওয়ারীর মৃত্যু হয় বা অন্য কোন দুর্ঘটনা ঘটে, তবে উহার মালিক অগ্রিমদাতার অর্থ ফেরত দিবে। এই অর্থ তাহার নিকট নির্দিষ্ট সময় উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত ঋণস্বরূপ ছিল।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উপরিউক্ত অধিকার ও এই অধিকারের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান; তাহা হইল ইজারায় গৃহীত বস্তু বা ভাড়াকৃত বস্তু (সাথে সাথে) কব্জা করিয়া লয়, ইহাতে ধোঁকা হইতে এবং অবৈধ ঋণ হইতে নিরাপদে থাকা যায় এবং সে একটি নির্দিষ্ট বস্তু গ্রহণ করিল। ইহার দৃষ্টান্ত এইরূপ— এক ব্যক্তি কোন ক্রীতদাস বা ক্রীতদাসী খরিদ করিল এবং উভয়ে দখল নিল। (সাথে সাথে) উভয়ের মূল্য পরিশোধ করিয়া দিল । (ইহার পর) যদি উভয়ের মধ্যে বার্ষিক জিম্মাদারী সংক্রান্ত কোন আপদ দেখা দেয়, তবে বিক্রেতা হইতে অর্থ ফেরত লইবে। ইহাতে কোন দোষ নাই। ক্রীতদাস বিক্রয়ের বিষয়ে ইহাই প্রচলিত সুন্নত (নিয়ম)।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ট ক্রীতদাস ইজারা লইয়াছে, অথবা নির্দিষ্ট কোন পশু কেরায়াতে গ্রহণ করিয়াছে, কব্জার জন্য সময় নির্ধারিত করিয়াছে, ইহা সে অবৈধ কার্য সম্পাদন করিয়াছে, কারণ গ্রহীতা ইজারা নেওয়া ক্রীতদাস বা ভাড়া করা পশুকে দখলে আনে নাই। আর সে এমন কোন ঋণও দেয় নাই যে ঋণের জন্য ইজাৱা বা ভাড়াদাতা তাবৎ জামিন থাকে যাবত গ্রহীতা পূর্ণরূপে উহাকে অধিকারে না আনে।
بَاب جَامِعِ بَيْعِ الثَّمَرِ
قَالَ مَالِك مَنْ اشْتَرَى ثَمَرًا مِنْ نَخْلٍ مُسَمَّاةٍ أَوْ حَائِطٍ مُسَمًّى أَوْ لَبَنًا مِنْ غَنَمٍ مُسَمَّاةٍ إِنَّهُ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ إِذَا كَانَ يُؤْخَذُ عَاجِلًا يَشْرَعُ الْمُشْتَرِي فِي أَخْذِهِ عِنْدَ دَفْعِهِ الثَّمَنَ وَإِنَّمَا مَثَلُ ذَلِكَ بِمَنْزِلَةِ رَاوِيَةِ زَيْتٍ يَبْتَاعُ مِنْهَا رَجُلٌ بِدِينَارٍ أَوْ دِينَارَيْنِ وَيُعْطِيهِ ذَهَبَهُ وَيَشْتَرِطُ عَلَيْهِ أَنْ يَكِيلَ لَهُ مِنْهَا فَهَذَا لَا بَأْسَ بِهِ فَإِنْ انْشَقَّتْ الرَّاوِيَةُ فَذَهَبَ زَيْتُهَا فَلَيْسَ لِلْمُبْتَاعِ إِلَّا ذَهَبُهُ وَلَا يَكُونُ بَيْنَهُمَا بَيْعٌ وَأَمَّا كُلُّ شَيْءٍ كَانَ حَاضِرًا يُشْتَرَى عَلَى وَجْهِهِ مِثْلُ اللَّبَنِ إِذَا حُلِبَ وَالرُّطَبِ يُسْتَجْنَى فَيَأْخُذُ الْمُبْتَاعُ يَوْمًا بِيَوْمٍ فَلَا بَأْسَ بِهِ فَإِنْ فَنِيَ قَبْلَ أَنْ يَسْتَوْفِيَ الْمُشْتَرِي مَا اشْتَرَى رَدَّ عَلَيْهِ الْبَائِعُ مِنْ ذَهَبِهِ بِحِسَابِ مَا بَقِيَ لَهُ أَوْ يَأْخُذُ مِنْهُ الْمُشْتَرِي سِلْعَةً بِمَا بَقِيَ لَهُ يَتَرَاضَيَانِ عَلَيْهَا وَلَا يُفَارِقُهُ حَتَّى يَأْخُذَهَا فَإِنْ فَارَقَهُ فَإِنَّ ذَلِكَ مَكْرُوهٌ لِأَنَّهُ يَدْخُلُهُ الدَّيْنُ بِالدَّيْنِ وَقَدْ نُهِيَ عَنْ الْكَالِئِ بِالْكَالِئِ فَإِنْ وَقَعَ فِي بَيْعِهِمَا أَجَلٌ فَإِنَّهُ مَكْرُوهٌ وَلَا يَحِلُّ فِيهِ تَأْخِيرٌ وَلَا نَظِرَةٌ وَلَا يَصْلُحُ إِلَّا بِصِفَةٍ مَعْلُومَةٍ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى فَيَضْمَنُ ذَلِكَ الْبَائِعُ لِلْمُبْتَاعِ وَلَا يُسَمَّى ذَلِكَ فِي حَائِطٍ بِعَيْنِهِ وَلَا فِي غَنَمٍ بِأَعْيَانِهَا وَسُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يَشْتَرِي مِنْ الرَّجُلِ الْحَائِطَ فِيهِ أَلْوَانٌ مِنْ النَّخْلِ مِنْ الْعَجْوَةِ وَالْكَبِيسِ وَالْعَذْقِ وَغَيْرِ ذَلِكَ مِنْ أَلْوَانِ التَّمْرِ فَيَسْتَثْنِي مِنْهَا ثَمَرَ النَّخْلَةِ أَوْ النَّخَلَاتِ يَخْتَارُهَا مِنْ نَخْلِهِ فَقَالَ مَالِك ذَلِكَ لَا يَصْلُحُ لِأَنَّهُ إِذَا صَنَعَ ذَلِكَ تَرَكَ ثَمَرَ النَّخْلَةِ مِنْ الْعَجْوَةِ وَمَكِيلَةُ ثَمَرِهَا خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا وَأَخَذَ مَكَانَهَا ثَمَرَ نَخْلَةٍ مِنْ الْكَبِيسِ وَمَكِيلَةُ ثَمَرِهَا عَشَرَةُ أَصْوُعٍ أَوْ أَخَذَ الْعَجْوَةَ الَّتِي فِيهَا خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا وَتَرَكَ الَّتِي فِيهَا عَشْرَةُ أَصْوُعٍ مِنْ الْكَبِيسِ فَكَأَنَّهُ اشْتَرَى الْعَجْوَةَ بِالْكَبِيسِ مُتَفَاضِلًا وَذَلِكَ مِثْلُ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ بَيْنَ يَدَيْهِ صُبَرٌ مِنْ التَّمْرِ قَدْ صَبَّرَ الْعَجْوَةَ فَجَعَلَهَا خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا وَجَعَلَ صُبْرَةَ الْكَبِيسِ عَشَرَةَ آصُعٍ وَجَعَلَ صُبْرَةَ الْعَذْقِ اثْنَيْ عَشَرَ صَاعًا فَأَعْطَى صَاحِبَ التَّمْرِ دِينَارًا عَلَى أَنَّهُ يَخْتَارُ فَيَأْخُذُ أَيَّ تِلْكَ الصُّبَرِ شَاءَ قَالَ مَالِك فَهَذَا لَا يَصْلُحُ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يَشْتَرِي الرُّطَبَ مِنْ صَاحِبِ الْحَائِطِ فَيُسْلِفُهُ الدِّينَارَ مَاذَا لَهُ إِذَا ذَهَبَ رُطَبُ ذَلِكَ الْحَائِطِ قَالَ مَالِك يُحَاسِبُ صَاحِبَ الْحَائِطِ ثُمَّ يَأْخُذُ مَا بَقِيَ لَهُ مِنْ دِينَارِهِ إِنْ كَانَ أَخَذَ بِثُلُثَيْ دِينَارٍ رُطَبًا أَخَذَ ثُلُثَ الدِّينَارِ الَّذِي بَقِيَ لَهُ وَإِنْ كَانَ أَخَذَ ثَلَاثَةَ أَرْبَاعِ دِينَارِهِ رُطَبًا أَخَذَ الرُّبُعَ الَّذِي بَقِيَ لَهُ أَوْ يَتَرَاضَيَانِ بَيْنَهُمَا فَيَأْخُذُ بِمَا بَقِيَ لَهُ مِنْ دِينَارِهِ عِنْدَ صَاحِبِ الْحَائِطِ مَا بَدَا لَهُ إِنْ أَحَبَّ أَنْ يَأْخُذَ تَمْرًا أَوْ سِلْعَةً سِوَى التَّمْرِ أَخَذَهَا بِمَا فَضَلَ لَهُ فَإِنْ أَخَذَ تَمْرًا أَوْ سِلْعَةً أُخْرَى فَلَا يُفَارِقْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَ ذَلِكَ مِنْهُ قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا هَذَا بِمَنْزِلَةِ أَنْ يُكْرِيَ الرَّجُلُ الرَّجُلَ رَاحِلَةً بِعَيْنِهَا أَوْ يُؤَاجِرَ غُلَامَهُ الْخَيَّاطَ أَوْ النَّجَّارَ أَوْ الْعَمَّالَ لِغَيْرِ ذَلِكَ مِنْ الْأَعْمَالِ أَوْ يُكْرِيَ مَسْكَنَهُ وَيَسْتَلِفَ إِجَارَةَ ذَلِكَ الْغُلَامِ أَوْ كِرَاءَ ذَلِكَ الْمَسْكَنِ أَوْ تِلْكَ الرَّاحِلَةِ ثُمَّ يَحْدُثُ فِي ذَلِكَ حَدَثٌ بِمَوْتٍ أَوْ غَيْرِ ذَلِكَ فَيَرُدُّ رَبُّ الرَّاحِلَةِ أَوْ الْعَبْدِ أَوْ الْمَسْكَنِ إِلَى الَّذِي سَلَّفَهُ مَا بَقِيَ مِنْ كِرَاءِ الرَّاحِلَةِ أَوْ إِجَارَةِ الْعَبْدِ أَوْ كِرَاءِ الْمَسْكَنِ يُحَاسِبُ صَاحِبَهُ بِمَا اسْتَوْفَى مِنْ ذَلِكَ إِنْ كَانَ اسْتَوْفَى نِصْفَ حَقِّهِ رَدَّ عَلَيْهِ النِّصْفَ الْبَاقِيَ الَّذِي لَهُ عِنْدَهُ وَإِنْ كَانَ أَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ أَوْ أَكْثَرَ فَبِحِسَابِ ذَلِكَ يَرُدُّ إِلَيْهِ مَا بَقِيَ لَهُ قَالَ مَالِك وَلَا يَصْلُحُ التَّسْلِيفُ فِي شَيْءٍ مِنْ هَذَا يُسَلَّفُ فِيهِ بِعَيْنِهِ إِلَّا أَنْ يَقْبِضَ الْمُسَلِّفُ مَا سَلَّفَ فِيهِ عِنْدَ دَفْعِهِ الذَّهَبَ إِلَى صَاحِبِهِ يَقْبِضُ الْعَبْدَ أَوْ الرَّاحِلَةَ أَوْ الْمَسْكَنَ أَوْ يَبْدَأُ فِيمَا اشْتَرَى مِنْ الرُّطَبِ فَيَأْخُذُ مِنْهُ عِنْدَ دَفْعِهِ الذَّهَبَ إِلَى صَاحِبِهِ لَا يَصْلُحُ أَنْ يَكُونَ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ تَأْخِيرٌ وَلَا أَجَلٌ قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ مَا كُرِهَ مِنْ ذَلِكَ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ أُسَلِّفُكَ فِي رَاحِلَتِكَ فُلَانَةَ أَرْكَبُهَا فِي الْحَجِّ وَبَيْنَهُ وَبَيْنَ الْحَجِّ أَجَلٌ مِنْ الزَّمَانِ أَوْ يَقُولَ مِثْلَ ذَلِكَ فِي الْعَبْدِ أَوْ الْمَسْكَنِ فَإِنَّهُ إِذَا صَنَعَ ذَلِكَ كَانَ إِنَّمَا يُسَلِّفُهُ ذَهَبًا عَلَى أَنَّهُ إِنْ وَجَدَ تِلْكَ الرَّاحِلَةَ صَحِيحَةً لِذَلِكَ الْأَجَلِ الَّذِي سَمَّى لَهُ فَهِيَ لَهُ بِذَلِكَ الْكِرَاءِ وَإِنْ حَدَثَ بِهَا حَدَثٌ مِنْ مَوْتٍ أَوْ غَيْرِهِ رَدَّ عَلَيْهِ ذَهَبَهُ وَكَانَتْ عَلَيْهِ عَلَى وَجْهِ السَّلَفِ عِنْدَهُ قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا فَرَقَ بَيْنَ ذَلِكَ الْقَبْضُ مَنْ قَبَضَ مَا اسْتَأْجَرَ أَوْ اسْتَكْرَى فَقَدْ خَرَجَ مِنْ الْغَرَرِ وَالسَّلَفِ الَّذِي يُكْرَهُ وَأَخَذَ أَمْرًا مَعْلُومًا وَإِنَّمَا مَثَلُ ذَلِكَ أَنْ يَشْتَرِيَ الرَّجُلُ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ فَيَقْبِضَهُمَا وَيَنْقُدَ أَثْمَانَهُمَا فَإِنْ حَدَثَ بِهِمَا حَدَثٌ مِنْ عُهْدَةِ السَّنَةِ أَخَذَ ذَهَبَهُ مِنْ صَاحِبِهِ الَّذِي ابْتَاعَ مِنْهُ فَهَذَا لَا بَأْسَ بِهِ وَبِهَذَا مَضَتْ السُّنَّةُ فِي بَيْعِ الرَّقِيقِ قَالَ مَالِك وَمَنْ اسْتَأْجَرَ عَبْدًا بِعَيْنِهِ أَوْ تَكَارَى رَاحِلَةً بِعَيْنِهَا إِلَى أَجَلٍ يَقْبِضُ الْعَبْدَ أَوْ الرَّاحِلَةَ إِلَى ذَلِكَ الْأَجَلِ فَقَدْ عَمِلَ بِمَا لَا يَصْلُحُ لَا هُوَ قَبَضَ مَا اسْتَكْرَى أَوْ اسْتَأْجَرَ وَلَا هُوَ سَلَّفَ فِي دَيْنٍ يَكُونُ ضَامِنًا عَلَى صَاحِبِهِ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান