আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৩০৮
১৩. মুযাবানা এবং মুহাকালা প্রসঙ্গে
রেওয়ায়ত ২৪. আবু সায়ীদ খুদরী (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিষেধ করিয়াছেন মুযাবানা এবং মুহাকালা হইতে। মুযাবানা হইতেছে সুপক্ক খুমরার বিনিময়ে তাজা খেজুরকে আন্দাজ করিয়া ক্রয় করা যাহা বৃক্ষচুড়ায় (ঝুলন্ত) রহিয়াছে। আর মুহাকালা হইতেছে গমের বিনিময়ে ভূমি কেরায়াতে (ভাড়া) দেওয়া।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْمُزَابَنَةِ وَالْمُحَاقَلَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ مَوْلَى ابْنِ أَبِي أَحْمَدَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ الْمُزَابَنَةِ وَالْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةُ اشْتِرَاءُ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ فِي رُءُوسِ النَّخْلِ وَالْمُحَاقَلَةُ كِرَاءُ الْأَرْضِ بِالْحِنْطَةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩০৯
১৩. মুযাবানা এবং মুহাকালা প্রসঙ্গে
রেওয়ায়ত ২৫. সায়ীদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুযাবানা ও মুহাকালা হইতে নিষেধ করিয়াছেন। মুযাবানা হইতেছে সুপক্ক খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর ক্রয় করা। আর মুহাকালা হইতেছে গমের বিনিময়ে ক্ষেত ক্রয় করা। এবং গমের বিনিময়ে শস্যক্ষেত্র কেরায়া (ভাগ) লওয়া।

ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেনঃ আমি সায়ীদ ইবনে মুসায়্যাবের নিকট প্রশ্ন করিলাম স্বর্ণ ও রৌপ্যের বিনিময়ে ভূমি কেরায়া (ভাগ) গ্রহণ করা সম্পর্কে। তিনি (উত্তরে) বলিলেনঃ ইহাতে কোন ক্ষতি নাই (অর্থাৎ জায়েয আছে)।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুযাবানাকে নিষেধ করিয়াছেন।

আর মুযাবানার তফসীর হইতেছে এই অনুমানের যে কোন বস্তু যাহার পরিমাণ, ওজন ও সংখ্যা অজ্ঞাত, উহাকে ক্রয় করা হইয়াছে পরিমাণ, ওজন ও সংখ্যা দ্বারা সুনির্দিষ্ট বস্তুর বিনিময়ে। যেমন এক ব্যক্তির গাদা করা খাদ্যদ্রব্য রহিয়াছে; গম, খুর্মা অথবা ইহার সদৃশ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য যেগুলির পরিমাণ অজ্ঞাত কিংবা এক ব্যক্তির নিকট রহিয়াছে আসবাব-বৃক্ষপত্র ও ঘাস গুটলী (ফলের আঁটি) ডাল-পালা, কুমকুম, তুলা, কাতান বস্ত্র, কাঁচা রেশম, কিংবা ইহাদের সদৃশ অন্য কোন সামগ্ৰী যেসবের কোন কিছুরই পরিমাণ, ওজন ও সংখ্যা জ্ঞাত নহে, (উপরিউক্ত) খাদ্যদ্রব্য কিংবা আসবাবের মালিককে এক ব্যক্তি বলিল, আপনি কোন ব্যক্তিকে আপনার আসবাব পরিমাণ করার নির্দেশ দিন। কিংবা যাহা ওজন করার যোগ্য উহাকে ওজন করুন, অথবা যাহা গণনা করার উপযোগী উহাকে গণনা করুন। এত এত সা’ ( صاع ) হইতে* যাহা নির্ধারিত করা হয় উহা হইতে যাহা কম হইবে, কিংবা এত এত রতল ( رطل)** (অর্ধসের) ওজন হইতে যাহা ঘাটিয়া যাইবে অথবা এত এত*** সংখ্যা হইতে যত কম হইবে উহার ক্ষতিপূরণ আমি করিব সেই পরিমাণ বা ওজন, কিংবা সংখ্যা যাহা নির্ধারিত হইয়াছে তাহার। সেই পরিমাণ, ওজন কিংবা সংখ্যা পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ আমার দায়িত্ব থাকিবে। আর নির্ধারিত পরিমাণ, ওজন কিংবা সংখ্যা হইতে যাহা বাড়তি হইবে উহা হইবে আমার প্রাপ্য। যে পরিমাণ কম হইবে সে পরিমাণের ক্ষতিপূরণের আমি জিম্মাদার থাকিব এই শর্তে যে, যাহা বাড়তি হইবে তাহা আমার প্রাপ্য হইবে। ইহা কোন বিক্রয় নহে। বরং ইহাতে রহিয়াছে ঝুঁকি ও প্রতারণা আর জুয়াও ইহার অন্তর্ভুক্ত। মুযাবানার মতো ইহাও নিষিদ্ধ। কারণ নিজ হইতে কোন মূল্য প্রদান করিয়া কোন বস্তু বিক্রেতা হইতে ক্রয় করা হয় নাই। কিন্তু সে আসবাবের মালিকের জন্য জামিন হইয়াছে। যে পরিমাণ, ওজন এবং সংখ্যা সে নির্ধারণ করিয়াছে তাহা হইতে বাড়তি হইলে উহা সে পাইবে, আর নির্ধারিত পরিমাণ হইতে সামান্য ঘাটতি হইলে তবে ঘাটতি পূরণার্থে জামিনদারের মাল হইতে ঘাটতি পরিমাণ মাল গ্রহণ করিবে। অথচ ইহা মূল্যও নহে এমন দানও নহে যাহা হৃষ্টচিত্তে দান করা হইয়াছে। তাই ইহা জুয়া তুল্য, যেকোন (ক্রয়-বিক্রয় আদান-প্রদান) এইরূপ হইবে, উহা জুয়ার মতো হইবে (এবং মুযাবানার মতো নিষিদ্ধ হইবে)।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মুযাবানার অন্তর্গত ইহাও — যেই ব্যক্তির নিকট কাপড় আছে তাহাকে আর এক ব্যক্তি বলিলঃ আপনার এই কাপড় হইতে এত এত (ধরা যাক একশত কিংবা দুইশত) জামার বেষ্টনী ও টুপী তৈরীর দায়িত্ব নিতেছে। প্রতিটি বেষ্টনীর পরিমাণ এত এত হইবে যাহা নির্দিষ্ট রূপে উল্লেখ করিল। এই সংখ্যা হইতে যাহা কম হইবে তাহার জরিমানা আমার জিম্মায়। আমি উহা আপনাকে পূর্ণ করিয়া দিব, আর যাহা বাড়তি হইবে উহা হইবে আমার। কিংবা এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে বলিল, আপনার এই কাপড় হইতে এত এত কামিজ তৈরীর ব্যাপারে আমি জামিন আছি, প্রতিটি কামিজের আয়তন এত এত হইবে, উহা হইতে যতটুকু কমতি হইবে উহার জরিমানা আমার উপর। আর যাহা বাড়তি হইবে তাহা আমার প্রাপ্য হইবে। কিংবা যাহার কাছে গরু অথবা উটের চামড়া রহিয়াছে তাহাকে কেহ বলিল, আমি আপনার এইসব চামড়া হইতে এই পরিমাণের যাহা দেখান হইয়াছে জুতা তৈয়ার করিব। একশত জোড়ার কম যাহা হইবে তাহার ক্ষতিপূরণ আমি করিব। এই ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব গ্রহণের বিনিময়ে যাহা বাড়তি হইবে উহা আমার হইবে।

অনুরূপ এক ব্যক্তির নিকট রহিয়াছে হাববুল-বানা [حب البنان এক প্রকারের গাছ যাহার পাতা নিম গাছের পাতার মতো উহার ফলের বীজ দ্বারা তৈল প্রস্তুত করা হয়।] তাহাকে আর এক ব্যক্তি বলিল, আপনার এই বীজ আমি নিঙড়াইয়া [তৈল বাহির করিয়া] দিব। এত এত রাতল [رطل অর্ধসের ওজনের একটি পরিমাপ পাত্র] পরিমাণ হইতে যাহা কমতি হইবে উহার ক্ষতিপূরণ আমি আপনাকে আদায় করিব। আর যাহা অতিরিক্ত হইবে তাহা আমার প্রাপ্য হইবে। এই সব (যাহা উল্লেখ হইয়াছে) এবং উহার সদৃশ বস্তুসমূহ কিংবা যাহা এই সবের মতন হয় সব মুযাবানার অন্তর্ভুক্ত এবং তাহা অবৈধ। অনুরূপ এক ব্যক্তির নিকট রহিয়াছে ঘাস-পাতা, ফলের আঁটি, তুলা, কাতান বস্ত্র, ডাল পালা, কুমকুম ইত্যাদি। অন্য এক ব্যক্তি সেই ব্যক্তিকে বলিল, আমি আপনার নিকট এই ঘাসপাতা এত এত সা’ (صاع) অনুরূপ ঘাসের বিনিময়ে ক্রয় করিলাম, কিংবা এই ফলের আটিগুলি এত এত সা’ (صاع) অনুরূপ ফলের আঁটির বিনিময়ে ক্রয় করিলাম। এইরূপভাবে কুমকুম, তুলা, কাতান এবং ডাল-পালার ব্যাপারেও বলা হইল। এই সবই আমাদের (সাবেক) বর্ণিত মুযাবানার অন্তর্ভুক্ত হইবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْمُزَابَنَةِ وَالْمُحَاقَلَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ الْمُزَابَنَةِ وَالْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةُ اشْتِرَاءُ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ وَالْمُحَاقَلَةُ اشْتِرَاءُ الزَّرْعِ بِالْحِنْطَةِ وَاسْتِكْرَاءُ الْأَرْضِ بِالْحِنْطَةِ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَسَأَلْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ عَنْ اسْتِكْرَاءِ الْأَرْضِ بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ فَقَالَ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ

قَالَ مَالِك نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الْمُزَابَنَةِ وَتَفْسِيرُ الْمُزَابَنَةِ أَنَّ كُلَّ شَيْءٍ مِنْ الْجِزَافِ الَّذِي لَا يُعْلَمُ كَيْلُهُ وَلَا وَزْنُهُ وَلَا عَدَدُهُ ابْتِيعَ بِشَيْءٍ مُسَمًّى مِنْ الْكَيْلِ أَوْ الْوَزْنِ أَوْ الْعَدَدِ وَذَلِكَ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ يَكُونُ لَهُ الطَّعَامُ الْمُصَبَّرُ الَّذِي لَا يُعْلَمُ كَيْلُهُ مِنْ الْحِنْطَةِ أَوْ التَّمْرِ أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْأَطْعِمَةِ أَوْ يَكُونُ لِلرَّجُلِ السِّلْعَةُ مِنْ الْحِنْطَةِ أَوْ النَّوَى أَوْ الْقَضْبِ أَوْ الْعُصْفُرِ أَوْ الْكُرْسُفِ أَوْ الْكَتَّانِ أَوْ الْقَزِّ أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ السِّلَعِ لَا يُعْلَمُ كَيْلُ شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ وَلَا وَزْنُهُ وَلَا عَدَدُهُ فَيَقُولُ الرَّجُلُ لِرَبِّ تِلْكَ السِّلْعَةِ كِلْ سِلْعَتَكَ هَذِهِ أَوْ مُرْ مَنْ يَكِيلُهَا أَوْ زِنْ مِنْ ذَلِكَ مَا يُوزَنُ أَوْ عُدَّ مِنْ ذَلِكَ مَا كَانَ يُعَدُّ فَمَا نَقَصَ عَنْ كَيْلِ كَذَا وَكَذَا صَاعًا لِتَسْمِيَةٍ يُسَمِّيهَا أَوْ وَزْنِ كَذَا وَكَذَا رِطْلًا أَوْ عَدَدِ كَذَا وَكَذَا فَمَا نَقَصَ مِنْ ذَلِكَ فَعَلَيَّ غُرْمُهُ لَكَ حَتَّى أُوفِيَكَ تِلْكَ التَّسْمِيَةَ فَمَا زَادَ عَلَى تِلْكَ التَّسْمِيَةِ فَهُوَ لِي أَضْمَنُ مَا نَقَصَ مِنْ ذَلِكَ عَلَى أَنْ يَكُونَ لِي مَا زَادَ فَلَيْسَ ذَلِكَ بَيْعًا وَلَكِنَّهُ الْمُخَاطَرَةُ وَالْغَرَرُ وَالْقِمَارُ يَدْخُلُ هَذَا لِأَنَّهُ لَمْ يَشْتَرِ مِنْهُ شَيْئًا بِشَيْءٍ أَخْرَجَهُ وَلَكِنَّهُ ضَمِنَ لَهُ مَا سُمِّيَ مِنْ ذَلِكَ الْكَيْلِ أَوْ الْوَزْنِ أَوْ الْعَدَدِ عَلَى أَنْ يَكُونَ لَهُ مَا زَادَ عَلَى ذَلِكَ فَإِنْ نَقَصَتْ تِلْكَ السِّلْعَةُ عَنْ تِلْكَ التَّسْمِيَةِ أَخَذَ مِنْ مَالِ صَاحِبِهِ مَا نَقَصَ بِغَيْرِ ثَمَنٍ وَلَا هِبَةٍ طَيِّبَةٍ بِهَا نَفْسُهُ فَهَذَا يُشْبِهُ الْقِمَارَ وَمَا كَانَ مِثْلُ هَذَا مِنْ الْأَشْيَاءِ فَذَلِكَ يَدْخُلُهُ قَالَ مَالِك وَمِنْ ذَلِكَ أَيْضًا أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ لَهُ الثَّوْبُ أَضْمَنُ لَكَ مِنْ ثَوْبِكَ هَذَا كَذَا وَكَذَا ظِهَارَةَ قَلَنْسُوَةٍ قَدْرُ كُلِّ ظِهَارَةٍ كَذَا وَكَذَا لِشَيْءٍ يُسَمِّيهِ فَمَا نَقَصَ مِنْ ذَلِكَ فَعَلَيَّ غُرْمُهُ حَتَّى أُوفِيَكَ وَمَا زَادَ فَلِي أَوْ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ أَضْمَنُ لَكَ مِنْ ثِيَابِكَ هَذِي كَذَا وَكَذَا قَمِيصًا ذَرْعُ كُلِّ قَمِيصٍ كَذَا وَكَذَا فَمَا نَقَصَ مِنْ ذَلِكَ فَعَلَيَّ غُرْمُهُ وَمَا زَادَ عَلَى ذَلِكَ فَلِي أَوْ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ لَهُ الْجُلُودُ مِنْ جُلُودِ الْبَقَرِ أَوْ الْإِبِلِ أُقَطِّعُ جُلُودَكَ هَذِهِ نِعَالًا عَلَى إِمَامٍ يُرِيهِ إِيَّاهُ فَمَا نَقَصَ مِنْ مِائَةِ زَوْجٍ فَعَلَيَّ غُرْمُهُ وَمَا زَادَ فَهُوَ لِي بِمَا ضَمِنْتُ لَكَ وَمِمَّا يُشْبِهُ ذَلِكَ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ عِنْدَهُ حَبُّ الْبَانِ اعْصُرْ حَبَّكَ هَذَا فَمَا نَقَصَ مِنْ كَذَا وَكَذَا رِطْلًا فَعَلَيَّ أَنْ أُعْطِيَكَهُ وَمَا زَادَ فَهُوَ لِي فَهَذَا كُلُّهُ وَمَا أَشْبَهَهُ مِنْ الْأَشْيَاءِ أَوْ ضَارَعَهُ مِنْ الْمُزَابَنَةِ الَّتِي لَا تَصْلُحُ وَلَا تَجُوزُ وَكَذَلِكَ أَيْضًا إِذَا قَالَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ لَهُ الْخَبَطُ أَوْ النَّوَى أَوْ الْكُرْسُفُ أَوْ الْكَتَّانُ أَوْ الْقَضْبُ أَوْ الْعُصْفُرُ أَبْتَاعُ مِنْكَ هَذَا الْخَبَطَ بِكَذَا وَكَذَا صَاعًا مِنْ خَبَطٍ يُخْبَطُ مِثْلَ خَبَطِهِ أَوْ هَذَا النَّوَى بِكَذَا وَكَذَا صَاعًا مِنْ نَوًى مِثْلِهِ وَفِي الْعُصْفُرِ وَالْكُرْسُفِ وَالْكَتَّانِ وَالْقَضْبِ مِثْلَ ذَلِكَ فَهَذَا كُلُّهُ يَرْجِعُ إِلَى مَا وَصَفْنَا مِنْ الْمُزَابَنَةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান