আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২৯. ত্বালাক - বিবাহ বিচ্ছেদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১১৯৭
১৬. পীড়িত ব্যক্তির তালাক
রেওয়ায়ত ৪০. আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) তাঁহার স্ত্রীকে আল-বাত্তা (পূর্ণ) তালাক প্রদান করিলেন। তখন তিনি পীড়িত ছিলেন। সেই স্ত্রীকে উসমান (রাযিঃ) আব্দুর রহমান ইবনে আওফের সম্পদ হইতে মীরাস দিলেন ইদ্দত সমাপ্তির পর।
بَاب طَلَاقِ الْمَرِيضِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ وَكَانَ أَعْلَمَهُمْ بِذَلِكَ وَعَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ الْبَتَّةَ وَهُوَ مَرِيضٌ فَوَرَّثَهَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ مِنْهُ بَعْدَ انْقِضَاءِ عِدَّتِهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৯৮
১৬. পীড়িত ব্যক্তির তালাক
রেওয়ায়ত ৪১. আরয (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, ইবনে মুকমিলের পত্নীগণকে তাহার সম্পত্তি হইতে উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) মীরাস দিয়াছেন ইবনে- মুকমিল* উহাদিগকে তালাক দিয়াছিলেন পীড়িত অবস্থায়।
بَاب طَلَاقِ الْمَرِيضِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ عَنْ الْأَعْرَجِ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ وَرَّثَ نِسَاءَ ابْنِ مُكْمِلٍ مِنْهُ وَكَانَ طَلَّقَهُنَّ وَهُوَ مَرِيضٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১১৯৯
১৬. পীড়িত ব্যক্তির তালাক
রেওয়ায়ত ৪২. মালিক (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি রবী″আ ইবনে আবী আব্দির রহমানকে বলিতে শুনিয়াছেন, তিনি বলেনঃ আমার নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছিয়াছে যে, আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ)-এর এক স্ত্রী তাহার নিকট তালাক চাহিলেন। তিনি বলেনঃ তোমার মাসিক ঋতুর পর তুমি যখন পবিত্র হও তখন আমাকে অবগত করিও। তাহার ঋতু আসার পূর্বে আব্দুর রহমান ইবনে আওফ অসুস্থ হইয়া পড়িলেন। সে যখন ঋতু হইতে পবিত্র হইল তখন আব্দুর রহমান ইবনে আওফকে খবর দিল। তিনি স্ত্রীকে আল-বাত্তা তালাক দিলেন অথবা এমন তালাক দিলেন যেই তালাক দেওয়ার পরে আর কোন তালাক দেওয়ার অবকাশ থাকে না। আব্দুর রহমান ইবনে আওফ তখন পীড়িত ছিলেন। অতঃপর ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পর উসমান (রাযিঃ) আব্দুর রহমান ইবনে আওফের সম্পদ হইতে স্ত্রীকে মীরাস দিলেন।
بَاب طَلَاقِ الْمَرِيضِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ رَبِيعَةَ بْنَ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَقُولُ بَلَغَنِي أَنَّ امْرَأَةَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ سَأَلَتْهُ أَنْ يُطَلِّقَهَا فَقَالَ إِذَا حِضْتِ ثُمَّ طَهُرْتِ فَآذِنِينِي فَلَمْ تَحِضْ حَتَّى مَرِضَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ فَلَمَّا طَهُرَتْ آذَنَتْهُ فَطَلَّقَهَا الْبَتَّةَ أَوْ تَطْلِيقَةً لَمْ يَكُنْ بَقِيَ لَهُ عَلَيْهَا مِنْ الطَّلَاقِ غَيْرُهَا وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ يَوْمَئِذٍ مَرِيضٌ فَوَرَّثَهَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ مِنْهُ بَعْدَ انْقِضَاءِ عِدَّتِهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১২০০
১৬. পীড়িত ব্যক্তির তালাক
রেওয়ায়ত ৪৩. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহইয়া ইবনে হাব্বান (রাহঃ) বলেনঃ আমার দাদা হাব্বানের ছিল দুই পত্নী। একজন হাশিমী বংশের, অপর জন আনসার গোত্রের। তারপর তিনি আনসারী স্ত্রীকে তালাক দিলেন। তখন সেই স্ত্রী সন্তানকে দুধপান করাইতেছিল। এইরূপে এক বৎসর অতিবাহিত হইলে পর হাব্বান ইন্তিকাল করেন। তাহার স্ত্রী আর ঋতুবতী হয় নাই। স্ত্রী দাবি করিল যে, আমি তাহার মীরাস (সম্পদের অংশ) পাইব। আমার মাসিক ঋতু আসে নাই। বিবাদ লইয়া উভয় পত্নী উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হইল। উসমান (রাযিঃ) আনসারী পত্নীর জন্য মীরাস প্রদানের ফয়সালা দিলেন। ইহাতে হাশিমীয় পত্নী উসমান (রাযিঃ)-কে দোষারোপ* করিলেন। তিনি বলিলেনঃ ইহা তোমার চাচাতো ভাই-এর ফয়সালা। তিনি আমাদিগকে ইহার ইঙ্গিত দিয়াছেন। চাচাতো ভাই হইলেন আলী ইবনে আবী তালিব (রাযিঃ)।
بَاب طَلَاقِ الْمَرِيضِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ قَالَ كَانَتْ عِنْدَ جَدِّي حَبَّانَ امْرَأَتَانِ هَاشِمِيَّةٌ وَأَنْصَارِيَّةٌ فَطَلَّقَ الْأَنْصَارِيَّةَ وَهِيَ تُرْضِعُ فَمَرَّتْ بِهَا سَنَةٌ ثُمَّ هَلَكَ عَنْهَا وَلَمْ تَحِضْ فَقَالَتْ أَنَا أَرِثُهُ لَمْ أَحِضْ فَاخْتَصَمَتَا إِلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَقَضَى لَهَا بِالْمِيرَاثِ فَلَامَتْ الْهَاشِمِيَّةُ عُثْمَانَ فَقَالَ هَذَا عَمَلُ ابْنِ عَمِّكِ هُوَ أَشَارَ عَلَيْنَا بِهَذَا يَعْنِي عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১২০১
১৬. পীড়িত ব্যক্তির তালাক
রেওয়ায়ত ৪৪. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তিনি ইবনে শিহাবকে বলিতে শুনিয়াছেন, কোন ব্যক্তি পীড়িতাবস্থায় স্ত্রীকে তিন তালাক দিলে তবে সে (স্বামীর) মীরাস পাইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি তাহার পীড়িত অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দেয় তাহার সহিত সংগত হওয়ার পূর্বে তবে সে স্ত্রী মোহরের অর্ধেক পাইবে এবং সে (স্বামীর) মীরাস পাইবে, তাহার ইদ্দত পালন করিতে হইবে না। আর যদি সে স্ত্রীর সহিত সংগত হইয়া থাকে তারপর তালাক দেয় তবে সে পূর্ণ মোহর-এর হকদার হইবে এবং মীরাসও পাইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কুমারী এবং অকুমারী এই ব্যাপারে আমাদের মতে সমান।
بَاب طَلَاقِ الْمَرِيضِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ يَقُولُ إِذَا طَلَّقَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ ثَلَاثًا وَهُوَ مَرِيضٌ فَإِنَّهَا تَرِثُهُ قَالَ مَالِك وَإِنْ طَلَّقَهَا وَهُوَ مَرِيضٌ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا فَلَهَا نِصْفُ الصَّدَاقِ وَلَهَا الْمِيرَاثُ وَلَا عِدَّةَ عَلَيْهَا وَإِنْ دَخَلَ بِهَا ثُمَّ طَلَّقَهَا فَلَهَا الْمَهْرُ كُلُّهُ وَالْمِيرَاثُ الْبِكْرُ وَالثَّيِّبُ فِي هَذَا عِنْدَنَا سَوَاءٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান