আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২৯. ত্বালাক - বিবাহ বিচ্ছেদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১১৯৪
১৫. বাকিরা (কুমারী) স্ত্রীলোকের তালাক
রেওয়ায়ত ৩৭. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াস ইবনে বুকাইর (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি সহবাসের পূর্বে স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়াছে, তারপর সেই স্ত্রীকে সে বিবাহ করার ইচ্ছা করিল। তাই সে ফতোয় জিজ্ঞাসা করিতে আসিল। ফতোয়া জিজ্ঞাসা করার জন্য আমিও তাহার সহিত গমন করিলাম। অতঃপর এই বিষয়ে আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর নিকট সে জিজ্ঞাসা করিল। তাহারা উভয়ে বলিলেনঃ তোমার জন্য উহাকে বিবাহ করার কোন পথ দেখি না, যতক্ষণ না তুমি ছাড়া অন্য স্বামীর পাণি সে গ্রহণ করে। সে বলিলঃ আমি উহাকে একত্রে তিন তালাক দিয়াছি। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলিলেন, তোমার হাতে এই ব্যাপারে যতদূর ক্ষমতা ছিল তুমি উহা পূর্ণভাবে প্রয়োগ করিয়া ফেলিয়াছ।
بَاب طَلَاقِ الْبِكْرِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِيَاسِ بْنِ الْبُكَيْرِ أَنَّهُ قَالَ طَلَّقَ رَجُلٌ امْرَأَتَهُ ثَلَاثًا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا ثُمَّ بَدَا لَهُ أَنْ يَنْكِحَهَا فَجَاءَ يَسْتَفْتِي فَذَهَبْتُ مَعَهُ أَسْأَلُ لَهُ فَسَأَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ وَأَبَا هُرَيْرَةَ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَا لَا نَرَى أَنْ تَنْكِحَهَا حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَكَ قَالَ فَإِنَّمَا طَلَاقِي إِيَّاهَا وَاحِدَةٌ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّكَ أَرْسَلْتَ مِنْ يَدِكَ مَا كَانَ لَكَ مِنْ فَضْلٍ
হাদীস নং:১১৯৫
১৫. বাকিরা (কুমারী) স্ত্রীলোকের তালাক
রেওয়ায়ত ৩৮. আতা ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাযিঃ) এর নিকট এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করিতে আসিল, যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে স্পর্শ করার পূর্বে তিন তালাক দিয়াছে। আতা বলিলেন, কুমারীর জন্য হইতেছে এক তালাক। তখন আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর আমাকে বলিলঃ তুমি তো হইলে একজন বক্তা (ফতোয়া দেওয়া তোমার কাজ নহে)। এক তালাক তাহাকে স্বামী হইতে পৃথক করিবে এবং তিন তালাক তাহাকে হারাম করিবে যাবৎ সে (স্ত্রী) অন্য স্বামীর পাণি গ্রহণ না করে।
بَاب طَلَاقِ الْبِكْرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَشَجِّ عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ أَبِي عَيَّاشٍ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ يَسْأَلُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ عَنْ رَجُلٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَاثًا قَبْلَ أَنْ يَمَسَّهَا قَالَ عَطَاءٌ فَقُلْتُ إِنَّمَا طَلَاقُ الْبِكْرِ وَاحِدَةٌ فَقَالَ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ إِنَّمَا أَنْتَ قَاصٌّ الْوَاحِدَةُ تُبِينُهَا وَالثَّلَاثَةُ تُحَرِّمُهَا حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৯৬
১৫. বাকিরা (কুমারী) স্ত্রীলোকের তালাক
রেওয়ায়ত ৩৯. মু’আবিয়া ইবনে আবি আইয়াশ আনসারী (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবনে যুবায়র (রাযিঃ) ও আসিম ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর সহিত বসা ছিলেন। এমন সময় তাহদের নিকট মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াস ইবনে বুকাইর উপস্থিত হইলেন এবং বলিলেনঃ এক বেদুঈন ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে সঙ্গমের পূর্বে তিন তালাক দিয়াছে সেই ব্যাপারে আপনাদের অভিমত কি? আব্দুল্লাহ্ ইবনে যুবায়র বলিলেনঃ এই বিষয়ে আমাদের নিকট কোন রেওয়ায়ত পৌছে নাই, তাই তুমি আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-র নিকট গমন কর এবং তাঁহাদের উভয়ের নিকট প্রশ্ন কর। আমি তাহদের উভয়কে আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ)-র নিকট দেখিয়া আসিয়াছি। তাহাদের নিকট হইতে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করার পর আমার কাছে আসিয়া বলিয়া যাইবে।

মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াস সেখানে গেলেন এবং উভয়কে প্রশ্ন করিলেন। ইবনে আব্বাস আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে বলিলেন, হে আবু হুরায়রা! আপনি ফতোয়া বলুন। আপনার নিকট কঠিন মাসআলা উপস্থিত হইয়াছে। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেনঃ এক তালাক স্ত্রীকে স্বামী হইতে পৃথক করিবে (বিচ্ছেদ ঘটাইবে), তিন তালাক তাহাকে হারাম করিয়া দিবে যাবৎ সে অন্য স্বামীর পাণি গ্রহণ না করে। ইবনে আব্বাসও অনুরূপ বলিলেন।

মালিক (রাহঃ) বলেন, এই বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্তও অনুরূপ।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ অকুমারী (ثيبة) নারীর কেহ মালিক হইলে এবং উহার সহিত সংগত না হইলে তবে তালাকের ব্যাপারে তাহারও কুমারীর মতো মাসআলা হইবে। এক তালাক তাহাকে পৃথক করিবে এবং তিন তালাক তাহাকে হারাম করিবে যাবৎ সে অন্য স্বামীর পাণি গ্রহণ না করে।
بَاب طَلَاقِ الْبِكْرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَشَجِّ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي عَيَّاشٍ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ وَعَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ فَجَاءَهُمَا مُحَمَّدُ بْنُ إِيَاسِ بْنِ الْبُكَيْرِ فَقَالَ إِنَّ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَاثًا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا فَمَاذَا تَرَيَانِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ مَا لَنَا فِيهِ قَوْلٌ فَاذْهَبْ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ فَإِنِّي تَرَكْتُهُمَا عِنْدَ عَائِشَةَ فَسَلْهُمَا ثُمَّ ائْتِنَا فَأَخْبِرْنَا فَذَهَبَ فَسَأَلَهُمَا فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لِأَبِي هُرَيْرَةَ أَفْتِهِ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ فَقَدْ جَاءَتْكَ مُعْضِلَةٌ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ الْوَاحِدَةُ تُبِينُهَا وَالثَّلَاثَةُ تُحَرِّمُهَا حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ مِثْلَ ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَعَلَى ذَلِكَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا
وَالثَّيِّبُ إِذَا مَلَكَهَا الرَّجُلُ فَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا إِنَّهَا تَجْرِي مَجْرَى الْبِكْرِ الْوَاحِدَةُ تُبِينُهَا وَالثَّلَاثُ تُحَرِّمُهَا حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী: