আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২৯. ত্বালাক - বিবাহ বিচ্ছেদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১১৭৩
৬. স্ত্রীর সহিত মিলিত হইবে না বলিয়া শপথ করিলে তাহার কি হুকুম
রেওয়ায়ত ১৭. আলী ইবনে আবী তালিব (রাযিঃ) বলিতেন, কোন ব্যক্তি তাহার স্ত্রীর ব্যাপারে ঈলা করিলে উহাতে তালাক হইবে না। যদি ঈলার পর চার মাস অতিবাহিত হয় (সে কিছু না করে), তবে তাহাকে বন্দী করা হইবে, হয়ত সে তালাক দিবে নতুবা ঈলা হইতে ফিরিয়া আসিবে (অর্থাৎ স্ত্রীকে গ্রহণ করিয়া কসমের কাফফারা দিবে)।

মালিক (রাহঃ) বলেন, আমাদের নিকট ইহাই সিদ্ধান্ত।
بَاب الْإِيلَاءِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ إِذَا آلَى الرَّجُلُ مِنْ امْرَأَتِهِ لَمْ يَقَعْ عَلَيْهِ طَلَاقٌ وَإِنْ مَضَتْ الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ حَتَّى يُوقَفَ فَإِمَّا أَنْ يُطَلِّقَ وَإِمَّا أَنْ يَفِيءَ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৭৪
৬. স্ত্রীর সহিত মিলিত হইবে না বলিয়া শপথ করিলে তাহার কি হুকুম
রেওয়ায়ত ১৮. আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলিতেনঃ কেউ স্ত্রীর সহিত ঈলা করিলে তবে চার মাস অতিবাহিত হইলে তাহাকে বন্দী করা হইবে, যাবৎ তালাক না দেয় অথবা কসম ভঙ্গ করিয়া কাফফারা আদায় করে স্ত্রীকে গ্রহণ করিবে। চার মাস অতিবাহিত হইলে তাহাকে বন্দী না করা পর্যন্ত তালাক প্রযোজ্য হইবে না।

ইবনে শিহাব (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব এবং আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাযিঃ) তাহারা উভয়ে বলিতেন, যে ব্যক্তি স্ত্রীর সহিত ঈলা করিয়াছে, চার মাস অতিবাহিত হইলে উহা এক তালাক গণ্য হইবে। ইদ্দতের ভিতর সে ব্যক্তি স্ত্রীর দিকে রুজু’ (উহাকে গ্রহণ) করিতে পারবে।
بَاب الْإِيلَاءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ أَيُّمَا رَجُلٍ آلَى مِنْ امْرَأَتِهِ فَإِنَّهُ إِذَا مَضَتْ الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ وُقِفَ حَتَّى يُطَلِّقَ أَوْ يَفِيءَ وَلَا يَقَعُ عَلَيْهِ طَلَاقٌ إِذَا مَضَتْ الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ حَتَّى يُوقَفَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ وَأَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَانَا يَقُولَانِ فِي الرَّجُلِ يُولِي مِنْ امْرَأَتِهِ إِنَّهَا إِذَا مَضَتْ الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ فَهِيَ تَطْلِيقَةٌ وَلِزَوْجِهَا عَلَيْهَا الرَّجْعَةُ مَا كَانَتْ فِي الْعِدَّةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৭৫
৬. স্ত্রীর সহিত মিলিত হইবে না বলিয়া শপথ করিলে তাহার কি হুকুম
রেওয়ায়ত ১৯. মালিক (রাহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, মারওয়ান ইবনে হাকাম (রাহঃ) ফয়সালা দিতেন, যে ব্যক্তি স্ত্রীর সহিত ঈলা করিয়াছে, তবে চার মাস অতিবাহিত হইলে উহা এক তালাক বলিয়া গণ্য হইবে। ইদ্দতের ভিতর স্ত্রীর দিকে রুজু করার ইখতিয়ার স্বামীর থাকিবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইবনে শিহাব (যুহরী)-এর অভিমতও অনুরূপ ছিল।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ স্ত্রীর সহিত কোন লোক ঈলা করিলে তাহাকে বাধ্য করা হইবে। চার মাস অতিবাহিত হইলে সে স্ত্রীকে তালাক দিবে। অতঃপর সে রুজু করিবে, তবে সে ব্যক্তি স্ত্রীর সহিত মিলিত না হইলে এবং এইরূপে ইদ্দত খতম হইয়া গেলে সে আর রুজু করিতে পারবে না। হ্যাঁ, যদি তাহার কোন ওযর থাকে, (যেমন) বন্দী থাকা, রোগ বা অনুরূপ অন্য কোন ওযর, তবে (মৌখিকভাবে) তাহার রুজু গ্রহণযোগ্য হইবে। আর যদি ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার পর সে পুনরায় সেই স্ত্রীকে বিবাহ করে তবে যদি সে স্ত্রীর সহিত মিলিত না হয় এবং সেই অবস্থায় চার মাস অতিবাহিত হয় তবে তাহাকে বাধ্য করা হইবে। সে স্ত্রীর দিকে প্রত্যাবর্তন না করিলে প্রথম ঈলা-র দ্বারা স্ত্রীর উপর তালাক প্রযোজ্য হইবে। চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পর আর স্ত্রীর দিকে রুজু করার ক্ষমতাও তাহার থাকিবে না। কারণ সে বিবাহ করিয়াছে এবং সহবাসের পূর্বে স্ত্রীকে তালাক দিয়াছে, এইরূপ অবস্থাতে ইদ্দতও নাই এবং রুজুর অধিকারও থাকিবে না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি স্ত্রীর সহিত ঈলা করিয়াছে, চার মাসের পর সে ব্যক্তিকে বাধ্য করা হইবে। সে তালাক প্রদান করিবে অতঃপর রুজু করিবে, কিন্তু (রুজু করার পর) স্ত্রীর সহিত সঙ্গম না করিলে এবং (এইভাবে) ইদ্দত শেষ হওয়ার পূর্বে চারমাস অতিবাহিত হইলে তবে তাহাকে বাধ্য করা হইবে না এবং তালাক প্রযোজ্য হইবে না। আর যদি ইদ্দত শেষ হওয়ার পূর্বে স্ত্রীর সহিত মিলিত হয় তবে সে সেই স্ত্রীর (দিকে রুজু করার) অধিক হকদার হইবে। আর যদি মিলিত হওয়ার পূর্বে ইদ্দত শেষ হইয়া যায় তবে সেই স্ত্রীকে রাখার কোন ইখতিয়ার তাহার নাই।

মালিক (রাহঃ) বলেন, ইহাই উত্তম, যাহা আমি এই বিষয়ে শুনিয়াছি।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি স্ত্রীর সহিত ঈলা করে, অতঃপর স্ত্রীকে তালাক প্রদান করে, তারপর তালাকের ইদ্দত শেষ হওয়ার পূর্বে চারমাস অতিবাহিত হয়, মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তখন যদি সে ঈলার উপর স্থির থাকে এবং প্রত্যাবর্তন না করে তবে ইহা দুই তালাক বলিয়া গণ্য হইবে। আর যদি চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে তালাকের ইদ্দত খতম হইয়া যায়, তবে ঈলা তালাক বলিয়া গণ্য হইবে না। কারণ, যে চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পর তাহাকে বাধ্য করা হইত সেই চারমাস (সময়) অতিবাহিত হইয়া গিয়াছে। এমতাবস্থায় সে আর তাহার স্ত্রী রহিল না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি একদিন অথবা একমাস স্ত্রীর সহিত বসবাস করিবে না বলিয়া হলফ করিল, অতঃপর চার মাসের অধিক সময় এইভাবে অতিবাহিত হইল, তবে ইহা ঈলা বলিয়া গণ্য হইবে না। কারণ, চার মাসের অধিক সময় স্ত্রীর সহিত সহবাস করিবে না বলিয়া হলফ করাকে ঈলা গণ্য করা হয়। আর যে ব্যক্তি চারমাস অথবা উহা হইতে কম সময়ের জন্য হলফ করে আমি উহাকে ঈলা বলিয়া মনে করি না। কারণ, সে সময় অতিবাহিত হওয়ার পর, স্বামীকে বাধ্য করার নিয়ম রহিয়াছে তাহা অতিক্রম করার পূর্বে সে তাহার শপথ হইতে বাহির হইয়া আসিবে তখন তাহাকে আর বাধ্য করা যাইবে না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ বাচ্চার দুধ না ছাড়ান পর্যন্ত স্ত্রীর সহিত সঙ্গম করিবে না বলিয়া হলফ করিলে উহা ‘ঈলা বলিয়া গণ্য হইবে না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আলী ইবনে আবী তালীব (রাযিঃ)-কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি ইহা ঈলা নহে বলিয়া মত প্রকাশ করিয়াছেন।
بَاب الْإِيلَاءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ كَانَ يَقْضِي فِي الرَّجُلِ إِذَا آلَى مِنْ امْرَأَتِهِ أَنَّهَا إِذَا مَضَتْ الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ فَهِيَ تَطْلِيقَةٌ وَلَهُ عَلَيْهَا الرَّجْعَةُ مَا دَامَتْ فِي عِدَّتِهَا قَالَ مَالِك وَعَلَى ذَلِكَ كَانَ رَأْيُ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُولِي مِنْ امْرَأَتِهِ فَيُوقَفُ فَيُطَلِّقُ عِنْدَ انْقِضَاءِ الْأَرْبَعَةِ الْأَشْهُرِ ثُمَّ يُرَاجِعُ امْرَأَتَهُ أَنَّهُ إِنْ لَمْ يُصِبْهَا حَتَّى تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا فَلَا سَبِيلَ لَهُ إِلَيْهَا وَلَا رَجْعَةَ لَهُ عَلَيْهَا إِلَّا أَنْ يَكُونَ لَهُ عُذْرٌ مِنْ مَرَضٍ أَوْ سِجْنٍ أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْعُذْرِ فَإِنَّ ارْتِجَاعَهُ إِيَّاهَا ثَابِتٌ عَلَيْهَا فَإِنْ مَضَتْ عِدَّتُهَا ثُمَّ تَزَوَّجَهَا بَعْدَ ذَلِكَ فَإِنَّهُ إِنْ لَمْ يُصِبْهَا حَتَّى تَنْقَضِيَ الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ وُقِفَ أَيْضًا فَإِنْ لَمْ يَفِئْ دَخَلَ عَلَيْهِ الطَّلَاقُ بِالْإِيلَاءِ الْأَوَّلِ إِذَا مَضَتْ الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ عَلَيْهَا رَجْعَةٌ لِأَنَّهُ نَكَحَهَا ثُمَّ طَلَّقَهَا قَبْلَ أَنْ يَمَسَّهَا فَلَا عِدَّةَ لَهُ عَلَيْهَا وَلَا رَجْعَةَ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُولِي مِنْ امْرَأَتِهِ فَيُوقَفُ بَعْدَ الْأَرْبَعَةِ الْأَشْهُرِ فَيُطَلِّقُ ثُمَّ يَرْتَجِعُ وَلَا يَمَسُّهَا فَتَنْقَضِي أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ قَبْلَ أَنْ تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا إِنَّهُ لَا يُوقَفُ وَلَا يَقَعُ عَلَيْهِ طَلَاقٌ وَإِنَّهُ إِنْ أَصَابَهَا قَبْلَ أَنْ تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا كَانَ أَحَقَّ بِهَا وَإِنْ مَضَتْ عِدَّتُهَا قَبْلَ أَنْ يُصِيبَهَا فَلَا سَبِيلَ لَهُ إِلَيْهَا وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُولِي مِنْ امْرَأَتِهِ ثُمَّ يُطَلِّقُهَا فَتَنْقَضِي الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ قَبْلَ انْقِضَاءِ عِدَّةِ الطَّلَاقِ قَالَ هُمَا تَطْلِيقَتَانِ إِنْ هُوَ وُقِفَ وَلَمْ يَفِئْ وَإِنْ مَضَتْ عِدَّةُ الطَّلَاقِ قَبْلَ الْأَرْبَعَةِ الْأَشْهُرِ فَلَيْسَ الْإِيلَاءُ بِطَلَاقٍ وَذَلِكَ أَنَّ الْأَرْبَعَةَ الْأَشْهُرِ الَّتِي كَانَتْ تُوقَفُ بَعْدَهَا مَضَتْ وَلَيْسَتْ لَهُ يَوْمَئِذٍ بِامْرَأَةٍ قَالَ مَالِك وَمَنْ حَلَفَ أَنْ لَا يَطَأَ امْرَأَتَهُ يَوْمًا أَوْ شَهْرًا ثُمَّ مَكَثَ حَتَّى يَنْقَضِيَ أَكْثَرُ مِنْ الْأَرْبَعَةِ الْأَشْهُرِ فَلَا يَكُونُ ذَلِكَ إِيلَاءً وَإِنَّمَا يُوقَفُ فِي الْإِيلَاءِ مَنْ حَلَفَ عَلَى أَكْثَرَ مِنْ الْأَرْبَعَةِ الْأَشْهُرِ فَأَمَّا مَنْ حَلَفَ أَنْ لَا يَطَأَ امْرَأَتَهُ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ أَوْ أَدْنَى مِنْ ذَلِكَ فَلَا أَرَى عَلَيْهِ إِيلَاءً لِأَنَّهُ إِذَا دَخَلَ الْأَجَلُ الَّذِي يُوقَفُ عِنْدَهُ خَرَجَ مِنْ يَمِينِهِ وَلَمْ يَكُنْ عَلَيْهِ وَقْفٌ قَالَ مَالِك مَنْ حَلَفَ لِامْرَأَتِهِ أَنْ لَا يَطَأَهَا حَتَّى تَفْطِمَ وَلَدَهَا فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَكُونُ إِيلَاءً وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ سُئِلَ عَنْ ذَلِكَ فَلَمْ يَرَهُ إِيلَاءً
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান