আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
২৯. ত্বালাক - বিবাহ বিচ্ছেদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১১৭০
৫. যে ক্ষমতা প্ৰদান তালাকের কারণ হয় না উহার বর্ণনা
রেওয়ায়েত ১৪. কাসেম ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবী বকর (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনে আবী বকর (রাযিঃ)-এর জন্য কুরায়যা বিনতে আবী উমাইয়ার বিবাহের প্রস্তাব করিলেন, (কন্যা কর্তৃপক্ষ) তাহার নিকট বিবাহ দিলেন। তারপর (কোন কারণে) তাহারা আব্দুর রহমানের উপর অসন্তুষ্ট হইলেন* এবং তাহারা বলিলেন, আমরা আয়েশা (রাযিঃ)-এর কারণে বিবাহে সম্মত হইয়াছি। আয়েশা (রাযিঃ) আব্দুর রহমানের নিকট লোক প্রেরণ করিলেন এবং তাঁহাদের বক্তব্য অবহিত করিলেন। আব্দুর রহমান কুরায়যার বিষয় কুরায়যার উপর ন্যস্ত করিলেন। কুরায়যা (রাযিঃ) তাহার স্বামীকে গ্রহণ করিলেন।** ইহা তালাক বলিয়া গণ্য হইল না।
بَاب مَا لَا يُبِينُ مِنْ التَّمْلِيكِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا خَطَبَتْ عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ قَرِيبَةَ بِنْتَ أَبِي أُمَيَّةَ فَزَوَّجُوهُ ثُمَّ إِنَّهُمْ عَتَبُوا عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَقَالُوا مَا زَوَّجْنَا إِلَّا عَائِشَةَ فَأَرْسَلَتْ عَائِشَةُ إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ فَجَعَلَ أَمْرَ قَرِيبَةَ بِيَدِهَا فَاخْتَارَتْ زَوْجَهَا فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ طَلَاقًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৭১
৫. যে ক্ষমতা প্ৰদান তালাকের কারণ হয় না উহার বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১৫. নবী করীম (ﷺ)-এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ) আব্দুর রহমানের কন্যা হাফসাকে মুনযির ইবনে যুবায়র-এর নিকট বিবাহ দিলেন। আব্দুর রহমান ছিলেন তখন সিরিয়াতে (তিনি তাই এই বিবাহে অনুপস্থিত ছিলেন)। আব্দুর রহমান যখন সিরিয়া হইতে প্রত্যাবর্তন করিলেন (এবং এই বিবাহের সংবাদ অবগত হইলেন) তিনি বলিলেন, আমার মতো লোকের সহিত ইহা করা হইল, আমার ব্যাপারে আমাকে উপেক্ষা করিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইল। অতঃপর আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) মুনযির ইবনে যুবায়র-এর সহিত আলোচনা করিলেন। মুনযির বলিলেনঃ আব্দুর রহমানের হাতেই ইহার (এই বিবাহ বহাল রাখা না রাখার) ক্ষমতা রহিয়াছে। আব্দুর রহমান বলিলেনঃ যেই ব্যাপারে আপনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছেন আমি উহাকে রদ করিব না, তাই হাফসা মুনযিরের কাছেই রহিলেন এবং ইহা তালাক বলিয়া গণ্য হয় নাই।
بَاب مَا لَا يُبِينُ مِنْ التَّمْلِيكِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَوَّجَتْ حَفْصَةَ بِنْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُنْذِرَ بْنَ الزُّبَيْرِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ غَائِبٌ بِالشَّامِ فَلَمَّا قَدِمَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ قَالَ وَمِثْلِي يُصْنَعُ هَذَا بِهِ وَمِثْلِي يُفْتَاتُ عَلَيْهِ فَكَلَّمَتْ عَائِشَةُ الْمُنْذِرَ بْنَ الزُّبَيْرِ فَقَالَ الْمُنْذِرُ فَإِنَّ ذَلِكَ بِيَدِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ مَا كُنْتُ لِأَرُدَّ أَمْرًا قَضَيْتِهِ فَقَرَّتْ حَفْصَةُ عِنْدَ الْمُنْذِرِ وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ طَلَاقًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৭২
৫. যে ক্ষমতা প্ৰদান তালাকের কারণ হয় না উহার বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১৬. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর এবং আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ব্যক্তি স্ত্রীকে তাহার নিজের বিষয়ে ইখতিয়ার দিয়াছে। স্ত্রী উক্ত ক্ষমতা স্বামীর দিকে ফিরাইয়া দিয়াছে এবং এই ব্যাপারে নিজে ক্ষমতা প্রয়োগ করে নাই। (ইহার কি হুকুম) তাহারা উভয়ে বলিলেন, ইহা তালাক নহে।
সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব (রাহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে তাহার (বিবাহ বিচ্ছেদের ব্যাপারে) ক্ষমতা প্রদান করিলে সে যদি স্বামীকে ত্যাগ না করে এবং তাহার স্ত্রীরূপে বহাল থাকে, তবে উহা তালাক বলিয়া গণ্য হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যেই স্ত্রীলোকের প্রতি তাহার স্বামী ক্ষমতা অর্পণ করিল, অতঃপর তাহারা উভয়ে মজলিস ত্যাগ করিয়া পৃথক হইয়া গেল। স্ত্রী সেই ক্ষমতা গ্রহণ করে নাই। তবে সেই স্ত্রীর হাতে আর কোন ক্ষমতা থাকিবে না। তাহার হাতে ততক্ষণ ক্ষমতা থাকিবে যতক্ষণ তাহারা সেই মজলিস ত্যাগ না করে।
সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব (রাহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে তাহার (বিবাহ বিচ্ছেদের ব্যাপারে) ক্ষমতা প্রদান করিলে সে যদি স্বামীকে ত্যাগ না করে এবং তাহার স্ত্রীরূপে বহাল থাকে, তবে উহা তালাক বলিয়া গণ্য হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যেই স্ত্রীলোকের প্রতি তাহার স্বামী ক্ষমতা অর্পণ করিল, অতঃপর তাহারা উভয়ে মজলিস ত্যাগ করিয়া পৃথক হইয়া গেল। স্ত্রী সেই ক্ষমতা গ্রহণ করে নাই। তবে সেই স্ত্রীর হাতে আর কোন ক্ষমতা থাকিবে না। তাহার হাতে ততক্ষণ ক্ষমতা থাকিবে যতক্ষণ তাহারা সেই মজলিস ত্যাগ না করে।
بَاب مَا لَا يُبِينُ مِنْ التَّمْلِيكِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ وَأَبَا هُرَيْرَةَ سُئِلَا عَنْ الرَّجُلِ يُمَلِّكُ امْرَأَتَهُ أَمْرَهَا فَتَرُدُّ بِذَلِكَ إِلَيْهِ وَلَا تَقْضِي فِيهِ شَيْئًا فَقَالَا لَيْسَ ذَلِكَ بِطَلَاقٍ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ إِذَا مَلَّكَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ أَمْرَهَا فَلَمْ تُفَارِقْهُ وَقَرَّتْ عِنْدَهُ فَلَيْسَ ذَلِكَ بِطَلَاقٍ
قَالَ مَالِك فِي الْمُمَلَّكَةِ إِذَا مَلَّكَهَا زَوْجُهَا أَمْرَهَا ثُمَّ افْتَرَقَا وَلَمْ تَقْبَلْ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَلَيْسَ بِيَدِهَا مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ وَهُوَ لَهَا مَا دَامَا فِي مَجْلِسِهِمَا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ إِذَا مَلَّكَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ أَمْرَهَا فَلَمْ تُفَارِقْهُ وَقَرَّتْ عِنْدَهُ فَلَيْسَ ذَلِكَ بِطَلَاقٍ
قَالَ مَالِك فِي الْمُمَلَّكَةِ إِذَا مَلَّكَهَا زَوْجُهَا أَمْرَهَا ثُمَّ افْتَرَقَا وَلَمْ تَقْبَلْ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَلَيْسَ بِيَدِهَا مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ وَهُوَ لَهَا مَا دَامَا فِي مَجْلِسِهِمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: