আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
২৮. বিবাহ-শাদীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১১১৯
৯. আপন স্ত্রীর জননীর সহিত বিবাহ বৈধ না হওয়া
রেওয়ায়ত ২২. ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলেন, যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ব্যক্তি একজন মহিলাকে বিবাহ করিয়াছে। অতঃপর তাহার সহিত সহবাস করার পূর্বে উহাকে তালাক দিয়াছে। উক্ত ব্যক্তির জন্য সেই মহিলার মাতাকে বিবাহ করা বৈধ হইবে কি? উত্তরে যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) বলিলেনঃ না, বৈধ হইবে না। কারণ জননীর ব্যাপারে (কুরআনুল করীমে) কোন শর্ত আরোপ করা হয় নাই। বরং শর্ত রহিয়াছে স্ত্রীর সৎ কন্যাদের ব্যাপারে।
بَاب مَا لَا يَجُوزُ مِنْ نِكَاحِ الرَّجُلِ أُمَّ امْرَأَتِهِ
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ سُئِلَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ عَنْ رَجُلٍ تَزَوَّجَ امْرَأَةً ثُمَّ فَارَقَهَا قَبْلَ أَنْ يُصِيبَهَا هَلْ تَحِلُّ لَهُ أُمُّهَا فَقَالَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ لَا الْأُمُّ مُبْهَمَةٌ لَيْسَ فِيهَا شَرْطٌ وَإِنَّمَا الشَّرْطُ فِي الرَّبَائِبِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১২০
৯. আপন স্ত্রীর জননীর সহিত বিবাহ বৈধ না হওয়া
রেওয়ায়ত ২৩. মালিক (রাহঃ) একাধিক শায়খ হইতে বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মসউদ (রাযিঃ)-এর নিকট কুফাতে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করা হইল, কোন মহিলার কন্যাকে বিবাহ করার পর উহার সহিত সহবাস না করা হইলে সেই কন্যার মাতাকে বিবাহ করা যাইবে কিনা? তিনি এই বিবাহের ব্যাপারে অনুমতি দিলেন। অতঃপর ইবনে মসউদ (রাযিঃ) যখন মদীনাতে আগমন করিলেন তখন তিনি এই বিষয়ে (অন্যান্য সাহাবীর নিকট) জিজ্ঞাসা করিলেন। তাহাকে বলা হইল যে, তিনি (কুফাতে) যেরূপ বলিয়াছেন আসল ব্যাপার সেরূপ নহে (শর্ত আরোপ করা হইয়াছে কেবলমাত্র পোষ্য কন্যাদের ব্যাপারে)। তারপর ইবনে মসউদ কুফাতে প্রত্যাবর্তন করিলেন এবং তিনি নিজ গৃহে না গিয়া যে ব্যক্তিকে এরূপ ফতোয়া দিয়াছিলেন সে ব্যক্তির নিকট গমন করিলেন। অতঃপর সে ব্যক্তিকে তাহার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করিয়াছে, অতঃপর সেই মহিলার মাতাকেও বিবাহ করিয়াছে এবং তাহার (স্ত্রীর মাতার) সহিত সহবাস করিয়াছে, সেই ব্যক্তির জন্য তাহার স্ত্রী হারাম হইয়া যাইবে। সে স্ত্রী ও স্ত্রীর মাতা উভয়কে পরিত্যাগ করবে। উভয়ে তাহার জন্য সর্বদা হারাম হইবে। ইহা তখন হইবে যখন সে স্ত্রীর মাতার সহিত সহবাস করে। আর যদি সহবাস না করিয়া থাকে তবে তাহার স্ত্রী তাহার জন্য হারাম হইবে না। (কেবলমাত্র) স্ত্রীর মাতাকে পরিত্যাগ করিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করে, অতঃপর সেই স্ত্রীর মাতাকেও বিবাহ করে এবং তাহার সহিত সহবাস করে, সেই ব্যক্তির জন্য তাহার স্ত্রীর মাতা কখনো হালাল হইবে না। আর হালাল হইবে না তাহার ছেলের জন্য এবং হালাল হইবে না তাহার পিতার জন্য। আর সেই ব্যক্তির জন্য উহার কন্যাও হালাল হইবে না এবং তাহার স্ত্রী তাহার জন্য হারাম হইয়া যাইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ব্যভিচার ইহার কোনটিকেই হারাম করিবে না। কারণ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করিয়াছেন (وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ) “তোমাদের স্ত্রীগণের মাতাগণও তোমাদের জন্য হারাম।” উক্ত আয়াতে বিবাহের কারণে (স্ত্রীর মাতাকে) হারাম করা হইয়াছে। ব্যভিচারের দ্বারা হারাম হইয়াছে বলিয়া উল্লেখ করা হয় নাই। ফলে যে কোন বিবাহ হালাল পন্থায় অনুষ্ঠিত হইবে এবং স্বামী স্ত্রীর সহিত মিলিত হইবে। সেই বিবাহ হালাল গণ্য হইবে। ইহাই আমি শুনিয়াছি। মদীনাবাসীদের নিকট ইহাই গৃহীত মত।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করিয়াছে, অতঃপর সেই মহিলার মাতাকেও বিবাহ করিয়াছে এবং তাহার (স্ত্রীর মাতার) সহিত সহবাস করিয়াছে, সেই ব্যক্তির জন্য তাহার স্ত্রী হারাম হইয়া যাইবে। সে স্ত্রী ও স্ত্রীর মাতা উভয়কে পরিত্যাগ করবে। উভয়ে তাহার জন্য সর্বদা হারাম হইবে। ইহা তখন হইবে যখন সে স্ত্রীর মাতার সহিত সহবাস করে। আর যদি সহবাস না করিয়া থাকে তবে তাহার স্ত্রী তাহার জন্য হারাম হইবে না। (কেবলমাত্র) স্ত্রীর মাতাকে পরিত্যাগ করিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করে, অতঃপর সেই স্ত্রীর মাতাকেও বিবাহ করে এবং তাহার সহিত সহবাস করে, সেই ব্যক্তির জন্য তাহার স্ত্রীর মাতা কখনো হালাল হইবে না। আর হালাল হইবে না তাহার ছেলের জন্য এবং হালাল হইবে না তাহার পিতার জন্য। আর সেই ব্যক্তির জন্য উহার কন্যাও হালাল হইবে না এবং তাহার স্ত্রী তাহার জন্য হারাম হইয়া যাইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ব্যভিচার ইহার কোনটিকেই হারাম করিবে না। কারণ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করিয়াছেন (وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ) “তোমাদের স্ত্রীগণের মাতাগণও তোমাদের জন্য হারাম।” উক্ত আয়াতে বিবাহের কারণে (স্ত্রীর মাতাকে) হারাম করা হইয়াছে। ব্যভিচারের দ্বারা হারাম হইয়াছে বলিয়া উল্লেখ করা হয় নাই। ফলে যে কোন বিবাহ হালাল পন্থায় অনুষ্ঠিত হইবে এবং স্বামী স্ত্রীর সহিত মিলিত হইবে। সেই বিবাহ হালাল গণ্য হইবে। ইহাই আমি শুনিয়াছি। মদীনাবাসীদের নিকট ইহাই গৃহীত মত।
بَاب مَا لَا يَجُوزُ مِنْ نِكَاحِ الرَّجُلِ أُمَّ امْرَأَتِهِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ اسْتُفْتِيَ وَهُوَ بِالْكُوفَةِ عَنْ نِكَاحِ الْأُمِّ بَعْدَ الْابْنَةِ إِذَا لَمْ تَكُنْ الِابْنَةُ مُسَّتْ فَأَرْخَصَ فِي ذَلِكَ ثُمَّ إِنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَسَأَلَ عَنْ ذَلِكَ فَأُخْبِرَ أَنَّهُ لَيْسَ كَمَا قَالَ وَإِنَّمَا الشَّرْطُ فِي الرَّبَائِبِ فَرَجَعَ ابْنُ مَسْعُودٍ إِلَى الْكُوفَةِ فَلَمْ يَصِلْ إِلَى مَنْزِلِهِ حَتَّى أَتَى الرَّجُلَ الَّذِي أَفْتَاهُ بِذَلِكَ فَأَمَرَهُ أَنْ يُفَارِقَ امْرَأَتَهُ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ تَكُونُ تَحْتَهُ الْمَرْأَةُ ثُمَّ يَنْكِحُ أُمَّهَا فَيُصِيبُهَا إِنَّهَا تَحْرُمُ عَلَيْهِ امْرَأَتُهُ وَيُفَارِقُهُمَا جَمِيعًا وَيَحْرُمَانِ عَلَيْهِ أَبَدًا إِذَا كَانَ قَدْ أَصَابَ الْأُمَّ فَإِنْ لَمْ يُصِبْ الْأُمَّ لَمْ تَحْرُمْ عَلَيْهِ امْرَأَتُهُ وَفَارَقَ الْأُمَّ وَقَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَتَزَوَّجُ الْمَرْأَةَ ثُمَّ يَنْكِحُ أُمَّهَا فَيُصِيبُهَا إِنَّهُ لَا تَحِلُّ لَهُ أُمُّهَا أَبَدًا وَلَا تَحِلُّ لِأَبِيهِ وَلَا لِابْنِهِ وَلَا تَحِلُّ لَهُ ابْنَتُهَا وَتَحْرُمُ عَلَيْهِ امْرَأَتُهُ قَالَ مَالِك فَأَمَّا الزِّنَا فَإِنَّهُ لَا يُحَرِّمُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ لِأَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ فَإِنَّمَا حَرَّمَ مَا كَانَ تَزْوِيجًا وَلَمْ يَذْكُرْ تَحْرِيمَ الزِّنَا فَكُلُّ تَزْوِيجٍ كَانَ عَلَى وَجْهِ الْحَلَالِ يُصِيبُ صَاحِبُهُ امْرَأَتَهُ فَهُوَ بِمَنْزِلَةِ التَّزْوِيجِ الْحَلَالِ فَهَذَا الَّذِي سَمِعْتُ وَالَّذِي عَلَيْهِ أَمْرُ النَّاسِ عِنْدَنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: