আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২৭. উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১০৮৩
৮. দাদী ও নানীর অংশ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৪. কুবাইসা ইবনে ওয়াইব (রাহঃ) হইতে বর্ণিত-এক মৃত ব্যক্তির দাদী তাহার মীরাসের জন্য আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)-এর নিকট আসিল । তিনি বলিলেন, তোমাদের হিস্যা সম্বন্ধে কিতাবুল্লাহতেও কোন উল্লেখ নাই এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হইতেও কোন হাদীস শুনি নাই। এখন তুমি চলিয়া যাও। আমি লোকের নিকট জিজ্ঞাসা করিয়া তাহা বলিয়া দিব। অবশেষে আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) সাহাবীদেরকে জিজ্ঞাসা করিলেন, মুগীরা ইবনে শু’বা (রাযিঃ) বলিলেন, আমার সম্মুখে রাসূল করীম (ﷺ) দাদীকে ষষ্ঠাংশ দিয়াছেন। আবু বকর (রাযিঃ) বলিলেন, তোমার কোন সাক্ষী আছে কি? তখন মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা আনসারী দাঁড়াইয়া মুগীরা যেইরূপ বলিয়াছিলেন তদ্রূপ বলিলেন। এই সাক্ষীর পর আবু বকর (রাযিঃ) দাদীকে এক-ষষ্ঠাংশ দিয়া দিলেন।

অতঃপর উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর খিলাফতকালে এক দাদী মীরাসের জন্য তাহার নিকট আসিল। উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলিলেন, কুরআনে তোমাদের কোন হিস্যার উল্লেখ নাই। তুমি ব্যতীত অন্যদের সম্বন্ধে কিছু সিদ্ধান্ত পূর্বে হইয়াছে আমি স্বীয় পক্ষ হইতে কাহারও জন্য মীরাসের হিস্য বাড়াইতে পারি না। তবে তুমিও ষষ্ঠাংশ লইয়া লও। যদি দাদী আরও অথবা নানীও থাকে তবে উভয়ে মিলিয়া ষষ্ঠাংশ বন্টন করিয়া দিও। আর তোমরা কেহ একজন থাকিলে সে ষষ্ঠাংশ পাইবে।
بَاب مِيرَاثِ الْجَدَّةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ إِسْحَقَ بْنِ خَرَشَةَ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ ذُؤَيْبٍ أَنَّهُ قَالَ جَاءَتْ الْجَدَّةُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ تَسْأَلُهُ مِيرَاثَهَا فَقَالَ لَهَا أَبُو بَكْرٍ مَا لَكِ فِي كِتَابِ اللَّهِ شَيْءٌ وَمَا عَلِمْتُ لَكِ فِي سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا فَارْجِعِي حَتَّى أَسْأَلَ النَّاسَ فَسَأَلَ النَّاسَ فَقَالَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ حَضَرْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَاهَا السُّدُسَ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ هَلْ مَعَكَ غَيْرُكَ فَقَامَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ الْأَنْصَارِيُّ فَقَالَ مِثْلَ مَا قَالَ الْمُغِيرَةُ فَأَنْفَذَهُ لَهَا أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ ثُمَّ جَاءَتْ الْجَدَّةُ الْأُخْرَى إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ تَسْأَلُهُ مِيرَاثَهَا فَقَالَ لَهَا مَا لَكِ فِي كِتَابِ اللَّهِ شَيْءٌ وَمَا كَانَ الْقَضَاءُ الَّذِي قُضِيَ بِهِ إِلَّا لِغَيْرِكِ وَمَا أَنَا بِزَائِدٍ فِي الْفَرَائِضِ شَيْئًا وَلَكِنَّهُ ذَلِكَ السُّدُسُ فَإِنْ اجْتَمَعْتُمَا فَهُوَ بَيْنَكُمَا وَأَيَّتُكُمَا خَلَتْ بِهِ فَهُوَ لَهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১০৮৪
৮. দাদী ও নানীর অংশ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৫. কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত-নানী এবং দাদী মীরাসের জন্য আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)-এর নিকট আসিল। তিনি নানীকে ষষ্ঠাংশ দিতে চাহিলেন, এমন সময় এক ব্যক্তি দাঁড়াইয়া বললেন আপনি এমন ব্যক্তির দাদীর অংশ দিতেছেন না যে, যদি সে মৃত হইত এবং উক্ত মৃত ব্যক্তি জীবিত হইত তবে সে (নাতি) তাহার ওয়ারিস হইত। আর এমন ব্যক্তিকে হিস্যা দিতেছেন যে, যদি সে মৃত হইত (অর্থাৎ নানী) এবং উক্ত মৃত ব্যক্তি জীবিত হইত তবে সে (মেয়ের ছেলে) তাহার ওয়ারিস হইত না। ইহা শুনিয়া তিনি উভয়কে ষষ্ঠাংশ সমান বন্টন করিয়া দিয়াছিলেন।
بَاب مِيرَاثِ الْجَدَّةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَنَّهُ قَالَ أَتَتْ الْجَدَّتَانِ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ فَأَرَادَ أَنْ يَجْعَلَ السُّدُسَ لِلَّتِي مِنْ قِبَلِ الْأُمِّ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنْ الْأَنْصَارِ أَمَا إِنَّكَ تَتْرُكُ الَّتِي لَوْ مَاتَتْ وَهُوَ حَيٌّ كَانَ إِيَّاهَا يَرِثُ فَجَعَلَ أَبُو بَكْرٍ السُّدُسَ بَيْنَهُمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১০৮৫
৮. দাদী ও নানীর অংশ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৬. মালিক (রাহঃ) বলেন, আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে হারিস ইবনে হিশাম নানী কিংবা দাদীকে হিস্যা দিতেন।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মতিক্রমে ইহা নিধারিত মাসআলা যে, মৃত ব্যক্তির মাতা জীবিত থাকিলে নানী হিস্যা পাইবে না। ইহা ব্যতীত অন্য অবস্থায় নানী ষষ্ঠাংশ পাইবে। আর মাতা অথবা পিতা জীবিত থাকাকালীন দাদী মাহুরূম হইবেন। অন্য অবস্থাতে তাহার জন্য ষষ্ঠাংশ। আর যদি দাদীও মৃত ব্যক্তির নিকটের হয় অথবা নৈকট্যের বিবেচনায় দুইজন সমপর্যায়ের হয় তবে দুইজনে (দাদী ও নানী) ষষ্ঠাংশের অর্ধেক অর্ধেক হিস্যা প্রাপ্ত হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ অন্যান্য দাদী-নানীর জন্য কোন মীরাস নাই এই দুই দাদী ও নানী ব্যতীত, যেহেতু আমার নিকট সংবাদ পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাদীকে মীরাস দিয়াছেন। অতঃপর আবু বকরকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হইল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাদীকে অংশ দিয়াছেন বলিয়া প্রমাণ পাইয়া তিনিও দাদীকে অংশ দিয়াছেন। অতঃপর এক নানী উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর নিকট আসিলে তিনি বলিয়াছেন আমি কাহারও জন্য মীরাসে নূতন কোন অংশ দিতে পারি না, তবে দাদী ও নানী একত্র হইলে ঐ অংশ তাহাদের মধ্যে সমানভাগে ভাগ করিয়া দেওয়া হইবে। আর তাহাদের যে কেহ একজন শুধু আছে (অন্য দাদী নানী নাই) তবে সে একাই ষষ্ঠাংশ পাইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইসলামের প্রারম্ভ হইতে আজ পর্যন্ত উক্ত নানীগণ এবং দাদীগণ ব্যতীত কেহই অন্য নানী কিংবা দাদীগণকে কোন মীরাস দেয় নাই।
بَاب مِيرَاثِ الْجَدَّةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ كَانَ لَا يَفْرِضُ إِلَّا لِلْجَدَّتَيْنِ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ وَالَّذِي أَدْرَكْتُ عَلَيْهِ أَهْلَ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا أَنَّ الْجَدَّةَ أُمَّ الْأُمِّ لَا تَرِثُ مَعَ الْأُمِّ دِنْيَا شَيْئًا وَهِيَ فِيمَا سِوَى ذَلِكَ يُفْرَضُ لَهَا السُّدُسُ فَرِيضَةً وَأَنَّ الْجَدَّةَ أُمَّ الْأَبِ لَا تَرِثُ مَعَ الْأُمِّ وَلَا مَعَ الْأَبِ شَيْئًا وَهِيَ فِيمَا سِوَى ذَلِكَ يُفْرَضُ لَهَا السُّدُسُ فَرِيضَةً فَإِذَا اجْتَمَعَتْ الْجَدَّتَانِ أُمُّ الْأَبِ وَأُمُّ الْأُمِّ وَلَيْسَ لِلْمُتَوَفَّى دُونَهُمَا أَبٌ وَلَا أُمٌّ قَالَ مَالِك فَإِنِّي سَمِعْتُ أَنَّ أُمَّ الْأُمِّ إِنْ كَانَتْ أَقْعَدَهُمَا كَانَ لَهَا السُّدُسُ دُونَ أُمِّ الْأَبِ وَإِنْ كَانَتْ أُمُّ الْأَبِ أَقْعَدَهُمَا أَوْ كَانَتَا فِي الْقُعْدَدِ مِنْ الْمُتَوَفَّى بِمَنْزِلَةٍ سَوَاءٍ فَإِنَّ السُّدُسَ بَيْنَهُمَا نِصْفَانِ قَالَ مَالِك وَلَا مِيرَاثَ لِأَحَدٍ مِنْ الْجَدَّاتِ إِلَّا لِلْجَدَّتَيْنِ لِأَنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَّثَ الْجَدَّةَ ثُمَّ سَأَلَ أَبُو بَكْرٍ عَنْ ذَلِكَ حَتَّى أَتَاهُ الثَّبَتُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ وَرَّثَ الْجَدَّةَ فَأَنْفَذَهُ لَهَا ثُمَّ أَتَتْ الْجَدَّةُ الْأُخْرَى إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقَالَ لَهَا مَا أَنَا بِزَائِدٍ فِي الْفَرَائِضِ شَيْئًا فَإِنْ اجْتَمَعْتُمَا فَهُوَ بَيْنَكُمَا وَأَيَّتُكُمَا خَلَتْ بِهِ فَهُوَ لَهَا قَالَ مَالِك ثُمَّ لَمْ نَعْلَمْ أَحَدًا وَرَّثَ غَيْرَ جَدَّتَيْنِ مُنْذُ كَانَ الْإِسْلَامُ إِلَى الْيَوْمِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান