আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
২৭. উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১০৮০
৭. দাদার (পিতামহের) অংশ
রেওয়ায়ত ১. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মু’আবিয়া ইবনে আবী সুফিয়ান যায়দ ইবনে সাবিত (রাহঃ)-কে দাদার মীরাস সম্বন্ধে প্রশ্ন করিয়া লিখিয়াছিলেন। যায়দ উত্তরে লিখিলেন, তুমি দাদার মীরাস সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করিয়াছ, ইহা এমন একটি মাসআলা সেই সম্বন্ধে দুই খলীফা [উমর, উসমান (রাযিঃ)] ফয়সালা করার সময় আমি স্বয়ং ইহাতে উপস্থিত ছিলাম। মৃতের এক ভাই থাকিলে দাদাকে অর্ধেক অংশ দিতেন এবং দুই ভাই থাকিলে দাদার এক-তৃতীয়াংশ এবং অনেক ভাই-বোন থাকিলেও ঐ এক-তৃতীয়াংশই দাদাকে দিতেন, উহা হইতে কম দিতেন না।
بَاب مِيرَاثِ الْجَدِّ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ كَتَبَ إِلَى زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ يَسْأَلُهُ عَنْ الْجَدِّ فَكَتَبَ إِلَيْهِ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ إِنَّكَ كَتَبْتَ إِلَيَّ تَسْأَلُنِي عَنْ الْجَدِّ وَاللَّهُ أَعْلَمُ وَذَلِكَ مِمَّا لَمْ يَكُنْ يَقْضِي فِيهِ إِلَّا الْأُمَرَاءُ يَعْنِي الْخُلَفَاءَ وَقَدْ حَضَرْتُ الْخَلِيفَتَيْنِ قَبْلَكَ يُعْطِيَانِهِ النِّصْفَ مَعَ الْأَخِ الْوَاحِدِ وَالثُّلُثَ مَعَ الْاثْنَيْنِ فَإِنْ كَثُرَتْ الْإِخْوَةُ لَمْ يُنَقِّصُوهُ مِنْ الثُّلُثِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১০৮১
৭. দাদার (পিতামহের) অংশ
রেওয়ায়ত ২. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) দাদাকে এইরূপ হিস্যা দিতেন যেরূপ আজকাল লোকেরা দিয়া থাকে। মালিক (রাহঃ) বলেন, সুলায়মান ইবনে ইয়াসার হইতেও এইরূপ বর্ণিত আছে।
بَاب مِيرَاثِ الْجَدِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ ذُؤَيْبٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَرَضَ لِلْجَدِّ الَّذِي يَفْرِضُ النَّاسُ لَهُ الْيَوْمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১০৮২
৭. দাদার (পিতামহের) অংশ
রেওয়ায়ত ৩. উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ), উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ), যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) দাদাকে মৃতের ভাই-বোনের সহিত এক-তৃতীয়াংশ হিস্যা দিতেন।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মতিক্রমে নির্ধারিত মাসআলা এই যে, মৃতের পিতা জীবিত থাকিলে দাদা মাহরুম হইয়া যায় কিন্তু মৃতের ছেলে কিংবা নাতি বিদ্যমান থাকিলে দাদা যবিল ফুরূয হিসাবে ষষ্ঠাংশ পাইবে। যদি মৃতের ছেলে কিংবা নাতি না থাকে এবং সহোদর ভাই-বোন কিংবা বিমাতা ভাই-বোন না থাকে, তবে যবিল ফুরূয থাকিলে তাহাদের হিস্যা দিয়া যদি ষষ্ঠাংশ কিংবা ততোধিক মাল অবশিষ্ট থাকে তবে তাহা দাদা পাইবে। আর যদি ষষ্ঠাংশের চেয়ে কম মাল থাকে তবে ষষ্ঠাংশ দাদার জন্য অংশ হিসাবে নির্দিষ্ট হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি মৃতের দাদা এবং সহোদর ভাই-বোনদের সহিত কোন যবল ফুরূয থাকে, তবে যবীল ফুরূযের হিস্যা দিয়া যাহা কিছু অবশিষ্ট থাকিবে ইহাতে নিম্নলিখিত অবস্থায় যাহা উত্তম হয় তাহাই কার্যকরী করা হইবে। (১) অবশিষ্ট মালের এক-তৃতীয়াংশ দাদাকে দেওয়া হইবে। (২) দাদাকে মৃতের ভাই ধার্য করিয়া এক ভাইয়ের সমান হিস্যা দেওয়া যাইবে। (৩) পূর্ণ মালের ষষ্ঠাংশ দাদাকে দেওয়ার পর যদি মাল অবশিষ্ট থাকিয়া যায় তবে তাহা ভাই-বোনদেরকে বোনের দ্বিগুণ ভাইকে বন্টন করিয়া দেওয়া হইবে। কিন্তু আর একটি উদাহরণে বণ্টন অন্যরূপে হইবে। উদাহরণটি হইল এইঃ
এক মহিলা মৃত্যুবরণ করিয়াছে তাহার স্বামী, মাতা, সহোদরা ভগ্নী ও দাদা আছে, তাহার সম্পদের অর্ধেক পাইবে স্বামী, এক-তৃতীয়াংশ মাতা, ষষ্ঠাংশ দাদা আর সহোদরা ভগ্নী অর্ধেক। অতঃপর দাদার ষষ্ঠাংশ ও বোনের অর্ধেক একত্রিত করা হইবে, উহাকে এইভাবে বন্টন করা হইবে যে, দাদা পাইবে দুই-তৃতীয়াংশ ও বোন পাইবে এক-তৃতীয়াংশ। (এই মাসআলাটি আওলের একটি উদাহরণ।)
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি মৃত ব্যক্তির দাদার সঙ্গে তাহার বিমাতা ভাইও থাকে তবে সে সহোদর ভাইয়ের মতো গ্রাহ্য হইবে। যদি সহোদরের সঙ্গে বিমাতা ভাই-বোনও থাকে, তবে বিমাতা ভাই শুধু ভাইদের গণনায় ধরা হইবে এবং দাদার হিস্যা কম করিয়া দিবে স্বয়ং কোন অংশ পাইবে না। হ্যাঁ, যদি সহোদর ভাইদের সঙ্গে বৈপিত্রেয় ভাইও থাকে, তবে তাহারা ভাইদের শামিলে গণ্য হইয়া দাদার হিস্যায় কম করিতে পারিবে না। কেননা যদি দাদা থাকে এবং শুধু বৈপিত্রেয় ভাই থাকে তবে দাদা পূর্ণ মাল পাইবে এবং বৈপিত্রেয় ভাই মোহরূম হইয়া যাইবে। যেই অবস্থায় দাদার সঙ্গে সহোদর ভাই এবং বৈমাত্রেয় ভাইবোনও থাকে তখন দাদার হিস্যা দেওয়ার পর যাহা অবশিষ্ট থাকে তাহা সহোদর ভাই-বোনদেরই হিস্যা হইবে, বৈমাত্রেয় ভাই কিছুই পাইবে না। হ্যাঁ, যদি সহোদর মাত্র এক বোন হয় এবং বাকী সকল বিমাতা ভাই-বোন হয় তবে বিমাতাদের কারণে সহোদর বোন দাদার হিস্যা কম করিয়া দিবে এবং এই সহোদর বোন অর্ধেক অংশ পূর্ণ পাইবে। তবুও যদি কিছু মাল অবশিষ্ট থাকিয়া যায় তবে বিমাতা ভাই-বোনগণ নিজ নিজ হিস্যা ভাইয়েরা বোনদের দ্বিগুণ হিসাবে পাইবে। আর যদি অবশিষ্ট না থাকে তবে বিমাতা ভাই-বোনগণ মাহরাম হইয়া যাইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মতিক্রমে নির্ধারিত মাসআলা এই যে, মৃতের পিতা জীবিত থাকিলে দাদা মাহরুম হইয়া যায় কিন্তু মৃতের ছেলে কিংবা নাতি বিদ্যমান থাকিলে দাদা যবিল ফুরূয হিসাবে ষষ্ঠাংশ পাইবে। যদি মৃতের ছেলে কিংবা নাতি না থাকে এবং সহোদর ভাই-বোন কিংবা বিমাতা ভাই-বোন না থাকে, তবে যবিল ফুরূয থাকিলে তাহাদের হিস্যা দিয়া যদি ষষ্ঠাংশ কিংবা ততোধিক মাল অবশিষ্ট থাকে তবে তাহা দাদা পাইবে। আর যদি ষষ্ঠাংশের চেয়ে কম মাল থাকে তবে ষষ্ঠাংশ দাদার জন্য অংশ হিসাবে নির্দিষ্ট হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি মৃতের দাদা এবং সহোদর ভাই-বোনদের সহিত কোন যবল ফুরূয থাকে, তবে যবীল ফুরূযের হিস্যা দিয়া যাহা কিছু অবশিষ্ট থাকিবে ইহাতে নিম্নলিখিত অবস্থায় যাহা উত্তম হয় তাহাই কার্যকরী করা হইবে। (১) অবশিষ্ট মালের এক-তৃতীয়াংশ দাদাকে দেওয়া হইবে। (২) দাদাকে মৃতের ভাই ধার্য করিয়া এক ভাইয়ের সমান হিস্যা দেওয়া যাইবে। (৩) পূর্ণ মালের ষষ্ঠাংশ দাদাকে দেওয়ার পর যদি মাল অবশিষ্ট থাকিয়া যায় তবে তাহা ভাই-বোনদেরকে বোনের দ্বিগুণ ভাইকে বন্টন করিয়া দেওয়া হইবে। কিন্তু আর একটি উদাহরণে বণ্টন অন্যরূপে হইবে। উদাহরণটি হইল এইঃ
এক মহিলা মৃত্যুবরণ করিয়াছে তাহার স্বামী, মাতা, সহোদরা ভগ্নী ও দাদা আছে, তাহার সম্পদের অর্ধেক পাইবে স্বামী, এক-তৃতীয়াংশ মাতা, ষষ্ঠাংশ দাদা আর সহোদরা ভগ্নী অর্ধেক। অতঃপর দাদার ষষ্ঠাংশ ও বোনের অর্ধেক একত্রিত করা হইবে, উহাকে এইভাবে বন্টন করা হইবে যে, দাদা পাইবে দুই-তৃতীয়াংশ ও বোন পাইবে এক-তৃতীয়াংশ। (এই মাসআলাটি আওলের একটি উদাহরণ।)
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি মৃত ব্যক্তির দাদার সঙ্গে তাহার বিমাতা ভাইও থাকে তবে সে সহোদর ভাইয়ের মতো গ্রাহ্য হইবে। যদি সহোদরের সঙ্গে বিমাতা ভাই-বোনও থাকে, তবে বিমাতা ভাই শুধু ভাইদের গণনায় ধরা হইবে এবং দাদার হিস্যা কম করিয়া দিবে স্বয়ং কোন অংশ পাইবে না। হ্যাঁ, যদি সহোদর ভাইদের সঙ্গে বৈপিত্রেয় ভাইও থাকে, তবে তাহারা ভাইদের শামিলে গণ্য হইয়া দাদার হিস্যায় কম করিতে পারিবে না। কেননা যদি দাদা থাকে এবং শুধু বৈপিত্রেয় ভাই থাকে তবে দাদা পূর্ণ মাল পাইবে এবং বৈপিত্রেয় ভাই মোহরূম হইয়া যাইবে। যেই অবস্থায় দাদার সঙ্গে সহোদর ভাই এবং বৈমাত্রেয় ভাইবোনও থাকে তখন দাদার হিস্যা দেওয়ার পর যাহা অবশিষ্ট থাকে তাহা সহোদর ভাই-বোনদেরই হিস্যা হইবে, বৈমাত্রেয় ভাই কিছুই পাইবে না। হ্যাঁ, যদি সহোদর মাত্র এক বোন হয় এবং বাকী সকল বিমাতা ভাই-বোন হয় তবে বিমাতাদের কারণে সহোদর বোন দাদার হিস্যা কম করিয়া দিবে এবং এই সহোদর বোন অর্ধেক অংশ পূর্ণ পাইবে। তবুও যদি কিছু মাল অবশিষ্ট থাকিয়া যায় তবে বিমাতা ভাই-বোনগণ নিজ নিজ হিস্যা ভাইয়েরা বোনদের দ্বিগুণ হিসাবে পাইবে। আর যদি অবশিষ্ট না থাকে তবে বিমাতা ভাই-বোনগণ মাহরাম হইয়া যাইবে।
بَاب مِيرَاثِ الْجَدِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّهُ قَالَ فَرَضَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ لِلْجَدِّ مَعَ الْإِخْوَةِ الثُّلُثَ قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا وَالَّذِي أَدْرَكْتُ عَلَيْهِ أَهْلَ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا أَنَّ الْجَدَّ أَبَا الْأَبِ لَا يَرِثُ مَعَ الْأَبِ دِنْيَا شَيْئًا وَهُوَ يُفْرَضُ لَهُ مَعَ الْوَلَدِ الذَّكَرِ وَمَعَ ابْنِ الْابْنِ الذَّكَرِ السُّدُسُ فَرِيضَةً وَهُوَ فِيمَا سِوَى ذَلِكَ مَا لَمْ يَتْرُكْ الْمُتَوَفَّى أُمًّا أَوْ أُخْتًا لِأَبِيهِ يُبَدَّأُ بِأَحَدٍ إِنْ شَرَّكَهُ بِفَرِيضَةٍ مُسَمَّاةٍ فَيُعْطَوْنَ فَرَائِضَهُمْ فَإِنْ فَضَلَ مِنْ الْمَالِ السُّدُسُ فَمَا فَوْقَهُ فُرِضَ لِلْجَدِّ السُّدُسُ فَرِيضَةً قَالَ مَالِك وَالْجَدُّ وَالْإِخْوَةُ لِلْأَبِ وَالْأُمِّ إِذَا شَرَّكَهُمْ أَحَدٌ بِفَرِيضَةٍ مُسَمَّاةٍ يُبَدَّأُ بِمَنْ شَرَّكَهُمْ مِنْ أَهْلِ الْفَرَائِضِ فَيُعْطَوْنَ فَرَائِضَهُمْ فَمَا بَقِيَ بَعْدَ ذَلِكَ لِلْجَدِّ وَالْإِخْوَةِ مِنْ شَيْءٍ فَإِنَّهُ يُنْظَرُ أَيُّ ذَلِكَ أَفْضَلُ لِحَظِّ الْجَدِّ أُعْطِيَهُ الثُّلُثُ مِمَّا بَقِيَ لَهُ وَلِلْإِخْوَةِ أَوْ يَكُونُ بِمَنْزِلَةِ رَجُلٍ مِنْ الْإِخْوَةِ فِيمَا يَحْصُلُ لَهُ وَلَهُمْ يُقَاسِمُهُمْ بِمِثْلِ حِصَّةِ أَحَدِهِمْ أَوْ السُّدُسُ مِنْ رَأْسِ الْمَالِ كُلِّهِ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ أَفْضَلَ لِحَظِّ الْجَدِّ أُعْطِيَهُ الْجَدُّ وَكَانَ مَا بَقِيَ بَعْدَ ذَلِكَ لِلْإِخْوَةِ لِلْأَبِ وَالْأُمِّ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ إِلَّا فِي فَرِيضَةٍ وَاحِدَةٍ تَكُونُ قِسْمَتُهُمْ فِيهَا عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ وَتِلْكَ الْفَرِيضَةُ امْرَأَةٌ تُوُفِّيَتْ وَتَرَكَتْ زَوْجَهَا وَأُمَّهَا وَأُخْتَهَا لِأُمِّهَا وَأَبِيهَا وَجَدَّهَا فَلِلزَّوْجِ النِّصْفُ وَلِلْأُمِّ الثُّلُثُ وَلِلْجَدِّ السُّدُسُ وَلِلْأُخْتِ لِلْأُمِّ وَالْأَبِ النِّصْفُ ثُمَّ يُجْمَعُ سُدُسُ الْجَدِّ وَنِصْفُ الْأُخْتِ فَيُقْسَمُ أَثْلَاثًا لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ فَيَكُونُ لِلْجَدِّ ثُلُثَاهُ وَلِلْأُخْتِ ثُلُثُهُ قَالَ مَالِك وَمِيرَاثُ الْإِخْوَةِ لِلْأَبِ مَعَ الْجَدِّ إِذَا لَمْ يَكُنْ مَعَهُمْ إِخْوَةٌ لِأَبٍ وَأُمٍّ كَمِيرَاثِ الْإِخْوَةِ لِلْأَبِ وَالْأُمِّ سَوَاءٌ ذَكَرُهُمْ كَذَكَرِهِمْ وَأُنْثَاهُمْ كَأُنْثَاهُمْ فَإِذَا اجْتَمَعَ الْإِخْوَةُ لِلْأَبِ وَالْأُمِّ وَالْإِخْوَةُ لِلْأَبِ فَإِنَّ الْإِخْوَةَ لِلْأَبِ وَالْأُمِّ يُعَادُّونَ الْجَدَّ بِإِخْوَتِهِمْ لِأَبِيهِمْ فَيَمْنَعُونَهُ بِهِمْ كَثْرَةَ الْمِيرَاثِ بِعَدَدِهِمْ وَلَا يُعَادُّونَهُ بِالْإِخْوَةِ لِلْأُمِّ لِأَنَّهُ لَوْ لَمْ يَكُنْ مَعَ الْجَدِّ غَيْرُهُمْ لَمْ يَرِثُوا مَعَهُ شَيْئًا وَكَانَ الْمَالُ كُلُّهُ لِلْجَدِّ فَمَا حَصَلَ لِلْإِخْوَةِ مِنْ بَعْدِ حَظِّ الْجَدِّ فَإِنَّهُ يَكُونُ لِلْإِخْوَةِ مِنْ الْأَبِ وَالْأُمِّ دُونَ الْإِخْوَةِ لِلْأَبِ وَلَا يَكُونُ لِلْإِخْوَةِ لِلْأَبِ مَعَهُمْ شَيْءٌ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الْإِخْوَةُ لِلْأَبِ وَالْأُمِّ امْرَأَةً وَاحِدَةً فَإِنْ كَانَتْ امْرَأَةً وَاحِدَةً فَإِنَّهَا تُعَادُّ الْجَدَّ بِإِخْوَتِهَا لِأَبِيهَا مَا كَانُوا فَمَا حَصَلَ لَهُمْ وَلَهَا مِنْ شَيْءٍ كَانَ لَهَا دُونَهُمْ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ أَنْ تَسْتَكْمِلَ فَرِيضَتَهَا وَفَرِيضَتُهَا النِّصْفُ مِنْ رَأْسِ الْمَالِ كُلِّهِ فَإِنْ كَانَ فِيمَا يُحَازُ لَهَا وَلِإِخْوَتِهَا لِأَبِيهَا فَضْلٌ عَنْ نِصْفِ رَأْسِ الْمَالِ كُلِّهِ فَهُوَ لِإِخْوَتِهَا لِأَبِيهَا لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ فَإِنْ لَمْ يَفْضُلْ شَيْءٌ فَلَا شَيْءَ لَهُمْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: