আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২১. জিহাদের বিধানাবলী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৯৭৩
১০. নফল হিসাবে কোন সৈনিককে অস্ত্রশস্ত্র প্রদান করা
রেওয়ায়ত ১৮. আবু কাতাদা ইবনে রিবয়ী (রাযিঃ) বর্ণনা করেন- হুনায়ন যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সহিত আমরা বাহির হইলাম। প্রচণ্ড চাপে মুসলমানগণ হটিয়া আসেন। কোন এক কাফের সৈন্যকে তখন জনৈক মুসলিম সৈন্যের উপর জয়ী হইয়া যাইতেছে দেখিয়া পিছন হইতে আমি ঐ কাফের সৈন্যটির ঘাড়ে তলওয়ারের এক কোপ বসাইলাম। সে তখন দৌড়াইয়া আমাকে ধরিয়া এমন চাপ দিল যে, আমার মৃত্যুর স্বাদ অনুভূত হইতে লাগিল। শেষে সে মৃত্যুর কোলে ঢলিয়া পড়িল। পরে উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) এর সহিত আমার সাক্ষাত হইল। আমি বলিলাম, মানুষের একি হইল! তিনি বলিলেনঃ আল্লাহর হুকুম। শেষে মুসলিম সৈন্যগণ আবার ময়দানে ফিরিয়া আসিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেই সময় ঘোষণা করিলেনঃ সাক্ষী পেশ করিতে পারিলে যে তাহাকে হত্যা করিয়াছে তাহার আসবাবপত্র সে-ই পাইবে।

আবু কাতাদা বলেনঃ এই ঘোষণা শুনিয়া আমি দাঁড়াইলাম এবং বলিলাম, আমার জন্য কে সাক্ষ্য দেবে? এই কথা বলিয়া আমি বসিয়া পড়িলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পুনরায় ঐ কথা ঘোষণা করিলেন।

আমি আবার দাঁড়াইলাম এবং বলিলামঃ আমার জন্য কে সাক্ষ্য দিবে? এই কথা বলিয়া আমি বসিয়া পড়িলাম। তৃতীয়বার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই কথা ঘোষণা করিলেন। আমিও উঠিয়া দাঁড়াইলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বলিলেনঃ আবু কাতাদা, তোমার কি হইল? সমস্ত ঘটনা তখন আমি তাহাকে বিবৃত করিলাম। তখন এক ব্যক্তি উঠিয়া বলিলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল, ইনি সত্যিই বলিয়াছেন। ঐ নিহত কাফেরটির আসবাবপত্র আমার নিকট আছে। আপনি তাহাকে রাজী করাইয়া ঐ আসবাবপত্র আমাকে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। আবু বকর (রাযিঃ) তখন বলিলেন, আল্লাহর কসম, কখনো নয়। আপনি এমন কাজ করার ইচ্ছাও করিবেন না। আল্লাহর ব্যাঘ্ৰসমূহ হইতে কোন এক ব্যাঘ্ৰ আল্লাহ ও তাহার রাসূলের পক্ষে লড়াই করিবে আর তুমি আসবাবপত্র নিয়া যাইবে, তাহা হইতে পারে না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বলিলেন, আবু বকর যখার্থই বলিয়াছেন। আবু কাতাদাকে ঐ আসবাবপত্র দিয়া দাও। শেষে ঐ ব্যক্তি উহা আমাকে দিয়া দিলেন। উহা হইতে একটি বর্ম বিক্রয় করিয়া বনু সালিমা মহল্লায় একটা বাগান ক্রয় করিয়া ফেলিলাম। ইসলম গ্রহণ করার পর এই সম্পত্তিটুকু আমি লাভ করিতে পারিয়াছিলাম।
بَاب مَا جَاءَ فِي السَّلَبِ فِي النَّفَلِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ بْنِ رِبْعِيٍّ أَنَّهُ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ حُنَيْنٍ فَلَمَّا الْتَقَيْنَا كَانَتْ لِلْمُسْلِمِينَ جَوْلَةٌ قَالَ فَرَأَيْتُ رَجُلًا مِنْ الْمُشْرِكِينَ قَدْ عَلَا رَجُلًا مِنْ الْمُسْلِمِينَ قَالَ فَاسْتَدَرْتُ لَهُ حَتَّى أَتَيْتُهُ مِنْ وَرَائِهِ فَضَرَبْتُهُ بِالسَّيْفِ عَلَى حَبْلِ عَاتِقِهِ فَأَقْبَلَ عَلَيَّ فَضَمَّنِي ضَمَّةً وَجَدْتُ مِنْهَا رِيحَ الْمَوْتِ ثُمَّ أَدْرَكَهُ الْمَوْتُ فَأَرْسَلَنِي قَالَ فَلَقِيتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقُلْتُ مَا بَالُ النَّاسِ فَقَالَ أَمْرُ اللَّهِ ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ رَجَعُوا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ فَلَهُ سَلَبُهُ قَالَ فَقُمْتُ ثُمَّ قُلْتُ مَنْ يَشْهَدُ لِي ثُمَّ جَلَسْتُ ثُمَّ قَالَ مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ فَلَهُ سَلَبُهُ قَالَ فَقُمْتُ ثُمَّ قُلْتُ مَنْ يَشْهَدُ لِي ثُمَّ جَلَسْتُ ثُمَّ قَالَ ذَلِكَ الثَّالِثَةَ فَقُمْتُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا لَكَ يَا أَبَا قَتَادَةَ قَالَ فَاقْتَصَصْتُ عَلَيْهِ الْقِصَّةَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ الْقَوْمِ صَدَقَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَسَلَبُ ذَلِكَ الْقَتِيلِ عِنْدِي فَأَرْضِهِ عَنْهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لَا هَاءَ اللَّهِ إِذًا لَا يَعْمِدُ إِلَى أَسَدٍ مِنْ أُسْدِ اللَّهِ يُقَاتِلُ عَنْ اللَّهِ وَرَسُولِهِ فَيُعْطِيكَ سَلَبَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ فَأَعْطِهِ إِيَّاهُ فَأَعْطَانِيهِ فَبِعْتُ الدِّرْعَ فَاشْتَرَيْتُ بِهِ مَخْرَفًا فِي بَنِي سَلِمَةَ فَإِنَّهُ لَأَوَّلُ مَالٍ تَأَثَّلْتُهُ فِي الْإِسْلَامِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৯৭৪
১০. নফল হিসাবে কোন সৈনিককে অস্ত্রশস্ত্র প্রদান করা
রেওয়ায়ত ১৯. কাশিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর নিকট আনফাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিতে এক ব্যক্তিকে শুনিয়াছিলাম। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) তখন উত্তরে বলিয়াছিলেন, ঘোড়া এবং অন্ত্রশস্ত্র আনফালের মধ্যে শামিল। ঐ ব্যক্তি ঐ প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করিলে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) পুনরায় ঐ উত্তর প্রদান করেন। তখন ঐ ব্যক্তি বলিল, কুরআনুল করীমে যে আনফালের আলোচনা করা হইয়াছে, সেই আনফাল সম্পর্কে আপনার নিকট জানিতে চাহিতেছি। কাশিম (রাহঃ) বলেনঃ ঐ ব্যক্তি বার বার একই কথা বলিতে লাগিল। শেষে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বিরক্ত হইয়া বলিলেনঃ এই ব্যক্তি সবীগের মতো যাহাকে উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বেত্ৰদণ্ড দিয়াছিলেন।*

মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল, মুসলিমদের কোন শক্রকে হত্যা করিতে পারিলে মুসলিম রাষ্ট্রনায়কের অনুমতি ব্যতিরেকে তাহার আসবাবপত্র নিহতকারী পাইতে পারে কি? তিনি বলিলেনঃ না। ইমাম বা রাষ্ট্রপ্রধান মুনাসিব মনে করিলে এই ধরনের হুকুম জারি করিতে পারেন।হুনায়ন যুদ্ধ ব্যতীত অন্য কোন যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ ধরনের নির্দেশ দিয়াছেন বলিয়া আমরা জ্ঞাত হই নাই।
بَاب مَا جَاءَ فِي السَّلَبِ فِي النَّفَلِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ رَجُلًا يَسْأَلُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ عَنْ الْأَنْفَالِ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ الْفَرَسُ مِنْ النَّفَلِ وَالسَّلَبُ مِنْ النَّفَلِ قَالَ ثُمَّ عَادَ الرَّجُلُ لِمَسْأَلَتِهِ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ ذَلِكَ أَيْضًا ثُمَّ قَالَ الرَّجُلُ الْأَنْفَالُ الَّتِي قَالَ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ مَا هِيَ قَالَ الْقَاسِمُ فَلَمْ يَزَلْ يَسْأَلُهُ حَتَّى كَادَ أَنْ يُحْرِجَهُ ثُمَّ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَتَدْرُونَ مَا مَثَلُ هَذَا مَثَلُ صَبِيغٍ الَّذِي ضَرَبَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ
قَالَ وَسُئِلَ مَالِك عَمَّنْ قَتَلَ قَتِيلًا مِنْ الْعَدُوِّ أَيَكُونُ لَهُ سَلَبُهُ بِغَيْرِ إِذْنِ الْإِمَامِ قَالَ لَا يَكُونُ ذَلِكَ لِأَحَدٍ بِغَيْرِ إِذْنِ الْإِمَامِ وَلَا يَكُونُ ذَلِكَ مِنْ الْإِمَامِ إِلَّا عَلَى وَجْهِ الْاجْتِهَادِ وَلَمْ يَبْلُغْنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا فَلَهُ سَلَبُهُ إِلَّا يَوْمَ حُنَيْنٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান