আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
২১. জিহাদের বিধানাবলী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৯৭২
৯. গনিমতের মাল হইতে বন্টনের পূর্বে যাহা ফিরাইয়া দেওয়া হয়
রেওয়ায়ত ১৭. মালিক (রাহঃ) জ্ঞাত হইয়াছেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর একজন গোলাম ঘোড়াসহ পলাইয়া কাফেরদের হাতে পড়িয়া গিয়াছিল। পরে উহা গনিমতের মাল হিসাবে পুনরায় মুসলমানদের হস্তগত হয়। তখন বন্টনের পূর্বেই ’আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে এইগুলি ফিরাইয়া দেওয়া হইয়াছিল।
ইয়াহইয়া মালিক (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন যে, কাফেরদের হাতে মুসলমানদের কোন কিছু পাওয়া গেলে বন্টনের পূর্বে উহা পূর্ব মালিকের নিকট প্রত্যর্পণ করা হইবে। বন্টন হইয়া গেলে আর উহা প্রত্যর্পণ করা হইবে না।
মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল, কোনো মুসলমানের উম্মু ওয়ালাদ যদি কাফেররা লইয়া যায়, পরে গনিমত হিসাবে যদি পুনরায় উহা মুসলমানদের হস্তগত হয়, তবে কি করা হইবে? তিনি বলিলেন, বন্টনের পূর্বে উহাকে কোনরূপে বিনিময় ব্যতিরেকে পূর্ব মালিকের নিকটই ফিরাইয়া দেওয়া হইবে। আমার মতে বন্টনের পর মালিক ইচ্ছ করলে মূল্য দিয়া উহা কেনিয়া বাইতে পারিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কোনো মুসলমানের উম্মে ওয়ালাদ[1] দাসীকেও যদি কাফেরগণ ছিনাইয়া লইয়া যায়, পরে সে গনিমতের মাল হিসাবে হস্তগত হয়, আর বন্টন হইয়া যাওয়ার পরে যদি মালিক তাহাকে চিনিতে পারে, তবুও তাহাকে দাসী বানান যইবে না। আমি মনে করি, তখন সরকারের কর্তব্য হইবে তাহার ফিদয়া আদায় করিয়া তাহার মালিকের নিকট প্রত্যর্পণ করা। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সরকার যদি এইরূপ না করে তবে পূর্ব মালিক তাহার ফিদয়া আদায় করিয়া তাহাকে মুক্ত করিয়া লইয়া যাইবে। বন্টনের পর যাহার ভাগে সে পড়িয়াছিল তাহার জন্য তাহাকে দাসী বানান বা তাহার সহিত যৌন মিলন জায়েয নহে। উম্মে ওয়ালাদ আযাদ দাসীর মতোই। উম্মে ওয়ালাদ যদি কাহাকেও আঘাত করিয়া যখমী করিয়া ফেলে তবে মালিকের উপর ফিদয়া আদায় করিয়া তাহাকে মুক্ত করিয়া দেওয়া মালিকের উপর জরুরী। তাহাকে মুক্ত না করিয়া ঐ অবস্থায় রাখিয়া দেওয়া এবং তাহাকে পুনরায় দাসী বানান ও তাহার সহিত যৌন সম্ভোগ কোনক্রমেই জায়েয হইবে না।
মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল, কেহ কোন মুসলমানকে মুক্ত করিয়া আনার উদ্দেশ্যে বা ব্যবসা করিতে কাফেরদের অঞ্চলে গেল আর সেখানে আযাদ ও ক্রীতদাস উভয় ধরনের মানুষ ক্রয় করিয়া নিয়া আসিল বা কাফেরগণ তাহাকে হিবা হিসাবে দান করিল। এখন এই ব্যক্তির বিষয়ে কি হুকুম হইবে? তিনি বলিলেন, আযাদ ব্যক্তিকে ক্রয় করিয়া নিয়া আসিলে তাহাকে ক্রীতদাস বানান যাইবে না। আর তাহার মূল্য তখন ঋণ হিসাবে ধরা হইবে। হিবা হিসাবে নিয়া আসিয়া থাকিলে ঐ ব্যক্তি আযাদ হিসাবেই বহাল থাকিবে আর আনয়নকারী ব্যক্তি কিছুই পাইবে না। তবে হিবার বিনিময়ে সে সেখানে কোন কিছু আদায় করিয়া থাকিলে তৎপরিমাণ টাকা দিয়া তাহাকে ক্রয় করিয়া আনিল। আর ঐ ব্যক্তি যদি কোন দাস ক্রয় করিয়া আনে, তবে পূর্ব মালিকের ইখতিয়ার থাকিবে। ইচ্ছা করিলে মূল্য আদায় করিয়া তাহাকে সে নিয়া যাইতে পারবে আর ইচ্ছা করিলে তাহাকে ঐ ব্যক্তির নিকট ছাড়িয়াও দিতে পারিবে।হিবা হিসাবে পাইয়া থাকিলে পূর্ব মালিক তাহাকে এমনিই নিয়া যাইতে পারবে। হিবার বিনিময়ে কিছু ব্যয় করিয়া থাকিলে তৎপরিমাণ টাকা আদায় করিয়া তবে পূর্ব মালিক তাহাকে নিতে পারবে।
ইয়াহইয়া মালিক (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন যে, কাফেরদের হাতে মুসলমানদের কোন কিছু পাওয়া গেলে বন্টনের পূর্বে উহা পূর্ব মালিকের নিকট প্রত্যর্পণ করা হইবে। বন্টন হইয়া গেলে আর উহা প্রত্যর্পণ করা হইবে না।
মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল, কোনো মুসলমানের উম্মু ওয়ালাদ যদি কাফেররা লইয়া যায়, পরে গনিমত হিসাবে যদি পুনরায় উহা মুসলমানদের হস্তগত হয়, তবে কি করা হইবে? তিনি বলিলেন, বন্টনের পূর্বে উহাকে কোনরূপে বিনিময় ব্যতিরেকে পূর্ব মালিকের নিকটই ফিরাইয়া দেওয়া হইবে। আমার মতে বন্টনের পর মালিক ইচ্ছ করলে মূল্য দিয়া উহা কেনিয়া বাইতে পারিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কোনো মুসলমানের উম্মে ওয়ালাদ[1] দাসীকেও যদি কাফেরগণ ছিনাইয়া লইয়া যায়, পরে সে গনিমতের মাল হিসাবে হস্তগত হয়, আর বন্টন হইয়া যাওয়ার পরে যদি মালিক তাহাকে চিনিতে পারে, তবুও তাহাকে দাসী বানান যইবে না। আমি মনে করি, তখন সরকারের কর্তব্য হইবে তাহার ফিদয়া আদায় করিয়া তাহার মালিকের নিকট প্রত্যর্পণ করা। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সরকার যদি এইরূপ না করে তবে পূর্ব মালিক তাহার ফিদয়া আদায় করিয়া তাহাকে মুক্ত করিয়া লইয়া যাইবে। বন্টনের পর যাহার ভাগে সে পড়িয়াছিল তাহার জন্য তাহাকে দাসী বানান বা তাহার সহিত যৌন মিলন জায়েয নহে। উম্মে ওয়ালাদ আযাদ দাসীর মতোই। উম্মে ওয়ালাদ যদি কাহাকেও আঘাত করিয়া যখমী করিয়া ফেলে তবে মালিকের উপর ফিদয়া আদায় করিয়া তাহাকে মুক্ত করিয়া দেওয়া মালিকের উপর জরুরী। তাহাকে মুক্ত না করিয়া ঐ অবস্থায় রাখিয়া দেওয়া এবং তাহাকে পুনরায় দাসী বানান ও তাহার সহিত যৌন সম্ভোগ কোনক্রমেই জায়েয হইবে না।
মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল, কেহ কোন মুসলমানকে মুক্ত করিয়া আনার উদ্দেশ্যে বা ব্যবসা করিতে কাফেরদের অঞ্চলে গেল আর সেখানে আযাদ ও ক্রীতদাস উভয় ধরনের মানুষ ক্রয় করিয়া নিয়া আসিল বা কাফেরগণ তাহাকে হিবা হিসাবে দান করিল। এখন এই ব্যক্তির বিষয়ে কি হুকুম হইবে? তিনি বলিলেন, আযাদ ব্যক্তিকে ক্রয় করিয়া নিয়া আসিলে তাহাকে ক্রীতদাস বানান যাইবে না। আর তাহার মূল্য তখন ঋণ হিসাবে ধরা হইবে। হিবা হিসাবে নিয়া আসিয়া থাকিলে ঐ ব্যক্তি আযাদ হিসাবেই বহাল থাকিবে আর আনয়নকারী ব্যক্তি কিছুই পাইবে না। তবে হিবার বিনিময়ে সে সেখানে কোন কিছু আদায় করিয়া থাকিলে তৎপরিমাণ টাকা দিয়া তাহাকে ক্রয় করিয়া আনিল। আর ঐ ব্যক্তি যদি কোন দাস ক্রয় করিয়া আনে, তবে পূর্ব মালিকের ইখতিয়ার থাকিবে। ইচ্ছা করিলে মূল্য আদায় করিয়া তাহাকে সে নিয়া যাইতে পারবে আর ইচ্ছা করিলে তাহাকে ঐ ব্যক্তির নিকট ছাড়িয়াও দিতে পারিবে।হিবা হিসাবে পাইয়া থাকিলে পূর্ব মালিক তাহাকে এমনিই নিয়া যাইতে পারবে। হিবার বিনিময়ে কিছু ব্যয় করিয়া থাকিলে তৎপরিমাণ টাকা আদায় করিয়া তবে পূর্ব মালিক তাহাকে নিতে পারবে।
بَاب مَا يُرَدُّ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ الْقَسْمُ مِمَّا أَصَابَ الْعَدُوُّ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدًا لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَبَقَ وَأَنَّ فَرَسًا لَهُ عَارَ فَأَصَابَهُمَا الْمُشْرِكُونَ ثُمَّ غَنِمَهُمَا الْمُسْلِمُونَ فَرُدَّا عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ تُصِيبَهُمَا الْمَقَاسِمُ قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِيمَا يُصِيبُ الْعَدُوُّ مِنْ أَمْوَالِ الْمُسْلِمِينَ إِنَّهُ إِنْ أُدْرِكَ قَبْلَ أَنْ تَقَعَ فِيهِ الْمَقَاسِمُ فَهُوَ رَدٌّ عَلَى أَهْلِهِ وَأَمَّا مَا وَقَعَتْ فِيهِ الْمَقَاسِمُ فَلَا يُرَدُّ عَلَى أَحَدٍ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ حَازَ الْمُشْرِكُونَ غُلَامَهُ ثُمَّ غَنِمَهُ الْمُسْلِمُونَ قَالَ مَالِك صَاحِبُهُ أَوْلَى بِهِ بِغَيْرِ ثَمَنٍ وَلَا قِيمَةٍ وَلَا غُرْمٍ مَا لَمْ تُصِبْهُ الْمَقَاسِمُ فَإِنْ وَقَعَتْ فِيهِ الْمَقَاسِمُ فَإِنِّي أَرَى أَنْ يَكُونَ الْغُلَامُ لِسَيِّدِهِ بِالثَّمَنِ إِنْ شَاءَ قَالَ مَالِك فِي أُمِّ وَلَدِ رَجُلٍ مِنْ الْمُسْلِمِينَ حَازَهَا الْمُشْرِكُونَ ثُمَّ غَنِمَهَا الْمُسْلِمُونَ فَقُسِمَتْ فِي الْمَقَاسِمِ ثُمَّ عَرَفَهَا سَيِّدُهَا بَعْدَ الْقَسْمِ إِنَّهَا لَا تُسْتَرَقُّ وَأَرَى أَنْ يَفْتَدِيَهَا الْإِمَامُ لِسَيِّدِهَا فَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ فَعَلَى سَيِّدِهَا أَنْ يَفْتَدِيَهَا وَلَا يَدَعُهَا وَلَا أَرَى لِلَّذِي صَارَتْ لَهُ أَنْ يَسْتَرِقَّهَا وَلَا يَسْتَحِلَّ فَرْجَهَا وَإِنَّمَا هِيَ بِمَنْزِلَةِ الْحُرَّةِ لِأَنَّ سَيِّدَهَا يُكَلَّفُ أَنْ يَفْتَدِيَهَا إِذَا جَرَحَتْ فَهَذَا بِمَنْزِلَةِ ذَلِكَ فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُسَلِّمَ أُمَّ وَلَدِهِ تُسْتَرَقُّ وَيُسْتَحَلُّ فَرْجُهَا وَسُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يَخْرُجُ إِلَى أَرْضِ الْعَدُوِّ فِي الْمُفَادَاةِ أَوْ لِتِجَارَةٍ فَيَشْتَرِيَ الْحُرَّ أَوْ الْعَبْدَ أَوْ يُوهَبَانِ لَهُ فَقَالَ أَمَّا الْحُرُّ فَإِنَّ مَا اشْتَرَاهُ بِهِ دَيْنٌ عَلَيْهِ وَلَا يُسْتَرَقُّ وَإِنْ كَانَ وُهِبَ لَهُ فَهُوَ حُرٌّ وَلَيْسَ عَلَيْهِ شَيْءٌ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الرَّجُلُ أَعْطَى فِيهِ شَيْئًا مُكَافَأَةً فَهُوَ دَيْنٌ عَلَى الْحُرِّ بِمَنْزِلَةِ مَا اشْتُرِيَ بِهِ وَأَمَّا الْعَبْدُ فَإِنَّ سَيِّدَهُ الْأَوَّلَ مُخَيَّرٌ فِيهِ إِنْ شَاءَ أَنْ يَأْخُذَهُ وَيَدْفَعَ إِلَى الَّذِي اشْتَرَاهُ ثَمَنَهُ فَذَلِكَ لَهُ وَإِنْ أَحَبَّ أَنْ يُسْلِمَهُ أَسْلَمَهُ وَإِنْ كَانَ وُهِبَ لَهُ فَسَيِّدُهُ الْأَوَّلُ أَحَقُّ بِهِ وَلَا شَيْءَ عَلَيْهِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الرَّجُلُ أَعْطَى فِيهِ شَيْئًا مُكَافَأَةً فَيَكُونُ مَا أَعْطَى فِيهِ غُرْمًا عَلَى سَيِّدِهِ إِنْ أَحَبَّ أَنْ يَفْتَدِيَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: