আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৮৬৪
৫৩. আরাফার ও মুযদালিফায় অবস্থান
রেওয়ায়ত ১৬৯. মালিক (রাহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আরাফাতের সারা ময়দানে অবস্থান করা যায়, তবে তোমরা বাতনে উরানায় অবস্থান করিও না। এমনিভাবে মুযদালিফার সারা ময়দানে অবস্থান করা যায় তবে তোমরা বাতনে মুহাসসিরে অবস্থান করিও না।
بَاب الْوُقُوفِ بِعَرَفَةَ وَالْمُزْدَلِفَةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ عَرَفَةُ كُلُّهَا مَوْقِفٌ وَارْتَفِعُوا عَنْ بَطْنِ عُرَنَةَ وَالْمُزْدَلِفَةُ كُلُّهَا مَوْقِفٌ وَارْتَفِعُوا عَنْ بَطْنِ مُحَسِّرٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৬৫
৫৩. আরাফার ও মুযদালিফায় অবস্থান
রেওয়ায়ত ১৭০. আব্দুল্লাহ্ ইবনে যুবায়র (রাযিঃ) বলেনঃ তোমরা বিশ্বাস কর ‘বাতনে উরানা’ ব্যতীত সমগ্র আরাফাতের ময়দানই অবস্থান করার স্থান, এমনভাবে বাতনে মুহাসসির ব্যতীত মুযদালিফার সারাটা ময়দানেই অবস্থান করা যায়।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করিয়াছেনঃ (فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِي الْحَجِّ) অর্থাৎ, হজের সময়ে স্ত্রীসম্ভোগ অন্যায় আচরণ ও কলহ-বিবাদ বিধেয় নহে। (বাকারাঃ ১৯৭)

রাফাস অর্থ হইল স্ত্রীসম্ভোগ। আল্লাহরই অধিক জ্ঞাত। আল্লাহ্ তাআলা অন্যত্র ইরশাদ করেনঃ (أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ) অর্থাৎ, সিয়ামের রাত্রে তোমাদের জন্য স্ত্রীসভোগ বৈধ করা হইয়াছে। (বাকারাঃ ১৮৭)

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ফুসুক অর্থ হইল, দেব-দেবীর নামে পশু উৎসর্গ করা, আল্লাহ্ই অধিক জ্ঞাত। আল্লাহ তা’আল ইরশাদ করেনঃ (أَوْ فِسْقًا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّهِ بِهِ) অথবা যাহা অবৈধ, আল্লাহ ছাড় অন্যের নামে উৎসর্গের কারণে। (আল-আন’আমঃ ১৪৫)

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ হজ্জে জিদাল বা ঝগড়া-বিবাদ হইল, কুরাইশ গোত্রের লোকজন তৎকালে হজ্জের সময় মুযদালিফার কুযাহ্ নামক স্থানে অবস্থান করিত। আর অন্যরা আরাফাতে অবস্থান করিত। উভয় দল তখন পরস্পর ঝগড়ায় লিপ্ত হইত, একদল বলিত, আমরাই সত্যপথের অনুসারী; অপর দল বলিত, আমরাই কেবল সত্যপথের অনুসারী। আল্লাহ্ তাআলা আয়াত নাযিল করিয়া ইরশাদ করিলেনঃ

لِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنسَكًا هُمْ نَاسِكُوهُ فَلَا يُنَازِعُنَّكَ فِي الْأَمْرِ وَادْعُ إِلَىٰ رَبِّكَ إِنَّكَ لَعَلَىٰ هُدًى مُّسْتَقِيمٍ

অর্থাৎ, আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য নির্ধারিত করিয়া দিয়াছি ইবাদত পদ্ধতি যাহা উহারা অনুসরণ করে সুতরাং উহারা যেন তোমার সহিত বিতর্ক না করে এই ব্যাপারে। তুমি উহাদিগকে তোমার প্রতিপালকের দিকে আহবান কর। তুমিতো সরল পথেই প্রতিষ্ঠিত। (সূরা হজ্জঃ ৬৭)

হজ্জের সময় ঝগড়-বিবাদ বলিতে এই কথাই বোঝানো হইয়াছে। আল্লাহ অধিক জ্ঞাত। আলিমগণের নিকটও আমি এই ব্যাখ্যা শুনিয়াছি।
بَاب الْوُقُوفِ بِعَرَفَةَ وَالْمُزْدَلِفَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ اعْلَمُوا أَنَّ عَرَفَةَ كُلَّهَا مَوْقِفٌ إِلَّا بَطْنَ عُرَنَةَ وَأَنَّ الْمُزْدَلِفَةَ كُلَّهَا مَوْقِفٌ إِلَّا بَطْنَ مُحَسِّرٍ
قَالَ مَالِك قَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِي الْحَجِّ قَالَ فَالرَّفَثُ إِصَابَةُ النِّسَاءِ وَاللَّهُ أَعْلَمُ قَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ قَالَ وَالْفُسُوقُ الذَّبْحُ لِلْأَنْصَابِ وَاللَّهُ أَعْلَمُ قَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى أَوْ فِسْقًا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّهِ بِهِ قَالَ وَالْجِدَالُ فِي الْحَجِّ أَنَّ قُرَيْشًا كَانَتْ تَقِفُ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ بِالْمُزْدَلِفَةِ بِقُزَحَ وَكَانَتْ الْعَرَبُ وَغَيْرُهُمْ يَقِفُونَ بِعَرَفَةَ فَكَانُوا يَتَجَادَلُونَ يَقُولُ هَؤُلَاءِ نَحْنُ أَصْوَبُ وَيَقُولُ هَؤُلَاءِ نَحْنُ أَصْوَبُ فَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى وَ لِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنْسَكًا هُمْ نَاسِكُوهُ فَلَا يُنَازِعُنَّكَ فِي الْأَمْرِ وَادْعُ إِلَى رَبِّكَ إِنَّكَ لَعَلَى هُدًى مُسْتَقِيمٍ فَهَذَا الْجِدَالُ فِيمَا نُرَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ وَقَدْ سَمِعْتُ ذَلِكَ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান