আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৮৬০
৫২. কুরবানী হাদী-র বিভিন্ন আহকাম
রেওয়ায়ত ১৬৫. সাদ্কাহ ইবনে ইয়াসার মক্কী (রাহঃ) বর্ণনা করেন- ইয়ামনের অধিবাসী এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) এর নিকট আসে। চুলগুলি তাহার জটপাকানো ছিল। সে বলিলঃ হে আবু আব্দুর রহমান! আমি শুধু উমরার ইহরাম বাঁধিয়া আসিয়াছি। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলিলেনঃ তুমি যদি আমার সঙ্গে থাকিতে বা আমার নিকট পূর্বে জিজ্ঞাসা করিতে তবে তোমাকে আমি হজ্জে কিরান করার কথা বলিতাম। লোকটি বলিলঃ উহার সময় অতিবাহিত হইয়া গিয়াছে। আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেনঃ তোমার এই লম্বা চুলগুলি কাটিয়া ফেল এবং কুরবানী কর। ইরাকের অধিবাসী একজন মহিলা তখন বলিলঃ হে আবু আব্দুর রহমান! এই লোকটির হাদয়ী (কুরবানী) কি হইবে? তিনি বলিলেনঃ উত্তম হাদয়ী সে দিবে। মহিলাটি পুনরায় বলিলঃ ইহা কি হইবে? আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলিলেনঃ যবেহ করিবার জন্য বকরী ব্যতীত অন্য কিছু যদি না পায় বা দিতে অসমর্থ হয়, তবে আমার কাছে রোযা রাখা অপেক্ষা বকরী হাদয়ী দেওয়াই উত্তম।
بَاب جَامِعِ الْهَدْيِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ صَدَقَةَ بْنِ يَسَارٍ الْمَكِّيِّ أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ جَاءَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَقَدْ ضَفَرَ رَأْسَهُ فَقَالَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنِّي قَدِمْتُ بِعُمْرَةٍ مُفْرَدَةٍ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَوْ كُنْتُ مَعَكَ أَوْ سَأَلْتَنِي لَأَمَرْتُكَ أَنْ تَقْرِنَ فَقَالَ الْيَمَانِي قَدْ كَانَ ذَلِكَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ خُذْ مَا تَطَايَرَ مِنْ رَأْسِكَ وَأَهْدِ فَقَالَتْ امْرَأَةٌ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ مَا هَدْيُهُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَقَالَ هَدْيُهُ فَقَالَتْ لَهُ مَا هَدْيُهُ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَوْ لَمْ أَجِدْ إِلَّا أَنْ أَذْبَحَ شَاةً لَكَانَ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَصُومَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮৬১
৫২. কুরবানী হাদী-র বিভিন্ন আহকাম
রেওয়ায়ত ১৬৬. নাফি (রাহঃ) বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলতেনঃ ইহরামরত স্ত্রীলোক তাহার চুলের গোছা না কাটা পর্যন্ত সে চুল আঁচড়াইবে না। সঙ্গে হাদয়ী থাকিলে উহা যবেহ না করা পর্যন্ত সে চুল কাটিবে না।
بَاب جَامِعِ الْهَدْيِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ الْمَرْأَةُ الْمُحْرِمَةُ إِذَا حَلَّتْ لَمْ تَمْتَشِطْ حَتَّى تَأْخُذَ مِنْ قُرُونِ رَأْسِهَا وَإِنْ كَانَ لَهَا هَدْيٌ لَمْ تَأْخُذْ مِنْ شَعْرِهَا شَيْئًا حَتَّى تَنْحَرَ هَدْيَهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৮৬২
৫২. কুরবানী হাদী-র বিভিন্ন আহকাম
রেওয়ায়ত ১৬৭. মালিক (রাহঃ) কতিপয় আলিমের নিকট শুনিয়াছেন- স্বামী-স্ত্রী কুরবানীতে একই উটে শরীক হইবে না। প্রত্যেকেরই আলাদা উট কুরবানী করা উচিত।
মালিক (রাহঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিলঃ হজ্জের সময় নাহর করার জন্য যদি কাহারও সঙ্গে মক্কায় হাদয়ী পাঠাইয়া দেয় আর সে নিজে উমরার ইহরাম বাধিয়া আসে তবে উমরা শেষ হইতেই সে ঐ হাদয়ীটি ‘নাহর’ করিতে পারিবে কি অথবা উহা নাহর করার জন্য হজ্জ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে কি অপেক্ষা করিবে? তিনি উত্তরে বলিলেনঃ উমরা করিয়া সে ইহরাম খুলিয়া ফেলিবে এবং কুরবানীর জন্য হজ্জ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করিবে এবং ইয়াওমুন-নাহরের সময় উহাকে সে ’নাহর করিবে এবং এই কুরবানীকে তাহার উমরারই অংশবিশেষ জানিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহরাম অবস্থায় শিকার করার কারণে বা অন্য কোন কারণে যদি কাহারও উপর কুরবানী করা ওয়াজিব হইয়া যায়, তবে উহাকে মক্কায় নিয়া আসা উচিত। কারণ আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেনঃ (هَدْيًا بَالِغَ الْكَعْبَةِ) ‘এমন হাদয়ী যাহা কাবায় পৌছায়’। শিকার করার কারণে বা কুরবানীর পরিবর্তে রোযা বা সাদ্কা করিতে হইলে তাহার ইখতিয়ার থাকিবে হারম্ বা হারম্ এর বাহিরে যেকোন স্থানে ইচ্ছা সে উহা করিতে পারিবে।
মালিক (রাহঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিলঃ হজ্জের সময় নাহর করার জন্য যদি কাহারও সঙ্গে মক্কায় হাদয়ী পাঠাইয়া দেয় আর সে নিজে উমরার ইহরাম বাধিয়া আসে তবে উমরা শেষ হইতেই সে ঐ হাদয়ীটি ‘নাহর’ করিতে পারিবে কি অথবা উহা নাহর করার জন্য হজ্জ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে কি অপেক্ষা করিবে? তিনি উত্তরে বলিলেনঃ উমরা করিয়া সে ইহরাম খুলিয়া ফেলিবে এবং কুরবানীর জন্য হজ্জ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করিবে এবং ইয়াওমুন-নাহরের সময় উহাকে সে ’নাহর করিবে এবং এই কুরবানীকে তাহার উমরারই অংশবিশেষ জানিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহরাম অবস্থায় শিকার করার কারণে বা অন্য কোন কারণে যদি কাহারও উপর কুরবানী করা ওয়াজিব হইয়া যায়, তবে উহাকে মক্কায় নিয়া আসা উচিত। কারণ আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেনঃ (هَدْيًا بَالِغَ الْكَعْبَةِ) ‘এমন হাদয়ী যাহা কাবায় পৌছায়’। শিকার করার কারণে বা কুরবানীর পরিবর্তে রোযা বা সাদ্কা করিতে হইলে তাহার ইখতিয়ার থাকিবে হারম্ বা হারম্ এর বাহিরে যেকোন স্থানে ইচ্ছা সে উহা করিতে পারিবে।
بَاب جَامِعِ الْهَدْيِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَقُولُ لَا يَشْتَرِكُ الرَّجُلُ وَامْرَأَتُهُ فِي بَدَنَةٍ وَاحِدَةٍ لِيُهْدِ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بَدَنَةً بَدَنَةً وَسُئِلَ مَالِك عَمَّنْ بُعِثَ مَعَهُ بِهَدْيٍ يَنْحَرُهُ فِي حَجٍّ وَهُوَ مُهِلٌّ بِعُمْرَةٍ هَلْ يَنْحَرُهُ إِذَا حَلَّ أَمْ يُؤَخِّرُهُ حَتَّى يَنْحَرَهُ فِي الْحَجِّ وَيُحِلُّ هُوَ مِنْ عُمْرَتِهِ فَقَالَ بَلْ يُؤَخِّرُهُ حَتَّى يَنْحَرَهُ فِي الْحَجِّ وَيُحِلُّ هُوَ مِنْ عُمْرَتِهِ قَالَ مَالِك وَالَّذِي يُحْكَمُ عَلَيْهِ بِالْهَدْيِ فِي قَتْلِ الصَّيْدِ أَوْ يَجِبُ عَلَيْهِ هَدْيٌ فِي غَيْرِ ذَلِكَ فَإِنَّ هَدْيَهُ لَا يَكُونُ إِلَّا بِمَكَّةَ كَمَا قَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى هَدْيًا بَالِغَ الْكَعْبَةِ وَأَمَّا مَا عُدِلَ بِهِ الْهَدْيُ مِنْ الصِّيَامِ أَوْ الصَّدَقَةِ فَإِنَّ ذَلِكَ يَكُونُ بِغَيْرِ مَكَّةَ حَيْثُ أَحَبَّ صَاحِبُهُ أَنْ يَفْعَلَهُ فَعَلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৮৬৩
৫২. কুরবানী হাদী-র বিভিন্ন আহকাম
রেওয়ায়ত ১৬৮. আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর (রাহঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম আবু আসমা (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনে জাফর (রাহঃ)-এর সহিত মদীনা হইতে যাত্রা করেন, পথে সুকইয়া নামক স্থানে হুসায়ন ইবনে আলী (রাযিঃ)-এর সহিত তাহাদের সাক্ষাত হয়। তিনি [হুসায়ন (রাযিঃ)] সেখানে অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে জাফরও সেখানে রহিয়া গেলেন। হজ্জের সময় শেষ হইয়া যাইতেছে দেখিয়া তিনি পুনরায় রওয়ানা হইয়া পড়েন এবং একজন লোককে খবর দিয়া আলী ইবনে আবি তালিব (রাযিঃ) ও তাহার স্ত্রী আসমা বিনতে উমাইসের নিকট পাঠাইয়া দিলেন। তাহারা ঐ সময় মদীনায় ছিলেন। তাহারা খবর পাইয়া সুকইয়ায় অসুস্থ পুত্রের নিকট আসিলেন। তিনি [হুসায়ন (রাযিঃ)] নিজের মাথার দিকে ইশারা করিয়া দেখাইলেন। আলী (রাযিঃ)-এর নির্দেশে তখন সেখানেই তাহার মাথা কামান হইল এবং একটি উট কুরবানী দেওয়া হইল ।
ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলেনঃ হুসায়ন (রাযিঃ) ঐ সময় উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ)-এর সহিত হজ্জ করিতে রওয়ানা হইয়াছিলেন।
ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলেনঃ হুসায়ন (রাযিঃ) ঐ সময় উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ)-এর সহিত হজ্জ করিতে রওয়ানা হইয়াছিলেন।
بَاب جَامِعِ الْهَدْيِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ خَالِدٍ الْمَخْزُومِيِّ عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ كَانَ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ فَخَرَجَ مَعَهُ مِنْ الْمَدِينَةِ فَمَرُّوا عَلَى حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ وَهُوَ مَرِيضٌ بِالسُّقْيَا فَأَقَامَ عَلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ حَتَّى إِذَا خَافَ الْفَوَاتَ خَرَجَ وَبَعَثَ إِلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ وَهُمَا بِالْمَدِينَةِ فَقَدِمَا عَلَيْهِ ثُمَّ إِنَّ حُسَيْنًا أَشَارَ إِلَى رَأْسِهِ فَأَمَرَ عَلِيٌّ بِرَأْسِهِ فَحُلِّقَ ثُمَّ نَسَكَ عَنْهُ بِالسُّقْيَا فَنَحَرَ عَنْهُ بَعِيرًا قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ وَكَانَ حُسَيْنٌ خَرَجَ مَعَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فِي سَفَرِهِ ذَلِكَ إِلَى مَكَّةَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: