আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৭৮১
২৫. যে ধরনের শিকার মুহরিম খাইতে পারে না
রেওয়ায়ত ৮৬. সা’ব ইবনে জাসসামা লায়াসী (রাযিঃ) বর্ণনা করেন- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবওয়াহ বা ওয়াদ্দান নামক স্থানে অবস্থান করিতেছিলেন। তখন তিনি (রাবী) একটা বন্য গাধা হাদিয়া হিসাবে তাহার খেদমতে পেশ করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহা ফিরাইয়া দিলেন। সাব (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইহাতে আমার চেহারায় দুঃখের অভিব্যক্তি প্রকাশ পাইতে দেখিয়া বলিলেনঃ আমরা মুহরিম, ইহরাম অবস্থায় আছি। কেবল এইজন্য ইহা ফিরাইয়া দিয়াছি।
بَاب مَا لَا يَحِلُّ لِلْمُحْرِمِ أَكْلُهُ مِنْ الصَّيْدِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ الصَّعْبِ بْنِ جَثَّامَةَ اللَّيْثِيِّ أَنَّهُ أَهْدَى لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِمَارًا وَحْشِيًّا وَهُوَ بِالْأَبْوَاءِ أَوْ بِوَدَّانَ فَرَدَّهُ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا فِي وَجْهِي قَالَ إِنَّا لَمْ نَرُدَّهُ عَلَيْكَ إِلَّا أَنَّا حُرُمٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৭৮২
২৫. যে ধরনের শিকার মুহরিম খাইতে পারে না
রেওয়ায়ত ৮৭. আব্দুল্লাহ্ ইবনে রবী’আ (রাহঃ) বলেনঃ গরমের সময় আরয নামক স্থানে উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ)-কে ইহরামের হালতে একটি লাল কম্বল দ্বারা মুখ ঢাকিয়া বসিয়া থাকিতে দেখিলাম। সেই সময় শিকার করা জন্তুর কিছু গোশত তাহার নিকট পেশ করা হয়। তিনি সঙ্গীদেরকে উহা খাইয়া নিতে বলিলেন। সঙ্গীরা বলিলেনঃ আপনি নিজে খাইতেছেন না? উসমান (রাযিঃ) বলিলেন, আমি তোমাদের মত নই, ইহা আমার নিয়তে শিকার করা হইয়াছে; সুতরাং আমি খাইতে পারি না।
بَاب مَا لَا يَحِلُّ لِلْمُحْرِمِ أَكْلُهُ مِنْ الصَّيْدِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ رَأَيْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ بِالْعَرْجِ وَهُوَ مُحْرِمٌ فِي يَوْمٍ صَائِفٍ قَدْ غَطَّى وَجْهَهُ بِقَطِيفَةِ أُرْجُوَانٍ ثُمَّ أُتِيَ بِلَحْمِ صَيْدٍ فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ كُلُوا فَقَالُوا أَوَ لَا تَأْكُلُ أَنْتَ فَقَالَ إِنِّي لَسْتُ كَهَيْئَتِكُمْ إِنَّمَا صِيدَ مِنْ أَجْلِي
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৮৩
২৫. যে ধরনের শিকার মুহরিম খাইতে পারে না
রেওয়ায়ত ৮৮. উরওয়াহ ইবনে যুবায়র (রাহঃ) বর্ণনা করেন, উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাযিঃ) তাহাকে বলিয়াছেনঃ ভ্রাতুস্পুত্র, ইহরামের মাত্র দশটা দিন বাকি। মনে যদি দ্বিধা-সন্দেহের সৃষ্টি হয়, তবে শিকারের গোশত খাওয়া এই কয়দিন একেবারেই ছাড়িয়া দাও।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মুহরিম ব্যক্তির নিয়তে কোন প্রাণী শিকার করা হইয়া থাকিলে, আর ঐ ব্যক্তি উহা জানা থাকা সত্ত্বেও যদি উক্ত শিকার ভক্ষণ করে, তবে তাহাকে উহার পরিবর্তে বদলা আদায় করিতে হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইল- যদি খাদ্যাভাবের দরুন মুহরিম ব্যক্তির জন্য

মৃত পশু খাওয়া জায়েয হয়, এমতাবস্থায় সে মৃত প্রাণী খাইবে, না শিকারকৃত প্রাণী আহার করিবে? তিনি বললেনঃ সে মৃত প্রাণী আহার করবে। কারণ আল্লাহ্ তাআলা কালামে পাকে উপায়হীন অবস্থায় মৃত প্রাণী খাওয়ার অনুমতি দিয়াছেন, পক্ষান্তরে মুহরিমের জন্য কোন অবস্থায়ই শিকারকৃত প্রাণী আহার করা অনুমতি প্রদান করেন নাই।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মুহরিম যদি কোন প্রাণী শিকার করে বা ঐ জাতীয় প্রাণী যবেহ করে, তবে উহা খাওয়া মুহরিম বা হালাল (যিনি ইহরাম অবস্থায় নাই) কোন ব্যক্তির জন্যই জায়েয নহে। কেননা শরীয়তের দৃষ্টিতে উহা যবেহ বলিয়া গণ্য হয় না।

মালিক (রাহঃ) বলেন, শিকার করিয়া সে নিজে আহার করুক বা শিকার করার পর নিজে আহার না করুক, উভয় অবস্থায়ই তাহাকে একই ধরনের কাফফারা দিতে হইবে।
بَاب مَا لَا يَحِلُّ لِلْمُحْرِمِ أَكْلُهُ مِنْ الصَّيْدِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ لَهُ يَا ابْنَ أُخْتِي إِنَّمَا هِيَ عَشْرُ لَيَالٍ فَإِنْ تَخَلَّجَ فِي نَفْسِكَ شَيْءٌ فَدَعْهُ تَعْنِي أَكْلَ لَحْمِ الصَّيْدِ
قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ الْمُحْرِمِ يُصَادُ مِنْ أَجْلِهِ صَيْدٌ فَيُصْنَعُ لَهُ ذَلِكَ الصَّيْدُ فَيَأْكُلُ مِنْهُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ مِنْ أَجْلِهِ صِيدَ فَإِنَّ عَلَيْهِ جَزَاءَ ذَلِكَ الصَّيْدِ كُلِّهِ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يُضْطَرُّ إِلَى أَكْلِ الْمَيْتَةِ وَهُوَ مُحْرِمٌ أَيَصِيدُ الصَّيْدَ فَيَأْكُلُهُ أَمْ يَأْكُلُ الْمَيْتَةَ فَقَالَ بَلْ يَأْكُلُ الْمَيْتَةَ وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى لَمْ يُرَخِّصْ لِلْمُحْرِمِ فِي أَكْلِ الصَّيْدِ وَلَا فِي أَخْذِهِ فِي حَالٍ مِنْ الْأَحْوَالِ وَقَدْ أَرْخَصَ فِي الْمَيْتَةِ عَلَى حَالِ الضَّرُورَةِ قَالَ مَالِك وَأَمَّا مَا قَتَلَ الْمُحْرِمُ أَوْ ذَبَحَ مِنْ الصَّيْدِ فَلَا يَحِلُّ أَكْلُهُ لِحَلَالٍ وَلَا لِمُحْرِمٍ لِأَنَّهُ لَيْسَ بِذَكِيٍّ كَانَ خَطَأً أَوْ عَمْدًا فَأَكْلُهُ لَا يَحِلُّ وَقَدْ سَمِعْتُ ذَلِكَ مِنْ غَيْرِ وَاحِدٍ وَالَّذِي يَقْتُلُ الصَّيْدَ ثُمَّ يَأْكُلُهُ إِنَّمَا عَلَيْهِ كَفَّارَةٌ وَاحِدَةٌ مِثْلُ مَنْ قَتَلَهُ وَلَمْ يَأْكُلْ مِنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান