আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৭৭৪
২৪. কোন ধরনের শিকারকৃত বস্তু মুহরিম খাইতে পারে
রেওয়ায়ত ৭৯. উমর ইবনে আব্দুল্লাহর মাওলা আবুন নযর (রাহঃ) নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণনা করেন, যিনি ছিলেন আবু কাতাদার মাওলা। নাফি’ (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ আবু কাতাদ আনসারী (রাযিঃ) বর্ণনা করিয়াছেন যে, তিনি এক সফরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সঙ্গে ছিলেন। কতিপয় মুহরিম সঙ্গীসহ তিনি পিছনে থাকিয়া যান। তিনি নিজে অবশ্য ইহরাম বাঁধা অবস্থায় ছিলেন না। হঠাৎ একটা বন্য গাধা সৃষ্টিগোচর হইল, তৎক্ষণাৎ একটি ঘোড়ায় আরোহণ করিয়া তিনি উহা শিকার করিতে ছুটিলেন। সঙ্গীদের নিকট চাবুক চাহিলেন; কিন্তু কেউই দিলেন না, বর্শাখানা চাহিলে তাহাও কেউ দিলেন না। শেষে তিনি নিজে ঘোড়া হইতে নামিয়া আসিয়া বর্শা সংগ্ৰহ করিলেন এবং উক্ত গাধটিকে শিকার করিলেন। সঙ্গিগণের কেউ কেউ ইহার গোশত খাইলেন, আর কেউ কেউ খাইতে অস্বীকৃতি জানাইলেন। পরে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সহিত যখন সাক্ষাত হইল তখন উক্ত ঘটনা তাহাকে জানাইলে তিনি বলিলেনঃ উহা এমন এক খাদ্য ছিল যাহা আল্লাহ্ তাআলা তোমাদিগকে খাওয়াইছেন।
بَاب مَا يَجُوزُ لِلْمُحْرِمِ أَكْلُهُ مِنْ الصَّيْدِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ التَّيْمِيِّ عَنْ نَافِعٍ مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ أَنَّهُ كَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبَعْضِ طَرِيقِ مَكَّةَ تَخَلَّفَ مَعَ أَصْحَابٍ لَهُ مُحْرِمِينَ وَهُوَ غَيْرُ مُحْرِمٍ فَرَأَى حِمَارًا وَحْشِيًّا فَاسْتَوَى عَلَى فَرَسِهِ فَسَأَلَ أَصْحَابَهُ أَنْ يُنَاوِلُوهُ سَوْطَهُ فَأَبَوْا عَلَيْهِ فَسَأَلَهُمْ رُمْحَهُ فَأَبَوْا فَأَخَذَهُ ثُمَّ شَدَّ عَلَى الْحِمَارِ فَقَتَلَهُ فَأَكَلَ مِنْهُ بَعْضُ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَى بَعْضُهُمْ فَلَمَّا أَدْرَكُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلُوهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ إِنَّمَا هِيَ طُعْمَةٌ أَطْعَمَكُمُوهَا اللَّهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৭৫
২৪. কোন ধরনের শিকারকৃত বস্তু মুহরিম খাইতে পারে
রেওয়ায়ত ৮০. উরওয়াহ ইবনে যুবায়র (রাহঃ) বর্ণনা করেন, যুবায়র ইবনে আওয়াম (রাযিঃ) ইহরাম অবস্থায় পাথেয় হিসাবে হরিণের ভুনা গোশত সঙ্গে লইতেন। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সকীফ অর্থ হইল ‘কাদীদ’ অর্থাৎ শুকনা গোশত।
بَاب مَا يَجُوزُ لِلْمُحْرِمِ أَكْلُهُ مِنْ الصَّيْدِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ الزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ كَانَ يَتَزَوَّدُ صَفِيفَ الظِّبَاءِ وَهُوَ مُحْرِمٌ قَالَ مَالِك وَالصَّفِيفُ الْقَدِيدُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৭৬
২৪. কোন ধরনের শিকারকৃত বস্তু মুহরিম খাইতে পারে
রেওয়ায়ত ৮১. আতা ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) আবু কাতাদা (রাযিঃ)-র বন্য গাধা শিকার সম্পর্কে আবুন নযরের হাদীসটির মতই বর্ণনা করিয়াছেন। তবে যায়দ ইবনে আসলাম (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসে শিকার সংক্রান্ত ঘটনায় নিম্নোক্ত বাক্যটি রহিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বলিয়াছেনঃ উহার কোন গোশত অবশিষ্ট আছে কি?
بَاب مَا يَجُوزُ لِلْمُحْرِمِ أَكْلُهُ مِنْ الصَّيْدِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ فِي الْحِمَارِ الْوَحْشِيِّ مِثْلَ حَدِيثِ أَبِي النَّضْرِ إِلَّا أَنَّ فِي حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ هَلْ مَعَكُمْ مِنْ لَحْمِهِ شَيْءٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৭৭
২৪. কোন ধরনের শিকারকৃত বস্তু মুহরিম খাইতে পারে
রেওয়ায়ত ৮২. ঈসা ইবনে তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহ্ (রাহঃ) উমায়র ইবনে সালামা জমরী (রাহঃ) হইতে বর্ণনা করেন, উমায়র তাহাকে খবর দিয়াছেন যে, বাহযী* (রাযিঃ) বর্ণনা করেন- ইহরাম বাঁধিয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইলেন, রওহা নামক স্থানে পৌছিয়া একটি বন্য গাধা দেখিতে পাওয়া গেল। ইহা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে আলোচনা করিলে তিনি বলিলেনঃ ছাড়িয়া দাও, এখন হয়তো উহার মালিক আসিবে। ততক্ষণে বাহযী আসিয়া পৌছিলেন, আর তিনিই উহার মালিক ছিলেন। তিনি বলিলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! ইহা আপনার, সকল ইখতিয়ার আপনারই। শেষে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নির্দেশে আবু বকর (রাযিঃ) সঙ্গীদের মধ্যে উহার গোশত বণ্টন করিয়া দেন। পরে সকলেই সম্মুখে অগ্রসর হইলেন। রুয়াইসা ও আরয নামক স্থানদ্বয়ের মধ্যবর্তী উসায়া নামক স্থানে যখন পৌছিলেন তখন একটি গাছের ছায়ায় একটি তীরবিদ্ধ হরিণ মাথা নিচু করিয়া দাঁড়াইয়া থাকিতে দেখা গেল। বর্ণনাকারী ধারণা করিয়াছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন এক ব্যক্তিকে হরিণটির নিকট দাঁড়াইয়া পাহারা দিতে নির্দেশ দিলেন, যাহাতে সকলেই উহাকে অতিক্রম করিয়া সম্মুখে চলিয়া না যাওয়া পর্যন্ত কেউ উহার কোন কিছু করিতে না পারে।

* তাহার নাম যায়দ ইবন কা'ব বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে। -আউজাবুল মাসালিক।
بَاب مَا يَجُوزُ لِلْمُحْرِمِ أَكْلُهُ مِنْ الصَّيْدِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّهُ قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيُّ عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ عُمَيْرِ بْنِ سَلَمَةَ الضَّمْرِيِّ عَنْ الْبَهْزِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ يُرِيدُ مَكَّةَ وَهُوَ مُحْرِمٌ حَتَّى إِذَا كَانَ بِالرَّوْحَاءِ إِذَا حِمَارٌ وَحْشِيٌّ عَقِيرٌ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ دَعُوهُ فَإِنَّهُ يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَ صَاحِبُهُ فَجَاءَ الْبَهْزِيُّ وَهُوَ صَاحِبُهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ شَأْنَكُمْ بِهَذَا الْحِمَارِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ فَقَسَمَهُ بَيْنَ الرِّفَاقِ ثُمَّ مَضَى حَتَّى إِذَا كَانَ بِالْأُثَابَةِ بَيْنَ الرُّوَيْثَةِ وَالْعَرْجِ إِذَا ظَبْيٌ حَاقِفٌ فِي ظِلٍّ فِيهِ سَهْمٌ فَزَعَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ رَجُلًا أَنْ يَقِفَ عِنْدَهُ لَا يَرِيبُهُ أَحَدٌ مِنْ النَّاسِ حَتَّى يُجَاوِزَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৭৭৮
২৪. কোন ধরনের শিকারকৃত বস্তু মুহরিম খাইতে পারে
রেওয়ায়ত ৮৩. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বাহরাইন হইতে আসতেছিলেন। রবাজা নামক স্থানে ইহরাম বাঁধা অবস্থায় কতিপয় ইরাকী আরোহীর সঙ্গে তাহার সাক্ষাত হইল। তাহারা তাহাকে শিকারের গোশত খাওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিল। উক্ত শিকার রবাজাবাসীদের ছিল। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেনঃ পরে এই ফতওয়া সম্পর্কে আমার মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। মদীনায় আসিয়া উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে তাহা জানাইলাম। তিনি বলিলেনঃ তুমি তাহাদিগকে এই সম্পর্কে কি বলিয়াছিলে? আমি বলিলামঃ তাহাদেরকে উহা খাইতে পারে বলিয়া মত দিয়াছিলাম। তখন তিনি বলিলেনঃ ইহা না বলিয়া অন্য কিছু যদি বলিতে তবে তোমাকে আমি শায়েস্তা করিতাম অর্থাৎ তিনি তাহাকে ভয় দেখাইলেন।
بَاب مَا يَجُوزُ لِلْمُحْرِمِ أَكْلُهُ مِنْ الصَّيْدِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ أَقْبَلَ مِنْ الْبَحْرَيْنِ حَتَّى إِذَا كَانَ بِالرَّبَذَةِ وَجَدَ رَكْبًا مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ مُحْرِمِينَ فَسَأَلُوهُ عَنْ لَحْمِ صَيْدٍ وَجَدُوهُ عِنْدَ أَهْلِ الرَّبَذَةِ فَأَمَرَهُمْ بِأَكْلِهِ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ثُمَّ إِنِّي شَكَكْتُ فِيمَا أَمَرْتُهُمْ بِهِ فَلَمَّا قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ ذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقَالَ عُمَرُ مَاذَا أَمَرْتَهُمْ بِهِ فَقَالَ أَمَرْتُهُمْ بِأَكْلِهِ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لَوْ أَمَرْتَهُمْ بِغَيْرِ ذَلِكَ لَفَعَلْتُ بِكَ يَتَوَاعَدُهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৭৯
২৪. কোন ধরনের শিকারকৃত বস্তু মুহরিম খাইতে পারে
রেওয়ায়ত ৮৪. সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর নিকট হাদীস বর্ণনা করিতে শুনিয়াছেন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলিতেছিলেন, যে রবাজা নামক স্থানে ইহরাম অবস্থায় কতিপয় লোকের সহিত তাহার সাক্ষাত হয়। ইহরামবিহীন লোকের শিকারকৃত পশু যাহা তাহারা খাইতেছে সেই পশুর গোশত তাহারা খাইতে পারবে কিনা এই সম্পর্কে তাহার নিকট ফতওয়া জিজ্ঞাসা করা হইল। তিনি তাহাদিগকে উহা খাইতে পারে বলিয়া ফতওয়া দেন। তিনি বলেনঃ পরে মদীনায় আসিয়া উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলিলেন, তুমি কি ফতওয়া দিয়াছিলে? আমি বলিলামঃ ঐ গোশত খাইতে পারে বলিয়া ফতওয়া দিয়াছিলাম। তিনি বলিলেনঃ এই ফতওয়া না দিয়া যদি অন্য কোন ফতওয়া তুমি দিতে তবে তোমাকে আমি শাস্তি দিতাম।
بَاب مَا يَجُوزُ لِلْمُحْرِمِ أَكْلُهُ مِنْ الصَّيْدِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ أَنَّهُ مَرَّ بِهِ قَوْمٌ مُحْرِمُونَ بِالرَّبَذَةِ فَاسْتَفْتَوْهُ فِي لَحْمِ صَيْدٍ وَجَدُوا نَاسًا أَحِلَّةً يَأْكُلُونَهُ فَأَفْتَاهُمْ بِأَكْلِهِ قَالَ ثُمَّ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ بِمَ أَفْتَيْتَهُمْ قَالَ فَقُلْتُ أَفْتَيْتُهُمْ بِأَكْلِهِ قَالَ فَقَالَ عُمَرُ لَوْ أَفْتَيْتَهُمْ بِغَيْرِ ذَلِكَ لَأَوْجَعْتُكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৮০
২৪. কোন ধরনের শিকারকৃত বস্তু মুহরিম খাইতে পারে
রেওয়ায়ত ৬৫. কা’ব আহবার (রাহঃ) যখন সিরিয়া হইতে আসেন কতিপয় ইহরাম বাঁধা আরোহীও তখন তাহার সঙ্গী হয় পথে তাহারা কিছু শিকারের গোশত পাইলেন। কা’ব (রাহঃ) তাহাদিগকে উহা খাইতে অনুমতি দিলেন। ঐ আরোহী দল মদীনায় আসিয়া উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে উক্ত ঘটনা জানাইলেন। তিনি বললেন, তোমাদিগকে উক্ত গোশত খাইতে কে ফতওয়া দিয়াছিলেন? তাহারা বললেনঃ কাব (রাহঃ)। তিনি বলিলেনঃ ফিরিয়া না আসা পর্যন্ত কা’বকে আমি তোমাদের আমীর বানাইয়া দিলাম। পরে মক্কার পথে তাহারা অনেক পঙ্গপাল দেখিতে পাইলেন। কা’ব তাহাদিগকে উহা খাইতে বলিয়া দিলেন। তাহারা ফিরিয়া উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে উহা জানাইলেন। তিনি কা’বকে বলিলেনঃ কি বিষয়ের উপর ভিত্তি করিয়া তুমি এই ধরনের ফতওয়া দিলে? কা’ব বলিলেনঃ এই জাতীয় পঙ্গপাল (টিড্ডী) সামুদ্রিক প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত (আর মুহরিমের জন্য সামুদ্রিক প্রাণী খাওয়া জায়েয) । উমর (রাযিঃ) বলিলেনঃ ইহা কেমন করিয়া? কা’ব বলিলেন, আমীরুল মু’মিনীন! সেই সত্তার কসম যাহার হাতে আমার প্রাণ, এই জাতীয় পঙ্গপাল এক প্রকার সামুদ্রিক মাছের হাঁচি হইতে জন্ম হইয়া থাকে। উহা বৎসরে মাত্র দুইবারই হাঁচি দিয়া থাকে।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইল, পথে শিকারের গোশত পাওয়া গেলে মুহরিম ব্যক্তি উহা ক্রয় করিতে পারে কি? তিনি বলিলেনঃ হজ্জযাত্রীদের নিয়তে শিকার করিয়া থাকিলে উহা আমার কাছে মাকরূহ বলিয়া মনে হয়, তবে সাধারণভাবে বিশেষ কোন নিয়ত ব্যতিরেকে শিকার করা হইয়া থাকিলে উহা ক্রয় করায় দোষের কিছুই নাই। মালিক (রাহঃ) বলেন, ইহরাম বাঁধার সময় কোন ব্যক্তির নিকট তৎকর্তৃক শিকারকৃত কোন পশু ছিল অথবা শিকারকৃত কোন পশু ক্রয় করিল। তবে উহা ছাড়িয়া দেওয়া তাহার জন্য জরুরী নহে, বরং বাড়িতে তাহা রাখিয়া যাইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সমুদ্র, নদী-নালা এবং পুকুর ইত্যাদির মাছ মুহরিমগণ শিকার করিতে পরিবে।
بَاب مَا يَجُوزُ لِلْمُحْرِمِ أَكْلُهُ مِنْ الصَّيْدِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ كَعْبَ الْأَحْبَارِ أَقْبَلَ مِنْ الشَّامِ فِي رَكْبٍ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ وَجَدُوا لَحْمَ صَيْدٍ فَأَفْتَاهُمْ كَعْبٌ بِأَكْلِهِ قَالَ فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بِالْمَدِينَةِ ذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ مَنْ أَفْتَاكُمْ بِهَذَا قَالُوا كَعْبٌ قَالَ فَإِنِّي قَدْ أَمَّرْتُهُ عَلَيْكُمْ حَتَّى تَرْجِعُوا ثُمَّ لَمَّا كَانُوا بِبَعْضِ طَرِيقِ مَكَّةَ مَرَّتْ بِهِمْ رِجْلٌ مِنْ جَرَادٍ فَأَفْتَاهُمْ كَعْبٌ أَنْ يَأْخُذُوهُ فَيَأْكُلُوهُ فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ذَكَرُوا لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ مَا حَمَلَكَ عَلَى أَنْ تُفْتِيَهُمْ بِهَذَا قَالَ هُوَ مِنْ صَيْدِ الْبَحْرِ قَالَ وَمَا يُدْرِيكَ قَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنْ هِيَ إِلَّا نَثْرَةُ حُوتٍ يَنْثُرُهُ فِي كُلِّ عَامٍ مَرَّتَيْنِ
وَسُئِلَ مَالِك عَمَّا يُوجَدُ مِنْ لُحُومِ الصَّيْدِ عَلَى الطَّرِيقِ هَلْ يَبْتَاعُهُ الْمُحْرِمُ فَقَالَ أَمَّا مَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ يُعْتَرَضُ بِهِ الْحَاجُّ وَمِنْ أَجْلِهِمْ صِيدَ فَإِنِّي أَكْرَهُهُ وَأَنْهَى عَنْهُ فَأَمَّا أَنْ يَكُونَ عِنْدَ رَجُلٍ لَمْ يُرِدْ بِهِ الْمُحْرِمِينَ فَوَجَدَهُ مُحْرِمٌ فَابْتَاعَهُ فَلَا بَأْسَ بِهِ قَالَ مَالِك فِيمَنْ أَحْرَمَ وَعِنْدَهُ صَيْدٌ قَدْ صَادَهُ أَوْ ابْتَاعَهُ فَلَيْسَ عَلَيْهِ أَنْ يُرْسِلَهُ وَلَا بَأْسَ أَنْ يَجْعَلَهُ عِنْدَ أَهْلِهِ قَالَ مَالِك فِي صَيْدِ الْحِيتَانِ فِي الْبَحْرِ وَالْأَنْهَارِ وَالْبِرَكِ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ إِنَّهُ حَلَالٌ لِلْمُحْرِمِ أَنْ يَصْطَادَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী: