আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
১৯. ইতিকাফের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬৮৫
৪. ইতিকাফ কাযা করা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৭. আমরাহ বিনতে আব্দুর রহমান (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইতিকাফ করিতে মনস্থ করিলেন। অতঃপর যে স্থানে তিনি ইতিকাফ করিবার মনস্থ করিয়াছিলেন সেই স্থানে গমন করিলে (সেখানে) কয়েকটি তাবু দেখিতে পাইলেন। ইহা আয়েশা (রাযিঃ)-এর তাবু, ইহা হাফসা (রাযিঃ)-এর তাবু এবং ইহা যায়নব (রাযিঃ)-এর তাবু। তিনি তাবু সম্পর্কে জানিয়া উহাদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করিলেন। তাহাকে বলা হইল, ইহা আয়েশা, ইহা হাফসা এবং ইহা যায়নব (রাযিঃ)-এর তাবু। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ এই সকলের দ্বারা তাহারা কি পুণ্যের নিয়ত করিয়াছেন? অতঃপর তিনি ফিরিয়া গেলেন এবং ইতিকাফ করিলেন না। পরে তিনি শাওয়াল মাসের দশ দিন ইতিকাফ করিলেন।
যিয়াদ (রাহঃ) বলেনঃ মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল সেই ব্যক্তি সম্পর্কে যে রমযানের শেষের দশদিনে ইতিকাফের উদ্দেশ্যে মসজিদে প্রবেশ করিয়াছে, অতঃপর একদিন অথবা দুইদিন অবস্থান করার পর পীড়িত হইয়া পড়ে এবং মসজিদ হইতে বাহির হয়, সে সুস্থ হইলে অবশিষ্ট দিনের ইতিকাফ করা তাহার উপর ওয়াজিব হইবে কি? কিংবা উহার কাযা তাহার উপর আদৌ ওয়াজিব হইবে না। ইহা তাহার উপর ওয়াজিব হইলে কোন মাসে সে ইতিকাফ করিবে? উত্তরে মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সুস্থ হইয়া গেলে রমযান বা গর-রমযানে তাহার উপর যে ইতিকাফ ওয়াজিব হইয়াছে উহা কাযা করিবে।
আমার নিকট খবর পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার রমযানে ইতিকাফ করার মনস্থ করিলেন। পরে তিনি মত পাল্টাইলেন এবং ইতিকাফ করিলেন না। অতঃপর রমযান অতিবাহিত হইলে শাওয়াল মাসে দশ দিন ইতিকাফ করিলেন।
নফল ইতিকাফকারী ও যাহার উপর ইতিকাফ ওয়াজিব হালাল ও হারামের বিষয়ে উভয়ের হুকুম এক অর্থাৎ যাহা হালাল উভয়ের জন্য হালাল এবং যাহা হারাম উভয়ের জন্য হারাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ইতিকাফ ছিল নফল ইতিকাফ- এইরূপই আমার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যেই স্ত্রীলোক ইতিকাফ করে এবং ইতিকাফে থাকিতে তাহার হায়েয (ঋতুস্রাব) হয়, সেই স্ত্রীলোক নিজ গৃহে ফিরিয়া যাইবে। তারপর যখন পাক হইবে সেই মুহুর্তে মসজিদে উপস্থিত হইবে। ইহাতে বিলম্ব করিবে না। অতঃপর তাহার ইতিকাফের যে কয়দিন পূর্বে অতিবাহিত হইয়াছে উহা বাদ দিয়া বাকি দিনগুলি ইতিকাফ করবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ অনুরূপ যে স্ত্রীলোকের উপর একাধারে দুই মাসের রোযা ওয়াজিব তাহার যদি ঋতুস্রাব হয়, তৎপর পাক হয়, তবে সে যে রোযা পূর্বে রাখিয়াছিল উহার উপর ভিত্তি করিয়া বাকি রোযা রাখিবে। উহাতে বিলম্ব করিবে না।
যিয়াদ (রাহঃ) বলেনঃ মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল সেই ব্যক্তি সম্পর্কে যে রমযানের শেষের দশদিনে ইতিকাফের উদ্দেশ্যে মসজিদে প্রবেশ করিয়াছে, অতঃপর একদিন অথবা দুইদিন অবস্থান করার পর পীড়িত হইয়া পড়ে এবং মসজিদ হইতে বাহির হয়, সে সুস্থ হইলে অবশিষ্ট দিনের ইতিকাফ করা তাহার উপর ওয়াজিব হইবে কি? কিংবা উহার কাযা তাহার উপর আদৌ ওয়াজিব হইবে না। ইহা তাহার উপর ওয়াজিব হইলে কোন মাসে সে ইতিকাফ করিবে? উত্তরে মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সুস্থ হইয়া গেলে রমযান বা গর-রমযানে তাহার উপর যে ইতিকাফ ওয়াজিব হইয়াছে উহা কাযা করিবে।
আমার নিকট খবর পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার রমযানে ইতিকাফ করার মনস্থ করিলেন। পরে তিনি মত পাল্টাইলেন এবং ইতিকাফ করিলেন না। অতঃপর রমযান অতিবাহিত হইলে শাওয়াল মাসে দশ দিন ইতিকাফ করিলেন।
নফল ইতিকাফকারী ও যাহার উপর ইতিকাফ ওয়াজিব হালাল ও হারামের বিষয়ে উভয়ের হুকুম এক অর্থাৎ যাহা হালাল উভয়ের জন্য হালাল এবং যাহা হারাম উভয়ের জন্য হারাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ইতিকাফ ছিল নফল ইতিকাফ- এইরূপই আমার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যেই স্ত্রীলোক ইতিকাফ করে এবং ইতিকাফে থাকিতে তাহার হায়েয (ঋতুস্রাব) হয়, সেই স্ত্রীলোক নিজ গৃহে ফিরিয়া যাইবে। তারপর যখন পাক হইবে সেই মুহুর্তে মসজিদে উপস্থিত হইবে। ইহাতে বিলম্ব করিবে না। অতঃপর তাহার ইতিকাফের যে কয়দিন পূর্বে অতিবাহিত হইয়াছে উহা বাদ দিয়া বাকি দিনগুলি ইতিকাফ করবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ অনুরূপ যে স্ত্রীলোকের উপর একাধারে দুই মাসের রোযা ওয়াজিব তাহার যদি ঋতুস্রাব হয়, তৎপর পাক হয়, তবে সে যে রোযা পূর্বে রাখিয়াছিল উহার উপর ভিত্তি করিয়া বাকি রোযা রাখিবে। উহাতে বিলম্ব করিবে না।
بَاب قَضَاءِ الْاعْتِكَافِ
حَدَّثَنِي زِيَاد عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَادَ أَنْ يَعْتَكِفَ فَلَمَّا انْصَرَفَ إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي أَرَادَ أَنْ يَعْتَكِفَ فِيهِ وَجَدَ أَخْبِيَةً خِبَاءَ عَائِشَةَ وَخِبَاءَ حَفْصَةَ وَخِبَاءَ زَيْنَبَ فَلَمَّا رَآهَا سَأَلَ عَنْهَا فَقِيلَ لَهُ هَذَا خِبَاءُ عَائِشَةَ وَحَفْصَةَ وَزَيْنَبَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آلْبِرَّ تَقُولُونَ بِهِنَّ ثُمَّ انْصَرَفَ فَلَمْ يَعْتَكِفْ حَتَّى اعْتَكَفَ عَشْرًا مِنْ شَوَّالٍ
وَسُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ دَخَلَ الْمَسْجِدَ لِعُكُوفٍ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ فَأَقَامَ يَوْمًا أَوْ يَوْمَيْنِ ثُمَّ مَرِضَ فَخَرَجَ مِنْ الْمَسْجِدِ أَيَجِبُ عَلَيْهِ أَنْ يَعْتَكِفَ مَا بَقِيَ مِنْ الْعَشْرِ إِذَا صَحَّ أَمْ لَا يَجِبُ ذَلِكَ عَلَيْهِ وَفِي أَيِّ شَهْرٍ يَعْتَكِفُ إِنْ وَجَبَ عَلَيْهِ ذَلِكَ فَقَالَ مَالِك يَقْضِي مَا وَجَبَ عَلَيْهِ مِنْ عُكُوفٍ إِذَا صَحَّ فِي رَمَضَانَ أَوْ غَيْرِهِ وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَادَ الْعُكُوفَ فِي رَمَضَانَ ثُمَّ رَجَعَ فَلَمْ يَعْتَكِفْ حَتَّى إِذَا ذَهَبَ رَمَضَانُ اعْتَكَفَ عَشْرًا مِنْ شَوَّالٍ وَالْمُتَطَوِّعُ فِي الْاعْتِكَافِ فِي رَمَضَانَ وَالَّذِي عَلَيْهِ الْاعْتِكَافُ أَمْرُهُمَا وَاحِدٌ فِيمَا يَحِلُّ لَهُمَا وَيَحْرُمُ عَلَيْهِمَا وَلَمْ يَبْلُغْنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ اعْتِكَافُهُ إِلَّا تَطَوُّعًا قَالَ مَالِك فِي الْمَرْأَةِ إِنَّهَا إِذَا اعْتَكَفَتْ ثُمَّ حَاضَتْ فِي اعْتِكَافِهَا إِنَّهَا تَرْجِعُ إِلَى بَيْتِهَا فَإِذَا طَهُرَتْ رَجَعَتْ إِلَى الْمَسْجِدِ أَيَّةَ سَاعَةٍ طَهُرَتْ ثُمَّ تَبْنِي عَلَى مَا مَضَى مِنَ اعْتِكَافِهَا وَمِثْلُ ذَلِكَ الْمَرْأَةُ يَجِبُ عَلَيْهَا صِيَامُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ فَتَحِيضُ ثُمَّ تَطْهُرُ فَتَبْنِي عَلَى مَا مَضَى مِنْ صِيَامِهَا وَلَا تُؤَخِّرُ ذَلِكَ
وَسُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ دَخَلَ الْمَسْجِدَ لِعُكُوفٍ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ فَأَقَامَ يَوْمًا أَوْ يَوْمَيْنِ ثُمَّ مَرِضَ فَخَرَجَ مِنْ الْمَسْجِدِ أَيَجِبُ عَلَيْهِ أَنْ يَعْتَكِفَ مَا بَقِيَ مِنْ الْعَشْرِ إِذَا صَحَّ أَمْ لَا يَجِبُ ذَلِكَ عَلَيْهِ وَفِي أَيِّ شَهْرٍ يَعْتَكِفُ إِنْ وَجَبَ عَلَيْهِ ذَلِكَ فَقَالَ مَالِك يَقْضِي مَا وَجَبَ عَلَيْهِ مِنْ عُكُوفٍ إِذَا صَحَّ فِي رَمَضَانَ أَوْ غَيْرِهِ وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَادَ الْعُكُوفَ فِي رَمَضَانَ ثُمَّ رَجَعَ فَلَمْ يَعْتَكِفْ حَتَّى إِذَا ذَهَبَ رَمَضَانُ اعْتَكَفَ عَشْرًا مِنْ شَوَّالٍ وَالْمُتَطَوِّعُ فِي الْاعْتِكَافِ فِي رَمَضَانَ وَالَّذِي عَلَيْهِ الْاعْتِكَافُ أَمْرُهُمَا وَاحِدٌ فِيمَا يَحِلُّ لَهُمَا وَيَحْرُمُ عَلَيْهِمَا وَلَمْ يَبْلُغْنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ اعْتِكَافُهُ إِلَّا تَطَوُّعًا قَالَ مَالِك فِي الْمَرْأَةِ إِنَّهَا إِذَا اعْتَكَفَتْ ثُمَّ حَاضَتْ فِي اعْتِكَافِهَا إِنَّهَا تَرْجِعُ إِلَى بَيْتِهَا فَإِذَا طَهُرَتْ رَجَعَتْ إِلَى الْمَسْجِدِ أَيَّةَ سَاعَةٍ طَهُرَتْ ثُمَّ تَبْنِي عَلَى مَا مَضَى مِنَ اعْتِكَافِهَا وَمِثْلُ ذَلِكَ الْمَرْأَةُ يَجِبُ عَلَيْهَا صِيَامُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ فَتَحِيضُ ثُمَّ تَطْهُرُ فَتَبْنِي عَلَى مَا مَضَى مِنْ صِيَامِهَا وَلَا تُؤَخِّرُ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৬৮৬
৪. ইতিকাফ কাযা করা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৮. ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইতিকাফের অবস্থায় হাজতে ইনসানীর জন্য গৃহে প্রবেশ করিতেন।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইতিকাফকারী মাতাপিতার জানাযা এবং তাহারা ব্যতীত অন্য কাহারো জানাযায় শরীক হওয়ার জন্য বাহির হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইতিকাফকারী মাতাপিতার জানাযা এবং তাহারা ব্যতীত অন্য কাহারো জানাযায় শরীক হওয়ার জন্য বাহির হইবে না।
بَاب قَضَاءِ الْاعْتِكَافِ
وَحَدَّثَنِي زِيَاد عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَذْهَبُ لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ فِي الْبُيُوتِ
قَالَ مَالِك لَا يَخْرُجُ الْمُعْتَكِفُ مَعَ جَنَازَةِ أَبَوَيْهِ وَلَا مَعَ غَيْرِهَا
قَالَ مَالِك لَا يَخْرُجُ الْمُعْتَكِفُ مَعَ جَنَازَةِ أَبَوَيْهِ وَلَا مَعَ غَيْرِهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: