আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

১৭. যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬১৩
২৭. যাহাদের উপর সাদ্‌কা-ই-ফিতর ওয়াজিব
রেওয়ায়ত ৫১. নাফি’ (রাহঃ) বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) তাহার ওয়াদিউল-কুরা ও খায়বার নামক স্থানে অবস্থানরত দাসদেরও ফিতরা আদায় করিতেন।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে আমি সর্বোত্তম যাহা শুনিয়াছি তাহা হইল, যাহাদের খোরপোশ প্রদান করা জরুরী তাহাদের পক্ষ হইতেও ফিতরা আদায় করিতে হইবে। মুকাতাব গোলাম, মুদাকার গোলাম এবং দাস, তাহারা উপস্থিত থাকুক বা অনুপস্থিত থাকুক, ব্যবসার উদ্দেশ্যে হউক বা না হউক, সকলের পক্ষ হইতে ফিতরা আদায় করিতে হইবে। তবে শর্ত হইল মুসলমান হইতে হইবে। আর অমুসলিম গোলামের ফিতরা আদায় করিতে হয় না।*

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ গোলাম পালাইয়া গেলে সে কোথায় আছে তাহা মালিকের জানা থাকিলে অথবা জানা না থাকিলে এবং গোলামের অনুপস্থিতকাল মাত্র কিছুদিনের মধ্যে সীমিত হইলে এবং তাহার বাঁচিয়া থাকা ও ফিরিয়া আসার ভরসা থাকিলে মালিককে তাহার পক্ষে সাদ্‌কা-ই-ফিতর দিতে হইবে। যদি সে পলাতক অবস্থায় দীর্ঘদিন থাকে এবং তাহাকে ফিরিয়া পাওয়া সম্পর্কে নিরাশ হয় তবে আমার মতে, তাহার জন্য মালিককে ফিতরা দিতে হইবে না। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ শহর ও গ্রাম উভয় অঞ্চলের লোকের উপরই ফিতরা প্রদান করা ওয়াজিব। কারণ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নর-নারী, আযাদ, গোলাম প্রত্যেক মুসলমানের উপরই রমযানের কারণে সাদ্‌কা-ই-ফিতর ওয়াজিব করিয়াছেন। (গোলামের তরফ হইতে তাহার মালিক তাহা প্রদান করিবে।)

* অর্থের বিনিময়ে আযাদ করার চুক্তিকৃত গোলামকে মুকাতাব বলা হয়, আর আমি মরিয়া গেলে তুমি আযাদ- এই ধরনের কথা যে গোলামকে বলা হইয়াছে তাহাকে মুদাববার বলা হয়।
بَاب مَنْ تَجِبُ عَلَيْهِ زَكَاةُ الْفِطْرِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يُخْرِجُ زَكَاةَ الْفِطْرِ عَنْ غِلْمَانِهِ الَّذِينَ بِوَادِي الْقُرَى وَبِخَيْبَرَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّ أَحْسَنَ مَا سَمِعْتُ فِيمَا يَجِبُ عَلَى الرَّجُلِ مِنْ زَكَاةِ الْفِطْرِ أَنَّ الرَّجُلَ يُؤَدِّي ذَلِكَ عَنْ كُلِّ مَنْ يَضْمَنُ نَفَقَتَهُ وَلَا بُدَّ لَهُ مِنْ أَنْ يُنْفِقَ عَلَيْهِ وَالرَّجُلُ يُؤَدِّي عَنْ مُكَاتَبِهِ وَمُدَبَّرِهِ وَرَقِيقِهِ كُلِّهِمْ غَائِبِهِمْ وَشَاهِدِهِمْ مَنْ كَانَ مِنْهُمْ مُسْلِمًا وَمَنْ كَانَ مِنْهُمْ لِتِجَارَةٍ أَوْ لِغَيْرِ تِجَارَةٍ وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مِنْهُمْ مُسْلِمًا فَلَا زَكَاةَ عَلَيْهِ فِيهِ قَالَ مَالِك فِي الْعَبْدِ الْآبِقِ إِنَّ سَيِّدَهُ إِنْ عَلِمَ مَكَانَهُ أَوْ لَمْ يَعْلَمْ وَكَانَتْ غَيْبَتُهُ قَرِيبَةً وَهُوَ يَرْجُو حَيَاتَهُ وَرَجْعَتَهُ فَإِنِّي أَرَى أَنْ يُزَكِّيَ عَنْهُ وَإِنْ كَانَ إِبَاقُهُ قَدْ طَالَ وَيَئِسَ مِنْهُ فَلَا أَرَى أَنْ يُزَكِّيَ عَنْهُ قَالَ مَالِك تَجِبُ زَكَاةُ الْفِطْرِ عَلَى أَهْلِ الْبَادِيَةِ كَمَا تَجِبُ عَلَى أَهْلِ الْقُرَى وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَضَ زَكَاةَ الْفِطْرِ مِنْ رَمَضَانَ عَلَى النَّاسِ عَلَى كُلِّ حُرٍّ أَوْ عَبْدٍ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى مِنْ الْمُسْلِمِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী: