আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
১৭. যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৯৭
২১. যে ধরনের ফলে যাকাত ওয়াজিব হয় না
রেওয়ায়ত ৩৬. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কাহারও যদি চার অছক পরিমাণ খেজুর, চার অছক পরিমাণ কিসমিস, চার অছক পরিমাণ গম, চার অছক পরিমাণ কিতনিয়্যা বা ডাল জাতীয় শস্য উৎপন্ন হয় তবে এইগুলিকে একত্র করা হইবে না এবং একটিও নিসাব পরিমাণ (পাঁচ আছক) না হওয়ায় ঐ ব্যক্তির উপর যাকাত ধার্য হইবে না। হ্যাঁ, কোন একটি যদি নিসাব পরিমাণ অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ছা’-এর মাপে পাঁচ আছকই হইত, তবে ঐটিতে শুধু যাকাত ধার্য হইত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ পাঁচ অছকের কম পরিমাণ খেজুরের যাকাত ধার্য হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক জাতীয় বস্তু হইলে নাম বা রকমের তারতম্য হইলেও উহাকে একই জিনিস বলিয়া ধরা হইবে এবং সবগুলিকে একত্র করার পর নিসাব পরিমাণ হইলে উহাতে যাকাত ধার্য হইবে, আর নিসাব পরিমাণ না হইলে উহাতে যাকাত ধার্য হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তেমনিভাবে গম জাতীয় সকল বস্তু, যেমন ময়দা, যব, ছাতু সবগুলিকে একই শ্রেণীভুক্ত বলিয়া গণ্য করা হইবে। শস্য কর্তনের পর সবগুলি একত্র করিয়া নিসাব পরিমাণ হইলে উহাতে যাকাত ধার্য করা হইবে, আর নিসাব পরিমাণ না হইলে যাকাত ধার্য করা হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তেমনিভাবে লাল বা কাল সকল কিসমিস একই জাতিভুক্ত বলিয়া গণ্য করা হইবে। কাহারও বাগানে পাঁচ অছক পরিমাণ উৎপন্ন হইলে উহাতে যাকাত ধার্য হইবে আর উক্ত পরিমাণ হইতে কম উৎপন্ন হইলে যাকাত ধার্য হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ নাম বা রকমের তারমত্য সত্ত্বেও খেজুর, কিসমিসের মত সকল প্রকার কিতনিয়্যা বা ডাল জাতীয় শস্যকেও একই জাতিভুক্ত বলিয়া গণ্য করা হইবে। (যে সমস্ত শস্যদানা সরাসরি পাক করিয়া ভক্ষণ করা হয়, উহাদিগকে কিতন বলা হয়, যেমন চানাবুট, মাষ, সিম ইত্যাদি) ইহাদের প্রজাতিসমূহ ভিন্ন ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও একত্র করিয়া পাঁচ আছক পরিমাণ হইলে উহাতে যাকাত ধার্য হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ নবতী খ্রিস্টানদের কর নেওয়ার সময় উমর (রাযিঃ) কিতনিয়্যা এবং গমের মধ্যে তারতম্য করিয়াছিলেন। সকল প্রকার কিতনিয়্যাকে এক শ্রেণীভুক্ত বলিয়া তিনি গণ্য করিয়াছিলেন এবং উহাতে উশর বা এক-দশমাংশ কর ধার্য করিয়াছিলেন। অন্যপক্ষে গম ও কিসমিসের উপর এক-বিংশতিতমাংশ কর গ্রহণ করিয়াছিলেন।
মালিক (রাহঃ) বলেন, কেহ যদি প্রশ্ন তোলেন কিতনিয়্যা বা ডাল জাতীয় সকল বস্তুকে অভিন্ন জাতি বলিয়া গণ্য করা হইয়াছে অথচ এক সের মাষকলাইয়ের সঙ্গে দুই সের মসুরির বিনিময় জায়েয আছে। একই জাতীয় যদি হইত তবে উহা জায়েয হইত না। কারণ উহা সুদের পর্যায়ে পড়িয়া যাইত। যেমন এক সের গমের বিনিময়ে দুই সের গম গ্রহণ করা যায় না। কারণ একই জাতিভুক্ত হওয়ায় উহা সুদের অন্তর্ভুক্ত হইবে।
উক্ত প্রশ্নের জবাবে বলা যাইতে পারে যে, স্বর্ণ এবং রৌপ্য যাকাতের বেলায় একত্র করিয়া ধরা যায় অথচ এক দীনার বা স্বর্ণমুদ্রার বিনিময়ে বেশী সংখ্যক রৌপ্য মুদ্রা গ্রহণ করা জায়েয। উহা সুদ হয় না। ইহাতে বোঝা গেল, জাতি নির্ণয়ের বেলায় যাকাত ও সুদের একই হুকুম নহে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কিছু পরিমাণ খেজুর বৃক্ষ যদি দুই ব্যক্তির শরীকানাভুক্ত থাকে আর উহাতে আট অছক পরিমাণ (অর্থাৎ প্রত্যেকের নিসাব পরিমাণ হইতে কম খেজুর) উৎপন্ন হয় তবে উহাতে যাকাত ধার্য হইবে না। একজনের হিসায় যদি পাঁচ অছক পরিমাণ (অর্থাৎ নিসাব পরিমাণ) উৎপন্ন হয় আর অন্যজনের হিসায় চার অছক পরিমাণ অর্থাৎ নিসাব পরিমাণ হইতে কম উৎপন্ন হয় তবে যাহার নিসাব পরিমাণ হইয়াছে তাহার উপরই শুধু যাকাত ধার্য হইবে।
এমনিভাবে সকল প্রকার শস্যক্ষেত্রের শরীকানার বেলায় উক্ত হুকুম প্রযোজ্য হইবে। নিসাব পরিমাণের কম হইলে যাকাত ধার্য হইবে না। আর যাহার হিস্যায় নিসাব পরিমাণ হইবে তাহার উপরই কেবল যাকাত ধার্য হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট স্বীকৃত পদ্ধতি হইল, শস্যের যাকাত আদায় করার পর মালিক যদি ঐ শস্য কয়েক বৎসর গুদামজাত করিয়া রাখে এবং পরে উহা বিক্রয় করে তবে বিক্রয় করার দিন হইতে এক বৎসর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত ঐ বিক্রয়লব্ধ টাকার উপর কোন যাকাত ধার্য হইবে না। যদি ঐ শস্য হেবা, মৌরসী বা মালিকানাস্বত্বে পাইয়া থাকে তখনই কেবল উক্ত হুকুম প্রযোজ্য হইবে। কাহারও নিকট খোরাকী বাবদ কিছু শস্য বা তৈজসপত্র কয়েক বৎসর পর্যন্ত মওজুদ থাকে, পরে উহা বিক্রয় করিয়া দেয়, তবে উহাতে যেমন যাকাত ধার্য হয় না, এইখানেও তদ্রূপ যাকাত ধার্য হয় না। উক্ত শস্য যদি ব্যবসায়ের হইয়া থাকে আর উক্ত শস্যের যাকাত আদায় করার এক বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার পর উহা বিক্রয় করে, তবে বিক্রয়ের দিনই যাকাত ধার্য হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক জাতীয় বস্তু হইলে নাম বা রকমের তারতম্য হইলেও উহাকে একই জিনিস বলিয়া ধরা হইবে এবং সবগুলিকে একত্র করার পর নিসাব পরিমাণ হইলে উহাতে যাকাত ধার্য হইবে, আর নিসাব পরিমাণ না হইলে উহাতে যাকাত ধার্য হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তেমনিভাবে গম জাতীয় সকল বস্তু, যেমন ময়দা, যব, ছাতু সবগুলিকে একই শ্রেণীভুক্ত বলিয়া গণ্য করা হইবে। শস্য কর্তনের পর সবগুলি একত্র করিয়া নিসাব পরিমাণ হইলে উহাতে যাকাত ধার্য করা হইবে, আর নিসাব পরিমাণ না হইলে যাকাত ধার্য করা হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তেমনিভাবে লাল বা কাল সকল কিসমিস একই জাতিভুক্ত বলিয়া গণ্য করা হইবে। কাহারও বাগানে পাঁচ অছক পরিমাণ উৎপন্ন হইলে উহাতে যাকাত ধার্য হইবে আর উক্ত পরিমাণ হইতে কম উৎপন্ন হইলে যাকাত ধার্য হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ নাম বা রকমের তারমত্য সত্ত্বেও খেজুর, কিসমিসের মত সকল প্রকার কিতনিয়্যা বা ডাল জাতীয় শস্যকেও একই জাতিভুক্ত বলিয়া গণ্য করা হইবে। (যে সমস্ত শস্যদানা সরাসরি পাক করিয়া ভক্ষণ করা হয়, উহাদিগকে কিতন বলা হয়, যেমন চানাবুট, মাষ, সিম ইত্যাদি) ইহাদের প্রজাতিসমূহ ভিন্ন ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও একত্র করিয়া পাঁচ আছক পরিমাণ হইলে উহাতে যাকাত ধার্য হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ নবতী খ্রিস্টানদের কর নেওয়ার সময় উমর (রাযিঃ) কিতনিয়্যা এবং গমের মধ্যে তারতম্য করিয়াছিলেন। সকল প্রকার কিতনিয়্যাকে এক শ্রেণীভুক্ত বলিয়া তিনি গণ্য করিয়াছিলেন এবং উহাতে উশর বা এক-দশমাংশ কর ধার্য করিয়াছিলেন। অন্যপক্ষে গম ও কিসমিসের উপর এক-বিংশতিতমাংশ কর গ্রহণ করিয়াছিলেন।
মালিক (রাহঃ) বলেন, কেহ যদি প্রশ্ন তোলেন কিতনিয়্যা বা ডাল জাতীয় সকল বস্তুকে অভিন্ন জাতি বলিয়া গণ্য করা হইয়াছে অথচ এক সের মাষকলাইয়ের সঙ্গে দুই সের মসুরির বিনিময় জায়েয আছে। একই জাতীয় যদি হইত তবে উহা জায়েয হইত না। কারণ উহা সুদের পর্যায়ে পড়িয়া যাইত। যেমন এক সের গমের বিনিময়ে দুই সের গম গ্রহণ করা যায় না। কারণ একই জাতিভুক্ত হওয়ায় উহা সুদের অন্তর্ভুক্ত হইবে।
উক্ত প্রশ্নের জবাবে বলা যাইতে পারে যে, স্বর্ণ এবং রৌপ্য যাকাতের বেলায় একত্র করিয়া ধরা যায় অথচ এক দীনার বা স্বর্ণমুদ্রার বিনিময়ে বেশী সংখ্যক রৌপ্য মুদ্রা গ্রহণ করা জায়েয। উহা সুদ হয় না। ইহাতে বোঝা গেল, জাতি নির্ণয়ের বেলায় যাকাত ও সুদের একই হুকুম নহে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কিছু পরিমাণ খেজুর বৃক্ষ যদি দুই ব্যক্তির শরীকানাভুক্ত থাকে আর উহাতে আট অছক পরিমাণ (অর্থাৎ প্রত্যেকের নিসাব পরিমাণ হইতে কম খেজুর) উৎপন্ন হয় তবে উহাতে যাকাত ধার্য হইবে না। একজনের হিসায় যদি পাঁচ অছক পরিমাণ (অর্থাৎ নিসাব পরিমাণ) উৎপন্ন হয় আর অন্যজনের হিসায় চার অছক পরিমাণ অর্থাৎ নিসাব পরিমাণ হইতে কম উৎপন্ন হয় তবে যাহার নিসাব পরিমাণ হইয়াছে তাহার উপরই শুধু যাকাত ধার্য হইবে।
এমনিভাবে সকল প্রকার শস্যক্ষেত্রের শরীকানার বেলায় উক্ত হুকুম প্রযোজ্য হইবে। নিসাব পরিমাণের কম হইলে যাকাত ধার্য হইবে না। আর যাহার হিস্যায় নিসাব পরিমাণ হইবে তাহার উপরই কেবল যাকাত ধার্য হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট স্বীকৃত পদ্ধতি হইল, শস্যের যাকাত আদায় করার পর মালিক যদি ঐ শস্য কয়েক বৎসর গুদামজাত করিয়া রাখে এবং পরে উহা বিক্রয় করে তবে বিক্রয় করার দিন হইতে এক বৎসর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত ঐ বিক্রয়লব্ধ টাকার উপর কোন যাকাত ধার্য হইবে না। যদি ঐ শস্য হেবা, মৌরসী বা মালিকানাস্বত্বে পাইয়া থাকে তখনই কেবল উক্ত হুকুম প্রযোজ্য হইবে। কাহারও নিকট খোরাকী বাবদ কিছু শস্য বা তৈজসপত্র কয়েক বৎসর পর্যন্ত মওজুদ থাকে, পরে উহা বিক্রয় করিয়া দেয়, তবে উহাতে যেমন যাকাত ধার্য হয় না, এইখানেও তদ্রূপ যাকাত ধার্য হয় না। উক্ত শস্য যদি ব্যবসায়ের হইয়া থাকে আর উক্ত শস্যের যাকাত আদায় করার এক বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার পর উহা বিক্রয় করে, তবে বিক্রয়ের দিনই যাকাত ধার্য হইবে।
بَاب مَا لَا زَكَاةَ فِيهِ مِنْ الثِّمَارِ
قَالَ مَالِك إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا كَانَ لَهُ مَا يَجُدُّ مِنْهُ أَرْبَعَةَ أَوْسُقٍ مِنْ التَّمْرِ وَمَا يَقْطُفُ مِنْهُ أَرْبَعَةَ أَوْسُقٍ مِنْ الزَّبِيبِ وَمَا يَحْصُدُ مِنْهُ أَرْبَعَةَ أَوْسُقٍ مِنْ الْحِنْطَةِ وَمَا يَحْصُدُ مِنْهُ أَرْبَعَةَ أَوْسُقٍ مِنْ الْقِطْنِيَّةِ إِنَّهُ لَا يُجْمَعُ عَلَيْهِ بَعْضُ ذَلِكَ إِلَى بَعْضٍ وَإِنَّهُ لَيْسَ عَلَيْهِ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ زَكَاةٌ حَتَّى يَكُونَ فِي الصِّنْفِ الْوَاحِدِ مِنْ التَّمْرِ أَوْ فِي الزَّبِيبِ أَوْ فِي الْحِنْطَةِ أَوْ فِي الْقِطْنِيَّةِ مَا يَبْلُغُ الصِّنْفُ الْوَاحِدُ مِنْهُ خَمْسَةَ أَوْسُقٍ بِصَاعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ مِنْ التَّمْرِ صَدَقَةٌ وَإِنْ كَانَ فِي الصِّنْفِ الْوَاحِدِ مِنْ تِلْكَ الْأَصْنَافِ مَا يَبْلُغُ خَمْسَةَ أَوْسُقٍ فَفِيهِ الزَّكَاةُ فَإِنْ لَمْ يَبْلُغْ خَمْسَةَ أَوْسُقٍ فَلَا زَكَاةَ فِيهِ وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنْ يَجُذَّ الرَّجُلُ مِنْ التَّمْرِ خَمْسَةَ أَوْسُقٍ وَإِنْ اخْتَلَفَتْ أَسْمَاؤُهُ وَأَلْوَانُهُ فَإِنَّهُ يُجْمَعُ بَعْضُهُ إِلَى بَعْضٍ ثُمَّ يُؤْخَذُ مِنْ ذَلِكَ الزَّكَاةُ فَإِنْ لَمْ يَبْلُغْ ذَلِكَ فَلَا زَكَاةَ فِيهِ وَكَذَلِكَ الْحِنْطَةُ كُلُّهَا السَّمْرَاءُ وَالْبَيْضَاءُ وَالشَّعِيرُ وَالسُّلْتُ كُلُّ ذَلِكَ صِنْفٌ وَاحِدٌ فَإِذَا حَصَدَ الرَّجُلُ مِنْ ذَلِكَ كُلِّهِ خَمْسَةَ أَوْسُقٍ جُمِعَ عَلَيْهِ بَعْضُ ذَلِكَ إِلَى بَعْضٍ وَوَجَبَتْ فِيهِ الزَّكَاةُ فَإِنْ لَمْ يَبْلُغْ ذَلِكَ فَلَا زَكَاةَ فِيهِ وَكَذَلِكَ الزَّبِيبُ كُلُّهُ أَسْوَدُهُ وَأَحْمَرُهُ فَإِذَا قَطَفَ الرَّجُلُ مِنْهُ خَمْسَةَ أَوْسُقٍ وَجَبَتْ فِيهِ الزَّكَاةُ فَإِنْ لَمْ يَبْلُغْ ذَلِكَ فَلَا زَكَاةَ فِيهِ وَكَذَلِكَ الْقِطْنِيَّةُ هِيَ صِنْفٌ وَاحِدٌ مِثْلُ الْحِنْطَةِ وَالتَّمْرِ وَالزَّبِيبِ وَإِنْ اخْتَلَفَتْ أَسْمَاؤُهَا وَأَلْوَانُهَا وَالْقِطْنِيَّةُ الْحِمَّصُ وَالْعَدَسُ وَاللُّوبِيَا وَالْجُلْبَانُ وَكُلُّ مَا ثَبَتَ مَعْرِفَتُهُ عِنْدَ النَّاسِ أَنَّهُ قُطْنِيَّةٌ فَإِذَا حَصَدَ الرَّجُلُ مِنْ ذَلِكَ خَمْسَةَ أَوْسُقٍ بِالصَّاعِ الْأَوَّلِ صَاعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنْ كَانَ مِنْ أَصْنَافِ الْقِطْنِيَّةِ كُلِّهَا لَيْسَ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ مِنْ الْقِطْنِيَّةِ فَإِنَّهُ يُجْمَعُ ذَلِكَ بَعْضُهُ إِلَى بَعْضٍ وَعَلَيْهِ فِيهِ الزَّكَاةُ قَالَ مَالِك وَقَدْ فَرَّقَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ بَيْنَ الْقِطْنِيَّةِ وَالْحِنْطَةِ فِيمَا أُخِذَ مِنْ النَّبَطِ وَرَأَى أَنَّ الْقِطْنِيَّةَ كُلَّهَا صِنْفٌ وَاحِدٌ فَأَخَذَ مِنْهَا الْعُشْرَ وَأَخَذَ مِنْ الْحِنْطَةِ وَالزَّبِيبِ نِصْفَ الْعُشْرِ قَالَ مَالِك فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ كَيْفَ يُجْمَعُ الْقِطْنِيَّةُ بَعْضُهَا إِلَى بَعْضٍ فِي الزَّكَاةِ حَتَّى تَكُونَ صَدَقَتُهَا وَاحِدَةً وَالرَّجُلُ يَأْخُذُ مِنْهَا اثْنَيْنِ بِوَاحِدٍ يَدًا بِيَدٍ وَلَا يُؤْخَذُ مِنْ الْحِنْطَةِ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ يَدًا بِيَدٍ قِيلَ لَهُ فَإِنَّ الذَّهَبَ وَالْوَرِقَ يُجْمَعَانِ فِي الصَّدَقَةِ وَقَدْ يُؤْخَذُ بِالدِّينَارِ أَضْعَافُهُ فِي الْعَدَدِ مِنْ الْوَرِقِ يَدًا بِيَدٍ قَالَ مَالِك فِي النَّخِيلِ يَكُونُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ فَيَجُذَّانِ مِنْهَا ثَمَانِيَةَ أَوْسُقٍ مِنْ التَّمْرِ إِنَّهُ لَا صَدَقَةَ عَلَيْهِمَا فِيهَا وَإِنَّهُ إِنْ كَانَ لِأَحَدِهِمَا مِنْهَا مَا يَجُذُّ مِنْهُ خَمْسَةَ أَوْسُقٍ وَلِلْآخَرِ مَا يَجُذُّ أَرْبَعَةَ أَوْسُقٍ أَوْ أَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ فِي أَرْضٍ وَاحِدَةٍ كَانَتْ الصَّدَقَةُ عَلَى صَاحِبِ الْخَمْسَةِ الْأَوْسُقِ وَلَيْسَ عَلَى الَّذِي جَذَّ أَرْبَعَةَ أَوْسُقٍ أَوْ أَقَلَّ مِنْهَا صَدَقَةٌ وَكَذَلِكَ الْعَمَلُ فِي الشُّرَكَاءِ كُلِّهِمْ فِي كُلِّ زَرْعٍ مِنْ الْحُبُوبِ كُلِّهَا يُحْصَدُ أَوْ النَّخْلُ يُجَدُّ أَوْ الْكَرْمُ يُقْطَفُ فَإِنَّهُ إِذَا كَانَ كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ يَجُدُّ مِنْ التَّمْرِ أَوْ يَقْطِفُ مِنْ الزَّبِيبِ خَمْسَةَ أَوْسُقٍ أَوْ يَحْصُدُ مِنْ الْحِنْطَةِ خَمْسَةَ أَوْسُقٍ فَعَلَيْهِ فِيهِ الزَّكَاةُ وَمَنْ كَانَ حَقُّهُ أَقَلَّ مِنْ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ فَلَا صَدَقَةَ عَلَيْهِ وَإِنَّمَا تَجِبُ الصَّدَقَةُ عَلَى مَنْ بَلَغَ جُدَادُهُ أَوْ قِطَافُهُ أَوْ حَصَادُهُ خَمْسَةَ أَوْسُقٍ قَالَ مَالِك السُّنَّةُ عِنْدَنَا أَنَّ كُلَّ مَا أُخْرِجَتْ زَكَاتُهُ مِنْ هَذِهِ الْأَصْنَافِ كُلِّهَا الْحِنْطَةِ وَالتَّمْرِ وَالزَّبِيبِ وَالْحُبُوبِ كُلِّهَا ثُمَّ أَمْسَكَهُ صَاحِبُهُ بَعْدَ أَنْ أَدَّى صَدَقَتَهُ سِنِينَ ثُمَّ بَاعَهُ أَنَّهُ لَيْسَ عَلَيْهِ فِي ثَمَنِهِ زَكَاةٌ حَتَّى يَحُولَ عَلَى ثَمَنِهِ الْحَوْلُ مِنْ يَوْمَ بَاعَهُ إِذَا كَانَ أَصْلُ تِلْكَ الْأَصْنَافِ مِنْ فَائِدَةٍ أَوْ غَيْرِهَا وَأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لِلتِّجَارَةِ وَإِنَّمَا ذَلِكَ بِمَنْزِلَةِ الطَّعَامِ وَالْحُبُوبِ وَالْعُرُوضِ يُفِيدُهَا الرَّجُلُ ثُمَّ يُمْسِكُهَا سِنِينَ ثُمَّ يَبِيعُهَا بِذَهَبٍ أَوْ وَرِقٍ فَلَا يَكُونُ عَلَيْهِ فِي ثَمَنِهَا زَكَاةٌ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ مِنْ يَوْمَ بَاعَهَا فَإِنْ كَانَ أَصْلُ تِلْكَ الْعُرُوضِ لِلتِّجَارَةِ فَعَلَى صَاحِبِهَا فِيهَا الزَّكَاةُ حِينَ يَبِيعُهَا إِذَا كَانَ قَدْ حَبَسَهَا سَنَةً مِنْ يَوْمَ زَكَّى الْمَالَ الَّذِي ابْتَاعَهَا بِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: