আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
১৬. জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৪৬
১৪. মুসিবতের ধৈর্যধারণ সম্পর্কে বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৪১. আব্দুর রহমান ইবনে কাসিম (রাহঃ) হইতে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মুসলমানগণ তাহদের মুসিবতে সান্ত্বনা লাভ করিবে আমার মুসিবত দ্বারা অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মুসিবত দেখিয়া।
بَاب جَامِعِ الْحِسْبَةِ فِي الْمُصِيبَةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِيُعَزِّ الْمُسْلِمِينَ فِي مَصَائِبِهِمْ الْمُصِيبَةُ بِي

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৫৪৭
১৪. মুসিবতের ধৈর্যধারণ সম্পর্কে বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৪২. নবী করীম (ﷺ) এর পত্নী উম্মে সালামা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যাহার (উপর) কোন মুসিবত পৌছে, অতঃপর আল্লাহ্ তাহাকে যেরূপ নির্দেশ দিয়াছেন সেইরূপ বলে-
إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ
اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي وَأَعْقِبْنِي خَيْرًا مِنْهَا
অর্থাৎ,আমরা তো আল্লাহরই এবং আর নিশ্চয়ই আমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী। হে আল্লাহ আমার মুসিবতে (উহার বিনিময়ে) আমাকে সওয়াব দান করুন এবং উহার পশ্চাতে আমাকে উহা অপেক্ষা উত্তম বস্তু দান করুন।
তবে আল্লাহ্ তাহার সহিত সেইরূপ করিবেন। উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেনঃ আবু সালামা (রাযিঃ)-এর ওফাতের পর আমি উক্ত দুআ পাঠ করিলাম, আর বলিলামঃ আবু সালামা (রাযিঃ) হইতে ভাল কে হইবেন? ফলে তাহার পরিবর্তে আল্লাহ আমাকে তাহার রাসূল (ﷺ)-কে প্রদান করিলেন, অতঃপর তিনি আমাকে বিবাহ করেন।
إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ
اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي وَأَعْقِبْنِي خَيْرًا مِنْهَا
অর্থাৎ,আমরা তো আল্লাহরই এবং আর নিশ্চয়ই আমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী। হে আল্লাহ আমার মুসিবতে (উহার বিনিময়ে) আমাকে সওয়াব দান করুন এবং উহার পশ্চাতে আমাকে উহা অপেক্ষা উত্তম বস্তু দান করুন।
তবে আল্লাহ্ তাহার সহিত সেইরূপ করিবেন। উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেনঃ আবু সালামা (রাযিঃ)-এর ওফাতের পর আমি উক্ত দুআ পাঠ করিলাম, আর বলিলামঃ আবু সালামা (রাযিঃ) হইতে ভাল কে হইবেন? ফলে তাহার পরিবর্তে আল্লাহ আমাকে তাহার রাসূল (ﷺ)-কে প্রদান করিলেন, অতঃপর তিনি আমাকে বিবাহ করেন।
بَاب جَامِعِ الْحِسْبَةِ فِي الْمُصِيبَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَصَابَتْهُ مُصِيبَةٌ فَقَالَ كَمَا أَمَرَ اللَّهُ إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي وَأَعْقِبْنِي خَيْرًا مِنْهَا إِلَّا فَعَلَ اللَّهُ ذَلِكَ بِهِ قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ فَلَمَّا تُوُفِّيَ أَبُو سَلَمَةَ قُلْتُ ذَلِكَ ثُمَّ قُلْتُ وَمَنْ خَيْرٌ مِنْ أَبِي سَلَمَةَ فَأَعْقَبَهَا اللَّهُ رَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَزَوَّجَهَا
হাদীস নং:৫৪৮
১৪. মুসিবতের ধৈর্যধারণ সম্পর্কে বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৪৩. কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেনঃ আমার এক স্ত্রীর ইন্তিকাল হয়। মুহাম্মাদ ইবনে কা’ব কুরাজী (রাহঃ) আমাকে তাহার (মৃত্যু) উপলক্ষে সান্ত্বনা দিতে আসিলেন। তিনি বলিলেনঃ বনি ইসরাঈলের এক ব্যক্তি ছিলেন আলিম, ইবাদতগুযার, মুজতাহিদ, শরীয়তের মাসায়েলে পারদর্শী। তাহার এক স্ত্রী ছিল, তাহাদের উভয়ের মধ্যে গভীর ভালবাসা ছিল। (ঘটনাক্রমে) সেই স্ত্রীর মৃত্যু হয়। ইহাতে তিনি খুব মর্মাহত ও ব্যথিত হইলেন। এমন কি তিনি নিজেকে একটি গৃহে অন্তরীণ করিয়া ফেলিলেন এবং লোকের সংশ্ৰব বর্জন করিলেন। অতঃপর কেহ তাহার কাছে যাইত না। জনৈক মহিলা এই বৃত্তান্ত শুনিয়া তাহার নিকট উপস্থিত হইলেন।
তিনি বলিলেনঃ তাহার কাছে আমার একটি আবশ্যক রহিয়াছে, যে বিষয়ে আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিব। তাহার সহিত সামনা সামনি না হইলে আমার আবশ্যক পূর্ণ হইবে না। (তাহার গৃহদ্বার ত্যাগ করিয়া) সব লোক চলিয়া গেল, কিন্তু উক্ত মহিলা তাহার দ্বারে রহিয়াই গেলেন এবং বলিলেনঃ তাহার নিকট আমার প্রয়োজন রহিয়াছে। একজন লোক সেই ব্যক্তির নিকট বলিলঃ এইখানে একজন মহিলা আপনাকে কিছু জিজ্ঞাসা করিতে ইচ্ছুক। তিনি বলিতেছেনঃ আমি তাহার সাক্ষাতপ্রার্থী মাত্র। সকল লোক চলিয়া গিয়াছে কিন্তু তিনি দরজা ছাড়েন না। তিনি বলিলেনঃ তোমরা তাহাকে আসিতে অনুমতি দাও। (অনুমতি পাইয়া সেই মহিলা) প্রবেশ করিলেন এবং বলিলেন, আমি আপনার নিকট একটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিতে আসিয়াছি। তিনি বলিলেনঃ সেই বিষয়টি কি? (উক্ত মহিলা) বলিলেনঃ আমার প্রতিবেশীনীর নিকট হইতে আমি একটি গহনা ধার নিলাম।
অতঃপর আমি উহা পরিধান করিতাম এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উহা লোককে ধারস্বরূপ দিতাম। অতঃপর তাহারা উহার (ফেরত দেওয়ার) জন্য আমার নিকট লোক পাঠাইলেন। আমি উহা ফেরত দিব কি? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, আল্লাহর কসম। মহিলা বলিলেনঃ সেই গহনাটি যে বেশ কিছুদিন আমার কাছে ছিল। তিনি বলিলেনঃ এইজন্য আরও বেশী উচিত যে, তুমি উহা তাহাদের নিকট ফেরত দাও, তাহারা এতকাল পর্যন্ত তোমাকে ধার দিয়াছেন। তখন উক্ত মহিলা বলিলেনঃ ওহে! আপনার প্রতি আল্লাহ দয়া করুন, আপনি আফসোস করিতেছেন এমন বস্তুর উপর যাহা আল্লাহ আপনাকে ধার দিয়াছেন, অতঃপর তিনি উহা গ্রহণ করিয়াছেন আপনার নিকট হইতে। অথচ তিনি উহার হকদার বেশী আপনি অপেক্ষা। তবে ভাবিয়া দেখুন আপনি কোন হালতে আছেন। আল্লাহ এই মহিলার উপদেশ দ্বারা তাহাকে উপকৃত করিলেন।
তিনি বলিলেনঃ তাহার কাছে আমার একটি আবশ্যক রহিয়াছে, যে বিষয়ে আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিব। তাহার সহিত সামনা সামনি না হইলে আমার আবশ্যক পূর্ণ হইবে না। (তাহার গৃহদ্বার ত্যাগ করিয়া) সব লোক চলিয়া গেল, কিন্তু উক্ত মহিলা তাহার দ্বারে রহিয়াই গেলেন এবং বলিলেনঃ তাহার নিকট আমার প্রয়োজন রহিয়াছে। একজন লোক সেই ব্যক্তির নিকট বলিলঃ এইখানে একজন মহিলা আপনাকে কিছু জিজ্ঞাসা করিতে ইচ্ছুক। তিনি বলিতেছেনঃ আমি তাহার সাক্ষাতপ্রার্থী মাত্র। সকল লোক চলিয়া গিয়াছে কিন্তু তিনি দরজা ছাড়েন না। তিনি বলিলেনঃ তোমরা তাহাকে আসিতে অনুমতি দাও। (অনুমতি পাইয়া সেই মহিলা) প্রবেশ করিলেন এবং বলিলেন, আমি আপনার নিকট একটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিতে আসিয়াছি। তিনি বলিলেনঃ সেই বিষয়টি কি? (উক্ত মহিলা) বলিলেনঃ আমার প্রতিবেশীনীর নিকট হইতে আমি একটি গহনা ধার নিলাম।
অতঃপর আমি উহা পরিধান করিতাম এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উহা লোককে ধারস্বরূপ দিতাম। অতঃপর তাহারা উহার (ফেরত দেওয়ার) জন্য আমার নিকট লোক পাঠাইলেন। আমি উহা ফেরত দিব কি? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, আল্লাহর কসম। মহিলা বলিলেনঃ সেই গহনাটি যে বেশ কিছুদিন আমার কাছে ছিল। তিনি বলিলেনঃ এইজন্য আরও বেশী উচিত যে, তুমি উহা তাহাদের নিকট ফেরত দাও, তাহারা এতকাল পর্যন্ত তোমাকে ধার দিয়াছেন। তখন উক্ত মহিলা বলিলেনঃ ওহে! আপনার প্রতি আল্লাহ দয়া করুন, আপনি আফসোস করিতেছেন এমন বস্তুর উপর যাহা আল্লাহ আপনাকে ধার দিয়াছেন, অতঃপর তিনি উহা গ্রহণ করিয়াছেন আপনার নিকট হইতে। অথচ তিনি উহার হকদার বেশী আপনি অপেক্ষা। তবে ভাবিয়া দেখুন আপনি কোন হালতে আছেন। আল্লাহ এই মহিলার উপদেশ দ্বারা তাহাকে উপকৃত করিলেন।
بَاب جَامِعِ الْحِسْبَةِ فِي الْمُصِيبَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَنَّهُ قَالَ هَلَكَتْ امْرَأَةٌ لِي فَأَتَانِي مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ يُعَزِّينِي بِهَا فَقَالَ إِنَّهُ كَانَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ رَجُلٌ فَقِيهٌ عَالِمٌ عَابِدٌ مُجْتَهِدٌ وَكَانَتْ لَهُ امْرَأَةٌ وَكَانَ بِهَا مُعْجَبًا وَلَهَا مُحِبًّا فَمَاتَتْ فَوَجَدَ عَلَيْهَا وَجْدًا شَدِيدًا وَلَقِيَ عَلَيْهَا أَسَفًا حَتَّى خَلَا فِي بَيْتٍ وَغَلَّقَ عَلَى نَفْسِهِ وَاحْتَجَبَ مِنْ النَّاسِ فَلَمْ يَكُنْ يَدْخُلُ عَلَيْهِ أَحَدٌ وَإِنَّ امْرَأَةً سَمِعَتْ بِهِ فَجَاءَتْهُ فَقَالَتْ إِنَّ لِي إِلَيْهِ حَاجَةً أَسْتَفْتِيهِ فِيهَا لَيْسَ يُجْزِينِي فِيهَا إِلَّا مُشَافَهَتُهُ فَذَهَبَ النَّاسُ وَلَزِمَتْ بَابَهُ وَقَالَتْ مَا لِي مِنْهُ بُدٌّ فَقَالَ لَهُ قَائِلٌ إِنَّ هَاهُنَا امْرَأَةً أَرَادَتْ أَنْ تَسْتَفْتِيَكَ وَقَالَتْ إِنْ أَرَدْتُ إِلَّا مُشَافَهَتَهُ وَقَدْ ذَهَبَ النَّاسُ وَهِيَ لَا تُفَارِقُ الْبَابَ فَقَالَ ائْذَنُوا لَهَا فَدَخَلَتْ عَلَيْهِ فَقَالَتْ إِنِّي جِئْتُكَ أَسْتَفْتِيكَ فِي أَمْرٍ قَالَ وَمَا هُوَ قَالَتْ إِنِّي اسْتَعَرْتُ مِنْ جَارَةٍ لِي حَلْيًا فَكُنْتُ أَلْبَسُهُ وَأُعِيرُهُ زَمَانًا ثُمَّ إِنَّهُمْ أَرْسَلُوا إِلَيَّ فِيهِ أَفَأُؤَدِّيهِ إِلَيْهِمْ فَقَالَ نَعَمْ وَاللَّهِ فَقَالَتْ إِنَّهُ قَدْ مَكَثَ عِنْدِي زَمَانًا فَقَالَ ذَلِكِ أَحَقُّ لِرَدِّكِ إِيَّاهُ إِلَيْهِمْ حِينَ أَعَارُوكِيهِ زَمَانًا فَقَالَتْ أَيْ يَرْحَمُكَ اللَّهُ أَفَتَأْسَفُ عَلَى مَا أَعَارَكَ اللَّهُ ثُمَّ أَخَذَهُ مِنْكَ وَهُوَ أَحَقُّ بِهِ مِنْكَ فَأَبْصَرَ مَا كَانَ فِيهِ وَنَفَعَهُ اللَّهُ بِقَوْلِهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: